Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২০শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২০শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ইয়ামানে চরম সঙ্কটেও নারীরা ভুলে যাননি পর্দা ও দ্বীনদারীর কথা



    ছবি কথা বলে। বাক্যটি হরহামেশায় ব্যবহার করা হয়। কভারের ছবিটিও কথা বলছে। চরম সঙ্কটেও দ্বীনের ওপর অবিচল থাকার কথা। ছবিটি ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে তোলা।

    বৈশ্বিক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে যে কয়েকটা দেশ ইয়েমন তার অন্যতম। ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী হুথি বিদ্রোহী এবং সৌদি সন্ত্রাসী সেনাদের প্রভাব বিস্তারের যুদ্ধে বিপর্যস্ত ইয়েমেনের সাধারণ নাগরিকদের জীবন।

    ইয়েমেনের রাজধানী সানাকে অনেক আগেই ক্ষুধার নগরী ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইয়েমেনের শিশুরাই সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। গত কয়েক বছরে অপুষ্টিতে ইয়েমেনে মারা গেছে ৮৫ হাজারেরও বেশি শিশু।

    হামলার ফাকে ফাকে ইয়েমেনে যে পরিমাণ নামেমাত্র ত্রাণ পৌঁছে তা দেশটির অধিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই অনেক ইয়েমেনি পাড়ি দিয়েছেন ইউরোপের দেশে। সেখানে বাস্তুহারা জীবন তাদের।

    যুদ্ধ ইয়েমেনের ধর্মীয় জীবনেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্ষুধা, দারিদ্র সম্ভ্রান্ত ইয়েমনবাসীদেরও দ্বীনের ব্যাপারে করে তুলেছে উদাসীন। যেন‘দারিদ্র কখনো কুফুরি ডেকে আনে’ হাদিসের বাস্তব প্রতিচ্ছবি ইয়েমেন।

    এরও মাঝে কিছু পরিবার আছে-শত কষ্টেও তারা দ্বীন বিচ্যুত হয়নি। ঐতিহ্যগতভাবে তাদের মধ্যে যে ধর্মচর্চা যুদ্ধের মতো চরম সঙ্কটও তা টলাতে পারেনি। কভারের ছবিটি তেমনি কোনো পরিবারের হবে।




    এএফপির তোলা ছবিটি নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সৌদি আরব ভিত্তিক আরবি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া। ত্রাণের ভাগ নিতে লোকালয়ে এসেছেন ছবির পর্দানশীন নারীরা। দীর্ঘদিনের চরম বিপর্যয়েও যে তাদের দ্বীনের চর্চায় এতটুকু চিড় ধরাতে পারেনি এটা নিয়ে বেশ প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

    নিজেদের ডেরা ছেড়ে ত্রাণ নিতে লোকালয়ে আসতে তাদের যথেষ্ট বেগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু করারই বা কী আছে!

    চরম দুর্দশাগ্রস্ত তাদের জীবন। কারো স্বামী মারা গেছে আমেরিকান সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায়। কারো ভাই মারা গেছে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণে। কারো সন্তান হয়েছে সৌদি সেনাদের ছুড়া মিসাইলের বলি।

    আদতে তারা তো বেশ শান্তিতেই ছিলেন। যুদ্ধ তাদের জীবনকে গতিহীন এবং স্থবির করে দিয়েছে।

    সূত্র: ইসলামটাইমস২৪


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33056/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    প্রথমবারের মতো ইহুদী প্রতিনিধিদলের সউদী আরব সফর



    ‘কনফারেন্স অফ প্রেসিডেন্টস’ নামে আমেরিকার একটি প্রভাবশালী ইহুদি সংস্থার সদস্যরা গত সপ্তাহে সউদী আরব সফর করে। আমেরিকার একটি ইহুদি গ্রুপের ছদ্মাবরণে ইসরায়েলের ওই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি সউদীআরব সফর করল। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

    ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং সউদী আরবের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক উষ্ণতর করার যে চেষ্টা চলছে তারই অংশ হিসেবে এ সফর বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৯৩ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে মধ্যপ্রাচ্য কথিত শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এই প্রথম এ ধরনের প্রতিনিধিদল সউদী আরব সফরে গেল।

    ইহুদি প্রতিনিধিদলটি গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সউদী আরব সফর করে। এ সময় ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল কারিম বিন আবদুল আজিজ আলে ঈসাসহ সউদী আরবের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়।

    সউদী যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে করিম বিন আলে ঈসার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এসব বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

    সূত্রঃ নয়া দিগন্ত


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33040/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ক্রুসেডার ট্রাম্পের ইসরায়েল প্রীতির তথাকথিত পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন সৌদি আরবের



      মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রুসেডার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রীতির তথাকথিত মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনা বা ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’-র ব্যাপারে সৌদি আরবের দু’জন পদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায় কোনও কোনও আরব দেশ ট্রাম্পের ষড়যন্ত্রমূলক ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকা ও ইসরায়েলকে সহযোগিতা করছে।

      বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আব্দুল জুবায়ের দাবি করেছেন, ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায় বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে।

      অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চলছে জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান দাবি করেছেন, ইরান এ অঞ্চলের সবার শত্রু।

      পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি দুই কর্মকর্তার এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায় কোনও কোনও আরব দেশ বিশেষ করে সৌদি আরব এ অঞ্চলের মুসলমানদের এক নম্বর শত্রু দখলদার ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমেরিকা আরব দেশগুলোর সহযোগিতায় ফিলিস্তিন বিরোধী ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পশ্চিম এশিয়ার ব্যাপারে ষড়যন্ত্রগুলো সহজে বাস্তবায়ন করতে পারেন।

      পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ শুধু ফিলিস্তিন ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং অন্যান্য মুসলমান অধ্যুষিত এলাকার ব্যাপারেও টার্গেট করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে যেকোনো উদাসীনতা এ অঞ্চলের মুসলমান দেশগুলোর জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।

      সূত্রঃ ইনসাফ২৪


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33043/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিম বলেই কি উইঘুর মুসলিমদের উপেক্ষা?



        মুসলিম বিদ্বেষী চীন সরকার করোনা বিষয়ে হুবেইসহ অন্যান্য প্রদেশকে গুরুত্ব দিলেও উদাসীনতা দেখাচ্ছে জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উইঘুরদের বিষয়ে। সেখানে বন্দি থাকা ১০ লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বেইজিং তাদের ব্যাপারে কোনো নজর দিচ্ছে না। মুসলিম বলেই কি তাদের উপেক্ষা করছে চীন- প্রশ্ন তুলেছে আলজাজিরা।

        করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮৩ জনে, আক্রান্ত হয়েছে ৫২ হাজার। কিন্তু এ পর্যন্ত চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখানো হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে তুর্কিভাষী মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের বসবাস।

        চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য বলছে, হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার পর জিনজিয়াং প্রদেশে ৫৫ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মারা যাওয়ার কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। সেখানে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।

        উইঘুর প্রতিনিধিরা বলছেন, তারা বিতর্কিত এ বন্দিশালায় দ্রুত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। আর প্রদেশটিতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা ভাইরাস হাঁচি, কাশি এমনকি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে এ রোগ।

        সূত্রঃ আমাদের সময়


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33031/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ট্রাম্পের চোখে বস্তি আড়াল করতে দেয়াল তুলছে মোদি সরকার



          ভারতে আহমেদাবাদের বস্তি লুকাতে ৬/৭ ফুট উঁচু অর্ধকিলোমিটারের দেয়ালও নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম।

          মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখের আড়াল করতে বস্তিগুলোতে দেয়ার তুলে দিচ্ছে ভারতীয় সরকার। ট্রাম্প চলতি মাসে ভারত সফরে আহমেদাবাদে যাবে।

          তখন সেখানকার বস্তিগুলো যাতে তার চোখে না পড়ে, তাই নতুন দেয়াল নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।

          দেয়াল নির্মাণকারী ঠিকাদার বলছেন, আহমেদাবাদের বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় বস্তিগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখে পড়ুক, তা চাচ্ছে না সরকার।

          নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ঠিকাদার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমাকে একটি দেয়াল তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ করতে দেড়শ মিস্ত্রী দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

          সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে এসব দেয়াল নির্মাণ করে সরকার বস্তি আড়াল করতে চাচ্ছে। তবে যুক্তি যা-ই হোক না কেন, চারশ মিটার দীর্ঘ ও সাত ফুট উঁচু দেয়াল মার্কিন প্রেসিডেন্টের চোখ থেকে বস্তিকে আড়াল করতে সক্ষম হবে।

          আহমেদাবাদ জেলার ওই বস্তিতে আটশটি পরিবার বসবাস করছে। প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও অন্যতম একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা।

          ভারত-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ় করতে আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি সে ভারত সফরে আসবে। আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ‘হাউ আর ইউ, ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।

          গত তিন দশক ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ওই বস্তিতে বসবাস করা দিনমজুর পার্বতী বলেন, অভাব আর বস্তি আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। কিন্তু মোদি সরকার সেই দারিদ্র্যতা আড়াল করতে চাচ্ছে।

          অন্যদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে ৩ ঘণ্টার সফরে ভারতের খরচ ১০০ কোটি রুপি ধরা হয়েছে। মাত্র তিন ঘণ্টার জন্যে আহমেদাবাদ যাওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে আহমেদাবাদকে সাজাতে আনুমানিক খরচ হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি রুপি।

          সূত্র: এই সময়


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33052/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতের উত্তর প্রদেশে সিলগালা মুসলিমদের দোকান



            নয়াদিল্লী: গত ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভের সময় উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক আন্দোলন হয়। সেই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে মুসলিম বিরোধী সন্ত্রাসী ভারত সরকার।

            মুজফফরনগর জেলায় ৫৩জন বিক্ষোভকারীকে ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ২৩ লক্ষ রুপি জরিমানা দিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

            বিভিন্ন শহরে বহু দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে, যার প্রায় সবই মুসলিমদের।

            রাজ্যে প্রশাসনিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একদল ছাত্রছাত্রী দিল্লি অভিমুখে মিছিল করে আসছিলেন, গাজীপুরে তাদের মধ্যে থেকে জনাদশেককে কোনও পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পুরে দিয়েছে।

            মুজফফরনগরের প্রশাসন বলছে, গত ২০শে ডিসেম্বর সেখানে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল, সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিস্যুয়ালস দেখেই তারা প্রতিবাদকারীদের চিহ্নিত করেছেন – এবং তার ভিত্তিতেই মোট ৫৩জনকে নোটিশ পাঠিয়ে প্রায় সাড়ে ২৩ লক্ষ রুপি ক্ষতিপূরণ জমা করতে বলা হয়েছে।

            অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অমিত সিং জানাচ্ছেন, সিভিল লাইন্স থানার আওতায় ৫৩জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, আর কোতোয়ালি থানার আওতায় অভিযুক্ত আরও ১৭জনের মামলা যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

            আমরা এদের স্বত:প্রণোদিতভাবে টাকা জমা করতে বলেছি, কিন্তু তারা না-মানলে তহসিল অফিস থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হবে।

            লখনৌ, কানপুর, মীরাট, সম্ভল, রামপুর, বিজনৌর ও বুলন্দশহর জেলাতেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে – এবং গোটা রাজ্যে ইতিমধ্যেই এরকম প্রায় শ’তিনেক প্রতিবাদকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

            তা ছাড়া বহু জায়গায় সন্দেহভাজন বিক্ষোভকারীদের দোকানপাটেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

            মুজফফরনগরের মীনাক্ষি চকে এরকমই সার সার সিল করা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, যে সব দোকান সিলগালা করা হয়েছে তার সবগুলোই কিন্তু মুসলিমদের।

            পুলিশ ও প্রশাসন যখন এভাবে শাস্তি দিতে ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যস্ত, শহরের মুসলিম মহল্লার মহিলারা কিন্তু বিবিসিকে জানিয়েছেন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরাই সে দিন তাদের বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে ও হুমকি দিয়েছে।

            মদিনা চকের কাছে এক গৃহবধূ বলেন, ওরা বাড়ির ভেতর ঢুকে ভাঙচুরই শুধু করেনি, সাড়ে তিন লাখ টাকার অলঙ্কারও লুঠ করে নিয়ে গেছে। দোতলায় উঠে আসবাব, ওয়াশিং মেশিন সব ভেঙেছে।

            আমরা বাধা দিতে গেলে ধমক দিয়েছে, চুপ করো জিনিস তো সব ভেঙেইছি, এবার এখান থেকেও তুলে দেব!

            উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই সব নির্যাতন ও অত্যাচারের কথাই মানুষকে বলতে বলতে দিল্লি অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছিল ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একটি দল, কিন্তু মাঝপথে গাজীপুরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাদের জনাদশেককে ধরে জেলে পুরেছে।

            ওই পদযাত্রার আয়োজকদের একজন, থৃতি দাস বলেন, গান্ধীর সত্যাগ্রহের পীঠস্থান চৌরিচৌরা থেকে শুরু করে তারা তার সমাধিস্থল রাজঘাট অবধি আসার পরিকল্পনা করেছিলেন – উত্তর প্রদেশের বুক চিরে।

            চৌরিচৌরা থেকে আড়াইশো কিলোমিটার পথ হেঁটে গোরখপুর, কুশীনগর, আজমগড় হয়ে তারা যখন গাজীপুরে পৌঁছান, তখনই ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে কোনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ তাদের আটক করে জেলে ভরে দেয়।

            পরে যখন আইনজীবীরা তাদের জামিনের জন্য চেষ্টা করতে যান, তখন পঁচিশ লক্ষ রুপির বন্ড দিতে বলা হয় এবং অন্তত দুজন গেজেটেড অফিসারকে জামিনদার হিসেবে আনতে বলা হয়।

            থৃতি দাস বলেন, স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, এ ধরনের কঠিন ও অসম্ভব শর্ত আরোপ করে উত্তরপ্রদেশ সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের রাস্তাটাই বন্ধ করে দিতে চাইছে।

            গ্রেপ্তার হওয়া ওই ছাত্রছাত্রী ও অ্যাক্টিভিস্টরা জেলের ভেতরেই এদিন থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন।

            উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই ধরনের কঠোর দমন নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও, তবে গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি এ সব গায়ে মাখছেন না।

            মুখ্যমন্ত্রী এর আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তার সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বদলা নিয়েই ছাড়বে – এখন দেখা যাচ্ছে তার পুলিশ ও প্রশাসন সেই প্রতিশোধ কর্মসূচিরই বাস্তবায়ন শুরু করেছে পুরোদমে।

            সূত্রঃ বিডিআরটিএনএন


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33037/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গত ৮ মাসে রেকর্ড জানুয়ারির পাইকারি মূল্যের বৃদ্ধির হার, বিপাকে মোদী সরকার



              মরার উপর যেন খাঁড়ার ঘা! এবারও মুখ তুলে চাইল না পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার। ফের বাড়ল পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার। ডিসেম্বরে ছিল ২.৫৯ শতাংশ, যা ০.৫১ শতাংশ বেড়ে জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৩.১ শতাংশে। গত ৮ মাসে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়ালো।

              ২০১৯-র এপ্রিলে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছায় ৩.১ শতাংশ। তবে, সে বছর জানুয়ারিতে সেই হার ছিল ২.৭৬ শতাংশ। দাম বেড়েছে সোয়াবিন, রাবার প্রভৃতির।

              খুচরো মূলবৃদ্ধিও জানুয়ারিতে ৭.৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৪ সালের মে মাসের পর এটাই রেকর্ড বৃদ্ধি। সে সময় ছিল ৮.৩৩ শতাংশ। খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে রেপো রেট অপরিবর্তীত রাখতে বাধ্য হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ছিল আরবিআই। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রকের এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার। মন্দা অর্থনীতি, রেকর্ড বেকারত্ব, তার উপর একের পর এক রাজ্য হাত ছাড়া, সব নিয়ে অত্যন্ত ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল।

              সূত্র: জি নিউজ


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33026/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                দেশে থাকতে হলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে হবে, হুঁশিয়ারি দিল ধর্মেন্দ্র


                ‘ভারত মাতা কি জয়’ যারা বলবেন একমাত্র তাদেরই এদেশে (ভারতে) থাকার অধিকার রয়েছে। এদেশে থাকতে হলে ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মালাউন মন্ত্রী ও বিজেপির সন্ত্রাসী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পুনেতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ৫৪তম জেলা সম্মেলনে সে একথা বলেছে।

                ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করেছে,‘ভগত সিং, নেতা সুভাষ চন্দ্র বোসের বলিদান ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর কে দেশের নাগরিক আর কে নয়, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ার কোনও মানে নেই। আমরা এই দেশটাকে ধর্মশালা করে ফেলতে চাই না। এদেশে থাকতে হলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে হবে।’

                ধর্মেন্দ্র প্রধান ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। ধর্মেন্দ্র এদিন মঞ্চে উঠেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। সে বলতে থাকে,‘অন্য দেশ থেকে এসে এখানে অনেকেই বসবাস শুরু করেছেন। এটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। তবে একটা ব্যাপারে আমাদের সবার মত এক হওয়া উচিত। এই দেশে তারাই থাকতে পারবেন যারা ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলবেন!’

                উল্লেখ্য, সারা ভারত জুড়ে নাগরিক সংশোধন আইন ও এনআরসি নিয়ে একের পর এক বিক্ষোভ চলছে। এসবের মাঝে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের এমন মন্তব্য নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

                দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে ঘাম ছুটছে ভারতীয় প্রশাসনের। তারই মধ্যে বিজেপির মন্ত্রীরা একের পর এক মন্তব্য করে চলেছে। যার জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে কংগ্রেসসহ একাধিক বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির শরিক দলগুলোও চাইছে, কেন্দ্রীয় সরকার যেন নাগরিক সংশোধনী আইন পরিবর্তন করে।

                সূত্র : জি নিউজ।



                সূত্র: https://alfirdaws.org/?p=30561&preview=true
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মোদি সরকারের বাজেট ঘোষণা, মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার

                  মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রথম পূর্ণমেয়াদের নারী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন গত শনিবার দেশটির সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন। আর সেই বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ হল না! তাই বাজেট পেশ করার পরই মুখ থুবড়ে পড়ল দেশটির শেয়ার বাজার।
                  ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মোদি সরকারের এই বাজেট ঘিরে প্রত্যাশা ছিল বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু বাজেট যে একেবারেই বিনিয়োগকারীদের খুশি করতে পারেনি, তা সূচকের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে। বাজেট পেশ শেষ হওয়ার আগেই ৯৮৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। আর নিফটি ৩০০ পয়েন্ট নেমে দাঁড়াল ১১৬৬২ পয়েন্টে।
                  অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের এই বাজেট নিযে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনেকটাই ছিল। বাজেট পেশের আগেই একদফা সূচক নিম্নগামী হলেও প্রথমদিকে বাজেট ভাষণ শুরু করার পর পরই উঠতে শুরু করেছিল সূচক। সেনসেক্স দেড়শো পয়েন্টেরও বেশি উঠেছিল। কিন্তু খুব বেশি স্থায়ী হল না সেটা। ঘণ্টাখানেক পর থেকেই সূচকের পতন শুরু হয়।
                  সকাল ১১টা থেকে সংসদে দীর্ঘ বাজেট পেশ করতে শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। তার কিছুক্ষণ পর থেকেই শেয়ার বাজার হুড়মুড়িয়ে নামতে শুরু করে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/?p=32391&preview=true
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ভারতের পতন অব্যাহত, ছ’বছরে সর্বনিম্ন জিডিপি, আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াল ৪.৫ শতাংশে

                    ভারতের টানা জিডিপির পতন অব্যাহত রয়েছে। এবার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে দাঁড়াল মাত্র ৪.৫ শতাংশ। শুক্রবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার তলানিতে নেমে দাঁড়িয়েছিল ৪.৩।

                    গত দেড় বছর ধরে টানা নিম্নমুখী ভারতের জিডিপি। ৪.৫ শতাংশ ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত অর্থবর্ষে এই জুলাই-সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ। এ বছর জুনে শেষ হওয়া প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ নেমে যাওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক শুরু হয় অর্থনীতি মহলে।

                    বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাগতি, দেশের বাজারে নতুন শিল্প-বিনিয়োগের অভাব, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর খারাপ পারফরম্যান্স, বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত, কর্মসংস্থানে ছাঁটাই ও পড়তি-সব কিছুর মিলিত প্রভাবেই অর্থনীতি তথা বৃদ্ধির হারে এমন দুর্দশা বলেই মনে করছে অর্থনীতিবিদরা।

                    বৃদ্ধির হারে লাগাতার এই পতন এবং প্রথম ত্রৈমাসিকে ছয় বছরের সর্বনিম্ন বৃদ্ধির হার দেশটির আর্থিক মন্দার সম্ভাবনারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে জিডিপির এই পতনকে ‘মন্দা’ বলে মানতে নারাজ ভারতীয় মালাউন সরকার।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/?p=29085&preview=true
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      কাশ্মির নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল সাবেক ‘র’ প্রধান



                      কাশ্মির নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অচলাবস্থার মধ্যে নতুন করে বোমা ফাঁটালেন ভারতের হিন্দুত্ববাদী গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক প্রধান অমরজিত সিং দুলাত।

                      সূত্রমতে জানা যায়, সম্প্রতি দেশটির গণমাধ্যম ন্যাশনাল হেরাল্ডকে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি কাশ্মির ও অঞ্চলটি নিয়ে ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দেন।

                      অমরজিত সিং দুলাত বলেন, কাশ্মিরে যে কী হচ্ছে তা কেউই জানে না। এমনকি অঞ্চলটি নিয়ে নয়াদিল্লি কী ভাবছে তাও মানুষ জানে না। কাশ্মিরিরা নিজেদের ভবিষ্যত ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও ভারতীয় সরকার দাবি করছে, সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

                      তিনি বলেন, এত কিছুর পরও কাশ্মিরিরা রাস্তায় না নামার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভারতের মানুষের ওপর তাদের বিশ্বাস উঠে গেছে। তারা অনুভব করছেন, ভারতীয়রা কাশ্মিরকে হতাশ করেছে। তাছাড়া অঞ্চলটিতে প্রতি ৩০ জন বেসামরিক ব্যক্তির বিপরীতে একজন সেনা সদস্য নিয়োজিত আছে।

                      বিষয়টিকে কাশ্মিরের জনগণ বনাম ভারতের জনগণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাশ্মীর ভাগ হওয়ার পর থেকে শুধু দিল্লির সঙ্গেই অঞ্চলটির সমস্যা লেগে ছিল। এখন কাশ্মিরিরা মনে করছেন, ভারতীয়রা তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করছে। বিষয়টা এমন হওয়ার কথা ছিল না। এর দায় কার?

                      বিশ্বের অন্যতম হিন্দুত্ববাদী গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, অঞ্চলটির বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর সেখানকার মানুষদের যে দীর্ঘসময় বন্দি করে রাখা হবে তা আগে থেকেই অনুমান ছিল। এই সময়টা হয়তো আরো ৩ বছর দীর্ঘায়িত হতে পারে কিংবা কয়েক মাসও হতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর।

                      শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এভাবে কতদিন সরকারী বাহিনী দিয়ে সেখানে অবরোধ করে রাখতে পারবে তা বলা মুশকিল। কারণ এ আইন প্রয়োগ করা ছাড়া লোকজনকে আটকে রাখার আর কোনো উপায় সরকারের ছিল না। যখন আইনি কোনো উপায় আর থাকে না, তখনই এ আইনের আশ্রয় নেয় সরকার। শুধু পার্থক্য হচ্ছে আগে এ আইন স্বাধীনতাকামীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হতো, আর এখন সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33050/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        দুদকের সহযোগিতায় ৩৫০০ কোটি টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়েছে প্রশান্ত কুমার!



                        শেখ হাসিনার কথিত উন্নত বাংলাদেশে এখন দুর্নীতি-লুটপাট ও অর্থআত্মসাতের মহোৎসব চলছে। শুধু সরকারি অর্থনৈতিক খাতে নয়, বেসরকারি খাতের বড় বড় কোম্পানিগুলো থেকেও উধাও হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। মূলধন হারিয়ে কোম্পানিগুলো এখন পথে বসেছে। বাণিজ্যিক খাতের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য এগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে সরকার নিজেদের পছন্দের যেসব লোককে বসিয়েছিল মূলত তারাই বিভিন্ন কৌশলে এসব টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এসব কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজন।

                        খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব দুর্নীতিবাজদেরকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করছে কথিত দুর্নীতি দমন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। এমনকি বড় বড় দুর্নীতিবাজদের দেশত্যাগে দুদক চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা সরাসরি জড়িত। স্বাস্থ্য খাতের টাকার কুমির হিসেবে পরিচিত সেই আবজাল দম্পতি দুদকের সহযোগিতায়ই দেশত্যাগের সুযোগ পেয়েছিল। এমনকি তাদের একাধিক ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার পরও তারা এসব একাউন্ট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় থাকা সত্ত্বেও দুদক তাদেরকে গ্রেফতার করেনি। পরে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।




                        সম্প্রতি বেসরকারি খাতের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৩৫০০ কোটি টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমপি প্রশান্ত কুমার হালদার। তার মূল পেশা ছিল আর্থিক খাতের বড় বড় কোম্পানি দখল ও অর্থ আত্মসাত করা। তিনি নানা কৌশলে বড় বড় চারটি কোম্পানি দখলে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বি আইএফসি)।

                        সূত্র বলছে, তার এসব কোম্পানি দখল ও অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখের সামনেই সবকিছু ঘটেছে। আর ৩৫০০ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে তাকে সহযোগিতা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। এর বিনিময়ে তারা মোটা অংকের টাকা পেয়েছে।

                        প্রশান্ত কুমার হালদার দীর্ঘদিন ধরেই নামে-বেনামে কোম্পানি খুলে বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখলের কাজ করছে। হাতিয়ে নিয়েছিল হাজার হাজার কোটি টাকা।

                        ৩৫০০ কোটি টাকা নিয়ে প্রশান্ত কুমারের পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই এনিয়ে সারাদেশে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশান্ত কুমার বিগত ১৫ বছর ধরে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখলে নিচ্ছে। নামে-বেনামে ভুয়া কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ওই সময় দুদক কোথায় ছিল? তারপর তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ওই ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় কি করে? তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার পরও দুদক তাকে গ্রেফতার করেনি কেন? দুদক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ছাড়া তার পক্ষে দেশত্যাগ করা সম্ভব না। দুদকের সঙ্গে সমঝোতা করেই প্রশান্ত কুমার দেশ ছেড়েছে।

                        সূত্র: অ্যানালাইসিস বিডি


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/32984/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          দেশের কথিত উন্নয়নের গোমর ফাঁস করল অর্থমন্ত্রী!



                          বিগত ১১ বছর ধরে দেশে বিদেশে কথিত উন্নয়নের ভুয়া প্রচার চালিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। শেখ হাসিনার দাবি-দেশের অর্থনীতির ভিত্তিকে তিনি এমনভাবে মজবুত করেছেন যে, আর কখনো ভেঙ্গে পড়বে না। প্রায় প্রতিদিনই তিনি গর্ব করে বলেন, বিদেশিরা দেখলেই নাকি তাকে বলে-আপনার উন্নয়নের ম্যাজিকটা কি? সেই ম্যাজিকটা কিন্তু শেখ হাসিনা কখনো বিদেশিদেরকে বলেন না।

                          তবে, শেখ হাসিনার কথিত উন্নয়নের ম্যাজিক এবার ফাঁস করে দিলেন তার সরকারেরই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সত্যিকার অর্থেই যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না সেই কথাটা এবার নিজের মুখেই প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী।

                          গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) ‘ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের বার্ষিক কার্যক্রম প্রণয়ন সম্মেলন ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আমদানি-রফতানি সঠিকভাবে হচ্ছে না।

                          একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন সেটা সেই দেশের অর্থমন্ত্রীই সবেচেয়ে ভাল জানেন। দেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ অবস্থা যে ভাল না সেটা অর্থমন্ত্রীই ভাল জানেন। মূলত দেশের অর্থনীতির সত্য বিষয়টাই তিনি প্রকাশ করেছেন। অর্থমন্ত্রীর এই কথা থেকেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন তা সম্পূর্ণ বায়ুবীয় ও ভিত্তিহীন।

                          তারপর, দেশের সরকারি ও বাণিজ্যিক খাতের ব্যাংকগুলোর খারাপ অবস্থা নিয়ে বিশিষ্টজনেরাসহ অর্থনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। কিন্তু সরকার এসবকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। বিগত ১১ বছরে টাকা নিতে নিতে দেশের ব্যাংকগুলোকে সরকার ফুতুর করে ফেলেছে। কিন্তু এসব নিয়ে যারা কথা বলে সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা উল্টো তাদেরকেই গালিগালাজ করে। এবার শেখ অর্থমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে, দেশের ব্যাকগুলো ভাল চলছে না।

                          দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। কিন্তু ৬ মাসেই তার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি নিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৫ শতাংশ কম। এদিকে কমে গেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

                          বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য, এ বছর বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অথচ অর্থবছরের ছয় মাসের মধ্যেই সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে সরকার। সর্বশেষ গত ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত এ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ৫১ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার থেকে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়ে ফেলেছে সরকার।

                          বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংক, উভয় উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার। অন্যদিকে, রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় উন্নয়ন ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে। ফলে, ছয় মাসেই ব্যাংক ঋণের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে সরকার। রাজস্ব আদায় কম হওয়া এবং ব্যাংক থেকে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার বেশি ঋণ নেয়াকে অর্থনীতির জন্য অস্বস্তি হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

                          সত্য কি কখনো গোপন থাকে? সত্যকে পাথর চাপা দিয়ে মিথ্যার প্রচার যতই করুক না কেন সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই বলে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, শেখ হাসিনা কথিত উন্নয়নের নামে জনগণের আইওয়াশ করছে। বাহিরে লোক দেখানো উন্নয়ন করে বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করে দেশকে বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা।’

                          সূত্র: অ্যানালাইসিস বিডি


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/32983/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            চাঁদাবাজি করায় কারাগারে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা



                            আদমদীঘি থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজি ও মারপিট মামলায় সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হাসান রবিনকে গ্রেপ্তার করেছে আওয়ামী দালাল বাহিনী পুলিশ। তিনি আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আনছার আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সান্তাহার পৌর শহরের ইয়ার্ড কলোনির নুরুর কাছে রবিন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রবিন নুরু ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে নুরুর ছেলে মেরাজ হোসেনকে সান্তাহার হার্ভে স্কুলের পাশের রাস্তায় রবিন ও তার দলবল মারপিট করে। এ ঘটনায় নুরু বাদী হয়ে মারুফ হাসান রবিনসহ ৭ জনকে আসামি করে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন।

                            সূত্রঃ আমাদের সময়


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/15/33034/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              সড়কে চাকা ঘুরলেই চাঁদা, জড়িত পুলিশ বাহিনীও


                              বেপরোয়া পরিবহন চাঁদাবাজরা। টার্মিনালভিত্তিক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে অর্থ আদায়। এরা সবাই এক সুতোয় বাঁধা। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে মালিক সমিতি, শ্রমিক সমিতি, অসাধু সন্ত্রাসী পুলিশ কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের নেতা।

                              মাসে নগরীর ৪ টার্মিনাল, বিভিন্ন পয়েন্ট ও সড়ক থেকে আদায় হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা। প্রতিদিন আদায় হচ্ছে দুই কোটি টাকা।

                              গণপরিবহন, অবৈধ লেগুনা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হচ্ছে এ অর্থ। এর ভাগ যাচ্ছে অনেক দূর।

                              পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কে গাড়ির চাকা ঘুরলেই গুনতে হয় চাঁদা। মহাখালী, ফুলবাড়িয়া, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক এই সিন্ডিকেট। এ চক্রের হাতে জিম্মি ২০ লক্ষাধিক পরিবহন শ্রমিক।

                              বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মহাসচিব আলী রেজা যুগান্তরকে বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা কোম্পানি খুলে জিপির (গেট পাস) নামে হরিলুট চালাচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে কোম্পানি সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

                              এ ছাড়া বন্ধ হবে না। ব্যাঙের ছাতার মতো শ্রমিক সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন না দিয়ে সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণেরও আহ্বান জানান তিনি।

                              অন্যদিকে আওয়ামী দালাল পেটুয়া বাহিনী পুলিশের নামেও পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকেও তোলা হচ্ছে চাঁদা।

                              জানা গেছে, গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ৩৪টি কোম্পানির ১ হাজার ৬৮৮টি বাস বিভিন্ন রোডে চলাচল করে। সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে চলাচল করে সাড়ে তিন হাজার গাড়ি। একইভাবে মহাখালী থেকে আড়াই হাজার, গুলিস্তান থেকে ১২০০, মিরপুর থেকে ৭০০, আজিমপুর থেকে ৫০০, মতিঝিল কমলাপুরে ৪০০, গাবতলী টার্মিনালে ৩ হাজার ২০০, ভাসমান আরও ১ হাজার ৩০০ গাড়ি চলাচল করে। সব মিলিয়ে ১৫ হাজার গাড়ি (গণপরিবহন) চলাচল করে নগরীর বিভিন্ন রোডে।

                              প্রতিটি গাড়ি থেকে জিপি (গেট পাস) দিনে আদায় করা হয় গড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা করে। এ খাতে প্রতিদিন মোট আদায় হয় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি। শুধু জিপি থেকেই মাসে আদায় ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

                              এ ছাড়া মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি, হরতাল ভাংচুর ভর্তুকি, ইফতার, অফিস ক্রয়, কমিউনিটি পুলিশ, বোবা ফান্ড (কমন ফান্ড) সুপারভাইজার, কাঙালি, লাঠি বাহিনীর নামে প্রতিদিন চাঁদা আদায় হচ্ছে। মাসে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি টাকার বেশি। সব মিলিয়ে গণপরিবহন থেকেই মাসে আদায় ৬০ কোটি টাকা। এ ছাড়া লেগুনা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে জোর করে টাকা আদায় হচ্ছে।

                              গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ৩৪টি কোম্পানির ১ হাজার ৬৮৮টি বাস বিভিন্ন রোডে চলাচল করে। বাসগুলো থেকে গড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা হিসাবে জিপি (গেট পাস) আদায় করা হয় দিনে ১৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বেশি। এ ছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ৩০ টাকা হারে আদায় হয় দিনে ৫১ হাজার টাকা, মাসে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের নামে আদায় হয় দিনে ৮৫ হাজার টাকা। মাসে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

                              মালিক সমিতির নামে মাসে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকা, ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ৪০ লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা, হরতাল ভাংচুর ভর্তুকির নামে ১০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, অফিস ক্রয়ের নামে ১০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, কমিউনিটি পুলিশের নামে ১০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, কমন ফান্ড বা বোবা ফান্ডের নামে ১ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা, সুপারভাইজারদের খাতে আদায় হয় ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা। সব মিলিয়ে ফুলবাড়িয়া টার্মিনাল থেকেই আদায় হয় ১১ কোটি ৩২ লাখ ২৪ হাজার ২০০ টাকা।

                              একইভাবে টাকা আদায় হয় গাবতলী টার্মিনাল, মহাখালী টার্মিনাল ও সায়েদাবাদ টার্মিনালে। সায়েদাবাদ টার্মিনালে গাড়িচালক বাবুল মিয়া জানিয়েছেন, টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের করার আগেই গুনতে হয় জিপির টাকা। তিনি জানান, ৮০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত জিপি আদায় করা হয় বিভিন্ন পরিবহনে।

                              এনায়েত উল্লাহ বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি বলতে কোম্পানির নামে যে জিপি আদায় করা হয় তা মারাত্মক। প্রতিটা বাস থেকে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আদায় করা হয়।

                              এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, গুলিস্তান থেকে আবদুল্লাহপুর রোডের এক গাড়ির চালক গুলিস্তানে যাত্রার শুরুতেই ১ হাজার ২৮০ টাকা জিপি দিচ্ছেন।

                              এই চালক যুগান্তরকে বলেন, ট্রিপ নিয়ে যাওয়া এবং আসার পথেও এভাবেই চাঁদা দিতে হয়। গুলিস্তানের পর প্রেস ক্লাবের সামনে ১০ টাকা, শাহবাগে ১০ টাকা, ফার্মগেটে ৪০ টাকা, মহাখালীতে ১০ টাকা, বনানীতে ১০ টাকা, শ্যাওড়ায় ১০ টাকা, খিলক্ষেতে ১০ টাকা, আবদুল্লাহপুরে ৪০ টাকা চাঁদা দিতে দেখা যায়।


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/?p=28407&preview=true
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X