Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে ধারাবাহিক আর্টিকেল পার্ট---১ সেকুলারিজম

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে ধারাবাহিক আর্টিকেল পার্ট---১ সেকুলারিজম

    ইনশাআল্লাহ আমরা ধারাবিহকভাবে বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র যেমন- সেকুলারিজম, ন্যাশলানিজম বা জাতীয়তাবাদ,ফ্যাসিবাদ এগুলোর আবিষ্কার, পরিচয় এগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
    তো আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে ইনশাআল্লাহ
    ভুমিকা----------
    ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ (ইংরেজি:Secularism) বলতে বোঝায় পার্থিব,ইহজগতিক, ধর্মহীনতা। রাষ্ট্র আর ধর্মকে পৃথকরূপে প্রকাশ করা । কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করাকে বোঝানো হয়। এক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে।ধর্মনিরপেক্ষ বলতে মূলত বোঝানো হয়ে থাকে যে রাষ্ট্র কোনো ধর্মকেই পক্ষপাত করে না। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মকে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে না। ধর্মনরপেক্ষতাবাদ সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণের উপর নির্ভর করবে, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, “ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”।ধর্মনিরপেক্ষ বলতে মূলত বোঝানো হয়ে থাকে যে রাষ্ট্র কোনো ধর্মকেই পক্ষপাত করে না।ধর্মের দিক দিয়ে গণতন্ত্র’, ‘সমাজতন্ত্র’ ধর্মনিরপেক্ষতার সমর্থক। তবে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষতার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, 'ধর্মীয় সমন্বয়বাদ' আর সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষতার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে 'ধর্মহীনতা' I

    রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হলো ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন, যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইনজারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে সেকুলারিজম অর্থে উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবহার করা হয় না।*উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রচলিত ধারণা হল, নাগরিকদের ধর্ম থাকবে তবে রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকবে না।


    সেকুলারিজমের আবিস্কার ----★★★

    “ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেকুলারিজম” শব্দটি ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব ইলিয়ক (১৮১৭-১৯০৪) প্রথম ব্যবহার করেন। জর্জ জ্যাকব ধর্মের কোনো রকম সমালোচনা ছাড়া, সমাজে শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য তার এই ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি এই মতবাদকে আরো বিস্তৃত করেন এবং বলেন যে “ধর্মনিরপেক্ষতা খ্রীষ্টধর্মের বিরুদ্ধের কেনো মতবাদ নয়। এটি একটি স্বাধীন সত্ত্বা। ধর্মের অস্তিত্ব নিয়ে এটি কোনো প্রশ্ন তোলে না, কিন্তু অন্যদের ধর্মনিরপেক্ষ হতে উৎসাহিত করে।”

    বেরি কসমিন যিনি ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আরো গবেষণা করেন তিনি এটিকে দুইটি অংশে বিভক্ত করেন। ১। কঠোর ধর্মনিরপেক্ষতা ২। নমনীয় ধর্মনিরপেক্ষতা।

    সেকুলারিজম এর ব্যাখ্যা--------★★

    “ নিরপেক্ষ" শব্দের অর্থ কোনও পক্ষে নয় ৷ “ধর্ম-নিরপেক্ষ" শব্দের অর্থ, কোন ধর্মের পক্ষে নয় ৷ অর্থাৎ সমস্তর ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন ৷ “Secularism" শব্দের আভিধানিক অর্থ - একটি মতবাদ, যা মনে করে রাষ্ট্রনীতি, শিক্ষাপ্রভৃতি ধর্মীয় শাসন থেকে মুক্ত থাকা উচিত ৷[১]

    আর ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- Rejects all forms of religious faith অর্থাৎ এটি হলো এমন দর্শন যা সকল প্রকার ধর্মবিশ্বাসকে নাকচ করে দেয়। Encyclopedia of Britanica তে বলা হয়েছে যে, যারা কোন ধর্মের অন্তর্গত নয়, কোন ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত নয়, কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয় এবং আধ্যাত্মিকতা, জবাবদিহিতা ও পবিত্রতা বিরোধী তাদেরকেই বলা হয় ধর্মনিরপেক্ষ। chambers dictionary -এর মতে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হচ্ছে- The belief that the state morals, education should be independent of religion. অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হলো এমন এক বিশ্বাস যার মতে, রাষ্ট্র, নৈতিক, শিক্ষা ইত্যাদি সবকিছু ধর্মমুক্ত থাকবে। Oxford dictonary -এর মতে, আল্লাহতে বিশ্বাস বা পরকালে বিশ্বাসনির্ভর ত্যাগ করে মানব জাতির বর্তমান কল্যাণ চিন্তার ওপর ভিত্তি করে নৈতিকতা গড়ে উঠবে। ড. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা কেবল অল্প খারাপই নয়, এটি সত্য বিধ্বংসী ইবলিসী কালকূট'। অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এমন একটি মতবাদ, চিন্তাধারা, বিশ্বাস যা পারলৌকিক ধ্যান-ধারণা ও ধর্মের সাথে সম্পর্কহীনভাবে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্র পরিচালনা করে। যা পরিপূর্ণ জীবন বিধান ইসলামের সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক।*[২]

    সংক্ষিপ্ত বিবরণ-----★★

    “ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেকুলারিজম” শব্দটি ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব ইলিয়ক (১৮১৭-১৯০৪) প্রথম ব্যবহার করেন। জর্জ জ্যাকব ধর্মের কোনো রকম সমালোচনা ছাড়া, সমাজে শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য তার এই ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি এই মতবাদকে আরো বিস্তৃত করেন এবং বলেন যে “ধর্মনিরপেক্ষতা খ্রীষ্টধর্মের বিরুদ্ধের কেনো মতবাদ নয়। এটি একটি স্বাধীন সত্ত্বা। ধর্মের অস্তিত্ব নিয়ে এটি কোনো প্রশ্ন তোলে না, কিন্তু অন্যদের ধর্মনিরপেক্ষ হতে উৎসাহিত করে।”

    বেরি কসমিন যিনি ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আরো গবেষণা করেন তিনি এটিকে দুইটি অংশে বিভক্ত করেন। ১। কঠোর ধর্মনিরপেক্ষতা ২। নমনীয় ধর্মনিরপেক্ষতা
    জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
    পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

  • #2
    Originally posted by musab bin sayf View Post
    ‘ধর্মনিরপেক্ষতা কেবল অল্প খারাপই নয়, এটি সত্য বিধ্বংসী ইবলিসী কালকূট'।
    কথাটা খুবই চমৎকার ৷
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      প্রিয় ভাই, সুন্দর আলোচনা। শিরোনামটা এমন হলে বোধহয় আরেকটু সুন্দর হতো।

      বিভিন্ন তন্ত্র - মন্ত্র নিয়ে ধারাবাহিক আর্টিকেল || পার্ট - ১ || সেক্যুলারিজম ||

      জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
      হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

      Comment


      • #4
        ধারাবাহিকতা রক্ষা করলে ভালো হবে ৷
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহ খাইরান আহমাদ সালাবাহ ভাইকে উওম নাসীহা এর জন্যে
          আর সকল কমেন্ট কারী ভাইকে উষ্ণ ভালোবাসা
          জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
          পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

          Comment

          Working...
          X