Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    পাকিস্তানে মুরতাদ পুলিশ যানে বোমা হামলায় নিহত অন্তত ১০



    পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় একটি পুলিশ যানে বোমা হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার ওই বিস্ফোরণে আহত হয়েছে আরও ৩৫ জন। নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ আছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    হাসপাতালের এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘আমরা ১০টি লাশ পেয়েছি এবং আহত ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে অনেক গাড়ি ছিল। সেগুলোর বেশ কয়েকটি পুড়ে গেছে। তবে বিস্ফোরণের কারণ কী এবং কারা এটি ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

    *এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী ও প্রধান শহর লাহোরের একটি বেকারি দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে তাতে একজনের প্রাণহানি ছাড়াও ছয়জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/18/33186/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাবরি মসজিদ এলাকার কবরস্থানের উপর রাম মন্দির নির্মাণে মুসলিমদের আপত্তি!



    ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় যেখানে রাম মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে তার একাংশে কবরস্থান থাকায় সেখানে মন্দির নির্মাণ না করার আবেদন জানিয়েছেন মুসলমানরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি সংসদে মন্দির নির্মাণের জন্য রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ঘোষণা করেছে। সেই ট্রাস্টের উদ্দেশ্যে মুসলিমরা চিঠি দিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। (খবর পার্সটুটের)

    অযোধ্যার স্থানীয় ৯টি সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারের দাবি, ১৮৫৫ সালে বাবরি মসজিদ এলাকায় ছিল মুসলিমদের কবরস্থান। সেজন্য কবরস্থানের ওপরে কী রাম মন্দির গড়ে তোলা উচিত? এই প্রশ্নই করা হয়েছে ওই চিঠিতে। এছাড়া ওই এলাকায় ৪/৫ একর জমি ছিল মুসলিম কবরস্থান। আর সেখানে যাতে রাম মন্দির না তৈরি হয়, সেজন্য আবেদন করা হয়েছে চিঠিতে।

    অযোধ্যার বাসিন্দা হাজী মুহাম্মদসহ নয়জন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য গঠিত কমিটিতে চিঠি দিয়ে বলেছেন, ৬৭ একর জমি কেন্দ্রীয় সরকার অযোধ্যা আইনের অধীনে নিয়েছিল এবং এবার তা ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪/৫ একর জমিতে কবরস্থানও রয়েছে। ট্রাস্ট সদস্যদের কাছে তাঁদের অনুরোধ, এটা আপনারা বিবেচনা করুন যে কবরস্থানে কী মন্দির নির্মাণ করা যায়? সেখানে বর্তমানে কবরস্থান দৃশ্যমান না হলেও এটি একটি কবরস্থান। ১৯৪৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত জায়গাটি অন্যভাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

    স্থানীয়দের পক্ষে আইনজীবী এম আর শামশাদের দাবি, ১৮৫৫ সালের দাঙ্গায় ওই এলাকায় ৭৫ জন মুসলিমকে হত্যা হয়। আর ওই ৪/৫ একর জমিতে সেই মুসলিমদের দাফন সম্পন্ন হয়েছিল। বাবরি মসজিদের চারপাশে যে কবরস্থান রয়েছে, তার সপক্ষে একাধিক যুক্তি দিয়েছেন আইনজীবী এম আর শামশাদ।

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ‘করসেবক’ নামধারী হিন্দুত্ববাদী একদল সন্ত্রাসী জনতা। তাদের দাবি, এটি আসলে ভগবান রামের জন্মস্থান। এ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে মামলা চলার পরে কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট ওই স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয়। এজন্য সরকারকে ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/18/33219/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘কিআনন্দে’ ছাত্রের মৃত্যু: জামিন পেল প্রথম আলো সম্পাদক মতি



      কিশোর আলোর অনুষ্ঠান ‘কিআনন্দে’ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

      গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কায়সারুল ইসলাম জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের চার সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ গতকাল(সোমবার) শেষ হওয়ায়, সকালে মতিউর রহমান জামিন আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সোমাজি।

      গত বছরের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে দৈনিক প্রথম আলো’র সাময়িকী কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার। এরপর ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় মজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানস্থলে বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রের বিষয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আয়োজকদের গাফিলতি ছিল, যার ফলে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল অনুষ্ঠানস্থলের কাছাকাছি থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে আবরারের মৃত্যুর তথ্য গোপন করা এবং মর্মান্তিক ঘটনার পরেও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন তিনি।

      সূত্র : ইউএনবি


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/18/33189/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সাত মাসেই ব্যাংক থেকে পুরো বছরের টাকা নিয়েছে সরকার



        চলতি অর্থবছরের এখনও ৫ মাস বাকি। অথচ এরইমধ্যে ব্যাংক খাত থেকে সরকার পুরো বছরের টাকা নিয়ে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, মাত্র ৭ মাসে পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি নিয়ে ফেলেছে সরকার।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

        বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত অর্থবছরের (২০১৮-২০১৯) জুলাই থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত (৭ মাসে) সরকার ব্যাংক খাত থেকে নিয়েছিল মাত্র ৫৫০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) একই সময়ে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৩ হাজার ২১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ৫২ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। এই টাকার পরিমাণ গত অর্থবছরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে যে ঋণ নিয়েছিল, তারচেয়েও ২৯ হাজার কোটি টাকা বেশি।

        ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার অভ্যন্তরীণ খাত থেকে মোট ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে ঠিক করে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা। কিন্তু মাত্র সাত মাসেই পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৫ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ ঋণ নিয়েছে সরকার।

        সরকারের এভাবে ঋণ নেওয়ার প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বেড়ে গেলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ব্যক্তি বিনিয়োগ বা বেসরকারি খাতে। এতে একদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংকের টাকা উৎপাদনশীল খাতে গেলে অর্থনীতি চাঙা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি অব্যাহতভাবে কমছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হচ্ছে। তার মতে, সরকারের ঋণ বেড়ে গেলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের তহবিল পেতে সমস্যা হয়। ফলে বিনিয়োগ বাড়ে না। বিনিয়োগ না বাড়লে উৎপাদনও বাড়ে না। আর উৎপাদন না হলে বাধাগ্রস্ত হয় সামগ্রিক অর্থনীতি।

        কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ব্যাংক ঋণের স্থিতি ছিল ৮৮ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ব্যাংক ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত এক বছরে (১২ মাসে) নতুন করে সরকার ব্যাংক থেকে ৭২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।

        বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সরকারের নেওয়া ৫৩ হাজার ২১১ কোটি টাকার মধ্যে ৪৪ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকাই নিয়েছে বেরসকারি ব্যাংক থেকে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়েছে ৮ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা।

        কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ বছরের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের সবচেয়ে বেশি ধার করার রেকর্ডটি ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরের। তবে ওই অর্থবছরে ধার নেওয়ার পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। অথচ এই অর্থবছরের সাত মাসেই পুরো অর্থবছরের টাকা নেওয়া শেষ করেছে সরকার।

        কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযাযী, ব্যাংক থেকে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের চেয়ে সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি বেশি হচ্ছে। বেসরকারি খাতে ২৭ শতাংশ ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে এখন ৯ শতাংশের ঘরে নেমেছে। আর সরকারি খাতে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৯ দশমিক ৮১ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

        এদিকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় আশানুরূপ ঋণ পাচ্ছে না বেসরকারি খাত। গত কয়েক মাস ধরে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এই হার গত দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

        বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ। যা আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগস্টে ছিল ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

        এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ’ এর সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারের ঋণ নেওয়া বাড়লে বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। চলমান প্রবণতায় কিছুটা চাপ সৃষ্টি হলেও ব্যাংকগুলোর তহবিল বাড়ানো সম্ভব হলে সমস্যা থাকবে না বলেও মনে করেন তিনি।

        সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/18/33196/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আদায় না করেই কম দেখানো হলো খেলাপি ঋণ



          দেশের ব্যাংকগুলো ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে পারছে না। কিন্তু কাগজে-কলমে এবার খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম দেখানো হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, তিন মাসের ব্যবধানে ২২ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ কমিয়ে ফেলেছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ১৬ হাজর ২৮৮ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।

          কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকৃত খেলাপি ঋণ এর চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি।

          প্রসঙ্গত, সম্প্রতি খেলাপি ঋণ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপিদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। গণছাড়ের আওতায় বড় বড় ঋণ খেলাপিরা পুনঃতফসিল করেছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে খেলাপি আইন শিথিল, অবলোপন নীতিমালায় ছাড়, স্বল্প সুদের ঋণের ব্যবস্থাসহ দেওয়া হয়েছে আরও বিশেষ সুবিধা। এর মধ্যে অর্ধলাখ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে।

          বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

          এ প্রসঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড . জায়েদ বখত বলেন, ‘পুনঃতফসিলের একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে। এছাড়া ব্যাংকগুলোও এই ঋণ আদায় করার চেষ্টা করেছে।’

          অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গণছাড়ের পরও এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪২০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।

          বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মনে করেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য সবাই চেষ্টা করছে। এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে এবার ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করায় খেলাপি ঋণ কমে এসেছে। খেলাপি ঋণ কমাতে বিশেষ ছাড়ে পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সুবিধা কার্যকর বড় ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

          বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের শীর্ষে রয়েছে জনতা ব্যাংক। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুনের শেষে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ২০ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছয় মাসে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমেছে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের শীর্ষ ঋণ খেলাপির তালিকায় রয়েছে ‘অ্যানন ট্রেক্স’ গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানটি জালিয়াতি করে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা এই ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।

          গত ডিসেম্বরে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ১০ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। গত বছরের জুন মাসের শেষে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ১২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।

          গত ডিসেম্বর মাসের শেষে বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুন মাসের শেষে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে ব্যাংকটির অধঃপতন শুরু হয়।

          গত ডিসেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের জুনের শেষে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।

          জানা গেছে, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে গত বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক মানের খেলাপি নীতিমালায় শিথিলতা আনা হয়। আগে তিন মাস অনাদায়ী থাকলেই তা খেলাপি হতো। এটি সংশোধন করে ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ ১২ মাস অনাদায়ী থাকলে তবেই খেলাপি করা হয়।

          অন্যদিকে খেলাপিদের গণছাড় দিতে বিশেষ পুনঃতফসিল নীতিমালা জারি করা হয়। গত বছরের মে মাসে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়, ঋণখেলাপিরা মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ১০ বছরের মেয়াদে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, গণছাড়ের আওতায় ১৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নবায়ন করেছে ব্যাংকগুলো, যার অর্ধেকই করেছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েও গত বছর বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫২ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এর বাইরে বিপুল পরিমাণ ঋণ অবলোপন করেছে ব্যাংকগুলো।

          বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারি ৬ ব্যাংকের বিতরণ করা এক লাখ ৮৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ২৪ শতাংশ বা ৪৩ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে।

          গত ডিসেম্বরের শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা, যা তাদের বিতরণ করা ঋণের ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

          বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত তিন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৯ কোটি টাকা।

          সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/18/33197/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            জনগণের আমানতের জন্য প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ ১২ ব্যাংক



            খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) করতে ব্যার্থ ১২ টি ব্যাংক। ২ শতাংশে পুন:তফসিল সুবধায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানোর পরেও প্রভিশন ঘাটতিতে ব্যাংকগুলো। তথ্যমতে, মন্দ ঋণ বাড়ায় এক বছরের ব্যবধানে প্রভিশন ঘাটতি আবারও বেড়েছে।

            অর্থসূচক অনলাইন নিউজ পোর্টালের বরাতে জানা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে ঋণের ঝুঁকি বিবেচনায় প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল ৬১ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে প্রভিশন রেখেছে ৫৪ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।

            সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় ১ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি কমেছে ডিসেম্বরে। তবে বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে ৪০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর ১৯ প্রান্তিকে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ১২৯ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৬ হাজার এক ৬১৫ কোটি টাকা।

            বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সুরক্ষা দেওয়ার জন্য খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে। প্রভিশন রাখার অর্থ হচ্ছে, যে অর্থ খেলাপিদের পকেটে চলে গেল-তার সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংক আলাদা হিসেবে রেখেছে। যেসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেশি, তারা ওই নিয়ম মানতে ব্যর্থ হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাবে ১০ হাজার ৫০১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ১২টি ব্যাংক।

            এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি সবচেয়ে বেশি, ৩ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের ২ হাজার ১৫৬ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১ হাজার ৪৪৩ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ৮৭৮ কোটি, এবি ব্যাংকের ৬৭৩ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৫৩৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪৮৭ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের ৪২৫ কোটি, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্টের ২৭৫ কোটি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২৯৬ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৬২ কোটি ও ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১৬৪ কোটি টাকা।

            খাতা-কলমে লাভ দেখাতে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি পুনঃতফসিল করেছে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলো। এর পরও খেলাপি ঋণের শীর্ষে রয়েছে এ খাতের ব্যাংকগুলোই। খেলাপি ঋণের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপ জালিয়াতির অকুস্থল জনতা ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। আগের বছরে যা ছিল ১৭ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। তবে সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/18/33221/
            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-19-2020, 10:09 AM.
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারবো না: পরিকল্পনা মন্ত্রী



              সবাইকে কচুরিপানা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারবো না?

              সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণায় অবদান রাখায় দুজনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

              কচুরিপানা নিয়ে আরও কিছু করার যায় কি-না জানতে চেয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ । সেই সঙ্গে কাঁঠালের আকার ছোট এবং গোল করা যায় কিনা সেটি নিয়েও গবেষণা করতে হবে।

              পরিকল্পনামন্ত্রীর এমন বক্তব্যে আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ফেসবুকে লিখেন-

              ‘গরু, মানুষ, কচুরীপানা,

              গরু তো উদোম থাকে, আপনি কি তেমন থাকেন?
              থাকেন না!
              গরু মাঠেঘাটে পেশাব পায়খানা করে, আপনি করেন?
              করেন না!
              গরু ঘাস খায়, আপনি কি তা খান?
              না!
              গরু গোবরত্যাগ করে, আপনি করেন?
              না!
              সবগুলোর উত্তর হবে না।
              কারণ আপনি গরু না।
              গরু কচুরীপানা খেলে তাই আপনাকে তা খেতে হবে না।

              তারপরও যদি কারো মনে হয় মানুষেরও কচুরীপানা খাওয়া উচিত, তাহলে তার টিভিতে লাইভে আসা উচিত। গপগপ করে নিজে কিছু কচুরীপানা খেয়ে দেখানো উচিত।’


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/18/33215/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment


                • #9
                  মহান আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের কাজে আরো বারাকাহ দান করুন। আমীন
                  “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X