Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    কাশ্মিরিদের সামনে এখন ভয়ঙ্কর সময়, বললেন কাশ্মির টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন



    অনুরাধা ভাসিন জামওয়াল। প্রখ্যাত সাংবাদিক ও শান্তিকর্মী। তিনি জম্মু ও কাশ্মিরের সবচেয়ে পুরনো ইংরেজি দৈনিক কাশ্মির টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক এবং সাহসী ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত। গত বছরের ৫ আগস্ট ভারত সরকার যখন কাশ্মিরের গণযোগাযোগের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে, তখন তার ভাষায় ‘কার্যত অবরোধের’ বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন যারা, তাদের মধ্যে সবার আগে ছিলেন তিনিই।

    সাউথ এশিয়ান মনিটরকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে কাশ্মিরি জনসাধারণ কেমন দুর্যোগময় সময় অতিবাহিত করছেন এবং তাদেরকে কেন আগামী দিনগুলোতে আরো কঠিন পরিস্থিতির পড়তে হবে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

    প্রশ্ন: গত মাসে অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট কাশ্মিরে যোগাযোগ অবরোধ নিয়ে আপনার পিটিশনের ওপর রায় দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মামলাটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে সুপ্রিম কোর্টের ৫ মাস সময় লেগেছে। আমরা পিটিশন দায়ের করেছিলাম ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট, আর রায় হলো ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি।

    রায় প্রদানের এক মাস হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো বাস্তবে কিছুই হয়নি। এখনো ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে খুবই বিধিনিষেধের আওতায়। এমনকি যখন পিটিশন দায়ের করতে যাই, তখনো ল্যান্ডলাইন কাজ করছিল না। আমি এমনকি শ্রীনগর থেকে আমার ব্যুরো চিফের কাছ থেকেও খবর পাই না। এসব কিছু কার্যত মিডিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

    প্রশ্ন: সুপ্রিম কোর্ট যদি ইন্টারনেট সুবিধাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করেই থাকে, তবে কেন এখনো কাশ্মিরে তা বন্ধই আছে?

    দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইন্টারনেট ও গণযোগাযোগের সীমিত ও কৃত্রিম পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। এক দিন পাওয়া যায় ২জি, অন্য দিন থাকে বন্ধ। তৃতীয় দিন আবার কাজ করে। আমাদের আরেকটি আদালতের রায় প্রয়োজন। আদালত দীর্ঘ মেয়াদের কথা বলেছে। এই মেয়াদ কত দিন তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন।

    প্রশ্ন: অনেকে বলছে, সুপ্রিম কোর্টের ওপর যে আস্থা ছিল, তা নড়ে গেছে। আপনি বিষয়টিকে কিভাবে নিচ্ছেন?

    আমি রায়ের বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যখনই পড়ি, তখনই এতে ত্রুটি পাই। রায় দেয়ার এক মাস পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ওপর থাকা আস্থা নড়ে গেছে। কাশ্মির নিয়ে দায়ের করা পিটিশনের শুনানির জন্য ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়। আবার অযোধ্যা পিটিশন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ব্যাপারে ভিন্নভাবে রায় হয়েছে।

    প্রশ্ন: আপনি একটি খ্যাতিমান পত্রিকার সম্পাদক। ইন্টারনেট প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কিছু বলুন এবং কিভাবে তা আপনার কাজে সমস্যা করছে, তা জানাবেন?

    আমি আদালতে গিয়েছিলাম সচেতনভাবেই। কাশ্মিরের ইতিহাস জানতাম, রাষ্ট্রের নৃশংসতা সম্পর্কেও ধারণা ছিল। আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। দীর্ঘ মেয়াদি বিধিনিষেধ দুই ভাগে মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের ওপর প্রভাব ফেলছে। একটি হলো তাৎক্ষণিক। আমাদের হাত থেকে হাতিয়ার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে আমরা বুঝতে পারছি না, কিভাবে কাজ করব। আমরা আধুনিক সময়ে বাস করছি, ১৯৯০-এর দশকের শুরুর সময়ে নয়। পুরো দেশে এসব সুবিধা থাকলেও কাশ্মিরে নেই। এর মানে হলো আমরা বঞ্চনার মধ্যে আছি। লোকজনকে কেবল শরীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতের অন্যান্য নাগরিকদের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা আছে। আর এখন যে সময়, তাতে করে ইন্টারনেট সুবিধা ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও অংশ নেয়া যায় না। আর দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হলে তা জনসাধরণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ভয় ঢুকে যায়। কারণ নির্ভরযোগ্য তথ্য আসছে না। নির্ভরযোগ্য তথ্য তখন না আসে, তখন রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও শক্তি বাড়ে। রাষ্ট্র মনে করে যে সে দায়বদ্ধ নয়। এটাই স্বাভাবিক। ভয় গভীরে ঢুকে যায়।

    তাদের অবস্থানের মানে হলো, সরকার আইনের ঊর্ধ্বে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা অগ্রহণযোগ্য ও সেটাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে। কাশ্মিরকে এর মাধ্যমে একটি বার্তা দেয়া হচ্ছে। সরকার তার নিজস্ব মুসলিমবিরোধী এজেন্ডা, ইসলামফোবিক এজেন্ডার কথা বলছে।

    প্রশ্ন: কাশ্মিরি জনগণের সামনে কী অপেক্ষা করছে বলে আপনি মনে করেন?

    ভয়াবহ সময়। অন্ধকার, চরম অন্ধকার সময়। আমি কোনো আশা দেখছি না। ৭০ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে, কিন্তু কাশ্মির এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। নেহরু ছিলেন উদার ও গণতন্ত্রী। কিন্তু তিনি কাশ্মিরের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। তিনি যেকোনো মূল্যে এটিকে মুঠোয় রাখতে চেয়েছিলেন। বিজেপি যখন ক্ষমতায় উঠতে শুরু করেছিল, তখন আমার আশা কমছিল। কারণ তারা আদর্শগতভাবেই মুসলিমবিরোধী। তারা মুসলিমদের ব্যাপারে উদ্ধত, তারা কাশ্মিরিদের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ। তারা কেবল কাশ্মিরকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নয়, এর জনসংখ্যার মর্যাদা পরিবর্তন করতে ও ধ্বংস করতে সবকিছুই করবে। মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ যখন শুরু হলো, তখনই আমি জানতাম, কিছু একটা হচ্ছে। তবে তা এত দ্রুত ঘটবে তা বুঝতে পারিনি। বর্তমানে ভারতের উদার সমাজও কিছু বলে না। তারা কাশ্মিরে চলমান নৃশংসতা নিয়ে কথা বলতে ভয় পায়। কারণ তারা জানে, ভারতের জনসাধারণের মধ্যে তা চলবে না। এ কারণেই আমি কাশ্মিরিদের জন্য কোনো আশা দেখি না।

    প্রশ্ন: ভারতের রাজনীতি সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করেন?

    ভারতের ভবিষ্যত ও এর রাজনীতি নিয়ে আমি সন্দিহান। উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারা ও হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ ব্যাপকভাবে প্রদর্শন করা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ ভয়ঙ্কর আশঙ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    বিজেপি ভারতকে যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমি কাশ্মিরিদের জন্য কোনো কল্যাণমূলক কিছু দেখি না। বিজেপির লক্ষ্য ও এজেন্ডা পরিষ্কার। তারা রাজ্যের জনসংখ্যায় পরিবর্তন আনতে চায়, একজন হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী চায়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/21/33325/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আন্তর্জাতিক তদারকি না থাকায়, পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে ২৯৭ শতাংশ



    ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা সেতু। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ ২৪তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। তাতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৩.৬ কিলোমিটার। এভাবে ৪২টি খুঁটির ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলে দৃশ্যমান হবে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর শতভাগ।

    কিন্তু সেতুটির শতভাগ শেষ হওয়ার পথে সময় যেমন বাড়ছে, সঙ্গে বেড়েছে নির্মাণ খরচও। ১১ বছরে তিন ধাপে ব্যয় বেড়েছে ২৯৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল তা এখন ঠেকেছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। গত ৩ নভেম্বর সর্বশেষ দেড় বছর সময় বাড়িয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল গত ৩০ ডিসেম্বর।

    প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

    আর তিন ধাপে এই ব্যয় বাড়াতে কখনও নদী শাসন, কখনও জমি অধিগ্রহণ বা কখনও পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে। তবে প্রকল্প ব্যয়ের বড় অংকটি যুক্ত হয় ২০১১ সালে। ওই বছরের ১১ জানুয়ারি সেতুর সঙ্গে রেলপথ সংযুক্ত করে প্রথম দফায় ব্যয় সংশোধন করে নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এর আগে ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে।

    পরে ২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করে এবং এতে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যোগ দেয় বিশ্বব্যাংক, এশীয় ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জেবিআইসি) এবং আবুধাবি ডেভলপমেন্ট গ্রুপ। এদের মধ্যে প্রধান অংশীধার ছিল বিশ্বব্যাংকের। কিন্তু ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে যায় এবং একে একে সরে পড়ে এশীয় ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ও ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংকও। ফলে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কিছু দিন ধরে চলতে থাকা ধীর গতি হঠাৎই স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর সরকার নিজস্ব অর্থেই এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

    জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সেতু বিভাগের আওতায় ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প’টিকে অনুমোদন দেয় এবং একই সঙ্গে বাস্তবায়ন ব্যয় আরও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এছাড়া বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    ওই সময়ে সেতু নির্মাণের খরচ ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা ঠিক রেখে আট হাজার কোটি টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকাই ধরা হয় নদী শাসনের কাজে। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ৮ কিলোমিটার নদীশাসনের কথা ছিল এবং ওই খাতে ২০১১ সালে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল চার হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। পরে এতে যুক্ত করা হয় আরও ১.৩ কিলোমিটার (সব মিলিয়ে ৯.৩ কিলোমিটার) এবং বাড়তি ওই ১.৩ কিলোমিটার নদীশাসনের জন্য ব্যয় বাড়ানো হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে নদীশাসন কাজে বরাদ্দ ছিল মাত্র দুই হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

    এরপরে তৃতীয় দফায় ২০১৮ ব্যয় বাড়ানো হয় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে। ওই বছরের ২১ জুন এ খাতে ১৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব অনুমোদন দেয় একনেক। তাতে পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকায়।

    ২০০৭ সালে ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০৬ কোটি টাকা এবং ২০১১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।

    নদীশাসন আর ভূমি অধিগ্রহণের এই খাত দুটিকেই ‘দুর্নীতি যুক্ত’ খাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ব্যয় সংশোধনীতে ২০১১ সালে বড় একটি অংক যুক্ত হয়েছে। তার যৌক্তিকতাও আছে। কারণ ২০০৭ সালের ডিজাইনের থেকে পরেরটা একেবারেই ভিন্ন। কিন্তু এর পরে যে দুটি খাতে খরচ বাড়ানো হয়েছে সেখানে সন্দেহের বেশ অবকাশ রয়েছে।

    যমুনা সেতুর প্রসঙ্গ টেনে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ওখানে বিশ্বব্যাংকের একটি তদারকি ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতুতে আন্তর্জাতিক কোন তদারকি নেই। তাছাড়া যমুনায় কয়েকটি কারণে সময় বেশি লেগেছিল কিন্তু ব্যয় বাড়ার তেমন কোন খবর আমরা পাইনি। ফলে ওর নির্মাণ খরচ কিন্তু আমরা ৮/৯ বছরের মধ্যেই তুলে ফেলেছিলাম।

    পদ্মা সেতুতে এখন যে ব্যয় ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যেও শেষ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান মনসুর বলেন, এই পর্যায়ে থামা উচিত।

    ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মূল সেতুর প্রথম স্প্যান স্থাপন করা হয়। এখনও নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সময় যতটা দীর্ঘ হচ্ছে ততোটাই যেন দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের স্বপ্ন পুরণের অপেক্ষা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/21/33322/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ত্রাণের অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি গায়েব!



      দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ঢেউটিন ও কম্বল বিতরণের নামে অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি লোপাট করে নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যেসব এলাকায় এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই। অভিযোগটি কমিটিতে উত্থাপিত হওয়ার পর বিশাল অঙ্কের এই টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় করা হয়েছে এর কোনো ডকুমেন্টই পেশ করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

      অর্থ ব্যয়ের কোনো রেকর্ডই নেই তাদের কাছে। এদিকে মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা যখন বিষয়টি নিয়ে অডিট করে তখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢেউটিন ও কম্বল ক্রয় করে বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে এ সময় তারা প্রায় ৪৬ কোটি টাকা খরচের কোনো রেকর্ডপত্র হাজির করতে পারেননি।

      আর যেসব রেকর্ড উত্থাপন করা হয়েছে তাতে এসব ত্রাণ পণ্য ক্রয়ে কার্যাদেশ দেয়ার নিয়মকানুন মানা হয়নি। সর্বনিম্ন দরদাতাদের কাজ না দিয়ে নিজস্ব ঠিকাদারদের মাধ্যমে ক্রয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে কার্যাদেশের চেয়ে কোটি কোটি টাকা বেশি দেখানো হয়েছে।

      উত্থাপিত পাঁচটি অডিট আপত্তির সাথে জড়িত মোট টাকার পরিমাণ ৬১ কোটি ৮৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৮০ টাকা।

      মানবকন্ঠের সূত্রে জানা যায় কার্যাদেশ ও চুক্তি বহির্ভূতভাবে ঠিকাদারকে প্রাপ্যতার অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করায় সরকারের ৪১ লাখ ১৬ হাজার ১৪৭ টাকা ক্ষতি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে প্রমাণক জমাদান সাপেক্ষে আপত্তিটি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে ঢেউটিন ক্রয় না করায় ৫ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে তৃপক্ষীয় মিটিং করে আপত্তিটি অনধিক এক মাসের মধ্যে অডিট অফিসের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে বিষয়টি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।

      বৈঠকে মোট ৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ৪২৩ টাকার নিরীক্ষাযোগ্য রেকর্ডপত্র নিরীক্ষায় উত্থাপন করা হয়নি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে বাস্তব যাচাই সাপেক্ষে আপত্তিটি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে কম্বল ক্রয় না করার ফলে ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি বাস্তব যাচাই সাপেক্ষে আপত্তিটি নিষ্পত্তির সুপারিশ করে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/21/33328/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কলেজ ছাত্রের কব্জি কেটে নিলো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ



        নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার হওয়ায় বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে এক কলেজ ছাত্রের হাতের কব্জি দ্বিখন্ডিত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ হামলায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
        বুধবার এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এর আগে মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।

        বিডি জার্নালের সূত্রে জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামে আট বছর আগে খুন হন রব মিয়া। এ ঘটনয়া মামলা করেন নিহতের ছেলে মাঈন উদ্দিন।

        শনিবার ওই মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ইউনিয়ন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হােসেনের নেতৃত্বে ইয়ানুছ আলী, রাসেল, জুয়েল জাকির, আলী হোসেন, হালিম ও আলামিনসহ ১৫-১৬ জনের ছাত্রলীগের এক দল গুন্ডা বাহিনী বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়।

        মামলার বাদী মাঈন উদ্দিনের ঘরে ঢুকে মাঈন উদ্দিন, তার স্ত্রী, ছোট ভাই মোহাম্মদ রনি ও মা জাহানারা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের ক্যাডাররা।

        এলোপাতাড়ি কোপানোর সময় বাদীর ছোট ভাই কলেজ ছাত্র রনির মাথায় গুরুতর আঘাত ও বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে নিহত রব মিয়ার পরিবার।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/21/33332/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভাতিজির বান্ধবীকে ধর্ষণ করলো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা



          বরিশাল নগরীর সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণে করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যু ক্লার্ক বনি আমিন। সে সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য।

          মঙ্গলবার ববি রেজিস্ট্রার (অতি) ড. মুহসিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

          বনি আমিন জেলা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। বনি আমিন নগরীর গণপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।

          বনির ভাতিজির সাথে ওই ছাত্রী একই কলেজে পড়াশোনা করতো। এই সুবাদে তাদের বাসায় যাওয়া-আসায় পরিচিত হওয়ায় বনি আমিনকে চাচা বলে সম্বোধন করতো কলেজছাত্রী।

          ববি’র অফিস আদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু বনি আমিন কর্তৃক সংঘটিত উক্ত নারী অপহরণ ও ধর্ষণের অপরাধ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেহেতু বনি আমিন এর এই গুরুতর অপরাধ সংঘটনের স্বপক্ষে বলিষ্ঠ প্রাথমিক তথ্যাদি রয়েছে।

          বিডি জার্নালের সূত্রে জানা যায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় দুই সন্তানের জনক বনি আমিন। ওইদিন রাতভর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একটি আবাসিক হোটেলে তাকে আটকে ধর্ষণ করে। পরে সোমবার রাতে ঝালকাঠি জেলা শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছাত্রীকে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যান বনি আমিন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/21/33331/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            খেলার মাঠে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের



            খেলার মাঠে না যাওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক কর্মী। আজ বুধবার বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে এ ঘটনা ঘটে।

            অভিযুক্ত ফাহিম ফয়সাল সরকার ও রাজনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী এবং শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী।

            মারধরের শিকার ইব্রাহিম খলিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী। ঘটনার বিচার দাবি করে তিনি প্রক্টর ও হলের প্রাধ্যাক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগে দিয়েছেন।

            মারধরের শিকার ইব্রাহিম জানান, আমি অসুস্থ। বিভাগে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা শেষ করে হলে ফেরার পরপরই সিনিয়ররা আমাকে গেস্টরুমে ডাকে। সেখানে গেলে সেখানে জোর করে খেলার জন্য টাকা চায় এবং খেলার মাঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। আমি অসুস্থ থাকায় মাঠে যেতে অসম্মতি জানালে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং মারধর করে।

            বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় হলের ওয়ার্ডেনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

            মো. জুয়েল রানা নামে এক বড় ভাই বলেন, ‘আমি শুনেছি। বিষয়টি দেখতেছি।’ মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত ফাহিম ফয়সালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

            কালের কন্ঠের বরাতে জানা যায় এ ঘটনার দুদিন আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শামীম সিকদারের বিরুদ্ধেও ফ্যানের সুইচ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সে ঘটনায়ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন মারধরের শিকার প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/21/33337/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment

              Working...
              X