Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০২রা রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০২রা রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    সিরিয়ার ইদলিবে ক্রুসেডার রাশিয়া জোটের বোমা হামলা



    সিরিয়ায় একের পর এক মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ করেই যাচ্ছে, দখলদার ক্রুসেডার “রাশিয়া-ইরান” ও কুখ্যাত নুসাইরী শিয়া মুরতাদ জোট।নিষিদ্ধ সব মারণাস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে মুসলিমদের পাইকারি হত্যা করেই যাচ্ছে ক্রুসেডার জোট।
    বার্তা সংস্থা “OGN” এর বরাতে জানা যায় সিরিয়ায় ক্রুসেডার রাশিয়ান ও শিয়া আসাদ-ইরান জোট গতকাল ২৫শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সারা দিনব্যাপী যুদ্ধ বিমান থেকে গৃহহীন বেসামরিক মুসলিমদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় শুধুমাত্র মা’রাত মিসরিন শহরেই কমপক্ষে ৪জন নিরিহ মুসলিম মারা গিয়েছে এবং ১০ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

    ভোরে ২টি স্কুলকে লক্ষ করে ক্লাস্টার বোমা হামলা করা হয়েছিল।সৌভাগ্যক্রমে বোমা হামলার আগেই স্কুলটি থেকে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে দুঃখের বিষয় হল স্কুলের কর্মকর্তা এবং বেসামরিক লোকেরা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।

    এদিকে সিরিয়ার আন-নাইরবে ক্রুসেডার জোটের হাতছাড়া হবার পর থেকেই সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ঘৃণিত হামলা চালাচ্ছে দখলদার সন্ত্রাসী রাশিয়া জোট।

    ইদলিবের পুরো শহর জুড়ে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করেও কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী জোট।হামলার পরে হোয়াইট হেলমেট সংস্থার সেচ্ছাসেবী সদস্যরা ধ্বংসস্তূপ মধ্য থেকে অনেক নারী ও শিশুদের লাশগুলি বের করে আনে।যাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের লাশগুলো বের করে আনতে হয় ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে।

    ইদলিবের খান শাইখুন,বিননিশ ও অন্যান্য এলাকাতেও আর্টিলারি শেলিংয়ের মাধ্যমে নিরিহ মুসলিম নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে কয়েকটি সিরিয়ান বার্তা সংস্থা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/27/33704/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলমানদের বিক্ষোভ করার সাহস হয় কীভাবে? তাদেরকে ঘরেও থাকতে দেব না, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিব!



    সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির এলাকাগুলো যেন রণক্ষেত্র। সদ্যপ্রণীত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধীদের বিক্ষোভে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মানুষজন ব্যাপক আকারে গণহত্যা চালাচ্ছে। তাতে নিহত হয়েছেন ২৭জন মানুষ। এই সহিংসতায় মসজিদ-মাজারে আগুন দিয়েছে উগ্রপন্থী গেরুয়া সন্ত্রাসীরা।

    উত্তপ্ত দিল্লির ওইসব এলাকায় অস্ত্রধারীদের গুলি ছুড়তেও দেখা গেছে। অনেক বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত হয়েছে দোকান-পাটসহ রাস্তাঘাট। আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছেন যানবাহন। জাতিগত সহিংসতার এই আগুনে আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। রাস্তায় তান্ডব চালাচ্ছেন অস্ত্রধারীরা, আগুন দিচ্ছে যত্রতত্র।

    ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার সরকার সমর্থিত হিন্দুত্বাদী সহিংসতাকারীদের সঙ্গে সহিংসতা আর তাদের কার্যপ্রণালী নিয়ে কথা বলে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। তবে সেসব কট্টরপন্থী সহিংসতাকারী ক্যামেরা বন্ধ রাখার শর্তে কথা বলেছেন দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদকে সঙ্গে। সেই প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো।

    প্রতিবেদক : যারা নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধিতা করছে আপনারা কেন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন?

    তাদের উত্তর : আমাদের অবস্থান হলো তাদের বিরুদ্ধে যারা সিএএ-এর বিরোধিতা করছে। আমাদের দেশে তাদের (পড়ুন মুসলিমদের) এমন করে বিক্ষোভ করার সাহস হয় কীভাবে? এটা কি তাদের দেশ? এটা আমাদের দেশ। তারা কি আমাদের চেয়ে বড় গুন্ডা? আমরা হলাম সবচেয়ে বড় গুন্ডা। আমরা তাদেরকে তাদের অবস্থান দেখাবো, তাদেরকে তাদের ঘরেও থাকতে দেব না। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, হাসপাতালও।

    প্রতিবেদক : গতকাল (মঙ্গলবার) এই এলাকার অন্যতম একটি মাজারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। কারা করেছে এটা?

    তাদের উত্তর : ‘যারা এটা করেছে আমরা তার নাম আপনাকে বলতে পারি। আমরা তাদের ভালো করেই চিনি। তবে আমরা আপনাকে বলবো না। আমরা এটা করেছি; আমরা সবাই এটা করেছি। ক্যামেরা বন্ধ করেন।

    প্রতিবেদক : তার মানে, সিএএ বিরোধিতা করে যারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে আপনারা সবাই তাদের বিরোধী?

    তাদের উত্তর : সিএএ এবং এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) অবশ্যই প্রণয়ন করতে হবে। যদি সরকার আমাদের নাগরিকত্ব জানতে চায়, তাহলে আমরা তাদের নথি দেখাবো। আমাদের এখানে শুধু এদেশের মানুষরাই (পড়ুন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই) থাকবে। আমরা তাদের কেন রাখবো এখানে?

    সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কথা বলার পর সিএএ-এর সমর্থক সেসব মানুষ—যারা দিল্লির সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ অবস্থান নিয়েছে, তারা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে সেখান থেকে চলে যায়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/27/33653/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারল হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া সন্ত্রাসীরা!



      ২৫ ফেব্রুয়ারী দিল্লিতে হিন্দু উগ্রবাদীদের জ্বালানো আগুনে পুড়লেন ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা। খবর, স্ক্রল

      খবরে বলা হয়, পোশাক ব্যবসায়ী সালমানি (৪৮) বৃদ্ধা মা ও পরিবারকে নিয়ে থাকেন গমরিতে। হিন্দুদের হিংসা তখন তাদের বাড়ির গলিতে। সন্তানের ফোন পেয়েও তিনি মূল বাড়িতে যেতে পারেননি। সন্তান ও স্ত্রী বেঁচে গেলেও বৃদ্ধা মা বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। তিনি জ্বলন্ত মারা যান।

      বাড়ি থেকে হিন্দু উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা সবকিছু লুট করে নিয়ে যায় জনাব সালমানির। তিনি এখন রিক্তহস্ত বলে জানান ইন্ডিয়ান স্ক্রলকে।

      গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল পাস হয়। পরদিন রাষ্ট্রপতি এই বিলে স্বাক্ষর করলে সেটি আইনে পরিণত হয়। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। তবে গত তিনদিন ধরে দিল্লিতে এই বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। সেখানে মুসলিমদের বেছে বেছে মারধর, বাড়িতে আগুন, দোকানপাটে লুটপাট করছে বিজেপির সমর্থক সন্ত্রাসীরা।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/27/33665/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দিল্লিতে চলমান গণহত্যার পিছনে মালাউন পুলিশের ভূমিকা!


        লাঠি-পাথর হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিন্দু সন্ত্রাসীরা, পাশেই নীরব দর্শক পুলিশ। ছবি: পিটিআই।

        মালাউন সন্ত্রাসীদের মুসলিম গণহত্যার শুরুটা হয়েছিল রবিবার বিকেলে। চার দিন পর বুধবার দিনের শেষেও স্বাভাবিক হয়নি রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি।

        মাথামোটা কিছু মানুষের প্রশ্ন জাগতে পারে, দিল্লিতে যখন গেরুয়া সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট লুটপাট করছিল, মসজিদ, মাদরাসায় আগুন দিচ্ছিল, প্রশাসন তখন কোথায় ছিল? আমরা সেই প্রশ্নেরই জবাব খোঁজার চেষ্টা করেছি। খতিয়ে দেখেছি ঘটনাপঞ্জি। আপনারাও দেখে নিন গত দু’মাসে দিল্লির ঘটনাবলী ঠিক কোন পথে গিয়েছে। আর সেখানে কী ভূমিকা ছিল মালাউন পুলিশের—

        • ২৭ জানুয়ারি, ২০২০: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরের। শাহিন বাগের আন্দোলনকারীদের দেশদ্রোহী হিসাবে দাগিয়ে ‘দেশ কে গদ্দারো কো, গোলি মারো সালো কো’ স্লোগান তোলেন তিনি।

        বিকাশপুরীর জনসভায় মুসলিমবিরোধী মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা। শাহিন বাগের আন্দোলনকারীরা এ বার ঘরে ঢুকে মা-বোনেদের ধর্ষণ করবে বলে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়।

        এছাড়াও বিজেপির অন্যান্য সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানা উসকানীমূলক বক্তব্য দিতে থাকে। কিন্তু পুলিশের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

        • ৩০ জানুয়ারি, ২০২০: দিল্লির জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সিএএ বিরোধী আন্দোলনরত পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক হিন্দু সন্ত্রাসী। তাতে গুলিবিদ্ধ হন জামিয়ার এক কাশ্মীরি পড়ুয়া। ঘটনার সময় আততায়ীর পিছনেই হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়েছিল মালাউন পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার বদলে গুলি চালাতে চালাতে পুলিশের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল সে।



        সিএএ বিরোধী আন্দোলনরত পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি করছে, পিছনে হাত গুটিয়ে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।

        • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০: শাহিন বাগের ধর্নায় ঢুকে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে গুলি ছোড়ে আরেক হিন্দু সন্ত্রাসী কপিল গুর্জর নামের এক যুবক। তাঁর বিরুদ্ধেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেয় নি মালাউন পুলিশ।

        • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০: ওই দিন বিকেলে মৌজপুর পৌঁছন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি বেদপ্রকাশ সূর্যকে পাশে রেখে তিনি হুমকি দেন, তিন দিনের মধ্যে জাফরাবাদ এবং চাঁদ বাগ থেকে বিক্ষোভ না উঠলে কারও কথা শুনবেন না, রাস্তা খালি করতে তাঁরাই রাস্তায় নামবেন।



        ডিসিপিকে পাশে নিয়ে হুমকি কপিল মিশ্রের। ছবি: পিটিআই।

        নতুন দিল্লি থেকে আইটিও হয়ে পূর্ব দিল্লিতে ঢুকতেই লক্ষ্মীনগর। এলাকার নতুন বিজেপি বিধায়ক অভয় বর্মার নেতৃত্বে সন্ধ্যায় মিছিল বেরিয়েছিল। স্লোগান উঠেছিল— ‘দেশকে হত্যারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’, ‘যো হিন্দু হিত কি বাত করেগা, ওহি দেশ মে রাজ করেগা’।

        এর পরেই পরিস্থিতি আরও তেতে ওঠে। মৌজপুরে ধীরে ধীরে ভিড় জমতে থাকে সিএএ সমর্থক সন্ত্রাসীরা। জাফরাবাদ থেকে মৌজপুর বেরনোর দেড় কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ করে দেয় তাঁরা। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে জাতীয়তাবাদী স্লোগান তুলতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে কবীর নগর, কর্দমপুরীতে মুসলিমদের ইটবৃষ্টি শুরু হয়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে মৌজপুর থেকে ইট ছোড়া শুরু হয় জাফরাবাদের দিকে। সব দেখেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি মালাউন পুলিশকে।



        পুলিশের সামনেই পাথর জড়ো করছে এক দল বিক্ষোভকারী। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

        • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০: এ দিন সকাল থেকেই তেতে ওঠে মৌজপুর। ইটবৃষ্টি অব্যাহত, সেই সঙ্গে গুলিও চলতে শুরু করে। শুধু মৌজপুরই নয়, ভজনপুরা, চাঁদ বাগ, করাবল নগর, মুস্তফাবাদ এবং গোকুলপুরীতেও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পর পর বেশ কয়েকটি দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। লুঠপাটও চলে দেদার। বেশ কিছু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় একটি পেট্রল পাম্পে। গোকুলপুরীতে একটি টায়ার কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে ধারে কাছে পুলিশকে দেখা যায়নি।




        পায়ে গুলি লেগে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় মহম্মদ ফুরকান নামের এক মুসলিমের। ওই দিন ভজনপুরায় সব মিলিয়ে ৫০ জন জখম হন। মুসলিমদের দোকানে দোকানে লুঠপাট চালানো হয়, পাথর ছোড়া হয় একাধিক বাড়িতে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় পুলিশের উপস্থিতিতে পাথর জড়ো করতেও দেখা যায় এক দল হিন্দু সন্ত্রাসীদের।

        • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০: সকাল থেকে বিক্ষোভের আগুনে তেতে ওঠে খাজুরি খাস, যমুনা বিহার এবং ব্রিজপুর এলাকা। দমকলের গাড়ি লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়া হয়, তাতে ৩ জন দমকলকর্মী জখম হন। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা গিয়ে ঠেকে ১৩-য়। আহত হন কমপক্ষে ১৫০ জন।



        পুলিশের সামনেই চলছে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/27/33674/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গুজরাটের মত দিল্লিতেও মুসলিম হত্যায় মেতে উঠেছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা: মাওলানা নিজামপুরী



          ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ ও বিপক্ষ দলের মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা হলেও এখন তা মুসলিম নিধনে রুপ নিয়েছে। ভারতের কসাই খ্যাত বর্তমান সময়ের ফেরাউন নরেন্দ্র মোদী আবারো মুসলিম হত্যার হোলিখেলায় মেতে উঠেছে।

          পত্রিকার ভাষ্যমতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনকে শহীদ করাসহ অসংখ্য মুসলমানদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। মসজিদগুলোতে আগুন দেওয়াসহ মুসলমানদের বাড়িঘর ও দোকান-পাটে লুটপাট চালানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

          আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত বার্তায় হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ভারতের নয়াদিল্লিতে বেছে বেছে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করা হয়েছে। মুসলমানদের ব্যবসা বানিজ্য, দোকান-পাটে লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্পষ্টতই এটা যে পরিকল্পিত ও পদ্ধতিগত গণহত্যা তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে এমন ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে।

          মাওলানা নিজামপুরী বলেন, আমাদের বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় দেড় কোটি লোক বসবাস করে। আমরা সবসময় তাদের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখলেও পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে সবসময়ই মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালানো হয়। মসজিদগুলোতে হামলা চালানো হয়।

          মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেন, ভারতবর্ষে মুসলমানদের দেড় হাজার বছরের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য । শিক্ষা-সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও উন্নয়নশীল জাতিগোষ্ঠী গঠনে মুসলমানদের রয়েছে গৌরবদীপ্ত অবদান! ভারতবর্ষের ভাগ্যকাশে যখন বৃটিশ বেনিয়ারা জুলুম-নির্যাতন, হত্যা, লুটতরাজসহ দখলদারিত্বের ত্রাস সৃষ্টি করে কালবৈশাখী ঝড় তৈরি করেছিল, সেই বৈরী পরিবেশে মুসলমানদের আত্মত্যাগ ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন -সংগ্রাম ভারতবর্ষের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
          কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলমানদের অবদান ঐতিহ্যকে অস্বীকার করার মাধ্যমে মুসলমানদেরকে কোণঠাসা করা হচ্ছে।

          তিনি বলেন, হিন্দুসমাজের মধ্যে বর্ণভেদের কারণে নিম্ন শ্রেণির হিন্দুদের শিক্ষার কোনও অধিকার ছিল না। তৎকালীন ব্রাহ্মণ শিক্ষকেরা নিম্ন হিন্দুদের শিক্ষা দিতে কখনো রাজি হতেন না। সংস্কৃত ছিল বেদের ভাষা। তাই ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্যেরা বেদ স্পর্শ করতে পারতেন না। এমতাবস্থায় মুসলমান সুলতানরা ইসলামের শাশ্বত উদার নীতি অনুসরণ করে নিম্ন হিন্দু সমাজের জন্যেও শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সুলতানী আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক নাগরিক, হিন্দু-মুসলমান, নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত ছিল। বেদের ভাষা সংস্কৃত ছিল বলে সাধারণ হিন্দু নাগরিকরা মোটেই পড়তে পারতেন না। তাই মুসলমানরা সংস্কৃত গ্রন্থ ফার্সিতে অনুবাদ করে স্কুল ও মক্তবে হিন্দু ছাত্রদের সংস্কৃত পড়ার বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন। ভারতের শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে মুসলিম শাসকদের অবদান অনস্বীকার্য। মুসলিম শাসকদের শিক্ষার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

          তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডকে কিছু কিছু হলুদ মিডিয়া দাঙ্গা বলে অপ্রচার চালানোর ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। অথচ, এটা দাঙ্গা নয়, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি, বাবরি মাসজিদকে যে ভাবে শহীদ করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই গতকাল বিভিন্ন মসজিদে হামলা চালানোসহ মসজিদের মিনারে গোরুয়া হিন্দুদের পতাকা টানানো হয়েছে। এমন ঘৃণিত ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সময় বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্বসমাজ নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকা দুঃখজনক।

          আগামী ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, মোদী সরকার সাম্প্রদায়িক, দাঙ্গাবাজ ও বিশ্ব সন্ত্রাসী। মোদীর হাতে হাজার হাজার মুসলমানের রক্ত লেগে আছে। এমন একজন ঘৃণিত সন্ত্রাসীকে কোন ভাবেই ৯০ ভাগ মুসলমানদের দেশে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো মেনে নেওয়া যায় না। আশা করি এব্যাপারে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। অন্যথায় এদেশের হক্কানি ওলামায়ে মাশায়েখের ডাকে পুরো দেশ উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে।

          আল্লাহর রাসূল সা. ভারতবর্ষে গাজওয়ায়ে হিন্দ অনুষ্ঠিত হওয়ার ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন। আমাদের মনে হচ্ছে এটা গাজওয়ায়ে হিন্দের পূর্বাবাস। তাই সকল মুসলমানকে মানসিক ও আর্থিকসহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/27/33684/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গেরুয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪, আহত অনেকের চোখে ঢালা হয়েছে অ্যাসিড



            দিল্লিতে টানা চার দিনের সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। তাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

            এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নতুন এক তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আহত অনেকের চোখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে। অন্ধ হয়ে গেছেন অনেকেই। কারো পুরো মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে।

            অনেকেরই মাথায় গুরুতর চোট। আহতদের অন্তত ৪৬ জনের শরীরে বুলেটের ক্ষত মিলেছে।

            ভারতের একটি দৈনিকের অনলাইন জানাচ্ছে, মুস্তাফাবাদ থেকে বেশ কিছু আহত এসেছেন হাসপাতালে। তাদের অনেকের চোখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে। দৃষ্টি হারিয়েছেন চার জন। খুরশিদ নামে এক জনের দু’চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। তেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে আসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও পাননি তিনি। গিয়েছেন রিকশায়। দুই চোখ-সহ পুরো মুখ ঝলসে গিয়েছে ওয়কিলের।

            দিল্লির জাফরাবাদ-মৌজপুর এখন ফাঁকা হয়ে গেলেও উত্তেজনা থামেনি। এলাকা থমথমে। ফাঁকা রাস্তায় পাথর, ইট, ভাঙা কাচ, ভাঙা লোহার রড পড়ে আছে। দেখা গেছে, বেছে বেছে মুসলিমদের দোকনগুলো পোড়ানো হয়েছে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/27/33688/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে মুসলিম! জেগে ওঠো, অস্ত্র ধর ৷
              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ তুমি মুসলিম উম্মাহকে উদাসিনতা ও গাফলতের ঘুম থেকে ,,
                  জাগ্রত হওয়ার তাওফিক দাও
                  মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

                  Comment

                  Working...
                  X