Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভাইয়ের দুঃখে দিল কাঁদে না- আমি কেমন ঈমানদার

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভাইয়ের দুঃখে দিল কাঁদে না- আমি কেমন ঈমানদার

    ভাইয়ের দুঃখে দিল কাঁদে না- আমি কেমন ঈমানদার

    জিহাদের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু জিহাদ মানে কি আমরা ফিকির করেছি কি? ফিকির করলে বুঝবো, জিহাদ মানে আমার ভাইয়ের জন্য জীবন দেয়া। আমার মুসলিম ভাইয়ের জন্য। চিন্তা করুন, দুনিয়ার এক প্রান্তে আমার কিছু মুসলিম ভাই বোন নির্যাতিত। আল্লাহ তাআলা তাদের উদ্ধারের জন্য আমার উপর জিহাদ ফরয করেছেন।

    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
    “তোমাদের কী হলো! তোমরা কিতাল করছো না আল্লাহর রাস্তায় এবং ঐ সকল অসহায় নর-নারী ও শিশুদের (উদ্ধারের) জন্য? যারা (ফরিয়াদ করে) বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে বের করে নিন এ জনপদ থেকে, যার অধিবাসীরা যালিম। আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে কোনো অভিভাবক নির্ধারণ করে দিন এবং নিযুক্ত করে দিন আপনার পক্ষ থেকে কোনো সাহায্যকারী।” -নিসা ৭৫


    আয়াতে কারীমাটিতে আবারও ফিকির করুন। নির্যাতিত কে? আমিও নই, আমার পরিবারও নয়, আমার বংশও নয়। এমনকি আমার অধিবাস ভূমিরও কেউ নয়। এমন কিছু লোক যাদেরকে আমি কখনও দেখিনি। শুধু এতটুকু জানি যে, তারা মুসলিম। আর এতটুকু যে, তারা নির্যাতিত। আল্লাহ তাআলা কি বলছেন? আল্লাহ তাআলা বলছেন, তাদের উদ্ধারের জন্য কিতাল কর। আর আমি কেন করছি না এজন্য আল্লাহ তাআলা আমাকে তিরস্কার করছেন। আমার কাছে কৈফিয়ত তলব করছেন। জবাবদিহি চাচ্ছেন কেন করছি না।


    আল্লাহ তাআলা কি শব্দটি ব্যবহার করেছেন দেখেছেন তো? وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ- তোমাদের কী হলো! তোমরা কিতাল করছো না?


    কিতাল মানে কি? আমি তাকে কতল করতে চাই, সে আমাকে কতল করতে চায়। এর নাম কিতাল। জীবন দেয়া নেয়ার খেলা। আল্লাহ তাআলা আমাকে ধমক দিচ্ছেন, কেন আমি আমার মুসলিম ভাইয়ের জন্য আমার প্রাণটা দিয়ে দেয়ার খেলায় নামছি না। দেখুন! শুধু বয়ান বক্তৃতা না কিন্তু। জীবন দেয়া নেয়ার খেলা। কাদের জন্য? কিছু মুসলিম ভাই বোনের জন্য। যাদেরকে আমি কখনও দেখিনি। যাদেরকে আমি চিনি না। আমার রব তাদের চেনেন। আমার রবের উপর তাদের ঈমান আছে। আমার রবের সাথে তাদের বন্ধুত্ব আছে। তারা আমার রবকে ভালবাসেন। আমার রবও তাদের ভালবাসেন। আমার রবের সেই প্রিয় বন্ধুদের উদ্ধারের জন্য তিনি আমাকে আদেশ দিয়েছেন। শুধু বয়ান বক্তৃতা নয়। শুধু পোস্ট কলম নয়। জীবন দেয়া আর জীবন নেয়ার।

    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا
    “আল্লাহ তাআলা যারা ঈমান এনেছে তাদের বন্ধু।” –বাকারা ২৫৭


    এবার আমি নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কি আল্লাহকে ভালবাসি? যদি ভালবেসে থাকি তাহলে তার বন্ধুদেরকেও ভালবাসতে হবে। নয়তো আল্লাহর সাথে বন্ধুত্ব থাকবে না। আমার বন্ধুদের যে ভালবাসে না, তাদের বিপদে যে এগিয়ে আসে না, সে আমার বন্ধু হতে পারে না। যদি আমি ঈমানের দাবিতে সত্য হয়ে থাকি তাহলে আল্লাহর বন্ধুদের ভালবাসতে হবে। তাদের বিপদে এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহর সাথে যেমন বন্ধুত্ব তাদের সাথেও বন্ধুত্ব। তারাও আমার বন্ধু। তাই সকল মুমিন আমার বন্ধু। আমি তাদের চিনি আর না চিনি তারা আমার বন্ধু। এ বন্ধুত্ব আল্লাহ তাআলার জন্য। এ বন্ধুত্ব আল্লাহ তাআলার নির্দেশ।

    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ
    “মুমিন নর-নারীরা একে অপরের বন্ধু।” -তাওবা ৭১

    আরো ইরশাদ করেন,
    إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ
    “মুমিনগণ পরস্পরে ভাই ভাই।” -হুজরাত ১০


    কেমন বন্ধু আর কেমন ভাই? তাদের সুখ আমার সুখ। তাদের দুঃখ আমার দুঃখ। তাদের পায়ে কাঁটা বিঁধলে আমার কলিজায় আঘাত লাগে। তাদের গায়ে জ্বর আসলে আমার ঘুম হারাম হয়ে যায়।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ চিত্রটিই তুলে ধরেছেন,
    مثل المؤمنين فى توادهم وتراحمهم وتعاطفهم مثل الجسد إذا اشتكى منه عضو تداعى له سائر الجسد بالسهر والحمى
    “পরস্পর ভালবাসা, রহমত ও সাহায্যের বেলায় মুমিনদের অবস্থা একটি দেহের মতো। তার কোন অঙ্গ অসুস্থ হলে গোটা দেহ বিনিদ্রা ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে।” -সহীহ বুখারি ৫৬৬৫, সহীহ মুসলিম ৬৭৫১


    গোট মুসলিম জাতি এক দেহ। আমার নিজের দেহ নিজের প্রাণ আমার কাছে যেমন প্রিয় তারাও আমার কাছে এমনই প্রিয়। আমার চোখে ব্যথা হলে যেমন ঘুম আসে না, কোনো মুমিনের গায়ে আঘাত আসলেও তেমনি আমার ঘুম আসে না। যেন তারাই আমি আমিই তারা। তারা ভিন্ন কেউ নয় আমি ভিন্ন কেউ নই। এক দেহ এক প্রাণ।


    আশ্চর্যের বিষয়, দুনিয়ার কোথাও একটা কাফেরের উপর আঘাত আসলে সারা দুনিয়ার কুফফার গোষ্ঠীর হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। কুফরের বাঁধন তাদেরকে এক ডোরে বেঁধে ফেলেছে। কিন্তু আমি মুমিন, আমার মুমিন ভাইয়ের ব্যথায় আমার ব্যথা নেই। এই আমার ঈমানের হাল।


    আল্লাহর কসম! আমার ভাইয়ের পায়ের কাঁটা আমার গায়ে ব্যথা না দিলে আমি মুমিন হতে পারবো না।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী পরিষ্কার,
    لا تدخلون الجنة حتى تؤمنوا ولا تؤمنوا حتى تحابوا.
    “যতক্ষণ তোমরা মুমিন না হবে, জান্নাতে যেতে পারবে না। আর মুমিন ততক্ষণ হতে পারবে না, যতক্ষণ একে অপরকে ভাল না বাসবে।” –সহীহ মুসলিম ২০৩

    অন্যত্র ইরশাদ করেন,
    والذى نفسى بيده لا يؤمن عبد حتى يحب لأخيه ما يحب لنفسه
    “ঐ জাতে পাকের কসম যার হাতে আমার জান, কোনো বান্দা মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করে যা তার নিজের জন্য করে।” –সহীহ মুসলিম ১৮০


    আমি ঈমানের দাবিদার, কিন্তু আমার ভাইয়ের দুঃখে আমার দিল কাঁদে না, বুঝতে হবে আমার ঈমানে যথেষ্ট কমতি আছে।


    আজ যদি আমি বন্দি হতাম? আমার ভাইকে যদি ধরে নেয়া হতো? কিংবা আমার বোনকে যদি তুলে নেয়া হতো? তাহলে আমার কি হাল হতো? আজ আরাকান-কাশ্মির-হিন্দের ভাই বোনদের জন্য আমার দিল কাঁদে না। বুঝতে হবে আমার ঈমান দুর্বল হয়ে আছে। যতটুকু আল্লাহ তাআলার নির্দেশ ততটুকু ঈমান আমার হাসিল হয়নি। আল্লাহ তাআলার মহব্বতের দাবিতে আমি এখনও পূর্ণ সত্যবাদি নই।

    আমি অনেক বড় কেউ হতে পারি, কিন্তু আল্লাহ তাআলার দরবারে আমি এখনও অপরাধী। এ অপরাধের খাতা থেকে নাম কাটাবার একটাই পথ, ভাইয়ের পাশে দাঁড়ানো। আমার জান নিয়ে। আমার মাল নিয়ে। প্রয়োজনে ঘর ছেড়ে, বাড়ি ছেড়ে। পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজনকে বিদায় জানিয়ে হিজরত করে। অন্যথায় রাব্বুল আলামিনের সেই ওয়াদার অপেক্ষায় থাকি, যে ওয়াদা তিনি করেছেন- আর আল্লাহ তার ওয়াদায় ব্যতিক্রম করেন না-
    قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
    “বলুন (হে নবী!) তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান যা তোমরা পছন্দ করছ- যদি (এগুলো) তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাআলার (আযাবের) ঘোষণা আসা পর্যন্ত। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।” -তাওবা ২৪

    ***



    كيف القرار وكيف يهدأ مسلم ... والمسلمات مع العدو المعتدي
    الضاربات خدودهن برنة ... الداعيات نبيهن محمد
    القائلات إذا خشين فضيحة ... جهد المقالة ليتنا لم نولد
    ما تستطيع وما لها من حيلة ... إلا التستر من أخيها باليد


    # কিভাবে স্থির থাকা যায়? কিভাবে কোনো মুসলিম শান্তিতে থাকতে পারে? যেখানে মুসলিম নারীরা সীমালঙ্গনকারী শত্রুদের হাতে বন্দী?!
    # তারা তাদের নবী মুহাম্মাদকে ডেকে ডেকে মুখ চাপড়িয়ে রোনাজারি করে কাঁদছে।
    # সম্ভ্রমহানির ভয়ে যখন তারা শঙ্কিত, শত আফসোস করে বলছে, হায়! যদি আমাদের জন্মই না হত!
    # নেই তার কোন শক্তি, নেই কোন উপায়। হাত ঠেকিয়ে ভাই থেকে মুখ লুকানো ছাড়া কিছুই নেই করার।
    ***




  • #2
    ভাবছিলাম আরাকানের ভাইদের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বড় ধরণের আক্রমণ করা হবে? কিছুই করা হলো না। এখন ইন্ডিয়াতে মার খাচ্ছে তার জন্যও কিছুই করা হবে না??? আমাদের ভাইদের বলছি যার যার সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে কঠিন ধরণের আক্রমণ করা হউক। ইন্ডিয়ার সমস্ত পণ্যকে বর্জন করার সাথে এদেশে আগত প্রত্যেকটি মালুকে যবাই করার পরিকল্পনা করা হউক। আর বসে বসে টাইপ করতে মন চাই না।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      # কিভাবে স্থির থাকা যায়? কিভাবে কোনো মুসলিম শান্তিতে থাকতে পারে? যেখানে মুসলিম নারীরা সীমালঙ্গনকারী শত্রুদের হাতে বন্দী?!
      # তারা তাদের নবী মুহাম্মাদকে ডেকে ডেকে মুখ চাপড়িয়ে রোনাজারি করে কাঁদছে।
      # সম্ভ্রমহানির ভয়ে যখন তারা শঙ্কিত, শত আফসোস করে বলছে, হায়! যদি আমাদের জন্মই না হত!
      # নেই তার কোন শক্তি, নেই কোন উপায়। হাত ঠেকিয়ে ভাই থেকে মুখ লুকানো ছাড়া কিছুই নেই করার।

      আহঃ এই প্রতিটা ওয়ার্ড বক্ষ ভেদকরে কলিজায় আঘাত করে বলছে, আর ঘুমে থেকোনা, জাগো এবার জাগো।

      Comment


      • #4
        টাইপ করার দিন শেষ । এখন সময় এসেছে ময়দানে যাবার।
        মনে হচ্ছে মিডিয়া নিয়ে বসে থাকলে কস্মিমকালেও আমার ভাইয়ের ব্যাথায় আমার দিল কাঁদবে না।
        কখনো কাঁদলেও তাকে আমার ভালোবাসার গদিতে বসাতে পারবে না!
        আফসোস! আজ যদি আমরা তালেবানদের মত সরাসরি ময়দানের স্বাদ পেতাম! তাহলে হয়ত আমাদের ভাইয়েরা তাগুতের হাত থেকে মুক্তি পেতেন।
        মিডিয়া নাকি জিহাদের অর্ধেকেরও বেশী- কথাটি বুঝতে খুব কষ্ট হয়। কারণ উম্মাহর করুণ অবস্থা ব্যপকতা লাভ করছে!
        আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে উত্তম জ্ঞান দান করুন আমীন ইয়া রাব্বাল মাযলূমীন!
        যোদ্ধা হব, যুদ্ধ করব,
        ক্বিতালের জন্য দাওয়াত দিব, ইনশাআল্লাহ।

        Comment


        • #5
          Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
          কিতাল মানে কি? আমি তাকে কতল করতে চাই, সে আমাকে কতল করতে চায়। এর নাম কিতাল। জীবন দেয়া নেয়ার খেলা।
          সহজ কথায়!এটা যেহেতু "বাবে মুফা'আলার" শব্দ বিধায় উভয় পক্ষ থেকে হত্যার কাজটা প্রকাশ পেতে হবে ৷ কারণ এটা হল "বাবে মুফাআলার" একটি বৈশিষ্ঠ ৷
          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

          Comment


          • #6
            এই মূহুর্তে বিশ্বের মাজলুম মুসলমানদের পাশে দাড়াতে হলে মুসলিমদের কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে??? তার দিকনির্দেশনা খুওবই প্রয়োজন ছিলো।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              কি করবো বুঝতে পারছি না ভাই? আমি কি এদেশের কট্টর মালাউনদের উপর লোন হামলা করবো নাকি অপেক্ষা করবো কোন তানজিমে যোগ দেবার?
              “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

              Comment


              • #8
                Originally posted by যোদ্ধা হব View Post
                মিডিয়া নাকি জিহাদের অর্ধেকেরও বেশী- কথাটি বুঝতে খুব কষ্ট হয়। কারণ উম্মাহর করুণ অবস্থা ব্যপকতা লাভ করছে!
                মুহতারাম ভাই, মুজাহিদিনে কেরাম কাজ শুরু করেছেন শুন্য থেকে। প্রথম দিনেই তো সংঘর্ষে যাওয়া যায় না। এটা আল্লাহ তাআলারও নীতি না। মক্কায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তের বছর দাওয়াত দেয়ার পর মদীনায় জিহাদ শুরু হয়েছে। কেউ হামলা করলে করতে পারে, কিন্তু চূড়ান্ত সফলতার জন্য বড় ধরনের ই’দাদ ও আসববাব দরকার। মুজাহিদিনে কেরাম এটিই করে যাচ্ছেন। মিডিয়া এর পক্ষে বড় একটা সহায়ক।

                মুহতারাম ভাই, আমাদের দেশে যে বর্তমান যুবক শ্রেণীর মাঝে জিহাদের একটা চেতনা তৈরি হয়েছে এটার অনেকটাই মিডিয়ার ফল। মুজাহিদদের প্রচার-প্রচারণার সুফল। এর গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। একারণেই তো মিডিয়া তাগুতদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

                আজ জিহাদের জন্য মানুষ নেই। ধরুন আজ যে ক’জন যুবক জিহাদের গুরুত্ব বুঝেছে, তাদের ক’জন এমন আছে যে, জান-মাল সব কুরবান দিয়ে সবরের সাথে ৩০/৪০/৫০ বছর পর্যন্ত কিতালের ময়দানে টিকে থাকতে প্রস্তুত? এমন সংখ্যা হয়তো খুব বেশি না।

                অধিকন্তু যারা প্রস্তুত তারা যদি আজ অস্ত্র হাতে নেমে পড়ে, তাহলে এদেশের মানুষ কি তাদের সহায়তা করবে? দেখা যাবে অল্প ক’দিনেই হয়তো সকল মুজাহিদ শহীদ হয়ে গেছেন নয়তো ধরা পড়ে গেছেন। এজন্য ভাই, আস্তে ধীরে এগুতে হবে।

                পোস্টে আমার উদ্দেশ্য মিডিয়া বন্ধ করে আজই নেমে পড়া নয়। উদ্দেশ্য সকলকে জাগ্রত করা। সকল মুসলিম ভাইকে জাগ্রত করা। আজ যদি হিন্দের সকল মুসলিম তৈরি হয়ে যেতো জীবন দেয়ার জন্য তাহলে তো আজই নেমে পড়া যেতো। কিন্তু যতদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ যুবক তৈয়ার হচ্ছে না, জনগণ জিহাদের পক্ষে আসছে না, ততদিন আমাদের আস্তে ধীরেই চলতে হবে।

                মুহতারাম ভাই, আপত্তি যদি করতে হয়, তাহলে আমার নিজের উপর করি। আমার জাতির উপর করি। মুজাহিদদের উপর নয়। তারা দিন রাত তাদের সামর্থ্যে যা আছে করে যাচ্ছেন। তারা যে শুধু কয়টা পোস্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে দিচ্ছেন তা নয়। অনলাইন তাদের কাজের একটা শো’বা। নতুবা মুজাহিদিনে কেরামের কাজের গণ্ডি অনেক বিস্তৃত আলহামদুলিল্লাহ।

                Comment


                • #9
                  যোদ্ধা হবো ভাই, আপনিকি ফোরামের, গাযওয়াহ সাইট,আল ফিরদাউস সাইট এগুলোর অবদান অস্বীকার করতে পারবেন???? আমরা হয়ত অনেকে বলতে পারি আরি ওরা কীবোর্ড মুজাহিদ!!! তাহলে প্রশ্ন তাদের প্রতি যারা বলছেন কীবোর্ড মুজাহিদ আপনাদের প্রতি আপনারারা কি করেছেন??? ফোরামের মাধ্যমে আজ হাজারো যুবক এদেশে উজ্জীবিত হয়েছে। ফিরে পেয়েছে তাদের হারানো পথ, যেই পথের কথা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন,যে একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত কিতাল করবে। আমাদের সবার উচিত হবে খুব দ্রুত কাজে জরিয়ে যাওয়া সত্যিকার অর্থে। দুনিয়াকে লাথি মেরে। দ্বীনের জন্য, মুসলিমদের জন্য, মাজলুমদের জন্য। আল্লাহ, রাসূল, জিহাদকে সব কিছুর উপর বেশি ভালো না বাসলে সে কিন্তু ফাসিক। আর আল্লাহ ফাসেকদের হেদায়েত দেন না। একটি বই নতুন বের হয়েছে আমাদের সবার পড়া উচিত[(রাত পোহাবার কত দেরি) ]
                  আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                  আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    আনেক উপকারী একটি পোষ্ট করেছেন।
                    আল্লাহ আপনার কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                    হে আল্লাহ আপনি আমাদের কে মুজলুম উম্মাহর পাশে দাঁড়ানোর তাওফিক দেয়েই দেন,ইনশাআল্লাহ।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment


                    • #11
                      ফিকির করি - দুটি মাত্র শব্দ, একটি মাত্র কাজ। কিন্তু এই দুইটি শব্দের অভাবেই আজ আমাদের এই অবস্থা! আসেন আমরা প্রত্যেকে আমাদের অবস্থান থেকে সবার আগে নিজেকে যুক্ত করে যতজনকে সম্ভব সাওয়াল করি, আপনার কি কিছু সময় হবে আমাদের, উম্মতের হাল নিয়ে কিছু সময় ফিকির করার?

                      আপনি কি আমাকে উমুক দিনে উমুক সময়ে কিছু সময় দিবেন, যেন আমরা নিজেদের নিয়ে এবং উম্মতের হাল নিয়ে কিছু সময় ফিকির করতে পারি।
                      আর যদি কেউই না আসে, তাহলে অন্তত নিজের পরিবারে যাদের উপরে অধিকার আছে তাদের নিয়ে বসি ...

                      উম্মাহ থেকে নির্যাতিত যারা ইনশা আল্লাহ তাঁরা শহিদ, আল্লাহ কবুল করুন। এটা আমাদের জন্যই জরুরি!আবারো অনুরোধ করি চলুন ফিকির করি।
                      মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                      Comment


                      • #12
                        গতকাল ফেইজবুকে দেখলাম একজন ভাই, মামুনুল হক হুজুর তালিবানদের ব্যাপারে কিছু বলে না, এমর্মে নাকি এদেশের তানজিমের ভাইয়েরা হুজুরকে দোষারোপ করেছেন, বলা হচ্ছে তালিবানের বিজয় দেখে মামুনুল হক হুজুর কথা বলছেন, এমন একটি কথা নাকি ভাইয়েরা বলতেছে! কথাটি আদৌও সত্য হওয়ার কথা নয়। হে ভাই, যিনি তানজিমের ভাইদের দোষারোপ করছেন, আপনাকে বলছি, হে ভাই,,আপনিও কিন্তু মুজাহিদদের ভাইই। আপনি কেনো তানজিমের ভাইদের কীবোর্ড মুজাহিদ বলছেন???? তার উত্তর আমার জানা নাই।। অনলাইনের কাজের কোন উপকার নাই???? হে ভাই, আপনি কেনো জিহাদকে শুধু তানজিমের উপর ছেড়ে দিচ্ছেন???? জিহাদ তো সকল মুসলিমের উপর ফরজ। আমরা খারেজি নয় যে, আপনাকে দোষারোপ করবো!!! আমরা সহ্য করে যবো, ইনশাল্লাহ। আপনাদের দু'একটা কথায় আমাদের কলম/ বন্দুক আপনাদের দিকে থাক করব না কখনো। হে ভাই। জিহাদ শুধুকি তানজিমের ফরজ ছিলো!??? আপনি এক জায়গায় বলেছেন,ভাইয়েরা নাকি স্বঘোষিত তাওহিদবাদী!!! না ভাই। এমনটি বলবেন না। তাহলে আপনারাই বলুন কিভাবে ইমান আননে প্রকৃত অর্থে তাওহীদবাদী হওয়া যাবে???? আপনাদের কথায় আমরা আমাদের কাজ ছেড়ে দিবো না। এদেশের মুজাহিদীনরা শরিয়ার আলোকে কিছু নিখুত আক্রমণ করেছেন, যা আপনারা লক্ষ করেছেন। শাতীমে রাসূল, নাস্তিক ব্লগারদের, বিশেষ করে যারা ইসলাম ও মুসলিমদের কুৎসা রটাত তাদের হত্যা করেছেন। আমার ফেইজবুক নাই বিধায় কথাগুলো এখানে লিখে দিলাম, কোন ভাই কপি করে পোস্ট দিয়েন ফেবুতে!!!!!! হে কওমির ভাই,আপনিও একজন মুজাহিদ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। হে শিবিরের ভাই আপনিও একজন মুজাহিদ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। প্রত্যেক মুসলিমই মুজাহিদ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। আপনাদের সাধ্যানুযায়ী এগিয়ে আসুন। জিহাদ বিল মালে অন্তত শরিক হউন। ইদাদ একটি ভুলে যাওয়া ফরজ, ইদাদ না করে, পেটের ভুরি বাড়িয়ে, ওজন বাড়িয়ে জাহাঙ্গীর কবিরের বিশাল অর্থ ব্যায়ে খাদ্যাভ্যাস ঘড়ে তুলে দেহ স্মিথ করার কোন প্রয়োজন নেই। ইদাদ নিন, তাহলে আল্লাহই আমাদের দেহকে নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। এই দেহকে অন্যের হাতে ছেড়ে দিবেন না। সে যেভাবে ইচ্ছা ঘুরাবে!?
                        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post


                          মুহতারাম ভাই, মুজাহিদিনে কেরাম কাজ শুরু করেছেন শুন্য থেকে। প্রথম দিনেই তো সংঘর্ষে যাওয়া যায় না। এটা আল্লাহ তাআলারও নীতি না। মক্কায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তের বছর দাওয়াত দেয়ার পর মদীনায় জিহাদ শুরু হয়েছে। কেউ হামলা করলে করতে পারে, কিন্তু চূড়ান্ত সফলতার জন্য বড় ধরনের ই’দাদ ও আসববাব দরকার। মুজাহিদিনে কেরাম এটিই করে যাচ্ছেন। মিডিয়া এর পক্ষে বড় একটা সহায়ক।

                          মুহতারাম ভাই, আমাদের দেশে যে বর্তমান যুবক শ্রেণীর মাঝে জিহাদের একটা চেতনা তৈরি হয়েছে এটার অনেকটাই মিডিয়ার ফল। মুজাহিদদের প্রচার-প্রচারণার সুফল। এর গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। একারণেই তো মিডিয়া তাগুতদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

                          আজ জিহাদের জন্য মানুষ নেই। ধরুন আজ যে ক’জন যুবক জিহাদের গুরুত্ব বুঝেছে, তাদের ক’জন এমন আছে যে, জান-মাল সব কুরবান দিয়ে সবরের সাথে ৩০/৪০/৫০ বছর পর্যন্ত কিতালের ময়দানে টিকে থাকতে প্রস্তুত? এমন সংখ্যা হয়তো খুব বেশি না।

                          অধিকন্তু যারা প্রস্তুত তারা যদি আজ অস্ত্র হাতে নেমে পড়ে, তাহলে এদেশের মানুষ কি তাদের সহায়তা করবে? দেখা যাবে অল্প ক’দিনেই হয়তো সকল মুজাহিদ শহীদ হয়ে গেছেন নয়তো ধরা পড়ে গেছেন। এজন্য ভাই, আস্তে ধীরে এগুতে হবে।

                          পোস্টে আমার উদ্দেশ্য মিডিয়া বন্ধ করে আজই নেমে পড়া নয়। উদ্দেশ্য সকলকে জাগ্রত করা। সকল মুসলিম ভাইকে জাগ্রত করা। আজ যদি হিন্দের সকল মুসলিম তৈরি হয়ে যেতো জীবন দেয়ার জন্য তাহলে তো আজই নেমে পড়া যেতো। কিন্তু যতদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ যুবক তৈয়ার হচ্ছে না, জনগণ জিহাদের পক্ষে আসছে না, ততদিন আমাদের আস্তে ধীরেই চলতে হবে।

                          মুহতারাম ভাই, আপত্তি যদি করতে হয়, তাহলে আমার নিজের উপর করি। আমার জাতির উপর করি। মুজাহিদদের উপর নয়। তারা দিন রাত তাদের সামর্থ্যে যা আছে করে যাচ্ছেন। তারা যে শুধু কয়টা পোস্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে দিচ্ছেন তা নয়। অনলাইন তাদের কাজের একটা শো’বা। নতুবা মুজাহিদিনে কেরামের কাজের গণ্ডি অনেক বিস্তৃত আলহামদুলিল্লাহ।
                          আলহামদুলিল্লাহ্ ভায়ের প্রতিটা কথা ওয়ার্ড অলঙ্কারপূর্ণ,,, হে আল্লাহ্ ভায়ের ইলম আরো বাড়িয়েদিন ভাইকে ক্ষমা করুন সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন, জিহাদি কাজে জড়িত সকল ভাইকে কবুল করুন আমিন।

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by s_forayeji View Post

                            আপনি কি আমাকে উমুক দিনে উমুক সময়ে কিছু সময় দিবেন, যেন আমরা নিজেদের নিয়ে এবং উম্মতের হাল নিয়ে কিছু সময় ফিকির করতে পারি।
                            আর যদি কেউই না আসে, তাহলে অন্তত নিজের পরিবারে যাদের উপরে অধিকার আছে তাদের নিয়ে বসি। [/SIZE]
                            জী ভাই এটা সকলের জন্যই আবশ্যকীয়।
                            যোদ্ধা হব, যুদ্ধ করব,
                            ক্বিতালের জন্য দাওয়াত দিব, ইনশাআল্লাহ।

                            Comment


                            • #15
                              হে আল্লাহ,

                              পরিপূর্ণ ঈমানদার বানিয়ে দাও,,,
                              আমীন
                              মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

                              Comment

                              Working...
                              X