Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলামে দাস প্রথা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলামে দাস প্রথা

    ইসলামে দাস প্রথা
    পর্ব-১

    ইসলামের দাস প্রথা ও দাসীদের সঙ্গে মনিবের সহবাস করা নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী চক্র ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক আপত্তি, সমালোচনা ও কটাক্ষ করে। ফলে কতিপয় দুর্বল দ্বীনদার ও ধর্ম সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞানী মুসলমান দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যান। অত:পর কেউ কেউ আপত্তি ও তিরস্কার থেকে বাঁচার জন্য এগুলোকে অস্বীকারও করেন। কেউ কিছুটা লুকাচাপা করতে চান।

    মোটকথা, আজ বহুদিন যাবত মুসলিমগণ ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ থেকে দূরে থাকার কারণে, জন্ম থেকেই কুফরী পরিবেশে বেড়ে উঠার কারণে এবং এর প্রকৃত হাকিকত না জানার কারণে এটাকে অস্বাভাবিক ও সমস্যাজনক মনে করেন। বিশেষ করে বিয়ে ব্যতিত মনিব কর্তৃক দাসীর সঙ্গে সহবাস করাকে আরো অস্বাভাবিক ও সমাস্যাজনক মনে করেন।

    তাই আমি সম্মানিত পাঠকদের সামনে এ দু’টি বিষয়ের প্রকৃত বাস্তবতা ও ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

    প্রথমত: ইসলামে দাস প্রথা:

    দাস প্রথা ইসলামের আগেও সব ধর্মে ছিল এবং ইসলাম আসার পরও সব ধর্মে ছিল। সেটা ইসলামেও বহাল আছে। কিন্তু অনেকের প্রশ্ন হল, ইসলামের মত একটি শ্রেষ্ঠ ধর্মে কিভাবে এই বর্বর প্রথাটাকে নিষিদ্ধ না করে অনুমোদন করল?এক্ষণে আমরা সেটিরই উত্তর দেখবো ইনশাআল্লাহ।

    এটি বুঝার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে দাস-দাসির উৎস সম্পর্কে জানতে হবে। দাস-দাসি সৃষ্টি হয় যুদ্ধের মাধ্যমে। যুদ্ধে একদল আরেকদলের উপর জয়ী হলে প্রতিপক্ষের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা স্বরূপ তাদের নারী-পুরুষকে নিজেদের দাসি-দাসিতে রূপান্তরিত করে। ইসলাম ছাড়া অন্যরা শুধু কর্তৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্যই এটা করত। এক্ষেত্রে তাদের আর কোন যুক্ত-দর্শন ছিল না। কিন্তু ইসলামের এক্ষেত্রে ভিন্ন যুক্তি ও দর্শন রয়েছে। তা হল:

    ইসলাম সকল কাফেরদেরকে অপরাধী আর কুফরকে গুরুতর অপরাধ মনে করে। যেমন:

    আল্লাহ তা’আলা বলেন: إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ “নিশ্চয়ই শিরক এক গুরুতর অপরাধ।” (সূরা লুকমান:১৩)

    অন্য আয়াতে বলেন: وَالْكَافِرُونَ هُمُ الظَّالِمُونَ “আর কাফিররাই তো জালিম। (সূরা বাকারাহ:২৫৪)

    অন্য আয়াতে বলেন: إِنَّ اللَّهَ لَعَنَ الْكَافِرِينَ وَأَعَدَّ لَهُمْ سَعِيرًا “নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদেরকে অভিশম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন আগুন।” (সূরা আহযাব:৬৪)

    অন্য আয়াতে বলেন:

    وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لَا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لَا يَسْمَعُونَ بِهَا أُولَئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُولَئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ

    আমি জিন ও মানুষের মধ্য হতে বহুজনকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তা দ্বারা তারা অনুধাবন করে না। তাদের চোখ আছে, কিন্তু তা দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের কান আছে, কিন্তু তা দ্বারা তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তার চেয়েও বেশি বিভ্রান্ত। এরাই গাফেল। (সূরা আরাফ:১৭৯)

    অন্য আয়াতে বলেন: أَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِينَ كَالْمُجْرِمِينَ (35) مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ
    “তবে কি আমি আত্মসমর্পণ কারীদেরকে অপরাধীদের ন্যায় গণ্য করবো?? তোমাদের কী হল, এ তোমরা কেমন বিচার করছো??”(সূরা আল-কালাম:৩৫, ৩৬)

    অনেক ক্ষেত্রে কাফেরদেরকে মৃতদের সমান গণ্য করেছে। যেমন:

    আল্লাহ তা’আলা বলেন:

    إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاءَ إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ (80) وَمَا أَنْتَ بِهَادِي الْعُمْيِ عَنْ ضَلَالَتِهِمْ إِنْ تُسْمِعُ إِلَّا مَنْ يُؤْمِنُ بِآيَاتِنَا فَهُمْ مُسْلِمُونَ

    “তুমি মৃতদেরকে তোমার কথা শোনাতে পারবে না এবং বধিরকেও তুমি নিজ ডাক শোনাতে পারবে না, যখন তারা পিছনে ফিরে চলে যায়। আর তুমি অন্ধদেরকেও তাদের পথভ্রষ্টতা হতে মুক্ত করে সঠিক পথে আনতে পারবে না। তুমি তো কথা শোনাতে পারবে কেবল তাদেরকেই, যারা আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে। অত:পর তারাই হবে আনুগত্য স্বীকারকারী।” (সূরা নামল: ৮০,৮১)

    অন্য আয়াতে বলেন:

    وَمَا يَسْتَوِي الْأَحْيَاءُ وَلَا الْأَمْوَاتُ إِنَّ اللَّهَ يُسْمِعُ مَنْ يَشَاءُ وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ

    “জীবিত ও মৃত সমান হতে পারে না। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কথা শুনিয়ে দেন। যারা কবরে আছে তুমি তাদেরকে কথা শোনাতে পারবে না।” (সূরা ফাতির: ২২)

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাদেরকে অন্ধ, বধির ও মুক বলেছেন। যেমন আল্লাহ বলেছেন:

    صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ

    “তারা বধির, বোবা ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। (সূরা আলবাকারা:১৮)

    অন্য আয়াতে বলেন:

    وَمَا يَسْتَوِي الْأَعْمَى وَالْبَصِيرُ وَلَا الظُّلُمَاتُ وَلَا النُّورُ وَلَا الظِّلُّ وَلَا الْحَرُورُ

    “অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান হতে পারে না, অন্ধকার ও আলো সমান হতে পারে না এবং ছায়া ও রোদও সমান হতে পারে না। (সূরা ফাতির: ১৯,২০,২১)

    আল্লাহ মুশরিকদেরকে নাপাক বলেছেন। যেমন আল্লাহ বলেন:

    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا

    “হে মুমিনগণ! মুশরিকরা আপদমস্তক অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর যেন তারা মসজিদুল হারামের নিকটেও না আসে।” (সূরা তাওবা: ২৮)

    ঈমান আনার আগ পর্যন্ত কাফেরদের জান-মাল গ্রহণ করাও মুসলমানদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللهِ "

    “আমাকে আদেশ করা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে। যখন তারা এটা বলবে, তখন আমার থেকে তাদের রক্ত ও সম্পদ নিরাপদ করতে পারবে। তবে তার (অর্থাৎ রক্ত ও সম্পদের) হকের কথা ভিন্ন।” (সহীহুল মুসলিম, হাদিস নং ৩৫)

    কাফেরদেরকে আল্লাহ নিজের শত্রু বলেছেন। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা বলেন:

    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُونَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ

    “হে মুমিনগণ, তোমরা যদি আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমার পথে জিহাদের জন্য (ঘর থেকে) বের হয়ে থাক, তবে আমার শত্রু ও তোমাদের নিজেদের শত্রুকে এমন বন্ধু বানিয়ো না যে, তাদের কাছে ভালোবাসার বার্তা পৌঁছাতে শুরু করবে।” (সূরা মুমতাহিনা: ১)

    কাফেরদেরকে এত নিকৃষ্ট অপরাধী গণ্য করার কারণ হল, তারা আপাদমস্তক আল্লাহর নিয়ামতে ডুবে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে না। আল্লাহর দেওয়া শস্য, ফল-মূল ও আলো-বাতাস ভোগ করছে। কিন্তু আল্লাহকে মানছে না। আল্লাহর প্রভূত্ব ও রাজত্ব মেনে নিচ্ছে না। অথচ আল্লাহর সাহায্য ছাড়া একটি শ্বাসও নিতে পারে না। এমনিভাবে তাদের চতুর্পার্শ্বে আল্লাহর একত্বের পরিচয় বহনকারী কোটি কোটি আলামত থাকা সত্ত্বেও এবং এগুলো প্রতিদিন তাদের অন্তরে নাড়া দেওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র গোড়ামী, অহংকার ও স্বার্থের কারণে সেগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। বাহ্যিক আহ্বানকারী ছাড়াও প্রতিটি মানুষের অন্তরে আল্লাহ প্রদত্ত এক আহ্বানকারী থাকে। কাফেররা প্রতিনিয়ত সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে যায়।

    যারাই বিশ্বজগতের মালিক, প্রতিপালক ও স্রষ্টার দ্বীন গ্রহণ না করে কুফরের থাকছে, তারা নিজেদের প্রবৃত্তির পূজা ও মানষিক পঙ্কিলতার কারণেই সত্য ধর্ম গ্রহণ করছে না। তাহলে পৃথিবীতে যারা স্রষ্টার অবাধ্যতা করছে, নিজেদের প্রবৃত্তির পূজা করছে, অহংকারের উপর থাকছে, তারা আর স্রষ্টার বাধ্যগত বান্দাগণ কিভাবে সমান হতে পারে???!

    কিন্তু কাফেররা সকল মানুষকে এক রকম মনে করে। নিজেদেরকেও মুসলমানদের সমান মনে করে। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলিম-কাফের সমান মানুষ নয়। কাফেরদের মানুষত্বের মধ্যেই ত্রুটি আছে।

    পূর্বোল্লেখিত পরিপার্শ্বিক নিদর্শনাবলী ও অন্তরের আহ্বানকারী থাকা সত্ত্বেও মহান দয়ালু আল্লাহ তা’আলা অনুগ্রহ করে বাহ্যিকভাবে আরো একবার তাদেরকে সত্যের দিকে আহ্বান করা ফরজ করে দিয়েছেন।

    যেমন আল্লামা কাসনী রহ. বলেন:

    وَلَا يَجُوزُ لَهُمْ الْقِتَالُ قَبْلَ الدَّعْوَةِ؛ لِأَنَّ الْإِيمَانَ وَإِنْ وَجَبَ عَلَيْهِمْ قَبْلَ بُلُوغِ الدَّعْوَةِ بِمُجَرَّدِ الْعَقْلِ فَاسْتَحَقُّوا الْقَتْلَ بِالِامْتِنَاعِ، لَكِنَّ اللَّهَ - تَبَارَكَ وَتَعَالَى - حَرَّمَ قِتَالَهُمْ قَبْلَ بَعْثِ الرَّسُولِ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - وَبُلُوغِ الدَّعْوَةِ إيَّاهُمْ فَضْلًا مِنْهُ وَمِنَّةً قَطْعًا لِمَعْذِرَتِهِمْ بِالْكُلِّيَّةِ وَإِنْ كَانَ لَا عُذْرَ لَهُمْ فِي الْحَقِيقَةِ؛ لِمَا أَقَامَ - سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى - مِنْ الدَّلَائِلِ الْعَقْلِيَّةِ الَّتِي لَوْ تَأَمَّلُوهَا حَقَّ التَّأَمُّلِ، وَنَظَرُوا فِيهَا لَعَرَفُوا حَقَّ اللَّهِ - تَبَارَكَ وَتَعَالَى - عَلَيْهِمْ، لَكِنْ تَفَضَّلَ عَلَيْهِمْ بِإِرْسَالِ الرُّسُلِ - صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أجْمَعِينَ -؛ لِئَلَّا يَبْقَى لَهُمْ شُبْهَةُ عُذْرٍ {فَيَقُولُوا رَبَّنَا لَوْلا أَرْسَلْتَ إِلَيْنَا رَسُولا فَنَتَّبِعَ آيَاتِكَ} [القصص: 47]
    .............................
    هَذَا إذَا كَانَتْ الدَّعْوَةُ لَمْ تَبْلُغْهُمْ، فَإِنْ كَانَتْ قَدْ بَلَغَتْهُمْ جَازَ لَهُمْ أَنْ يَفْتَتِحُوا الْقِتَالَ مِنْ غَيْرِ تَجْدِيدِ الدَّعْوَةِ؛ لِمَا بَيَّنَّا أَنَّ الْحُجَّةَ لَازِمَةٌ، وَالْعُذْرُ فِي الْحَقِيقَةِ مُنْقَطِعٌ، وَشُبْهَةُ الْعُذْرِ انْقَطَعَتْ بِالتَّبْلِيغِ مَرَّةً، لَكِنْ مَعَ هَذَا الْأَفْضَلُ أَنْ لَا يَفْتَتِحُوا الْقِتَالَ إلَّا بَعْدَ تَجْدِيدِ الدَّعْوَةِ لِرَجَاءِ الْإِجَابَةِ فِي الْجُمْلَةِ

    “তাদের জন্য দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে যুদ্ধ করা জায়েয হবে না। কেননা যদিও দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে শুধু বিবেকের মাধ্যমেই তাদের উপর ঈমান আনা ফরজ ছিল এবং তারপর প্রতিরক্ষা গ্রহণের কারণে তারা হত্যার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তা’আলা নিজ অনুগ্রহে, নিজ দয়ায় এবং তাদের সকল ওযর (অজুহাত)শেষ করে দেওয়ার জন্য নবী-প্রেরণ ও তাদের নিকট দাওয়াত পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হারাম করেছেন। যদিও প্রকৃতপক্ষে তাদের কোন ওযর নেই, কারণ আল্লাহ তা’আলা পৃথিবীতে এমন এমন জ্ঞানগত দলিল প্রতিষ্ঠা করে রেখেছেন, যেগুলো তারা যথাযথ চিন্তা ও গবেষণা করলে অবশ্যই অবশ্যই তাদের উপর আল্লাহর যে হক আছে, তা বুঝতে পারত। কিন্তু তবু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা নবী আলাইহিমুস সালামদেরকে প্রেরণ করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। যেন তাদের জন্য ওযরের কোন সংশয়ও অবশিষ্ট না থাকে। “ফলে তার একথা বলতে না পারে যে: হে আমাদের রব, আপনি কেন আমাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করলেন না, তাহলে তো আমরা আপনার নির্দশনাবলীর অনুসরণ করতাম?!”

    এ হল, যখন তাদের নিকট ইতিপূর্বে দাওয়াত পৌঁছে গিয়ে না থাকে। কিন্তু যদি তাদের নিকট ইতিমধ্যেই দাওয়াত পৌঁছে গিয়ে থাকে, তাহলে তাদের জন্য নতুন করে দাওয়াত দেওয়া ব্যতিতই যুদ্ধ করা জায়েয আছে। যেহেতু আমরা বলেছি যে, প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে, প্রকৃতপক্ষে কোন ওযর নেই, তথাপি একবার তাবলীগের মাধ্যমে ওযরের সংশয়ও দূরীভূত হয়ে গেছে। তবে এতদ্বসত্ত্বেও উত্তম হল, নতুন করে দাওয়াত দিয়েই যুদ্ধ শুরু করবে। যেহেতু দাওয়াত গ্রহণের কিছু সম্ভবনাও আছে।” (বাদায়িউস সানায়ি: ৭/১০০, আলমাকতাবাতুশ শামেলাহ)


    (চলবে)

  • #2
    মাশাআল্লাহ, উপকারী পোষ্ট।
    ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক!
    বারাকাল্লাহ ফিকা... আমীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আমার এক উস্তাদ (ইনি বাংলাদেশে সবার কাছে এমন কি মুজাহিদদের কাছেও গ্রহণজগ্য হওয়ার সত্তেও গোপনিয়তার জন্য নাম গোপন করলাম)তিনি হেদায়া দ্বিতিয় খন্ড পড়ানোর সময় আমাদেরকে বলেছিলেন যে,ইসলামে কোন ব্যক্তিকে দাস বানিয়ে রাখতে চায় না ৷ আপনারা কি দেখেন না যে,ইসলামে বিভিন্ন জিনিসের কাফফারা হিসাবে গোলাম আজাদ করার কথা আছে ৷ এর দ্বারা বুঝা যায় ইসলামে মানুষকে দাস না বানিয়ে বরং মানুষের আজাদি চায় ৷ যদিও তিনার কথার মধ্যে অনেক ফাক এবং অপব্যাখ্য থেকে যায় তবুও বলছি,ইসলামে দাস আজাদ করার ব্যপারে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আজ এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে পৃথিবিতে এখন কোন দাস-দাসির অস্তিত্বই নেই ৷ তবে আসল বাস্তবতা সম্পার্কে আল্লাহই ভাল জানেন
      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

      Comment


      • #4
        উপকারী সিলসিলা... জারী থাকুক।
        হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
        ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।

        Comment

        Working...
        X