Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ২৮

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ২৮

    দশ.
    যে ব্যক্তি শাসকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে লোকজনকে হত্যা করায়

    কতক ব্যক্তির অভ্যাস এমন যে, তারা জালেম শাসকদের দরবারে গিয়ে লোকজনের ব্যাপারে বানিয়ে চিনিয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে। এদের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে জালেম শাসকরা নিরপরাধ লোকজনকে হত্যা করে। এসব লোকও ফাসাদকারীদের অন্তর্ভুক্ত। এরাও হত্যাযোগ্য। এদের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে আল্লামা ইবনে আবেদিন রহ. (১২৫২হি.) বলেন,

    سئل شيخ الإسلام عن قتل الأعونة والظلمة والسعاة في أيام الفترة: قال يباح قتلهم؛ لأنهم ساعون في الأرض بالفساد، فقيل إنهم يمتنعون عن ذلك في أيام الفترة ويختفون. قال: ذلك امتناع ضرورة - {ولو ردوا لعادوا لما نهوا عنه} [الأنعام: 28]- كما نشاهد. قال وسألنا الشيخ أبا شجاع عنه، فقال: يباح قتله ويثاب قاتله. اهـ.

    “শাইখুল ইসলাম রহ.কে শাসকদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপনকারীদেরকে এবং জালেমদেরকে বিরতিকালীন সময়ে (হত্যার) ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দেন, ‘তাদেরকে হত্যা করা বৈধ। কেননা, তারা যমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়।’ এর উপর প্রশ্ন করা হল- বিরতিকালীন সময়ে তো তারা তা থেকে বিরত থাকে এবং আত্মগোপনে থাকে? তিনি উত্তর দেন: ‘এ বিরত থাকা তো জরুরতের কারণে। যদি তাদের ফিরিয়ে দেয়া হত, তাহলে যা হতে তাদেরকে বারণ করা হয়েছে তারা পুনর্বার তাতেই লিপ্ত হতো। [আনআম: ২৮] যেমনটা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। তিনি বলেন, শায়খ আবু সুজা রহ.কে আমরা এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি উত্তর দেন: একে হত্যা করা বৈধ এবং তার হত্যাকরী সওয়াবের অধিকারী হবে।” -রদ্দুল মুহতার: ৪/৬৪


    অন্যত্র বলেন,
    وفي البزازية: أفتوا بأن قتل الأعونة والسعاة جائز في أيام الفتنة ط ملخصا. اهـ

    “তাহতাবি রহ. ফাতাওয়া বাযযাযিয়া থেকে বর্ণনা করেন, ফিতনার সময় জালেমদের সহযোগীদেরকে এবং যারা শাসকদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করে লোকজনকে হত্যা করায় মাশায়েখগণ তাদেরকে হত্যা করা জায়েয ফতোয়া দিয়েছেন।” –রদ্দুল মুহতার ৬/৫৬২

    উল্লেখ্য, বিরতিকালীন সময় দ্বারা উদ্দেশ্য- ওয়াল্লাহু আ’লাম- যখন এসব লোক সুবিধা করতে না পেরে আত্মগোপনে থাকে। পরে যখন সুযোগ আসবে আবার ফাসাদ শুরু করবে।

    আর ফিতনার সময় দ্বারা উদ্দেশ্য, যখন মুসলমানদের একক কোনো খলিফা না থাকে। ক্ষমতা নিয়ে নিজেরা মারামারি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয় তখন।

    মোটকথা, এসব লোককে যখনই পাওয়া যাবে হত্যা করা যাবে। এরা মুফসিদ ফিল আরদ। এদের দ্বারা সমাজের শান্তি-শৃংখলা বিনষ্ট হচ্ছে। জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।





  • #2
    খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ৷
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক উপকারি পোষ্ট, আল্লাহ্ ভাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন, জিহাদি মিডিয়াকে হেফাযত করুন আমিন।

      Comment

      Working...
      X