Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ২৯

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ২৯

    এগার. বাগি

    একজন খলিফা থাকাবস্থায় বা আহলে হল ওয়াল আকদ একজনের হাতে বাইয়াত দিয়ে দেয়ার পর অন্য কেউ খলিফা দাবি করলে হাদিসে তাকে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে। যেমন এক হাদিসে এসেছে,
    من أتاكم وأمركم جميع على رجل واحد يريد أن يشق عصاكم أو يفرق جماعتكم فاقتلوه
    “তোমরা এক ব্যক্তির (অর্থাৎ এক খলিফার) হাতে ঐক্যবদ্ধ থাকাবস্থায় যদি অন্য কোন ব্যক্তি তোমাদের ঐক্য বিনষ্ট করতে আসে বা জামাতে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে আসে, তাহলে তাকে হত্যা করে দাও।” -মুসলিম: ৪৯০৪


    অন্য হাদিসে এসেছে,
    إذا بويع لخليفتين فاقتلوا الآخر منهما
    “যদি দুই খলিফার বাইয়াত হয়, তাহলে দ্বিতীয় জনকে হত্যা করে দাও।” -মুসলিম: ৪৯০৫


    এ হত্যা তা’যির ও সিয়াসতরূপে। এ ধরনের ব্যক্তিকে হত্যা না করলে দলাদলি দেখা দেবে। ফিতনা, মারামারি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হবে। সমাজের সার্বজনীন শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে একজনকে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে।

    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
    ومن لم يندفع فساده فى الأرض الا بالقتل قتل، مثل المفرق لجماعة المسلمين. اهـ
    “হত্যা করা ব্যতীত যার ফাসাদ ও অনিষ্ট দমন হচ্ছে না তাকে হত্যা করে দেয়া হবে। যেমন, ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজে যে (নিজেকে খলিফা দাবি করে) বিভেদ ঘটাতে চায়।” –মাজমুউল ফাতাওয়া ২৮/১০৮-১০৯

    এরপর তিনি এর পক্ষে কুরআন সুন্নাহর দলীল তুলে ধরেন।


    বাগিদের ব্যাপারে এখানে কথা বাড়াবো না। আল্লাহ তাআলার তাওফিক হলে এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র লেখার ইচ্ছা আছে।

  • #2
    মাশাআল্লাহ, উপকারী পোষ্ট।
    আল্লাহ তা‘আলা আপনার সকল ইলমী খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ্ খুবই উপকারি পোষ্ট পেলাম,আল্লাহ্ ভাইকে খমা(ক্ষমা) করুন, ইলমে বারাকা দান করুন, সম্মানিত ভায়ের কাছে অনুরধ(অনুরোধ) থাকবে এই সিরিজের সব পোষ্ট গুলো pdf আকারে আমাদেরকে দেবেন ইনশাআল্লাহ্,
      মিডিয়া মুজাহিদ ভাইদের নিরাপদ ও সুস্থ রাখুন আমিন।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ,অনেক উপকারী আর্টিকেল ৷
        আল্লাহ আপনার মত আমাদেরকেও ইলমী যোগ্যতা দান করুন৷ আমিন
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment


        • #5
          Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
          যদি দুই খলিফার বাইয়াত হয়, তাহলে দ্বিতীয় জনকে হত্যা করে দাও।
          হাদিসটা সমস্ত খানকান সামনে টানানো দরকার ৷
          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

          Comment


          • #6
            Originally posted by আলী ইবনুল মাদীনী View Post
            হাদিসটা সমস্ত খানকার সামনে টানানো দরকার ৷
            ভাই! তাসাউফের খিলাফত আর সিয়াসাতের খিলাফত এক নয়। সিয়াসাতের খিলাফতে তাওয়াহহুদ যরূরী। কারন তা নিয়ম শৃঙ্খলার বিষয়। তাসাউফের খিলাফত বা নিয়াবত হাদীসের সনদ বা তালীমের নিয়াবতের ন্যায়। এখানে আধিক্য আসবেই। অধিকাংশ আলিমের জিহাদ বিমুখতা যদি ইলম ও মাদরাসার প্রতি দুশমনির কারণ না হয়, তা হলে খানকাহ ওয়ালাদের ভুলের কারণে খানকাহ ও তাসাওউফের সাথে দুশমনি কেন? তাসাওউফ ও তাযকিয়ায়ে নফসের মেহনত আহলুস সুন্নাহর সর্বস্বীকৃত বিষয়। ইবনে তাইমিয়া রহ. যাকে সালাফীগণ গুরুত্ব দেন; তিনিও তাসাওউফকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, চর্চা করেছেন। আমরা ঐক্যের দাবি করে উম্মাহকে যেনো বিভক্ত না করি, ব্যাথা না দেই।

            ২:১; খিলাফাহ অর্থ স্থলবর্তীতা। এর ব্যবহারস্থল পাঁচটি। ১) এক প্রজন্মের পর অন্য প্রজন্মের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠালাভ। যেমন- واذكروا إذ جعلكم خلفاء من بعد قوم نوح ২) দীন পালনের দায়িত্ব। যা সবার উপর থাকা সত্ত্বেও কেবল মুমিনগণ গ্রহণ করেছে। আদাম আ. এক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি। যেমন- إني جاعل في الأرض خليفة ৩) দীনী প্রতিনিধিত্ব। যেমন- العلماء ورثة الأنبياء এভাবে হাদীস (ও তাসাওউফ) ইত্যাদির সনদ। ৪) ইসলামী হুকুমাত বা শাসন ব্যবস্থা। যেমন- يا داود إنا جعلناك خليفة في الأرض এর দ্বারাই কোনো দার দারুল ইসলাম হয়। এটি খলীফাহ ও সুলতান উভয়ের দারকেই শামিল করে। ৫) ইসলামী ভূখণ্ড সমূহের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। যেমন- খিলাফাতে রাশিদাহ /উমাউইয়্যাহ /আব্বাসিয়্যাহ /উসমানিয়্যাহ।
            ২:২; চতুর্থ অর্থে খিলাফাহ অর্থাৎ ইসলামী শাসনকে প্রতিষ্ঠিত রাখা এবং সারা পৃথিবীকে দারুল ইসলাম বানানো ফারযে কিফায়াহ। সুতরাং দারুল ইসলামের রক্ষণাবেক্ষণ ও দারুল হারবের উপর আগ্রাসন ফারযে কিফায়াহ। আর পঞ্চম অর্থে খিলাফাহ অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী একক খলীফাহ নির্ধারণ (সামর্থ্যানুযায়ী) ওয়াজিব।

            ৪:১; বাইআহ হল বিশেষ প্রতিশ্রুতি। বাইআহ হয়: ১) বাইআতুল ইসলাম। যা ইসলামে প্রবেশের সময়। এটি মুসতাহাব। ২) শাসকের আনুগত্যের জন্য। কর্তৃত্ব গ্রহণের সময় নেতৃবৃন্দ থেকে খাস ভাবে, গ্রহণের পরে জনতা থেকে আম ভাবে। এটি ওয়াজিব। এটি ক) খলীফার জন্য। একে বলে বাইআতে উযমা। মুল্লাহ উমার র. এর বাইআহ এর কাছাকাছি ছিল। কিংবা খ) সুলতানের জন্য। যেমন- সোমালিয়া, মালি ইত্যাদির আমীরদেরকে প্রদেয় বাইআহ। ৩) বিশেষ আমল যেমন- ক) হিজরতের জন্য, খ) নুসরতের জন্য, যেমন- বাইআতে আক্বাবাহ, গ) জিহাদের জন্য, সৈন্যদের পক্ষ থেকে জামাআহ বা সেনাপতিকে। আনুগত্য বা অবিচলতার জন্য। যেমন- উসামাহ র. কে প্রদত্ত বাইআহ। হুদাইবিয়ার বাইআহ। ৪) দীনী তারবিয়াতের জন্য। যেমন- তাসাওউফের বাইআহ। হক পীরের বাইআহ। রসূল সা. কখনো কখনো নারী (ও পুরুষ) সাহাবীদের থেকে এ প্রকার বাইআহ নিয়েছেন। একই বাইআতে একাধিক প্রকার একত্র হতে পারে।

            মুখতাসার আসাসুল জিহাদ (সকল পর্ব)।
            সংক্ষেপে জিহাদ সংক্রান্ত নীতিমালা (বাংলা)।
            https://82.221.139.217/showthread.php?22227-
            Last edited by sunni jihaadi; 04-30-2021, 12:31 AM.

            Comment

            Working...
            X