Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রিয় তাওহীদবাদী ভাইদের কাছে একটি সুক্ষ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রিয় তাওহীদবাদী ভাইদের কাছে একটি সুক্ষ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।

    বর্তমান গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, জনগণ থেকে ট্যাক্স নিয়ে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, তাদের সেনাদলদের বেতন,এবং দেশের রাস্তা ঘাট ব্রিজ , এগুলোর উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, এবং এখানে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন পড়ছে,আর এগুলোর উৎস হচ্ছে একমাত্র জনগনের ট্যাক্স।
    এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি খিলাফত কায়েম হয়ে যায়,তাহলেতো আমরা জানি যে, মুসলিমদের থেকে ট্যাক্স নেওয়া জায়েজ নেই,তাহলে দেশের এতসব উন্নয়ন এবং মাসজিদ মাদ্রাসার ও মুসলিম সেনাদলদের বেতন ভাতা সবকিছুই খলিফার দাইত্তে, এগুলো পরিচালনা করতে গেলে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে, এখন এটাকাগুলোর ব্যবস্থা কিভাবে হবে?
    আশাকরি সম্মানিত ভায়েরা দলিলভিত্তিক উত্তর দিয়ে উপক্রিত করবেন।

  • #2
    সবথেকে বড় অংকের অর্থ আসবে জাকাতের খাত থেকে ৷ পাশাপাশি গণিমত,বন্দি মুক্তি আরও অন্যান্য জিনিসও সহায্য করবে ৷
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      আখি,আপনি সিরাত পড়লে উত্তরটি পেয়ে যাবেন।
      আরেকটি অনুরোধ করবো যেসব প্রশ্নের উত্তর অফ লাইনে নেওয়া যাবে সেগুলো ফোরামে না করা।
      ان المتقین فی جنت ونعیم
      سورة الطور

      Comment


      • #4
        নিজের পোষ্টতিতে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
        https://dawahilallah.com/showthread....B%26%232495%3B
        الجهاد محك الإيمان

        জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

        Comment


        • #5
          Originally posted by tawhidul islam View Post
          যদি খিলাফত কায়েম হয়ে যায়,তাহলেতো আমরা জানি যে, মুসলিমদের থেকে ট্যাক্স নেওয়া জায়েজ নেই,তাহলে দেশের এতসব উন্নয়ন এবং মাসজিদ মাদ্রাসার ও মুসলিম সেনাদলদের বেতন ভাতা সবকিছুই খলিফার দাইত্তে, এগুলো পরিচালনা করতে গেলে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে, এখন এটাকাগুলোর ব্যবস্থা কিভাবে হবে?
          উত্তর:

          স্বাভাবিক অবস্থায় জনসাধারণের উপর কোনো অর্থ ধার্য করা শরীয়তে নিষেধ। শরীয়ত মুসলমানদের এমন সব খাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে যেগুলোর পর আর অর্থ ধার্য করার প্রয়োজন পড়ে না। যেমন,

          ১. গনিমত, ফাই।

          ২. যিম্মিদের থেকে উসূলকৃত মাথাপিছু জিযিয়া এবং যমিন থেকে উসূলকৃত খারাজ।
          ৩. যিম্মি ও মুস্তামিন ব্যবসায়ীদের থেকে উসূলকৃত অর্থ। (মূল সম্পদের দশভাগের একভাগ বা বিশ ভাগের এক ভাগ।)
          ৪. মুসলমানদের যাকাত, উশর।
          ৫. গ্যাস, তেল ইত্যাদি খনিজ সম্পদ।
          ৬. মুসলমান বা যিম্মির লাওয়ারিশ সম্পদ।
          ৭. রাষ্ট্রীয় জমির ফসল বা ব্যবসার লভ্যাংশ।


          এ ধরনের সম্পদ বাইতুল মালের মূল উৎস। এগুলো দ্বারা যে শুধু হাজত পূরণ হবে তাই না, বরং দিন দিন মুসলমানদের তরক্কিও হতে থাকবে; যদি সহীহ অর্থে এগুলোর ইনতিজাম করা হয়।
          এসবের পর আর জনসাধারণের ব্যক্তিগত সম্পদে হাত দেয়ার দরকার পড়বে না।

          তবে একান্ত কোনো জরুরী হালতে যদি বাইতুল মালে কোনো সম্পদ না থাকে এবং জনগণ থেকে অর্থ সংগ্রহ ব্যতীত কোনো গত্যন্তর না থাকে, তাহলে একান্ত প্রয়োজন পরিমাণ ধার্য করতে পারবে।

          তবে এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে:

          এক.
          বাইতুল মালে কোনো ধরনের সম্পদ না থাকতে হবে।

          দুই.
          একান্ত প্রয়োজন পরিমাণ ধার্য করতে হবে। বেশি করা যাবে না।

          তিন. ধনী-গরীবে ব্যবধান করতে হবে। ধনী-গরীব সকলের উপর সমান ধরা যাবে না (যেমনটা বর্তমানে হাইওয়েগুলোতে সকল গাড়ি থেকে সমান নেয়া হয়)। প্রত্যেকের উপর এই পরিমাণ ধার্য করবে, যে পরিমাণ দিতে তার কোনো অতিরিক্ত চাপ অনুভব করতে হয় না, স্বাভাবিক আদায় করতে পারে।

          চার.
          প্রয়োজন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ধার্যকরণ বন্ধ করে দিতে হবে।

          উপরোক্ত নিয়ম-নীতির আলোকে ধার্য করলে এটাকে জুলুম বলা যায় না।

          যেমন ধরুন, দারুল ইসলামের প্রতিরোধের জন্য বা ইকদামি জিহাদের জন্য একটা মুজাহিদ বাহিনি প্রস্তুত করতে হবে, অথচ বাইতুল মালে কোনো ধরনের সম্পদ নেই। তখন যদি নিয়ম মাফিক যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ধার্য করে তাহলে এটাই ইনসাফ। জুলুম কিছু নয়।

          দারুল ইসলামের হিফাজত করা এবং কাফের রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয। ইমামুল মুসলিমিন শুধু আমাদের পক্ষ থেকে উকিল। আমাদের সহায়তা ব্যতীত তিনি কি করতে পারবেন? এমতাবস্থায় আমাদের নিজেদের ফরয আদায়ের জন্যই আমাদের ব্যক্তিগত সম্পদ কিছু কিছু ব্যয় করতে হবে। এটা জুলুম কিছু নয়। অধিকন্তু নিয়মিত জিহাদ করে যেতে থাকলে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার হতে থাকলে এ ধরনের ট্যাক্স ধরার প্রয়োজন হয়তো আসবে না কখনও। আর আসলেও হঠাৎ। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ।
            আনেক(অনেক) সুন্দর হয়েছে।
            আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment


            • #7
              মুহতারাম "ইলম ও জিহাদ" ভাই! প্রশ্ন কারী ভাই দলীলভিত্তিক মাসআলাটি জানতে চেয়েছেন, তাই আপনি যদি সে পরিমাণ সময় সুযোগ পান তাহলে দলীলগুলো উপস্থাপনের বিনীত অনুরোধ রইলো।

              এতে আমাদের দুটি লাভ হয়, এক, দলীল গুলো আয়ত্তে রাখা যায়, দুই, দলীল গুলো দেখে কিতাব পড়ার আগ্রহ ও পয়দা হয় , ফলে উম্মাহর ইলমি হালত উন্নত হবে বলে আশা করছি, ইনশাআল্লাহ

              আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন! আপনার কাজের উত্তম প্রতিদান দান করুন আমিন!
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment


              • #8
                উপরের কমেন্টে ভাইয়েরা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার আর্থিক খাত সম্পর্কে সংক্ষেপে হলেও মূল অনেকগুলো বিষয়ই বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি আরেকটি বিষয় বলতে চাই এই ব্যাপারে।
                প্রশ্নকারী ভাই বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় কোটি কোটি টাকা প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে, ইসলামী শাসনে এগুলো কীভাবে ম্যানেজ করা হবে?
                এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা দরকার যে, ইসলামী শাসনে বর্তমান শাসনের মতো এভাবে এতো টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে না ইনশাআল্লাহ। মানে, বর্তমানে যেখানে ১ কোটি টাকা খরচ হয়, ইসলামী শাসনে সেখানে খুব অল্প টাকাতে, লাখ খানেক টাকাতেই হয়ে যাবে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ।
                বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় যেভাবে অপ্রয়োজনে টাকা নষ্ট করা হয়, ইসলামী শাসনে এভাবে টাকা নষ্ট করা হবে না। সরকারি চাকুরীজীবিদের বেতন-ভাতা, সেনাবাহিনীর বেতন এগুলোও একটি পর্যায়ে কমিয়ে আনা হবে। এমনকি কেউ কেউ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কোনো প্রকার অর্থ নাও নিতে পারেন। রাষ্ট্রের শাসকও নিজে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। যেমনটা আমরা পূর্বে বিভিন্ন ইসলামী শাসকদের ক্ষেত্রে দেখেছি।
                আবার, সাধারণ বিভিন্ন সামাজিক কাজ দেখা যাবে এলাকার লোকেরা মিলেই করে ফেলেছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে টাকা নেওয়ার বর্তমানে যে একটা প্রবণতা, ইসলামী মূল্যবোধের চর্চায় তখন সেটা কমে আসবে, ইনশাআল্লাহ।
                আর, ইসলামী শাসনামলে বিলাসিতার সুযোগ রাখা হবে না, তবে দুনিয়াতে চলতে পারবেন এমন অর্থ আপনার থাকবে ইনশাআল্লাহ।

                এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত কথা বলার প্রয়োজন। আমি সংক্ষেপে একটি দিক তুলে ধরতে চাইলাম। ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ALQALAM View Post
                  মুহতারাম "ইলম ও জিহাদ" ভাই! প্রশ্ন কারী ভাই দলীলভিত্তিক মাসআলাটি জানতে চেয়েছেন, তাই আপনি যদি সে পরিমাণ সময় সুযোগ পান তাহলে দলীলগুলো উপস্থাপনের বিনীত অনুরোধ রইলো।
                  মুহতারাম ভাই- আসলে এখানে ‘ইলম ও জিহাদ’ ভাই কথাগুলো দলিলের আলোকেই বলেছেন। যদিও মূল উৎস হয়তো বলেননি। আর প্রত্যেক কথার-ই যদি দলীল দিতে হয়, তাহলে তো একটু কঠিন-ই বটে।
                  আমার ব্যক্তিগত খেয়াল হল: সব ব্যাপারে দলিল-প্রমাণ না খুঁজে, শরীয়াহর আলোকে যে কথাগুলো বলা হয়, তা মেনে নিলেই ভাল হয়। তবে হ্যাঁ, কোথাও যদি কোন কথা খেলাফে শরীয়ত মনে হয়, তাহলে তো অবশ্যই দলীল খুঁজে নিতে হবে।
                  মুহতারাম ভাইয়েরা- ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন আশা করি। শুকরান লাকুম
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by খালিদ মুন্তাসির View Post
                    উপরের কমেন্টে ভাইয়েরা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার আর্থিক খাত সম্পর্কে সংক্ষেপে হলেও মূল অনেকগুলো বিষয়ই বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি আরেকটি বিষয় বলতে চাই এই ব্যাপারে।
                    মাশাআল্লাহ, খালিদ মুন্তাসির ভাই অনেক সুন্দর কমেন্ট করেছেন।
                    আমি ভাইয়ের কমেন্টের উপর ভিত্তি করে আরেকটি কথা বলতে চাই। সেটা হলো: বর্তমানে প্রচলিত শাসনব্যবস্থায় যেভাবে সমুদ্র চুরির মত দুর্নীতি হয়, ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে তা হবে না, ইনশা আল্লাহ। যার দরুন অল্প বাজেটেই প্রকল্প/কাজ সমাধা হয়ে যাবে।
                    বর্তমানের তাগুতি শাসনব্যবস্থায় তো যেকোন প্রকল্পে খালি বাজেট বাড়ে আর সময়সীমা বাড়ে। ম্যাপে ভুল হয় আবার করা লাগে,ইত্যাদি।
                    আশা করি আরেকটু স্পষ্ট হয়েছে।
                    আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment


                    • #11
                      জাযাকাল্লাহু খাইরান,আল্লাহ্ তায়ালা ভাইদের ইলেমে বারাকাহ দান করুক, আমীন,,,,,,

                      Comment


                      • #12
                        jazakallahu khayer, allah vaider elme barakah dan korun,ebong tawhider pothe amader sokolke kobul korenen,,,

                        [পোস্ট-কমেন্ট বাংলায় লেখা উচিত।]

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by খালিদ মুন্তাসির View Post
                          -----------------
                          খালিদ মুন্তাসির ভাই!আপনার চমৎকার খিয়ালের জন্য জাঝাকাল্লাহ ৷
                          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

                          Comment

                          Working...
                          X