Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৫ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১১ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৫ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১১ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    কুফরী আদালতের রায়কেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল সন্ত্রাসী যোগি



    ভারতের উত্তরপ্রদেশে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মিথ্যা অভিযোগে ওই রাজ্যের সরকার অভিযুক্তদের ছবি ও নাম-ধাম দিয়ে যে সব বিশাল বিলবোর্ড রাজধানী জুড়ে লাগিয়েছে, আদালতের স্পষ্ট নির্দেশের পরও সেগুলো সরানো হয়নি।

    গতকাল সোমবার (৯ মার্চ) যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ওই সব ফেস্টুন লাগানোর সিদ্ধান্তকে নাগরিকদের ‘ব্যক্তি স্বাধীনতার লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেগুলো সরিয়ে দিতে বলেছিল।

    কিন্তু রায়ের পর চব্বিশ ঘন্টারও বেশি কেটে গেলেও লখনৌতে সে সব বিলবোর্ড এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। পাশাপাশি *হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতৃত্ব ও রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারাও এই ‘নেমিং অ্যান্ড শেমিং’-য়ের পক্ষে ক্রমাগত সওয়াল করে যাচ্ছেন।

    সোমবার বিকেলে এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে যে রায় দিয়েছে তা ছিল অনেক দিক থেকেই বিরল। প্রথমত, অভিযুক্তদের নাম ও ছবি এভাবে প্রকাশ করার বিরুদ্ধে আদালত কারও পিটিশন দাখিলের অপেক্ষা করেনি, তারা ব্যবস্থা নিয়েছে নিজে থেকেই। এমন কী, মামলার শুনানি হয়েছে রবিবার ছুটির দিনেও।

    এ বিষয়ে বিচার করার কোনও এক্তিয়ার আদালতের নেই, উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই যুক্তিও খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছে এটা আসলে প্রশাসনের ‘নির্লজ্জ কর্মকান্ডের’ নিদর্শন। কিন্তু এর পরও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আদিত্যনাথ সরকার একটি বিলবোর্ডও এখনও পর্যন্ত সরায়নি।

    বরং মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা শলভমণি ত্রিপাঠী জানাচ্ছেন, “পোস্টারের এই মুখগুলোকে তো আমরা সবাই চিনি – এরাই তো লখনৌ আগুন লাগাতে চেয়েছিলেন।”


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34304/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দিল্লিতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের হত্যাকাণ্ড গুজরাট গণহত্যা থেকেও ভয়াবহ



    সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে উগ্র সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী কর্তৃক মুসলমানদের ওপর চালানো সহিংসতায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী নিহতে সংখ্যা ৫৩ জন। সহিংসতা চলাকালীন নিহতের সংখ্যা ৪০ জন থাকলেও পরে নর্দমা থেকে এবং রাইসমিলের ছাই-এর নিচ থেকে অনেক লাশ উদ্ধার হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে ৫৩ তে দাঁড়িয়েছে। খুন করে লাশ গোপন করে রেখে দেওয়ায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। অনেকে আশঙ্কা করছেন নিহতের সংখ্যা শ ছাড়িয়ে গেছে।

    খুন করা ছাড়াও স্থানীয় মুসলমানদের ঘরবাড়ি এবং দোকানপাঠে ব্যাপক লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। লুঠপাট এবং সহিংসতার তীব্রতা হামলা চলাকালীন আত্মরক্ষার জন্য হিন্দুদের বাড়িতে গেরুয়া পতাকা ঝুলানোর ঘটনা থেকেই আন্দায করা যায়।

    ভারতে দাঙ্গার নামে মুসলমান হত্যা নতুন কিছু নয়। এই শতকের গোড়ার দিকেই দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কসাই নরেন্দ্র মোদির গুজরাটে তারই মদদে ভয়াবহ মুসলিম নিধন করা হয়েছিল। সেবার ২ হাজারের অধিক মুসলমানকে কুপিয়ে, পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এর আগেও ৪৭ এ দেশভাগ পরবর্তী সময়ে এবং অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর টার্গেট করে করে মুসলমান মারা হয়েছিল। পরে হত্যাকাণ্ড বৈধতার জন্য একটি সুন্দর শব্দবন্ধ যোগ করে দেওয়া হয়েছিল ঘটনাগুলোর শুরুতে- সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।

    পরিসংখ্যানের বিচারে গুজরাটের গণহত্যা এবং দেশভাগ পরবর্তী গণহত্যাকে ভয়াবহ এবং সে তুলনায় দিল্লির সাম্প্রতিক সহিংসতাকে নগন্য মনে করা হলেও বাস্তবতার বিচারে দিল্লি হত্যাকাণ্ড নগন্য কোনো ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপট অন্তত সে কথা বলে না। সহিংসতায় যারা মারা গেছেন তারা বরং বেঁচে গেছেন কিন্তু যাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে জমি দখল করা হয়েছে তাদের শুরু হয়েছে অনন্তের দুর্ভোগ। আক্ষরিক অর্থে তাদের অনেকে এখন ভারতের নাগরিক নন। ঘরবাড়ি হারিয়ে তাদের শুরু হল এখন অনিশ্চয়তার জীবন। কিছুদিনের মধ্যেই হয়ত তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে কিংবা ঠেলে দেওয়া হবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে।

    সবচেয়ে ভয়াবহ হল, দিল্লি হত্যাকাণ্ড গোটা ভারতের সকল মুসলমানের মনোবলের জন্য চরম আঘাত স্বরূপ। এনপিআর, এনআরসি এবং সিএএ’র গ্যাড়াকলে ফেলে মুসলমানদেরকে ভারত থেকে বিতাড়নের যে মেন্টাল গেইম, দিল্লির সহিংসতা তার শরীরি ভাষা। বিজ্ঞজনেরা আশঙ্কা করছেন, দিল্লির ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভারতের রাজ্যে রাজ্যে হবে।

    সিএএ বিরোধী শাহিনবাহের তুমুল আন্দোলন বানচাল করতে দিল্লিতে চালানো এ গণহত্যা এ অগ্রিম সতর্কবার্তা সমস্ত রাজ্যের মুসলমানদেরকে দিয়ে রেখেছে যে, চুপ থাকো, নিরব থাকো- নতুবা দিল্লি থেকে পরিণতি ভিন্ন হবে না।

    সুতরাং দিল্লির ঘটনাকে মুসলমানদের গৃহহীন, ভূমিহীন এবং দেশহীন করার গভীর ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত আক্রমণের প্রথম প্রকাশ বলা যেতে পারে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34308/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বৃদ্ধা নারীকে রডের ছ্যাঁকা দিয়ে বর্বরতা চালাল হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সন্ত্রাসী



      ডাইনি* অপবাদ দিয়ে এক লোধাশবর সম্প্রদায়ের বৃদ্ধার ওপর গরম লোহার রড নিয়ে বর্বরতা চালাল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিজেপি নেতা। খবর- আজকাল

      ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলের খুদমরাই অঞ্চলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে।

      সারা শরীরে গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা আর মারধরের আঘাত নিয়ে সাঁকরাইলের ভাঙাগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি আছেন ওই বৃদ্ধা। অত্যাচারিত ওই বৃদ্ধার নাম চম্পা আড়ি। বাড়ি ওই থানার বাগমারি গ্রামে।

      রবিবার (৮ মার্চ) বিকেলে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে। বৃদ্ধা একাই থাকেন বাড়িতে। লাগোয়া গ্রাম ভালুকিশোলে বসবাস করে বিজেপি–র খুদমরাই অঞ্চল কমিটির নেতা রবীন্দ্র হাঁসদা এবং তার পরিবার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে রবীন্দ্র ও তার দলবল চম্পাদেবীকে তাঁর বাড়ি থেকে টেনে–হিঁচড়ে পাশের গ্রাম ভালুকিশোলে রবীন্দ্রর বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর রবীন্দ্র–সহ ৫–৬ জন মিলে বৃদ্ধাকে প্রথমে প্রচণ্ড মারধর করে। এরপর চলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গরম রডের ছ্যাঁকা। গরম রডের ছ্যাঁকায় হাত, পা–সহ বিভিন্ন জায়গার চামড়া পুড়ে উঠে গেছে। অত্যাচার চালানোর পর ওই বৃদ্ধাকে তাঁর ঘরে পৌঁছে দেয় অভিযুক্তরা। ব্যথা, যন্ত্রণা আর অপমানের জ্বালা নিয়ে নিজের ঘরে ডুকরে ডুকরে কাঁদেন চম্পা আড়ি।

      এ প্রসঙ্গে সাঁকরাইল ব্লক যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু ঘোষ বলেন, ‘*খুদমরাই অঞ্চলের বিজেপি নেতা রবীন্দ্র হাঁসদা লোধাশবর সম্প্রদায়ের মহিলা চম্পা আড়ির ওপর নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে। বিজেপির মুখ আর মুখোশ ধরতে পেরেছে মানুষ।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34332/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শিশু ও নারীসহ ১৫ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করল মিয়ানমার পুলিশ, ২বছর কারাদণ্ড



        লাখ লাখ রোহিঙ্গা গণহত্যা,অত্যাচার,নির্যাতন ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে গত বেশ কয়েক বছরে মিয়ানমার ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদ্বাস্ত হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। যাদের সবচেয়ে বড় অংশটি আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে।

        মিয়ানমারের রাখাইন ও আরাকানে প্রদেশে এখনো কিছু কিছু মুসলিম রয়েছেন। যাদের অনেকেই নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করেছেন “রেডিও ফ্রী এশিয়া “।

        মিয়ানমারের পুলিশ জানায়,৮জন পুরুষ ৭জন নারী ও একজন শিশু সহ গত ৬মার্চ ১৬জনের মতো একটি দল মিয়ানমার ছেড়ে মালয়েশিয়া পালানোর সময় পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। পরে তাদের প্রত্যেককে ২বছর করে কারাদন্ড প্রদান করে।

        অভিবাসন কর্মকর্তা অং পাই পাই সো জানান,তাদেরকে মিয়ানমারের মধ্য ম্যাগওয়ে অঞ্চলের মিনহলা এলাকায় একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়। তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সাক্ষ্যপ্রমাণের প্রয়োজন পরেনি। কারণ তাদের কাছে বৈধ কোন কাগজপত্র ছিল না।

        আট জন পুরুষ এবং সাতজন মহিলাকে মিয়ানমারের অভিবাসন আইনের ৬(৩) ধারার অধীনে স্থানীয় আদালতে দণ্ডিত করে তাৎক্ষণিকভাবে থাইয়েট কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল এবং ছয় বছর বয়সী এই শিশুটিকেও পিতা মাতা থেকে আলাদা করে ম্যাগওয়ে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছিল।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34318/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা



          উখিয়ায় কুতুপালং মধুরছড়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খবর-বাংলা ট্রিবিউন

          আজ বুধবার (১১ মার্চ) বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মো. ইউসুফ (৩৭) নামের ওই যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। নিহত ইউসুফ মধুরছড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের শামসুল হকের ছেলে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34325/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            পাকিস্তানে বরফধসে ৪জনের মৃত্যু; আহত ২৯



            উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি গ্রামে বরফ ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছে। (আনাদোলু এজেন্সি)

            মঙ্গলবার (১১ মার্চ) পুলিশ ও স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

            স্থানীয় টিভি চ্যনেল জিও নিউজ জানিয়েছে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র নাথিয়া গলির কুন্ডলা গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

            অজানা সংখ্যক যাত্রী বহনকারী একটি গাড়ি বরফ ধসের কবলে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34329/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              করোনা: চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানতে থার্মাল স্ক্যানার নেই



              চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শনাক্তে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে কোনো থার্মাল স্ক্যানার নেই। এই দু’টি স্থানে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ভাইরাস শনাক্তে শুধু হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়েই কাজ চলছে।

              জানা যায়, শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে থাকেন। তাদের জন্য মাত্র ৯ জন পালা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। যা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

              বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ সালে এখানে একটি থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়। যা গত সাত মাস আগে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে করোনা শনাক্তে এখন ৫টি হ্যান্ডহেল্ড মেশিনই ভরসা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো থার্মাল স্ক্যানার নেই।

              চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, সেখানে করোনা শনাক্তে কোনো থার্মাল স্ক্যানার নেই। এক্ষেত্রে বন্দরে আসা বিদেশ ফেরত জাহাজগুলোতে থাকা নাগরিকদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রেখে তারপরই বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34313/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                দেশে ব্যাংকিং খাতে তিন মাসে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা



                দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলছে। একদিকে সরকারি খাতে বেশি ঋণ যাচ্ছে, অন্যদিকে আগে বিতরণ হওয়া ঋণ আদায় হচ্ছে না। ওইসব খেলাপি ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনও রাখতে হচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতিতে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।

                তথ্য অনযায়ী, গত বছরের (২০১৯) সেপ্টেম্বর শেষে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বরে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকায়। মূলধন ঘাটতিতে থাকা মোট ১২টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টি সরকারি, ৪টি বেসরকারি, একটি বিদেশি এবং দুইটি বিশেষায়ীত ব্যাংক। এদের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোতে ঘাটতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ডিসেম্বর শেষে মোট ১০ হাজার ৭৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা মূলধন ঘাটতিতে সরকারি খাতের ৫টি ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে ২ হাজার ৫৭৩ কোটি, বিশেষায়ীত ব্যাংকগুলোতে ১০ হাজার ১৯৯ কোটি এবং বিদেশি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি প্রায় ৬২ কোটি টাকা।

                সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে বড়ো সমস্যা খেলাপি ঋণ। আর খেলাপি ঋণের কারণেই মূলধন ঘাটতিও বাড়ছে। বেসরকারি ব্যাংকে ঘাটতি বেশি না হলেও সরকারি খাতে ঘাটতি অনেক বেশি। সরকারি ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের ঘাটতি পূরণ করা হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে, যা মোটেও উচিত নয়। এটি বন্ধ করা উচিত।

                কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তিন মাস আগে (সেপ্টেম্বর) মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ ২২ হাজার কোটি টাকা কমেছে।

                খেলাপি ঋণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই মূলধন ঘাটতি বাড়ে। কিন্তু এবছর খেলাপি কমলেও মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। এবিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবীদ জাহিদ হোসেন অর্থসূচককে বলেন, এবারের খেলাপি কমার কারণ হল রিশিডিউল। সেকারণেই মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। তাছাড়া মূলধনের পর্যাপ্ততা বাড়াতে হলে পরিচালন মুনাফা বাড়াতে হয় অথবা নতুন আমানত বাড়াতে হয় অথবা লভ্যাংশ কমাতে হয়। এর কোনোটাই ঘটেনি। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে মূলধন ঘাটতি বৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক।

                মূলধন ঘাটতিতে থাকা সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোনালী ব্যাংকের। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৫ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। এছাড়া জনতা ব্যাংকের ২ হাজার ৪৯০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১ হাজার ২৯৪ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ২০১ কোটি এবং বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৯৬১ কোটি টাকা। বেসরকারি চারটি ব্যাংক মিলে আড়ায় হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মূলধন ঘাটতি রয়েছে ৬২ কোটি টাকা। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৯ হাজার ৪১১ কোটি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৭৮৮ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি রয়েছে।

                ব্যাংকগুলোর শেয়ারহোল্ডার বা মালিকদের জোগান দেওয়া অর্থই মূলধন হিসেবে বিবেচিত। সারা বিশ্বে ব্যাসেল কমিটি প্রণীত আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে একটি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি সে পরিমাণ মূলধন রাখতে হচ্ছে।

                সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনেক দিন ধরেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরছে না। উদ্যোক্তারা নতুন করে বিনিয়োগে আসছেন না। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অনেকেই শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। আর ব্যাংকের বেশির ভাগ ঋণই যাচ্ছে সরকারের ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাত ঋণ পাচ্ছে না। আবার আগে বিতরণ হওয়া ঋণের টাকাও ফেরত পাচ্ছে না ব্যাংক। ফলে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/11/34316/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ আপনি মুসলামনদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                  ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                  Comment

                  Working...
                  X