Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    এক বছর পরও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বৃদ্ধি নিউজিল্যান্ডে



    ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে নির্বিচারে গুলিবর্ষণের বছরপূর্তির কয়েক দিন আগেও নিউজিল্যান্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মুসলিম ও তাদের মসজিদে আরো হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। এনক্রিপটেড মেসেজিং অ্যাপে পাঠানো একটি ছবিতে চোখ আর ঠোঁটের অংশ ছাড়া মুখমণ্ডলের পুরোটা ঢাকা বালাক্লাভা ক্যাপ বা কালো মুখোশ পরিহিত এক ব্যক্তিকে গত বছর হামলার শিকার আল নুর মসজিদের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা গেছে; তার সাথে ছিল হুমকি ও বন্দুকের ইমোজি।

    গত বছর ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় দু’টি মসজিদে সন্দেহভাজন এক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ওই ভয়াবহ হামলার পর থেকে নিউজিল্যান্ডে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক অপরাধ এবং অভিবাসীদের অপছন্দ ও তাদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে, মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে হুমকি সেসবরেই সর্বশেষ নজির। ব্রেন্টন টারান্ট নামের ওই বন্দুকধারী কেবল আধা-স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিই চালায়নি; মসজিদে হামলার পুরো ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করে ছড়িয়েও দিয়েছে। খবরঃ নয়া দিগন্তের

    অস্ট্রেলীয় নাগরিক টারান্টের বিরুদ্ধে আল নুর মসজিদ ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারে হামলা, হত্যার ৯২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। চলতি বছরের জুন থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করা এ তরুণের বিচার শুরু হওয়ার কথা।

    নিউজিল্যান্ডে মুসলিম নারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই এ কাউন্সিল সরকারকে সতর্ক করে আসছিল। গত বছরের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করা এ জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী তাদের ওয়েবসাইটে ‘ইউরোপিয়ান নিউজিল্যান্ডারদের জন্য একটি কমিউনিটি গড়ে তোলার’ ওপর জোর দিয়েছে। আটক তরুণের কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে অ্যাকশন জিল্যান্ডার। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘অপরিপক্ব ও অনুৎপাদনশীল কাজ; আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে সহিংসতাকে ব্যবহার করি না।’

    অ্যাকশন জিল্যান্ডারের মতো ৬০ থেকে ৭০ গোষ্ঠী নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের বর্ণবাদী ও বিদ্বেষমূলক ভাবনার প্রসার ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ম্যাসি ইউনিভার্সিটির পল স্পুনলি। তার এ বক্তব্যের সুর শোনা গেছে নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দা প্রধান রেবেকা কিটেরিজের কথাতেও। গত মাসে অ্যাডুর্নের সভাপতিত্বে সংসদীয় এক কমিটির বৈঠকে রেবেকা জানান, ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর থেকে কট্টর ডানপন্থীরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে হুমকি হয়ে আবির্ভূত হতে পারে এমন ৩০ থেকে ৫০ জন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে আছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে বন্দুক হামলা চালায় স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থী সন্ত্রাসী অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টনের ওই হামলায় নিহত হন ৫১ জন মুসলিম। তার পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি বন্দুকের লাইসেন্স ছিল। মাথায় স্থাপন করা ক্যামেরা দিয়ে পুরো হামলার ঘটনা সরাসরি ইন্টারনেটে প্রচার করছিল হামলাকারী। বন্দুকধারী এক মসজিদে হামলার পর প্রায় ৫ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে আরেকটি মসজিদে গিয়ে হামলা চালিয়েছিল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34428/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার লন্ডনে ছুরিকাহত চার কিশোর



    পূর্ব লন্ডনে মারামারির এক ঘটনায় চার কিশোর ছুরিকাহত হয়েছে। ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় পূর্ব লন্ডনের ওয়ালথামস্টো এলাকার থ্রোনবুরি ওয়েতে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটে।

    আহত ওই কিশোরদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাদের জীবন শঙ্কামুক্ত বলে বৃহস্পতিবার এক টুইটে জানিয়েছে পুলিশ। খবরঃ যায়যায়দিন


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34413/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গেরুয়া সন্ত্রাসীদের বিদ্বেষের আগুনে জ্বলল মসজিদ-মাদরাসা



      ‘১৭ মিনিটে মসজিদ ভেঙেছি, আইন করতে কত সময় লাগে? আমি প্রথম রাজনীতিতে আসার পর মথুরায় বলেছিলাম, অযোধ্যা, মথুরা, কাশীর দরকার নেই, দিল্লির জামে মসজিদ ভাঙো। সিঁড়ির নীচে যদি মূর্তি না পাওয়া যায় তাহলে আমাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিও। ওই বক্তব্যে আমি অটল রয়েছি।’

      এভাবেই উত্তেজিত ভাষণ দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতা সচ্চিদানন্দ হরি সাক্ষী মহারাজ। এটা ২০১৮ দিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপির এক জনসমাবেশের কথা। তার একবছরের মাথায় বাবরি মসজিদ নিয়ে হিন্দুদের পক্ষে সাজানো রায় দেয়া হল হাইকোর্ট থেকে। উগ্র হিন্দুদের মনের শখ তবু পুরণ হল না যেন। তারা আরও মসজিদ ভাঙতে চায়। ধর্মান্ধতায় বুঁদ হয়ে থাকা জাতিকে উস্কে দিয়ে ভোট কামানো নেতারা ঘোষণা দিলেন, সামনে পুনরায় ক্ষমতা এলে তারা ৫৪ টি মসজিদ গুড়িয়ে দেবেন। কারণ সেগুলো সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর যত দিন যায়, ততই এগুতে থাকে ‘মুসলিম শূন্য রামরাজ্য’ গড়ার স্বপ্ন। এগুতে থাকে একের পর এক মুসলিমবিরোধী হিংস্র পলিসি ও এজেন্ডা।

      মসজিদের মিনারে হনুমানের পতাকা

      সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবি ভারতবর্ষের মুসলমানদের অস্থির করে তুলছে। ছবিটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক সন্ত্রাসী দিল্লির একটি মসজিদের মিনার ভেঙে সেখানে প্রথমে হনুমানের ছবি সংবলিত একটি পতাকা উত্তোলন করছে। তারা মিনারে অবস্থিত একটি মাইকও ভেঙে ফেলছে। পরে সেখানে একটি ভারতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়।

      এর আগে শত শত সন্ত্রাসী হিন্দু দিল্লির অশোকনগর এলাকায় জড়ো হয় এবং ‘জ্যায় শ্রীড়ি আম’ বলে মসজিদে হামলা চালায় ও আগুন লাগিয়ে দেয়। শুধু অশোকনগরের ওই মসজিদে হামলার ঘটনাই নয়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে পুরো দিল্লি অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে।

      মসজিদের মিনার ভেঙে সেখানে হনুমানের ছবি সংবলিত পতাকা উত্তোলন কিংবা ‘জ্যায় শ্রীড়ি আম’ বলে মসজিদে হামলার ঘটনা ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী হিন্দুদের দ্বারা বাবরি মসজিদে হামলা ও তা ধ্বংস করে দেয়ার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ১৫২৮-২৯ সালে এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সন্ত্রাসী হিন্দুদের দাবি, ওই মসজিদের নিচে হিন্দু দেবতা রামের একটি মন্দির ছিল। বাবরের সেনা কর্মকর্তা মীর বাকী তথাকথিত ওই মন্দিরের ওপরই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ৪৬৪ বছর ওই মসজিদের অস্তিত্ব থাকলেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আহ্বানে উগ্রপন্থী হিন্দুরা সেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতজুড়ে মুসলিম নিধন ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন শত শত মানুষ। দিল্লির অশোকনগরে মসজিদে আগুন লাগানো এবং সেখানে হনুমানের ছবি সংবলিত পতাকা উত্তোলন করার ঘটনা বাবরি মসজিদের ঘটনাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দিল। ওই ঘটনার জের ধরে দিল্লিতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের গণহত্যা ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে এ পর্যন্ত ৬৯ জনের বেশি নিরীহ মুসলমান শহীদ হয়েছেন।

      মসজিদ মাদরাসা : হামলার প্রথম শিকার

      কী পরিমাণ মসজিদ ও মাদরাসা হিন্দুত্ববাদী হামলার শিকার হয়েছে, তার নির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও ছোট্ট একটি নমুনা থেকে তা সহজেই অনুমেয়। কিছুদিন আগে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে আরএসএসের পরিচালিত একটি স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতীকী দৃশ্য মঞ্চায়ন করা হয়েছিল। যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, আরএসএস পরিচালিত একটি স্কুলে বাবরি মসজিদের একটি প্রতীকী ছবি তৈরি করা হয়েছে। সে ছবিটি ধ্বংস করতে ছোট ছোট ছাত্রদের বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। প্রতীকী এ বাবরি মসজিদ ভাঙতে ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। মসজিদের প্রতীকী ছবিটি ঘিরে তৈরি করা হয় বলয়। বেশকিছু শিক্ষার্থী ওই প্রতীকী ছবিটা ঘিরে রেখেছে। চারদিকে গেরুয়া পতাকা উড়ছে। কিছুক্ষণ পরই প্রতীকী ঘিরে রাখা ছাত্ররা ভেঙে ফেলছে সেটি।

      যে সমাজে ছোটকাল থেকে শিশুরা গড়ে ওঠছে চরম হিংস্রতা আর উগ্রবাদের সবক নিয়ে, সে সমাজের পরিণত শ্রেণির চরিত্র যে কতটা ভয়াবহ তা বলাই বাহুল্য। এরকম একটি সমাজে সংখ্যালঘু মুসলিমদের জীবন ও ধর্ম কতটা হিংস্রতার শিকার তার কোন ইয়ত্তা নেই। সেখানে প্রাণঘাতী মুলিম নিধনের ইন্ধন যোগানো হচ্ছে প্রকাশ্যেই। সারা বিশ্বের চোখের সামনে ঘটনাগুলো ঘটতে শুরু করেছে। প্রকাশ্য যোগাযোগমাধ্যমে পুরুষদের প্রতি বিজেপি নারীনেত্রীর মুসলমান নারীদের জনসম্মুখে রাস্তায় গণধর্ষণের আহ্বান, নেতার মুসলিমমুক্ত ভারত গড়ার প্রকাশ্য ঘোষণা, শাসকদলের সভাপতির ‘মুসলিম বাঙালিদেরকে’ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করার হিংস্র হুমকি, বিতর্কিত এনআরসি দিয়ে মুসলিমদেরকে বহিষ্কারের দুরভিসন্ধি, মুসলমান হওয়ার ‘অপরাধে’ ও গোমাংস ভক্ষণের ছুতোয় সত্য-মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগে যত্রতত্র মুসলমান নিবর্তন-নিধনের উসকানি–এসব যেন মহামারি আকার ধারণ করেছে ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশধারী ভারত রাষ্ট্রে।

      প্রতিকারের চেষ্টার শতগুণ বেশি সেই উসকানি। তার ওপর সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতা পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রের। ভয়াবহ গণহত্যার আশঙ্কায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে সর্বদাই। বাসা-বাড়ি থেকে নিয়ে বাজার বন্দর পর্যন্ত কোথাও নিরাপত্তা বোধ করছে না ভারতীয় মুসলিমরা। অপরাধীদের নামে লোকদেখানো মামলা হচ্ছে, কিন্তু বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। কিংবা হচ্ছে না কোন মামলাই। এ সবই ঘটছে সারা দুনিয়ার সামনে। দিল্লিতে ভয়াবহ এ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে এমন সময় যখন সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সফরে এসেছে। যে নিজেও কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী। অনেকের মতে, মোদি অনেক অংশেই ট্রাম্পের রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত। এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় ভারতীয় অনলাইন মিডিয়া Scroll-এর মন্তব্য উল্লেখ্য। মন্তব্যটা ছিল অনেকটা এ রকম- ‘Anti-Muslim sentiment permeates policies of both India and US’ (Feb 24. 2020)।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34443/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যাওয়ার কোন জায়গা নেই :নিপীড়িতদের মুখে দিল্লী গণহত্যা



        দিল্লিতে সম্প্রতি গেরুয়া সন্ত্রাসীদের যে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। একে একচোখা দাজ্জালী মিডিয়াগুলো দাঙ্গা বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও তা আসলে দাঙ্গা নয়। প্রধানত মুসলমানরা আক্রান্ত হলেও নিহতদের ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ পাচ্ছে না বা প্রকাশ পেতে দেওয়া হচ্ছে না। ছবি প্রকাশেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। চেপে রাখা হচ্ছে নির্যাতনের প্রকৃত বাস্তবতা। এই লেখায় আমরা ভিক্টিমদের জবানিতে সহিংসতার বয়ান দেবার চেষ্টা করবো।

        ফারুকিয়া মাদরাসা-মসজিদ : অসহায় নিরপরাধ কুরআনী শিশুর মৃত্যু

        ‘দেখুন, এখানে নিরীহ শিশুদের রক্ত পড়ে আছে। আমরা কার কী ক্ষতি করেছিলাম, আমাদের কুরআনকেও শহীদ করা হলো? নামাজ পড়তে থাকা মানুষদের ওপরও ওরা গুলি চালালো। অথচ বিপদের সময় আমরা কলোনি থেকে হিন্দু ভাইদের নিরাপদে বের করে এনেছি। তারা বাইরে থেকে মাদরাসায় পড়তে আসা ছোট ছোট বাচ্চাদের ওপরও এভাবে হামলা করে । আরএসএস সামনে, পেছনে উগ্র জনতা। ফায়ারিং করে ভয় দেখিয়ে আমাদের পিছনে ঠেলে দেওয়া হয়। তারপর জনতা এসে মসজিদের তালা ভাঙ্গে। গোটা সময়টা অন্ধকারে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশের লোকজন। কাউকে তারা বাঁধা দেওয়ার কোন চেষ্টাই করেনি।’

        ‘মঙ্গলবার একুশে ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের ঠিক পর পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে। সে দিন রাতের হামলায় মসজিদে কোরআন পাঠরত তিন-চারটে নিরীহ বাচ্চা মারা গেছে, আরও বহুজন এখনো নিখোঁজ। হামলায় আরএসএসের লোকজন জড়িত ছিলো। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে তারা। আমরা অন্ধাকারে দেখলাম দিল্লি পুলিশের লোকজন দাড়িয়ে আছে। কিন্তু হামলা ঠেকানোর জন্য কোন ব্যবস্থাই তারা গ্রহন করেনি।’ বলছিলেন বিবিসিকে কয়েকজন প্রত্যক্ষ্যদর্শী।

        প্যান্ট বনাম ধর্মপরিচয়

        অন্য সবদিনের মতো দুই হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে আরশাদ মোটরসাইকেলে চলছেন কর্মস্থলে। সামনে জটলা। বন্ধুদ্বয়ের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে জটলার ভেতরে থাকা গুরু তাদের ছেড়ে দিল। এবার আরশাদের পালা।

        “ধর্মপরিচয় প্রশ্নে আরশাদ যখন চুপ, কিছু উগ্র হিন্দু তার প্যান্ট নামিয়ে দিল। একপর্যায়ে তারা নিশ্চিত হয় তার মুসলিম পরিচয়। তৎক্ষনাৎ তাকে হত্যা করা হয়।” গার্ডিয়ানকে জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী।

        পরবর্তীতে নর্দমা থেকে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয় প্রিয়জনদের সাথে শেষ সাক্ষাতের জন্য। ছয় বোনের একমাত্র ভাই আরশাদকে তখন শেষ যাত্রার শাদা কাপড়ে মোড়ানো হয়। শুধু মুখটা খোলা থাকে। বোনেরা ভাইয়ের আক্রান্ত গালে হাত দিয়ে বলছিল, উঠো, ভাইয়া উঠো ! পনের বছরের ছোট বোন উপস্থিত দর্শণার্থীদের একজনকে হিন্দু ধারণা করে তাকে বলে, “আমার ভাইয়া কত সুন্দর ছিল,তোমরা কি জান? ” “কেন তোমরা আমার ভাইকে হত্যা করলে” “দেখো, তার চেহারায় কত আঘাত, তোমরা তাকে এত নির্মমভাবে হত্যা করলে? তুমি কি জানো, আমার ভাইয়া কত সুন্দর ও ভালো মানুষ ছিল? কেন সমাজের কিছু মানুষকে তোমরা ঘৃণা করছো? তোমাদের ধর্ম কি অন্য ধর্মের মানুষদের হত্যা করতে শেখায়?”

        যে ছবি দিল্লি গণহত্যার সাক্ষ্য দেয়

        একটি লোক দু হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে উবু হয়ে বসে আছে৷ রক্তাক্ত৷ তাকে ঘিরে ধরে লাঠি, রড, হকিস্টিক দিয়ে মারছে অনেক লোক৷ দিল্লির হিংসার এই ছবিটি ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে৷ উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওই ছবিটিই বলে দিচ্ছে, দিল্লিতে ঠিক কী ঘটেছিল !

        আক্রান্ত মুহাম্মদ জুবায়ের পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে একটি সাক্ষাত্*কার দিয়েছেন৷ কীভাবে তাকে মারা হয়, কী জন্য তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, জানালেন সব৷ জুবায়েরের ভাষায়, ‘গত মঙ্গলবারের কথা৷ আমি তখন নামাজ পড়তে বেরিয়েছিলাম৷ বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি কিনে বাড়ি ফিরছিলাম ৷ হঠাৎ আমাকে ঘিরে ধরল একদল মানুষ, তাদের হাতে লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠি৷’

        জুবায়ের বললেন, ‘ হাড়গোড় ভেঙে না-যাওয়া পর্যন্ত ওরা আমাকে মেরেছে৷ আমি ওদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছিলাম৷ ওরা আমাকে ধর্ম তুলে গালিগালাজ করতে শুরু করল৷ আমি ওদের পায়ে পড়লাম, কিন্ত ওরা আমাকে মারতে থাকল। ওরা মাঝে মাঝে বিজেপি নেতা কপিল শর্মার নাম বলছিল৷ তারপর বেশি কিছু মনে পড়ছে না৷ তীব্র মার খেতে খেতে আমার মাথা তখন ঘুরছে, ভাবছিলাম আমার সন্তানরা নিরাপদে আছে তো। পরে আমার ওই ছবিটির দিকে আর তাকাতে পারিনি।”

        জুবায়ের বিবিসিকে জানান, ‘আমাকে যখন মারছিল, আমি ভয় পাইনি। তারা আমার শরীর ভেঙ্গেছে, কিন্তু আমার আত্মাকে তো নয়। কোন নির্দিষ্ট ধর্মের সাথে আমি এই ঘটনাকে সংযুক্ত করবো না। যারা এমন নিষ্ঠুর কাজ করে, তারা কোন ধর্মের অনুসারীই হতে পারে না। না মুসলিম, না হিন্দু!’

        বিবিসি উর্দুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”জানতে চান, সরকারের কাছে কী বলতে চাই? যে সরকার দাঙ্গা থামাতে পারে না, তার কাছ থেকে আমাদের কী আশা করা উচিত? ”আমাকে যখন মারধর করা হচ্ছে, তখন পুলিশকর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। দাঙ্গাবাজরা একটুও ভীত ছিল না। যেন কোন মেলা বসেছে, ওদেরকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে আমার কোন গুরুত্বই ছিল না।’

        রক্তখেকো গেরুয়াদের কবলে অশীতিপর বৃদ্ধা

        সময়টা পঁচিশে ফেব্রুয়ারি দুপুর বেলা। ঘটনাস্থল ভারতের রাজধানী দিল্লির খাজুরি খাস শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গমরি এক্সটেনশন লেন। সেখানে থাকেন মোহাম্মদ সাঈদ সালমানির পরিবার। মঙ্গলবার পরিবারের জন্য দুধ কেনার উদ্দেশ্যে বাইরে গিয়েছিলেন। এমন সময় তার ছোট ছেলে তাকে ফোন করে জানায়, ১০০-র অধিক সশস্ত্র জনতা তাদের লেনে ঢুকে পড়েছে। তারা দোকান ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। তাদের চারতলা বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়েছে।

        এ কথা শুনেই সালমানির মাথায় হাত। সে তার বাসার দিকে ছুটতে লাগল। এ সময় পাশের লেনের বাসিন্দারা তাকে যেতে বাঁধা দেয়। তারা বলে, ‘সেখানে গেলে বিপদ হতে পারে। এমনকি তারা তাকে মেরেও ফেলতে পারে। তাই অপেক্ষা করা উচিত।’ সালমানি (৪৮) একজন পোশাক ব্যবসায়ী। ছেলের ফোন পেয়ে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। কয়েক ঘণ্টা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলেন সালমানি। তিনি ভাবছিলেন, ততক্ষণে বোধহয় সব শেষ হয়ে গেছে। মারা গেছে পরিবারের সদস্যরা।

        ‘এখন আমার আর কিছুই নেই। আমি একদম শূন্য হয়ে গেলাম।’ ‘আমি দুধ কেনার জন্য বাইরে বের হওয়ার পর ঘর তালাবদ্ধ করে এসেছিলাম। নিরাপত্তার জন্যই এটা করা হয়েছিল। তবে দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে বাসায় ঢুকে পড়ে অগ্নিসংযোগ করে এবং লুটপাট চালায়।’

        ‘আমার দোকানের কর্মচারীসহ পরিবারের সদস্যরা নীচে নেমে আসেন এবং সেখানে সকলে প্রায় এক ঘণ্টা আটকা ছিলেন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।’ ‘মা বয়স্ক ছিলেন। এজন্য সবাই ঘর থেকে বের হতে পারলেও তিনি বের হতে পারেননি। ফলে আবদ্ধ ঘরে পুড়ে মারা গেছেন তিনি।’ সালমানি জানান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ডট ইনকে।

        আগুনে পুড়িয়ে দেবার চেষ্টা

        গমরি লেন এলাকায় ৯০-১০০ মুসলিম পরিবারের বসবাস। সেখানে আজিজিয়াহ নামে একটি মসজিদ রয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রায় দেড়শ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ অন্তত ২০০ মুসলিমের ওপর আক্রমণ করে। তাদের হাতে ছিল লাঠি ও পাথর। পরে মুসলমানরা প্রাণ বাঁচাতে মসজিদটিতে আশ্রয় নেয়। সারারাত মসজিদে কাটানোর পর সকালে স্থানীয় অন্যান্য মুসলমানরা তাদের উদ্ধার করেন।

        মসজিদে আশ্রয় নেয়া ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি টাইমসকে জানান, ‘তারা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে একের পর এক বাড়ি, দোকান-পাটে আগুন দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মসজিদে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। কোরআন শরিফে আগুন দেয়। এমনকি এক মুসলমানকে জীবন্ত দগ্ধও করতে যাচ্ছিল তারা। তবে স্থানীয় এক হিন্দু পরিবারের বাঁধায় তা সম্ভব হয়নি।’


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34436/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতের হুগলি নদীতে দুই জাহাজের সংঘর্ষ, ডুবলো বাংলাদেশি জাহাজ



          ভারতের হুগলি নদীতে দুই জাহাজের সংঘর্ষে ‘এমভি মমতাময়ী মা’ নামের একটি বাংলাদেশি জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে।

          বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকালে দেশটির কলকাতা বন্দরের দিকে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে ডুবে যায় পণ্যবাহী জাহাজটি।

          কলকাতা পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সকালে হুগলি নদী দিয়ে কলকাতা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল বাংলাদেশি জাহাজটি। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে ‘এমভি মমতাময়ী মা’ নামের জাহাজটি একদিকে কাত হয়ে যায়। পরে পানি ঢুকে মাঝ নদীতে ধীরে ধীরে ডুবে যায় জাহাজটি।

          এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মাঝ নদীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় পণ্যবাহী জাহাজটির ডুবে যাওয়া আটকানো সম্ভব হয়নি। পরে অন্য জাহাজের সঙ্গে বেঁধে টেনে পাড়ে আনা হয় ডুবে যাওয়া জাহাজটিকে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34396/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মিয়ানমারের ২০ সন্ত্রাসী সেনাকে আটকের দাবি আরকান আর্মির



            মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২০ সন্ত্রাসীকে আটক করার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতি অনলাইন জানায়, আটক সেনাসদস্যদের মধ্যে এক জন ব্যাটেলিয়ন কমান্ডারও রয়েছেন।

            আরাকান আর্মির (এএ) বরাতে তারা জানায়, মিয়ানমারের কিয়াকতাও ও পালেতওয়া টাউনশিপের মধ্যকার সীমান্তে থাকা কালাদান নদীর পূর্ব দিকে মন্ত থঅন পিইন গ্রামে যুদ্ধের পর তারা সরকারি সেনাদের আটক করে।

            আরাকান আর্মির তথ্য কর্মকর্তা খাইঙ থুখা জানায়, এই ব্যাটালিয়নটি মঙ্গলবার এসেছিল চিন রাজ্যের মিওয়া হিলটপ চৌকির শক্তি বৃদ্ধি করতে। প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল থেট নাইঙ ওওসহ ২০ সৈন্যকে আটক করেছে তারা।

            খাইঙ থুখা আরও জানান, আরাকান আর্মি আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সামরিক সদস্যদের আটক রাখবে। এছাড়া ২০ জনের বেশি মিয়ানমার সেনাসদস্যের লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এসময় তাদের সাথে অস্ত্র ও গোলাবারুদও ছিল।

            এদিকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বুধবার ইরাবতীকে বলেন, আরাকান আর্মির হামলার পর তারা তাদের সৈন্যদের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। তারা যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34399/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সিলেটে করোনাভাইরাস পরীক্ষক না থাকায় ৩ ঘণ্টা আটকা ১২ যাত্রী



              সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস পরীক্ষক উপস্থিত না থাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকা পড়েছিলেন ১২ জন প্রবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরব থেকে আসা এই যাত্রীরা ঢাকা থেকে সিলেট যান। কিন্তু ওসমানী বিমানবন্দরে থার্মাল স্কানারে করোনা পরীক্ষা করার কেউই না থাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আটকে ছিলেন তারা। খবর- কালের কণ্ঠ

              বিমানের ফ্লাইটে সিলেট যাওয়া এক যাত্রী জকিগঞ্জের রাসেল আহমদ জানান, সৌদি থেকে তারা বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সিলেট। কিন্তু বিমানবন্দরে আসার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষার কথা বলে তাদের আটকে রাখা হয়। কিন্তু চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টা তাদের বসিয়ে রাখে পুলিশ। এ কারণে তাদের নিতে আসা স্বজনরাও ভোগান্তিতে পড়েন।

              এ বিষয়ে সূত্র জানায়, ওসমানী বিমানবন্দরে আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য অ্যানালগ থার্মোমিটার ছিল। যা পুরোপুরি কাজ করছিল না। এরপর গত মঙ্গলবার নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়। এর জন্য তিনজন পরীক্ষকও নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা চলে যান।

              এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম গণমাধ্যমকে বলেন, চিকিৎসক না থাকায় যাত্রীদের আটকে রাখা হয়। এর আগে বিকেলে ঢাকা থেকে আসা বিজি-৫০৫ ফ্লাইটে আসা যাত্রীরাও স্ক্যান না করেই বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তবে ওই ফ্লাইটে কোনো বিদেশ ফেরত যাত্রী ছিলেন না। তারপরও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34393/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                পাবলিক প্লেসে হত্যা চলছেইঃ এবার ট্রেনের টয়লেটে যুবকের লাশ



                ঢাকা-আখাউড়া রেলপথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনের টয়লেটে থাকা কার্টন থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ২৫-৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

                বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস জানান, ঢাকা থেকে আসা ট্রেনটি রাত সোয়া ১০টার দিকে আখাউড়া রেল স্টেশনে আসে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করার সময় ট্রেনটির ‘ঘ’ বগিতে কার্টন দেখতে পান।

                পুলিশের উপস্থিতিতে কার্টন খুলে এতে যুবকের লাশ পাওয়া যায়। যুবকের মুখমণ্ডল অনেকটা ফোলা। শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34402/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ঝুঁকিপূর্ণ হুরাসাগর নদীর ব্রিজ, নেই মেরামতের উদ্যোগ



                  শাহজাদপুর উপজেলার ডায়া গ্রামে হুরাসাগর শাখা নদীর ক্যানেলে নির্মিত ব্রিজটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সংস্কারের অভাবে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

                  ২০০৬ সালে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ব্রিজটি এলাকাবাসীর জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরপার্শ্বে অবস্থিত এই ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে লক্কড় ঝক্কড় অবস্থায় থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী হাজার হাজার মানুষ, ডায়া বাজার, ডায়া কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকে। ব্রিজটি ক্যানেলের মাঝামাঝি নির্মিত হওয়ায় দুপাশে কাঠের পাটাতন তৈরি করে পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পাটাতনটি জরাজীর্ণ ও পচে যাওয়ার পাশাপাশি নিচের খুঁটিগুলো ভেঙে যাওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে পাটাতন ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবরঃ যায়যায়দিন

                  এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেনকে জানালে তিনি আগের মতোই আশ্বাস দিয়েছেন সংস্কার করার।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34407/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ভর্তি-ফরম পূরণ ফি কমানোসহ ৭ দফা দাবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের



                    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) অতিরিক্ত ভর্তি ও ফরম পূরণ ফি কমানো, প্রধান ফটক, টিএসসি অডিটোরিয়াম ও জিমনেসিয়াম নির্মাণসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বেরোবি শাখা।

                    বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন পার্কের মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

                    মানববন্ধনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বেরোবি শাখার সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, উত্তরবঙ্গের জনমানুষের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের ফলে গড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের রেষারেষি, স্বার্থ হাসিলের রাজনীতি, সর্বোপরি উপাচার্যের উদাসীনতার ফলে শিক্ষার পরিবেশ দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১১ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখানে পড়াশোনার পরিবেশ সেভাবে গড়ে ওঠেনি। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই ৭ দফা দাবি মেনে নিলে বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণতা পাবে।

                    বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরো বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসন কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেব। খবরঃ কালের কন্ঠের

                    মানববন্ধনে উল্লিখিত অন্যান্য দাবিসমূহ হলো; বিশ্ববিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে উপাচার্যকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে হবে। স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ ও সেশনজট মুক্ত করেতে হবে। নতুন আবাসিক হল নির্মাণ করতে হবে এবং হল ও ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিতে হবে এবং খাবারের দাম কমাতে হবে। লাইব্রেরি বর্ধিতকরণ এবং পর্যাপ্ত বইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসম্পন্ন দ্বিতীয় ধাপের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

                    সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বেরোবি শাখার সহ-সভাপতি ফেরদৌস আলমের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ আসাদুল ইসলাম, সাধারণ শিক্ষার্থী হাসিবুল আসলাম, আব্দুস সালাম, আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ। এ ছাড়া সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন বেরোবি শাখার রিনা মুর্মূ।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34420/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ইয়াবা কারবারে ধরা খেলো সন্ত্রাসী আ.লীগ নেত্রী



                      জয়পুরহাটের কালাইয়ে তানজিলা বেগম নামের এক ইউপি সদস্য ও সন্ত্রাসী মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে ইয়াবাসহ পাওয়া গিয়েছে। এসময় তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়।

                      গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার একডালা এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

                      আটক তানজিলা বেগম কালাই উপজেলা সন্ত্রাসী মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আহমেদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তার সহযোগীর নাম বাবলু মিয়া। তিনি একই উপজেলার আওড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

                      তানজিলা ও তার সহযোগী একডালা গ্রামে মাদক বিক্রি করছেন- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গ্রামে তানিজলার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

                      তানজিলা বেগম দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার সহযোগী বাবলু মিয়াকে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন বলে জানা যায়।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34414/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        ব্যাংক ব্যবস্থাকে বিপাকে ফেলে আওয়ামী সরকারের ঋণ ৭২ হাজার কোটি টাকা



                        ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে আওয়ামী সরকারের ঋণ গ্রহণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক বছরে ভারতীয় দালাল এই সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা। গত ৮ মাস ৫ দিনেই সরকার এই ঋণ নিয়েছে ৫৩ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

                        এ অস্বাভাবিক ঋণ নেয়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। আবার ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকেও আগের মতো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণ নেয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ আরো চাপে পড়ে যাবে।

                        বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি অনুযায়ী বেসরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধারে কাছেও যেতে পারবে না।

                        বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত বছরের ৫ মার্চ সরকারের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণের স্থিতি ছিল ৮৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে সরকারের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে হয়েছে ৭১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা বা প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা।
                        খবরঃ নয়া দিগন্তের

                        আবার অর্থবছরের হিসাবে, গত অর্থবছরের শেষ দিনে অর্থাৎ ৩০ জুনে সরকারের ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। আর ৫ মার্চ পর্যন্ত ঋণের স্থিতি বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা।

                        চলতি অর্থবছরের হিসাবে ৮ মাস ৫ দিনে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৩ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। অথচ পুরো অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়েছে।

                        ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, যে হারে ঋণ নেয়া হচ্ছে এই একই হারে ঋণ নিলে বছর শেষে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ ১ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।

                        কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বছরের শেষ সময়ে ঠিকদারের বিলসহ সরকারের নানা উন্নয়ন কাজের দায় পরিশোধ করতে হয়। এ কারণে শেষ মাসে ঋণ অন্য সময়ের চেয়ে বেশি নিতে হয়।

                        বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিয়েছিল প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা, সেখানে চলতি বছরের একই সময়ে তা কমে নেমেছে মাত্র ৭ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে এক-চতুর্থাংশ ঋণ পেয়েছে সঞ্চয়পত্র থেকে।

                        এ দিকে দুর্নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, গত জানুয়ারি মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, যেখানে গত বছরের জানুয়ারিতে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সামনে রাজস্ব আদায়ের চলমান প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যয় ঠিক রাখতে সরকারকে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বেশিমাত্রায় ঋণ নিতে হবে।

                        বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের ধারা অব্যাহত থাকলে মুদ্রানীতি অনুযায়ী বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধারের কাছেও যেতে পারবে না।

                        চলতি বছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। কিন্তু হালনাগাদ তথ্য মতে গত জানুয়ারির শেষে বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।

                        আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে মুখ ফিরে নিচ্ছেন। বেশি মুনাফার আশায় নানা খাতে বিনিয়োগ করছেন তারা। এ কারণেই আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। আমানতের প্রবৃদ্ধি না বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে এরই মধ্যে টাকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই ব্যাংকগুলো তাদের সঙ্কট মেটোতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপোর মাধ্যমে ধার নিচ্ছে।

                        বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকারও ওপরে ধার নিচ্ছে সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলো। এটা অব্যাহত থাকলে সামনে ব্যাংক খাতে টাকার সঙ্কট আরো বেড়ে যাবে। এর পাশাপাশি সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অধিকমাত্রায় ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ দেয়ার মতো ব্যাংকের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ হাতে থাকবে না। এতে চাপে পড়ে যাবে বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর।

                        পরিস্থিতি উন্নতি না হলে বেসরকারি বিনিয়োগ আরো কমে যাবে। এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। কাঙ্ক্ষিত হারে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রেও বাধাগ্রস্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34424/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          দুর্নীতির অন্ধকারে হারাচ্ছে বাংলাদেশ



                          বাংলাদেশের বর্তমানে গণতন্ত্রের আবরণে রাজনৈতিক নৈরাজ্যবাদের বিস্তার ঘটেছে । অপরাধ-দুর্নীতি, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, মাদক-চাঁদাবাজি, অপসংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে ভয়াবহভাবে যা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্ধকার চিত্র উঠে আসছে আন্তর্জাতিক নানা সমীক্ষায়। যাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে দিন দিন অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। আর এর জন্য প্রধানত দায়ী কথিত গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা তথা ইসলামবিরোধী রাষ্ট্রব্যবস্থা ।

                          সুশাসনের সংকট, ঘুষ-দুর্নীতি, পরিবেশগত নানা বিপর্যয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাব—এসব ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী যত সূচকই প্রকাশ পায়, প্রায় সব কটিতেই অনেক অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। উচ্চ দুর্নীতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। যেমন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৯-এ এবার ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬৬তম। ট্রেস ইন্টারন্যাশনাল নামের আরেকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তৈরি বিশ্ব ঘুষ সূচকে বাংলাদেশ ২০০ দেশের মধ্যে ১৮২তম। অর্থাৎ বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘুষখোর দেশে পরিণত হয়েছে ।

                          যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) নিয়মিতভাবে গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করে। তাদের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ‘হাইব্রিড রেজিম’ অবস্থানে। এটি হচ্ছে স্বৈরতান্ত্রিক ও ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থান। আর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) গত অক্টোবর মাসে প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবার দুই ধাপ পিছিয়ে ১৪১টি দেশের মধ্যে হয়েছে ১০৫তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রশ্নেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সর্বশেষ প্রকাশিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক ২০১৮’-এ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম।

                          সর্বশেষ ১১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিউজেপি) আইনের শাসন সূচক প্রতিবেদন-২০২০ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সূচকেও বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। বিশ্বের ১২৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। এক বছর আগেও বাংলাদেশ ১২৬টি দেশের মধ্যে ছিল ১১২তম।

                          প্রথম আলোর বিশেষ বার্তা সম্পাদক শওকত হোসেন প্রথম আলোতে লিখেছেন ,
                          “এম নিয়াজ আবদুল্লাহ ও এন এন তরুণ চক্রবর্তী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। আশির দশকের পর থেকে পোশাক খাত ক্রমান্বয়ে এগিয়ে শীর্ষস্থানে চলে এসেছে। অথচ এই সময় দুর্নীতি পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি, ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিচালনা সূচকেও পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ অবস্থার মধ্যে থেকেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত কীভাবে এগিয়ে গেল, সেটাই গবেষকেরা দেখতে চেয়েছেন।

                          এই দুই গবেষক পোশাক খাতের ৯২ জন মালিক ও ব্যবস্থাপকের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষকেরা পাঁচটি ফলাফলের কথা জানিয়েছেন। যেমন ২২ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতার মতে, ঘুষ সবচেয়ে বড় বাধা। ৩ দশমিক ৩ শতাংশ চাঁদাবাজিকে সবচেয়ে বড় সমস্যার কথা বলেছেন। দ্বিতীয়ত, ৪৯ শতাংশ বলেছেন ঘুষ ও চাঁদাবাজি কোম্পানির প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করছে। তৃতীয়ত, ব্যবসায়ীরা কর বা শুল্ক পরিহার বা আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার-ইনভয়েস (দাম কম দেখানো) করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেন। চতুর্থত, আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কী পরিমাণ অর্থ ঘুষ দিতে হবে, তা কাস্টমস কর্মকর্তারাই ঠিক করে দেন। পঞ্চমত, বিদেশি কোম্পানিও সরকারের কাজ পেতে, যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে থাকে। মোদ্দা কথা হচ্ছে ঘুষ দেওয়াকে সবাই একটি রীতি বলে মেনে নিয়েছেন।

                          একটি কাজ পেতে কত দিন লেগেছে এবং কী পরিমাণ অর্থ ঘুষ দিতে হয়েছে, তারও একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়। যেমন কোম্পানি গঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘুষ দিতে হয় ৩৪ হাজার ৩৩২ ডলার। আবার কোম্পানি গঠনের দলিল সংগ্রহ বা নানা ধরনের অনুমতি পেতে যে ঘুষ দিতে হয়, তাকে তঁারা অনানুষ্ঠানিক ব্যয় বলছেন। এর পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৩০ ডলার।

                          অনুমোদন পাওয়ার পর কোম্পানির কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ, গ্যাস, ও পানি সরবরাহ সংযোগ, টেলিফোন লাইনপ্রাপ্তি, ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন, ইত্যাদি। এসব কাজে দিতে হয় ১৪ হাজার ৮০৮ ডলার। এরপরে প্রতিটি রপ্তানির দলিলের জন্য ৫ দশমিক ৭১ ডলার ও প্রতিটি আমদানি কনসাইনমেন্টের জন্য ঘুষ দিতে হয় ১৪২ ডলার। গবেষকেরা বলছেন, মূলত এভাবে ঘুষ দিয়ে কাজ করাটাই এখানকার রীতি।

                          ২০০৫ সালে পোশাক রপ্তানিতে যখন কোটাব্যবস্থা উঠে যায়, তখন বাংলাদেশ ছিল টানা পঞ্চমবারের মতো শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। এরপর থেকে পোশাক খাতের চমকপ্রদ অগ্রগতি হলেও দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি অতি সামান্য। এমনকি সহজে ব্যবসা পরিচালনার সূচকেও বাংলাদেশ ক্রমে খারাপ পর্যায়ে গেছে। সুতরাং দুর্নীতি অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম বাধা—এই যুক্তি পোশাক খাতের ক্ষেত্রে খাটছে না। পোশাক খাতের অগ্রগতি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের সামান্য উন্নতিও আনতে পারেনি।

                          বলা হয়ে থাকে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্নীতি কমায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ায়। আর টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি ঘটায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা–ও দেখা যায়নি। ২০১৪ সালের এ বিষয়ে এক গবেষণায় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও সিমিন মাহমুদ বলেছিলেন, ১৯৯১ সালে একনায়কের শাসন থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছিল। তবে এরপর চলতে থাকা রাজনীতির সংস্কৃতি দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশের বিস্তার ঘটায়নি, একটি জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ রাষ্ট্রেরও দেখা মেলেনি। শাসনব্যবস্থার মূলে রয়েছে অকার্যকর সংসদ, তীব্র দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার অনুপস্থিতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনীতিকীকরণ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য আমলাতন্ত্র। এ ছাড়া প্রকটভাবে যা আছে তা হলো পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি, যেখানে রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আশ্রয়–প্রশ্রয় ও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ”

                          শওকত হোসেনের প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট হয় বাংলাদেশের দুর্নীতির স্বরূপ। আদর্শ ও নৈতিকতাহীন পরকাল বিমুখ প্রতারণাপূর্ণ গণতন্ত্র বা ইহজাগতিক কোনো মতবাদের সাহায্যে অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয় । দুর্নীতিমুক্ত অধিকারমুখী স্বচ্ছ সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণে ইসলাম এর কোন বিকল্প নেই । আর এই ইসলাম হীনতাই বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের দিকে ।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/13/34433/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment

                            Working...
                            X