Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৪ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৪ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    দিল্লী গণহত্যায় মালাউন পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষপাত


    প্রথমে আমাদের কাছে যথেষ্ট পাথর ছিল না । পুলিশ আমাদের পাথর এনে দিয়ে সেগুলো ছুঁড়তে বললো । -হিমাংশু রাথোড় ( আন্দোলনকারী গেরুয়া সন্ত্রাসীদের একজন )

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন । এই আইন ভারতে মনুষ্যত্বহীনতার ভয়াল রূপ নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে । সফলভাবে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য সহিংসতা । আর জন্ম দিচ্ছে প্রতিহিংসার অন্তহীন আগুন।

    এই অমানবিকতার প্রতিবাদে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল অযুত মানুষ । বিনিময়ে তারা হারিয়েছে আত্মীয়-স্বজন, কিংবা জীবনের শেষতম আশ্রয় ভিটেমাটি , সাহায্যের পরিবর্তে মোকাবেলায় দাঁড়িয়েছে জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে মাঠ-ঘাট কাঁপিয়ে সারা জীবন বন্ধু মনে করা হিন্দু জনস্রোত ; দিল্লী গণহত্যা। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কি কারো ছিলনা ? অবশ্যই ছিল । প্রশাসন ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা ছিল । তবে তাদের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে অনেক প্রশ্ন । এমন কিছু প্রশ্ন ; কয়েকটি দুঃখময় কাহিনী ও কথা নিয়ে। চলুন জেনে আসা যাক ।

    ১.

    মাথায় দগদগে রডের বাড়ি আর অমানুষিক নির্যাতন নিয়ে জানালা ভাঙা এ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে আছেন সরফরাজ আলি । ভয়ার্ত কণ্ঠে তিনি বলতে শুরু করেন –

    আমি আর আমার বাবা বাইকে করে আসছিলাম । তারপর প্রথমে তারা (পুলিশ) আমাদেরকে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দিতে বলে । এবং নাম জিজ্ঞাসা করে । আমি ভুয়া একটা নাম ঠিক করে রেখেছিলাম । সেটা বললাম । তারা আমার আইডি কার্ড চাইল । কিন্তু আমার কাছে তা ছিলনা । হঠাৎ তারা আমার হেলমেট খুলে মোটা রড দিয়ে মাথায় এক ঘা বসিয়ে দেয় । বাইক থেকে আমাদের ফেলে দেয় । আর চোখের সামনেই আমার বাইকটি দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে । অনেকক্ষণ যাবত তারা আমাকে আর বাবাকে পেটাতে থাকে ।

    ওরা মুসলিমদের চিহ্নিত করে শুধু তাদেরই মারছে । হিন্দু জানতে পারলেই ছেড়ে দিচ্ছে । আর যখন আমি ভুয়া নামটা বলেছিলাম তখন তারা আমার কথা কথা বিশ্বাস করলো না । বললো – ঠিক আছে দেখি প্যান্ট খুল !

    এরপর তিনি নিজের অশ্রু লুকানোর চেষ্টা করলেন । না তিনি পারলেন না । আর সেই এক ফোঁটা অশ্রু থেকে হাজারো মানুষের পাঁজর ভাঙা কান্নার নির্মম ধ্বনি ভেসে এলো ।

    ২.

    বাইরে প্রচণ্ড হৈচৈ শুরু হয় । বন্দে মাতরম আর জয় শ্রীরাম শ্লোগানে দপ করে জ্বলে উঠে চারপাশ । অবস্থা বেগতিক দেখে দোকানের ঝাঁপি নামিয়ে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে বসে রইলেন ব্যবসায়ী বুরা খান । সন্ত্রাসীরা এসে প্রথমে তার গাড়িটিকে জ্বালিয়ে দিল । তারপর দোকানঘর । লোকজন যখন অবিরাম পাথর বর্ষণ করছিল তখন তিনি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন । হঠাৎ কেউ একজন ভেতরে টিয়ার গাস ছুঁড়ে মারে । তিনি দোকানের পাশের দরোজা দিয়ে পালাতে চেষ্টা করেন । বাইরে বের হয়ে দোকানের দিকে ফিরে তাকান । পরক্ষণেই একটি দৃশ্যের দিকে চোখ গেলে স্তব্ধ হয়ে যান তিনি, স্থির হয়ে যায় তার সমস্ত ভাবনা। তিনি দেখেন, পুলিশ ও হামলাকারীরা একসাথে মিলে আগুন লাগাচ্ছে তার দোকানে । তখনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি । জানটুকু নিয়ে কোনভাবে পালিয়ে যান নির্দিষ্ট দূরত্বে ।পরদিন তিনি তার ভস্মীভূত দোকানের উপর দাঁড়িয়ে বলেন-দমকলের গাড়ি এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যায় । কিছুই করেনি তারা । এভাবেই আমার সব শেষ হয়ে গেলো ।

    ৩.

    ফুটপাতের পাশে ফায়জান নামের ২৩ বছরের এক যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ । নিহতের ভাই নাঈম চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন-প্রচণ্ড ব্যাথায় আমার ভাই ভালমতো বসতেও পারছিল না এবং দাঁড়াতেও পারছিল না । তার শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল । কালশিটে দাগে ভরে উঠেছিল সমস্ত দেহ । তার শরীরের এমন এমন জায়গায় মারা হয় যেগুলো কাউকে বলা যায় না ।

    ৪.

    মঙ্গলবার দুপুর । চারিদিকে সুনসান নীরবতা । শিব বিহারের পুরুষেরা কয়েক মাইল দুরে, দিল্লির আরেক অংশের একটি ইজতেমায় গিয়েছে । শুধুমাত্র নারীরাই ঘরের ভেতর ।

    হঠাৎ ৫০/ ৬০ জন লাঠি হাতে হেলমেট পরিহিত অপরিচিত লোকদের একত্র অবস্থায় দেখা যায় । তারা ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদেরকে আশ্বস্ত করে বলে-আমরা তোমাদেরকে রক্ষা করতে এসেছি । ভয় পাবা না । ঘরের ভেতরেই থাক । বের হয়ো না ।

    নারীরা জানালা দিয়ে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন । কিছুক্ষণ পরই বোঝা গেলো যে, তারা ঘরবাসীদের সাহায্য বা রক্ষা, কিছুই করতে আসেনি ।

    তারা জয় শ্রী রাম বলে শ্লোগান দেয়া শুরু করে । কয়েকটি মুসলিম বাড়ী আর একটি ফার্মেসিতে দপ দপ করে আগুন জ্বলে উঠে । হামলাকারীরা ট্রান্সফরমার ভাঙচুর করে এবং ধুলায় পুরো এলাকা আচ্ছাদিত হয়ে যায়।

    নাসরীন আনসারী নামক এক নারী বলেন-তারা মুসলমানদের দোকান এবং বাড়িঘর লক্ষ্য করে ককটেল এবং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ছুড়ে মারছিল। কিন্তু কোন হিন্দু বাড়িতে হামলা করেনি। আমরা কখনো ভাবিনি, এরকম কোন কিছু কখনো ঘটতে পারে। আমাদের একমাত্র দোষ কি শুধু এটাই ছিল যে, আমরা মুসলমান।

    তিনি আরও বলেন যে, নারীরা তখন পুলিশের কাছে অনেকবার টেলিফোন করে । প্রত্যেকবার তারা আমাদের আশ্বস্ত করছিল যে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা এখানে পৌঁছে যাবে। কিন্তু না, তারা এলো না ।

    ঘরবাসীরা স্পষ্টই বুঝতে পারলো, আজ রাতে তাদের আর রক্ষা হবে না। তারপর জীবনের পরম আশ্রয় ও ঠিকানা-শিব বিহার থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেল হাজার হাজার মুসলমান বাসিন্দা ।

    ৫.

    বহুদিন হিন্দু মুসলমানের সেই পুরনো সংঘাত নিষ্ক্রিয় ছিল । মোদি সরকার এসে সেই আগুনকে পুনরায় জ্বালিয়ে দিয়েছে। হিন্দুস্তানের মাটি থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের নাম মুছে দিতে সে আজ বদ্ধপরিকর । উঠে পরে লেগেছে অসংখ্য উগ্র হিন্দু জনতা । আর চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন ও পুলিশ ।

    অভিযোগ উঠছে যে, পুলিশকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না । এক অনলাইনে নিউজ পোর্টালে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । তাতে বলা হয়েছে যে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরুর পর ১৩ হাজার ফোন কল পেয়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি । কোথাও গুলি, কোথাও গাড়ি পোড়ানো আবার কোথাও নির্বিচারে মানুষকে হত্যা, হামলা ও নির্যাতনের বিষয়ে ফোন কলের মাধ্যমে পুলিশে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল । অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি পুলিশ।

    পুলিশ যদি শুধু নিষ্ক্রিয় থাকতো তাও একরকম হতো । কিন্তু পুলিশ ইন্ধনদানকারীর ভূমিকা পালন করেছে । বিবিসির এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকটি পুলিশ দুর্বৃত্তদের সঙ্গে মিলে মুসলমানদের দিকে ঢিল ছুঁড়ছে । আবার কোনটাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কাউকে কাউকে পেটাচ্ছে আর জয় শ্রী রাম শ্লোগান দেওয়াচ্ছে ।

    পুলিশকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুলিশ মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

    উচ্চমহল থেকে যদিও বলা হচ্ছে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে । তবু আমাদের মনে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় । সেটা হল, তারা যদি সম্প্রীতিই চাইত তাহলে তাদের চোখের সামনে দিয়ে এত বড় একটা নৃশংস ঘটনা কীভাবে ঘটে যাচ্ছে ? কেন তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ? নাকি তারা নিয়ন্ত্রণ চাইছেও না? প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই জানি । কিন্তু মুখ খুলে বলার মত সাহস কেউ রাখি না । বড় দুঃখের কথা।

    আচ্ছা, ঘুরে দাঁড়াবার মত ঐশ্বর্যময় দিনটি কি কোনদিনই আমাদের জীবনে আর ফিরে আসবে না ? তবু কী ভারতীয় মুসলমানরা ইনসাফের অপেক্ষা করে যাবে আজীবন-হিন্দু মালাউনদের কাছে, মানবতার কাছে?


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/14/34447/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের অর্থনীতিতে আশ্বাসই সার, নেই কোন পদক্ষেপ!




    ভারতে শেয়ার বাজারে ধস নামলেও, অর্থনীতি নিয়ে আশ্বাস বাণীতেই আটকে থাকল মালাউন মোদী সরকার। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, করোনা-আতঙ্কের প্রভাব রুখতে হাতেকলমে পদক্ষেপের দেখা মিলল না এখনও। খবর-আনন্দ বাজার

    নাগাড়ে পড়তে থাকা ভারতের বাজার আজ সকালের দিকে বিপুল নামার পরে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় লেনদেন। পরে সেনসেক্স, নিফ্*টি কিছুটা উঠলেও, সেটা সূচকের ঘুরে দাঁড়ানো নয় বলেই মনে করছেন বহু বিশেষজ্ঞ।

    অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব ঠেকাতে ১৮ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছিল শিল্প। নির্মলাও বলেছিলেন, শীঘ্রই বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু ২৫ দিন কেটে গিয়েছে, তার দেখা মেলেনি। আজ দেশের অর্থনীতির ভিত পোক্ত বলে দাবি করলেও, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন স্বীকার করেছেন, করোনা-আতঙ্কে ব্যবসা, পর্যটন, হোটেল-রেস্তরাঁর মতো ক্ষেত্রে ধাক্কা লাগবে। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের আশঙ্কা, কমতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হারও। তা হলে ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতিতে করোনা-প্রভাব আটকাতে কবে মাঠে নামবে সরকার? উত্তরে অর্থমন্ত্রীর জবাব, ‘‘কথাবার্তা বলছি।

    নিজেরা পদক্ষেপ করে উঠতে না-পারলেও, অর্থ মন্ত্রক চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করুক বা বাজারে নগদের জোগান বাড়াক। যুক্তি, সব দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কই তা করছে। সুদ কমানো নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাওয়ায় আজ নির্মলা জানান, গভর্নর বলেছেন পরিস্থিতির দাবি খোলা মনে ভাববেন।

    দেশের বাজারে অতিরিক্ত ২৫ হাজার কোটি টাকা জোগানোর বার্তাও দিয়েছে তারা। তবে সুদ কমানোর পথে বাধা, ৪% লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে যাওয়া সেই খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হারই (ফেব্রুয়ারিতে ৬.৫৮%)। করোনার ধাক্কায় ব্যবসা মার খেলে সরকারের রাজস্ব আয় কমে গিয়ে ঘাটতি বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সুব্রহ্মণ্যনের অবশ্য দাবি, ‘‘আনাজের দাম কমলে মার্চ থেকেই মূল্যবৃদ্ধির হার
    কমবে বলেছিলাম।

    অর্থনীতির ঝিমুনির প্রধান কারণ বাজারে কেনাকাটা কমা। বিশেষত গ্রামে। আজ সুব্রহ্মণ্যনের দাবি, এক থেকে দেড় বছর পরে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে মূল্যবৃদ্ধি শহরের চেয়ে বেশি। তা হলে শেয়ার বাজারে ধস নামছে কেন? সুব্রহ্মণ্যনের উত্তর, বাজারের ধসে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ার বা বেশি কারণ খুঁজতে যাওয়ার দরকার নেই।’’


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/14/34446/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সীমান্ত থেকে গত এক সপ্তাহে তিনজনকে ধরে নিয়ে গেলো ভারতীয় সন্ত্রাসী বিএসএফ



      কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা সাতকড়াইবাড়ী সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী (বিএসএফ)। আটক ইসমাইল হোসেন কালু (৩২) দাঁতভাঙা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে।

      শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ভারতের দীপচর ক্যাম্পের বিএসএফ সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধীন দাঁতভাঙা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার উমর ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর- বাংলা ট্রিবিউন

      এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে সুবেদার উমর ফারুক আটক বাংলাদেশির নাম ছাড়া আরও কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান। বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে তিনজনকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/14/34445/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দিনাজপুরে মাদক বিক্রির সময় দুই বিজিবি সদস্য আটক



        দিনাজপুরে মাদক বিক্রির সময় দুই বিজিবি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে শহরের গোড়-এ শহীদ ময়দানের কাছে কৃষ্ণকলি রেস্টুরেন্টের পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়। দুই জনকেই বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খবর -বাংলা ট্রিবিউন

        আটককৃতরা হলেন- বিজিবি দিনাজপুর সেক্টরের সিগন্যল ম্যান আনোয়ার হোসেন (৩০) ও ল্যান্স নায়েক সহকারী সাগর হোসেন (৩০)। আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার পশ্চিম মোড্ডা এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। সাগর হোসেন ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার আরাপপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

        দিনাজপুর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের ওসি এটিএম গোলাম রসুল জানান, দুই মাদক ব্যবসায়ী কৃষ্ণকলি রেস্টুরেন্টের পাশে পাইকারি মাদক বিক্রির জন্য অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় নিশ্চিত হয়ে দুই জনকে আটক করা হয়। তাদের মোটরসাইকেলে সবুজ রঙের একটি ব্যাগে স্কচটেপ মোড়ানো দুই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো জব্দ করে দুই জনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিজিবি দিনাজপুর সেক্টরের সদস্যরা আটক দুই জনকে ডিবি কার্যালয় থেকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে বিজিবি দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডারের সরকারি নম্বরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/14/34453/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ছয় ছয়টি জায়েজ বিয়ে বন্ধ করলো তাগুত বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ আদালত



          সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এক রাতে ছয়টি জায়েজ বিয়ে বন্ধ করলো তাগুত বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

          গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে এসব বিয়ে বন্ধ করে তাগুত প্রশাসন।

          নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযানে মেয়েদের ১৮ বছরের নীচে বিয়ে দেবেন না মর্মে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে৷
          খবরঃ কালের কন্ঠের

          এর মধ্যে বহুলী ইউনিয়নের ধীতপুর কানু গ্রামে আবু সামা শেখের মেয়ে জান্নাতি খাতুনের বিয়ে বন্ধ করে কনের বাবা আবু সামা শেখকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলার কাদাই গ্রামে ছানোয়ার হোসেনের তার ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের (১৩) কথিত বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। বাগবাটি দক্ষিণ পাড়ার আবু হানিফের মেয়ে সুবর্ণা খাতুনের (১৬) কথিত বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় কাজী রেজাউল করিমকে ৫০ হাজার, বর আজিজল হককে ৫ হাজার ও কনের ভগ্নিপতি খোকন মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শিয়ালকোল ইউনিয়নের শিবনাথপুর গ্রামের আকতার হোসেনের মেয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আতিয়া খাতুনের (১৪) বিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় বর-কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাগবাটি ইউনিয়নের কানগাঁতী গ্রামের হাফিজুলের মেয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী নুপুরের (১৫) বিয়ে বন্ধ করা হয় এবং বর ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। সবশেষে বাগবাটি ইউনিয়নের মালিগাঁতী এলাকায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া লিমা খাতুনের (১২) কথিত বাল্যবিয়ে বন্ধ করে কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/14/34457/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কমছেই না‘গণধর্ষণ’, চরম উৎকন্ঠায় অভিভাবকরা

            রাজধানীর বিমানবন্দর থানার রেলস্টেশন এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই কিশোরীকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

            হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোরে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকাতেই থাকে।

            গতকাল শুক্রবার রাতে তিনজন ওই কিশোরীকে রেলস্টেশনের পাশের একটি ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকার কয়েকজন মিলে তাকে উদ্ধার করে সকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
            খবরঃ আমাদের সময়

            ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ ভোরে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।

            এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেওড়ার বিপরীত পাশে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামেন তিনি। সেখান থেকে নেমে ফুটপাট দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পাশের একটি স্থানে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/14/34465/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment

              Working...
              X