Announcement

Collapse
No announcement yet.

পিতার সমীপে সন্তানের বিনম্র জবাব

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পিতার সমীপে সন্তানের বিনম্র জবাব

    পিতার সমীপে সন্তানের বিনম্র জবাব
    এক মুজাহিদ ভায়ের পিতা সন্তানকে সম্বোধন করে বললেন, "জান্নাত জাহান্নামের পথ আল্লাহ্* বলে দিয়েছেন রাসুল তাঁর হাদিসে বলেছেন"। সন্তান বাবাকে সম্মানের সাথে বললেন, “আপনার বক্তব্য হল আমাদের জিহাদের পথ জান্নাতের পথ নয়। আচ্ছা কুরআন হাদিসের আলোকে জান্নাতের পথটি কোনটি তাহলে ! আর সাহাবাগণ জান্নাত কোথায় খুজে বেড়াতেন ?”
    সে ভায়ের পিতার প্রতি আমার পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্তভাবে জন্নাতের পথরেখা তুলে ধরলাম। আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে তাঁর দ্বীন বোঝার তাওফীক দান করুন। আমীন।।
    কুরআনের আলোকে জান্নাতের পথ
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনে কারীমে বলেন,
    أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ (142)
    তোমরা কি ধারণা করেছ যে জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ জেনে নিবেন না কে জিহাদ করেছে ও সবর করেছে? – সুরা আলে ইমরান ১৪২।
    হে পিতা! জিহাদ বিহীন তো জান্নাতের কল্পনা করতে নিষেধ করেছেন জান্নাতের স্রষ্টা!
    আল্লাহ আরো বলেন,
    لَكِنِ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ جَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ وَأُولَئِكَ لَهُمُ الْخَيْرَاتُ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (88) أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ (89
    কিন্ত (মুনাফিকরা জিহাদ না করলেও) রসূল ও তার সাথে ঈমান আনয়নকারীগণ জান মাল দিয়ে জিহাদ করে। তাদের জন্যই সকল কল্যাণ, তারাই সফলকাম। আল্লাহ তাদের জন্য তলদেশে নহর প্রবাহমান জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, এটা মহা সফল্য। - তাওবা- ৮৮-৮৯
    হে সম্মানিত পিতা! জমীনের বুকে শ্রেষ্ঠ মানব ও তাঁর সহচরগণ জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করেছেন। যখন মুনাফিকরা পিছনে পড়ে থাকতে পছন্দ করলো। আল্লাহ তাঁদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত করে রাখার ঘোষণা দিলেন। তো আমরা যদি আল্লাহর প্রস্তুতকৃত সেই জান্নাতে তাঁদের সাথে থাকতে চাই, তাহলে আমাদের করণীয় কী হবে? তাঁদের পদাঙ্ক অনুস্বরণ করা উচিত নয় কি?
    তিনি আরো বলেন,
    وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ (146)
    অনেক নবী ছিলেন যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদের সাথে রব্বানী বান্দাগণও লড়াই করেছেন। আল্লাহর রাহে আপতিত মুসীবতের কারণে তারা চিন্তিত হয়ে যয়নি, দুর্বল ও ক্লান্তও হয়নি। আল্লাহ সবরকারীদের ভালবাসেন। - আলে ইমরান-১৪৬
    হে আমার প্রাণপ্রিয় পিতা! অতীতে বহু নবী আলাইহিমুস সালামগণ স্বশরীরে লড়াই করেছেন। রব্বানী বান্দাগণ তাদের সান্বিধ্যে থেকে লড়াই করেছেন বলে আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। লড়াই শুধু আমাদের নবী করেছেন এমন নয়। এটা আরো অনেক নবীগণের সুন্নাহ।
    فَلْيُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يَشْرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ وَمَنْ يُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا (74)
    যারা দুনিয়ার জীবনের বিনিময়ে আখেরাত ক্রয় করতে চায়, তাদের উচিত আল্লাহর রাহে লড়াই করা। যে লড়াই করবে সে শহীদ হোক বা বিজয়ী হোক তাকে মহা প্রতিদান দান করব। - সুরা নিসা- ৭৪
    আমার দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি হিতাকাঙ্খী পিতা! আপনি কি চান না যে, আমি দুনিয়ার জীবন বিক্রি করে আখেরাত ক্রয় করি? মহা প্রতিদানে সেদিন ধন্য হই? তাহলে আল্লাহর আহবানে সাড়া দিয়ে সেই সাফল্য অর্জনে বাঁধা কেন? আমাকে সাদরে সাজিয়ে দিন সে পথের পথিকদের সাথে।
    দেখুন আমার শ্রদ্বেয় পিতা, আল্লাহ কীভাবে আমাদের সতর্ক করছেন,
    فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ إِذَا فَرِيقٌ مِنْهُمْ يَخْشَوْنَ النَّاسَ كَخَشْيَةِ اللَّهِ أَوْ أَشَدَّ خَشْيَةً وَقَالُوا رَبَّنَا لِمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا الْقِتَالَ لَوْلَا أَخَّرْتَنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيلٌ وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ لِمَنِ اتَّقَى وَلَا تُظْلَمُونَ فَتِيلًا (77)
    যখন তাদের উপর জিহাদ ফরজ করা হলো, তখন এক শ্রেণীর লোকেরা মানুষকে আল্লাহর ন্যায় বা আরো বেশি ভয় পেতে লাগল। আর বলতে লাগল, আমাদের রব! কেন আমাদের উপর জিহাদ ফরজ করলে? আমাদের পরবর্তীদেরকে ফরজ করে দিতে। হে নবী! বলে দিন, দুনিয়ার উপভোগ তো অল্প। মুত্তাকীদের জন্য আখেরাত শ্রেষ্ঠ। তোমদের সামান্যও জুলুম করা হবেনা। - আলে ইমরান-৭৭
    তিনি আরো বলছেন,
    قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ (24)
    যদি তোমাদের বাবা মা, সন্তানাদি, ভাইবোন, স্ত্রী, আত্মীয় স্বজন, অর্জিত সম্পদ মন্দা হয়ে যাওয়ার ভয় আছে এমন ব্যবসা, সন্তুষজনক বাসস্থান বা পদ মর্যাদা. এগুলো যদি আল্লাহ রাসূল ও জিহাদের চেয়ে বেশি প্রিয় হয়, তাহলে আল্লাহর আযাবের অপেক্ষা করো। আল্লাহ এমন ফাসেকদের হিদায়াত দান করেন না। - সুরা তাওবা-২৪।
    قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلَّا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَنْ يُصِيبَكُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِنْ عِنْدِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا فَتَرَبَّصُوا إِنَّا مَعَكُمْ مُتَرَبِّصُونَ (52)
    বলে দিন, হে কাফেররা! তোমরা কি আমাদের বিজয় বা শাহাদাত এই দুই কল্যাণের একটির অপেক্ষা করছো? আমরাও অপেক্ষা করছি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব আসার বা আমাদের হাতে তোমাদের শাস্তি দেয়ার। অপেক্ষা করো, আমারাও তোমাদের সাথে অপেক্ষা করছি। - সুরা তাওবা-৫২।
    إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ (111)
    আল্লাহ জান্নাতের বিনিময়ে মুমিনদের জান মাল কিনে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে কাফেরদের মারবে ও নিজে শহীদ হবে। তাওরাত ইন্জিল ও কোরআনে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। যে আল্লাহর ওয়াদা পূরণ করবে সে তার কেনা বেচার সুসংবাদ গ্রহণ করুক। এটা মহা সাফল্য। - তাওবা- ১১১

    إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُمْ بُنْيَانٌ مَرْصُوصٌ (4)

    যারা সারিবদ্ধ হয়ে লড়াই করে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। সুরা সফ্- ৪।

    يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (10) تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (11) يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ (12)
    হে মুমিনগণ! আমি কি তোমাদের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি দানের মতো ব্যবসার পথ দেখাব? তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের উপর ঈমান এনে জান মাল দিয়ে তার পথে জিহাদ করবে। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। তিনি তোমাদের গুনাহ মাফ করে তলদেশে নহর প্রবাহমান জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। - সুরা সফ্- ১০-১১-১২।

    وَالَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَلَنْ يُضِلَّ أَعْمَالَهُمْ (4) سَيَهْدِيهِمْ وَيُصْلِحُ بَالَهُمْ (5) وَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ عَرَّفَهَا لَهُمْ (6)
    যে আল্লাহর রাহে লড়াই করে বা শহীদ হয়, তার আমল কিছুতেই তিনি নষ্ট করবেন না। তাকে হিদায়াত দান করে তার অন্তর পরিশুদ্ধ করে দিবেন। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যে জান্নাত তাদের পরিচিত। -সুরা মুহাম্মাদ বা কিতাল – ৪-৫-৬।
    হে আমার পিতা! এটা তো কুরআনের সংক্ষিপ্ত চিত্র। আপনি কুরআন খুলে দেখুন! সমগ্র কুরআন জুড়ে মুজহিদগণের ব্যাপারে কী উল্যেখ করা আছে। শুধু কুরআনে নয়; হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বলেছেন দেখুন!

    হাদিসের আলোকে
    واعلموا أن الجنة تحتَ ظلالِ السيوف " متفق عليه.
    তোমরা জেনে রাখ! তরবারীর ছায়াতলে জান্নাত- বুখারী ও মুসলিম।

    " إن في الجنَّةِ مائةَ درجَةٍ أعدَّها اللهُ للمجاهدين في سبيلِ الله؛ ما بين الدَّرجتين كما بينَ السماءِ والأرض " البخاري.
    জান্নাতে একশত স্তর আছে। সবগুলোই আল্লাহ মুজাহিদদের জন্য পস্তুত করে রেখেছেন। দুই স্তরের মাঝের দুরত্ব আকাশ জমীনের দুরত্ব সমান।– বুখারী

    " من بَلَغَ العدوَّ بسهمٍ، رفعَ اللهُ له درجةً "، فقال له عبد الرحمن بن النَّحَّام: وما الدَّرجةُ يا رسولَ الله؟ قال:" أما إنها ليست بعَتَبَةِ أُمِّك؛ ما بين الدرجتين مِئةُ عامٍ "رواه النسائي، وابن حبان، صحيح الترغيب والترهيب: 1287.
    যে এক কদম শত্রুর দিকে অগ্রসর হলো জিহাদের জন্য, এর দ্বারা তার একটি মর্তবা বৃদ্ধি পায়। আব্দুর রহমান বিন নাহহাম জিজ্ঞাসা করলেন, মর্তবা বা দরজা কি? তিনি বললেন, দুই দরজার মাঝে একশত বছরের ব্যবধান। - নাসাই, ইবনে হিব্বান।

    " إن للشهيد عندَ الله سبعَ خصالٍ: أن يُغفرَ له في أول دُفعة من دمِه،
    ويرى مقعدَه من الجنَّة، ويُحلَّى حُلَّة الإيمان، ويُجارُ من عذاب القبر، ويأمن من الفزَعِ الأكبر، ويُوضَع على رأسه تاجُ الوقار؛ الياقوتة منه خير من الدنيا وما فيها، ويُزوَّج اثنتين وسبعين زوجة من الحورِ العِين، ويُشَفَّع في سبعين إنساناً من أقاربه "أخرجه ابن حبان، صحيح الجامع: 3747
    শহীদের জন্য সাতটি পুরস্কার।
    ১. শরীরের রক্তের প্রথম ফোটা জমীনের পড়ার সাথে সাথে সকল গুনাহ মাফ।
    ২. মৃত্যুর সময় জান্নাতের বাসস্থান দেখিয়ে দেয়া হবে।
    ৩. কবরের আযাব থেকে রক্ষা করা হবে। ঈমান দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
    ৪. হাশরের ভীভিষিকাময় সময়ে নিরাপদ রাখা হবে।
    ৫. তার মাথায় মর্যাদার মুকুট পড়ানো হবে, যার একেকটি পাথর দুনিয়া ও এর মাঝে যা আছে সব থেকে বেশি মুল্যবান।
    ৬. বায়াত্তর জন হুরে ঈনের সাথে বিবাহ দেয়া হবে।
    ৭. তার নিকটাত্মীয় থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে তার সুপারিশ কবুল করা হবে। - ইবনে হিব্বান।

    সুবহানাল্লাহ! আল্লাহু আকবার! হে পিতা আপনি উক্ত হাদীসে উল্যেখিত কোন পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হতে চান?

    قال رجلٌ مُقنَّعٌ بالحديد: يا رسولَ الله، أُقاتلُ أو أُسْلِم؟ قال:" أسْلِمْ ثم قاتِلْ ". فأسلمَ فقاتلَ فقُتِلَ، فقال رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم -:" عَمِلَ قليلاً وأُجِرَ كثيراً " متفق عليه.
    অস্রে সজ্জিত এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যুদ্ধ করব, না মুসলিম হবো? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, মুসলিম হও, তারপর লড়াই করো। সে মুসলিম হলো তারপর লড়াই করে শহীদ হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সে অল্প আমলে পচুর প্রতিদান পেয়ে গেল।– বুখারী ও মুসলিম।

    " من ماتَ ولم يَغزُ، ولم يُحدِّث نَفسَهُ بالغزو، ماتَ على شعبةٍ من نفاق "
    أخرجه مسلم، وأبو داود، صحيح سنن أبي داود: 2184.
    যে মারা গেল অথচ যুদ্ধ করেনি, বা যুদ্ধের সংকল্পও করেনি, সে নিফাকের অংশ নিয়ে মারা গেল। - মুসলিম, আবু দাউদ।

    والذي نفسُ محمدٍ بيده! لوَدِدْتُ أن أغزُو في سبيلِ الله فأُقتَلُ، ثمَّ أغزُو فأُقتَل، ثم أغزُو فأُقتَلُ " مسلم.
    ঐ স্বত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন, অবশ্যই আমি পছন্দ করি আল্লাহর রাহে লড়াই করে শহীদ হই, আবার (জীবিত হয়ে) লড়াই করে শহীদ হই, তারপর আবার (জীবিত হয়ে) লড়াই করে শহীদ হই। - মুসলিম।
    جاء رجلٌ إلى رسولِ الله - صلى الله عليه وسلم -، فقال: دُلَّني على عملٍ يعدِلُ الجهادَ، قال:" لا أجِدُه ". قال:" هل تستطيعُ إذا خرجَ المجاهدُ أن تدخلَ مسجدَكَ، فتقومَ ولا تَفْتُرَ، وتصومَ ولا تُفطِرَ؟ " قال: ومن يستطيع ذلك؟! البخاري.
    এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলতে লাগল, আমাদের এমন আমলের সন্ধান দিন যা নেকী ও সম্মানের দিক থেকে জিহাদের সমতুল্য। তিনি বললেন, আমি এমন আমল পাচ্ছি না। তুমি কি পারবে? যখন মুজাহিদ জিহাদে বের হয়, তখন মসজিদে প্রবেশ করবে নামায আদায় শুরু করবে কোন বিরতি বিহীন। রোযা রাখা শুরু করবে ইফতারী বিহীন? সে বললো, এটা কি কেউ পারবে নাকি? – বুখারী।
    " ما ترك قوم الجهادَ إلا عمَّهم الله بالعذاب "أخرجه الطبراني، السلسلة الصحيحة: 2663.
    যে জাতিই জিহাদ পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তাদের উপর ব্যপক আযাব প্রেরণ করবেন। - তাবরানী।
    " لن يبرح هذا الدين قائماً يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتى تقوم الساعة " مسلم.
    এই দ্বীন ততক্ষণ টিকে থাকবে, যতক্ষণ একদল মুমিন দ্বীনের জন্য লড়াই করবে। এমনকি কেয়ামত পর্যন্ত। - মুসলিম।
    হে পিতা! সর্বশেষ আমি আপনাকে বিনয়ের সাথে বলতে চাই, এই পথ অন্ধকারাচ্ছন্ন কোন পথ নয়, এই পথ কুরআন সুন্নাহের নুরে নুরান্বিত পথ, নবী রাসূলগণ ও তাঁদের অনুস্বারীদের পথ। সুতরাং আমাকে এই পথে বাঁধা দিবেন না। তবুও যদি বাঁধা দিতে চান, তাহলে আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহকে ভয় করুন, আমাকে এই পথ থেকে দূরে সরাতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ। এখন আপনি আমাকে যা খুশি করুন।
    হে আল্লাহ! আমাকে, আমার বাবা মাকে, পরিবারের সকল সদস্যদেরকে হিদায়াত দান করুন। আমীন।।
    শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

  • #2
    প্রত্যেক ভাই এই বার্তাটি নিজ পিতামাতাকে দিলে ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ। দেয়ার পূর্বে অবশ্যই মশওয়ারা করে নিবেন।
    শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

    Comment


    • #3
      আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ ,, ,, ভাই খুব সুন্দর হয়েছে
        আল্লাহ তাআলা ভায়ের মেধাকে আরো প্রশস্থ করে দিন আমিন,,,
        মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

        Comment


        • #5
          চমৎকার বক্তব্য ৷
          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ। *খুব সুন্দর আলোচনা।

            Comment


            • #7
              আল্লাহুআকবার! খুবই গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা,জাযাকাআল্লাহ্ আখি আল্লাহ্ আপনার মেহনত কবুল করুন, মিডিয়ার ভাইদের সুস্থ রাখুন নিরাপদ রাখুন আমিন।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ।
                আনেক উপকৃত হলাম।
                আল্লাহ আপনার কাজে বারাবাহ দান করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment

                Working...
                X