Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    প্রতিবছর ইয়ামানে মারা যাচ্ছে ৫০ হাজার শিশু : আনসারুল্লাহ



    ইয়ামানের জনপ্রিয় আনসারুল্লাহ আন্দোলন বলেছে, দারিদ্রপীড়িত দেশটিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক আগ্রাসন এবং সর্বাত্মক অবরোধ আশঙ্কাজনকভাবে শিশু মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলছে।

    আনসারুল্লাহ গত (বৃহস্পতিবার) বলেছে, ইয়ামানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের চলমান সামরিক আগ্রাসন দেশটিতে দুর্ভিক্ষ, দারিদ্রতা এবং রোগ বাড়িয়ে তুলছে।এর ফলে ইয়ামানে প্রতিবছর এক মাসের কম বয়সি ৫০ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে।

    ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরব ও তার আঞ্চলিক মিত্ররা ইয়ামানের সাবেক পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করার লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া, আহত ও উদ্বাস্ত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এ নিয়ে বিশ্ব একেবারেই চুপ রয়েছে।

    ইয়ামানের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য সমর্থিত সৌদি সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি দেশটির ওপর নৌ অবরোধের ফলে এর অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া, সৌদি আগ্রাসনের ফলে ইয়ামানে চরম মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশটির শিশুরা কলেরাসহ মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34471/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সিরিয়ার গোরস্থানে লাশ ও মাথার খুলির সাথে বর্বর আচরণ করলো নুসাইর বাহিনী।



    কুখ্যাত নুসাইরি শিয়া মিলিশিয়ারা সিরিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ইদলিব শহরের খান আল-সাবিল শহরটি দখল করে একটি কবরস্থানে হামলা চালিয়ে কবর ও লাশের খুলির সাথে কাপুরুষোচিত উপহাস করেছে বলে গতকাল ১৪মার্চ আরবি২১.কমের বরাতে খবর প্রকাশ করেছে “মিডলইস্ট মনিটর”।

    সন্ত্রাসী বাশার আল আসাদের কুখ্যাত নুসাইরি বাহিনী কিছুদিন আগে সিরিয়ার ইদলিবের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আল সাবিল এলাকাটি দখল করেছিল। দখলকৃত এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর তারা সীমাহীন অত্যাচার চালায়। তাদের নির্যাতন থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধ* কেও বাদ যায়নি। এমনকি কবরস্থানেও চালিয়েছে জঘন্য হামলা। কবরস্থানের কবর এমনকি হেফাজতেরলাশও তাদের বর্বরতা থেকে রক্ষা পায়নি। কবরস্থানে নৃশংসতার একটি ভিডিও তারা নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড দেয়। ভিডিওটিতে দেখা যায় মুসলিমদের একটি কবরস্থানে সন্ত্রাসীরা সবাই একসাতে সিগারেট পান করতে করতে কবরস্থানে কাপুরুষোচিত হামলা চালায়। প্রত্যেক কবরে পায়ের বোট দিয়ে সজোরে আঘাত ও লাথি মেরে নেমপ্লেট গুলো ধ্বংস করতে থাকে।ভিডিওতে দেখা যায় আসাদবাদী সন্ত্রাসীরা আম্মার আল-দীন বা “আবু মুজাহিদ” নামে এক সিনিয়র মুজাহিদের কবরস্থানে আঘাত করতে থাকে এবং কবর থেকে তার মাথার খুলি বের করে খুলির সাতে নিকৃষ্ট কাপুরুষোচিত উপহাস করে। এ সময়ও তারা সিগারেট পান করছিল অট্রহাসিতে ফেটে পরতে দেখা যায়।

    অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায় কবরস্থানটিতে মৃতদেহগুলি বের করে কবরস্থানটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। ভিডিওতে উপস্থিত একজন সন্ত্রাসীকে দেখা যায় সে কবরস্থান পেরিয়ে চলে যাচ্ছিলেন এবং মুসলিমদের কবরকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষায় গালাগালি করছিল।কবরস্থানটি ধ্বংসের একদিন আগে তাকে ইদলিবের একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পরিত্যক্ত মসজিদের ভিতরে করা একটি ভিডিওতেও দেখা গিয়েছিল, যেখানে সে মসজিদের মিম্বার থেকে কসাই আসাদের সমর্থনে স্লোগান দিতে ও অন্যান্য শিয়া সন্ত্রাসীদের ধ্বংসযজ্ঞ চালতে উদ্ভুদ্ধ করছিল।



    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34516/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনাভাইরাস নিয়ে মুফতী তাকী উসমানীর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা



      শাইখুল ইসলাম মুফতী তাকী উসমানী হাফিযাহুল্লাহ বিশ্বব্যাপী আলোচিত করোনা ভাইরাস বিষয়ে সংক্ষিপ্ত তবে সারগর্ভ ইসলামী বার্তা তুলে ধরেছেন।

      তাঁর বার্তাটি পাকিস্তানের বিখ্যাত দ্বীনী প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুর রশীদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে।

      হযরতের বক্তব্যের হুবহু অনুবাদ নিম্নে তুলে ধরা হল-

      “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

      আজকাল বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে। এর বিস্তৃতি ক্রমেই বাড়ছে। একে প্রতিরোধ করার জন্য ও সর্তকতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হচ্ছে।

      কেউ কেউ মনে করেন, এক্ষেত্রে পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা ইসলামের তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী। এ কথাটি একেবারেই সঠিক নয়। স্বয়ং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম পরিস্থিতিতে পূর্ব সতকর্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

      যেমন, তাউন বা প্লেগ রোগ কোথাও ছড়িয়ে পড়লে, বাহির থেকে কাউকে সেখানে যেতে বারণ করেছেন। আর ভিতরের লোককে বাহিরে যেতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা শরীয়তের চাহিদার অন্তর্ভু্ক্ত।

      অতএব এ ব্যাপারে সরকার প্রধান বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে, তা অনুসরণ করা শুধু উচিত-ই নয়; বরং শরীয়াতের দৃষ্টিতেও জরুরী।

      অধিক হারে লোক সমাগম হয় এমন কোনো প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানে যেহেতু করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আংশকা প্রবল, তাই এ মুহূর্তে এমন প্রোগ্রামের আয়োজন না করাই উচিত।

      বিয়ে-শাদীর প্রোগ্রাম ছোট পরিসরে করা উচিত। লোক সমাগম যেনো কম হয়। তাছাড়া বিয়ে শাদী ছোট পরিসরে হওয়াই সুন্নাহ।

      হয় বিয়ে শাদীর প্রোগ্রাম এ মুহূর্তে পিছিয়ে দিন অথবা পরিসর ছোট করুন।

      জুমা ও অন্যান্য ফরয নামাযের ক্ষেত্রে শুধু ফরযটি মসজিদে পড়বে। বাকি সুন্নাত ও নফল নামায ঘরেই আদায় করবে। তাছাড়া স্বাভাবিক অবস্থায়ও নফল নামায ঘরে পড়াই উত্তম। এমনকি ওযুও বাসা থেকেই করে আসবে।

      এমনকি জুমা ও অন্যান্য নামাযের ক্ষেত্রে ইমাম সাহেবগণ ক্বেরাত সংক্ষেপ করাই উত্তম।

      স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে যদি মুসাফাহা না করার পরামর্শ দেয়া হয়, তবে সেটাও পালন করা উচিত। মুসাফাহা করবে না। কারণ তা ফরয বা ওয়াজিব নয়। আর যা ফরয বা ওয়াজিব নয়, সেটা এ মুহূর্তে ত্যাগ করতে কোনো সমস্যা নেই।

      পূর্বে যা বলা হল তা অনুসরণ করাই ভালো। এতে নিজ ও দেশ সকলেরেই কল্যাণ রয়েছে। এটি শরীয়াহ্ ও নববী নির্দেশনার সম্পূর্ণ অনুকুল। সুতরাং এর উপর আমল করা চাই। “ (শেষ)

      টিকা: হযরত যে মূল্যবান বার্তা তুলে ধরেছেন, তা ইতালী, চীন ও এরকম অন্যান্য দেশের জন্য শতভাগ প্রযোজ্য, যেসব দেশে এ ভাইরাস বড় আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

      তবে আমাদের দেশের জন্য এখনি তা হুবুহু প্রযোজ্য হবে কি না তা স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ভেবে দেখবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু আমাদেরকে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখিন হওয়া থেকে হেফাযতর করুন। বিশ্ববাসীকে এ আযাব থেকে মুক্ত করুন। আমীন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34479/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গোমূত্র পান করে হাসপাতালে ভারতীয় মালাউন রামদেব



        করোনাভাইরাস সারাবিশ্বেই ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসের থাবা আটকাতে প্রতিষেধক তৈরির জন্য রাত-দিন এক করে ফেলছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা।

        সম্প্রতি ভারতের হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, করোনা রুখতে একমাত্র ‘মহৌষধি’ হল গোমূত্র।

        করোনাভারাসের ওষুধ হিসেবে গোমূত্র পানের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বহু পোস্ট। সম্প্রতি সেদেশের ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, করোনাভাইরাসের হানা থেকে বাঁচতে অত্যধিক মাত্রায় গোমূত্র পান করে এবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যোগগুরু বাবা রামদেব।

        দাবির স্বপক্ষে রামদেবের একটি ছবিও পোস্ট করা হয়। যেখানে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে দেখা গেছে তাকে। তাকে ঘিরে রয়েছেন তার ভক্তরা।

        ফেসবুকের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে একই ছবি ও দাবি করে এই পোস্ট দেয়া হয়েছে।

        ইংরেজিতে ‘Baba Ramdev Weak Hospital’ লিখে গুগল-সার্চের ফলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আসল ছবিটির সন্ধান মেলে। ওই খবর অনুযায়ী, দেরাদুনে অনশন ভঙ্গের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রামদেবকে। ছবিটি ওইসময় তোলা হয়েছিল।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34484/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          খেলাপি আদায়ে ব্যর্থ ১৭ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান



          সংকটকাল অতিক্রম করছে দেশের আর্থিক খাত। বিশ্বব্যাপি করোনার কোপ ও দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে বাংলাদেশর অর্থনীতির অবস্থা খুবই নাজুক। এর মধ্যে সরকারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিপাকে পড়েছে ১৭ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শ্রেণীকৃত ঋণ হ্রাসকরণ, খেলাপি থেকে আদায়, অবলোপন করা ঋণ কমানো, রিট মামলা নিষ্পত্তিকরণ, অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন সূচকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। সূত্র:অর্থসূচক

          অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন ১৭টি ব্যাংক-বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্ধবার্ষিক কর্মসূচি মূল্যায়ন বিষয়ক সভায় উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

          জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, শুধু লক্ষ্য নির্ধারণ করলে তা অর্জন সম্ভব নয়। এর গভীরে পৌঁছাতে হবে। কোন কারণে ঋণ খেলাপি এবং অবলোপন করা হয়েছে-তা আগে খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রথমে ঋণ অনিয়ম এবং পরে খেলাপিতে পরিণত হয়। এ ধরণের পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন এখনও হয়নি। এছাড়া স্টে অর্ডারের মাধ্যমে বছরের পর বছর আটকে আছে অনেক ঋণ। আইনি সংস্কার ছাড়া মামলাজট খোলা সম্ভব নয়। আগে সমস্যার গোড়ায় হাত দিতে হবে। তবে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হতে পারে। মূলত কাগুজে পদক্ষেপে কোনো দিন এ ধরণের খারাপ ঋণ আদায় হবে না।

          প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংকের মধ্যে অধিকাংশই কাঙ্খিত পরিমাণ খেলাপি ঋণ কমাতে পারেনি। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকায় নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু ২০১৯ শেষে ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকটি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে রূপালী ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিন্তু ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট খেলাপি ৪ হাজার ২২৬ কোটি টাকায় অবস্থান করছে। খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনার কথা ছিল অগ্রণী ব্যাংকের। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে ৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে ব্যাংকটির মোট খেলাপি। একই অবস্থা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডও (বিডিবিএল)। ২০১৯ সাল শেষে ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সময় শেষে ব্যাংকটির খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৭৬৪ কোটি টাকা।

          প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শ্রেণীকৃত ঋণ থেকে আদায় একেবারেই কম। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি সরকারি খাতের কোনো ব্যাংক। সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল ব্যাংকের আদায় যথাক্রমে ৪২, ৫২, ৩৩, ৩৪, ৮৭ ও ৩০ শতাংশ। অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের অবস্থাও খারাপ। উল্লেখিত ব্যাংকগুলো ২০১৯ শেষে অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায় করেছে যথাক্রমে ১৮, ৪৪, ১১২, ১১, ১৮৭ ও ৭ শতাংশ।

          প্রাপ্ত তথ্যমতে, শুধু অগ্রণী ব্যাংক ছাড়া পরিচালন মুনাফার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ সরকারি খাতের সবগুলো ব্যাংক। বিদায়ী বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। কিন্ত সময় শেষে ব্যাংকটির মুনাফা ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম বা ৬৭ শতাংশ। জনতা ব্যাংকের লক্ষ্য ছিল ১ হাজার কোটি। এর বিপরীতে পরিচালন মুনাফা অর্জন হয়েছে ৬৮৮ কোটি টাকা। এছাড়া অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএলের পরিচালন মুনাফা যথাক্রমে ১০৮, ২৯, (-২৩২৪২), ও ৩৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে বেসিক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার লক্ষ্য ছিল মাত্র ১ কোটি টাকা। কিন্তু এই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা না বেড়ে উল্টো কমেছে। এই ছয় মাসে বেসিক ব্যাংক ২৩২ কোটি টাকার লোকসানে পড়েছে।

          লোকসানি শাখা কমানোর ক্ষেত্রেও ঋণাত্বক অবস্থানে রয়েছে বেসিক ব্যাংক। শুধু বেসিক নয়, বিডিবিএল ও অগ্রণী ব্যাংকও অর্জন করতে পারেনি লোকসানি শাখা কমানোর লক্ষ্য। ডিসেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের মোট লোকসানি শাখা হওয়ার কথা ছিল ৬০টি। কিন্তু শাখা কার্যক্রম ভালো না হওয়ায় ৭০টিতে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকের মোট লোকসানি শাখা। একই সময়ে বেসিক ব্যাংকের মোট লোকসানি শাখা ২৬টি। কিন্তু নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫টিতে কমিয়ে আনা। অন্যদিকে বিডিবিএলের লোকসানি শাখা কমিয়ে ১৪টিতে নামিয়ে আনার কথা থাকলেও বছর শেষে ব্যাংকটির মোট লোকসানি শাখা দাঁড়িয়েছে ১৭টি।

          এদিকে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (বিএইচবিএফসি) অধিকাংশ সূচক সন্তোষজনক নয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় ঋণ বিতরণ, সরকারি কর্মচানীদের মধ্যে গৃহঋণ বিতরণ, কর্পোরেশন কর্মচারীদের মধ্যে গৃহঋণ বিতরণ, শ্রেণীকৃত ঋণ থেকে আদায় ও শ্রেণীকৃত ঋণের হার কমানের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আলোচ্য সময়ে শ্রেণীকৃত ঋণ থেকে লক্ষ্যমাত্রার ৪২ শতাংশ অর্জন করছে বিএইচবিএফসি।

          একই অবস্থা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি)। অধিকাংশ সূচক সন্তোষজনক অবস্থানে নেই। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ শতাংশ, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে ২৮ শতাংশ, নতুন বিনিয়োগকারী বৃদ্ধিতে ২২ শতাংশ, বিনিয়োগে ঋণ সহায়তায় ১৪ শতাংশ, ঋণ আদায়ে ৩৮ শতাংশ ও শ্রেণীকৃত ঋণ থেকে আদায়ে মাত্র ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে আইসিবি।

          কয়েকটি সূচকে ভালো করলেও অনেক সূচকেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি জীবন বীমা কর্পোরেশন। বিনিয়োগ থেকে আয়, মাঠ পর্যায়ে বীমা প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি ও উত্থাপিত অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিতে খুবই খারাপ অবস্থা জীবন বীমা কর্পোরেশনের। ২০১৯ সালের শেষ ছয় মাসে ৫০টি আপত্তি নিষ্পত্তি করার কথা থাকলেও একটিও নিষ্পত্তি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

          এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটও বিভিন্ন সূচকে বেঁধে দেয়া লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34470/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ধার করে চলছে সরকার!



            চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৭ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।

            রাজস্ব আদায়ে মন্দা, সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস। তাই উন্নয়ন প্রকল্পসহ প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ধার করার বিকল্প নেই সরকারের। ধার করতে গিয়ে অর্থ-বছরের আট মাসেই বাজেট নির্ধারিত ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ধার নেয়া লক্ষ্যমাত্রার ১১২ শতাংশ নিয়েছে সরকার। যা সংশোধিত বাজেটের ৭৩ শতাংশ।
            খবরঃ যায়যায়দিন

            অপরদিকে আয় না থাকায় ধার নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও এই খাতে সরকারের বর্তমাণ ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার কোটি টাকা। যা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেয়ার লক্ষ্য থেকে ১০ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা বেশি।

            বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৭ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। একই সময়ে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে এক লাখ ৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রস জমার পরিমাণ এক লাখ ৬০ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আট মাসেই সরকার এই লক্ষ্যমাত্রার ১২ শতাংশ বেশি ঋণ নিয়েছে। এই হিসেবে ঋণ নেয়ার পরিমাণ ১১২ শতাংশ।

            এদিকে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বাজেট সংশোধন করে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার নতুন লক্ষমাত্রা হচ্ছে ৭২ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। মূল বাজেট থেকে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ২৫ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে আট মাসে সরকারের ঋণ নেয়ার কথা ৪৮ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। সেখানে ঋণ নেয়া হয়েছে ৫৭ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। যা লক্ষমাত্রা থেকে ৯ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বেশি নেয়া হয়েছে। শতাংশের হিসেবে ঋণ নেয়া হয়েছে ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34495/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ডিসি অফিসে সাংবাদিক আরিফকে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন



              বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে শুক্রবার (১৩ মার্চ) গভীর রাতে বাসার গেট ও ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে। সে নির্যাতনের ঘটনার পুরো দৃশ্য ভিডিও করে একজন।

              শনিবার (১৪ মার্চ) কুড়িগ্রাম কারাগারে আটক আরিফের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতুর কাছে এসব অভিযোগ করেছেন তিনি (আরিফ)।

              এসময় রাতের ঘটনায় নেতৃত্ব দানকারী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব) নাজিম উদ্দিনকে চিনে ফেলেন নিতু। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, আরডিসি নাজিম উদ্দিনই তার বাসায় হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

              মোস্তারিমা সরদার নিতু আরও জানান, ‘আমার স্বামী খুবই অসুস্থ। সে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছে না। আমাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার মতো শক্তি ছিল না তার।’

              আরডিসি নাজিম উদ্দিন অভিযানে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি গতরাতে ওয়ার্ক স্টেশনে ছিলাম না।’

              উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে ধরে নিয়ে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। এসময় তার বিরুদ্ধে আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। যদিও আরিফের অধূমপায়ী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিচিতরা।

              সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি। এছাড়া, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক আরিফ। এ বিষয়ে জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে তাকে বেশ কয়েকবার ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34474/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                এবার যাত্রীবাহী বাসে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ



                সাভারের আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার একটি বাস থেকে স্যুটকেসবন্দি অজ্ঞাত এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।

                শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেবা গ্রীন লাইন (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৩৯৮৭) নামে দূরপাল্লার একটি পরিবহন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

                নবীনগরের ওই পরিবহনের কাউন্টার মালিক মো. লিটন জানান, তাদের বাসটি গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কাউন্টারের ১৯ জন যাত্রীসহ মোট চল্লিশ জন যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বাসটি। আরিচা এলাকায় ফেরি পারাপারের পর নবীনগর থেকে ওঠা এইচ-১ সিটের এক যাত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তাদের জানায় বাসটির স্টাফরা। পরে বাসটি গোপালগঞ্জের নাজিরপুর পৌঁছালে ওই যাত্রীর বাসের বক্সে রেখে যাওয়া একটি কালো রঙের স্যুটকেস পাওয়া যায়। খবরঃ কালের কন্ঠের

                এ সময় স্যুটকেসটির মালিক না পেয়ে আবারো একই বাসে ঢাকার উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে পিবিআই’র কর্মকর্তারা স্যুটকেস খুলে অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ বের করেন।

                রাতে নবীনগর এলাকায় বাসটির বক্স খুলতেই এর ভেতর থেকে উটকো গন্ধ বের হতে থাকে। পরে পিবিআই এর উপস্থিতিতে কালো রঙের স্যুটকেসটি খুললে এর ভেতর থেকে তরুণীর রক্তাক্ত অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34493/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  কুড়িগ্রামে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী বিএসএফ



                  কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী বিএসএফ। খবর ইউএনবির।

                  শুক্রবার রাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের খেতারচর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১০৫৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

                  স্থানীয়রা জানান, আটক ইসমাইল হোসেন ওরফে কালু (৩২) দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ার চর গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে।

                  জামালপুর ব্যাটালিয়ন ৩৫-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এ ব্যাপারে আমরা বিএসএফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34501/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    শেয়ারবাজারে বড় দরপতন অব্যাহত, আধঘণ্টায় নেই ১৭৬ পয়েন্ট



                    বড় দরপতন অব্যাহত আছে শেয়ারবাজারে। আজ রোববার লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ১৭৬ পয়েন্ট। নেমে এসেছে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে। অবস্থান করছে ৩ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪১৬ পয়েন্ট।

                    ডিএসইতে বেলা ১১টার নাগাদ লেনদেন হয়েছে মাত্র ৯৪ কোটি টাকার। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে প্রায় সবগুলোর দর কমেছে। ৩১৩ টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে মাত্র ৩ টির দর। অপরিবর্তিত আছে ১০ টির দর।

                    এর আগে ২০১৫ সালের ৪ মে ডিএসইএক্স সূচকটি কমে ৩ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

                    গত কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার) লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক কমে ১০১ পয়েন্ট।

                    অপরদিকে সিএসইতে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১২৭ টির দর কমেছে। ২ টির বেড়েছে। অপরিবর্তিত আছে ৩ টির দর।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34504/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      যেভাবে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে আক্রমণ করে



                      গত বছরের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানা গেলেও এরই মধ্যে এই ভাইরাস এবং এর ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর মহামারি সামাল দিতে হচ্ছে বিশ্বকে।

                      অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি খুব ভয়াবহ নয়, কিন্তু অনেকেই মারা যায় এই রোগে।

                      ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়?

                      ‘ইনকিউবেশন’ বা প্রাথমিক লালনকাল

                      এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে।আপনার শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে ভাইরাস।

                      করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, আপনার নিশ্বাসের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর আপনার মুখে হাত দিলে। সংগ্রামের রিপোর্ট

                      শুরুতে এটি আপনার গলা, শ্বাসনালীগুলো এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে।

                      এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না।

                      ইনকিউবেশনের সময়ের – প্রথম সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময় – স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেকরকম হয়, কিন্তু গড়ে তা পাঁচদিন।

                      নিরীহ অসুখ

                      অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় করোনাভাইরাস নিরীহ অসুখই মনে হবে।দশজনে আটজন মানূষের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর।শরীরে ব্যাথা, গলা ব্যাথা এবং মাথাব্যাথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই।

                      শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার ফলে গায়ে জ্বর আসে।

                      রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই।এর কারণে শরীরে ব্যাথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়।

                      প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ার কারণে সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে।

                      তবে অনেকের কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করবে যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে।

                      এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয় না।

                      এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে।

                      তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংষ্করণ তৈরি হয়।

                      এই রোগ সম্পর্কে হওয়া নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে।

                      ভয়াবহ ব্যাধি

                      এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তা হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ায়।

                      যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে, সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ হয়।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/15/34500/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম উম্মাহকে করোনা নয়, বরং করুণা দান করুন। আমীন
                        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                        Comment


                        • #13
                          হে আল্লাহ আপনি মুসলামনদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                          Comment

                          Working...
                          X