Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৫শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২১শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৫শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২১শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    ১৯৯২ সালের অযোধ্যা থেকে ২০২০ সালের দিল্লি: সন্ত্রাসী দল বিজেপি’র মূল টার্গেট মসজিদ



    ফেব্রুয়ারির শেষ তিন দিন। নয়া দিল্লির উত্তর পূর্বাঞ্চলে মুসলিম বাসিন্দাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও হিন্দু সংখ্যাগুরু আদর্শের সমর্থকরা। ৫৩ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগ মুসলমান, আহত হয় তিনশ’র ওপরে। এই গণহত্যা নিয়ে শত শত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। এগুলোতে দেখা যায় মহাসড়ক থেকে শুরু করে ঘিঞ্জি গলি পর্যন্ত শত শত মুসলিম বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাছাই করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে।

    ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞের একটি সুষ্পষ্ট রূপ ফুটে উঠেছে। সেসব এলাকায় মুসলিম বাড়িঘর ও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক কম, সেখানে হামলা হয়েছে সবচেয়ে নারকীয়। স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মী যারা নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে আসে তারাই বিশ্বাসঘাতকতা করে মুসলিমদের সহায়-সম্পত্তির হদিস হামলাকারীদের কাছে সরবরাহ করেছে, এটা স্পষ্ট।

    তবে এই ঘটনায় আরেকটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে, যেসব মহল্লা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার মসজিদগুলো ছিলো হামলাকারীদের বিশেষ টার্গেট। ৪৮ ঘন্টার সহিংসতায় অন্তত ১৪টি মসজিদ ও একটি সুফি দরগাহ আংশিক বা পুরোপুরি তছনছ বা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিছু মসজিদ মুসলিম বসতির এতটাই গভীরে অবস্থিত যে স্থানীয় কেউ দেখিয়ে না দিলে সেগুলো সহজে খুঁজে বের করা যেতো না। বড়-ছোট কোন মসজিদই রেহাই পায়নি। অথচ পুরো এলাকায় একটি হিন্দু মন্দিরের গায়ে আঁচড়ও লাগেনি।

    যেন ভূমিকম্প

    হামলার শিকার সবচেয়ে বড় মসজিদটি হলো গোকালপুরির জান্নাতি মসজিদ। এলাকাটি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক এলাকা। তিন তলা মসজিদটি ১৯৭০’র দশকে তৈরি এবং দৃষ্টিনন্দন আরবী ক্যালিগ্রাফির কারুকার্য খচিত। মসজিদের আশেপাশে হিন্দুদের বসতি বেশি। তারা বলেছেন মধ্যরাতে মসজিদের উপর যখন হামলা শুরু হয় তাদের মনে হয়েছিলো যে ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। তারা মসজিদ থেকে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখেন। জেলার দরিদ্রতম এলাকা মিলান গার্ডেনের মদিনা মসজিদে প্রকাশ্য দিনের বেলা হামলা করে ২০ জনের মতো গেরুয়া সন্ত্রাসীদের একটি দল।

    মসজিদ ও মুসল্লিরা একেবারে শুরু থেকেই সন্ত্রাসী দল বিজেপি ও তাদের আদর্শিক মিত্র রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর টার্গেট।

    মধ্যযুগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে বিজেপি দেশব্যাপী যে রাজনৈতিক প্রচারণা চালায় সেটাই তাদেরকে ক্ষমতার শীর্ষে যেতে সহায়তা করে। বিজেপির দাবি তীর্থ নগরী অযোধ্যার এই মসজিদ হিন্দু দেবতা রামের জন্মস্থানের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে মন্দির নির্মাণের দাবি করে তারা। তার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে তারা মসজিদটি গুড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনা ছিলো জাতি হিসেবে ভারতীয়দের জীবনের উপর একটি কালো ছায়াপাত। ওই ঘটনার জেরে শত শত মানুষ মারা যায়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি তার আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করতে সক্ষম হয়, ৮৫ থেকে ১৬১।

    ২০০২ সালে কসাই নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে গুজরাটে মুসলিম গণহত্যা বাঁধায় মসজিদের জায়গায় হিন্দু মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে। সেখানেও হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়। সেখানেও দিল্লির মতো বেছে বেছে মুসলিম বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়। সেখানে প্রায় ৫০০ মসজিদ ও দরগাহ ধ্বংস করা হয়। আহমেদাবাদে মধ্যযুগে নির্মিত সবেচেয়ে বিশিষ্ট জায়গায় অবস্থিত অত্যন্ত সম্মানিত হিসেবে গণ্য একটি দরগাহ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়। দরগাহ ধ্বংসের পর মাত্র ৩৬ ঘন্টার মধ্যে তার উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়। ২০০২ সালের শেষ দিকে রাজ্যের নির্বাচনে মোদি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার ক্ষমতা ফিরেন এবং বিজেপি প্রমাণ করে মুসলিম-বিরোধী রাজনৈতিক সহিংসতা তাদেরকে সুবিধা করে দেয়।

    ২০১৪ সালে মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভিজিল্যান্ট আর্মিতে পরিণত হয় আরএসএস। এই সংগঠনের সঙ্গে মোদি সরকারের অনেকে সরাসরি জড়িত। আরএসএস জাতীয় রাজধানীর বিভিন্ন অংশের মসজিদ ও জুমার নামাজকে টার্গেট করে। তারা মসজিদের মাইকে আযান দেয়া নিষিদ্ধ করার জন্য আদালতে মামলা করে। জুমার নামাজে বার বার বাধা দেয়। অসংখ্যবার মসজিদের বাইরে হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিয়ে, পটকা ফাটিয়ে নানা ধরনের উষ্কানীমূলক কর্মকাণ্ড চালায়।

    গত বছর সুপ্রিম কোর্ট রায়ে, বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়া অবৈধ ঘোষণা করা হলেও সেখানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়। আদালতের রায় বিজেপির গোড়া সমর্থকদের আরো চাঙ্গা করে তুলেছে। মসজিদ ভেঙ্গে সেই জায়গায় মন্দির নির্মাণকে যারা সমর্থন করেন তাদের খুশি করে এই রায়।

    এরপরও ভারতের মুসলিমরা আদালতের রায় মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছিল।

    মনোভাব বুঝতে ভুল

    আদালতের রায়ের পর মুসলমানদের মনোভাব বুঝতে বিজেপি ভুল করে বলে মনে হচ্ছে। এর এক মাস পর পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নাগরিকত্ব সংশোধিনী আইন (সিএএ) পাস করে, যা মুসলমানদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক। এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন প্রতিবাদ শুরু হয়। নয়া দিল্লিতে ছাত্র বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করা হয় বর্বর হস্তে। এর জের ধরে সারা দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়, প্রতিবাদের নতুন আইকনিক ধরন শাহিন বাগের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে সেখানে সব বয়সী মুসলিম নারী ভারতীয় সংবিধান নিয়ে বসে আছে। তারা সংবিধানের সব নাগরিকের সমান অধিকারের দাবি করছে। দাবি করছে চিন্তার স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতার।

    বিজেপি ও মোদি সরকার এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে আখ্যা দেয়। বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করে। দিল্লির রাজ্য নির্বাচনে বিজেপি’র প্রচারণা মূল লক্ষ্য হয় বিক্ষোভকারীদের প্রতি বিষোদগার। জুনিয়র ইউনিয়ন মন্ত্রী ‘গুলি মারো গাদ্দারো কো’ বলে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার হুমকি দেন। মোদির ডান হাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির ভোটারদের প্রতি শাহিন বাগের বিক্ষোভকারীদের তাড়াতে তার দলকে ভোট দিতে বলেন।

    কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি ঘটে।

    দিল্লিতে হামলার ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগে নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র পুলিশকে অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে বলেন। তা নাহলে তার সমর্থকরা হামলা করে তাদের সরিয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন। তখন মন্দির ও মূর্তি ভাঙ্গার মিথ্যা গুজব ছড়ানো হয়। মুসলমানদের উপর যখন নৃশংস হামলা চলে তখন পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখে, কোথাও কোথাও হামলাকারীদের সহায়তা করে। দিল্লি পুলিশ অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণে।



    নয়া দিল্লির মোস্তফাবাদে একটি মসজিদের মিনারে হিন্দুত্ববাদিদের পতাকা ওড়ানো হয়েছে

    শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী ও ক্ষুব্ধ তরুণদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সুযোগে হিন্দুত্ববাদী শক্তি পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয়ংকর সহিংসতা চালায়। পুড়িয়ে দেয়া মসজিদ থেকে যখন ধুঁয়া উড়ছিলো তখনো হিন্দুত্ববাদী তরুণদের সেখানে গিয়ে মন্দির ও হনুমানের পতাকা ওড়াতে দেখা গেছে।


    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার আগে এর গম্বুজে উঠে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের উল্লাস

    উত্তর দিল্লির মসজিদগুলো আধুনিক সুশোভিত ভবন। মধ্যযুগের মসজিদের মতো এগুলোর গম্বুজ নেই। ফলে বাবরি মসজিদের উপর উঠে হাঁতুড়ি-শাবল নিয়ে গম্বুজ ভাঙ্গার দৃশ্য এখনকার দিল্লিবাসী হয়তো দেখেননি। কিন্তু তারা যা দেখেছেন সেটা শুধু মসজিদেরই ধ্বংস ছিলো না, পুরো ভারতের ধ্বংস তারা দেখেছেন। তারা এমন এক ভারতকে গুড়িয়ে যেতে দেখেছেন যেখানে সবার চিন্তার স্বাধীনতা রয়েছে।

    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34766/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসরাইলী ইহুদিদের সঙ্গে ভারতীয় মালাউনদের ৮৮০ কোটি রুপির এলএমজি চুক্তি সই



    ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬,৪৭৯টি লাইট মেশিন গান (এলএমজি) সংগ্রহের জন্য বৃহস্পতিবার ইসরাইল ইউপন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে ৮৮০ কোটি রুপির চুক্তি সই করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চুক্তিটি অনুমোদন করেছেন।

    চুক্তি করা নেগেভ ৭.৬২ ইনটু ৫১ মিলিমিটার এলএমজি হলো একটি কমব্যাট-প্রুভেন উইপন। বিভিন্ন দেশে অস্ত্রটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সরকারের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এই এলএমজি ভারতীয় মালাউন বাহিনীকে আরো ভয়ংকর করে তুলবে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34767/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কঠিন পরিস্থির শিকার ইরান: একদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অন্যদিকে করোনা ভাইরাস



      আমেরিকা নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইরানসহ সারা বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে চিকিৎসা পরিসেবা মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। পরিস্থিতিকে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির সুযোগ হিসেবে নিয়েছে আমেরিকা।

      সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং দেশটির জাতীয় তেল কোম্পানিতে সহযোগিতার দায়ে ইরানের পাঁচ পরমাণু বিজ্ঞানী ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য-কর্তৃপক্ষ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, ইরানের পেট্রোক্যামিকেল খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেনে জড়িত থাকায় দেশটির তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ওয়াশিংটন কালো-তালিকাভুক্ত করেছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সামাজিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ও এর পরিচালকরাও কালো-তালিকার মধ্যে পড়েছে বলে পম্পেও জানান। খবর- পার্সটুডে

      পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা দিল। পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমেরিকা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েই চলেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক অতি গুরুত্বপূর্ণ বহু পণ্য এসব নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিৎসা সংকটে ভুগছে এবং এ পর্যন্ত বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

      একদিকে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ অন্যদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে।

      স্পেনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হাসান কাশকাভি বলেছেন, ‘ইরান একমাত্র দেশ যাকে এ ধরনের কঠিন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ও অর্থলেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে চিকিৎসা খাতে জরুরী পণ্য আনতে পারছে না ইরান।’ তবে আন্তর্জাতিক ব্যাপক চাপের মুখে মার্কিন কর্মকর্তারা সম্প্রতি এ ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বলছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান করোনা ভাইরাস মোকাবেলার বিষয়টিকে রাজনৈতিকীকরণের বিরোধিতা করেছেন।

      এদিকে, আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্বেও সব দিক থেকে ইরানকে পঙ্গু করে ফেলার মার্কিন ষড়যন্ত্র থেমে নেই বরং তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকা ক্রমেই বাড়ছে। করোনা মোকাবেলাসহ চিকিৎসা খাতে ইরান যাতে কোনো সুবিধা করতে না পারে সেজন্য বিদেশ থেকে যে কোনো ওষুধ আমদানির পথে বাধা সৃষ্টি করছে আমেরিকা। তবে ইরানকে নতজানু করতে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ পল পিলার ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির মার্কিন নীতির ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যারা ইরানের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টির পক্ষপাতী তারাও এ ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34773/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এবার হোয়াইট হাউজে করোনা ভাইরাসের হানা



        এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি কার্যালয় ও বাসভবনেও হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রথমবারের মতো সেখানেও খোঁজ মিলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর। এর মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজও অনিরাপদ হয়ে উঠল। ওই ব্যক্তি ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের এক কর্মী।

        শুক্রবার হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিএনএন’র।

        পেন্সের মুখপাত্র কেটি মিলার ওই বিবৃতিতে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা জানতে পারি যে, ভাইস প্রেসিডেন্টের অফিসের এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত।

        এর আগে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন ভেবে ট্রাম্পের পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু তার নেগেটিভ আসে। তবে এখন পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্টের করোনা টেস্ট করা হয়নি।

        আমেরিকায় দিন দিন করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে লোকজনকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ২৬৪ জন করোনায় মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৫৮ মানুষ।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34786/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনাভাইরাস: পরীক্ষার সময়সূচীতে পরিবর্তন আনলো দেওবন্দ



          এবার করোনার কারণে পরীক্ষার সময়সূচীতে পরিবর্তণের ঘোষণা দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ। মাদরসাটির সমপানী পরীক্ষা আগামী সোমবার ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

          আজ শনিবার দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

          জরুরি এ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে দারুল উলুম দেওবন্দ সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচীতে পরিবর্তন এনেছে। মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা আগামী ২৩ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ৩ এপ্রিল। ৩ এপ্রিল মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হবে। মাদরাসার হিফজ নাজেরা নূরানী বিভাগের পরীক্ষা ২৭,২৮,২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

          বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রত্যেক কিতাবের ৫টি প্রশ্ন থেকে ২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যে দু’কিতাব এক সঙ্গে পরীক্ষা, ৬টি প্রশ্ন থেকে ১টি ১টি উত্তর দিতে হবে।

          প্রতিদিন ২ বেলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৭ থেকে সাড়ে ১০টা, দুপুর ২.৩০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত। পরীক্ষার হলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর মাঝে এক মিটার করে ফাঁকা রাখতে হবে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34798/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            করোনা আতংকেও স্থগিত হচ্ছে না কথিত সিটি নির্বাচন



            চট্টগ্রাম নগরের পাড়া-মহল্লা, এমনকি ঘরে ঘরেও যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সঙ্গে বিরাট কর্মী-সমর্থক বাহিনী। একজন মেয়র প্রার্থী এলেন তো কিছুক্ষণ পরই হয়তো কাউন্সিলর প্রার্থী। এক–একটি এলাকায় চার-পাঁচজন পর্যন্ত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আছেন। সুতরাং নগরের প্রতিটি ঘরে দিনে অন্তত একজন প্রার্থী যে সদলবলে জনসংযোগ করতে আসবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এ ছাড়া প্রার্থীদের সবারই ন্যূনপক্ষে একটি কার্যালয় আছে (মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে আরও বেশি), সেখানে আড্ডা বা জটলা হচ্ছে, মিছিল-সমাবেশে লোকজন জড়ো হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এই জোর প্রস্তুতি দেখে কে বলবে বিশ্বের আরও দেড় শতাধিক দেশের মতো এ দেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে! কে বলবে সরকারের নানা মহল থেকে জনসমাগম, সভা-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে!

            সরকার প্রথম থেকেই প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে আশ্বস্ত করে আসছে জনগণকে। আমাদের দেশ ইউরোপের চেয়েও কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রচার করতে দ্বিধা করছেন না কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি। কিন্তু যাঁরা কিছুমাত্র খোঁজখবর রাখেন, তাঁরা জানেন এসব বক্তৃতা কতটা অসার ও বাস্তবতাবর্জিত। সত্যটা হচ্ছে, রোগের নমুনা পরীক্ষার জন্য আছে নগণ্যসংখ্যক কিট। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা কতটুকু সুরক্ষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিলে বোঝা যায়, শুরুতে এর গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ হলে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়।

            সরকারের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু জনসাধারণের মধ্যে এ নিয়ে খুব একটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে বলে মনে হয় না।‘অতিসতর্ক’ অন্য একদল ভবিষ্যতে বাজারে জরুরি পণ্যের ঘাটতি হতে পারে ভেবে বেশি বেশি পণ্যসামগ্রী কিনে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছেন। এর সবকিছুই যে প্রকৃত সচেতনতা ও নাগরিক বোধের অভাব, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং এ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বড় আকার ধারণ করলে কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কঠোর পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬৫০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) সহজ শর্তে ঋণ ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে যে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই, সেই বার্তা আমরা পেয়েছি। এমনকি আমাদের হাইকোর্টও গত বুধবার (১৮ মার্চ) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপসমূহও জানাতে বলেছেন এক দিনের মধ্যে।

            এ রকম একটি অবস্থার মধ্যেও চট্টগ্রাম নগরের মানুষ সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের প্রচারণায় অতিষ্ঠ। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার জন্য যতই নির্দেশনা প্রচার হোক, খোদ মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থীরা যদি নিজের ঝুঁকি অগ্রাহ্য করে হাটে-মাঠে-বাজারে সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশে হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে নাগরিকের পক্ষে নিজের দুটি হাত লুকিয়ে রাখার উপায় কী? অর্থাৎ উভয় পক্ষ এ ক্ষেত্রে অসহায়। প্রার্থীরা সবাই যে খুব আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় জড়িত আছেন তা নয়। চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন এক নির্বাচনী সভায় করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও ভীতির কথা উল্লেখ করেছেন। নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। রাজনীতিক পরিচয়ের বাইরে শাহাদাত একজন চিকিৎসক। সুতরাং ঝুঁকির কথাটা তাঁর মাথায় থাকা স্বাভাবিক। অবশ্য নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীও এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলে আসছেন জনসাধারণকে। রিপোর্টঃ প্রথম আলোর

            কিন্তু নির্বাচন কমিশনার অনড়। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। উপরন্তু করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনার শিরোনাম ‘জনস্বাস্থ্য নিরাপদ রেখে নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালন।’ এতে বলা হয়েছে, প্রার্থীরা যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ইত্যাদি যতদূর সম্ভব পরিহার করে চলেন। এখানে প্রশ্ন ওঠে, ‘যতদূর সম্ভব’ মানে কতদূর? জমায়েত এড়িয়ে কথিত নির্বাচনী প্রচারের পরামর্শ অনেকটা শরীর না ভিজিয়ে জলে নামার প্ররোচনার মতো। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যদি ভোটারের ঘরে ঢুকে মুরব্বির পায়ে ধরে সালাম করে তাঁর সঙ্গে কোলাকুলি করে ভোট প্রার্থনা করেন, সে ক্ষেত্রে আমি দূর থেকে সালাম জানালে চলবে? এখানে আচরণবিধির সমমাত্রা পর্যবেক্ষণ করবে কে?

            চসিক নির্বাচন স্থগিত করা না–করা নিয়ে মতভিন্নতা আছে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে। তাঁদের অধিকাংশই কথিত নির্বাচন না পেছানোর পক্ষে। তাঁদের এ অবস্থানের কারণ বোধগম্য। ইতিমধ্যে শ্রম-সময় ও অর্থ ব্যয় হয়েছে তাঁদের।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34774/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              জবাবদিহি নেই অসম্পন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে



              কাজ শেষ না করেই ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১৫৭ উন্নয়ন প্রকল্পের সমাপ্তি ঘোষণার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। আশ্চর্যজনক হল, এসব প্রকল্পের কোনোটিরই শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়নি; এমনকি এর মধ্যে শূন্য থেকে দুই শতাংশ অগ্রগতির প্রকল্পও রয়েছে।

              বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এডিপি অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, অসম্পন্ন কোনো প্রকল্প, বিশেষ করে ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত কোনো প্রকল্প যদি ৮০ ভাগ সম্পন্নের পর সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় তাহলে সেটি পুরোপুরি কাজে লাগে না।

              ফলে অর্থের অপচয় হয়। অন্যদিকে বাকি ২০ ভাগ কাজ শেষ করতে পুনরায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হয়। নতুন প্রকল্পের কাজ শেষ হতে-না-হতেই দেখা যায়- আগে যেসব কাজ করা হয়েছিল, তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয়বার অপচয়ের ঘটনা ঘটে। বস্তুত অপচয়ের দুষ্টচক্রে পড়ে যায় এসব প্রকল্প। রিপোর্টঃ যুগান্তর

              বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা এবং সরকারের সক্ষমতার মধ্যে সমন্বয় করে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার কথা বলা হলেও প্রতিবছরই মাত্রাতিরিক্ত প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি খারাপ প্রবণতা। জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় কোনো প্রকল্প অনুমোদনের পর তা নির্দিষ্ট মেয়াদকালে শেষ করা না গেলে কিংবা অসম্পূর্ণ অবস্থায় থেকে গেলে রাষ্ট্র আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পাশাপাশি জনদুর্ভোগ ও হয়রানির মাত্রাও বাড়ে।

              ১৫৭ উন্নয়ন প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়িত না হওয়ায় নির্দিষ্ট অর্থবছরে গৃহীত উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে আমাদের। উদ্বেগের বিষয় হল, প্রতিবছর প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে এবং এর ফলে এডিপির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে। কাজেই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিত, যাতে সেগুলো পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।

              সাধারণত কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা, জমি অধিগ্রহণের জটিলতা, অর্থ ছাড়ে বিলম্ব, দরপত্র মূল্যায়নে দীর্ঘসূত্রতা, সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ, দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাব, ঠিকাদারদের পেশাদারিত্বের অভাব ইত্যাদি সমস্যার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটে কিংবা অসমাপ্ত অবস্থায় রয়ে যায়।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34779/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের নামে তথ্য গোপনের হিড়িক



                দক্ষিণ এশিয়ায় এখনো করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার হার কম। তবে অনেকে বলছেন যে এর কারণ হলো অপ্রতুল পরীক্ষা ও সত্য আড়াল করা। বলা হচ্ছে, ভারতসহ সব দেশই ‘তথ্য গোপনকারী’ এবং এসব দেশের মহামারীটি মোকাবিলা করার সামর্থ্য নেই। সত্য আড়াল করা প্রয়োজনীয় বিষয় নয়। কারণ পাশ্চাত্যে যে ধরনের মানসম্পন্ন তথ্য সহজলভ্য, এখানকার ব্যবস্থায় তা নেই। অনেকে বলছেন, চীনই পরিকল্পিতভাবে গোপন করার কাজটি করছে। বর্তমানে দেশটি বিপদমুক্ত।

                বিষয়টি কেবল স্বাস্থ্যগত নয়। পাশ্চাত্যের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কারণেই চীন যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, তারা তেমনভাবে করতে সক্ষম নয়। সমাজকে প্রস্তুত ও সঙ্ঘবদ্ধ করার সক্ষমতা চরমভাবে সংকল্পবদ্ধ করে এবং চীনা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে যে এমন কাজ করা কেবল চীনের পক্ষেই সম্ভব এবং ইউরোপের পরিস্থিতি প্রমাণ করেছে যে এই দেশগুলো মহামারী ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারে না।

                মূল কথা হলো, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা সহজাতভাবে সবার মধ্যে থাকে না, তা তারা যত উন্নতই হোক না কেন। এই সক্ষমতা চীনের আছে, পাশ্চাত্যের নেই। বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করলে প্রশ্ন জাগবে, মহামারীর পর পরবর্তী সঙ্কট তথা অর্থনৈতিক, সামরিক বা ভাইরাস-সংশ্লিষ্ট সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো কোন মডেলের দিকে নজর দেবে?

                প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, স্প্যানিশ ফ্লুর (এতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ আক্রান্ত হয়েছিল বলে জানা যায়) পর এমন ধরনের আর কিছুই আসেনি। মৃত্যু হার প্রায় ২.৫ ভাগ, গড় ফ্লু প্রাদুর্ভাব হার ১ ভাগ। বর্তমানে করোনাভাইরাসের হার প্রায় ১.৫ ভাগ। খবরঃ সাউথ এশিয়ান মনিটর

                বিশ্বায়ন ও দক্ষিণ এশিয়া

                বিশ্বায়ন বলতে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও সহযোগিতা উভয়টিই বোঝায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটা অনেকটাই ছিল ইতিবাচক। কিন্তু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখিয়েছে যে এর অপর দিকটিও প্রাণঘাতী হতে পারে। একসময় যুদ্ধ ছিল মামুলি বৈশ্বিক ঘটনা। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মহামারী ও দুর্ভিক্ষও হানা দিয়েছিল। বর্তমানে লোকজন ও পরিষেবার চলাচলের ফলে অরক্ষণীয় পরিবেশের সৃষ্টি করেছ, কারণ কোনো দেশই আর নিঃসঙ্গ নয় বা অর্থনৈতিকভাবে কেউ স্বাধীন নয়। চিকিৎসা আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিন্তু সরকারি গণস্বাস্থ্য কিভাবে সামাল দেয়া হবে, সেটাও বিবেচনা করতে হবে।

                দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ও বাইরের লোকজন এখনো সর্বোচ্চ অবস্থাটি দেখেনি। ফলে পরিস্থিতি অস্পষ্ট। তবে ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক অবস্থা দুর্বল নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাকিস্তান ভালো করছে না। এর কারণ প্রতিবেশী ইরানের অবস্থা খুবই খারাপ, আর চীনের সাথে রয়েছে তার সীমান্ত। সমালোচকেরা বলছেন, মহামারী ব্যবস্থাপনার চেয়ে রাজনৈতিক অগ্রাধিকারই অনেক নীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করছে। তবে পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধুর দক্ষতা প্রশংসনীয়। তারা প্রমাণ করেছে যে শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করলে ক্ষতি কমানো যায়।

                স্বাস্থ্য কাঠামো ও নজরদারি ব্যবস্থায় স্বল্প বিনিয়োগ-সংবলিত প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল দেশের জন্য ভয়াবহভাবে আক্রান্ত দেশগুলো, বিশেষ করে ইউরোপ থেকে আগত অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার। কোয়ারেন্টাইন নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে, ফিরে আসা অনেকে প্রকাশ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করেছে। এর ফলে সামাজিক পর্যায়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

                করোনা+ডেঙ্গু

                এখন পর্যন্ত সংক্রমণ শনাক্তের হার বেশ কম। কিন্তু অনেকে মনে করছে, শনাক্তহীন ঘটনা অনেক বেশি। বিধিনিষেধ আরোপ করার আগেই চীনসহ আক্রান্ত দেশ থেকে অনেক অভিবাসী এসে পড়েছিল। এ ধরনের গণস্বাস্থ্যগত ইস্যু ব্যবস্থাপনায় দুর্বল রেকর্ডের অধিকারী একটি দেশের জন্য ডেঙ্গু মওসুম বোঝার ওপর শাকের আটি হিসেবে দেখা দেবে। ইতোমধ্যেই ডেঙ্গুর উচ্চ হার দেখা গেছে, একই সময়ে গত বছরের তুলনায় এবারের হারটি অনেক বেশি। এটি ইতোমধ্যেই নাজুক হয়ে ওঠা স্বাস্থ্য কাঠামোকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

                ফলে সামনের পথটি ভালো মনে হচ্ছে না, ভরসা স্থাপন করা যেতে পারে আবহাওয়ার ওপর। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া ভাইরাসটির জন্য অনুকূল নয় বলে বলা হলেও বিজ্ঞান কিন্তু এ ব্যাপারে নাজুক। গড়ে প্রত্যাবর্তন হার বেশ ভালো হলেও অনেকেই এর পরিণাম বুঝতে পারছে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোয়ারেন্টাইনে থাকা সত্ত্বেও এক বিদেশফেরত শ্রমিক বিয়ে করেছেন। কর্তৃপক্ষ বউভাত অনুষ্ঠান বাতিল করলেও মূল সমস্যাটি এতে প্রকট হয়ে পড়েছে। বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়াই মহামারীটি কার্যকরভাবে সামাল দেয়ার মতো ব্যবস্থা নেই।

                বেশির ভাগ লোকই অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সঙ্কট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের ১০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিলটির সাথে আরো অনেক মিলিয়ন ডলার যোগ হবে মহামারীটির প্রকোপ কমা মাত্র অর্থনীতি পুনর্গঠনে।

                এখন সবাই দম বন্ধ করে আছেন এই আশায় যে কোনো না কোনো কারণে, কেউ অবশ্যই নিশ্চিত নয়, প্রত্যেকে যেমনটা আশঙ্কা করছে, পরিস্থিতি তেমন নাও হতে পারে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34782/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে ইভিএমে কথিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত



                  করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মাঝেই শনিবার তিন সংসদীয় আসন ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪-এ কথিত উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

                  করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে শুক্রবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ইভিএমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। নয়া দিগন্তের খবর

                  তিন আসনে ভোটার রয়েছেন ১০ লাখের বেশি। ভোটগ্রহণ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।

                  ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/21/34787/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ মিডিয়ার ভাইদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন,,
                    আমিন
                    মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment


                      • #12
                        পুরো দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে ত্বাগুতের সবগুলো সংস্থা জনগনের সাথে তামাশা করছে। সময়মত ব্যবস্থা নিলে আজকে করোনাএ এতো মহামারী আকার আমাদের দেশে ধারণ করত না। যখন করোনা টেকানো যেতো তখন ত্বাগুত মুজিবের পুজো নিয়ে থেকেছে ব্যস্ত৷ এখন তো জনগন খুব ভালো করে বুঝতেছে যে, এতোদিন শয়তানগুলো দেশের ক্ষমতায় বসে কি করেছে৷
                        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                        Comment

                        Working...
                        X