Announcement

Collapse
No announcement yet.

মসজিদে নববী মহামারীর ভয়ে বন্ধ করা কি শরীয়াহসম্মত???

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মসজিদে নববী মহামারীর ভয়ে বন্ধ করা কি শরীয়াহসম্মত???

    মসজিদে নবাবী মহামারীর ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! যা আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। কেননা মদিনায় মহামারী প্রবেশ করতে পারবে না। কেননা হাদীস শরীফে আছে,

    গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
    অধ্যায়ঃ ১৬। হজ্জ (كتاب الحج)
    হাদিস নম্বরঃ ৩২৪১

    ৮৭. মহামারী ও দাজ্জালের প্রবেশ থেকে মদীনাহ সুরক্ষিত

    ৩২৪১-(৪৮৫/১৩৭৯) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাদীনার প্রবেশ পথে মালায়িকাহ প্রহরারত। তথায় মহামারী ও দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না

    باب صِيَانَةِ الْمَدِينَةِ مِنْ دُخُولِ الطَّاعُونِ وَالدَّجَّالِ إِلَيْهَا ‏‏ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلاَئِكَةٌ لاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلاَ الدَّجَّالُ ‏"‏ ‏.‏
    গ্রন্থঃ আল-লুলু ওয়াল মারজান
    অধ্যায়ঃ ১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)
    হাদিস নম্বরঃ ৮৭১

    ১৫/৮৭. মহামারী ও দাজ্জালের প্রবেশ থেকে মদীনাহ সংরক্ষিত হওয়া।

    ৮৭১. আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাদীনার প্রবেশ পথসমূহে ফেরেশতা পাহারায় নিয়োজিত আছে। তাই প্লেগ রোগ এবং দাজ্জাল মাদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না।

    صيانة المدينة من دخول الطاعون والدجال إِليها حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلاَئِكَةٌ لاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلاَ الدَّجَّالُ


    গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
    অধ্যায়ঃ ৩১/ কলহ ও বিপর্যয় (كتاب الفتن عن رسول الله ﷺ)
    হাদিস নম্বরঃ ২২৪২


    ৬১. দাজ্জাল মাদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না

    ২২৪২। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দাজ্জাল মাদীনায় উপস্থিত হয়ে দেখতে পাবে যে, ফিরিশতাগণ তা পাহারা দিচ্ছেন। অতএব, আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছায় মহামারী ও দাজ্জাল মাদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না।

    সহীহ

    আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, ফাতিমা বিনতু কাইস, উসামা ইবনু যাইদ সামুরা, ইবনু জুনদাব ও মিহজান (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি সহীহ

    باب مَا جَاءَ فِي الدَّجَّالِ لاَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَأْتِي الدَّجَّالُ الْمَدِينَةَ فَيَجِدُ الْمَلاَئِكَةَ يَحْرُسُونَهَا فَلاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلاَ الدَّجَّالُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَفَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَسَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ وَمِحْجَنٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

    গ্রন্থঃ মুয়াত্তা মালিক
    অধ্যায়ঃ ৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাস'আলা সম্বলিত অধ্যায় (كتاب الجامع)
    হাদিস নম্বরঃ ১৬৪৮


    ৪. মদীনার মহামারী সম্বন্ধে রেওয়ায়ত

    রেওয়ায়ত ১৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মদীনার দ্বারে ফিরিশতা মোতায়েন রহিয়াছে। উহাতে কখনও মহামারী দেখা দিবে না আর দজ্জালও প্রবেশ করিবে না।

    مَا جَاءَ فِي وَبَاءِ الْمَدِينَةِ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلَائِكَةٌ لَا يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلَا الدَّجَّالُ
    গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
    অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা (كتاب الطب)
    হাদিস নম্বরঃ ৫৩২০

    ২৩০১. প্লেগ রোগের বর্ণনা

    ৫৩২০। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসূফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদিনা নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না মাসীহ দাজ্জাল, আর না মহামারী।

    باب مَا يُذْكَرُ فِي الطَّاعُونِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ الْمَسِيحُ وَلاَ الطَّاعُونُ ‏"‏‏.‏
    গ্রন্থঃ মুয়াত্তা মালিক
    অধ্যায়ঃ ৮. জামা’আতে নামায পড়া (كتاب صلاة الجماعة)
    হাদিস নম্বরঃ ৩০০

    ৬. বসিয়া নামায আদায়কারীর নামাযের তুলনায় দাঁড়াইয়া নামায আদায়কারীর নামাযের ফযীলত

    রেওয়ায়ত ২০. আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রাঃ) বর্ণনা করেন- আমরা যখন মদীনায় আসিলাম তখন মদীনার মহামারীরূপী প্রচণ্ড জ্বর আমাদেরও আক্রমণ করিয়া বসিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিকট আগমন করিলেন, তখন তাহারা (সাহাবীগণ) তাহদের নফল নামায বসিয়া পড়িতেছিলেন। (ইহা দেখিয়া) তিনি ইরশাদ করিলেনঃ বসিয়া নামায আদায়কারীর নামায (সওয়াবের বেলায়) দাঁড়াইয়া আদায়কারীর নামাযের অর্ধেকের মত।

    بَاب فَضْلِ صَلَاةِ الْقَائِمِ عَلَى صَلَاةِ الْقَاعِدِ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهُ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ نَالَنَا وَبَاءٌ مِنْ وَعْكِهَا شَدِيدٌ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النَّاسِ وَهُمْ يُصَلُّونَ فِي سُبْحَتِهِمْ قُعُودًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةُ الْقَاعِدِ مِثْلُ نِصْفِ صَلَاةِ الْقَائِمِ
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-22-2020, 06:45 PM.

  • #2
    মাশা'আল্লাহ। খুব সুন্দর সুন্দর হাদীসগুলোকে একত্রিত করেছেন। বেশি বেশি প্রচার করা উচিত।
    আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
    জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
    বিইযনিল্লাহ!

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ ,,
      খুব সুন্দর হয়েছে ,,
      আল্লাহ তা আলা ভাইকে কবুল করুন ,, ,,
      আমিন
      মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

      Comment


      • #4
        চমৎকার পোষ্ট ৷
        "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ।
          খুব চমৎকার আলোচনা করেছেন।
          আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন,আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment


          • #6
            তারা কি রাসূলের ভবিষ্যৎ বানী জানে না। না কি তারা জানিয়াও তার উপর ইমান নেই ! আমাদের এখন উচিত তাদের সঠিক পথে পেরা

            Originally posted by musafirvai View Post
            মসজিদে নববী মহামারীর ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! যা আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি।
            ................
            নিশ্চই আল্লাহ সকল কিছু সম্যক অবিহিত ।
            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-23-2020, 09:49 PM.

            Comment


            • #7
              উক্ত হাদিসটিও মদিনায় মহামারী প্রবেশ না করার বিষয়টি কে শক্তিশালী করেحَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ لَمَّا قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ وُعِكَ أَبُوْ بَكْرٍ وَبِلَالٌ قَالَتْ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا فَقُلْتُ يَا أَبَتِ كَيْفَ تَجِدُكَ وَيَا بِلَالُ كَيْفَ تَجِدُكَ قَالَتْ فَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الْحُمَّى يَقُوْلُ :
              كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِيْ أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
              وَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أَقْلَعَ عَنْهُ الْحُمَّى يَرْفَعُ عَقِيْرَتَهُ وَيَقُوْلُ :
              أَلَا لَيْتَ شِعْرِيْ هَلْ أَبِيْتَنَّ لَيْلَـةً بِوَادٍ وَحَوْلِيْ إِذْخِرٌ وَجَـلِيْلُ
              وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَــجَنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِيْ شَامَةٌ وَطَـفِيْلُ
              قَالَتْ عَائِشَةُ فَجِئْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِيْنَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِيْ صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ

              আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

              তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনায় আসলেন, তখন আবূ বক্‌র ও বিলাল (রাঃ) ভীষন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আমি তাদেরকে দেখতে গেলাম এবং বললাম, আব্বাজান, কেমন আছেন? হে বিলাল, আপনি কেমন আছেন? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আবূ বকর (রাঃ) জ্বরে পড়লেই এ পংক্তিগুলি আবৃতি করতেন।

              “প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজ পরিবারে সুপ্রভাত বলা হয়
              অথচ মৃত্যু তার জুতার ফিতার চাইতেও অতি নিকটে।”

              আর বিলাল (রাঃ) - এর অবস্থা ছিল এই যখন তার জ্বর ছেড়ে যেত তখন কন্ঠস্বর উঁচু করে এ কবিতাটি আবৃতি করতেনঃ

              “হায়, আমি যদি জানতাম আমি এ মক্কা উপত্যকায় আবার রাত্রি কাটাতে পারব কিনা
              যেখানে ইয্‌খির ও জলীল ঘাস আমার চারপাশের বিরাজমান থাকত।
              হায়, আর কি আমার ভাগ্যে জুটবে যে, আমি মাজান্নাহ নামক কূপের পানি পান করতে পারব! এবং শামাহ ও তাফিল পাহাড় কি আর আমার চোখে পড়বে!”

              ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট গিয়ে এ সংবাদ জানালাম। তখন তিনি এ দু’আ করলেন, হে আল্লাহ্‌! মদীনাকে আমাদের প্রিয় করে দাও যেমন প্রিয় ছিল আমাদের মক্কা বরং তার থেকেও অধিক প্রিয় করে দাও। আমাদের জন্য মদীনাকে স্বাস্থ্যকর করে দাও। মদীনার সা ও মুদ এর মধ্যে বরকত দান কর। আর এখানকার জ্বরকে সরিয়ে জুহ্‌ফায় নিয়ে যাও। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৩৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৩৯)

              Comment


              • #8
                জাজাকাল্লহ্

                Comment

                Working...
                X