Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লাহর আযাব: বেঈমানদের সহাবস্থান থেকে সাবধান হে মুমিন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লাহর আযাব: বেঈমানদের সহাবস্থান থেকে সাবধান হে মুমিন

    আল্লাহর আযাব
    বেঈমানদের সহাবস্থান থেকে সাবধান হে মুমিন

    বিদেশ ফেরত বাংলাদেশীদের বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত। বর্তমান করোনা ভাইরাসের সার্বিক অবস্থা লক্ষ করলে বুঝা যায়, এটি আল্লাহর আযাব। আর আল্লাহর আযাব যখন আসে তখন শুধু অপরাধীদের উপরই আসে না, সাথে যারা থাকে সকলের উপরই আসে।

    # আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ -الأنفال25
    “তোমরা ঐ আযাবকে ভয় কর যা শুধু তোমাদের মধ্যে যারা জুলুম করেছে বিশেষত তাদের উপরই পতিত হবে না। আর জেনে রাখ, আল্লাহর শাস্তি বড়ই কঠিন।” –আনফাল ২৫

    অর্থাৎ সকলের উপরই আসবে।


    ইমাম তবারি রহ. এ আয়াতের তাফসিরে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন,
    أمر الله المؤمنين أن لا يقرُّوا المنكر بين أظهرهم، فيعمَّهم الله بالعذاب -جامع البيان في تأويل القرآن، ج: 13، ص: 474، ط. الرسالة
    “আল্লাহ তাআলা মুমিনদের আদেশ দিয়েছেন তারা যেন তাদের মাঝে কোন মন্দকে প্রশ্রয় না দেয়। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা ব্যাপকভাবে সকলকে আযাবে নিপতিত করবেন।” –জামিউল বায়ান ১৩/৪৭৪


    মুসলিম সমাজে কিছু লোক গুনাহ করলে বাকিরা যদি সামর্থ্য থাকা সত্বেও প্রতিহত না করে তাহলে সকলের উপরই আযাব আসবে: যারা করেছে তাদের উপরও, যারা প্রতিহত করেনি তাদের উপরও।


    প্রিয় ভাই, যখন মুসলিম সমাজই আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি পেতে পারে না, তখন কাফেরদের সাথে সহাবস্থান করে তাদের সকল পাপাচারকে মৌন সমর্থন দিয়ে গেলে, এমনকি তাদের পাপাচারে নিজেরাও শরীক হলে কিভাবে আযাব থেকে বাঁচা যাবে? তখন যে আযাব কাফেরদের উপর আসবে, সে আযাব সেসব মুসলমানের উপরও আসবে।


    # আল্লাহ তাআলা অন্যত্র ইরশাদ করেন,
    وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّى يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ وَإِمَّا يُنْسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَى مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ –الأنعام 68
    “যারা আমার আয়াতসমূহের সমালোচনায় রত থাকে তাদেরকে যখন দেখবে তাদের থেকে দূরে সরে যাবে, যতক্ষণ না তারা অন্য বিষয়ে প্রবৃত্ত হয়। যদি শয়তান কখনও তোমাকে এটা ভুলিয়ে দেয় তাহলে স্মরণ হওয়ার পর আর জালিম লোকদের সাথে বসবে না।” –আনআম ৬৮

    অন্যত্র ইরশাদ করেন,
    وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللَّهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللَّهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا –النساء 140
    “তিনি ইতিপূর্বেও কিতাবে তোমাদের প্রতি এই নির্দেশ নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে ও তার সাথে বিদ্রূপ করা হচ্ছে তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যে পর্যন্ত না তারা অন্য কোনো প্রসঙ্গে লিপ্ত হবে। অন্যথায় তোমরাও তাদের মতো হয়ে যাবে। নিশ্চিত জেনো, আল্লাহ সকল মুনাফিক ও কাফিরকে জাহান্নামে একত্র করবেন।” –নিসা ১৪০


    জালেম ও কাফেররা যখন গুনাহ ও কুফর করতে থাকে আল্লাহ তাআলা তখন তাদের সাথে বসতে নিষেধ করেছেন। যদিও সে উক্ত গুনাহ বা কুফরে শরীক না হয় তবুও সে অপরাধী। তাদের উপর যে আযাব আসবে তার উপরও সে আযাব পতিত হবে।


    # অন্য হাদিসে তো আরো ভয়ানক কথা এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    إذا أنزل الله بقوم عذابا أصاب العذاب من كان فيهم ثم بعثوا على أعمالهم
    “আল্লাহ তাআলা যখন কোনো কওমের উপর আযাব নাযিল করেন তাদের মাঝে থাকা (নেককার বদকার) সকলের উপরই আযাব আপতিত হয়। এরপর (কিয়ামতের দিন) প্রত্যেকে তার আপন আমল অনুযায়ী পুনরুত্থিত হবে।” –সহীহ বুখারি ৬৬৯১

    সহীহ ইবনে হিব্বানে এসেছে,
    عن عائشة قالت: قلت: يا رسول الله إن الله إذا أنزل سطوته بأهل الأرض وفيهم الصالحون فيهلكون بهلاكهم؟ فقال: "يا عائشة إن الله إذا أنزل سطوته بأهل نقمته وفيهم الصالحون فيصابون معهم ثم يبعثون على نياتهم وأعمالهم" –صحيح ابن حبان: 7314
    “হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তাআলা যখন কোনো ভূমির অধিবাসীদের উপর আযাব নাযিল করেন আর তাদের মাঝে কিছু নেককার লোকও থাকে তাহলে তারাও কি তাদের সাথে ধ্বংস হয়ে যাবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, হে আয়েশা! আল্লাহ তাআলা যখন তার নাফরমানদের উপর আযাব নাযিল করেন তখন তাদের মাঝে কিছু নেককার লোক থাকলে তাদের সাথে তারাও আযাবের শিকার হয়। এরপর (কিয়ামতের দিন) তারা তাদের আপন নিয়ত ও আমল অনুযায়ী পুনরুত্থিত হবে।” –সহীহ ইবনে হিব্বান ৭৩১৪


    অর্থাৎ কিয়ামতের দিন নেককারগণ যদিও উক্ত গুনাহগারদের গুনাহর কারণে পাকড়াওয়ের শিকার হবেন না, তবে দুনিয়াতে তাদের ভূমিতে থাকার কারণে এবং তাদের সাথে সহাবস্থানের কারণে তারাও তাদের সাথে আযাবে নিপতিত হবেন।


    এর বাস্তব দৃষ্টান্ত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত সহীহ বুখারির এক হাদিসে এসেছে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
    قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( يغزو جيش الكعبة فإذا كانوا ببيداء من الأرض يخسف بأولهم وآخرهم ) . قالت قلت يا رسول الله كيف يخسف بأولهم وآخرهم وفيهم أسواقهم ومن ليس منهم ؟ . قال ( يخسف بأولهم وآخرهم ثم يبعثون على نياتهم )
    “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, একটি বাহিনি আগ্রাসনের জন্য কা’বার উদ্দেশ্যে আসবে। যখন বাইদা নামক স্থানে এসে পৌঁছবে তাদের প্রথম থেকে শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত সকলকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, তাদের প্রথম থেকে শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত সকলকে কিভাবে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে অথচ তাদের মাঝে এমন লোকজনও থাকবে যারা ব্যবসার জন্য এসেছে এবং এমন লোকজন যারা তাদের দলভুক্ত নয়? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দেন, তাদের প্রথম থেকে শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত সকলকে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে, এরপর (কিয়ামতের দিন) তারা আপন নিয়ত অনুযায়ী পুনরুত্থিত হবে।” –সহীহ বুখারি ২০১২


    অর্থাৎ একটা বাহিনিতে বিভিন্ন শ্রেণীর লোক থাকে। কিছু লোকের উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসা। তারা আগ্রাসনে শরীক নেই। বাহিনির লোকদের কাছে জিনিসপত্র বিক্রি করে লাভ করাই তাদের উদ্দেশ্য। আবার কিছু লোক হয়তো রাস্তার লোক। হয়তো পথ চলতে গিয়ে বাহিনির সাথে এক জায়গায় হয়ে গেছে। আবার কিছু লোককে হয়তো জোরপূর্বক সাথে আনা হয়েছে যারা আগ্রাসনের পক্ষে নয়। আল্লাহ তাআলা সকলকেই ধ্বসিয়ে দেবেন। সাথে থাকার কারণে বা রাস্তায় এক জায়গায় হয়ে যাওয়ার কারণে সকলের উপর আযাব নিপতিত হবে।


    # অন্য হাদিসে আরো সতর্কবাণী এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    لا تدخلوا مساكن الذين ظلموا أنفسهم إلا أن تكونوا باكين أن يصيبكم مثل ما أصابهم
    “যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছে (ফলে তাদের উপর আযাব নাযিল হয়েছিল) তোমরা তাদের আবাসভূমিগুলোতে প্রবেশ করবে না। প্রবেশ করতে হলে কাঁদতে কাঁদতে করবে। কেননা, তাদের উপর যে আযাব নাযিল হয়েছিল তোমাদেরকেও সে আযাব পেয়ে বসতে পারে।” –সহীহ বুখারি ৩২০১


    তাবুক যুদ্ধে গমনকালে যখন কওমে সামূদের বস্তি দিয়ে অতিক্রম করছিলেন তখন সাহাবায়ে কেরামকে আদেশ দেন, সে বস্তি দ্রুত অতিক্রম করতে এবং বলেন,
    لا تدخلوا على هؤلاء المعذبين إلا أن تكونوا باكين فإن لم تكونوا باكين فلا تدخلوا عليهم لا يصيبكم ما أصابهم
    “আযাবে পতিত এসব লোকর ভূমিতে প্রবেশ করবে না। করতে হলে কাঁদতে কাঁদতে করবে। যদি কাঁদতে কাঁদতে প্রবেশ করতে না পারো তাহলে প্রবেশ করবে না। যেন তাদের উপর যে আযাব নাযিল হয়েছিল তা তোমাদেরকেও পেয়ে না বসে।” –সহীহ বুখারি ৪২৩

    অর্থাৎ আযাবে নিপতিত জালিমদের ভূমি দিয়ে অতিক্রম করাও নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় সে আযাব আবার নাযিল হতে পারে।


    হাফেয ইবনে হাজার রহ. (৮৫২হি.) বলেন,

    ويدل على تعميم العذاب لمن لم ينه عن المنكر وإن لم يتعاطاه قوله تعالى: فلا تقعدوا معهم حتى يخوضوا في حديث غيره انكم إذا مثلهم.
    ويستفاد من هذا مشروعية الهرب من الكفار ومن الظلمة لأن الإقامة معهم من إلقاء النفس إلى التهلكة.
    هذا إذا لم يعنهم ولم يرض بأفعالهم؛ فإن أعان أو رضي فهو منهم. ويؤيده أمره صلى الله عليه وسلم بالإسراع في الخروج من ديار ثمود. اهـ فتح الباري 13\61
    “গুনাহ করেনি তবে বাধা দেয়নি এদের উপরও যে আযাব আসবে এর দলীল আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যে পর্যন্ত না তারা অন্য কোনো প্রসঙ্গে লিপ্ত হবে। অন্যথায় তোমরাও তাদের মতো হয়ে যাবে’।

    এ থেকে কাফের ও জালেমদের থেকে দূরে থাকার বিধান বুঝে আসছে। কারণ, তাদের সাথে সহাবস্থানের অর্থ নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া।

    এ তো হচ্ছে যখন সে তাদের সহায়তাও করবে না, তাদের কর্মের প্রতি সন্তুষ্টও থাকবে না। পক্ষান্তরে যদি সহায়তা করে বা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে তাহলে তো সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। কাওমে সামূদের বস্তি থেকে দ্রুত বের হওয়ার যে আদেশ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সাহাবাদের দিয়েছিলেন) তা থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়।” –ফাতহুল বারি ১৩/৬১


    উপরোক্ত কুরআন ও সুন্নাহর আলোচনা থেকে বুঝা গেল, আযাব যখন আসবে তখন নিম্নোক্ত সকল শ্রেণীর উপরই আসবে:
    এক. যারা সরাসরি গুনাহ করেছে।
    দুই. যারা নিজেরা গুনাহ করেনি তবে সহায়তা করেছে বা সমর্থন করেছে।
    তিন. যারা সামর্থ্য থাকা সত্বেও বাধা দেয়নি।
    চার. যারা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় গুনাহগারদের সাথে ছিল। তাদের থেকে দূরে সরে থাকেনি।
    পাঁচ. যারা আযাবে নিপতিতদের ভূমিতে যাবে।


    মুহতারাম ভাই, এজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফেরদের দেশে বসবাসকারীদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন,
    أنا بريء من كل مسلم يقيم بين أظهر المشركين –سنن ابي داود: 2645، قال الشيخ شعيب الأرنؤوط: إسناده صحيح. اهـ
    “মুশরিকদের মাঝে অবস্থান করে এমন প্রত্যেক মুসলমান থেকে আমি দায়মুক্ত।” –আবু দাউদ ২৬৪৫



    বর্তমান চীন, ইতালি, ফ্রান্সসহ অন্য যেকোনো কাফের রাষ্ট্রে অবস্থানরত মুসলমান ভাইদের একটু ফিকির করা উচিৎ যে, তারা যেকোনো সময় ভয়ানক আযাব গজবের সম্মুখীন হতে পারেন। তখন আফসোস করে কোনো লাভ হবে না। আল্লাহর দুশমনদের উপর যেসব আযাব গজব আসবে সেগুলোতে আপনাদেরও পড়তে হবে।

    বর্তমানে বিদেশে চাকরি করতে পারাটাকে একটা সৌভাগ্যের প্রতীক গণ্য করা হচ্ছে। অথচ উলামায়ে কেরাম পরিষ্কার ফতোয়া দিয়ে রেখেছেন যে, অর্থ উপার্জনের জন্য একান্ত জরুরত না পড়লে কাফের রাষ্ট্রে গমন জায়েয নয়। কারণ, সেগুলোর পরিবেশ ভালো না। আমল আখলাক আর চরিত্র তো পরের কথা ঈমানই নষ্ট হওয়ার সমূহ আশঙ্কা আছে। অধিকন্তু কাফেরদের অধীনস্ত হয়ে চাকুরি করা মুমিনের শান পরিপন্থী। কিন্তু তাগুতের দল এ গোলামিকেই বানিয়েছে সৌভাগ্যের প্রতীক। আর আমরাও এমনই দুনিয়ালোভী হয়ে পড়েছি যে, একেই গ্রহণ করে নিয়েছি। জমিজমা সর্বস্ব বিক্রি করে হলেও বিদেশ যেতে পারাকে জীবনের বড় সফলতা মনে করছি। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!

    আর কিছু না হোক, অন্তত এতটুকু তো কিছুতেই এড়ানো যাবে না যে, এসব কাফেরের উপর আযাব গজব নাযিল হলে সেসব মুসলমানকেও সে আযাবে নিপতিত হতে হবে। করোনা ভাইরাস নামক গজবের বেলায় আমরা কিছুটা হলেও তা প্রত্যক্ষ করছি। অতএব, সাবধান হে মুমিন, সময় থাকতে কাফেরদের থেকে দূরে সরে যাও, নতুবা আযাব তোমার উপরও পতিত হবে।
    ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ



  • #2
    মাশাআল্লাহ। খুব উত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার এবং তাঁর রহমতের দিকে অগ্রসর হবার তাওফিক দিন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

    প্রিয় ভাই, লিখার এ অংশটুকুতে আরেকটু নজর বুলাবেন।
    আর কিছু না হোক, অন্তত এতটুকু তো কিছুতেই এড়ানো যাবে যে, এসব কাফেরের উপর আযাব গজব নাযিল হলে সেসব মুসলমানকেও সে আযাবে নিপতিত হতে হবে।

    এখানে বোধহয়
    অন্তত এতটুকু তো কিছুতেই এড়ানো যাবেনা যে
    এমন হবে।

    অর্থাৎ, আমার মনে হয় ❝না❞ টা মিসিং হয়েছে।

    শুকরিয়া ভাই। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
    হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

    Comment


    • #3
      ভাই!যে দিকে তাকাই সে দেকিই মুজরেমদের অবস্থান,পালিয়ে কোথায় যাব?
      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

      Comment


      • #4
        জাযাকাআল্লাহ্ আখি গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা,আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচার ও তার রহমতের দিকে ধাবিত হওয়ার তাওফিক দিন, মিডিয়ার সকল ভাইকে ও আমাদের সকলকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন আমিন।

        Comment


        • #5
          মুহতারাম ভাই, শুনেছিলাম যে, ইউরোপ কান্ট্রিতে নাকি যাওয়া জায়েয নেই। যদি একটু দলিল ভিত্তিক বিষয়টি সম্পর্কে একটি পোষ্ট দিতেন, তাহলে খুব ভাল হত ভাই।
          আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
          জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
          বিইযনিল্লাহ!

          Comment


          • #6
            বর্তমানে বিদেশে চাকরি করতে পারাটাকে একটা সৌভাগ্যের প্রতীক গণ্য করা হচ্ছে। অথচ উলামায়ে কেরাম পরিষ্কার ফতোয়া দিয়ে রেখেছেন যে, অর্থ উপার্জনের জন্য একান্ত জরুরত না পড়লে কাফের রাষ্ট্রে গমন জায়েয নয়। কারণ, সেগুলোর পরিবেশ ভালো না। আমল আখলাক আর চরিত্র তো পরের কথা ঈমানই নষ্ট হওয়ার সমূহ আশঙ্কা আছে। অধিকন্তু কাফেরদের অধীনস্ত হয়ে চাকুরি করা মুমিনের শান পরিপন্থী। কিন্তু তাগুতের দল এ গোলামিকেই বানিয়েছে সৌভাগ্যের প্রতীক। আর আমরাও এমনই দুনিয়ালোভী হয়ে পড়েছি যে, একেই গ্রহণ করে নিয়েছি। জমিজমা সর্বস্ব বিক্রি করে হলেও বিদেশ যেতে পারাকে জীবনের বড় সফলতা মনে করছি। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!
            বাস্তবতার আলোকে খুব সুন্দর বলেছেন। বারাকাল্লাহু ফি ইলমিকা ওয়া আমালিকা...আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, সময়োপযোগী উপকারী পোস্ট। বারাকাল্লাহু ফিকা...আমীন
              আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
              “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

              Comment


              • #8
                Originally posted by আহমাদ সালাবা View Post
                আমার মনে হয় ❝না❞ টা মিসিং হয়েছে।
                জী ভাই ঠিক করে দিয়েছি। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by আলী ইবনুল মাদীনী View Post
                  ভাই!যে দিকে তাকাই সে দেকিই মুজরেমদের অবস্থান,পালিয়ে কোথায় যাব?
                  জী ভাই, এটা অবশ্য একটা বিষয় যে, যাবো কোথায়? তবে কাফের রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় মুসলিম রাষ্ট্রগুলো অনেক ভাল। এজন্যই কাফের রাষ্ট্রগুলোতে যেতে নিষেধ করা হয়।

                  Comment


                  • #10
                    ما شاء الله
                    ভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
                    আল্লাহ তা‘আলা ভায়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন,
                    আমিন
                    মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

                    Comment


                    • #11
                      মাশা-আল্লাহ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও দালীলিক আলোচনা করেছেন মুহতারাম ভাই! আল্লাহ তা‘আলা ভাইয়ের ইলম ও আমলে বারাকাহ দান করুন এবং আমাদেরকেও এ কথাগুলোর উপর আমল করার তাওফিক দান করুন, আল্লাহুম্মা আমীন।

                      Comment


                      • #12
                        জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷
                        অনেক সুন্দর আলোচনা ৷
                        আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন ৷ আমিন
                        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ তা‘আলা আপনার ইলমে, আমলে ও সময়ে বারাকাহ দান করুন,
                          আমিন

                          Comment

                          Working...
                          X