Announcement

Collapse
No announcement yet.

মহামারী ও সঙ্কটময় মুহূর্তের কিছু আমল :

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মহামারী ও সঙ্কটময় মুহূর্তের কিছু আমল :

    মহামারী ও সঙ্কটময় মুহূর্তের কিছু আমল :

    তিন মাস হতে চলল এখনো করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। আগামী কতদিনের মধ্যে হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদিও ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এ থেকে বেঁচে থাকার কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয় এবং এটা নিরাপত্তারও কোনো নিশ্চয়তা দেয় না। এ সঙ্কটময় মুহূর্তে আমরা যারা মুসলিম, তাদের জন্য হাদিসে বর্ণিত এমন কিছু দুআ ও আমল আছে, যা অনুসরণ করলে আশা করা যায় আল্লাহ এ বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করবেন। এগুলো যে কেবল করোনা ভাইরাসকেই রোধ করবে তা নয়; বরং আল্লাহর ইচ্ছায় অন্যান্য বালা-মুসিবতও দূর করবে। দুআ ও আমলগুলো সংক্ষেপে নিম্নে উল্লেখ করছি :

    ১. বিভিন্ন রোগ-বালা থেকে বেঁচে থাকার জন্য হাদিসে বর্ণিত নিম্নোক্ত দুআটি বারবার পড়তে থাকুন।
    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ البَرَصِ، وَالْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَيِّئِ الْأَسْقَامِ
    (আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন সাইয়িইল আসকাম) সূত্র : সহিহু ইবনি হিব্বান : ১০১৭, সুনানু আবি দাউদ : ১৫৫৪, মুসনাদু আহমাদ : ১৩০০৪

    ২. করোনাক্রান্ত বা অন্য কোনো বিপদে নিপতিত ব্যক্তিকে দেখলে নিম্নোক্ত দুআটি পড়ুন; তাহলে জীবনে কখনো সে রোগ বা বিপদে নিপতিত হবেন না।
    الحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ، وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً
    (আল-হামদু লিল্লাহিল্লাজি আ’ফানি মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়া ফাজ্জালানি আলা কাসিরিম মিম্মান খালাকা তাফজিলা) সূত্র : সুনানুত তিরমিজি : ৩৪৩১, সুনানু ইবনি মাজাহ : ৩৮৯২, মুসনাদু আবি দাউদ তায়ালিসি : ১৩

    ৩. হাসপাতাল, কারও বাসা কিংবা অন্য কোথাও গেলে নিম্নোক্ত দুআটি পড়ুন; ইনশাআল্লাহ সেখানে থাকাকালীন কোনো বিপদে আক্রান্ত হবেন না।
    أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
    (আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাকা) সূত্র : সহিহু মুসলিম : ২৭০৮, সুনানুত তিরমিজি : ৩৪৩৭, সুনানুন নাসায়ি, কুবরা : ১০৩১৮

    ৪. প্রত্যহ সকাল-বিকাল তিনবার করে নিম্নোক্ত দুআটি পড়ুন; ইনশাআল্লাহ সেদিন আপনি আকস্মিক কোনো ক্ষতি বা বিপদে নিপতিত হবেন না।
    بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
    (বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াজুররু মাআসমিহি শাইয়ুন ফিল আরজি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম) সূত্র : সুনানু আবি দাউদ : ৫০৮৮, সুনানুত তিরমিজি : ৩৩৮৮, মুসনাদু আহমাদ : ৫২৮

    ৫. দুআ ইউনুস বেশি বেশি করে পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে বিপদ ও মহামারীতে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করুন। এটা পড়ে দুআ করলে আল্লাহ অবশ্যই তার দুআ কবুল করেন।
    দুআ ইউনুস : لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ (লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জালিমিন) সূত্র : সুনানুত তিরমিজি : ৩৫০৫, মুসনাদু আহমাদ : ১৪৬২

    ৬. অধিক পরিমাণে ইসতিগফার করতে থাকুন। প্রসিদ্ধ ইসতিগফারও পড়তে পারেন, সাইয়িদুল ইসতিগফারও পড়তে পারেন। তবে সাইয়িদুল ইসতিগফারই উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।
    প্রসিদ্ধ ইসতিগফার : أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِيْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الحَيُّ القَيُّوْمُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ (আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।) সূত্র : সুনানু আবি দাউদ : ১৫১৭, মুসনাদু আহমাদ : ১১০৭৪
    সাইয়িদুল ইসতিগফার : اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ (আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া ওয়া আবুউ লাকা বিজামবি ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা) সূত্র : সহিহুল বুখারি : ৬৩০৬, সুনানুত তিরমিজি : ৩৩৯৩

    ৭. প্রচুর পরিমাণে নিম্নোক্ত দুআটি পড়তে থাকুন। সকল বিপদ-আপদ থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটা খুবই কার্যকর একটি দুআ।
    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
    (আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাওয়ালি নি’মাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাতিকা) সূত্র : সহিহু মুসলিম : ২৭৩৯

    ৮. সকাল-বিকাল নিম্নোক্ত দুআটি একবার করে পড়ুন।
    اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي
    (আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফি দিনি ওয়া দুনইয়াইয়া ওয়া আহলি ওয়া মালি, আল্লাহুম্মাসতুর আউরাতি ওয়া আমিন রাউআতি, আল্লাহুম্মাহফাজনি মিম বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি ওয়া আন ইয়ামিনি ওয়া আন শিমালি ওয়া মিন ফাউকি ওয়া আউজু বিআজামাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি) সূত্র : সুনানু আবি দাউদ : ৫০৭৪, সুনানু ইবনি মাজাহ : ৩৮৭১

    ৯. সকাল-বিকাল তিনবার করে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ুন। ইনশাআল্লাহ সকল কিছুর জন্য এটা যথেষ্ট হয়ে যাবে।
    সুরা ইখলাস : قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، اللَّهُ الصَّمَد، لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَد
    সুরা ফালাক : قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ، وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
    সুরা নাস : ،قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ، مَلِكِ النَّاسِ، إِلَهِ النَّاسِ، مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ، مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
    সূত্র : সুনানু আবি দাউদ : ৫০৮২, সুনানুত তিরমিজি : ৩৫৭৫

    ১০. সকল প্রকার গুনাহ ও নাফরমানি পরিত্যাগ করে পুরোপুরিভাবে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করুন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকুন এবং দান-সাদাকা বৃদ্ধি করুন। কেননা দান-সাদাকা বিপদাপদ দূর করে দেয়।

    এগুলো সবই বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে প্রমাণিত। আল্লাহর ওপর স্থির বিশ্বাস রাখুন; এবং সুন্নাহ হিসেবে এসব দুআর পাশাপাশি ডাক্তারি নির্দেশনাগুলোও মেনে চলুন। তাকদিরে মৃত্যু লেখা না থাকলে ইনশাআল্লাহ এতে আপনি সকল বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। বিশুদ্ধ সুন্নাহ জানুন, সুন্নাহর ওপর আমল করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।


    ********************

    *সংগ্রহীত পোস্ট*
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    মাশাআল্লাহ। খুবই উপকারী পোষ্ট করেছেন ভাই। আল্লাহ সুব. আপনার এই মেহনতকে কবুল করুন।আমীন।
    আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
    জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
    বিইযনিল্লাহ!

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
      তবে সবগুলো দু‘আর সাথে তার অর্থ যুক্ত করে দিলে আরো ভাল হত।
      আশা করি কোন ভাই এগিয়ে আসবেন। শুকরান লাকুম।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ ,,
        আল্লাহ তা আলা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন,
        আমীন
        মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ।
          গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।
          সকলেই আমল করার দরকার।
          আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন,আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment


          • #6
            অনেক গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট আখি,আল্লাহ্ আপনাকে ভরপুর বারাকা দান করুন, জিহাদি মিডিয়াকে হেফাযত করুন আমিন।

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ । ভাই! অনেক প্রিয় দুআগুলো শেয়ার* করলেন । আল্লাহ তাআলা আপনাকে দ্বীনের উত্তম খাদেম বানান, আমীন ।

              আমি এখানে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার কিছু উপকরণ বলে দিচ্ছি, আশা করি একাজগুলো করলে* আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এইরোগ থেকে হিফাযত করবেন ইনশাআল্লাহ ।

              ১. দিনে চার/ পাঁচবার ফ্রেশ পানি দ্বারা চেহারা ও হাত-মুখ ধৌত করা বা* ওযু করা এবং না করনেওয়ালাদের (অপরিষ্কার লোকদের) থেকে দূরে থাকা।

              ২.সরিষার তেল ব্যবহার করা। হাত-পায়ে লাগানো ও খাবারে রান্নার সাথে প্রয়োগ করা। (সম্ভব হলে নিজেই মিল থেকে আসলী তেল ক্রয় করা ।)

              ৩. যদি দুইবেলা খানা খাওয়া হয়, তাহলে একবেলা শুকনো* খাবার খাওয়া।

              ৪.উপযুক্ত সময়ে বিবাহ করা ও তাতে দেরী না করা।

              ৫. সকালের হাওয়া-বাতাস* শরীরে লাগানো।

              ৬. কুকুরের সাথে জীবনযাপণ না করা। ( ঘরে না পালা।)

              ৭. ঢিলা সুতি কাপড় পরিধান করা।

              ৮. ফ্যান ও এসির ব্যবহার না করা। হাতপাঁখা ব্যবহার করা।

              ৯.ঠান্ডা জিনিসের প্রয়োগ না* করা। যেমন বরফ , আইসক্রীম ইত্যাদি ।

              ১০. বাজারের প্যকেট ও তেল জাতীয় খাবার না খাওয়া।

              ১১. মিনারেল ওয়াটার ও সরকারী পানি পান না করা ও এর থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।

              ১২. পোলট্রি চিকেন ও ডিম না খাওয়া।

              ১৩. হাইব্রিড শাক-সবজী ও ফলমূল থেকে বেঁচে থাকা।

              ১৪. বরফের মাছ না খাওয়া।

              ১৫. বেশী বেশী শাক-পাতা খাওয়া।

              ১৬. খাবারে রান্নায় আদা ও হলুদ প্রয়োগ করা।

              ১৭. চিনি না খাওয়া। গুড় ও মিস্রি খাওয়া।

              আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উল্যেখিত বিষয় সম্পর্কে নিজের আত্মিয়স্বজন ও প্রতিবেশীদেরকে সতর্ক করার তাওফীক দান করুন আমীন ।

              – জনৈক হেকিম
              যোদ্ধা হব, যুদ্ধ করব,
              ক্বিতালের জন্য দাওয়াত দিব, ইনশাআল্লাহ।

              Comment

              Working...
              X