Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৭শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৩শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৭শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৩শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    সারা বিশ্বে কোভিড-১৯, সিরিয়ায় কোভিভ-১৮!



    নোবেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ পুরো বিশ্বে চলছে মহাআতংক। প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন হাজার-হাজারো মানুষ। প্রতিটি রাষ্ট্রই বাধ্য হচ্ছে লকডাউন জারি করতে। ভাইরাসের কারণে বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে স্কুল-কলেজ,অফিস-আদালত, কল-কারখানা,ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে পড়ছে প্রতিটি ধনী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামো। ভাইরাসের থেকে বাঁচতে মানুষ আতঙ্কিত ও পঙ্গপালের মত দিশেহারা। অন্যভাবে বললে ঠিক যেন সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের মত অবস্তা। গোটা বিশ্ব যেমন আজ বাধ্য হয়ে লকডাউন অবস্তা , টিক সেভাবেই বছরের পর বছর সিরিয়ায় ছিল ক্রুসেডার সৃষ্ট লকডাউন অবস্থা। কারন,দেশটিতে ক্রুসেডার ইরান-রাশিয়া জোট ও কসাই বাশার আল-আসাদ সরকারের উপর্যুপরি বোমা হামলায় সারা বছরই হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।পিতা-মাতা হারিয়ে অনাথ ও এতিম হয়েছেন হাজার হাজার শিশু।গৃহহীন হয়ে পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ সিরিয়ান মুসলিমদের। প্রতিটি দেশের ধারে ধারে ঘুরতে হয়েছে শরনার্থী হিসেবে। দীর্ঘ ৯বছর ধরে বাড়ি-ঘর, স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাট,ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে বিমান হামলার ঘটনাগুলো ঠিক যেন কোভিড-১৮।

    এদিকে সারাবিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত এবং এ থেকে বাঁচতে মরিয়া এ অবস্থায়ও ক্রুসেডার জোট সিরিয়ায় হামলা বন্ধ করেনি।
    “হোয়াইট হেলমেট সিভিল ডিফেন্স” খবর অনুযায়ী,গত শুক্রবার সন্ত্রাসী বাহিনী সন্ধায় উত্তর আলেপ্পোর আযায শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে, ফলে ২জন নিহত ও ১৭ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
    এক দিকে করোনা ভাইরাস অন্য দিকে ক্রুসেডার জোটের বোমা হামলা।উপর্যুপরি একটার পর একটা হামলায় লক্ষ লক্ষ মাজলুম মুসলিম গৃহহীন হয়ে আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয় শিবিরগুলোয়। কিন্তু একসাথে এত মানুষ একত্রে থাকার কারনে ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও নিরুপায় হয়ে থাকতে হচ্ছে একত্রে।এমনকি ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হাত ধৌত করার মত সাবান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীও নেই।শীতপ্রধান দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এইসব মানুষ।

    এদিকে সন্ত্রাসী বাশার আল-আসাদ সরকারের জেলে বন্দী রয়েছে কমপক্ষে ২,০০,০০০লক্ষ সিরিয়ান মুসলিম। জেলে বন্দী এইসব মানুষের মুক্তির কোন ব্যবস্থা না থাকায় ভাইরাসে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।* বরাবরের মতো এবারও নিরব ও মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্ব মিডিয়া।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/23/34912/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে ট্রেন চলাচল বন্ধ!



    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দমনে ভারতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

    আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশটিতে এক্সপ্রেস, মেইল, লোকাল ও প্যাসেঞ্জারসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। সেইসঙ্গে কলকাতা মেট্রো পরিষেবাও বন্ধ হতে যাচ্ছে।

    গতকাল রোববার ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। খবর আনন্দবাজার।

    জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত থেকে ভারতের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আর কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। মালামালবাহী রেলগাড়ির ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

    দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ৩৩২ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেলো। ভাইরাসটির কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।

    ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ভারত। যদি এ পর্যায়ে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরিস্থিতি ভায়াবহ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করেছেন তারা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/23/34882/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে দেওবন্দের বাৎসরিক পরীক্ষা



      যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে দারুল উলূম দেওবন্দের বাৎসরিক পরীক্ষা। খবর দেওবন্দ মিডিয়ার।

      দেওবন্দ মিডিয়া জানিয়েছে আজ ইউপির এসডিএম পান্ডে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আবুল কাসেম নোমানীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় তিনি দারুল উলুমের পরীক্ষা হল পরিদর্শন করেন। হল রুমের শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শন শেষে দারুল উলুম কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

      পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা কিভাবে ঘরে ফিরবে দেওবন্দ মুহতামিমের এমন প্রশ্নের জবাবে এসডিএম পান্ডে বলেন, যাদের ঘর-বাড়ি কাছাকাছি তাদের জন্য আমরা বাসের ব্যবস্থা করব। আর যারা দিল্লি বা দূরের শিক্ষার্থী তাদের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে।

      এছাড়াও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা পেতে দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানান এসডিএম পান্ডে।

      এসডিএম আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেওবন্দ ও আশপাশ এলাকায় বেশ কয়েকদিন লাগাতার কারফিউ জারি থাকবে। দিনে মাত্র দুই ঘন্টা দোকান খোলা থাকবে। এই সময়ের ভিতরেই সবাইকে প্রয়োজনীয় কাজ সারার নির্দেশ দিয়েছেন এসডিএম পান্ডে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/23/34897/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        করোনা প্রতিরোধে নিরাপদ নন বাংলাদেশের চিকিৎসক-নার্সরাই



        করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর টোলারবাগে প্রাণ হারানো বৃদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন যে চিকিৎসক, তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন (করোনা পজিটিভ)। রবিবার রাতে চিকিৎসকের পারিবারিক বন্ধু ডা. শরীফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যে বৃদ্ধ মারা গেছেন তার চিকিৎসা দিয়েছেন আক্রান্ত ডাক্তার। গতকাল (শনিবার) সকাল থেকেই তার সমস্যা শুরু হয়েছিল। আজ (রবিবার) দুপুর নাগাদ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

        উল্লেখ্য, তিনি ডেল্টা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে টোলারবাগের ওই বৃদ্ধকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা এখনও হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
        এর আগে বৃদ্ধের মৃত্যুর পর তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসক, ১২ জন নার্স ও তিনজন স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তাদেরই একজন চিকিৎসক করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। জানা যায়, রবিবার (২২ মার্চ) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাতে এই তথ্য পাওয়া যায়।

        কারণ কোনো রকম পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ছাড়াই চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের। নার্সসহ অন্যান্য স্টাফদেরও নেই নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা। এ অবস্থায় চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন তারাসহ সাধারণ রোগীরাও।

        চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু নিজেদের সুরক্ষার জন্য নয়, রোগীসহ অন্যদের সুরক্ষার জন্য পিপিই লাগবে। সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে, সবার পরিবার আছে। কেউ আক্রান্ত হলে পরিবারও আক্রান্ত হবে। তাই চিকিৎসকরা কোয়ারেন্টাইনে চলে গেলে জনবল সংকট দেখা দেবে।

        বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) রোববারে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। সঠিক আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজন। এছাড়া করোনাআক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৭ হাজার মানুষ। যদিও গত ১৫ দিনে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি।

        উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার মারা যাওয়া মিরপুরের টোলারবাগের ওই বৃদ্ধ ছিলেন দেশে করোনায় আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী। তবে তিনি বা তার পরিবারের কেউ বিদেশ থেকে না আসায় এই ঘটনায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন স্বীকার করে নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি ওঠে। তবে বিষয়টি নিঃসন্দেহ হতে আরও সময় চেয়েছে আইডিসিআর। যদিও ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার এক প্রতিবেশী পরদিন রবিবার (২২ মার্চ) রাতে মারা যান।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/23/34875/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খাবার তালিকা



          করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতি চলছে পুরো পৃথিবীতে। আমরাও চেষ্টা করছি। এর প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে আমরা প্রচুর খাবারদাবার কিনে রাখছি ঘরে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি, ঘরে জমা করে রাখার ফলে খাবারগুলোর গুণগত মান আদৌ বজায় থাকবে কি না? যে খাবার আমরা কিনে ঘরে জমা করেছি, সেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা শক্তিশালী করার পক্ষে যথেষ্ট কি না? কারণ, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নির্দেশাবলি সঠিকভাবে পালন করা।

          করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো ব্যক্তিগত সচেতনতা গড়ে তোলা এবং প্রত্যেকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেম বাড়িয়ে তোলা। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে মারাত্মক লক্ষ্মণ অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র এবং পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, সেগুলো সহজে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সহজভাবে বললে, যেকোনো ভাইরাস হলো প্রোটিন যুক্ত অণুজীব, যার কারণে মানুষ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এমনকি মারাত্মক নিউমোনিয়া (নতুনভাবে) হতে পারে। তা ছাড়া এই ভাইরাস ভয়ংকর প্রাণঘাতী রোগ তৈরি করতে পারে খুব সহজে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশি পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রতিদিন।

          অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হলো কিছু ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইম, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র*্যাডিক্যালের (দেহের কোষ, প্রোটিন ও DNA ক্ষতি করে এমন কিছু) বিরুদ্ধে লড়াই করে, শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে শরীরে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। প্রধান অ্যান্টি–অক্সিডেন্টগুলো হলো বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই, লাইকোপেন, লুটেইন সেলেনিয়াম ইত্যাদি।

          করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ যে খাবারগুলো বেশি করে খেতে হবে, সেগুলো হলো:

          বিটা ক্যারোটিন: উজ্জ্বল রংয়ের ফল, সবজি। যেমন গাজর, পালংশাক, আম, ডাল ইত্যাদি।
          ভিটামিন এ: গাজর, পালংশাক, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, জাম্বুরা, ডিম, কলিজা, দুধজাতীয় খাবার।
          ভিটামিন ই: কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, বাদাম তেল, বিচিজাতীয় ও ভেজিটেবল অয়েল, জলপাইয়ের আচার, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।
          ভিটামিন সি: আমলকী, লেবু, কমলা, সবুজ মরিচ, করলা ইত্যাদি।

          এছাড়া যে খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সেগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো। এ খাবারগুলো আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে তো বাড়িয়ে তুলবেই, সেই সঙ্গে আরও বিভিন্নভাবে আপনার শরীরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।

          সামগ্রিকভাবে উদ্ভিজ্জ খাবারই হলো অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের সবচেয়ে ভালো উৎস, বিশেষ করে বেগুনি, নীল, কমলা ও হলুদ রংয়ের শাকসবজি ও ফল। এ ছাড়া যে ধরনের খাবারগুলো আপনার প্রয়োজন, সেগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো।

          ১. সবজি: করলা (বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ), পারপেল/লাল পাতা কপি, বিট, ব্রোকলি, গাজর, টমেটো, মিষ্টি আলু, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি।
          ২. শাক: যেকোনো ধরনের ও রঙের শাক।
          ৩. ফল: কমলালেবু, পেঁপে, আঙুর, আম, কিউই, আনার, তরমুজ, বেরি, জলপাই, আনারস ইত্যাদি।
          ৪. মসলা: আদা, রসুন, হলুদ, দারুচিনি, গোলমরিচ।
          ৫. অন্যান্য: শিম বিচি, মটরশুঁটি, বিচিজাতীয় খাবার, বার্লি, ওটস, লাল চাল ও আটা, বাদাম।
          ৬. টক দই: এটি প্রোবায়োটিকস, যা শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্র সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে শাকসবজি, ফল, বাদামজাতীয় খাবার শরীরে নিউটোভ্যাক্স ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, যা স্টেপটোকোক্কাস নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
          ৭. চা: গ্রিন টি, লাল চায়ে এল-থেনিন এবং ইজিসিজি নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনেক যৌগ তৈরি করে শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।
          ৮. এ ছাড়া ভিটামিন বি-৬, জিংক–জাতীয় খাবার (বিচিজাতীয়, বাদাম, সামুদ্রিক খাবার, দুধ ইত্যাদি) শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির কোষ বৃদ্ধি করে। তাই এ ধরনের খাবার বেশি খেতে হবে।
          ৯. উচ্চ মানের আমিষজাতীয় খাবার (ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি) বেশি করে খেতে হবে।
          ১০. অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের খুব ভালো কাজ পেতে হলে খাবার রান্নার সময় অতিরিক্ত তাপে বা দীর্ঘ সময় রান্না না করে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে।

          ওপরের খাবারগুলো ছাড়াও নিউমোনিয়া প্রতিরোধে উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ ও টিস্যু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং পাশাপাশি নতুন টিস্যু তৈরি হবে। এর সঙ্গে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। অপর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম শরীরে কর্টিসল হরমোনের চাপ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

          যে খাবার বাদ দিতে হবে
          সব ধরনের কার্বনেটেড ড্রিংকস, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, তামাক, সাদাপাতা, খয়ের ইত্যাদি। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাধা দিয়ে ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়, ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম, চিনি ও চিনির তৈরি খাবার (যা ভাইরাসের সংক্রমণে সহায়তা করে)।

          এ লেখার উদ্দেশ্য সঠিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে প্রত্যেকের শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করা, যাতে শুধু করোনাভাইরাস নয়, সব ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আপনি শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতে পারেন।


          লেখক: প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টি বিভাগ

          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/23/34878/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            করোনা ডামাডোলের আড়ালে বাড়ছে এডিস মশার প্রকোপ!



            করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশেও এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কায় নেওয়া হচ্ছে নানাবিধ প্রতিরোধী পদক্ষেপ। অথচ গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় এ বছরের তিন মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্বও বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই আগাম পদক্ষেপ না নেওয়া না হলে এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। করোনারকারণে সব ‘ফোকাস’ সেদিকে চলে গেছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের দিকটা দুর্বল হওয়ার শঙ্কা তাদের।

            সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায় ২২ মার্চ পর্যন্ত করোনায় মোট সংক্রমণের সংখ্যা ২৭। দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই জন মারা গেছেন। এছাড়া, বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন ৪০ জন।

            জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতবারের তুলনায় চলতি বছর রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি ঠিকই, তবে গতবার কিছুটা ইনফরমেশন গ্যাপ ছিল, তথ্যগুলো সেভাবে শুরুর দিকে আসেনি। আবার গত মাসে প্রকাশিত পোস্ট মনসুন সার্ভে অনুযায়ী এবারে আবাসিক এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব কম, কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেশি।’

            ৫ মার্চ শুরু হয়ে ১৫ মার্চ পর্যন্ত‘প্রি মনসুন সার্ভে’ হয়েছে। তখন কিছুটা বৃষ্টি ছিল, যা এডিস মশা বাড়ার *উপযোগী।

            ‘করোনা ভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়েও সমানভাবে কাজ চালাতে হবে এবং পুরো সজাগ থাকতে হবে’, বলেন ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী।

            জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চলতি বছরের প্রথম এই তিনমাসে এডিস মশার যে ঘনত্ব পেয়েছি সেটা অনেক বেশি। এবারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেশি। অর্থাৎ ডেঙ্গুর সিজনে রোগীর সংখ্যা বাড়বে যদি আগাম পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।’

            তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাসের কারণে সব ‘ফোকাস’ চলে গেছে সেদিকে, তাই শঙ্কা হচ্ছে ডেঙ্গুর দিকটা দুর্বল না হয়।’ তিনি আগাম পদক্ষেপ হিসেবে এডিস মশা নিধনে এবং এডিস মশার প্রজননস্থল কমানোর ওপর জোর দেন।

            ‘এডিসের ব্রিডিং প্লেস ম্যানেজমেন্টের জন্য মার্চ থেকে মে—এই তিনমাস কাজ করতে হবে এবং মে জুন থেকে স্প্রের কাজ করতে হবে,’ বলেন কবিরুল বাশার।

            জানতে চাইলেস্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘কেবল গত বছরের তুলনায় নয়, বলতে গেলে গত ১৮ বছরের তুলনাতেই চলতি বছরের শুরুতে রোগীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু গতবছর যখন রোগী সংখ্যা ১ লাখের বেশি হয়ে গেলো, একদিনেই যখন ২ হাজার ৪০০-এর বেশি রোগী ভর্তি হলো, তাহলে সে হিসাবে একটা মিনিমাম সংখ্যায় নামতেতো সময় লাগবে।’


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/23/34898/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারও করোনায় আক্রান্ত, ধিক্কার আওয়ামী সরকারকে



              মিরপুরের টোলারবাগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারও এবার কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ডা. পলাশ নামে ওই চিকিৎসক রাজধানীর ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। খবরঃ আমাদের সময়

              জানা গেছে, গতকাল রোববার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এই চিকিৎসকের। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তার নমুনা সংগ্রহ করে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। পরে সেই পরীক্ষায় ডা. পলাশের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।

              আজ সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সার্জন প্রেমাংশু বিশ্বাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

              পোস্টে তিনি লিখেছেন, *‘ডা. পলাশ
              ই এম ও, ডেল্টা হাসপাতাল

              টোলারবাগের মারা যাওয়া প্রথম কোভিড পেশেন্টকে তিনিই রিসিভ করেছিলেন সেদিন ডেল্টা হাসপাতালে। তার ছিল না কোনো প্রোটেকশন, যেভাবে আমরা এখনো রোগী দেখছি। তখনো সেই মুমূর্ষু ব্যক্তির কোভিড শনাক্ত হয়নি। ভর্তি করার পর, তিনি কোভিড শনাক্ত হন এবং আইসিইউতে মারা যান।

              ডা. পলাশেরও আজ কোভিড পজিটিভ এসেছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় এখন ডা. পলাশও আইসিইউতে। রোগী দেখার জন্য একটা পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট তাকে দিতে পারেনি এই রাষ্ট্র!

              ধিক্কার…..’

              ডা. পলাশ টোলারবাগের যে রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন তিনি গত শনিবার মারা যান। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন ৩০ বছর বয়সী এই চিকিৎসক।

              এদিকে, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং তিনজন স্টাফকে করোনা আক্রান্তের শঙ্কায় হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তারা গত ২০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।


              সূত্র; https://alfirdaws.org/2020/03/23/34915/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                রাজনীতিবিদদের তোরণই এখন মরনফাঁদ



                ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রাজনৈতিক দলের তোরণ। এ তোরণগুলো প্রায় দুই মাস আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে নির্মিত তোরণের রশি ও বাঁশ পুরাতন হয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে । ফলে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা রয়ে গেছে।

                শনিবার রাতে ধামরাইয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের থানা বাসস্ট্যান্ডে একটি তোরণ দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে মহাসড়কের ওপর। এতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান পথচারীসহ মহাসড়কের চলাচলরত যানবাহনের যাত্রীরা। এ তোরণগুলো অপসারণ করা না হলে যেকোনো মুহুর্তে বড়ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা করছে পথচারীসহ যানবাহনের চালকরা।

                সরেজমিনে দেখা যায়, ধামরাইয়ের ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ওপর সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা ও স্বাগতম লেখা ব্যানার সম্বলিত ইসলামপুর,বাটা গেট,থানাবাসষ্ট্যান্ড, ঢুলিভিটা, জয়পুরা, কালামপুর, বাথুলি,বারবাড়িয়া.শ্রীরামপুর এলাকায় প্রায় ১৫টি বাঁশের তোরণ দন্ডায়মান রয়েছে। এ তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় দেড়-দুই মাস আগে। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে তোরণের বাঁশ ও বাঁধা রশি পুরাতন হয়ে নড়বড়ে হয়ে গেছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ তোরণের নীচ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এসব তোরণ অপসারণ করা না হলে যেকোন মুহুর্তে তোরণগুলো প্রাণনাশের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরা। রিপোর্ট কালের কন্ঠের

                বাসচালক হায়াত আলী, ট্রাক চালক তোফাজ্জল হোসেনসহ একাধিক চালকরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে তোরণের নিচ দিয়ে প্রতিদিন যেতে হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাদের দাবি জরুরী ভিত্তিতে তোরণগুলো অসপারণ করা দরকার।

                দি একমি ল্যাবরেটরিজ ওষধ কারখানার শ্রমিক শিউলি বেগম ও রাহিমা বেগম বলেন, পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় তোরণের নিচ দিয়ে যেতে ভয় লাগে কখন যেন মাথার ওপর নড়বড়ে তোরণটি পড়ে যায়।

                এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তা হাইওয়ে পুলিশের। তাঁরা ইচ্ছে করলে এগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করতে পারেন।

                প্রসঙ্গ চলতি মাসের ৯ মার্চ কালামপুর-বালিয়া-মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মাদারপুর মিলগেট এলাকায় একটি গাছ একটি চলন্ত ইজিবাইকের ওপর আছড়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের পাঁচ যাত্রী নিহত এবং চারজন আহত হন।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/23/34906/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সরকারি বাহিনীর দখলে, দূষণে মরছে পঞ্চগড়ের ৩৩ নদী



                  সরকারি তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট-বড় ৩৩টি নদী। অবশ্য নদী গবেষকরা বলছেন, এ জেলার ওপর দিয়ে ৪৬টি নদী প্রবহমান। তাদের মতে, এত নদী অন্য কোনো জেলায় নেই। তাই পঞ্চগড়কে নদীর জেলাও বলছেন তারা।

                  বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ নদীই অর্ধমৃত। দখল আর দূষণের কবলে পড়ে স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলেছে এসব নদী। নদীর বুকজুড়ে এখন ফসলের মাঠ।
                  রিপোর্ট বিডি প্রতিদিনের

                  অপরিকল্পিতভাবে নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর বুকে বিভিন্ন আবাদ করছেন চাষিরা। ব্যবহার করছেন সার ও কীটনাশক। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে নদীর মাছ ও নানা জাতের প্রাণী। ফলে জেলার পরিবেশ প্রকৃতি বিপন্ন। পঞ্চগড়ের করতোয়া, ডাহুক, পাম, ছেতনাই, তালমা, গোবরা- এ ৬টি নদীর ১৩৩ জন দখলদার প্রায় ৪০ একর জমি দখল করে রেখেছে বলে নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ তালিকা মানতে নারাজ স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। তাদের দাবি, প্রায় সব নদীতেই দখলদার রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে শক্ত শিকড় গেড়েছেন এসব দখলদার। এদিকে নদী পাড়ে গড়ে ওঠা শহর, হাট-বাজারের ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলা হচ্ছে

                  প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। অভিযোগ উঠেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী দখলমুক্ত করার নামে শুধু দরিদ্রদের উচ্ছেদ করছে। প্রভাবশালীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও প্রশাসনের যোগসাজশে নদী দখল করে তুলেছেন স্থায়ী স্থাপনা, গড়েছেন বাগান, নির্মাণ করেছেন বিনোদন পার্ক। জেলা শহরের তালমা এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় তালমা নদীর প্রায় সাড়ে ৮ একর জমি দখল করে হিমালয় বিনোদন পার্ক গড়ে তুলেছেন শাহীন নামের এক ব্যবসায়ী। বাংলো, সুইমিং পুল, শিশুদের বিভিন্ন রাইডিং, জীবজন্তুর প্রতিকৃতিসহ নদীর ওপর স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তার পাশেই প্রায় সাড়ে ৭ একর জমি দখল করে স্থাপনা তুলেছে সৌদি বাংলা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইকো ফ্রেন্ড লিমিটেড। নদীর কিছু অংশ দখল করে সীমানাপ্রাচীর তুলেছেন জেলা কৃষক লীগ নেতা আপেল মাহমুদও। বোদা উপজেলায় করতোয়া ও পাম নদীর তিন একরেরও বেশি জমি দখল করে ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন গাছের বাগান গড়ে তুলেছেন নাবিলা অরচার্ড অ্যান্ড লিমিটেডের দাউদ খালিদ সারোয়ার। অথচ এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিতে দেখা যায়নি। এ ছাড়া নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায় কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, জেমকন টি এস্টেট লিমিটেড, পঞ্চগড় টি কোম্পানি লিমিটেড, কাঞ্চনজঙ্ঘা টি কোম্পানি লিমিটেডসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালীদের নামও রয়েছে। এদিকে শহর হাট-বাজারের আশপাশে প্রবহমান প্রায় সব নদীতেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। জেলা শহরের করতোয়া নদীতে রাতের অন্ধকারে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে হোটেল মালিকরা। তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরে গোবরা, বোদায় পাম ও দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের ময়লা-আবর্জনা করতোয়া নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে এসব নদী সংকুচিত হয়ে প্রায় মৃত নদীতে পরিণত হয়েছে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে মরে গেছে ডাহুক নদী। ভারত থেকে বয়ে আসা নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের করা নদী দখলদারদের তালিকা ধরে সারা দেশের মতো পঞ্চগড়েও ২৩ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন। ওই দিনই জেলা শহরের করতোয়া নদীর তুলারডাঙ্গা বাঁধ ঘেঁষে গড়ে তোলা ৯৬টি দরিদ্র পরিবারের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করেই অভিযানের ইতি টানেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ নদী রক্ষা কমিশনের প্রকাশিত নদী দখলদারদের তালিকায় থাকা পঞ্চগড়ের প্রভাবশালীদের স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, নদী রক্ষা কমিশন পঞ্চগড়ের নদী দখলদারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ নয় বলে আমরা মনে করি। প্রত্যেকটি নদীতেই দখলদার রয়েছে। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন যে অভিযান পরিচালনা করছে সেটিকে নামমাত্র বলাই ভালো। নদীতে চাষাবাদের ফলে নদীর মাছসহ অন্যান্য জলজপ্রাণী বিলুপ্তির দিকে। আমাদের দাবি নদী বাঁচানোর স্বার্থে প্রত্যেক নদী থেকেই দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদীর স্বাভাবিক গতিধারা ও প্রকৃতি ফিরিয়ে দিতে হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, শীতের কারণে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রেখেছিলাম। ক্রমান্বয়ে প্রত্যেক নদীর দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। সে যতই প্রভাবশালী হোক।


                  সূত্র; https://alfirdaws.org/2020/03/23/34921/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমীন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X