Announcement

Collapse
No announcement yet.

আওয়ার ইসলাম তার পরিবেশিত সংবাদে সন্ত্রাসী বলে কাদের বোঝাল…?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আওয়ার ইসলাম তার পরিবেশিত সংবাদে সন্ত্রাসী বলে কাদের বোঝাল…?




    ↓↓↓

    আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক আলেম নিহত
    মার্চ ২৪, ২০২০ / ০৯:০০অপরাহ্ণ
    আওয়ার ইসলাম: আফগানিস্তানের কাবুলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক আলেম নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কাবুলের পুলিশ মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের এক সশস্ত্র হামলায় আলেম নূর পাচা হামাদ নিহত হয়েছেন।

    তেহরান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ইকনার বরাতে পুলিশ মুখপাত্র ফেরদৌস ফরামার্জ জানান, কাবুলের পঞ্চম অঞ্চলে বন্দুকধারীরা এই হামলা চালিয়েছে। হামলা চালিয়ে নূর পাচা হামদকে হত্যা করে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

    এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই হামলার দায়ভার গ্রহণ করেনি। জানা যায়, নূর পাচা হামাদ টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি আফগানিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করার পরপরই এ ঘটনা ঘটে।

    -এটি
    আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ খুবই রহস্যজনক লাগছে। পাপেট সরকারের হামলায় প্রায় ৪৬ মুজাহিদের শাহাদাত, একই দিনে একই সংখ্যক মুরতাদ বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও ইসলাম গ্রহণ, এদিকে আবার কথিত সন্ত্রাসীদের হামলায় আলেম নিহত—সবমিলিয়ে পুর অঞ্চলটা যেন এক রহস্যপুরী।

    তবে আওয়ার ইসলামের' পরিবেশিত সংবাদে সন্ত্রাসী বলে কাদেরকে বোঝানো হলো বুঝতে পারলাম না।

    আমরা আমাদের অগ্রজ ভ্রাতাদের জন্য দোয়া করি, আল্লাহ তা'আলা যেন সকল ষড়যন্ত্রের জাল সফলভাবে ছিন্ন করার তৌফিক দান করেন!


  • #2
    ইন্সাফ নিউজ পোর্টালে ইমারাতে ইসলামিয়ার ওপর গবেষণাধর্মী এ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।


    [প্রথম অংশ]

    প্রথম কথা

    বলাবাহুল্য, গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী কাতারের রাজধানী দোহায় দীর্ঘ ১৯ বছরের প্রান্তে এসে তালিবান ও হানাদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। চুক্তির শিরোনামে লেখা ছিলো—Agreement for Bringing Peace to Afghanistan between the Islamic Emirate of Afghanistan which is not recognized by the United States as a state and is known as the Taliban and the United States of America February 29, 2020. এরপরের উপশিরোনাম হলো: A comprehensive peace agreement is made of four parts: বলা হচ্ছে, একটি ব্যাপকভিত্তিক শান্তিচুক্তির মৌলিক অংশ হবে চারটি। অংশ চারটি হলো:

    1. Guarantees and enforcement mechanisms that will prevent the use of the soil of Afghanistan by any group or individual against the security of the United States and its allies.

    2. Guarantees, enforcement mechanisms, and announcement of a timeline for the withdrawal of all foreign forces from Afghanistan.

    3. After the announcement of guarantees for a complete withdrawal of foreign forces and timeline in the presence of international witnesses, and guarantees and the announcement in the presence of international witnesses that Afghan soil will not be used against the security of the United States and its allies, the Islamic Emirate of Afghanistan which is not recognized by the United States as a state and is known as the Taliban will start intra-Afghan negotiations with Afghan sides on March 10, 2020, which corresponds to Rajab 15, 1441 on the Hijri Lunar calendar and Hoot 20, 1398 on the Hijri Solar calendar.

    4. A permanent and comprehensive ceasefire will be an item on the agenda of the intra-Afghan dialogue and negotiations. The participants of intra-Afghan negotiations will discuss the date and modalities of a permanent and comprehensive ceasefire, including joint implementation mechanisms, which will be announced along with the completion and agreement over the future political roadmap of Afghanistan.

    চার শর্তের প্রথমটিতে কেউ যেন মার্কিন ও তার মিত্রদের (যারা আফগানিস্তানে আমেরিকার সাথে তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে) বিরুদ্ধে কোন প্রকার আগ্রাসন চালাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে, সে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় শর্তে বলা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল বিদেশী সৈন্য, জনবল ও যাবতীয় সরঞ্জাম প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা। তৃতীয় শর্তে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে সকল বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার নিশ্চয়তা এবং মার্কিন ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা বিঘ্নে আফগানিস্তান যে ব্যবহৃত হবে না, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে এমন ঘোষণার নিশ্চয়তা এবং ২০২০ সালের ১০ই মার্চে আন্তঃআফগান আলোচনা শুরু করা। চতুর্থ শর্তে বলা হয়েছে, আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতায় একটি স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ থাকবে এবং আন্তঃআফগান আলোচনার পক্ষগুলো একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির তারিখ ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবে। সাথে থাকবে, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ পথচিত্র ও কৌশল নিয়ে সবপক্ষের চুক্তি ও ঘোষণা।

    চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বিভিন্ন আলামত দেখে পর্যবেক্ষকেরা আশঙ্কা করতে থাকেন, চুক্তির বাস্তবায়ন হয় তো অতো মসৃন হবে না। এর কারণ, ভেতরের ও বাইরের ষড়যন্ত্র। স্মরণ রাখা দরকার, যে পক্ষগুলো তালিবানকে মানতে নারাজ এবং সাথে-সাথে আফগানিস্তানকে নিজস্বার্থে ব্যবহার করতে উদগ্রীব—তারা বরাবরই আফগানিস্তানের কোন প্রকার চুক্তিভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে বানচাল করার ফিকির করে এসেছে। এর মধ্যে প্রধান হলো, ভারত, ইরান ও ইসরাইল। ইসরাঈল যদিও আফগানিস্তানের প্রতিবেশী নয়, কিন্তু ভারতের সাথে গভীর সম্পর্কের কারণে ভারত ইসরাঈলের ছায়াশক্তি হিসাবে কাজ করে। ২০০২ সালে তালিবানের ক্ষমতা থেকে সরে যাবার পরপরই ভারত অলিখিত মার্কিন মিত্র হিসাবে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। ইতোমধ্যে ভারত আফগানিস্তানে ৫০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে তাদের প্রভাব অক্ষুণ্ন রাখতে, বিপরীতে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে চাপে রাখতে। তা’ছাড়া, কাবুলে তাদের বিভিন্ন স্তরের সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছে। এমন কি ভারত মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুপ্ত-হামলা ও অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা করে রেখেছে। ভারতের এমন ফন্দির পেছনে রয়েছে ইসরাঈলের গোপন সহায়তা। তবে তালিবানের কাছে এসব বিষয় মোটেও অজানা নয়। তাই, ওসব মুকাবিলার পরিকল্পনা তালিবান আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, আমেরিকা ও ভারত মিলে কাবুলে ব্ল্যাকওয়াটারদের (১৯৯৭ সালে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধে ভাড়াটিয়া সৈন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান) একটি প্রধান অফিস গড়ে তোলে। পরিকল্পনা হয়, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর তালিবানের উপর বিভিন্ন হামলা চালাতে এসব ব্ল্যাকওয়াটার সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। তড়িৎ সে-খবর পৌঁছে যায় তালিবানের কাছে। তালিবান বেশি দেরি না করে গত বছরের (২০১৯) ২রা সেপ্টেম্বর ব্ল্যাকওয়াটারের ভবনটি ঘেরাও করে বিধ্বংসী হামলা চায় এবং তাদের কমান্ডার শফীকুল্লাহসহ ৩০ জনকে হত্যা করে। সাথে একজন মার্কিন প্রশিক্ষকও নিহত হয়, যে একজন ঠিকাদারের পরিচয়ে অবস্থান করছিলো। এ ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (৭ সেপ্টেম্বর) তালিবানের সাথে শান্তিচুক্তি বাতিল করেন। ষড়যন্ত্রকারী-শক্তি বুঝতে পারে তালিবানের সাথে অপকৌশল নিয়ে আগানো সমূহ কঠিন। ইরান এখানে আরেকটি ফ্র্যাক্টর। প্রথম থেকেই ইরান আফগানযুদ্ধ নিয়ে একটা অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ১৯৭৯ সালের শেষের দিকে সোভিয়েত আগ্রাসনের পর থেকে ইরান আফগান জিহাদে বিভিন্ন পক্ষের মাঝে মতভিন্নতা ও অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে এসেছে। ইরান জানতো, আফগানিস্তান একটি সুন্নী-প্রধান দেশ; জয়ী হলে সুন্নীরাই জয়ী হবে। বলা প্রয়োজন, সে-সময় ইরানে খোমেনীর নেতৃত্বে শিয়া বিপ্লব চলছিলো। ইরানের অভিপ্রায় ছিলো, কোনক্রমেই যেন ইরানের পার্শ্ববর্তী সুন্নী নিয়ন্ত্রিত কোন স্থিতিশীল রাষ্ট্র না থাকে। তাই, তৎকালীন সোভিয়েত য়ুনিয়নের সাথে ইরান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক স্বার্থে। ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত য়ুনিয়নের শোচনীয় পরাজয়ের পর ১৯৯২ সাল অর্থাৎ তালিবানের আগমন পর্যন্ত বিভিন্ন মুজাহিদ-গোষ্ঠীর মধ্যে যে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ হয়—তাতে ইরান প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোকে উস্কে দিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। এরপর তালিবানের আবির্ভাব হলে ইরান তালিবানের বিরুদ্ধে আহমদ শাহ মাসুদের (২০০১ সালে আল কায়েদার হাতে নিহত হন) উত্তরাঞ্চলীয় জোটকে সমর্থন দিয়ে তালিবান সরকারকে অস্থিতিশীল করে রাখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। পরবর্তীতে টুইন টাওয়ার হামলার পর ইরান তালিবানবিরোধী উত্তরাঞ্চলীয় জোটকে সমর্থন দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে রাজি করায় এবং উক্ত শক্তিত্রয় আহমদ শাহ মাসুদকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে থাকে। এর সাথে যোগ দেয় গুলবুদ্দীন হেকমতিয়ারের দল যা পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনপুষ্ট ছিলো। ২০০২ সালে আমেরিকা আফগানিস্তানে হামলা চালালে সেই উত্তরাঞ্চলীয় জোট ইরান, ভারত ও আমেরিকার সরাসরি সমর্থনে কাবুলের দিকে অগ্রসর হয়। সামনের আলোচনার জন্য উপরের তথ্যগুলো আশা করি সবার মনে থাকবে।

    ভেতরের কথা

    এবার আমরা মূল-বিষয়ে আসতে পারি। বলেছিলাম, সম্পাদিত তালিবান-আমেরিকা চুক্তি নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা। ২০১৮ সালে আমেরিকা যখন বুঝতে পারে, আফগানযুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়—প্রথম তালিবানের সাথে সমঝোতার প্রস্তাব দেয় (জুলাই)। এর জন্য তারা আফগান বংশোৎভূত মার্কিন নাগরিক জালমে খলীলজাদকে নিয়োগ দেয় (সেপ্টেম্বর, ২০১৮)। তালিবান মার্কিন অবস্থানকে বুঝতে দেরি করেনি। তাঁদের এক কথা—সবার আগে সকল বিদেশী সৈন্যকে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে হবে। এবং সম্ভাব্য সমঝোতার প্রথম শর্ত হবে এটাই। আমেরিকা দীর্ঘ আলোচনা করেও তালিবানকে তার অবস্থান থেকে নড়াতে পারেনি। এর জন্য আমেরিকা তালিবানকে কাবুলের কারজায়ী ও পরবর্তীতে আশরাফ ঘানীর সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে বলে। কিন্তু তালিবান বিষয়টির কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে কাবুল সরকারের সাথে কোন প্রকার আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়। তালিবানের যুক্তি ছিলো, কাবুল সরকার মূলত আমেরিকার অধীন একটি বিভাগ। সূতরাং, আলোচনা বা চুক্তি হলে ক্ষমতাসম্পন্ন কর্তৃপক্ষের সাথে হবে, ক্ষমতাহীনপক্ষের সাথে নয়। কাবুল সরকারের সাথে আলোচনার প্রস্তাব ছিলো মূলত একটি রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ফাঁদ। বিষয়টি তালিবান সহজে বুঝতে পারে এবং উল্টো সরাসরি চুক্তি করে আমেরিকাকে ফাঁদে আটকে ফেলতে সক্ষম হয়। এতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকমহল হতবাক হয়ে যায়। কাবুল সরকারের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে প্রথমত মার্কিন ও তার মিত্রদের উদ্দেশ্য ছিলো, তালিবানের শক্তি ও সামর্থ্য পরীক্ষা করা। তারা ভেবেছিলো, দেড় যুগের এ যুদ্ধে তালিবান ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, সঙ্গতকারণে কোন প্রকারে পরিত্রাণ পেতে তারা মার্কিন প্রস্তাবে সাড়া দেবে এবং মার্কিন পছন্দমাফিক একটি চুক্তি দিয়ে তালিবানকে নাস্তানাবুদ করা যাবে। কিন্তু তালিবান ছিলো সর্বদা সজাগ। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে কাবুল সরকারের সাথে কোন কথা বলতে অস্বীকার করে এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেয়: তালিবান আরও আঠারো বছর হলেও যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম। এরপর আমেরিকা আরও একটি ফাঁদ পাতে। তারা প্রস্তাব দেয়, চুক্তিপূর্ব একটি যুদ্ধবিরতির। কিন্তু তালিবান তাও প্রত্যাখ্যান করে। মার্কিনীরা মনে করে, তালিবান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হবার কারণ: তাদের চেইন অব কমান্ডে সমস্যা আছে, তাই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নয়। সেটাকে পরীক্ষা করতে আমেরিকা প্রস্তাব দেয় সাত দিনের এক যুদ্ধবিরতির। আমেরিকার অভিসন্ধি টের পেয়ে তালিবান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। আমেরিকা জানিয়ে দেয়, তালিবান সাত দিনের যুদ্ধবিরতি সফল করতে পারলেই চুক্তি হবে, নয় তো নয়। শুরু হলো যুদ্ধবিরতি, যথারীতি স্থানীয় সময় ২১শে ফেব্রুয়ারী , শুক্রবার দিবাগত রাত বারোটা থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত বারোটা পর্যন্ত। আমেরিকা ভেবেছিলো, যেহেতু তালিবানে বিভিন্ন দল রয়েছে, তাই কেউ না কেউ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করবে। এতে তালিবানের নৈতিক অবস্থান দুর্বল হবে। কিন্তু পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন—ওয়া লিল্লাহিল ইযযাতু ওয়া লিরসূলিহী ওয়া লিল মু’মিনীন….। অর্থাৎ,–এবং সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর রসূলের জন্য এবং মু’মিনদের জন্য কিন্তু মুনাফিকরা সে কথা বোঝে না। বিশ্ব দেখলো, তালিবানের বিস্ময়কর চেইন অব কমান্ড। লঙ্ঘন তো দূরে থাক, পুরো সাত দিনে একটি বুলেটও বেরোয়নি তালিবানের বন্দুকের নল থেকে। এরপরও মার্কিনীরা চুক্তি নিয়ে তালবাহানা করার চিন্তা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তালিবান যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি বার্তা পাঠায়: ২৯ তারিখ চুক্তি না হলে আর কোন কথা নয়; এক নির্ধারণী-যুদ্ধ শুরু হবে। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেয়, এ ভয়াবহ যুদ্ধে একটি বিদেশী সৈন্যও জিন্দা দেশে ফিরে যেতে পারবে না। আফগানিস্তান থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, তালিবান এমন *যুদ্ধের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। তারা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এমন ৬,০০০ মুজাহিদ তৈরি করে রাখে যাঁরা একযোগে প্রতিটি বিদেশী ঘাঁটিতে আক্রমন করবে। খবরটি ২৯শে ফেব্রুয়ারীর আগে ওয়াশিংটন পৌঁছালে প্র্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্ধারিত দিনেই চুক্তি স্বাক্ষরের নির্দেশ দেন।
    (চলবে)



    কী ঘটতে যাচ্ছে আফগানিস্তানে? (দ্বিতীয় পর্ব)
    Mar 17, 2020
    অন্যান্য
    মুহাম্মাদ গোলাম রব্বানী ইসলামাবাদী
    [দ্বিতীয় অংশ]

    আগেই বলেছি, তালিবানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি বানচালে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলো ভারত, এও বলেছি, ভারতের পেছনে আছে ইহুদীবাদী ইসরাঈল। শেষ পর্যন্ত পেরে উঠতে না পেরে ভারত আশরাফ ঘানীকে চুক্তি না মানতে প্ররোচিত করে। ২৮শে ফেব্রুয়ারী অর্থাৎ, চুক্তি স্বাক্ষরের আগের দিন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা কাবুলে উড়ে যান মি.ঘানীর সাথে দেখা করতে। সাথে ছিলেন, সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজায়ী। অন্তরঙ্গ সেই বৈঠকের দু’দিনের মাথায় (১লা মার্চ) আশরাফ ঘানী বলে বসলেন: তার সরকার তালিবান বন্দীদের মুক্তি দেবে না। এতে তালিবানের প্রতিক্রিয়া ছিলো পরিস্কার। তালিবান বললো, তারা চুক্তি করেছে আমেরিকার সাথে, কাবুল সরকারের সাথে নয়।সূতরাং তালিবান-বন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করবে আমেরিকা। এর মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফোনে সরাসরি কথা বললেন তালিবানের রাজনৈতিক প্রধান মোল্লা আব্দুল গনী বারাদারের সাথে। ট্রাম্প তাঁকে আশ্বস্ত করেন। তালিবান জানে, ট্রাম্পের ইশারা ছাড়া ঘানী কিছুই করার ক্ষমতা রাখেন না।ওয়াশিংটনে বসে ট্রাম্প ঘানীকে চমৎকার এক কথা শোনালেন। তাতেই ঘানী আর তার গডফাদারদের আসন কেঁপে উঠলো। ট্রাম্প বললেন: মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তান ত্যাগের মাস কয়েক পরেই তালিবান ক্ষমতায় বসবে। ঘানী বুঝে ফেললেন ট্রাম্পের কথা। পরদিনই ঘানী ঘোষণা করলেন, আপাতত দেড় হাজার তালিবান বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে তার সরকার। বাকিদের মুক্তি দেয়া হবে আন্তঃআফগান আলোচনার সময়। তালিবান বুঝলো, গোপনে আমেরিকা ও ঘানী সরকার তালবাহানার আশ্রয় নিচ্ছে। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোন তালবাহানা নয়, সব বন্দীকে একসাথে ছাড়তে হবে চুক্তি মেনে। অন্যথায় যা হবার তাই হবে। তালিবান জানে এসবের পেছনে ভারতের ইন্ধন সক্রিয়। তবে তালিবান এখনই ভারতকে শায়েস্তা করবে না, করবে ক্ষমতা গ্রহণের পর।

    তালিবান-মার্কিন চুক্তি নিয়ে ভারতের অস্বস্তি এখন আর লুকোবার নয়। সাম্প্রতিককালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হ্যাপিমন জ্যাকব সাউথ এশিয়ান মনিটরে Fail-safe exit for America, but a worry for India শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেন। অর্থাৎ, ‘আমেরিকার নিশ্চিত-নিরাপদ প্রস্থান, কিন্তু ভারতের জন্য উদ্বেগ’। সেখানে তিনি লিখেন– The recently negotiated peace deal between the United States and the Taliban is unlikely to bring peace to Afghanistan, is geopolitically disadvantageous for India, and has serious implications for our national security. The terms of the deal, the manner in which it was negotiated as well as the geopolitical context in which it was stitched up indicate that it was more about providing an honourable exit route for the US’s Trump administration from its military campaign in Afghanistan than about ending violence in the country. (যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে সম্প্রতি যে শান্তি চুক্তি হয়েছে, সেটা আফগানিস্তানে শান্তি আনবে বলে মনে হয় না, ভূরাজনৈতিকভাবে এটা ভারতের স্বার্থের বিরোধী এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। চুক্তির যে সব শর্ত, যেভাবে চুক্তিটা নিয়ে দর কষাকষি হয়েছে এবং যে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো, সেগুলো মিলিয়ে দেখলে মনে হয়, আফগানিস্তানে সহিংসতা বন্ধ করার কোন বিষয় এখানে নেই, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনকে নিরাপদে তাদের সামরিক প্রচারণা গুটিয়ে বিদায় হওয়ার একটা সুযোগ করে দেয়া হয়েছে এখানে।) প্রবন্ধের আরও পরের দিকে তিনি মন্তব্য করেন– The only state that seems to be on the losing end, unfortunately, of this unfolding game of chess and patience in Afghanistan is India. It did not have to be this way: if the earlier Taliban regime was anti-India, it was also because India had militarily supported the Northern Alliance that kept up the military pressure against the Taliban. Today’s Taliban does not share the same animus for New Delhi. New Delhi, therefore, could have rejigged its approach to Taliban this time around. However, it put all its eggs in the Ashraf Ghani basket, even on the eve of the signing of the peace deal in Doha. New Delhi also, for most intents and objectives, adopted a puritanical approach to the Taliban, neither reaching out to the Taliban nor exploiting the fissures within it; one, because it did not want to irk the elected government in Kabul and two, because it adopts a moralistic approach to dealing with extremist groups in general not a smart diplomatic strategy. This moralistic attitude, also a diplomatically lazy one, I would say, that be it Pakistan or Afghanistan, India would only talk to the legitimate government in that country, is a self-defeating position. The world is not that perfect, nor are states all that uniform, created in the shape and image of the Westphalian forefather. Smart statecraft, therefore, is dealing with what you have and making the best of it. (আফগানিস্তানে দৃশ্যপট পরিবর্তনের মধ্যে একমাত্র যে দেশটি ক্ষতির শিকার হতে যাচ্ছে, সেটি হলো ভারত। তালেবানদের ভারত বিরোধী হওয়ার কারণ হলো শুরুর দিকে তালেবানদের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ অব্যাহত রাখার জন্য নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সামরিকভাবে সহায়তা করেছিল ভারত। তবে আজকের তালেবানরা নয়াদিল্লির প্রতি একই রকম শত্রুপ্রবণ নয়। নয়াদিল্লি তাই তালেবানদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে পারতো। কিন্তু এমনকি দোহা চুক্তির শেষ মুহূর্তে এসেও ভারত তার সকল সমর্থন আশরাফ ঘানিকে দিয়ে এসেছে। নয়াদিল্লি একই সাথে তালেবানদের সাথে অতিনৈতিকতাবাদী একটা আচরণ করে এসেছে। তারা তালেবানদের কাছাকাছিও হয়নি, বা তাদের ভেতরের শক্তিগুলোর অপব্যবহারও করেনি। কারণ তারা কাবুলের নির্বাচিত সরকারকে উত্তক্ত করতে চায়নি। তাছাড়া সাধারণভাবে চরমপন্থী গ্রুপগুলোর মোকাবেলার ক্ষেত্রে একটা নৈতিক অবস্থান নিয়েছে তারা। কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে যেটা মোটেই স্মার্ট নয়। এই নৈতিকতাবাদী অবস্থানটা এক ধরনের কূটনৈতিক আলসেমি, এবং পাকিস্তান বা আফগানিস্তান যে দেশই হোক, সেখানে ভারতকে শুধু বৈধ সরকারের সাথে কথা বলতে হবে, যেটা আসলে নিজেদের জন্য এক ধরনের পরাজয়। বিশ্ব এতটা আদর্শিক নয়, দেশগুলোও ঐক্যবদ্ধ নয়।) এখান থেকে চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা করা যায়।

    এখানে আরেকটি বিষয় পাঠকদের জেনে রাখা জরুরী। তা হলো, আফগানিস্তানে যে পটপরিবর্তন অত্যাসন্ন, তা ভারত আগে থেকেই আঁচ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তালিবানের আলোচনা শুরু হয় ২০১৮ সালে। বিষয়টি যখন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হয়, তখন-ই ২০১৯ সালে ভারতের গোয়েন্দাসংস্থা ‘র’-র প্রধান সামন্ত কুমার গোয়েল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদির সাথে সাক্ষাৎ করে যতো শীঘ্র সম্ভব বিশেষ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে ভারতের একীভূত করে নিতে পরামর্শ দেন ( Hindustantimes, 5 July)। ভারতের আশঙ্কা হলো, তালিবান ক্ষমতায় আসলে পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং তাতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এসব মাথায় রেখে ভারত সার্বিকভাবে তালিবানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে এবং ঘানী সরকারকে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি ভারত ঘানীর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ’র সাথেও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কারণ, মি.আব্দুল্লাহ আহমদ শাহ মাসুদের উত্তরাঞ্চলীয় জোটের লোক হওয়ার সুবাদে ভারতের সাথে পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। হতে পারে, আশরাফ ঘানীকে দিয়ে না হলে ভারত মি.আব্দুল্লাহকে ব্যবহার করবে।

    এখন কী হতে পারে?
    ————————-
    এখন আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবার মাঝে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। চুক্তি সম্পাদন, বন্দীমুক্তিতে ঘানীর অস্বীকৃতি আবার আংশিক সম্মতি, পূর্ণমুক্তি ছাড়া তালিবানের প্রত্যাখ্যান ইত্যাদি বিষয় আফগানিস্তানকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? তবে কি আবারও যুদ্ধ হবে? না কি তালিবান বন্দুকের জোরে কাবুলের ক্ষমতা দখল করবে? এখানে একটি বিষয় বুঝতে হবে, আর তা হলো, চুক্তির পর তালিবান এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে বলা যায়। কারণ, সবদিক বিবেচনায় বল এখন আন্তর্জাতিক বিশ্বের কোর্টে। মূলত, আমেরিকার সাথে চুক্তি করে তালিবান আন্তর্জাতিক বিশ্বকে এক পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন দু’টো: তালিবান আজ হোক কাল হোক ক্ষমতায় আসছেই। এখন বহির্বিশ্বকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: তারা কোন পথ বেছে নেবে? তারা কি তালিবানের চুক্তিভিত্তিক ক্ষমতায় আসাকে বেছে নেবে, না কি চুক্তির বাইরে গিয়ে বন্দুকের জোরে তালিবানের ক্ষমতায় আসাকে বেছে নেবে? আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য নিরাপদ হলো চুক্তির মাধ্যমে তালিবানকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যা তালিবানের কাছেও পছন্দনীয় বলে মনে হয়। কারণ, সম্পাদিত চুক্তিটি উভয়পক্ষের জন্য ফলদায়ক ও নিরাপদ। কথা হচ্ছে, এখন যদি কোন কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্ব চুক্তি নিয়ে গড়িমসি করে, তাতে তালিবান অবশ্যই লাভবান হবে। কেননা, যুদ্ধ করেই যদি তালিবানকে কাবুল দখল করতে হয়—তাতে তালিবান বহির্বিশ্বে প্রতিপক্ষ কর্তৃক চুক্তি লঙ্ঘনের কথা বলে অবস্থান সৃষ্টি করতে পারবে। সে-সময় তালিবানপ্রশ্নে আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিভক্ত হয়ে পড়তে পারে। যুদ্ধ করে তালিবান ক্ষমতায় এলে, তালিবানের ওপর শর্তের কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না—এ বিষয়টি বহির্বিশ্বকে মনে রাখতে হবে। এর ওপর হচ্ছে, আমেরিকার সৈন্য যতোক্ষণ পূর্ণভাবে আফগানিস্তান না ছাড়ছে ততোক্ষণ চুক্তি নিয়ে গড়িমসি করলে প্রধান ক্ষতিটা হবে আমেরিকারই। আমেরিকা সে-কথা বিলক্ষণ বোঝে। তাই আমেরিকা নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবার ভুল করবে বলে মনে হয় না। এখন আমাদেরকে দেখতে হবে, চুক্তির শর্তানুযায়ী আন্তঃআফগান আলোচনা শুরু হচ্ছে কি না। এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। এখানে আমেরিকাকে মূল-ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ, তালিবান বলে দিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী ৫০০০ বন্দীকে না ছাড়লে, তাঁরা আলোচনায় যাবে না। আশরাফ ঘানীকেও মনে রাখতে হবে, চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলে তার পরিণতি নজিবুল্লাহর মতও হতে পারে।

    আরেকটি বিষয় এখানে বিচার্য; তা’হলো, তালিবান এখন দেশের সত্তর শতাংশেরও বেশি ভূমি নিয়ন্ত্রণ করছে। পক্ষ হিসাবে তারা সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। এ অবস্থান ধরে রেখেই তালিবান চুক্তি করে। তাই, যে কোন আলোচনায় তাদের কর্তৃত্বকে স্বীকার করে সমাধান খুঁজতে হবে। এর কোন বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। যারা মনে করছেন, বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় গেলে তালিবান আন্তর্জাতিক সমর্থন পাবে না, তারা ভুল করবেন। কারণ, এখন আর আর নব্বইয়ের দশক নয়। ভূ-রাজনীতি, ভূ-অর্থনীতি, ভূ-সমরনীতি ও ভূ-বাণিজ্যনীতি ইত্যাদিতে আফগানিস্তান এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক বিশ্ব সে-কথা ভালোই বোঝে। অন্তত হলফ করে বলা যায়, চুক্তির বাইরে গিয়েও যদি তালিবান ক্ষমতায় আসে, তবে পাকিস্তানের পর তালিবানকে স্বীকৃতি দেবে চীন। আর চীনের পথ ধরে রাশিয়াসহ অনেকেই সেই কাতারে হাজির হবেন বলা যায়। ধরে নেয়া যায়, আগামী পরিবর্তিত বিশ্বে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান হবে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের এক ব্যালেন্স-পাওয়ার। সময়েই সে-প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

    পরিশেষে বলতে হয়, তালিবান-মার্কিন চুক্তিটি আগামী বিশ্বকে স্থিতিশীল করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বের উচিৎ হবে, ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা না দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করা। তা’হলে, অস্থিতিশীল দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলসহ পুরো বিশ্ব উগ্রবাদ থেকে রক্ষার পথ খুঁজে পাবে।
    (সমাপ্ত)

    Comment

    Working...
    X