Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলা সাবটাইটেলঃ মুজাহিদীনের দৃষ্টিতে চীনের "করোনা" ভাইরাস!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলা সাবটাইটেলঃ মুজাহিদীনের দৃষ্টিতে চীনের "করোনা" ভাইরাস!

    বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহিম।
    আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ..
    প্রকাশিত হয়েছে.......
    তুর্কিস্তানের মুজাহিদীনের "ISLAM AWAZI" "ইসলাম আওয়াজি" মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত "মুজাহিদীনের দৃষ্টিতে চীনের 'করোনা' ভাইরাস" ভিডিওর বাংলা সাবটাইটেল।

    ভিডিও ডাউনলোড করুন!
    [600.13MB]
    https://archive.org/details/korona_mujahid
    https://mega.nz/#!nc0lGIAQ!RgaOxjAC_...wAZATp-qAc1OGY
    https://files.fm/u/98th7y4v
    https://megaup.mobi/#26C1

    [282.28MB]
    https://archive.org/details/00_20200324
    https://mega.nz/#!nUkzDZZB!mrm29loql...TNgPi-RtieVJl8
    https://www30.zippyshare.com/v/eAOy9yfr/file.html
    https://files.fm/u/4agakzbt
    https://megaup.mobi/#26C2

    [168.96MB]
    https://archive.org/details/02__20200324
    https://mega.nz/#!qN8BASIQ!3GH82HEIA...nL8a85_E6TRB2w
    https://www34.zippyshare.com/v/0Tj3wpm9/file.html
    https://files.fm/u/qkn2xcze
    https://jmp.sh/b/pva0YXd9sZH8gKZc8CZg
    https://megaup.mobi/#26C3

    [89.1MB]
    https://archive.org/details/04_20200324_202003
    https://mega.nz/#!SclRTIKD!mc4mNXrmq...hoKqsWJ7Lf8pQs
    https://www18.zippyshare.com/v/ABflz6tW/file.html
    https://files.fm/u/kgyg34uh
    https://jmp.sh/v/oR2WDj51wx5V7D3jazIS
    https://megaup.mobi/#26C4

    নতুন সাবটাইটেল কারক হিসেবে, ফোনে সাবটাইটেল করন, এবং ভিডিওতে আরেকটি সাবটাইটেল থাকায় সাবটাইটেলের অসঙ্গতিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার বিনীত অনুরোধ রইলো!

    আপনাদের নেক দোয়ায় আপনাদের প্রিয় মুজাহিদীন ভাইদেরকে এবং মজলুম উম্মাহকে ভুলবেননা!,
    **********
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

  • #2
    ভাই! ডাবিং করে অডিও লিংক দিলে ভালো হতো!
    মুমিনদেরকে ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

    Comment


    • #3
      Originally posted by হিন্দের মুহাজির View Post
      ভাই! ডাবিং করে অডিও লিংক দিলে ভালো হতো!
      প্রিয় ভাই! আমি এটুকুই পেরেছি, ঐটা হয়তো আমার দ্বারা সম্ভব নয়!
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ। অনেক অনেক শুকরিয়া ভাই। আল্লাহ সুব. আপনার এই মেহনাতকে কবুল করুন ও উত্তম বিনিময় দান করুন, আমীন।
        বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
        কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ।
          অনেক অনেক শুকরিয়া।
          আল্লাহ আপনার কাজে বারাকাহ দান করুন,আমীন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment


          • #6
            আল্লাহ্* সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আপনার দ্বীনের মেহনতকে কবুল করুন।আমিন

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ
              খুব সুন্দর হয়েছে
              আল্লাহ তা আলা ভাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন
              মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ। শুকরিয়া প্রিয় ভাই। ভিডিওটা দেখেছি। আলহামদুলিল্লাহ। বেশ বোধগম্য হয়েছে।

                বহু পরিশ্রম করেছেন ভাই। মোবাইল দিয়ে এগুলা বেশ কষ্টেরই। আল্লাহপাক আপনার খেদমতকে কবুল করুন।
                হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

                Comment


                • #9
                  ভাই!কষ্ট করে বাংলায় ডাবিং করে দিলে ভাল হত ৷

                  Comment


                  • #10
                    ইনশাআল্লাহ জিনারা ডাবিং চাচ্ছেন, উনাদের জন্য এবং সকলের জন্যই এই ভিডিওর ডকুমেন্ট ফাইল আপলোড করবো ইনশাআল্লাহ,

                    ডাবিং করার সাধ্য মনে হয় আমার নেই, তারপরেও কোন ভাই যদি জানাতেন ডাবিং কিভাবে করতে হয় তাহলে হয়তো এবিষয়ে সাহস ও সহযোগিতা পেতাম ইনশাআল্লাহ!

                    আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কৃত সকল দোয়া আমার জন্য এবং আপনাদের সকলের জন্য কবুল করে নিন!! আমীন আমীন আমীন! ইয়া রব্বাল আলামিন!
                    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                    Comment


                    • #11
                      তুর্কিস্তানের মুজাহিদীনের "islam awazi" "ইসলাম আওয়াজি" মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত "মুজাহিদীনের দৃষ্টিতে চীনের 'করোনা' ভ

                      আউুজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজিম! বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম!
                      বল, ‘কে তোমাদেরকে নাজাত দেন স্থল ও সমুদ্রের যাবতীয় অন্ধকার থেকে? তোমরা তাকে ডাক অনুনয় বিনয় করে ও চুপিসারে যে, যদি তিনি আমাদেরকে এ থেকে নাজাত দেন, আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব’। [আল-আন‘আম ৬:৬৩]

                      নিশ্চয়ই আল্লাহ জাল্লা ওয়া উলা তিনার হতেই সকল বিষয়াদি, তিনি তার আদেশের বিরোধিতা কারিকে শাস্তি দিতে যখন যেভাবে চান সক্ষম,
                      আজ আমরা বহমান দিন গুলোতে বিশ্বের বেশিরভাগ জায়গায় বেশি মাত্রায় বিপদ আপদ দূর্ঘটনা অবলোকন করছি, বিশেষ করে চীনের ওহান শহরে, যেখান সর্ব প্রথম "করোনা" ভসইরাস প্রকাশ পেয়েছিল।

                      এই ক্ষুদ্র ভাইরাসটি খুবই জনবহুল শহর "উহান"কে একটি ভূত-নগরে পরিবর্তিন করে দিয়েছে, যেখানে ১১ মিলিয়ন মানুষ বাস করত, সেখানের হাসপাতালগুলি সংক্রামিত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েগেছে।

                      ইহা এমন একটি আযাব যা চীন সরকারকে অনেকগুলি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করতে বাধ্য করেছে, ইহার সংক্রমণ ঠেকাতে শহরটির আসা-যাওয়ার সকল পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

                      কিন্তু এতসব সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক প্রক্রিয়া সত্ত্বেও, "করোনা" ভাইরাস খুব দ্রুত চীনের শিংহভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। যার চিত্র সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইটে ভেসে উঠেছে।

                      চাইনিজদের সংবাদপত্র গুলোর বিবৃতিতে "করোনা"য় সংক্রামিতদের সংখ্যা প্রায় ৭০,০০০ (সত্তর হাজার), মৃতের সংখ্যা ২,০০০ (দু'হাজার) থেকেও বেশি ছাড়িয়েছে। কিন্তু উহানের অভ্যন্তরে থাকা চিকিৎসকরা যে সংবাদ দিয়েছেন, সেখেনে খবরের কাগজ ও মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টের চেয়েও বহুগুণ বেশি বলে জানা যায়।

                      "করোনা" ভাইরাসের উৎস ছিল উহান শহরের এক সামুদ্রিক প্রাণী ব্যবসায়ী থেকে।

                      এই বাজারে বিভিন্ন ধরণের পশু পাখি ক্রয় বিক্রয় হয়, এবং এমন বিভিন্ন ধরণের মাংসও ক্রয বিক্রয় হয় যা "কোরআনুল-কারিম"এ নিষিদ্ধ।

                      এরাই হলো বিশ্বের সর্বাধিক অশুচি এবং নোংরা মানুষ, এরা প্রতিটি নোংরা ও নাপাক বস্তু খায়, এবং এরা মানুষ কি প্রাণী কারও প্রতিই দয়া দেখায় না।

                      সম্প্রতি চীনে ছড়িয়ে পড়া "করোনা" ভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত মতানৈক্য রয়েছে।
                      কেউ বলে যে এটি চীন সরকারের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের একটি ষড়যন্ত্র,
                      °আবার কেউ বলেন যে এটি তাদের জন্য উইগুরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চালানো তাদের অত্যাচার ও নিপীড়নের প্রতিদান স্বরূপ প্রতিশোধ গ্রহণকারী আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে "আযাব"।°
                      ☆আমরা, মুজাহিদীনরা ও এটিই বিশ্বাস করি।☆


                      আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা বলেনঃ- আর যখন কাফিররা তোমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিল, তোমাকে বন্দী করতে অথবা তোমাকে হত্যা করতে কিংবা তোমাকে বের করে দিতে। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও ষড়যন্ত্র করেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে উত্তম। [আল-আনফাল ৮:৩০]

                      চীনের নাস্তিক্যবাদী কমিউনিস্ট জাতি, এক যোগ যাবত পূর্ব তুর্কিস্তান দখল করে রেখেছে, এবং সেখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে নিকৃষ্ট অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

                      অন্যদিকে তারা ভুলেই গেল যে এই মুসলমানদের এমন একজন প্রভু আছেন
                      যিনি তাঁর ইচ্ছায় যে কোনও সময় তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম! আর আজ আমরা সেখানে এই "করোনা" ভাইরাসের দ্বারা তাদের উপর আল্লাহ তায়ালার আযাবকে মুসলিমদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ হিসেবে প্রত্যক্ষ করছি। [সুবহানাল্লাহ]


                      আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মহা-পরাক্রমশালী, প্রঙ্গাবান, সার্বভৌমত্বের মালিক, আর তিনিই দুর্বলদের সাহায্যকারী,

                      আমরা মহা-পরাক্রমশালী আল্লাহ তায়ালার দরবারে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন এই "করোনা"র মাধ্যমে নিকৃষ্ট জালিম নাস্তিক চীনাদের ধ্বংস করেদেন আমিন! এবং বিচার দিবসে হিসাবের মুখোমুখি করেন আমিন!
                      এবং তিনি যেন বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের হিফাজত করেন! আমিন! বিশেষত পূর্ব তুর্কিস্তানে আমাদের ভাই-বোনদের হিফাজতে করেন, আমিন!

                      [এখান থেকে শাইখের বক্তব্য শুরু]
                      بسم اللّه والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن ولاه اما بعد...

                      পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি,
                      অঝর ধারায়া দূরুদ ও সালাম এবং নিয়ামত বর্ষিত হোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ ও পরিবারবর্গের প্রতি এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার অনুসারীবর্গের উপর।

                      ওহে সম্মানিত ভাইয়েরা আমার!

                      এটা ভাবা অনর্থক হবে যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারীদের এমনিই ছেড়ে দেবেন, বরং তিনিতো তাদের নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত অবকাশ দিচ্ছেন, যখন তাদের কে পাকড়াও করবেন তখন আর ছাড়বেননা!

                      বহমান সময়ে আমরা সকলেই প্রত্যক্ষ করেছি যে চীনে সম্প্রতি কী ঘটেছিল?! এই নাস্তিক জাতি, যার রাষ্ট্রপতি বলেছিল যে, কেউই তার দেশ চীনের সামনে দাঁড়াতে পারবেনা।

                      আর তাদের এই ঔদ্ধত্যতাপূর্ন অবস্থা অন্যান্য অত্যাচারীদের মতোই, যাদের পাপের কারনে মহা পরাক্রমশালী তাদেরকে পাকড়াও করেছেন!

                      এদের নিকটও মহা পরাক্রমশালির পক্ষ থেকে খুব দ্রুত জবাব চলে আসলো! তিনি তাদের উপর তিনার এমন এক ক্ষুদ্র সৃষ্টিকে চাপিয়ে দিলেন! যা খালি চোখে দেখাও যায়না, কিন্তু ইহা চীনাদের সুখকে পূর্ণরূপে আতংকে পালটে দিল, এবং তাদের ভোগ বিলাস ও নিরাপত্তা কে হারাম করে দিল, তাদের ঘুমকে দূর করে দিল তাদের জিবনধারাকে সমুলে পাল্টে দিল।

                      আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতালা বলেনঃ- আর যালিমরা যা করছে, আল্লাহকে তুমি সে বিষয়ে মোটেই গাফেল মনে করো না, আল্লাহ তো তাদের অবকাশ দিচ্ছেন, ঐ দিন পর্যন্ত যে দিন চোখ পলকহীন তাকিয়ে থাকবে। [ইবরাহীম ১৪:৪২]

                      এমনি ভাবে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ- অবশ্যই মহান আল্লাহ যালিমকে সুযোগ দেন, এরপর তিনি যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন তাকে আর ছাড়েন না। এরপর তিনি তিলাওয়াত করেন, “এভাবেই তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও-যখন কোন অত্যাচারী জনপদবাসীকে তিনি পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তার পাকড়াও চরম মর্মান্তিক, অতিশয় কঠোর”- (সূরাহ্* হূদ ১১/১০২)। [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৭৫
                      হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]

                      প্রতিটি যোগেই কিছু তাগুত উদয় হয় যারা অহঙ্কার, অত্যাচার ও সীমালঙ্ঘন করে। এবং জমিনে ফাসাদ করেই বেড়ায়। অতঃপর আল্লাহর আজাব (সুন্নাহ) আসে যা কারো পক্ষ নেয় না, অতপর এই তাগুত ও তার অনুসারীদের কে তাদের সীমালঙ্ঘন সহ ধ্বংস করে দেয়।

                      তাগুতদের শেষ পরিণতির ইতিহাসে আমাদের জন্য রয়েছে চরম শিক্ষা, যেমনঃ ফিরআউন ও তার মতরা।

                      ফেরাউনঃ- বনী ইসরাঈলের কিছু লোক তার ইবাদত করত।

                      একদা সে তাদের নারীদের বাঁচিয়ে রেখেছিলো এবং তাদের পুত্র-নবজাতকদেরকে হত্যা করেছিল, কারণ সে একটি স্বপ্ন দেখেছিল, যাদুকর ও আলেমরা যার ব্যাখ্যা এই করেছিল যে, বনী ইসরাঈলের কোন এক ছেলের হাতেই তার রাজত্বের পতন ঘটবে।

                      কিন্তু সর্বশক্তিমান আল্লাহর হুকুমে এই ছেলেটিকে ফেরাউনের প্রাসাদের অভ্যন্তরে তার তত্ত্বাবধানেই লালনপালন করে বড় করেছিলেন।

                      ফেরাউনঃ যে সীমালংঘন করেছিল এবং অহঙ্কার করেছিল এবং বলেছিল "আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু" এটাও বলেছিল যে আমি মিশরের বাদশাহ, আর এই নহরসমূহ আমার হুকুমেই প্রবাহিত হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে ও তার সকল গর্বকে এই নদীগুলিতেই ডুবিয়ে মেরেছিলেন।

                      অনুরূপভাবে কোননের পুত্র নমরুদঃ সে ছিল ইব্রাহিম খলিল আলসইহিস সালামের সময়ের একজন কাফের বাদশাহ, বরং সে ছিল নাস্তিক। মানুষকে আল্লাহর সাথে কুফুরি করতে বাধ্য করত, এছাড়াও সে ছিল বিত্তবান ধনাঢ্য,

                      সে মানুষের মাঝে খাবারদাবার ও সম্পদ বন্টন করত, এমনকি সে তাদের কে বস করে ফেলেছিল, আর তারা একমাত্র তারই ইবাদত করত।

                      তার ছিল এক বিশাল দল, এবং তার সৈন্য সংখ্যা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানতনা, তাকে আল্লাহ তায়ালা রাজত্ব ও দিয়েছিলেন।
                      কিন্তু এই জালিম পাপী বাদশাহ সীমালঙ্ঘন ও অহংকার করে, এবং ইব্রাহিম আলাইহিসসালামের সাথে তাঁর রবের ব্যাপারে ঝগড়া শুরু করে, কাফেররা হেরে গিয়ে হতভম্ব হয়ে গেল।

                      নম্রুদের অন্তর ক্রোধে ভরে গেল, সে এক বড় অগ্নিকুণ্ড প্রজ্বলিত করলো, এবং সেখানে আল্লাহর নবী ইব্রাহীম আলাইহিসসালাম কে নিক্ষেপ করলো! কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আগুনকে আদেশ করলেন যে হে আগুন ইব্রাহিমের জন্য শীতল ও আরামদায়ক হয়ে যাও! আল্লাহ তায়ালা নিজ কুদরতে তিনার নবীকে মুক্ত করলেন, এবং নমরুদের উপর তিনার সৈন্য বাহিনীদের সবচেয়ে ছোট সৈন্যবাহিনীকে চাপিয়ে দিলেন!

                      সে সৈন্যদল ছিল "মশা", যে তার নাক দিয়ে মাথায় প্রবেশ করেছিল, এবং তাকে ধ্বংস না করে বের হয়নি।

                      যোগ যোগ ধরে তাগুতদের অবস্থা এমনি ছিল।।

                      আজ ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করেছে এবং আমাদের জন্য এক নতুন তাগুতকে প্রকাশ করেছে, আর সে হলো "চীন-সাম্রাজ্য",

                      তারা ঐ চীনা-নাস্তিকরা যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং মুমিনদের প্রতি তাদের শত্রুতা প্রকাশ করেছিল, শত্রুতার নমুনা স্বরূপ মসজিদ বিধ্বস্ত করেছে এবং সে যায়গাকে নৃত্য ও আনন্দ উল্লাসের যায়গায় পরিবর্তন করেছে, "কোরআনুল-কারীম"কে পদদলিত করেছে, জ্বালিয়ে দিয়েছে। মুসলিমদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে এবং নারীদের নির্যাতন করেছে। হারাম কাজকে হালালে রুপান্তর করেছে। ঐ সকল আলেম ও দায়ীদের কে হত্যা করেছে যাঁরা জনগণকে তাদের দ্বীনের শিক্ষা দিত। পূর্ব-তুর্কিস্তানের উইঘুরে আমাদের পরিবারের উপর সকল প্রকারের অত্যাচার, নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে। সন্তানদেরকে পিতামাতা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। ছোটদের প্রতি কোন দয়া করেনি। মুরব্বিগনকে কোন সম্মান করেনি। তাদের অত্যাচার নিপীড়ন থেকে নারীরাও রেহাই পায়নি, তারা সচ্চরিত্রা পবিত্রা মুসলিম নারীদের হিজাব উম্মোচন করেছে। তাদের কারাগারগুলি "পুনঃশিক্ষা শিবির" এর ভ্রান্ত নামে মুসলমানদের দ্বারা পূর্ণ করেছে যাতে বিশ্ববাসি ও চীনের বাহিরের মুসলিমদের থেকে হাকিকতকে গোপন করতে পারে। কিন্তু গোটা বিশ্ব, বিশেষত মুসলমানেরা জানে যে এই কেন্দ্রগুলি এমন কারাগার যেখানে মুসলমানরা নাস্তিক্যবাদী কমিউনিস্ট হতে বাধ্য হয়, কিংবা তাদের বাধ্য করা হয়।

                      অতঃপর আল্লাহ তাআলা ঐ সকল অপরাধীদের থেকে তাঁর একত্ববাদী বান্দাদের প্রতিশোধ গ্রহণকারী হিসেবে অবস্থান নেন! এবং তাদের উপর প্রেরণ করেন 'খুবই সংক্রামক, খুনি এক সৃষ্টি কে যার নাম "করোনা" ভাইরাস'
                      ফলে তারা পৃথিবীর নিন্দিত ও নিকৃষ্ট রাষ্ট্রে পরিণত হলো, এবং কেমন যেন তারা কারাবন্দী হয়ে গেল!! এই মারাত্মক সংক্রমক, খুনি "করোনা"র ভয়ে চীনে আসা যাওয়া আকাশ পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে কেউ স্বাগত জানাতে চাচ্ছেনা এবং কেউ তাদের দেখতে ও আসছেনা।

                      এমনকি চীনের সরকার এমন একটি নিয়ম করতে বাধ্য হল যে, যে কেউই (কারারুদ্ধের যন্ত্রণা যুক্ত) মেডিকেল মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হবে তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হবে।
                      হে আমার রব্ব আপনার মহিমার জানান দিচ্ছি, আপনি কতইনা উত্তম ব্যবস্থা করেছেন তাদের জন্য।

                      আমাদের মুসলিম বোনদের হিজাব ছিনিয়ে নেয়ায় তাদের জন্য এটা আল্লাহ তায়ালার প্রতিদান। আল্লাহ তায়ালা তাদের নারীপুরুষ সকলকে তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পূর্ণ হিজাবে জোর করে ঢুকিয়ে দিলেন!

                      আর সারা বিশ্ব এটাই জেনেছে যে সাম্প্রতি চীনের এই মহামারী তাদের উপর তাদের স্বীয় হস্তের কামাই তুর্কিস্তানের দূর্বল মুসলিমদের প্রতি জুলুমের প্রতিদানে আল্লাহ তায়ালার আজাবের একটি অংশ। আর এই দুনিয়ার আযাব আখেরাতের আযাবের সামনে কিছুই নয়। সেখানে দৃষ্টিগুলো অপলক তাকিয়ে থাকবে।

                      আর এই আযাব চীনাদের কৃত কুকর্ম থেকে তাওবা ও মুসলিমদের প্রতি জুলুম থেকে বিরত থাকার জন্য একটি সতর্কবাণী। যদি তওবা না করে তবে কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তায়ালার সেই ভয়াবহ আযাবতো তাদের জন্য অবধারিতই রয়েছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার শাস্তি খুবই কঠিন।

                      এমনি ভাবে এই ভাইরাস "করোনা" আরব আজম বিশ্বের সকল তাগুতের জন্যেও এক খোলা চিঠি। যেন তারা চীনের ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতায়ালা তোদের ধ্বংস করতে এবং তোমাদের রাজত্ব ছিনিয়ে নিতে পূর্ণ সক্ষম শুধুমাত্র "কুন" শব্দটি দিয়েই!

                      নিশ্চয়ই এই "করোনা" ভাইরাস আমাদের উইগুরের মাজলুম মুসলিমদের অন্তর প্রশান্তির কারণ হবে যাঁরা জালিম পাপীদের সীমালঙ্ঘন কে ঠেকাতে পারছিলেননা তাদের জন্য মহা পরাক্রমশালি সর্বোচ্চ শক্তিধরের তরফ থেকে সাহায্য এলো।

                      আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার নিকট এই প্রার্থনা করি তিনি যেন, এই ভাইরাসের মাধ্যমে জালিমদেরকে খুব দ্রুত ধ্বংস করে দেন, এবং তাদের জুলুম ও সীমালঙ্ঘন থেকে যেন সকল মুসলিম কে মুক্ত রাখেন, নিশ্চয়ই তিনিই এর অধিকার রাখেন এবং তিনিই এর সামার্থবান!

                      আর আমাদের সর্বশেষ বক্তব্য হলোঃ সকল সকল প্রশংসা তামাম জাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালারই জন্য,
                      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                      Comment


                      • #12
                        মুহতারাম ভাইয়েরা!! অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানাচ্ছি যে, খুবি গুরুত্ব ও যত্ন সহকারে পিডিএফ ইডিট করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা জনিত সমস্যার কারনে ফোন থেকে এক্সপোর্ট দিতে না পারায় আপনাদের কে পিডিএফ টি উপহার দিতে পারিনি!

                        "সকলের নিকট দোয়ার দরখাস্ত রইল"
                        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                        Comment


                        • #13
                          ......................................
                          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                          Comment

                          Working...
                          X