Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৯শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৯শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    এই বছর হজ্ব ও উমরাহ বন্ধ ঘোষণা হতে পারে : সৌদি রাষ্ট্রদূত



    এই বছর ২০২০ সালে হজ্ব ও উমরাহ বাতিল হতে পারে।এই জন্য সকল হজ সংস্থাকে হোটেল, প্রশিক্ষক বা এয়ারলাইনের টিকিটের সাথে কোন প্রকারের চুক্তি না করার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

    সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আহমদ আল আবদান গতকাল ২৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হজ্ব বন্ধ করতে এখনও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,করোনাভাইরাস অব্যাহতভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে, ফলে এ বছরের জন্য হজ্ব স্থগিত হতে পারে।

    প্রতি বছর সাধারণত হজ্ব জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়। সরকারীভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে হোটেল বা বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন রকম কার্যক্রম পরিচালনা না করে।

    এর আগে দেশটি ভাইরাসের বিস্তার রোধে উমরাহ হজ্ব এর জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত এবং মক্কা ও মদিনার দুটি পবিত্র মসজিদ মসজিদ আল হারাম এবং মসজিদ আল নববিতে জামাতে নামাজ স্থগিত করেছে।
    প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে এ খবর লেখা পর্যন্ত করোনভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ১জন মৃত্যুবরণ ও ৭৬৭ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34980/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মক্কা-মদিনায় আন্তঃপ্রদেশীয় যাতায়াত অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা



    করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সৌদি আরবে আন্তঃপ্রদেশীয় যাতায়াত অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) মক্কা, মদিনা ও রিয়াদে বিকাল ৩ টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। খবর- কালের কণ্ঠ

    সৌদিতে গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে চলছে রাত্রিকালীন ২১ দিনের কারফিউ। এ আইন অমান্যকারীদের করা হচ্ছে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা ও গ্রেপ্তার।

    এখন পর্যন্ত সাড়ে সাতশ’র বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সৌদিতে। সেই সঙ্গে প্রথম একজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/35002/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনায় আক্রান্ত হবে ১০ লাখ ইসরাইলি ইহুদি



      বিশ্বজুড়ে আধিপত্য এখন কেবল করোনারভাইরাসের। বাকি সবই ফিকে এ অদৃশ্য মারণাস্ত্রের কাছে। ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে করোনা। চীনের উহান শহরে উৎপত্তির পর করোনা পৌঁছে গেছে ইসরাইলে।

      মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬৫৬ জন। এ সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

      দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখে ধারণা করা হচ্ছে দ্রুতই ১০ লাখ ইসরাইলি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। যাদের মধ্যে মারা যেতে পারেন ১০ হাজার মানুষ। খবর: যুগান্তর

      দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ১১ হাজার ইসরাইলির ওপর করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা চালায় ইসরাইলের স্বাস্থ্য বিভাগ। সেখানে, ৪৩৩ জনের ফলাফল কভিড-১৯ পজিটিভ আসে। যা মোট নমুনার ৪ শতাংশ।

      এরপর গত মঙ্গলবার, ২৭ হাজার ৫৪ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে সব মিলিয়ে ১৬৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়, যা ৬.১ শতাংশ।

      এমন ফলাফলের পর স্যামসন আজুটা আশদুদ ইউনিভার্সিটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ পরিষেবার প্রধান ড্যানিয়েল গ্রুপেল বলেন, এমন হারে বৃদ্ধি পেতে থাকলে ইসরাইলের এক-তৃতীয়াংশ বাসিন্দা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে।

      গ্রুপেলের এমন বক্তব্যের আগেই সোমবার মন্ত্রিসভার সাত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানইয়াহু।

      তিনি স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ারি দেন, ‘মারাত্মক এ করোনার লাগাম টেনে না ধরতে পারলে আগামী এক মাসে ১০ লাখ ইসরাইলি কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারে। এতে মারা যেতে পারে ১০ হাজার ইসরাইলি।’

      প্রধানমন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারির পর দেশটির ম্যাগান দাউদ-আদম মেডিকেলের পরিচালক রাফায়েল স্টুরগো বলেন, আমরা যতটুকু পরীক্ষা করতে পেরেছি তার ৪ শতাংশ রোগী পেয়েছি। হতে পারে আরও অনেক ইসরাইলি ভাইরাসটি বহন করছেন যাদের পরীক্ষা করা হয়নি। তবে এই আক্রান্তের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশে পৌঁছুলে আমি মনে করি ইসরাইল হবে চীন-ইতালির মতো সবচেয়ে বেশি করোনায় বিধ্বস্ত দেশ।

      এদিকে এন১২ চ্যানেলকে দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এমন মহামারী পরিস্থিতিতেও সাধারণ ইসরাইলিরা এমনকি বেশ কয়েকজন মন্ত্রী করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না।

      এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে সব করোনা রোগীর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করার কার্যক্রম চালু করেছে নেতানিয়াহু সরকার।

      এর মাধ্যমে সব করোনা রোগীদের গতিবিধি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক তথ্য তাদের কাছে এসেছে। করোনা পরীক্ষা করার আগে ওই ব্যক্তি কোথায় গেছেন, কার সংস্পর্শে এসেছেন সব খবরই জানা যাচ্ছে এই পদ্ধতিতে।

      উল্লেখ্য, ইসরাইলের স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, দেশটিতে সব মিলিয়ে এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার কোয়ারেন্টিনে আছেন। একাত্তর হাজার ঊনত্রিশ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৬৫৬ জনে পৌঁছল। এদের মধ্যে ৩১ জনের অবস্থা গুরুতর। আর ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দুই জন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34991/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        একমাত্র সমাধান আকাশের কাছে মন্তব্য ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পের



        ইতালির বাতাসে শুধু লাশের গন্ধ। প্রতিদিন লাশের সারি এতোই দীর্ঘ হচ্ছে যে লাশ সমাহিত করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না।

        সরকারের আদেশ মেনে সবাই নিজ ঘরে কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন। কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েও এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ইতালি।

        সেখানে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি। মারা গেছে ছয় হাজারের বেশি মানুষ। রাইজিংবিডির রিপোর্ট

        এ অবস্থায় ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের কণ্ঠে হতাশা।

        টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সমস্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারা গেছি। আর কী করতে হবে তা আমরা জানি না। পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ হয়ে গেছে। এখন একমাত্র সমাধান আকাশের কাছে।’

        তার এ বক্তব্য বিশ্ববাসীকে নাড়া দিয়েছে।

        করোনা ভাইরাসে ইতালির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে লোম্বারদিয়া অঞ্চল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে সেখানে কাজ করছে সামরিক বাহিনী।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34969/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি শতাধিক কাশ্মীরি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের



          বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকা পড়েছেন শতাধিক কাশ্মীরি মেডিকেল শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তারা ভারতে ঢুকতে চেয়েও পারেননি।

          বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ওই শিক্ষার্থীদের পাসপোর্ট ও ভিসা যাচাই করে তাদের ছেড়ে দেয়ার পর স্থলবন্দরের ভারত অংশে অর্থাৎ পেট্রাপোল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। খবর বিবিসির।

          বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন কবির তরফদার সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশে ঢুকেছে, বেরও হচ্ছে; কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিক এবং বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকা বন্ধ ১৩ মার্চ থেকে।

          তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ ঘোষণা করেছে লকডাউন। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের বেনাপোলে ভিড় বেড়েছে। প্রচুর ভারতীয় নাগরিক সোমবার তাদের নিজ দেশে ঢুকেছে। কিন্তু বিপত্তি হয়েছে মঙ্গলবার সকালে যখন কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীরা ভারত ঢুকতে যায়।

          কাশ্মীরের এসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করেন।

          বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকেপড়া শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই নারী, তারা সবাই এখন বন্দরের বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করছেন।

          কাশ্মীরের ওই শিক্ষার্থীরা হয় জানত না, নতুবা দেরি করে ফেলেছে। এখন আমরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।ভারতের ইমিগ্রেশন বলছে, ভারতের সিদ্ধান্ত পেট্রাপোল এখন কাউকে নিতে পারবে না। আর কেউ বের হলেও তাকেও নেবে না। একেবারে লকডাউন।

          কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা বেনাপোলের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলছেন, তারা কাল জানতে পেরেছে এবং তারা দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে এসেছে। সবার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট, লিগ্যাল ভিসা; আমরা এখন কী করব জানি না।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34968/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতে ২১ দিনের ‘লকডাউন’ : ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ মানুষেরা পড়েছেন মহা বিপদে



            টানা ২১ দিন ‘লকডাউন’ ঘোষণা করায় ভারতের ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ মানুষেরা পড়েছেন মহা বিপদে।

            দিনভিত্তিক মজুরির শর্তে ভারতের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী কাজ করে থাকে। বিভিন্ন কলকারখানাই তাদের আয়ের প্রধান উৎস। সারা দেশ অচল হয়ে যাওয়ায় আয়ের এই উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।

            উত্তর প্রদেশের এক দিনমজুর, যিনি প্রতিদিন ৬০০ রুপি আয় করে ঘরে ফেরার সময় চালডাল কেনেন। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, ‘প্রতিদিন আমার পাঁচজনকে খাওয়াতে হয়। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আমি জানি। কিন্তু ছেলেমেয়েকে তো খাবার দিতে হবে।’

            চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর নভেল করোনাভাইরাসে ভারতে ৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০ জন।

            এই অবস্থায় সংক্রমণ থামাতে লকডাউন ঘোষণা করার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিম্ন আয়ের মানুষদের অর্থ সরবরাহের কথা বলেছে।

            কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কতটা রাখা হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রাজপাল সিং নামের একজন যেমন বলছিলেন, ‘বলা হচ্ছে অর্থ দেয়া হবে। কিন্তু সেটি কীভাবে তা এখনো আমরা জানি না। আর দিলেও কতদিন, কত করে দেয়া হবে, তাও বলা হয়নি। এই অবস্থায় আমরা শঙ্কিত।’


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34996/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              করোনা আক্রান্তদের ফেলে পালিয়েছে স্পেনের বহু বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ



              করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা দিচ্ছে স্পেনের সেনাবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযানের সময় পরিত্যক্ত বৃদ্ধাশ্রমে অসুস্থ রোগী এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে শয্যায় পড়ে থাকা মৃতদেহও খুঁজে পেয়েছে সেনা সদস্যরা। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্প্যানিশ প্রসিকিউটররা এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। যথাযথ সরঞ্জামের অভাবে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকার না করার ঘোষণা দিয়েছে স্পেনের কর্তৃপক্ষ

              মহামারির রুপ নেওয়া করোনাভাইরাসে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর একটি স্পেন। সোমবার একদিনেই দেশটিতে রেকর্ড ৪৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ১৮২ জনে পৌঁছেছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসে মৃতদের মরদেহ সংরক্ষণের জন্য মাদ্রিদের একটি স্কেটিং মাঠকে সাময়িক মর্গ হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

              বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে সংক্রমণ ঠেকানোয় সহায়তা দিতে সেনাবাহিনীকে তলব করেছে স্পেন। স্প্যানিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রোবেলস বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টেলেসিনোকে বলেন, ‘বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে বৃদ্ধাশ্রমে করা আচরণের বিষয়ে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার’। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কয়েকটি পরিদর্শনের সময় বেশ কয়েক জন বৃদ্ধকে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছে সেনাবাহিনী, কোনও কোনও ক্ষেত্রে শয্যায় পড়ে থাকা মৃতদেহও পাওয়া গেছে’। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর কর্মীরা এসব আশ্রম ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্ট

              স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইলা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বৃদ্ধাশ্রমগুলোকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তিনি বলেন, এসব আশ্রমগুলোতে সর্বোচ্চ নজরদারি চালানো হবে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34964/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                দু’মুঠো খাবার নিয়ে চিন্তিত কোটি কোটি ভারতবাসী



                পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বসবাস ভারতে *। দেশটির দুই তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে । ৬৮.৮ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় ২ ডলারের কম । আর ৩০ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় ১.২৫ ডলারের কম । দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী দিনমজুর, জীবন যুদ্ধ করে কোন রকম বেঁচে আছে । এরূপ বাস্তবতায় করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধে গতমঙ্গলবার সমগ্র ভারত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে । এবং জনসাধারণকে ঘরে অবস্থান করতে বলা হয় । লকডাউন ঘোষণার পর এই দিনমজুরেরা কীভাবে জীবন যাপন করছেন, তা আজ বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

                দিল্লির নয়ডায় লেবার চকে নির্মাণশ্রমিকেরা লাইন ধরে বসে থাকেন। ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো সেই শ্রমিকদের ভাড়া করে।

                “গত রোববার প্রাথমিক লকডাউনের সময় প্রতিবেদক সেই এলাকা ঘুরে দেখেন, তা সুনসান পড়ে রয়েছে। ওই রকম একটি ব্যস্ত এলাকায় কেউ যা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারেননি, তা–ই শোনা গেছে, পাখির কিচিরমিচির ডাক। পাখির ডাক শুনে প্রতিবেদক নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। এক কোণে বসে আছেন কিছু লোক।

                নিরাপদ দূরত্ব রেখে প্রতিবেদক তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন, যাঁদের একজন উত্তর প্রদেশের বান্ডা জেলার রমেশ কুমার।

                রমেশ বললেন, ‘আমি দিনে ৬০০ রুপি আয় করি। এ দিয়ে চলে পাঁচজনের সংসার। অল্প দিনের মধ্যেই ঘরে খাবার ফুরিয়ে যাবে। আমি করোনাভাইরাস ভয় করি। কিন্তু আমি আমার ছেলেমেয়েকে অভুক্ত দেখতে পারি না।’

                ভারতে কোটি কোটি দিনমজুরের অবস্থা রমেশের মতো। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউন ঘোষণার পর আগামী তিন সপ্তাহের জন্য তাঁরা আয়ের আর পথ দেখছেন না।

                ভারতে ৫০০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০ জন। উত্তরের উত্তর প্রদেশ, দক্ষিণের কেরালা, রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার রমেশের মতো দরিদ্র মানুষকে সরাসরি অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

                মোদি সরকারও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুরদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুসারে, ভারতে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ কর্মশক্তি অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। তারা নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, রিকশাওয়ালা, হকার, ময়লা সংগ্রহকারী এবং গৃহকর্মী।

                বেশির ভাগের পেনশন, অসুস্থতাজনিত ছুটি, বেতনসহ ছুটি বা কোনো ধরনের বিমা–সুবিধা নেই। অনেকের ব্যাংক হিসাব নেই। নিত্যদিনের চাহিদা মেটাতে তাঁদের নগদ অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়।

                বিপুলসংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক। এর মানে হচ্ছে, তাঁরা নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে এসেছে কাজের প্রয়োজনে।

                উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেছেন, এখানে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তিনি স্বীকার করেন, কোনো সরকার এর আগে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েনি। তিনি বলেন, সব সরকারকে বিদ্যুতের গতিতে কাজ করতে হবে। কারণ, পরিস্থিতি প্রতিদিন পাল্টাচ্ছে। এলাকাভিত্তিক বড় রান্নাঘর করতে হবে। রান্না করা খাবার লোকজনকে সরবরাহ করতে হবে। হাতে নগদ অর্থ বা চাল, আটা তুলে দিতে হবে। কে কোন রাজ্য থেকে এসেছে, সেসব বাছবিচার করা যাবে না।

                অখিলেশ যাদব নিজের রাজ্য নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। উত্তর প্রদেশ ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য। সেখানে ২২ কোটি লোকের বাস।

                উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, তাঁর কর্মীদের একটি দল অন্য রাজ্য থেকে আসা লোকজনকে শনাক্ত করছে। যাদের সাহায্য প্রয়োজন, তাদের সবাইকে সাহায্য করবে সরকার।

                কৃষ্ণ লাল নামে রিকশাচালক জানান, চার দিন ধরে তাঁর কোনো আয় নেই। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানোর জন্য আমার অর্থ দরকার। শুনেছি, সরকার আমাদের অর্থ দেবে। কিন্তু সেই অর্থ কখন, কীভাবে নিতে হবে, তা জানা নেই আমার।’

                কৃষ্ণ লালের বন্ধু একটি দোকানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি জানালেন, খাবার কেনার মতো অর্থ নেই তাঁর কাছে। তিনি বলেন, ‘দুদিন ধরে দোকান বন্ধ। আমাকে কোনো অর্থও দেওয়া হয়নি। আমি জানি না দোকান কবে খুলবে। আমি খুব ভয় পাচ্ছি। আমার পরিবার আছে। কীভাবে আমি তাদের খাওয়াব?’

                খেটে খাওয়া মানুষদের অনেকেই জানেন না করোনাভাইরাস কী, কেন পুরো দেশ অবরুদ্ধ, কেন মানুষের যাতায়াত বন্ধ।

                নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে এলাহাবাদ স্টেশনে জুতা পলিশ করেন। কিন্তু এখন স্টেশনে কোনো মানুষ দেখা যাচ্ছে না। কেন লোকজন স্টেশনে আসছে না, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। কিছুদিন ধরে লোকজন স্টেশনে আসছে না। শুনেছি, কারফিউয়ের মতো কিছু চলছে। কিন্তু কেন?’

                কথোপকথনের সময় বিনোদ প্রজাপতি নামের এক ব্যক্তি যেচে এসে কথা বলা শুরু করেন। তিনি জানান, স্টেশন এলাকায় তিনি পানির বোতল বিক্রি করেন। বললেন, ‘আমি করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সব জানি। পুরো বিশ্ব লড়ছে। যাদের থাকার জায়গা রয়েছে এবং সামর্থ্য রয়েছে, তারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের মতো মানুষের জন্য নিরাপত্তা ও ক্ষুধার মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। আমাদের কোনটা বেছে নেওয়া উচিত?’ ”

                উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের সুষ্ঠু ব্যবস্থা বিহীন লকডাউন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিচ্ছে । হু হু করে বাড়ছে খাদ্যাভাব । দুনীতিবাজ সরকার ও পুঁজিপতি মহাজনরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকলেও কোটি কোটি দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী নিজেদের জীবন নিয়ে শংকিত ।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/35009/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  দিল্লির সাড়া জাগানো শাহীনবাগের প্রতিবাদ মঞ্চ তুলে দিল মালাউন পুলিশ



                  করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের অংশ হিসেবে দিল্লি শাহীনবাগের ধরনা মঞ্চ তুলে দিয়েছে পুলিশ। দিল্লির যে শাহীনবাগ ভারতের বিতর্কিত ও মুসলিম বিদ্বেষেী নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিল, মঙ্গলবার সকালে দিল্লি পুলিশ সেই ধরনা মঞ্চ জোর করে তুলে দিয়েছে। খবর বিবিসির।

                  গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ দিল্লি পুলিশের একটি দল শাহীনবাগে গিয়ে ধরনা মঞ্চ খালি করে দেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু সেখানে অবস্থানরত যে প্রতিবাদকারী ছিলেন, তারা তাতে বাধা দিলে আধঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ জোর করে তাদের তুলে দেয়।

                  ঘটনাস্থল থেকে ছয় জন মহিলা ও তিন জন পুরুষ-সহ মোট নয়জনকে আটক করা হয়।

                  এর ফলে সেই গত ১৫ই ডিসেম্বর বিকেল থেকে নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি-র বিরুদ্ধে শাহীনবাগে লাগাতার যে আন্দোলন চলছিল, ঠিক ১০১ দিনের মাথায় এসে পুলিশি হস্তক্ষেপে তার অবসান হল।

                  শাহীনবাগে অবশ্য গত দু-তিন দিন ধরেই একটা সময়ে মাত্র পাঁচজন করে প্রতিবাদকারী ধরনা মঞ্চে থাকছিলেন – যাতে ১৪৪ ধারার শর্ত লঙ্ঘিত না হয়। বাকিরা ধরনা মঞ্চে তাদের চটি বা চপ্পল রেখে আন্দোলনের প্রতি তাদের উপস্থিতি ও সংহতি প্রকাশ করছিলেন।

                  গত সাড়ে তিন মাসে শাহীনবাগ দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রভূত সমর্থন পেয়েছে এবং ভারতের বহু শহরে শাহীনবাগের ধাঁচে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। ভারতের সীমানা পেরিয়ে গোটা পৃথিবীতে এ আন্দোলন সাড়া জাগিয়েছে।

                  এদিকে কলকাতা থেকে জানানো হয়েছে, শহরের পার্ক সার্কাসে শাহীনবাগের ধাঁচে যে লাগাতার ধরনা চলছে তার আয়োজকরাও সেটি এখন সীমিত আকারে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

                  গত রাতে তারা জানান, এখন থেকে পার্ক সার্কাসের মঞ্চে মাত্র সাতজন করে নারী-পুরুষ প্রতিবাদকারী থাকবেন। বাকিরা নিজেদের চটি রেখে দিয়ে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করবেন।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34985/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে করোনা পরীক্ষাই হচ্ছে না



                    যত দিন যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কত এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস যেখানে বারবার বলছেন, নির্বিচারে পরীক্ষা করতে হবে। আক্রান্তদের আলাদা করে ফেলতে হবে। কিন্তু গত দুই মাসে বিদেশফেরত প্রায় ৭ লাখ মানুষ কোথায় আছে, প্রশাসন জানে না। এদের মধ্যে কতজন আক্রান্ত তারও কোনো হিসাব নেই। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, দেশের মধ্যে এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মফস্সল শহরগুলোতে পরীক্ষাই হচ্ছে না। ফলে কেউ আক্রান্ত হলে সে অবস্থায়ই ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। খবর:দৈনিক ইত্তেফাক

                    গতকাল বিকালে নিয়মিত প্রেসব্রিফিংয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, নতুন করে মঙ্গলবার এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আরো ছয় জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে।

                    এদিকে মফস্সল শহরে করোনা পরীক্ষার কোনো সুযোগই নেই। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, নার্সসহ সহকারীরা চরম আতঙ্কে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। অধিকাংশ হাসপাতালে জ্বর নিয়ে গেলে দেখছেনই না চিকিৎসকরা। তারা সরাসরি আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিচ্ছেন। অথচ আইইডিসিআরের হটলাইটে বারবার চেষ্টা করেও ফোনে ঢোকা যাচ্ছে না। কেউ সরাসরি সেখানে গেলেও ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে মানুষ কীভাবে পরীক্ষা করবে, তারা করোনায় আক্রান্ত কি না, সে উপায় খুঁজে পাচ্ছে না।

                    এই পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ছুটি দেওয়া হলেও স্রোতের মতো মানুষ গ্রামে চলে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কার করোনা আছে, আর কার নেই, তা-ও বোঝার সুযোগ নেই। ট্রেনের ওপরে-নিচে শুধু মানুষ আর মানুষ। অন্যদিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে রাতেরবেলায় সবজি বিক্রির সময় শত শত ক্রেতা-বিক্রেতা ধাক্কাধাক্কি করে চলাফেরা করছেন। এদের মধ্যে যদি এক জনও আক্রান্ত থাকেন তাহলে শত শত মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে করোনা মোকাবেলায় চরম সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে।

                    পরীক্ষা করানোই দুঃসাধ্য : আইইডিসিআর এখন পর্যন্ত ৫ শতাধিক মানুষের পরীক্ষা করেছে। তার মধ্যে আক্রান্ত ধরা পড়েছে ৩৯ জন। আর মারা গেছে ৪ জন। এর বাইরে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও গলা ব্যথা নিয়ে খুলনায় মারা গেছেন দুই জন, সিলেটে এক জন ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক জন। তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এখনই যদি নির্বিচারে হাজার হাজার মানুষের পরীক্ষা করে আক্রান্তদের পৃথক না করা যায় তাহলে আমাদের পরিস্থিতি ইতালির চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।

                    নোয়াখালীর এক কিশোরকে গতকাল মঙ্গলবার দেখা গেল আইইডিসিআরের সামনে ঘোরাফেরা করতে। জানতে চাইলে ওই কিশোর বললেন, কয়েক দিন আগে সৌদি আরব থেকে তার এক আত্মীয় দেশে এসেছেন। তার সঙ্গে তিনি মেলামেশাও করেছেন। গত দুই দিন হলো তিনি জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। স্থানীয় হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। নিজে এখানে এসেও ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। কীভাবে পরীক্ষা করাবেন, তা-ও বুঝতে পারছেন না এই যুবক।

                    মিরপুরের টোলারবাগের এক বাসিন্দা টেলিফোনে ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমার পরিবারের এক জন জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। আমি টানা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও আইইডিসিআরের হটলাইনে ঢুকতে পারিনি। একদিন পর টেলিফোন সংযোগ পাওয়ার পর সেখান থেকে এক জন সবকিছু শোনার পর বললেন, যেহেতু পরিবারের কেউ বিদেশ থেকে আসেনি, তাই তাদের এই পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। অথচ হাসপাতালে গেলে ভর্তি করছে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা কী করব? সরকারি হাসপাতালেও সাধারণ রোগের চিকিৎসা সেবা মিলছে না।’

                    সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ:স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির গতকালের বৈঠকে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুর করিম সেলিম স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের উদ্দেশ্যে বলেন, গত চার মাসে আপনারা চিকিৎসকদের সরঞ্জাম ও কিট আনতে পারেননি। তাহলে আপনারা এতদিন করেছেন কী? অযথাই কথা বলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছেন। বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ সংসদ সদস্যই করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

                    কক্সবাজারে বৃদ্ধা আক্রান্ত :কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারে ওমরাফেরত এক বৃদ্ধার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ঢাকায় পাঠানো নমুনার পরীক্ষার রিপোর্টে এ ভাইরাসের উপস্থিতির তথ্য এসেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। আক্রান্ত বৃদ্ধা ভর্তির পর থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের বিশেষ কেবিনে রয়েছেন। আক্রান্ত এই নারী (৭৫) গত ১৩ মার্চ ওমরা হজ শেষে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। তার পরিবারের প্রায় সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক-নার্স ও ক্লিনারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

                    আখাউড়ায় চিকিৎসককে ঢাকায় প্রেরণ :আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা জানান, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত থাকা এক চিকিৎসককে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুই দিন ধরে জ্বর-সর্দি ও গলা ব্যথায় ভোগার পর গতকাল সকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

                    সৈয়দপুরে করোনা সন্দেহে একজন হাসপাতালে : স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর জানান, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগের করোনা ইউনিটে এক যুবককে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি সৈয়দপুরের বাশবাড়ি গ্রামে।

                    পিরোজপুরে প্রয়োজনীয় পিপিই নেই :পিরোজপুর অফিস জানায়, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণ থেকে নিজেদের মুক্ত রেখে চিকিৎসা দেওয়ার কাজে নিয়োজিতদের জন্য পিরোজপুরে পর্যাপ্ত পিপিই নেই। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে ২০০ পিপিই প্রয়োজন হলেও রয়েছে ৯৯টি। জেলার সিভিল সার্জন ড. হাসনাত ইউসুফ জাকি জানান, যারা স্পর্শকাতর যেমন- কম্পাউন্ডার, ওয়ার্ডবয়, সুইপারের কাজে নিয়োজিত থাকেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে মহামারি ঠেকাতে তাদেরও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে সবারই পিপিই থাকা জরুরি।

                    মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নার্সরা : মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ডাক্তাররা তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণই ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করলেন মানিকগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আকন্দ। তিনি জানান, বর্তমানে পিপিই এসেছে ৩০০টি, গ্লাভস ৯০০ পিস ও ফেস মাস্ক ২০০টি। ইনডোরে কর্মরত নার্সরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। সদর হাসপাতালের কর্মরত শিশু বিভাগের নার্স দিলরুবা সুলতানা বলেন, ‘এখানে আমাদের সরকারিভাবে কোনো নিরাপত্তা উপকরণ দেওয়া হয়নি।’

                    কুমিল্লায় চিকিৎসকদের মাঝে শঙ্কা :কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লায় পিপিই সংকটের কারণে চিকিত্সক ও সংশ্লিষ্ট চিকিত্সা সহকারীদের মাঝে তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পিপিই চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সরবরাহ এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।

                    যশোরে নার্স-ব্রাদারদের মনোবল ভেঙে পড়েছে :যশোর অফিস জানায়, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যশোরের চিকিৎসক-নার্স-ব্রাদারসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। আবার প্রয়োজনীয় প্রতিরোধকের অভাবে ইন্টার্ন চিকিত্সকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, মঙ্গলবার রাতের পালা থেকে তাদের গাউনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত জেলা থেকে কোনো স্যাম্পল আইইডিসিআরে পাঠানো হয়নি।

                    নোয়াখালীতে চাহিদার তুলনায় পিপিই এক ভাগও মেলেনি :নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিত্সক, নার্স ও স্টাফদের সুরক্ষায় পিপিই সরবরাহ অত্যন্ত নগণ্য। জেনারেল হাসপাতাল ও জেলা সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পিপিই যে চাহিদা পাঠানো হয়েছে তার একভাগও এখনো পাওয়া যায়নি।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34977/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      কঠিন মুহূর্তেও এনজিওগুলোর কিস্তি আদায় অব্যাহত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ



                      করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান-পাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লোকজন চলাচলও সীমিত করে দেয়া হয়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষদের কর্মসংস্থান কমে গেছে।

                      এতে দিনমজুর-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয় নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতেও বিভিন্ন স্থানে চলছে এনজিওর ঋণ আদায় কার্যক্রম। এতে এনজিওর ঋণ গ্রহণকারী দরিদ্র মানুষ এখন বিপাকে। তাদের দাবি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঋণ আদায় স্থগিত করার। সূত্র:যুগান্তর

                      মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের ক্ষুদ্র ঋণ আদায় বন্ধ ঘোষণা করলেও তা মানছে না এনজিও সংস্থাগুলো।

                      ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল): ভূঞাপুরে এনজিওর কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে হাট-বাজারে মানুষ নেই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় নেই। খেটে খাওয়া মানুষেরা হয়ে পড়ছেন বেকার। এমতাবস্থায় এনজিওর সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির টাকা জোগাড় দূরের কথা খাবার কেনার টাকা জোগাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

                      উপজেলায় শতাধিক এনজিও নিয়মিত ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এনজিও থেকে কয়েক হাজার মানুষ ঋণ সংগ্রহ করেছেন। এতে ঋণগ্রহীতারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

                      ভুক্তভোগীরা জানায়, কিস্তির টাকা না দিলে কর্মীরা জন্য রাত অবধি বসে থাকেন, গালমন্দ করেন, হুমকি দেন। গোবিন্দাসী এলাকার ভ্যানচালক আমিনুর জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করায় মানুষ ঘর থেকে কম বের হন। সারা দিনে ভ্যান চালিয়ে যে উপার্জন হয় তাতে সংসারই হয় না আবার কিস্তি দেব কোথায় থেকে।

                      ফলদা বাজার হাটের মুদি দোকানদার হাসান জানান, হাটে লোকজন প্রয়োজন ছাড়া আসছে না। বেচাকেনা খুবই কম। ইভাবে চললে সংসার চালান খুবই কঠিন।

                      ইউএনও নাসরীন পারভীন বলেন, এনজিওগুলোর কিস্তি আদায়ের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

                      গাইবান্ধা: করোনাভাইরাস দুর্যোগে কিস্তি মওকুফে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করাসহ ৭ দফা দাবিতে মঙ্গলবার বাসদ (মার্কসবাদী) শহর শাখার উদ্যোগে গাইবান্ধা পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলনের হাতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

                      এর আগে পৌরসভা চত্বরে বাসদ (মার্কসবাদী) শহর শাখার সংগঠক আবু রাহেন শফিউল্যাহ খোকনের সভাপতিত্বে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, লীজা উল্যাহ, মাসুদা আকতার প্রমুখ।

                      গুরুদাসপুর (নাটোর): নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ হতদরিদ্রদের আয় কমায় সব এনজিওর ঋণ আদায় বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এনজিও কর্মকর্তারা সে আদেশ অমান্য করে ঋণের কিস্তি আদায় করছেন বলে জানা গেছে।

                      উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এনজিও থেকে ঋণগ্রহীতা জাহানার বেগম, আসমা খাতুন, রোকেয় বেগমসহ অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে তারা ঋণ নিয়েছেন। প্রায় সবাই ওই ঋণের টাকা নিয়ে অটো ভ্যান ক্রয় করেছেন। তাদের স্বামীরা অটো ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। খাবার কেনার পর সেখান থেকে বাঁচিয়ে ঋণের কিস্তি দেন।

                      তারা জানান, দুই সপ্তাহ হল করোনার কারণে মানুষজনের চলাফেরা কমে গেছে। আগে ৩ থেকে ৫শ’ টাকা রোজগার হতো। বর্তমানে ১০০ টাকা কামাই হয় না। তা দিয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসারই চলে না, কিস্তি দেবে কোথায় থেকে। কিন্তু এনজিওর স্যারেরা এসে জবরদস্তি করছে। এমনকি গালমন্দও করছে।

                      ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার নির্দেশ দিয়েছেন জুন পর্যন্ত কোনো এনজিওর ঋণের কিস্তি নেয়া যাবে না। কোনো এনজিও নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

                      রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): ইউএনও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কিস্তি জুন পর্যন্ত না নেয়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে রায়পুরের ২৩ এনজিও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে কয়েকটি এনজিওর মাঠকর্মীদের কিস্তি উত্তোলন করতে দেখা গেছে।

                      উপকূলীয় অঞ্চল চরআবাবিল ও চরবংশী ইউনিয়নের কয়েকটি জেলে পরিবার গ্রামে এনজিও কর্মীরা কিস্তি আদায়ের জন্য বাড়িতে বাড়িতে অবস্থান করছে। দিনমজুর ও জেলে পরিবারকে কিস্তি পরিশোধে চাপ সৃষ্টি করতে দেখা যায়।

                      কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): করোনাভাইরাস আতঙ্কে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করলেও এখনও বন্ধ হয়নি কুয়াকাটায় এনজিও কর্মীদের ঋণের কিস্তি আদায়। মঙ্গলবার সকালে বেসরকারি সংস্থা আশার মাঠকর্মীরা কুয়াকাটা পৌরসভার ইসলামপুর মহল্লার বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে কিস্তি টাকা আদায় করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

                      ২৩ মার্চ পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা করছেন। কিন্তু এনজিও কর্মকর্তারা তা মানছেন না। কিস্তির টাকা পরিশোধে অনেকে অনীহা প্রকাশ করলে এনজিও কর্মীরা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। নতুন করে ঋণ নিতে অসুবিধা হবে বলেও সতর্ক করা হচ্ছে ওই সব এনজিওর পক্ষ থেকে।

                      জাহিদ হোসেন নামে এক এনজিও মাঠকর্মী বলেন, কিস্তি আদায়ে আমাদের ওপরের কোনো নির্দেশ পাইনি। তাই আদায় করছি।

                      সরেজমিনে, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকালে বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার ও কর্মী রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে কিস্তির টাকা আদায় করেন। এঘটনায় স্থানীয় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেও নতুন করে লোন নিতে ঝামেলা হবে বলে এবিষয়ে নাম প্রকাশ করতে অনিহা প্রকাশ করেছেন অনেকে।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34988/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        ‘এই দেশে জন্মাইসেন, এখনও বেঁচে আছেন এইটা বোনাস’




                        করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ থাকা এক রোগী সেবা না পেয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

                        আতিকা রমা নামের ওই নারী সোমবার দুপুরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে অসুস্থ হওয়া, করোনার লক্ষণ, আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করাসহ বিস্তারিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সেখানে তিনি মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে তুলোধুনা করেন। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে তার স্ট্যাটাসটি প্রায় দুই হাজার শেয়ার হয়। খবর-কালের কণ্ঠ

                        আতিকা রমার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো;

                        “এই দেশ এই দেশের সিস্টেম একজন নাগরিক হিসেবে কি আমার???? গত ১২ দিন ধরে আমি জ্বর, প্রচন্ড গলা ব্যথা, শুকনা কাশি, কফ, প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট এবং ফাইনালি তীব্র পেট ব্যথায় ভুগছি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সকল লক্ষণ নিয়ে যখন অপেক্ষা করছিলাম তখন বন্ধুরা জোর করে যোগাযোগ করে IEDCR এর হেল্প লাইনে। তার মধ্যে ইন্ডিয়া থেকে গেস্ট এসেছিল। তাদেরকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে গিয়ে তারা বৃদ্ধ মানুষ হওয়ায় তাদের লাগেজের ট্রলিটা খালি হাতে ধরে বোর্ডিং পাসের জন্য ট্রলি ঠেলে নিয়ে গেছিলাম। এরপর ইমিগ্রেশনের গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে ফিরে এসেছি।

                        তখন প্রতিদিন চায়নায় মানুষ মরছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে। কিন্তু আমার তা মাথায় ছিল না। এয়ারপোর্টের ট্রলি জীবন কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা রাখতে পারে ভাবিনি। এরপর যা হওয়ার হয়েছে।

                        এটা ছিল ১০ মার্চের ঘটনা। ১২ তারিখে একটা আইসক্রিম খেয়েছিলাম শখ করে, প্রায় সাথে সাথেই গলা ব্যথা শুরু হয়েছিল। এরপর ১৪ তারিখে তীব্র গলা ব্যথা আর শরীর কাঁপিয়ে জ্বর। জ্বরে তেমন কিছু মনে হয়নি, কিন্তু এরকম গলা ব্যথা আমার জীবনে আগে কখনও হয়নি। মনে হয়েছিল কেউ গলা চেপে ধরেছে এবং নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। অথচ আমার চেস্ট পরিষ্কার। দীর্ঘদিন এজমা থাকায় আমি জানি কোনটা এজমার এট্যাক। কিন্তু এটা ঠিক সেরকম ছিল না। তীব্র গলাব্যথার জন্য ছিল এই শ্বাসকষ্ট। আমার খালাতো বোন বারডেমের মেডিসিনের ডাক্তার। আমার ডায়াবেটিসের চিকিৎসাও উনি করেন। ওনাকে জানানো মাত্র এন্টিবায়োটিক দেন। খেতে শুরু করি।

                        কিন্তু শ্বাসকষ্ট থামে না, থামে না তীব্র গলা ব্যথাও। এভাবে ৯ দিন যাবার পর অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হতে শুরু করে। যুক্ত হল নেবুলাইজার। দিনে ৬ বার ইনহেলারের সাথে যুক্ত হয় ৬ বার নেবুলাইজার। কিন্তু এগুলো সবই সাময়িক। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভাল থাকা যায় তারপর যে কে সেই। তীব্র গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যথা, কাশি মাঝে মাঝে জ্বর।

                        ভাইয়া তার এক বন্ধুর কাছে নিয়ে গেল। সেই ডাক্তার খুবই ইয়ার্কির মুডে জানাল এটা সিম্পল ঠান্ডা জ্বর, করোনা টরোনা নয়। আমার বন্ধু রানু আমার অবস্থা দেখে রেগে টেগে সমস্ত শক্তি দিয়ে IEDCR. এর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে পুরো ইতিহাস বলল। IEDCR কুর্মিটোলা হাসপাতালের এক প্রতিনিধি নাম ফারহা চৈতি উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন করলেন। সব শুনে জানালেন ঐদিন রাতেই তারা আমাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাবে কারন আমি করোনা ভাইরাস সাসপেক্টটেড। আমি রাত টুকু সময় নিলাম সব কিছু গোছানোর জন্য। ঠিক হল সকাল ৮টায় ওনাদের এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাবে একটা টিম এসে। সারা রাত ঘুমাতে পারলাম না নানান চিন্তায়। সকাল ৮ টার আগে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করলাম। নাহ তাদের কোন খবর নেই। নেই তো নেই। নিজেই সকাল ৯টার দিকে চলে গেলাম কুর্মিটোলা হাসপাতালে। গিয়ে ডাক্তার ফারহা চৈতিকে ফোনের পর ফোন করলাম। উনি ধরলেন না। কি করবো কিচ্ছু জানিনা। এখান থেকে সেখান ছুটে বেড়ালাম সেই অসুস্থ শরীরে। ডাক্তার চৈতি ফোন করলেন বেলা ১১:৩০ এ। উনি যে আনতে যাননি বা যাবার কথা ছিল তার ধারপাশ দিয়েও গেলেন না। এদিকে হাসপাতালে প্রচন্ড ভীড়। লোকে লোকারণ্য। গায়ে গায়ে মানুষ বসে আছে এমারজেন্সির সামনে। কোন ডাক্তার নাই। এমার্জেন্সির টিকিট কেটে আমি দূরে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আমার প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট আর তীব্র শীতের অনুভূতি হল। আমি উইন্ডব্রেকার পরে যাবার পরও ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। কিন্তু এমার্জেন্সি সার্ভিস বলে সেখানে কিছু নেই। নেই একজনও ডাক্তার। এদিকে অপেক্ষা করছে শত শত নারী পুরুষ শিশু। আর তাদের যা তা ভাষায় ধমক দিয়ে যাচ্ছে আনসার সদস্যরা। আমি দূর থেকে সব দেখছি এবং মনে মনে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি কোন ভাবেই এখানে থাকা যাবে না। লোকে উন্মুক্ত ভাবে হাঁচি কাশি দিচ্ছে, থক থক করে থুতু ফেলে ভরিয়ে দিচ্ছে।

                        আমার খালাতো ভাই ফোন করলেন এবং অবস্থা জানতে চাইলেন। IEDCR এর চিফ মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা ওনার পরিচিত। ওনার সাথে যোগাযোগ করলেন। ফ্লোরা ম্যাডাম সাথে সাথে কুর্মিটোলা থেকে বেরিয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যেতে বললেন আমাকে। ততোক্ষণে আমি ভীষণ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, ক্ষুধার্ত এবং হতাশ। সময় চেয়ে নিলাম। বাসায় ফিরে আমাকে গোসল করতেই হবে এবং খেতে হবে। তারপর যেতে হবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। সেখানে ফ্লোরা ম্যাডাম আমার জন্য সকল ব্যবস্থা করে রেখেছেন।

                        বাসায় ফিরে ঘন্টাখানিক গোসল করলাম এমন ঘিনঘিনে অনুভূতি হয়েছে কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সুস্থ মানুষ সেখানে অসুস্থ হতে বাধ্য। এরপর তৈরি হচ্ছি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যাবার জন্য, কিন্তু মন কোন ভাবেই সায় দিচ্ছে না। কারন IEDCR এর প্রস্তুতি নিয়ে আমি ভীষণ সন্দিহান। এরা ঠিক ভাংগা কলসির মত। এরপর মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা আমার খালাতো ভাইকে জানালেন আমাকে করোনা ভাইরাস সম্ভবত এটাক করেনি। বাইরে বা হাসপাতালে থাকলে আমাকে ভাইরাস এটাক করবে। তাই হাসপাতালে থাকার দরকার নাই। আগে ব্লাড টেস্ট হোক। আমি হাসপাতালে থাকার ব্যাপারে একটুও আগ্রহী ছিলাম না নোংরা পরিবেশ এবং তাদের সার্ভিস কোয়ালিটি দেখে। মনে হয়েছিল ওখানে থাকলে আমি মারা যাব। আমি বাসায় থাকতে চাইলে ফ্লোরা ম্যাডাম রাজি হলেন। সিদ্ধান্ত হল বাসা থেকে আগে টেস্টের জন্য স্যাম্পল কালেক্ট করা হবে এবং আমাকে বাসার ভেতরে ১০০% isolation এ থাকতে হবে। পরের দিন অর্থাত গতকাল বাসা থেকে IEDCR এর লোকজন এসে ব্লাডের স্যাম্পল নিয়ে যাবে। সারাদিন অপেক্ষা। এই আসছি সেই আসছি বলে এখন পর্যন্ত কোন খবর নাই। গতকাল এবং পরশুদিন একাধিক বার তাদেরকে একই তথ্য বার বার দিয়েছি। আসছি আসবো বলে তাদের কোন খবর নাই।

                        গতকাল সারাদিন রাত তীব্র শ্বাস কষ্টে ভুগেছি। ৮/১০ বার নেবুলাইজ করেছি, ইনহেলার দিয়েছি আর অপেক্ষা করেছি একটা সঠিক ডায়াগনোসিস হোক। জানি কেন এমন সমস্যা হচ্ছে। গলার ব্যথা, শ্বাসকষ্ট পেট ব্যথা কিছুই ঠিক হচ্ছে না।

                        সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগের ফলাফল যদি এই হয়, তবে ধরেই নিচ্ছি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ নেই। IEDCR একটা স্টুপিড প্রতিষ্ঠান এবং তাদের চিফ মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা হলেন সেই স্টুপিড নেতা। আপনারা হেল্প লাইনে ফোন করে দেখেন কি ধরণের ব্যবহার করে এরা। স্যাম্পল কালেকশনের জন্য এই নম্বরে কল করেন 01550064901 দেখবেন একই তথ্য আপনাকে কতবার দিতে হচ্ছে। প্রতিটা হেল্পলাইনে কি ভাবে কথা বলছে এক একজন। ফোন করেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে এই নম্বরে Control room Kuwait Bangladesh hospital-01830 769803 দেখেন কেমন ব্যবহার করবে আপনার সাথে।

                        গতকাল থেকে তীব্র শ্বাস কষ্টে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। নিজে নিজে নেবুলাইজ করছি। হ্যাঁ আমি আর কারো কাছে যাব না। আমার কোন চিকিতসার দরকার নেই। IEDCR এবং মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরার উপর ওহি নাজিল হইসে আমি সুস্থ আছি। তারা এখন বিভিন্ন জায়গার চাপে পরে ব্লাড নিতে আসলে আমি দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারন টেস্টের রিপোর্ট কি হবে আমি জানি। এবং এও বিশ্বাস করি এই ব্লাড ড্রেনে ফেলে দেয়া হবে এবং বলা হবে আল্লামা মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরাতো আগেই টেস্টের রিপোর্ট জানতেন।

                        হ্যাঁ আমার কিছুই হয়নি। আমি একদম সুস্থ আছি। এই কয়দিন অসুস্থ হওয়ার নাটক করলাম। নাটকের অংশ হিসেবে দিনে রাতে নিজে নিজে নেবুলাইজ করলাম, ইনহেলারের পর ইনহেলার দিলাম। নাটকের অংশ হিসেবে এখনও ভুগছি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা পেট ব্যথা নিয়ে। IEDCR একটা আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিষ্ঠান। ওনাদের ওপর নিয়মিত ওহি নাজিল হচ্ছে। আর করোনা ভাইরাস তেমন কোন ঘটনা না। এই দেশে জন্মাইসেন এইতো বেশী। এখনও বেঁচে আছেন এইটা বোনাস।

                        আমি ভীষণ ভাবে বিপর্যস্থ। এরকম দীর্ঘ শ্বাসকষ্ট এবং মানসিক যন্ত্রণায় অনেক দিন ভুগিনি। আমি যদি কোন কারনে মরে যাই সেই দায় আমার, তা রাষ্ট্রের না, IEDCR এর না এবং মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরার মত একজন সুপার ওহিপ্রাপ্ত নারীরও না। মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা সিম্পিলি একটা সরকারের পা চাটা গোলাম, এটুকু মনে রাখবেন।

                        বল্টু ভাইরাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কনসার্ন। তাদের ব্যবস্থা করে রেখেছি। পৃথিবীর আর কোন কিছুর প্রতি আমার কোন দায় নেই। আমি এতটা মানসিক ভাবে এবং শারীরিক ভাবে বিপর্যস্থ যে ঠিক জানিনা কি কি ভুল করতে পারি কারন সঠিক ভাবে ভাব্বার মত মানসিক অবস্থায় আমি নেই।

                        উইশ ইউ হ্যাপি করোনা লাইফ। এই মিথ্যাবাদী, ইতর মানুষের দেশে জন্মে আমি ভীষণ লজ্জিত। এই দলকানা ধর্ম কানা মানুষের দেশে জন্মে আমি লজ্জিত। আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন।

                        পুনশ্চ: লেবু চা গরম চায়ের বয়ান কেউ দিতে আইসেন না। এগুলাই করতেসি। আমি বলতে চেয়েছি একজন নাগরিক হিসেবে আমার সঠিক চিকিতসা পাওয়ার অধিকারের কথা। আজাইরা জ্ঞান দিবেন না। মাথা ভয়াবহ গরম আছে। যা কিছু ঘটায় ফেলতে পারি। কারন এখন আর আমি কিচ্ছু মানবো না। সেই সব ডাক্তারদের জন্যও করুণা যারা ডায়াগনোসিস ছাড়া রোগ নির্ধারণ করে। ঘেন্না ঘেন্না ঘেন্না।”


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/34999/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          বেহাল সড়কে ভোগান্তি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ মানুষের



                          ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ময়লা মোড় থেকে বগার মোড় হয়ে নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে হাজার হাজার মানুষের। ব্যাহত হচ্ছে এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন।

                          সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় চরকালিবাড়ি এলাকার জালাল উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, মুনসুর আলীর সঙ্গে। তারা বলেন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা চরকালিবাড়ি। ময়লা মোড় থেকে বগার মোড় হয়ে নদীর পাড় পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি হচ্ছে এখানকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে রাস্তায় কোনো সংস্কারকাজ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ভাঙছে সেটি, হয়ে গেছে সরু। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালু আর বর্ষাকালে কাদায় থাকে পরিপূর্ণ। যায়যায়দিনের রিপোর্ট

                          স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়েছি তাতে খুবই আনন্দিত ছিলাম। কয়েকদিন আগেও ৪০ টাকা শতাংশ হিসেবে জমির ট্যাক্স দিয়েছি। কিন্তু কই আমরা তো কোনো সিটির সুবিধা ভোগ করতে পারছি না। রাস্তাটার কারণে আমাদের এলাকায় কেউ আত্মীয় করতে চায় না। এভাবে আর কতদিন চলবে।’


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/35006/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            এবার বি.বাড়িয়ায় জায়েজ বিবাহ বন্ধ করলো তাগুত ইউএনও



                            ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সোমবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী এক যুবকের বিয়ের কথা ছিল। আর সারাদেশে জায়েজ বিয়ে বন্ধের পায়তারার অংশ হিসেবে তাগুত বাহিনীর সদস্যরা বিরামপুর গ্রামে এই বিবাহ বন্ধ করে দেয়। রিপোর্টঃ যায়যায়দিন

                            তাগুত বাহিনীর কথিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কথিত বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করার নামে এই বিয়ে বাতিল করে দেয়। শরীয়ার অনুমোদিত বিয়ে ভেঙে দিয়ে বারবার স্পর্ধা দেখিয়ে যাচ্ছে এই তাগুত সরকারের বাহিনী। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাগুত পঙ্কজ বড়ুয়া উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে এ বিয়ে ভেঙে দেয়।


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/35012/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              বাঘাবাড়ি নৌবন্দর অচল হওয়ায় শ্রমিকের ঘরে কান্না



                              করোনাভাইরাস সংক্রমনের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে সারবাহী কোন জাহাজ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর তারই প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় সাত শ’ শ্রমিকের পরিবার পরিজন পড়েছেন অর্থকষ্টে। অনাহারে থাকতে হচ্ছে অনেককে। রিপোর্টঃ কালের কন্ঠের

                              বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের শ্রমিক আজিবর খান বলেন, ‘প্রায় সাত শ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’

                              নৌবন্দরের লেবার এজেন্ট আব্দুস সালাম ব্যাপারী বলেন, ‘করোনার প্রভাবে প্রায় এক মাস বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে জাহাজ চলাচল কমে গেছে। সর্বশেষ এক সপ্তাহে সারবাহী কার্গো-জাহাজ আসা একেবারে বন্ধ। এ অবস্থায় শ্রমিকরা কর্মহীন, উপার্জনহীন। এ পরিস্থিতি চললে সার সরবরাহ বন্ধ হয়ে চলতি সেচ মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সারের সংকট তৈরী হতে পারে।’


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/25/35014/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X