Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০



    যুক্তরাষ্ট্রে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই এক একটি জীবন পরিণত হচ্ছে সংখ্যায়।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে মৃতের সংখ্যা দুই দিনে দ্বিগুণ হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫৪ জনের নতুন মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২২৭ জনের বলে জানায় জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

    ইতালি, স্পেন, চীন, ইরান ও ফ্রান্সের পরে আমেরিকা এখন মৃত্যুর দিক দিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড রাজ্যটি করোনাভাইরাসে প্রথম দুটি মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে। আর বাকি থাকল হাওয়াই, পশ্চিম ভার্জিনিয়া ও ওয়াইমিং এই তিনটি রাজ্য। যেখানে এখনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

    যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক দিয়ে যেটা সর্বাধিক। রিপোর্টঃ নয়া দিগন্তের

    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্রস্থল নিউইয়র্কে সংক্রমণ হ্রাসের লক্ষে বৃহত্তর নিউইয়র্ককে একটি কোয়ারেন্টাইন হিসেবে বিবেচনা করছেন।

    নিউইয়র্কে ৫২,০০০ এর বেশী লোক করোনা আক্রান্ত এবং এতে ৫১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35240/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    লকডাউন হয়ে যাওয়া ভারতে দুর্গতির শেষ নেই ভিনরাজ্যে যাওয়া শ্রমিকদের



    অভুক্ত অবস্থায় মাইলের পর মাইল হেঁটে, মালাউন পুলিশের মার খেয়ে কোনওক্রমে গ্রামে পৌঁছবার পরেও বিপদ কাটছে না ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের। গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। খবর-ডয়চে ভেলে




    কেউ ৮০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ হাঁটছেন ২০০ কিলোমিটার। এমনকী, পাঁচশো কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছেন কেউ কেউ। তাঁরা সবাই শ্রমিক। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। নিজের রাজ্য ছেড়ে, গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে থাকেন। কেউ সপরিবার, কেউ বা একা। করোনার ফলে লকডাউন হয়ে যাওয়া ভারতে তাঁদের দুর্গতির শেষ নেই। একে তো খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই, হেঁটে অভুক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই পুলিশের লাঠির বাড়ি খেতে হচ্ছে। বাড়ি ফিরেও নিস্তার নেই। গ্রামের লোক তাঁদের ঘরে যেতে দিচ্ছেন না। মারধর পর্যন্ত করছেন। হৃদয়হীন শহর তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি। নিজের গ্রামও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তাঁদের ঠাঁই দিচ্ছে না। অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।


    https://twitter.com/maryashakil/stat...23794526740480

    করোনার ভয় বা আতঙ্কে লোক দিশেহারা। তাই প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের সঙ্গে। ঝাড়খণ্ডে গ্রামে ফেরার পর এরকমই এক শ্রমিককে ধরে মারা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে একজন গ্রামবাসী ফেরার পর তাঁকে ঢুকতে না দিয়ে মেরেধরে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান জেলার কাটোয়ার অভিজ্ঞতা তো আরও খারাপ। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”পশ্চিমবঙ্গের অনেক কাগজেই খবর বেরিয়েছে, কাটোয়া পুরসভা উদ্যোগ নিয়ে বিহার থেকে আসা শ্রমিকদের তাদের রাজ্যে ফেরাতে যায়। তাঁদের বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিহার পুলিশ ও প্রশাসন তাঁদের ঢুকতেই দেয়নি। তাঁরা আবার কাটোয়ায় ফিরে এসেছেন। পুরসভা এখন তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন রাজ্যে হাজার হাজার শ্রমিক আটকে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের চার্টার্ড বিমানে করে নিয়ে আসতে পারেন, অথচ, এই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে পারেন না। আর দুই দিন ট্রেন চালালে কী ক্ষতি হত? অভিজ্ঞতা বলছে, বড়লোকরাই বিদেশ থেকে এই সংক্রমণ নিয়ে ফিরছেন। গরিবরাপরে তাঁদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হচ্ছেন।”







    প্রকৃতপক্ষে, লকডাউনের সময় ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের কথা মাথায় রাখা হয়নি বা রাখা যায়নি।অব্যাবস্থাপনার মাঝে তড়িঘড়ি কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে এই শ্রমিকরা অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। কোনওক্রমে পায়ে হেঁটে যদি বা গ্রামে পৌঁছচ্ছেন, বাড়ি ঢুকতে পারছেন না। বাঁকুড়ায় একটি গ্রামের বাইরে ‘প্রবেশ নিষেধ’ নোটিশ সেঁটে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা গ্রামে আর কাউকে ঢুকতে দেবেন না। ভয়, যদি বাইরে থেকে আসা লোকেরা করোনার জীবাণু নিয়ে আসেন। আর যারা ভিন রাজ্যে থেকে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তারাও করোনার বিপদ নিয়ে বাঁচছেন। খাবার পেতে গেলে তাঁদের পক্ষে সোস্যাল ডিসট্যান্সিং মানা সম্ভব হচ্ছে না।

    তৃণমূলের সাংসদ মানস ভুঁইঞা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে ভিন রাজ্য থেকে ১ হাজার ৯৩ জন এবং পিংলায় ৬৬২ জন ফিরেছেন। এখনও মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কেরালা, গোয়া, হরিদ্বারে মোট ৩৫০ জন সবংয়ের শ্রমিক আটকে পড়েছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়ে আমি গ্রামবাসীদের বুঝিয়েছি। যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদেরও ঘরবন্দি হয়ে থাকতে বলেছি।” এখানে না হয় মানসবাবু নিজে পেশায় চিকিৎসক ও দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি এবং তিনি সক্রিয় বলে অসুবিধা হচ্ছে না, কিন্তু অন্যত্র?

    ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাড়ি ফিরছেন এই শ্রমিকের দল। তেলেঙ্গানা থেকে রাজস্থান যাচ্ছিল দুটি বড় কনটেইনার ট্রাক। মহারাষ্ট্রের পুলিশ তাদের রুটিন পরীক্ষার জন্য থামায়। দেখা যায়, কনটেইনারে কোনও অত্যাবশ্যকীয় জিনিস নেই, গাদাগাদি করে আছেন ৩০০ শ্রমিক, এ ভাবেই তাঁরা রাজস্থানে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রাকের চালকদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু শ্রমিকদের নিয়ে কী করা হবে, তা এখনও স্থির করা যায়নি।

    কতটা মরিয়া হলে তাঁরা এইভাবে ঘরে ফেরার চেষ্টা করেন তা সহজবোধ্য। নিজেদের পুঁজির টাকা সব ট্রাকচালককে দিয়ে ঝুঁকি নিয়েও ফিরছেন তাঁরা। যাঁরা মনে করছেন হাঁটতে পারবেন, তাঁরা হেঁটেই ফিরছেন। তাঁদেরও হেনস্থার শেষ নেই। গোয়ালিয়র থেকে উত্তরপ্রদেশের গ্রামে ফিরছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। বদায়ুঁতে পুলিশের কনস্টেবল তাঁদের প্রথমে হামাগুড়ি দিতে বলে। তারপর ব্যাঙের মতো লাফাতে বলে। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

    আবার ব্যতিক্রমও যে নেই তা নয়। গাজিয়াবাদ থেকে উত্তরপ্রদেশেই গ্রামে ফিরছিলেন রাজেশ কুমার সহ কয়েকজন। কিন্তু রাস্তায় লোকে সাহায্য করেনি এই ভেবে যে, গাজিয়াবাদ থেকে তাঁরা নিশ্চয়ই করোনা ভাইরাস নিয়ে ফিরছেন। লখিমপুর খিরি পৌঁছলে পুলিশ তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। তারপর খেতে দেয়। আবার মেদিনীপুরের একটি গ্রামে ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার পর রীতিমতো মাইক বাজিয়ে নাচাগানা করে পার্টিও করেছেন গ্রামবাসীরা। করোনার সময়ে এটাও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35209/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালাউন মোদি-যোগির রাজ্যে ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছে শিশুরা




      ভারতে লকডাউন চলাকালীন খিদের জ্বালায় ঘাস খাচ্ছে শিশুরা৷ শুনে অদ্ভুত মনে হলেও এই ঘটনাটি ঘটেছে বাস্তবেই৷ আর সেটা খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারানসীতে৷খবর-পুবের কলম।

      আবার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যেও বটে, যিনি দেশের এই বিপদের সময়েও রামমন্দির নিয়ে সমানে রাজনীতি করে যাচ্ছেন৷ বারানসীর বড়াগাঁও এলাকার কৈরিপুর গ্রামের ছটি শিশুর নুন দিয়ে ঘাস খাওয়ার এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ে৷ মোদির লোকসভা এলাকায় এ হেন চিত্র ধরা পড়াতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে৷ অনেকে ব্যঙ্গ করে বলছেন, এটাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’৷

      প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা করেন৷ দিন আনা দিন খাওয়া দরিদ্র মানুষরা চরম দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে এই পরিকল্পনাহীন লকডাউনের ফলে৷ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে বারনাসীর মানুষদের সঙ্গে মনের কথাও বলেছেন মোদি৷

      কিন্তু গ্রামের মানুষদের খিদের কথা তিনি বোধহয় শোনার সময় পাননি৷ ভিডিও কনফারেন্স এবং করোনার প্রকোপে লকডাউনের সময়ে এহেন চিত্র সামনে আসায় বেজায় অস্বস্তিতে মোদি সরকার৷

      বুধবার ছয় শিশুকে মাটিতে বসে ঘাস ছিঁড়ে খেতে দেখা যায়৷ স্থানীয় ভাষায় একে ‘আখড়ি’ বলে৷ মুসাহার সম্প্রদায়ের ওই শিশুগুলির বয়স পাঁচ বছর৷ কৈরিপুরের মুসাহার বস্তিতে ওরা থাকে৷

      রানি, পুজা, নেরু, বিশাল, সোনি ও গোলু নামের ওই ৬ শিশু খিদে সহ্য করতে না পেরে ঘাস খাচ্ছিল, যা সাধারণত গবাদি পশুর খাদ্য৷ আরেকটি ভিডিওতে শিশুগুলিকে একটি প্লেট থেকে ‘ফালিয়ান’ নামক মটরদানা খেতে দেখা যায়৷ এটিও গবাদি পশুর খাবার৷

      এদের মধ্যে কয়েকটি বাচ্চার বাবা দিনমজুর৷ কয়েকজনের বাবা ভিক্ষাও করে৷

      ভিডিও আর ছবির মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ফলে হয়তো ওই পরিবারগুলো কিছু খাবার পাবে৷ কিন্তু লকডাউনের এই দেশে এখন অনেক পরিবারেরই এই অবস্থা৷


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35242/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কোয়ারেন্টাইনের ধার ধারছেন না কাণ্ডজ্ঞানহীন আ.লীগ নেতা ও প্রভাবশালীরা



        খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের সদস্যরা কোয়ারেন্টাইনের ধার ধারছেন না। বিদেশ থেকে আসা এসব নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রকাশ্যে ঘুরছেন।

        যাচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে, এমনকি উপাসনালয়েও তারা যাচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে নিয়োজিত পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

        বরিশাল টাইমসের সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ ভারতের ভ্যালোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন দিঘলিয়ার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনের তোয়াক্কা না করেই ঘুরছেন প্রকাশ্যে। হাট-বাজারে ঘোরাফেরাসহ আজ শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজও আদায় করেছেন তিনি। অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না এলাকার কেউ। মো. রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ এর ভগ্নিপতি বলে জানা যায়।

        ১৯৯৭ সালে বিস্ফোরক দ্রব্য মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলামের কথা না শোনায় পুলিশ ও প্রশাসনের অনেককে বদলি ও হয়রানি হতে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যাবার কথা স্বীকার করেন তিনি।

        অপরদিকে এই উপজেলার সাবেক একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতার মেয়ে ও জামাতা ৪/৫ দিন আগে করোনা আক্রান্ত ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। তারাও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35208/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সন্ত্রাসী দল আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে স্কুলছাত্রী নিহত



          নরসিংদীর রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সোনিয়া (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাদের স্থানীয় রায়পুরা, পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (অপারেশন) দেব দুলাল এসব তথ্য জানান। খবর-বাংলা ট্রিবিউন

          নিহত সোনিয়া কালিকাপুর গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে এবং সদাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আহতরা হলেন—কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে শবুর মিয়া (৫০), সৈয়দ জামানের ছেলে জাকির মিয়া (৩৮), জিতু মোল্লার ছেলে ফরিদ মিয়া (৬০), জালাল মিয়া (৪০), মৃত তাহের মিয়ার স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৬০), ছেলে হেলাল মিয়া (৩২), অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ মুক্ত আক্তার, শান্ত মিয়ার স্ত্রী আনু (৩৩), হযরত আলীর ছেলে মগল হোসেন (৩৮), ইনু মিয়ার ছেলে মাছুম (২৫) ও বাছেদ (৩২)।

          স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া এবং যুবলীগ নেতা নাসির খানের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে হঠাৎ দু’পক্ষের লোকজন টেঁটা-বল্লমসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্রীসহ দু’পক্ষের ১১ জন আহত হন। এ সময় ৬টি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে রাতে হাসপাতালে স্কুলছাত্রী মারা যায়।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35215/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সরকারি ‘মূর্খতা’ জনগণকে আর কত দেখতে হবে



            বাংলাদেশে যে করোনা আসতে পারে তা আগেই বুঝতে পেরেছিল আমজনতা।আর সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপারে যেতেহু মনে করা হয় পরীক্ষায় অনেককে হারিয়ে ঐ চাকরি পেয়েছেন তাই আমজনতার চেয়ে তাঁরা বুদ্ধিমান, এটা ধরে নেয়া যায়। ফলে করোনার আগমনি ধ্বণি তাঁদের আরো বেশি শুনতে পাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের কিছু কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে, করোনার বার্তা পেয়েও তাঁরা কোন ধরণের প্রস্তুতি না নিয়ে বসেছিলেন। খবর-ডয়চে ভেলে

            বেশি উদাহরণে না গিয়ে কিছু বিষয়ের কথা বলা যায়।

            এক, সারাবিশ্বে যখন করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন তাঁরা কোন ধরণের প্রস্তুতি না নিয়ে মুজিববর্ষের নামে মুজিবপূজার নানা আয়োজনের শিডিউল তৈরিতে ব্যস্ত ছিল।

            দুই, ঐসময় মহামারী আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকদের কোনো প্রকার ট্রেসিং করা ছাড়াই দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার। কোনো ধরণের গাইডলাইনই দেওয়া হয়নি বিদেশফেরত এসকল প্রবাসীদের। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে দাবানলের মতো যে করোনা ছড়িয়ে পড়বে, অজস্র মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে সেসব নিয়ে কোনো চিন্তাই করেনি লুটেরা সরকার। তাগুত সরকারের এরূপ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের মূল্য দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে।

            তিন, স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার সাথে সাথে গণপরিবহন বন্ধ না করে সরকারী ছুটি ঘোষণা করায় সিদ্ধান্তটি অদূরদর্শী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে পরিণত হয়। ফলে ঢাকা থেকে করোনার ভয় নয় ঈদ উৎসবের ন্যায় জনগণ বাদুড়ঝোলা হয়ে গণপরিবহন চেপে বাড়ি গিয়েছে। এতে গত কয়েকদিন যাবত বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিশ্বের দেশে দেশে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ দেখা মাত্রই সারাদেশ বা প্রদেশ লকডাউন করে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার শংকায় প্রতিরোধ করেছে, তখন আমাদের দেশের জনগণ ঢাকা থেকে ঈদ উৎসবের ন্যায় লাখো লাখো ঘরমুখো যাত্রীর দেশব্যাপী যাতায়াতের কারণে এই ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়।

            চার, কোনো হাসপাতালেই করোনা প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত অনেক হাসপাতালেরই একেবারে বেহাল দশা। বেড, লাইট, ফ্যান কিছুই ঠিকঠাক নেই, জানালার কাঁচ ভাঙ্গা। ১৭ কোটি মানুষের জন্য কেবল ২৯টা আইসিইউ। ঢাকা ছাড়া বাকি ৬৩ জেলার কোথাও নেই কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্র! ভাবা যায়!
            ডাক্তারদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা উপকরণও সরবরাহ করছেনা সরকার, নিজের টাকায় কিনে নিতে বলছে। অল্পকিছু সুরক্ষা উপকরণ যা দিচ্ছে তা আবার ছাত্রলীগ বা আমলারা কেড়ে নিচ্ছে। চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে ডাক্তারদের। নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ সরকার ডাক্তারদের কড়াভাবে শাসিয়ে বলছে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এমর্মে, স্থানীয় মন্ত্রণালয় সকালে একটি আদেশ জারির পর ঐ দিনই তা বাতিল করে। এছাড়া স্থানীয় অধিদপ্তরও একটি আদেশ স্থগিতের কথা জানায়।

            আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে কোনো নাগরিক চিকিৎসাসেবা না পেলে তাঁদের সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকি বা থানার ওসিকে জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।

            এ কেমন কথা! এই মহামারির সময়ে যে চিকিৎসকরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁদেরকে সম্মান জানানোর পরিবর্তে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিচ্ছে সরকারি কর্তৃপক্ষ, ভাবা যায়!

            আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তো আরেক কাঠি সরেস! তাদের চিঠিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ছাড়াই করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

            চার, বৃহস্পতিবার তথ্য় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁদের সহকর্মীদের অনুসরণ করেন। তাঁরাও সকালে একটি পরিপত্র জারি করে সমালোচনার মুখে ঐ দিনই তা বাতিল করেন। ঐ পরিপত্রে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংবাদ নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে কোনো গুজব ছড়ানো হচ্ছে কিনা জানতে ১৫ সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল৷

            স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে সই করেছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব রোকেয়া খাতুন। এমন আদেশকে ‘মূর্খতা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন তাঁর বিভাগেরই সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, “যা হয়েছে সেটা মূর্খতা। আদেশটি আমাকে না জানিয়ে করা হয়েছে। কীভাবে এই আদেশ এলো সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আমি জানার পরই আদেশটি বাতিল করে দিতে বলেছি।”

            সচিব মহোদয়ের কাছে আমাদের প্রশ্ন, আপনাকে না জানিয়ে কীভাবে আপনার বিভাগ থেকে এ ধরনের একটি আদেশ জারি হলো? আমরা কি ধরে নিতে পারি যে, চিকিৎসকরা সমালোচনা করায় হয়ত আদেশটি আপনার চোখে পড়েছে এবং সমালোচনার কারণেই হয়ত আপনি তা বাতিল করতে তৎপর হয়েছেন? নাকি আপনাকে জানিয়েই আসলে আদেশটি জারি হয়েছিল, কিন্তু সমালোচনা হওয়ায় এখন অনেক বসদের মতোই তা অধঃস্তনদের ওপর চাপিয়ে দিলেন?

            যা-ই হোক, আপনি আপনার মন্ত্রণালয়ের আদেশকে ‘মূর্খতা’ বলেছেন। আমরা আমজনতা আর ভবিষ্যতে এমন ‘মূর্খতা’ দেখতে চাই না। বিশেষ করে এমন মহাসংকটের সময় তো নয়ই।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35214/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কারখানা বন্ধ ও বেতনের দাবি, আশুলিয়ায় বিক্ষোভ



              কারখানা বন্ধ ও বেতনের দাবিতে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ চলছে ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের।

              আজ রবিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে এ বিক্ষোভ করছে আশুলিয়ার গৌরিপুরে অবস্থিত মোরাদ অ্যাপারেলসের ৬০০ শ্রমিক ও খেঁজুরবাগান এলাকার লন্ড্রি ওয়াশিং লিমিটেডের প্রায় ৯০০ শ্রমিক। খবরঃ কালের কন্ঠের

              শ্রমিকরা জানায়, কারখানায় আসা-যাওয়ার পথে তাদেরকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। কারখানায় যাওয়ার সময় পরিবহন পাওয়া যায় না। প্রশাসন সব শ্রমিকদের একত্রিত হতে দেয় না। এরইমধ্যে করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় আশেপাশের প্রায় সব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তারা ৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ছুটির দাবিতে ফ্যাক্টরিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।

              গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা খাইরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে কারখানার তৈরি পণ্য রপ্তানি বন্ধ। এ অবস্থায় শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানা খোলা রাখার কোনো যুক্তি নেই। সুতরাং তাদের জীবনের কথা চিন্তা করে এখনই সব কারখানা বন্ধ করা উচিত।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35250/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সরকারি মহলের সহযোগিতায় করতোয়ার বালু চুরি



                রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদীঘেঁষা টুকুরিয়া, বড়আলমপুর, চতরা ও কাবিলপুর ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের অর্ধশতাধিক স্থানে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব।

                গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাস আতঙ্কে লোকজন বাড়িতে অবস্থান করছে। এই সুযোগে সংঘবদ্ধ চক্রটি বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাওয়া ছাড়াও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। রিপোর্টঃ কালের কন্ঠ

                সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক মহল জরুরি ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেবেন-এমনটিই আশা করছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

                এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিদিন করতোয়া নদী থেকে সংঘবদ্ধ একটি চক্র অবাধে বালু উত্তোলন করছে। নদীপারেই উত্তোলিত বালু শত শত ট্রলি ও ভারি যানবাহনে বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিরতিহীনভাবে ওই বালু পরিবহন করায় ভাঙছে জমি, পুকুরপাড়, রাস্তা-ঘাট। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে অর্ধশতাধিক গ্রামের হাজারো মানুষ।

                অপরদিকে, ধুলোবালিতে একাকার হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে মাইকিং করেছে। তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কে লোকজন বাড়িতে থাকার সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চক্রটি।

                সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর-রংপুর জেলাকে বিভক্ত করে পীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলার ধার ঘেঁষে প্রবাহিত করতোয়া নদী। এক সময়ের খরস্রোতা করতোয়া বর্তমানে শুকিয়ে গেছে। চতরা, বড়আলমপুর কাবিলপুর ও টুকুরিয়া ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের অর্ধশতাধিক স্থান এবং নদীর ওপারে দিনাজপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে জোটবদ্ধ হয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

                নিজেদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, চতরা ইউনিয়নের কুয়েতপুর হামিদপুরের নেংড়ার ঘাটে পাঁচটি স্থানে শামিম, সুজন, আবু তাহের, বাবু, মজিদ, নজরুল, ছকমল, আব্দুল মজিদসহ ১৬ জন বালু সন্ত্রাসী জোটবদ্ধ হয়ে একাধিক বোমা মেশিন দিয়ে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। ওই স্থানে শামীমের নেতৃত্বে বালু সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। বদনাপাড়ার টোংরারদহ এলাকায় সাবু মেম্বারের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

                এছাড়া চক ভেকা, নুনদহ ঘাট, কুমারপুরে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত তারা। টুকুরিয়া ইউনিয়নে জয়ন্তীপুর ঘাট, সুজারকুটি, মোনাইল, কাঁচদহঘাটে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে সুলতান মাহামুদ, মাহমুদ, আব্দুস সবুর, গোলাম রব্বানী, সোহরাব ও রবিউল।

                বড়আলমপুরের বাঁশপুকুরিয়ায় পৃথক ১০ স্থানে মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে এবং কাবিলপুর ইউনিয়নের নিজ কাবিলপুর গ্রামের তিনটি স্থানে জুয়েল, হাসান আলী, আদিল ও বিপুর নেতৃত্বে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব।

                অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় তহশিলদারদের সঙ্গে বালু উত্তোলনকারীদের বিশেষ চুক্তি রয়েছে। প্রতিমাসে কর্মকর্তারা বালু উত্তোলনকারীদের কাছে চুক্তির টাকা নেন। এজন্য বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35249/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সরকারী অব্যবস্থাপনার কারণে সেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসক



                  মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই গত ২৬ মার্চ থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে (বাড়িতে পৃথক কক্ষে) অবস্থান করছেন। আজ রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ রিয়াজুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

                  ডা: সামসুল আরেফিন কর্মস্থলে না আসার সংবাদ গনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর , তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন । সেখানে লিখেন,
                  “বাবামায়ের কাছ থেকে দুআ নিয়ে অনেক আশা নিয়ে এবার গিয়েছিলাম কর্মস্থলে। ভেবেছিলাম সর্দিকাশির রুগী কেউ না দেখলেও আমি দেখব। বলব একটা কর্ণার করতে, সেখানে করোনা সিম্পটমের রুগীদের পাঠাতে। পিপিই পরে আমি দেখব তাদেরকে, আর কেউ না দেখুক। আমার ধারণা ছিল না পরিস্থিতি এতটা খারাপ।
                  ১. গত ২৪ তারিখ দুইজন রোগী, যাদের আগের কোনো শ্বাসকষ্টের হিস্ট্রি নাই। এসে মারা গেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সির ভিতর। যে রুমে আমাদের ডিউটি করতে হয় পিপিই ছাড়া। তাদের শেষ নিঃশ্বাসগুলো মিশে রইল ঘরের বাতাসে। কলিগরা উপরে জানানোর আগেই রুগীর স্বজন নিয়ে গেল লাশ, স্বাভাবিক দাফন হল, যেন কিছুই হয়নি। সেই দুজন রুগীকে যারা ধরেছে, তাদের সাথেই সবাই ডিউটি করছি, যেন কিছুই হয়নি।
                  ২. উপরের নির্দেশ, করোনা রুগী সাসপেক্টকে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে। সব ডাক্তারকে রোস্টার-ওয়াইজ সেখানে ডিউটি করতে হবে। সুরক্ষা? ৫টা পিপিই। সেগুলো যে দায়িত্বে থাকবে, সে পরবে। একজনেরটা আরেকজন। হোয়াট?
                  ৩. উপর থেকে নির্দেশ, ডাক্তারদের কোনো ছুটি দেয়া যাবে না। মানে ছুটি সম্ভব না।
                  ৪. ৩ বছর বয়স থেকে আমি এজমা রুগী। এখনও পকেটে রিলিভার নিয়ে ঘুরি। প্রতি শীতে খাই স্টেরয়েড।
                  ৫. কীসের আশায় মরব আমি? আমি মরলে আমার ৩ বছরের মেয়েকে কী দিচ্ছে সরকার? কোনো ইনসওরেন্স? কোনো প্রণোদনা? কোনো ঝুঁকি ভাতা। আমি একটা বেতনের বিনিময়ে চাকরি করতে এসেছি। জান সওদা করতে না। কমপক্ষে আমার পরিবারের জান সওদা করতে তো নয়-ই।

                  তাহলে দেশসেবা, জনসেবা, এগুলোর কোনো দাম নেই?
                  কেন থাকবে না। আলবাত আছে।
                  ১. একটা উপজেলা হাসপাতালে করোনা রুগীকে কতটুকু সেবা দেয়া যায়? ভেন্টিলেটর? কোনো ওষুধ আছে করোনার? কিচ্ছু নেই। সেই শেষমেশ খারাপ রুগী রেফারই করব। মাঝখান থেকে এঁটো পিপিই পরে রুগীকে ছেনে ভাইরাসটা নিয়ে নিলাম। ঘরে গিয়ে বউবাচ্চাকে বৃদ্ধ মা-বাবাকে উপহার দিলাম। এই সামান্য সেবাটুকু দেয়ার জন্য ভর্তি? কেন?
                  ২. কারো অব্যবস্থাপনার দায় নেয়ার নাম জনসেবা না। কোনো বিশেষ দলের ভাবমূর্তি টিকিয়ে রাখার জন্য আমি জীবন দিতে পারবো না। আমার পরিবারকে জীবন দেয়াতে পারব না। হাজার হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। তিনমাসে সামান্যতম ব্যবস্থাটুকু নেয়া গেলনা? এখন পলিসি করে নার্স-ডাক্তারদের খালিহাতে অবস্থায় যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে? রুগী মরা শুরু হয়েছে, মানে ডাক্তার-নার্স এখন আক্রান্ত হবে। ২-১৪ দিন পর দেখেন স্বাস্থ্যসৈনিকদের কী অবস্থা দাঁড়ায়। দেশের জন্য জীবন দেব, ধর্মের জন্য দেব। কোনো গোষ্ঠীর জন্য দিতে রাজি নই।
                  ৩. একের পর এক প্রস্তুতি নিয়ে, পরিসংখ্যান নিয়ে যে মিথ্যা তথ্য দেয়া হচ্ছে, এটা সবাই বুঝছে। কিন্তু কেউ কিছু বলবে না। এর চেয়ে ভালো একা সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকা। মনের উপর চাপ কম পড়ে।

                  গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন,
                  ১. বৃহঃবার আমার কোনো ইমার্জেন্সি ডিউটি ছিল না। ইমার্জেন্সি ডিউটি ফেলে আসার মত অত দায়িত্বজ্ঞানহীন হইনি এখনও। আমার ইমার্জেন্সি শুধু মঙ্গল আর বুধ। আমার বস কেন এমন কথা বললেন, বুঝলাম না।
                  ২. যে দুটা রুগী মরেছে, তাদের একটা রেজা ভাই দেখেছিলেন তিনদিন আগে জ্বর কাশি নিয়ে। তিনি কাউকে জানান নাই। কেন এটা করলেন, তিনিই জানেন।
                  ৩. আর আমি পূর্বে দায়িত্বে অবহেলা করেছি এমন কোনো রেকর্ড নাই। হাসপাতাল এলাকার যেকোনো মানুষ, ভ্যানওয়ালা, দোকানদার, আমার কলিগ নার্স-স্যাকমো-ডাক্তার সবাই জানে। কাকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় না সেটা সবাই জানে।

                  চুপচাপ চলে এসেছিলাম। যাতে অন্য ডাক্তাররা কম জানে। জানলে প্যানিকড হবে। ভেবেছিলাম চুপচাপই থাকবো। কিন্তু জানিনা কার ইন্ধনে খবর চাউর হল। তাই আমিও আত্মপক্ষ সমর্থন করলাম।

                  গ্রামের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছি। সবার থেকে দূরে, একা। থানা থেকে একজন এসআই এসে দেখে গেছেন। এখন পর্যন্ত ভালোই আছি। রিজিক নিয়ে পেরেশান নই। আল্লাহ উত্তম কোনো ব্যবস্থা করবেন।

                  ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশ্যে:
                  আপনারা সেবা দেন। জাতির এখন আপনাদের দরকার। আমার অত সাহস নেই। আপনারা আসলেই মহামানব। যে দেশে দুধ আর পানির দাম সমান, সে দেশের মানুষ আপনাদের দাম দেবে সে আশায় থাকবেন না। আপনাদের প্রতি আমার স্যালুট। নিজের প্রতি ধিক্কার।

                  সবার উদ্দেশ্যে:
                  ঘরে থাকেন। এই অসময়ে অজায়গায় আর কিছু করার নাই। দান চালা হয়ে গেছে।”

                  এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক আজ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে পরিচয় গোপন করে অনেক প্রবাসী রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। তাঁদের চেনাও যায় না। আরেফিন ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছিলেন। তিনি যখন জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পিপিই পোশাক সরবরাহ করেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন সব চিকিৎসককে চাপ প্রয়োগ করছে জরুরি বিভাগে রোগী দেখার জন্য।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/29/35262/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    আমাদের চোখের সামনে ভেঙে পড়লো বিশ্ব পরিস্থিতি!!!!! জালিম এখন দৌড়ের উপর। এখন বুঝ মানুষকে কষ্ট দিলে কেমন লাগে।
                    ان المتقین فی جنت ونعیم
                    سورة الطور

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের হেফাজত করুন,আমিন।
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment

                      Working...
                      X