Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভাইজান!!!দুইটা বিষয় নিয়ে টেনশনে আছি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভাইজান!!!দুইটা বিষয় নিয়ে টেনশনে আছি

    ১/জামাতে ইসলামের আকীদা কেমন???যদি ভাল না হয় তাহলে এখানের বড় বড় আলেমদের সম্পর্কে আপনি কী বলেন?
    ২/ইরাকের প্রধানমন্ত্রী সাদ্দাম সম্পর্কে জানাটা খুবি দরকার ভাই!!!!!!
    অবিচার ও কুশাসনের মধ্যে শাসকগণের পক্ষাবলম্বন করা সর্বাপেক্ষা বড় প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু নয়,আলী রাঃ

  • #2
    Originally posted by jubayer husain View Post
    ১/জামাতে ইসলামের আকীদা কেমন???যদি ভাল না হয় তাহলে এখানের বড় বড় আলেমদের সম্পর্কে আপনি কী বলেন?
    ভাল মন্দ কোন আলেম দিয়ে নির্নয় হবে না নির্নয় হবে আল্লাহর দেয়া হেদায়েত দিয়ে

    Comment


    • #3
      ১/জামাতে ইসলামের আকীদা কেমন???যদি ভাল না হয় তাহলে এখানের বড় বড় আলেমদের সম্পর্কে আপনি কী বলেন?
      নিচের প্রশ্নোত্তরটি পড়তে পারেন, ইনশা আল্লাহ
      -------------------------------
      প্রশ্ন-১: আমাদের এলাকায় জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের কিছু ভাই আছেন। তারা মনে করেন তারাও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যতদূর আমি জানি তারা সঠিকপথে কাজ করছেন না। তাদেরকে আমি কি বলে দাওয়াহ দিবো?

      উত্তরঃ


      ওয়ালাইকুম আস্*সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।

      ইন্নাল হামদা লিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ।

      এই সাইটের ব্যাপারে ভালো মন্তব্য করার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যার নিয়ামতে সমস্ত ভাল কাজ সংঘটিত হয়ে থাকে। দোয়া করবেন যেন আল্লাহর দিকে আহবানের ক্ষেত্রে এই সাইট যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।

      জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ব্যাপারে কিছু বলার আগে আমরা একটি কথা পরিষ্কার করে নিতে চাই। তা হলোঃ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভংগী।

      প্রথমতঃ মানবরচিত বিভিন্ন মতবাদের ধ্বজাধারী দলসমূহ যেমনঃ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি ইত্যাদি যারা আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করছে এবং এটাই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এরা নিকৃষ্ট শিরক ও কুফরে লিপ্ত। এরা কুফরের দল। এদের নেতৃবৃন্দ হচ্ছে তাগুত।

      দ্বিতীয়তঃ ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহ যারা ইসলামী রাস্ট্র / খিলাফত প্রতিষ্টা করতে চায়। এইসব দলসমূহের মূল লক্ষ্য হলোঃ দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করা কিন্তু তারা কিছু কিছু ভুল-ভ্রান্তিতে লিপ্ত। এমনকি তাদের কোন কোন ভুল শিরক-কুফর পর্যন্ত পৌঁছেছে। আল্লাহ যেন তাদেরকে সঠিক পথের দিশা দেন।

      জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আমাদের কথা হলোঃ আমরা তাদের সম্বন্ধে এটা বলি না যে, তারা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করছেন কিংবা তারা দ্বীনকে শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার একটা উসিলা হিসেবে ব্যবহার করছেন। বরং আমরা মনে করি, তারা আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য, বাংলাদেশকে ইসলামী রাস্ট্রে পরিবর্তন করার নিয়্যতে কাজ করছেন। পাশাপাশি আমরা তাদের যেসব ভালো কাজ আছে সেগুলিও স্বীকার করি। যেমনঃ তাদের সহচর্যে থেকে অনেকে আল-কোরআন ও হাদিসের বাংলা অনুবাদ পড়ছেন। অনেকে নামাজ, রোযা করছেন ইত্যাদি।

      কিন্তু সত্যকে সত্য হিসেবে আর মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে তুলে ধরতে আমরা বাধ্য, তা না হলে ইলম গোপন করার অপরাধে আমরা কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে অপরাধী হয়ে যাবো। এছাড়াও তাদের প্রতি সত্যিকার কল্যাণকামিতা হলো তারা যেসব ক্ষেত্রে আল-কোরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী আচরণ করছেন, সেসব ক্ষেত্রে তাদের ভুলগুলি ধরিয়ে দেয়া। আর এটাই আয়না হিসেবে এক মুসলমান আরেক মুসলমানের জন্য করার কথা। তাছাড়া যেসব কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী আচরণ তারা প্রকাশ্যে করছেন, সেসব আচরণ প্রকাশ্যে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়াই ইসলামের দাবী। যেভাবে ভুল নামাজ আদায়কারীকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেনঃ

      ارجع فصل فإنك لم تصل

      “ফিরে যাও, তারপর (আবার) নামাজ পড়ো, কারণ তুমি নামাজ পড়ো নি”। (সুনান আবু দাউদ, শুয়াবুল ঈমান, মুসনাদে আহমাদ)

      এখানে নামাজের বিরোধিতা উদ্দেশ্য নয় বরং নামাজকে যাতে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেটাই ছিলো উদ্দেশ্য। অনুরুপভাবে, আমাদের উদ্দেশ্য দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা নয়, বরং যাতে সঠিক পথে দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টা করা হয়, সেই দিকে মনযোগ আকর্ষণ করা।

      আমরা আল্লাহকে এই ব্যাপারে সাক্ষী রেখে বলছি যে, তাদের ইসলাহ ও কল্যাণ ছাড়া আমরা আর কিছু চাই না, আমরা চাই তারা যেন পরিপূর্ণ কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে দ্বীনকে বিজয়ী করার কাজ করেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর পছন্দনীয় পথে এবং ইসলামী শারীয়াতের গন্ডির ভিতরে থেকে দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করার কাজ করার তৌফিক দান করুন।

      তাদের যে সব কাজ আমাদের কাছে আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী মনে হয়েছে, তার মাত্র তিনটি আমরা নীচে তুলে ধরছিঃ

      ক) প্রথমত: জামায়াত ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পশ্চিমাদের থেকে ধার করা কুফরী গণতন্ত্রকে দ্বীন ক্বায়েমের পদ্ধতি হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যে গনতন্ত্রের মাধ্যমে এম.পি বা সংসদ সদস্যদের আল-কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়নের অধিকার দেয়া হয় যা সুষ্পষ্ট শিরক এবং কুফর। কারণ আল্লাহতায়ালাই একমাত্র আইন-বিধানদাতা। ভাল নিয়্যতে কোন কুফরী পথ অবলম্বন করলে তা জায়েয হয়ে যায় না বা এর গুনাহ থেকেও অব্যাহতি পাওয়া যায় না।

      তারা এদেশের কুফর-শিরকের মিলনস্থান জাতীয় সংসদের সদস্যপদ গ্রহণ করে আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়নে শরীক থেকেছেন যা একটি বড় কুফরী যা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এই ‘শিরকের আখড়া’ – সংসদ ভবনে সদস্যপদ নেয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক কাজে বড় শিরক ও বড় কুফর রয়েছেঃ

      যেমনঃ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবার সময় এই দেশের কুফরী সংবিধানকে সম্মান ও মান্য করার শপথ নিতে হয়।

      THIRD SCHEDULE; [Article 148]; OATHS AND AFFIRMATIONS

      “I, ……………………….., having been elected a member of Parliament do solemnly swear (or affirm) that I will faithfully discharge the duties upon which I am about to enter according to law: That I will bear true faith and allegiance to Bangladesh: And that I will not allow my personal interest to influence the discharge of my duties as a member of Parliament.

      http://www.pmo.gov.bd/pmolib/constitution/schedule3.htm

      অর্থঃ “আমি, ………, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শপথ করছি যে, আমার উপর আইনের মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্বসমূহ বিশ্বস্থতার সাথে পালন করিবো, আমি বাংলাদেশের প্রতি সত্যিকার বিশ্বাস ও অনুগত্য পোষণ করিবো, আমি আমার ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সংসদ সদস্য হিসেবে আমার উপর অর্পিত কর্তব্যকে প্রভাবিত করবো না”।

      এই শপথে দেখা যাচ্ছে যে, এদেশে প্রচলিত ব্রিটিশ-কুফরী আইন অনুযায়ী সকল দায়িত্ব পালন করার শপথ নেয়া হচ্ছে। আর সেই দায়িত্বের মধ্যে আছেঃ সংসদে বসে সবাই মিলে আইন রচনা করা। আর এই কুফরী সংবিধান অনুযায়ী সেটা যে কোন আইন হতে পারে, আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধীও হতে পারে। বরং এই কুফরী সংবিধানের ৭(২) ধারায় বলা আছেঃ

      “জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।”

      অর্থাৎ এই সংবিধান অনুযায়ী আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেয়া আইনও বাতিল হয়ে যাবে, যদি তা এই সংবিধান বিরোধী হয়। এর চেয়ে বড় কুফরী-শিরকী কথা আর কি হতে পারে!!! আর এটা সুস্পষ্ট যে, কেউ যদি কোন কুফরী আইনকে সম্মান করার ও মান্য করার শপথ নেয়, সেটাও একটা কুফরী কাজ।

      এছাড়াও এই কুফরী সংসদে যে সব আইন প্রণয়ণ হয়, সে সবে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের এমপিরা শরীক থাকেন না বরং বিরোধিতা করেন বলে দাবী করলেও বাস্তবে তারা একটি কুফর সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ “সংসদ” এর অংশ হয়ে পুরো সিস্টেমকে সমর্থন করছেন। কারণ একটি দেশের সরকারের মূলত তিনটি অংশঃ সংসদ (Legislative) , প্রশাসন (Executive) ও বিচার বিভাগ (Judiciary)। তারা এই সংসদের সদস্য হয়ে পূর্ব থেকে চলে আসা কুফরী-শিরকী আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সাহায্য করছেন। এই সেই সংসদ যারা আগের সংসদ সমূহের মাধ্যমে চলে আসা শিরক ও কুফরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। আর এই সংসদের সদস্য হওয়া মানে আগের রচিত সমস্ত শিরক-কুফরী আইনের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়া। কারণ যদি এই সংসদ না থাকে, তাহলে দেশে তাদের কথা অনুযায়ী ‘সাংবিধানিক শূন্যতা’ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ তাদের এই শিরক-কুফরী আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষার করার জন্য এই সংসদও জরুরী। আর অন্যান্য কুফরী দলের সাথে যোগ দিয়ে সেই জরুরী কাজটাই আঞ্জাম দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী দলের এমপিবৃন্দ। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াত দান করুন।

      এছাড়াও তারা বিভিন্ন পার্লামেন্টারী কমিটির সদস্য হয়েছেন, যেগুলো পরিচালিত হয় সেই কুফরী ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী। একজন ঈমানদার, আখিরাতে বিশ্বাসী মুসলমান যা কখনো মেনে নিতে পারে না।

      খ) জামায়াত ইসলামী এর নেতৃবৃন্দ মুরতাদ সরকারের দুইটি মন্ত্রণালয় মানব-রচিত কুফরী আইন অনুযায়ী পরিচালনা করেছেন, যা একটি বড় কুফর – যা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আর এই ব্যাপারে আয়াত তারা নিজেরা তাদের কর্মী, সাথী, রোকনদেরকে মুখস্থ করিয়ে থাকেন। আল্লাহ বলেছেনঃ

      إِنَّا أَنزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُواْ لِلَّذِينَ هَادُواْ وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالأَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُواْ مِن كِتَابِ اللّهِ وَكَانُواْ عَلَيْهِ شُهَدَاء فَلاَ تَخْشَوُاْ النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلاَ تَشْتَرُواْ بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلاً وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ

      আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের। (সূরা আল মায়েদা, আয়াতঃ ৪৪)

      আর জামায়াতে ইসলামীর এই নেতৃবৃন্দ সমাজ-কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় কিংবা কৃষি মন্ত্রণালয় তো ইসলামী শরীয়াহ আইন অনুযায়ী পরিচালনা করেন নি। বরং তারা তা পরিচালনা করেছেন মানব-রচিত কুফরী-ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী।

      শিল্প মন্ত্রনণালয়ের অধীন শিল্প ব্যাংক তখনো সুদের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে, অর্থাৎ এই মন্ত্রী আল্লাহর সাথে যুদ্ধে এই মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

      সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত হয়েছে কুফরী আইনে, সেখানে বিভিন্ন এনজিওকে শিরক-কুফর-ফাহেশা ছড়িয়ে দেয়ার অবকাশ দেয়া হয়েছে, লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সেখানে শত শত এনজিওকে সুদ ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি সহ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। আর এসব হয়েছে সমাজ-কল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্বে, তার নিয়ন্ত্রণে।

      এসবই পরিস্কার কুফর। কারণ এটাই হচ্ছে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তা ছাড়া অন্য কোন বিরোধী আইনে বিচার-ফায়সালার বাস্তব দৃষ্টান্ত। হাফিজ ইবনে কাসীর (রঃ) তাঁর তাফসীরে সূরা আল মায়িদাহ এর ৫০ নম্বর আয়াতের তাফসীতে বলেছেনঃ

      “আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সেই সব লোকদের ইনকার করেছেন যারা সেই শরীআহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়; যা মানুষের জন্য উপকারী; যা মন্দকে নিষেধ করে। আল্লাহ সেই সব লোকদের প্রত্যাখ্যান করেছেন যারা নিজের প্রবৃত্তির অনুসরন করে যারা কুফরের আইনকে গ্রহণ করে যেমন তাতারদের আইন যা তাদের রাজা চেংগিস খানের অধীনে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ঐসব আইনগুলো ছিল ইহুদী, খ্রীষ্টান এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুযায়ী রাজাদের তৈরি করা আইনের মিশ্রন। আমরা কি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আইনের পরিবর্তে ঐসব আইনগুলোকে প্রাধান্য দিব? যে এই কাজটি করে সে কাফের এবং তাকে হত্যা করা ওয়াজিব!” – তাফসীর ইবনে কাসীর।

      আল্লাহ জামায়তে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দল যারা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তাদেরকে যেন হেদায়েত দান করেন।

      গ) জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের অগণিত কর্মী বিগত নির্বাচনসমূহে জোটবদ্ধ নির্বাচনের দোহাই দিয়ে অধিকাংশ আসনে বিএনপির জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট প্রার্থনা করেছেন, যা একটি বড় কুফরী যা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

      এটা জানা কথা যে বিএনপি / আওয়ামীলীগের আদর্শ হচ্ছে কুফরী আদর্শ – যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এর বিরোধিতার উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেমনঃ বিএনপি এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে তাদের দলীয় সংবিধানে বলা আছেঃ

      “(c) To acquire pro-people economic development and national progress based on social justice through politics of production, free market economy and people’s democracy.”

      অর্থঃ “সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও জন-গণতন্ত্রের মাধ্যমে জন সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক উন্নতি ও জাতীয় অগ্রগতি অর্জন”।

      সুত্রঃ bangladeshnationalistparty-bnp.org

      অর্থাৎ, তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও জাতীয় উন্নতি সাধন করতে চায় “মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও জন-গণতন্ত্রের”মাধ্যমে, ইসলামী অর্থনীতি কিংবা ইসলামী শরীয়াহ এর প্রয়োগের মাধ্যমে নয়। আর এটা হচ্ছে সুষ্পষ্ট কুফরী একটি আদর্শ। এখন কেউ যদি সেই বিএনপিকে ভোট প্রদান করার জন্য আহবান করে, সে পরিণামে কুফরের দিকে আহবান করে।

      যদিও জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা মুখে মুখে ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ নামক এক আজব বস্তুর কথা বলেন কিন্তু বাস্তবে পশ্চিমা আবিষ্কৃত কুফর-শিরক মিশ্রিত গণতন্ত্রের মাধ্যমে দ্বীনকে বিজয়ী করার দিবা-স্বপ্ন দেখছেন এবং বিএনপি এর জন্য বাংলাদেশের অধিকাংশ আসনে ভোট চেয়েছেন। এটাই কি তাদের তথাকথিত ‘ইসলামী গণতন্ত্র’? এটাই কি তাদের তথাকথিত ‘হালাল গণতন্ত্র’? এসবের পরও কিভাবে বিবেক সম্পন্ন একজন মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে সাফাই গাইতে পারেন?

      আর এটা জানা কথা যে, নিয়্যত ভালো থাকলেও ইসলামে কোন হারাম কাজ করার অনুমতি নাই। যেমনঃ কেউ চুরি করে সেই টাকা গরীব ও অভাবীদেরকে দান করতে চাইলে সে গুনাহগার হবে। আর কুফরী আইন অনুযায়ী মন্ত্রনালয় পরিচালনা কিংবা কুফরী কোন দলের জন্য মানুষের কাছে ভোট চাওয়াতো বলাই বাহুল্য। এসব কাজ কখনো অযুহাত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।

      আবার এসব কাজকে ‘হিকমাহ’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা আরো জঘন্য। কারণ সকল নবী-রাসুল (আঃ) হিকমাহ অবলম্বন করেছেন। আর তাফসীর গ্রথসমূহে ‘হিকমাহ’ শব্দের অর্থ করা হয়েছে ‘সুন্নাহ’। জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের এসব আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কাজ তথা শিরক-কুফরকে ‘হিকমাহ’ বলার অর্থ হচ্ছে সকল নবী-রাসুল (আঃ) বিভিন্ন সময় শিরক-কুফরীতে লিপ্ত হয়েছেন। নাউজুবিল্লাহ।

      তবে একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি। তাদের মাঝে এসব শিরক-কুফর থাকলেও আমরা তাদের অজ্ঞতা ও তাওয়ীলের (ভুল ব্যাখ্যা) কারণে তাদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে কাফির মনে করিনা। আমাদের উপরুক্ত আলোচনার মানে এটা নয় যে, পুরো জামায়াতে ইসলামীকে আমরা তাকফির করছি।

      আপাতত জামায়াতে ইসলামীর এই ভুলগুলি তুলে ধরলে আশা করি আপনার এলাকায় উল্লেখিত ভাইরা সত্য বুঝতে পারবেন। এই ভাইদেরকে এটা বুঝানো দরকার যে, আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ব্যতীত কোন কিছু কবুল করেন না। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা একটা ভালো কাজ, বরং তা ফরজ। যেহেতু এটা একটা ইবাদত, তাই সেই ইবাদাতের পদ্ধতি স্বয়ং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। এই দ্বীন প্রতিষ্টার নির্দেশ দানকারী এর পদ্ধতির ভিখারী নন, যে তিনি আব্রাহাম লিংকন কিংবা কোন কাফিরের কাছে এর পদ্ধতি ভিক্ষা চাইবেন।

      কিন্তু এই দ্বীনকে বিজয়ী করতে গিয়ে কোন হারাম কিংবা শিরক-কুফরে জড়িত হবার কোন অবকাশ নেই। যে এরকম করবে সে শুধু পরিণামে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর আল্লাহ শুধু ঈমানদারদের জন্য বিজয়ের ওয়াদা করেছেন যারা আমলে সালেহ করবে।

      وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُم فِي الْأَرْضِ

      তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। (সূরা নূর, আয়াতঃ ৫৫)

      কিন্তু যারা শিরক-কুফরীতে লিপ্ত হবে, তারা তো আমলে সালেহ করছে না বরং তারা আজাবের সম্মুখীন হবে। তাই আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টা করতে হবে জিহাদ ও ক্বিতালের মাধ্যমে যা আমরা সংক্ষেপে ‘আমাদের দাওয়াহ’ পাতায় উল্লেখ করেছি। সেখানে আমরা দেখিয়েছি যে, এ ব্যাপারে আলেমদের ইজমা আছে যে, কোন এলাকার শাসকের মাঝে প্রকাশ্য কুফরী দেখা দিলে তাকে অপসারণ করা ফরজ। আর যদি অপসারণ করার সামর্থ না থাকে, তবে সেই সামর্থ অর্জন করা ফরজ। আর সেটা সম্ভব না হলে হিজরত করে সেই এলাকা ত্যাগ করা ফরজ।

      আল্লাহ আমাদেরকে সবাইকে সত্য উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন। ওমা আলাইনা ইল্লাল বালাগ। সত্য পৌঁছে দেয়া ছাড়া আমাদের কোন দায়িত্ব নেই।

      ————————–

      উত্তর প্রদানেঃ

      – শাইখুল হাদিস আবু ইমরান।

      – মুফতী আইনান।

      – মাওলানা আবু আনিকা।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment

      Working...
      X