Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৬ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ৩১শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৬ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ৩১শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    ইনফোগ্রাফি | ফিলিস্তিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ১১৭ জন!

    চীন থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। এরি ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনেও ভাইরাসটি প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

    ফিলিস্তিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত লোকদের একটি পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ইনফোগ্রাফিটি দেখুন।




    ডাউনলোড করুন:

    image

    https://mega.nz/#!8jgCVaJR!IeeIK5qfb...j3-3CWJeS7dTZo

    https://www.mediafire.com/view/a5l1h...istin.jpg/file

    https://k.top4top.io/p_1551p754n1.jpg

    https://ibb.co/HnRrKHy

    https://ufile.io/3do098i6

    PDF

    https://mega.nz/#!Jnx2VSYC!vRDWDbftL...LH4OrWO1EUabVg

    https://www.mediafire.com/file/gxku5...istin.pdf/file

    https://top4top.io/downloadf-1551uv2bp2-pdf.html

    https://ufile.io/bi2cqk8x

    https://www.sendspace.com/file/543e51

    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35370/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    করোনায় এবার আইসোলেশনে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী



    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় আইসোলেশনে আছে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নিজের উপদেষ্টা রিভকা পালুচ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি স্টাফদের নিয়ে সাময়িক আইসোলেশনে গেছেন।

    সোমবার জেরুজালেমভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

    নেতানিয়াহু ও তাঁর স্টাফদের আইসোলেশনের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রিভকা পালুচ গত কয়েক দিন নেতানিয়াহু, নেসেট সদস্য ও অন্যান্যদের সংস্পর্শেই ছিলেন। ফলে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নেতানিয়াহু ও তাঁর স্টাফরা পৃথক থাকবেন। পালুচের আগে তাঁর স্বামীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    এদিকে ইসরায়েলি চ্যানেল টুয়েলভ সোমবার সকালে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, রিভকা পালুচের করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে এক সপ্তাহের জন্য আইসোলেশনে রাখা হবে। কিন্তু এরপর পরই নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে জানানো হয়, তাঁর আইসোলেশন করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি রিভকা পালুচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।

    করোনায় আক্রান্ত রিভকা পালুচ রোববার রাতে জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তিনি স্পিকার নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাঁর সঙ্গে নেতানিয়াহুর সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি।

    জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৩৪৭ জনের। এর মধ্যে ১৬ জন মারা গেছেন, সুস্থ হয়েছেন ১৩৪ জন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35363/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনায় বিপর্যস্ত ৭ দেশ, আক্রান্ত প্রায় ৮ লাখের বেশি



      চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২০০টি দেশ ও দুটি আন্তর্জাতিক প্রমোদতরীতে। ভাইরাসটির সংক্রমণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ হাজার ৮২০ জন। সারা বিশ্বে সাত লাখ ৮৫ হাজার ৮৭০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ জন।

      সফটওয়্যার সল্যুশন কোম্পানি ‘ডারাক্সে’র পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ওয়ার্ল্ডোমিটারে’ প্রকাশিত তথ্যমতে এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। এখানে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ছয়টি দেশের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সূত্রঃ আমাদের সময়

      যুক্তরাষ্ট্র

      বিপর্যস্তের তালিকায় প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্তের দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে মোট এক লাখ ৬৪ হাজার ২৫৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৬৭ জনের।

      ইতালি

      এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৯১ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৬৮৯ জন।

      স্পেন

      মৃত্যুর দিক থেকে ইতালির পরের স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৭১৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৯৫৬ জন।

      চীন

      সব দিক থেকে এক সময় প্রথম অবস্থানে থাকা চীন এখন রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল এই দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৫১৮ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩০৫ জন। সর্বশেষ তথ্য মতে, চীনে নতুন করে মাত্র ৭৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

      জার্মানি

      জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা কম হলেও আক্রান্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৮৮৫ জন। সর্বশেষ তথ্যমতে, জার্মানিতে এই ভাইরাসে ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

      ফ্রান্স

      প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। সেদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪৪ হাজার ৫৫০ জন আর মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৪ জনের।

      ইরান

      আক্রান্তের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও মৃত্যুর দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে আছে ইরান। দেশটিতে এই ভাইরাসে দুই হাজার ৭৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৪১ হাজার ৪৯৫ জন।

      বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের বয়স ছিল ৮০ বছরের উপরে। ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ০ দশমিক ৪ শতাংশ।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35364/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ব্যাংক থেকে দেদারসে ঋণ নিচ্ছে সরকার, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আগেই



        ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আগেই ছাড়িয়েছে সরকার। তবে পুনঃনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনও অনেক উপরে। ব্যাংক থেকে পুরো অর্থবছরের ঋণ মাত্র ছয় মাসেই নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ মাসের প্রথম ১৮ দিন শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ৪৭ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। তবে ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। খবর-অর্থসূচক

        চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) ব্যাংক খাত থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছে সরকার। তবে ছয় মাস পার না হতেই সে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৫১ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের পুরো সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা বেশি।

        খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজস্ব আদায়ে ভাটা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ায় ব্যয় মেটাতে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর অধিক নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে সরকার। ফলে অর্থবছরের সাড়ে ছয় মাস না যেতেই সরকারের ব্যাংকঋণ অর্ধলাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

        তথ্যমতে, আলোচ্য সময়ে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া মোট ঋণের স্থিতির পরিমাণ এক লাখ ৬২ হাজার ২৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৭৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। মুদ্রানীতিতে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয় ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে অবশ্য তা বাড়িয়ে ৫৬ শতাংশ করা হয়। কিন্তু সেটাও ছাড়িয়ে ৭৫ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠেছে। যা অর্থনীতির জন্য মোটেও সুখবর নয়। অন্যদিক ধারাবাহিকভাবে কমছে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35330/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গভীর হতাশা আর অনিশ্চয়তার ডুবছে খেটে খাওয়া জীবন



          করোনাভাইরাসের মহামারী রুখতে ছুটি আর বিধিনিষেধে থমকে গেছে রাজধানীসহ সারাদেশে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা।



          এক সপ্তাহ আগেও তাদের কেউ প্রতিদিন রিকশা ভ্যান নিয়ে বের হতেন, কেউবা দিন চুক্তির মজুরিতে কাজ করতেন। অনেকে আবার বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে চালাতেন সংসার।

          রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি কিংবা টিনশেড ঘরে এইসব খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস। দিনের কাজের টাকায় তাদের বাজার হয়, চুলায় হাড়ি চড়ে। তাদের সেই দারিদ্র্যক্লিষ্ট জীবনেও ছন্দপতন ঘটিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারী।

          মালিবাগ রেলগেইট, ঝিলপাড়, কমলাপুর, রামপুরা, বাড্ডা, ফকিরাপুল ও মোহাম্মদপুর ঘুরে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে একই হতাশা আর অনিশ্চয়তার ছবি।




          ভোলার চরফ্যাশনের আলী হোসেন ঢাকায় ইট ভাঙার কাজ করেন। গত সাত দিন বস্তির ছোট্ট ঘরে কর্মহীন কেটেছে তার। পেটের তাগিদে সোমবার সকালে পশ্চিম মালিবাগের বাগাানবাড়ি এলাকায় এক নির্মাণাধীন ভবনের পাশে বেড়ার আড়ালে ইট ভাঙতে বসেছেন তিনি।

          বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কী করব স্যার, কাজ করতে মানা। কিন্তু এভাবে থাকলে তো পেটে ভাত জুটবে না। লুকিয়ে ইট ভাংতেছি। কাজ পাইছি চাইর দিন আগে। কিন্তু খোলা জায়গায় তো কাজ করতে পারতেছি না। এলাকার মুরব্বীরা বারণ করছে। আজকে উনাদের বলে কয়ে কাজ শুরু করেছি, বুঝেন তো।”




          রিকশা চালক তমিজউদ্দিন বাড্ডায় থাকেন। ষাট বছর বয়সেও তাকে রিকশা চালাতে হয় বেঁচে থাকার তাগিদে। সোমবার সকাল ৮টায় তাকে মৌচাক মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেল যাত্রীর আশায়।

          আক্ষেপ করে বললেন, “বুড়াকালে আইসা এঠা কী দেখতেছি বাবা জান। ডাক দিলেও প্যাসেঞ্জার রিকশায় উঠতে চায় না। কম ভাড়ার কথা কইছি, তারপরেও কয় ‘যামু না’।”

          রোজগার এভাবে বন্ধ হয়ে গেলে ছেলেমেয়েকে কী খাওয়াবেন , সেই চিন্তায় দিশা পাচ্ছেন না তমিজউদ্দিন।




          মৌচাক মোড়ে একটি রিকশার গ্যারেজের ভেতরে বসে ছিলেন আখলাক মিয়া, সঙ্গে তার বানর ‘রূপবান’। বানর নাচিয়েই তার দিন চলে। আর স্ত্রী বিভিন্ন বাসায় গিয়ে করেন গৃহকর্মীর কাজ।

          আখলাক জানালেন, গত সাতদিন ধরে তার রোজগারের পথ একেবারেই বন্ধ। তার স্ত্রীকেও কাজে যেতে মানা করেছেন বাড়ির মালিকরা।

          “তাইলে চলমু কেমনে বলেন? আমার উপার্জনের শক্তি এই বান্দর, তারে ‘রুপবান’ বইলা ডাকি, তারেও খাবার দিবার পয়সা নাই। শিকল দিয়া বাইন্দা রাখছি ৭ দিন হয়। আমরা আর রূপবান সবতেই বন্দি।”




          করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সংক্রমণ ঠেকাতে চলাফেরা বন্ধ করে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্বের বড় একটি অংশ। মানুষকে বাঁচানোর জন্যই এ সতর্কতা, কিন্তু প্রান্তিক মানুষের জন্য তা নিয়ে এসেছে অনাহারে মৃত্যুর শঙ্কা।



          শান্তিনগরের কাছে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করেন প্রতিবন্ধী জুলেখা। পোলিওতে তার দুই পা নষ্ট হয়েছে ছোটবেলায়। ভিক্ষা করে এমনিতে প্রতিদিন ৫০-৬০ টাকা যা পাওয়া যেত, তা দিয়েই চলতে হত তাকে। এখন রাস্তায় মানুষ নেই, ভিক্ষার পথও বন্ধ।

          “গত কয়দিন বস্তিতেই ছিলাম। ঘরে আর মন টিকে না। আইজ সকালে চাইর ঘণ্টা দাঁড়ায়ে ছিলাম, একজন খালি একটা ৫ টাকার কয়েন দিছে। মানুষের দয়ায় বাঁইচ্যা আছি। কাজ করার মত অবস্থাতো আমার নাই। করোনা আমাগো লাইগা গজব। এইটা না গেলে আমরাতো মারা যামু।”

          আকলিমার বয়স ত্রিশের ঘরে, কমলাপুরের কাছে ঠেলাগাড়িতে করে প্লাস্টিক-এলুমিনিয়ামের জিনিসপত্র ফেরি করেন তিনি। বাবা-মাকে নিয়ে তিনিও পড়েছেন বিপদে।

          “এখন কেউ এগুলো কিনে না। কাইল শান্তিনগরে দাঁড়াইছিলাম কতক্ষণ। একটা জিনিসও বিক্রি করতে পারি নাই। পুলিশ মাইক দিয়া কইয়া গেছে- কেউ দাঁড়াবার পরব না। আমরা এখন কই যামু, বুঝতাছি না।”

          মালিবাগের বাগান বাড়ির কাছে দেখা গেল রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি রিকশা ভ্যান।

          মালিক আব্দুস সাত্তার বললেন, “দোকান-পাট, অফিস-আদালত বন্ধ। মাল টানার কাজ নাই। গাড়ি চালানোরও লোক নাই, অনেকে দেশের বাড়ি চলে গেছে।”

          বাঁশবাড়ি বস্তির হোসনে আরা, জমিলা, আখতারুন্নেসা জানান, তারা বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। কিন্তু এই ‘অসুখ-বিসুখের’ সময়ে বাড়ির মালিকরা কাজে যেতে মানা করে দিয়েছেন।

          আজহার নামের এক রিকশা চালক বললেন, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাস্তায় থেকে তিনি কেবল ২০ টাকার ‘খ্যাপ’ পেয়েছেন।

          করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলার জনজীবন।
          আদমপুর বাজারে ঘোরামারা পয়েন্টে সমানে অপেক্ষা করছিলেন এক অটোরিক্সা চালক। করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে কেমন চলছে জীবন যাত্রা? জিজ্ঞেস করতেই মণিপুরি মুসলিম সম্প্রদায়ের হাফিজ উদ্দিন অটো রিকসাচালক বলেন ওইসব কথা।

          করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। সারাদেশে সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষেধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠা ও কোচিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সচেতনতার জন্য মাস্ক ও জীবানুমুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। জরুরী কোন কাজ ছাড়া আগামী ১৪দিন রাস্তাঘাটে মানুষকে না বেরোনোর জন্য বিশেষ ভাবে সর্তক করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে রাস্তায় বের না হওয়ার জন্য।

          গত কয়েকদিন থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার রাস্তাঘাটে যানবাহন, অটোরিক্সা, রিক্সা, ভ্যান ও মোটাসাইকেল চলাচল অনেকটা কমে গেছে। শহরে রাস্তাঘাটে অটোরিক্সা ও ভ্যান তেমন চোখে পড়ছেনা। আতঙ্কে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। আয় রোজগারের কোন পথ না থাকায় পেটের দায়ে তারা ঘরে থাকতেও পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।

          এদিকে মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সরিষকান্দি শব্দকর পাড়ার ২৫-৩০টি পরিবার করোনা প্রভাবে ভাল নেই। করোনা ভাইরাসে করনীয় বিষয়ে কিছুই জানেনা না তারা। ঘন বসতি নোংরা পরিবেশে রোগ জীবাণু নিয়ে বসবাস করছে শব্দকর সমাজ। ভ্যান-ঠেলা- রিকশা চালিয়ে ও ভিক্ষাবৃত্তি করে চলা জীবন করোনা প্রভাবে স্তমিত হয়ে গেছে। অনাহারে দিন কাটছে তাদের। ছোট ছোট বাচ্চারা বলছে বাবা রিকশায় যায়নাই তাই লাল চা আর চাল ভাজা খেয়ে দিন পার করছি।

          করোনা আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাই আতঙ্কিত না হয়ে দুই সপ্তাহ ঘরে সময় কাটানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সচেতন করা হচ্ছে।করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলা জনজীবন।

          নিত্যদিন সকালবেলা গরীব কৃষকেরা শাক-তরকারী বেচতে বাজারের দিকে যেতেন। ওতে তাঁদের যা কিছু পকেটস্থ হতো তা দিয়ে পরিবার-পরিজনের প্রয়োজন মেটাতেন। হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনিতে রিকসা চালিয়ে দু’পয়সা রোজগার করতেন রিকসাওয়ালারা। এভাবে মাছবিক্রেতা, সবজিবিক্রেতা—এঁদের প্রত্যেকেই হররোজ রোজগারের উপরে নির্ভরশীল। হুকুমতের বাসিন্দারা কি কালেভদ্রেও সে-সব প্রান্তিক মানুষের খবর রেখেছেন?


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35329/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ডিসি’র নাম করে পুলিশের চাঁদা দাবি!



            কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নাম করে টেকনাফের চারটি প্যাথলজি সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করেছে এক পুলিশ। টেকনাফ থানার পুলিশ সদস্য অরুণ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের নাম করে ওই চাঁদাবাজি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্যাথলজির পরিচালকরা।
            তাদের অভিযোগ, অরুণ নামে একজন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের নাম করে মেরন সিটি হাসপাতাল, নাফ ভিউ প্যাথলজি সেন্টার, কেয়ার ল্যাব লিমিটেডসহ টেকনাফের চারটি প্যাথলজির পরিচালকের কাছে চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা বিষয়টি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে জানান। এরপর ওইসব প্যাথলজির সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখা যায় অরুণ জেলা প্রশাসনের কেউ না। তিনি টেকনাফ থানা পুলিশের সদস্য।
            এ সম্পর্কে জানতে পুলিশ সদস্য অরুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
            পরে টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35344/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ‘হামরা একন কী খায়া বাচমো?’



              ‘কোন কাম নাই। বাড়ির বাইরে বারায়য়াও লাব (লাভ) নাই। পয়সা-পাতি যা আছিলো শ্যাষ। হামরা একন কী খায়া বাচমো? সংসার চালামো ক্যামনে?’ চোখে-মুখে চিন্তা আর একরাশ হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ভ্যানচালক বাবু মিয়া। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

              বাবু মিয়া জানান, ভ্যান চালিয়ে যা আয় হতো তা দিয়ে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ চলতো। করোনা রোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর সবকিছু বন্ধ থাকায় এখন আয়ও হচ্ছে না। একই কথা জানালেন উপজেলার বোনারপাড়া বাজারের পান বিক্রেতা একরামুল ইসলাম। তার অভাবের সংসারে স্ত্রীসহ আছে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। প্রতিদিন বাজার থেকে চাল-ডাল সবজি না কিনলে বাড়িতে চুলায় আগুন জ্বলে না। কারণ হিসেবে জানালেন, সংসারে তার সঞ্চয় বলে কিছু নেই। করোনা ভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ থাকায় মাথায় হাত পড়েছে। একরামুল বলেন, দোকান খুলে রাখতে পারি না, কারণ পুলিশ এসে হুমকি দেয়। এখন দোকান না চললে সংসার চলবে কীভাবে? বুঝতে পারছি না।
              রিপোর্টঃ আমাদের সময়

              পাশের দোকানি রতন বাবু ও আব্দুল জলিলেরও একই কথা। তাদের সংসারেও দিন আনি দিন খাই অবস্থা। ঘরে বসে থাকলে কীভাবে চলবে সংসার? এমন চিন্তা সবসময় তাদের মাথায়। এমন চিত্রই এখন উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষের। উপজেলার তেলিয়ান-সাহারভিটা গ্রামের ভ্যানচালক মছির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চলে। করোনা ভাইরাসের কারণে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিন বেলা পেট ভরে খাওয়া জোটেনি। ভ্যান নিয়ে বের হলেও রাস্তায় তো মানুষ নেই। এখন সারাদিনে ৫০ টাকা উপার্জন করাই কষ্টকর। এভাবে কতদিন চলবে প্রশ্ন তার।

              গাইবান্ধা জেলায় চারজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরপরই পাল্টে গেছে মানুষের জীবন চিত্র। সরকারি নির্দেশনায় সচেতনতাসহ বাড়িতে বন্দিজীবন কাটছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। তবে আয়-উপার্জন না থাকায় কষ্টে আছে রিকশা-ভ্যানচালক, চা-পানের দোকানিসহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। পুলিশের পিটুনির ভয়ে দোকানপাট খুলতে পারছেন না কেউ।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35368/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                কথিত বাল্যবিয়ের নামে জায়েজ বিয়ে বন্ধ করলো তাগুত বাহিনী



                ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে মোহাম্মদ নাঈম নামের এক পোশাককর্মী সোমবার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী বউ ঘরে তুলেছেন। আর বিয়ের এ সংবাদ পেয়ে তাগুত বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় বাড়িটিতে। এরপর বর নাঈমকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি নেত্রকোনার কেন্দুয়া আশুজিয়া ইউনিয়নের।

                কালের কন্ঠের সূত্র জানায়, কথিত বাল্যবিয়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত নাঈম ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সোমবার ভোরে ১৫ বছর বয়সী পূর্বপরিচিত এক কিশোরীকে বিয়ে করে বাড়িতে নেন নাঈম। এর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাগুত আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বাড়িটিতে পৌছেন। এরপর নাঈমকে তাগুত বাহিনী এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35372/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  চা বাগানের শ্রমিকদের কাজ নেই, ঘরে নেই খাবার, নেই কোন ত্রাণ



                  চা বাগানের অনিয়মিত শ্রমিক, যাদের বাগানে কাজ নেই। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ২৪টি চা বাগানে এমন ২০ হাজার শ্রমিক আছেন যারা ছুটা কাজের ওপর র্নিভরশীল। এই শ্রমিকরা চা বাগানের বাইরে ইটভাটা, মাটি কাটার কাজ, গৃহস্থালি, রাজমিস্ত্রীর জোগালিসহ নানা কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনের রোজগারে তাদের সংসার চলে। কিন্তু সারা দেশ লকডাউন হওয়ার পর গত এক সপ্তাহ তাদের কাজ নেই। ঘরে খাবার নেই। তারা যেমন চা বাগানের মালিক পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না, তেমনি সরকারি সাহায্য থেকেও বঞ্চিত। খবরঃ কালের কন্ঠের

                  এমন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকালে শতাধিক অনিয়মিত চা শ্রমিক কোদাল কাঁধে, টুকরি মাথায় নিয়ে খাবারের দাবিতে উপজেলা কমপ্লেক্সের গেটে জড়ো হন। তারা সরকারি ত্রাণের দাবি জানান।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/31/35376/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X