Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৭ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০১লা এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৭ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০১লা এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    করোনায় ত্রাণ বিতরণের সময় ৬ ফিলিস্তিনীকে ধরে নিয়ে গেছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী পুলিশ



    ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে জীবাণু মুক্তকরণ কার্যক্রম ও অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় ৬ ফিলিস্তিনী স্বেচ্ছাসেবককে ধরে নিয়ে গেছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

    মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) জেরুজালেমের সুর বাহের শহরে প্রবেশ করে এ কাণ্ড ঘটায় ইসরায়েলি পুলিশ। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

    এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের মানবাধিকার এনজিও ওয়াদি হিলওয়ে ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, “সুর বাহের শহরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিবারগুলির মধ্যে বিতরণের জন্য বেশকিছু খাবারের পেকেট ব্যবস্থা করে সেচ্ছাসেবকরা। আর সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর গ্যাস ও শব্দ বোমা হামলা করে ইসরায়েলী পুলিশ। এবং খাবারগুলো বাজেয়াপ্ত করে।

    উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখতে যে পরিবারগুলিকে স্পেশাল কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে জরুরি খাদ্যসামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছিলেন ফিলিস্তিনের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে জেরুজালেমে করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে ইতিমধ্যে ধরে নিয়ে গেছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলি পুলিশ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35440/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    যুক্তরাষ্ট্রে ইনহেলার স্বল্পতা ও সঙ্কটে দেশটির অর্থনীতির আসল চেহারা ফাঁস



    হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে রোগী আসার সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তেলের জাহাজ নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ইনহেলার স্বল্পতা দেখা দেওয়ার খবর বেরিয়েছে।

    দ্য আমেরিকান কলেজ অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকায় ইনহেলার স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। ইনহেলার সঙ্কট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টঃ কালের কন্ঠের

    ডলারের সিস্টেম মানির উপর নির্ভর করা দেশটি এখন একা একাই এখন তার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে আশেপাশের দেশ থেকে কিছুই নিতে পারছে না ক্রুসেডার ট্রাম্পের দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আর এখন তারা ইনহিলারের সংকটে পড়েছে। বের হয়ে যাচ্ছে আসল চেহারা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35396/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘খুবই বেদনাদায়ক’ সপ্তাহের জন্য মার্কিন নাগরিকদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান ক্রুসেডার ট্রাম্পের



      আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ক্রুসেডার ডোনাল্ড ট্রাম্প নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলছেনে, আসন্ন ‘খুবই বেদনাদায়ক’ সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত হতে। হোয়াইট হাউজে দেয়া বক্তব্যে করোনাভাইরাস মহামারিকে তিনি ‘একটি প্লেগ’ বলে বর্ণনা করেন। দেশটিতে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আসন্ন কয়েক সপ্তাহে দেশটিতে আড়াই লাখ মৃত্যু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

      এমন সময় এসব কথা বলছিলেন মি. ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে চব্বিশ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মারা গেলো ৮৬৫ জন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৩,৮৭০ জন, যা প্রাদুর্ভাবের প্রথম কেন্দ্র চীনে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার চেয়ে বেশি। এরকম পরিস্থিতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন আর কোনো ‘সুগার কোটেড’ বা তিক্ত কথায় মিষ্টির প্রলেপ দিতে চাইছেন না বলে মনে করছেন বিবিসির বিশ্লেষকরা।

      ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, “আসন্ন দুটি সপ্তাহ হতে যাচ্ছে খুব, খুবই বেদনাদায়ক”। নয়া দিগন্তের রিপোর্ট

      এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে তুলনা করছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব। অ্যান্তনিও গুতেরেস বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে যেই মন্দা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে সেরকমটা ‘সম্ভবত নিকট অতীতে দেখা যায়নি।’

      সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবের ফলে আর্থ সামাজিক অবস্থার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এই মন্তব্য করেন মি. গুতেরেস।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35404/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এবার মৃত্যুতে চীনকে ছাড়াল যুক্তরাষ্ট্র



        বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ জন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা করোনাভাইরাসের উৎসভূমি চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।

        পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’ এর তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৯ জনের। আর এই মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ তথ্য অনুযাযী, করোনাভাইরাসে চীনে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩০৫ জনের।

        করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে, ১২ হাজার ৪২৮ জন। এর পরে রয়েছে স্পেন, দেশটিতে এই পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ৪৬৮ জন।

        গত বছরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। উহানে ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণসংহারি এই ভাইরাসটি। ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’ কোভিড-১৯ রোগের বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিয়েছে, তাতে ২০২টি দেশ ও দুটি আন্তর্জাতিক প্রমোদতরীতে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ১৫১ জনে।

        বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারির পরবর্তী কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

        এদিকে, আগামী চার মাসে করোনাভাইরাস শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত্যু হতে পারে ৮১ হাজারের বেশি মানুষের। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাড়তেই থাকবে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিন-এর এক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

        গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35411/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে নিহত হতে পারে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ : হোয়াইট হাউস



          প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বে লাশের মিছিল শুধু দীর্ঘই হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত সাড়ে আট লাখের বেশি মানুষ। হোয়াইট হাউজের হুঁশিয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রে মারা যেতে পারেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। প্রতিদিন করোনার বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধে নামছেন ইউরোপ আর আমেরিকার চিকিৎসকরা। টানা ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা বিরামহীন পরিশ্রম করছেন তারা। চাওয়া একটাই, জীবন বাঁচানো। চিকিৎসক, নার্সদের এমন হাজারো চেষ্টার পরও কোনভাবেই থামছে না করোনার ভয়াবহতা। প্রতিদিনই মৃত্যুর গ্রাফ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকট বলছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

          জানুয়ারির শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়। মাত্র দুই মাসের মাথায় তা বেড়ে প্রায় দুই লাখের ঘরে। প্রাণহানিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, হোয়াইট হাউস হুশিয়ারী দিয়েছে, করোনায় দেশটিতে এক লাখ থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। মার্কিনিদের আরো কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

          মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রুসেডার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব কঠিন যাবে। সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।’ হোয়াইট হাউস করোনা বিষয়ক ট্রাস্ক ফোর্স সমন্বয়কারী ডা. ডেবোরাহ ব্রিক্স বলেন, ‘ইতালির পরিস্থিতি আর সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা ধারণা করছি প্রাণহানি দুই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সামাজিক দুরত্ব মেনে চললে প্রাণহানি কিছুটা কমবে। তবে তাতেও লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।’
          প্রাণহানির এই তালিকায় দীর্ঘ হচ্ছে বাংলাদেশিদের নামও। নিউইয়র্ক ছাড়াও মিশিগান এবং নিউজার্সিতে কয়েকজন বাংলাদেশি প্রাণ হারান কোভিড-নাইনটিনে। ইউরোপেও করোনা পরিস্থিতি উন্নতির কোন লক্ষণ নেই। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও স্পেনে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি রেকর্ড করা হয়েছে। ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল শুধু দীর্ঘই হচ্ছে। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের শ্রদ্ধায় এক মিনিটের নিরবতা পালিত হয় দেশটিতে।

          উল্লেখ্য যে, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ আমেরিকা প্রায় এক শতক জুড়ে বিশেষত মুসলিম ও মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে চালিয়ে যাচ্ছে । যাতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই কোটিরও অধিক নিরপরাধ মানুষ । একদিকে মুসলিমদের সাথে সামারিক যুদ্ধে পরাজয়ের পথে এবং অর্থনীতিও মারাত্মক বিপর্যস্ত । এরূপ সময়ে ব্যাপক কোরোনার আক্রমণ দেশটিকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে ।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35439/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            জাতির সাথে নতুন ধোঁকাবাজি, আইইডিসিআরের একক কর্তৃত্বে নিষ্ক্রিয় ৭ ল্যাব



            রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)-এর একক কর্তৃত্বের কারণে সরকারি-বেসরকারি ৭টি ল্যাব করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করতে পারছে না। আইইডিসিআর থেকে এসব ল্যাবে কোনো নমুনা (স্যাম্পল) পাঠানো হচ্ছে না।

            সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহের অনুমতিও দেয়া হচ্ছে না এসব প্রতিষ্ঠানকে। নমুনা সংগ্রহে কেন্দ্রীয়ভাবে পুলও তৈরি করা হচ্ছে না। ফলে আগের মতোই শুধু ঢাকায় দুটি ও চট্টগ্রামে একটি ল্যাবে চলছে পরীক্ষা। এতে প্রস্তুত সাতটি ল্যাব নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পড়ে আছে। সূত্র: যুগান্তর

            সুযোগ না দিয়ে আইসিডিডিআর, বি-কে নামমাত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাব ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। এসব কারণে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১০টি ল্যাব এ ভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত আছে।

            এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা যুগান্তরকে বলেন, আমরা একটি পরিকল্পনা করে কাজ করছি। তাই অনেকগুলো ল্যাব প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ বা পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়নি, বিষয়টি সে অর্থে ঠিক নয়। আমরা মনে করি, যখন আইইডিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না, তখন ওই ল্যাবগুলোর সহায়তা নেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে আমরাই নমুনা সংগ্রহ করব এবং কোন ল্যাব পরীক্ষা করবে, সেটিও আমরাই নির্ধারণ করব।

            বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- করোনাভাইরাসে সন্দেহভাজন সবাইকে পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও একাধিকবার অধিকতর পরীক্ষা করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিত পুল করে নমুনা সংগ্রহে ব্যাপক জনবল অন্তর্ভুক্ত করা না হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। সন্দেহভাজন অনেকেই থেকে যাবে পরীক্ষার বাইরে।

            এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ থাকায় সোমবার গণমাধ্যমের এক কর্মী পরীক্ষা করাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগ করেন। অধিদফতরের এক কর্মকর্তা তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাইউনিটে অবস্থান করতে বলেন। পাশেই শিশু হাসপাতালের ল্যাব থেকে তার নমুনা সংগ্রহের জন্য টেকনোলজিস্ট পাঠানো হবে।

            কিন্তু প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও নমুনা সংগ্রহে কেউ না এলে তিনি চলে যান। শিশু হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, আইইডিসিআরের অনুমতি না পাওয়ায় প্রথমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। পরে অন্য ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

            পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালের কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, ওই হাসপাতালে করোনাভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন এমন তিন থেকে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাদের পরীক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও আইইডিসিআর থেকে নমুনা সংগ্রহে কাউকে পাঠানো হয়নি। ফলে ওই রোগীরা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন কি না, সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এতে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

            এর আগে সন্দেহভাজন এক রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে রাজধানীর ডেল্টা হাসপাতালের প্রায় ১০ জন চিকিৎসক ও নার্স কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন। পরে কোয়ারেন্টিনে যেতে হয় হাসপাতালের সব কর্মীকে।

            নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর’বি) এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, তাদের গবেষণাগারে আটটি পিসিআর মেশিন রয়েছে। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য রয়েছে উচ্চপ্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী। যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব গবেষণা পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এই ল্যাব ও জনগোষ্ঠী কাজে লাগাতে আইইডিসিআর অনীহা প্রকাশ করেছে। শেষ পর্যন্ত আইইডিসিআর ল্যাব কাজে লাগানোর কথা বলা হলেও নিজস্ব ব্যবস্থায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার অনুমতি মেলেনি। এমনকি আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে করোনা পরীক্ষার কিট দেয়া হয়েছে মাত্র ১০০টি।

            করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বে এই মহামারী মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু দেশের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনকে (নিপসম) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

            প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ জানান, প্রতিবছর নিপসম থেকে দেড়শ’জনের বেশি শিক্ষার্থী জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এমপিএইচ ও এমফিল ডিগ্রি অর্জন করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞে পরিণত হচ্ছেন। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এদের কাজে লাগানোর কোনো ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত করা যায়নি।

            তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর মতো জুনোটিক (প্রাণীবাহিত রোগ) রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া নিপসমে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাব রয়েছে। শুধু বায়োসেফটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই ল্যাবেই করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। তাছাড়া নিপসমের রয়েছে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল। কিন্তু আইইডিসিআরের পাশেই অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানকে কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না, তা বোধগাম্য নয়।




            এদিকে আইইডিসিআরের হটলাইনে সারা দেশে থেকে প্রচুর ফোন আসছে। তাই সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকছে হটলাইন। অনেকে ফোন দিয়েও হটলাইনে প্রবেশ করতে পারছে না।

            গত বুধবার আইইডিসিআরের হটলাইন নাম্বারে ফোন দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী একাধিকবার চেষ্টা করেও প্রবেশ করতে পারেননি।

            ঢাকার বাইরের একটি জেলা থেকে ফোন দেন একজন নারী। তার চাচী গত এক সপ্তাহ ধরে গলাব্যাথা, ঠান্ডা জ্বরে ভুগছেন। হট লাইনে থাকা চিকিৎসক তাকে জানান, যেহেতু আপনার চাচীর মেয়ে জামাই গত একমাস আগে দেশের বাইরে থেকে এসেছেন। এবং সে গত চারদিন ধরে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। ১৪ দিন পরে মানবদেহে এই ভাইরাসটি থাকতে পারে না। কাজেই তার মেয়ের জামাই আসার ১৪ দিনের মাঝে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে তখন তার করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার দরকার ছিল। পরে ঐ মহিলার নমুনা সংগ্রহ না করেই বলে দেওয়া হয়েছে এগুলো করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সমস্যা না।

            হটলাইন সম্পর্কে এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, খুব বেশি ফোন আসায় অনেক সময় লাইন বিজি থাকায় অনেকেই ফোন দিয়ে পান না। খবর- মানবজমিন


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35381/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              করোনা সন্দেহে চিকিৎসা দেয়নি কোনা হাসপাতাল, অবশেষে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু



              করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ঠাণ্ডাজনিত জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগী ভর্তি নিচ্ছে না অনেক হাসপাতাল। অনেক চিকিৎসক এ ধরনের রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছেন।

              সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অভিযোগ এনে পরিবারের শ্বাসকষ্টে ভোগা এক সদস্যের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করছেন তারেক রিপন নামে এক ব্যক্তি। খবর-যুগান্তর

              মঙ্গলবার ফেসবুকে লেখা তারেক রিপনের সেই হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস পাঠকের উদ্দেশে দেয়া হলো – ‘আমার বোন জামাই, আমার দুলাভাই। তিনি ব্যবসা করতেন চাঁদপুরে। ১০ দিন আগে উনার জ্বর এবং সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। স্থানীয় ডাক্তার উনাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন এবং সেদিনই তাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। কিন্ত স্থানীয় ডাক্তার কোনো রোগের কথা বলেননি। পারিবারিকভাবে আমরা সচেতন বলে প্রথমেই উনাকে নিয়ে গেলাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। রাত তখন ৮টা। সেখানকার ডাক্তার উনার ফাইল দেখতে চাইলেন এবং রোগীর স্বজনদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন। ২ ঘন্টা পর ডিউটি অফিসার ফিরে এসে জানালে আমরা এ রোগী এখানে রাখতে পারব না। কারণ উনার নিউমনিয়ার লক্ষণ। বললেন বক্ষব্যধি হাসপাতালে নিয়ে যান। কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তাদেরকে বের করে দেয়া হলো। দুলাভাই তখনও খুব শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তারপর সেখান থেকে তাকে বক্ষব্যধিতে নেয়া হল কিন্তু করোনা রোগী বলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করল না, বলল এ ধরনের রোগী তারা নিচ্ছে না। সেখান থেকে নেয়া হলো ইবনে সিনা হাসপাতালে। তারা কোনো কথাই শুনলেন না। সেখান থেকে তাকে নেয়া হলো রেনেসাঁ নামে একটি ক্লিনিকে। সেখানও তারা গ্রহণ করলেন না। শুধুমাত্র শ্বাসকষ্ট শুনেই সবাই অপারগতার কথা বলে বের করে দিচ্ছে। রাত তখন ৪টা। সবাই হতাশ হয়ে উনাকে বাসায় নিয়ে গেল।’

              এরপর কোনো হাসপাতাল তারেক রিপনের বোনজামাইকে না রাখায় বাড়িতে নিয়ে নিজেরাই সেবা দিতে শুরু করেন।

              তারেক রিপন লেখেন, ‘কোনো রকম রাত কাটানোর পর বাসায় একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার আর নেভ্যুলাইজারের ব্যবস্থা করি। ঘন্টা তিনেক পর দুপুর ১টার দিকে একটা অ্যাম্বুলেন্সে কল করে উনাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনাটেড হাসপাতালে। আমরা মূলত নিউমোনিয়া গোপন করে হার্টের সমস্যা বলে এপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলাম। না হলে হয়তো সেখানেও ঢুকতে পারতাম না। তার পর ডাক্তার উনার ফাইল দেখে বুঝতে পারলেন এবং করোনাভাইরাস ধারণা করলেন। বললেন, করোনা রিলেটেড হাসপাতালে চলে যেতে। ফলে সেখান থেকে বের হয়েই উনাকে নিয়ে যাওয়া হলো কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে। উনাকে রাখা হলো ২দিন। ৪৮ঘন্টা পর উনার রিপোর্ট আসলো নেগেটিভ, মানে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। তাকে রিলিজ দেয়া হলো। এ অবস্থা আমাদের যার যার অবস্থান থাকে সকল ধরনের কার্ডিয়াক এবং নিউমোনিয়া রিলেটড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মানবিক আবেদন করেও আমরা কারো মন গলাতে পারিনি। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল থেকে আবারো নিয়ে যাওয়া হলো বাসায়।’

              তারেক রিপন লেখেন, ‘বিগত ৫ দিন তিনি বিন্দুমাত্র ঘুমাতে পারেননি। ইতিমধ্যে উনার হাত পা ফুলে গেছে, ডায়বেটিস চরম হাই, ফুসফুসে পানি জমে গেছে। ৭ দিনের মাথায় অনেককে দিয়ে তদবির করে ভর্তি করানে হলো হার্ট ইনস্টিটিউটে। সেখানে নেই কোনো ডাক্তার। চরম বহেল। যেখানে উনার দরকার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা, অক্সিজেন সেখানে চরম ঢিলেঢালা অবস্থা। নেই কোনো ডাক্তার। সবাই নাকি ছুটিতে। ২ দিন থাকার পর হঠাৎ ডাক্তার বললেন আপনারা রিলিজ নিয়ে বাসায় চলে যান। এ চিকিৎসায় সময় লাগবে। তার চেয়ে বাসায় থাকা ভালো। আমরা অনেক বলে কয়েও আর হাসপাতালে থাকার অনুমতি পেলাম না। না জানলাম উনার কি সমস্যা না জানলাম উনার চিকিৎসা পদ্ধতি। বাসায় নিয়ে আসা হলো নবম দিনের মাথায়। একদিন রাত ২ টায় চরম শ্বাস কষ্টশুরু হলে দুলাভাইয়ের। আবারও ব্যর্থ প্রচেষ্টার উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্স কল করে হার্ট ইনস্টিটিউটের দিকে রওনা হলাম। সেখানে পৌঁছে জানলাম তিনি আর নেই। সবাইকে সব ধরনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তার আর কোনো শ্বাসকষ্টও হচ্ছে না। তিনি মারা গেছেন। হা, ফাইনালি তিনি মারা গেছেন। এজন্য ফাইনালি বললাম, কারণ গত ১০দিন মানসিকভাবে তিনি প্রতিদিনই মারা গেছেন।’

              তারেক রিপন লেখেন, ‘একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো আপনার বাবা-মা, ভাই-বোন বা সন্তান কেউ অসুস্থ আর আপনারা তাকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল দৌড়ে বেড়াচ্ছেন অথচ কেউ আপনাদের ভর্তি করাচ্ছে না। তাহলে ঐ অসুস্থ মানুষটি কি জীবিত অবস্থায় মরে যাননি? আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো। যে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আমরা সমর্থবান। কিন্ত কোনো হাসপাতালের বারান্দাতেই তো আমরা পৌঁছাতে পারলাম না। বলতে পারেন বিনা চিকিৎসায় একজন লোক মারা গেল। আমার দুলাভাই এর যদি বিন্দু মাত্র চিকিৎসার নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারতাম তিনি মারা যেতেন না।’

              এরপর তারেক রিপন কতগুলো প্রশ্ন রাখেন, ‘তাহলে কি আর বলার বাকি রাখে, দেশের স্বাস্থ্যসেবা কতটা নাজুক? যেখানে কোনো চিকিৎসাই নেই সেখানে কার করোনা বা কার করোনা না কিভাবে বুঝবেন? বাংলাদেশে যদি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণেই থাকে তবে হাসপাতালগুলো কেনো অন্য রোগের রোগী নিবে না। যদি হাসপাতালগুলো দেশের এ চরম দূর্যোগের সময় মানুষকে চিকিৎসা সেবা নাই দিতে পারে তবে তাদের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না? এখন না হোক, পরিস্থিতি ভালো হলে কি এর বিচার আমরা পাবো? এতোগুলো হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় গিয়েও যখন আমরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হলাম তখন আমরা কোন উন্নয়নের পথ হাঁটছি? এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আর পরিবারের সদস্যকে সারাজীবনের জন্যে হারালো হয়তো কষ্টটা বুঝবেন কোনোদিন, যেটা কখনোই আমার কামনা না। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন।’


              https://www.facebook.com/tareq.ripon...18834814393948

              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35382/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                দিনে দিনে বাড়ছে পরিক্ষাহীন করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা!



                দেশে দেশে যখন দানবীয় রূপ ধারণ করেছে এই করোনা ভাইরাস, তখন বাংলাদেশে এত কম সংখ্যক করোনা রোগী সত্যি আশঙ্কা জাগানিয়া বিষয় বলে মন্তব্য করছেন দেশের সুশীল সমাজ।

                তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেসব উপসর্গ দেখা যায়, তেমনই উপসর্গ নিয়ে গত ১২ দিনে ৩১ জনেরও উপরে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জ্বর সর্দি কাশি শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত দেশের সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

                ১৯ মার্চ : ৩ জন

                ১৯ মার্চ জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ আছে এমনসব লক্ষণ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ভেতর ২ জন খুলনায় এবং একজন চট্টগ্রাম নগরীর। খুলনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একজন ভারত থেকে ভ্রমণ করে দেশে ফিরেছিলেন। অন্যদিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক নারীর মৃত্যু হয়।

                ২২ মার্চ: ৩ জন

                ঢাকার টোলারাবাগে সর্দি জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে একজন মারা যায়। তিনি ২১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির প্রতিবেশি ছিলেন। তিনিও একই লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল পজেটিভ আসে। তবে এই মৃত দুই ব্যক্তির পরিবারের কেউই বিদেশ ফেরত নয়।

                অপর দুই জনের ভেতর ৬০ বছর বয়সী একজন ভৈরবে মারা গেছেন। তিনি ইতালী ফেরত প্রবাসী ছিলেন। অন্যজন যুক্তরাষ্ট্র ফেরত প্রবাসী নারী ছিলেন। তিনি ১৬ মার্চ থেকে আইসোলেশনে ছিলেন।

                ২৪ মার্চ: ৪ জন

                এদিন সারাদেশে করোনা আক্রান্তদের মতো উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের ভেতরে সিলেটে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৬৫ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধ, রাজশাহীতে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিউতে ভর্তি থাকা ৪৬ বছর বয়সী এক নারী, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা একনারী এবং জামালপুরে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়। চট্টগ্রামে যে নারী মারা যান তার এক সপ্তাহ আগে তার মা একই রকম ভাবে সর্দি-জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা যান।

                ২৫ মার্চ : ২ জন

                ঢাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় একজন মারা যান। তিনি একটি হাসপাতালের ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিলো।

                খুলনায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৪৫ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি মারা যান। প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিলো।

                ২৬ মার্চ: ৩ জন

                এদিন সারা দেশে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪৫ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি ঢাকাতে একটি হাসপাতালে করোনায় মৃত ব্যক্তির পাশেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। পরে তিনি স্থানান্তরিত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই তারও করোনার উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়।

                একই দিনে খাগড়াছড়িতে ঠাণ্ডা, জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগে এক আদীবাসী যুবক মারা যান এবং বাসাবো এলাকায় এক ৬৫ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ মারা যান।

                ২৭ মার্চ: ২ জন

                এদিন ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে। এদের ভেতর একজন বগুরায় শিবগঞ্জে এবং অন্যজন নোয়াখালীর চৌমুহনী উপজেলায় মারা গেছেন। দুজনই জ্বর আক্রান্ত ছিলেন।

                ২৮ মার্চ: ৩ জন

                এই দিন সারাদেশে জ্বর, সর্দি, কাশি শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লালমনিরহাটে ঢাকা থেকে আসার রিকশা চালক জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একই উপসর্গ নিয়ে বরিশালে এক জন ও নওগাঁয় একজন মারা যান।

                ২৯ মার্চ : ৮ জন

                ২৯ মার্চ সারাদেশে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মাঝে বরিশালে ২ জন, পটুয়াখালিতে একজন, মানিকগঞ্জে একজন, ঢাকায় একজন, নড়াইলে একজন ও শেরপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

                বাংলাদেশে নওগাঁর রানীনগরে ঢাকা থেকে আসা এক যুবক জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। শনিবার সকালে প্রচণ্ড জ্বর আর কাশি নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা থেকে নওগাঁয় আসেন ঐ যুবক।

                এমনিভাবে, জ্বর ও সর্দি কাশির চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলেন বগুড়ার শিবগঞ্জের অপর আরেক ব্যাক্তি। তার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, জ্বর সর্দির কথা শুনে করোনা সন্দেহে কোন ডাক্তার তার কিচিৎসা দিতে আসেনি। এমনকি হটলাইন এবং হাসপাতালগুলোতে ফোন দিয়েও সাড়া মেলেনি কারো। প্রতিবেশীরাও করোনা হয়েছে ভেবে তাকে সাহায্য করতে আসেনি। পরে শনিবার মধ্যরাতের দিকে ঐ ব্যক্তি মারা যায়।

                ৩০ মার্চ : ৪ জন

                দিনাজপুরে ৪০ বছর বয়সী একজনের জ্বর সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে, কুষ্টিয়ায় একই উপসর্গ নিয়ে মারা যান এক ইজিবাইক চালক, যশোর জেনারেল হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক শিশু মারা যান। এদিকে শ্রীমঙ্গলে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

                রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আল আমিন নামে এক যুবক (২২) মারা গেছেন। জ্বর, সর্দি, কাশি, ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে পাঁচটা হাসপাতাল ঘুরে কোনো চিকিৎসা না পেয়ে শনিবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

                ৩১শে মার্চ:

                নড়াইল সদর হাসপাতালে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তির ১৫ মিনিটের মাথায় শওকত মোল্লা (২৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

                করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় করোনা সন্দেহে চিকিৎসা দেয়নি কোনা হাসপাতাল, অবশেষে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় তারেক রিপন নামের একব্যক্তির বোনজামাইয়ের।

                এছাড়াও করোনার ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেই প্রতিদিনই মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।

                কুষ্টিয়ায় শ্বাসকষ্টে ঝালমুড়ি বিক্রেতার মৃত্যু

                কুষ্টিয়ায় সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে এক ঝাল-মুড়ি বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।

                সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

                পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের জানিয়েছে ওই ব্যক্তি (৪০) পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। শহরের চৌড়হাস সাহাপাড়া এলাকায় পরিবারে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। গত শুক্রবার তার সর্দি দেখা দেয়। এরপর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। সকালে শ্বাসকষ্ট বেশি হলে একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

                ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জানান, বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুই থেকে তিনবার রক্ত বমিও করেছেন তিনি।

                তবে ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের পরিবারে কোনো বিদেশি নেই। তারপরেও তার শরীরে করোনা ভাইরাস আছে কি-না সেটা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর লাশ সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

                কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিতা-পুত্রের মৃত্যু

                ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পিতা-পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের সীতাহরণ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

                নিহতরা হলেন ওই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার (৯২) ও তার ছেলে ফজল হক (৪৫)।

                পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

                তবে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ( আইইডিসিআর) এর তথ্যমতে দেশে এখন পর্যন্ত ৫ জনের করোনায় মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35385/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সারাদেশে লকডাউন, মির্জাপুরে কর্মহীন মানুষ পরিবার নিয়ে বিপাকে



                  করোনা ঠেকাতে ছুটিতে দেশ। বন্ধ দোকানপাট। চলছে না গাড়ি। শূন্য পথঘাট। বন্ধ কর্মস্থল। স্বল্প আয়ের মানুষও আজ গৃহবন্দী। কাজ নেই। কর্মহীন অনেকের ঘরে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। উপজেলা প্রসাশন বলছেন কর্মহীন মানুষের তালিকা পেলে যাচাই বাছাই শেষে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হবে। এ অবস্থায় খাদ্য সংকটে থাকা কর্মহীন মানুষ পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। খবরঃ কালের কন্ঠের

                  এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মহীন মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
                  গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া (শিকদারপাড়া) গ্রামের মেক্সি চালক প্রতিবন্ধী হারেজ শিকদার, জুলহাস শিকদার, ভ্যান চালক সেলিম শিকদার ও মিনহাজ শিকদার জানান, যানবাহন বন্ধ রয়েছে। হাট বাজারে মানুষের চলাফেরা নেই। তাই কাজে বের হতে পারি না। এখন পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অসহায়ের মতো দিন পার করতে হচ্ছে। কেউ তাদের সহযোগীতা করছেন না বলে তারা জানান।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35397/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    সরকারের উদ্যোগহীনতায় সাধারণ চিকিৎসা মিলছে না রোগীদের, নেই পিপিই



                    করোনাভীতির প্রভাব ভয়াবহভাবে পড়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। স্বাভাবিক সময়ে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক রোগীতে ঠাসা থাকত সেগুলো এখন রোগীশূন্য। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সরা আতঙ্কিত দিনযাপন করছেন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) অভাবে অনেক চিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছেন না। করোনা ছাড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, চিকিৎসাসেবা না পেয়ে তারাও হাসপাতাল ছাড়ছেন।

                    এ ছাড়া করোনা আতঙ্কে জটিল রোগী ছাড়া হাসপাতালে যাচ্ছেন না কেউই। অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন। হাসপাতালে দায়িত্ব পালনরত অনেক চিকিৎসক রোগী দেখতে ভয় পাচ্ছেন। এ অবস্থায় দেশে চিকিৎসাসেবায় বেহালদশা বিরাজ করছে।
                    খবর; আমাদের সময়

                    জানা গেছে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা কমেছে। আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার রোগী যেত। এখন ২০০ থেকে ২৫০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে যাচ্ছেন। একই অবস্থা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে।

                    রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক কমেছে। অনেকে হাসপাতালে গিয়ে করোনায় সংক্রমিত হতে পারেন এমন ভয়ে যাচ্ছেন না। আবার অনেকে চিকিৎসা পাবেন না এমন ভেবে হাসপাতালে যাচ্ছেন না। সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে যারা যাচ্ছেন তারাও সঠিক চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। করোনা ভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গের সঙ্গে মিল থাকলে বিশেষ করে সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি, গলাব্যথায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাসেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

                    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। আমাদের বৈকালিক বিশেষজ্ঞ চেম্বার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা ছাড়া জরুরি চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। করোনার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশির রোগী অর্থাৎ যাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ আছে তাদের জন্য আলাদা সেন্টার চালু করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে করেনা ভাইরাস শনাক্তে পিসিআর টেস্ট শুরু করা হবে।

                    ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক কর্মকর্তা আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের দেখা হয়। এখানে গতকাল মঙ্গলবার ২২৩ জন রোগী এসেছেন। আগে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০ রোগী আসতেন। রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশির রোগী সাধারণত মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা দেখে থাকেন। ওই বিভাগে প্রতিদিন রোগী মাত্র ১৫-২০ জন। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মানুষ হাসপাতালে আসতে চায় না।

                    করোনা ভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ হচ্ছে সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। মৌসুম ফ্লুর কারণেও মানুষের সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি ও গলাব্যথা হয়ে থাকে। মৌসুম ফ্লু-এর রোগব্যাধিতে মানুষ আগের তুলনায় একটু বেশি হচ্ছে। মৌসুম ফ্লু’র সঙ্গে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গে মিল থাকায় অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। ফলে আক্রান্তদের অনেকে ভয়ে ছুটছেন হাসপাতাল কিংবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎকের প্রাইভেট চেম্বারে। কিন্তু প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সবাই সেবা পাচ্ছেন না। চিকিৎসাসেবা পেতে অনেকেই নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

                    ভুক্তভোগীরদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণের ভয়ে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর নেই বলে অনেক চিকিৎসক রোগী দেখছেন না। সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি থাকা রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারও বন্ধ রয়েছে।

                    এদিকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে ভোগান্তি, সংক্রমণের ভয় ও প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকায় মানুষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনে ফোন করে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। আবার সরকারি-বেসরকারি অনেকে হাসপাতাল ইতোমধ্যে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে। মানুষ বাধ্য হয়ে টেলিমেডিসিন সেবায় ঝুঁঁকছেন। তবে করোনার সংক্রমণের আতঙ্কে যারা ভুগছেন তারা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরের হটলাইনে অনেক চেষ্টা করেও সংযুক্ত হতে পারছেন না। আর যারা পারছেন তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনের পরীক্ষা করে বাকিদের বাড়িতে আলাদা থাকার পরামর্শ দিয়ে দায়িত্ব সারছে আইইডিসিআর।

                    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, হাসপাতাল বা প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা না পেয়ে অথবা চিকিৎসা পাবেন এমন চিন্তা থেকে ফোন করে চিকিৎসাসেবা নেওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের ফোনে কল করে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্বাস্থ্য বাতায়ন নম্বরে ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে ৬৭৭১৯ জন, ৩৩৩ নম্বরে ১৪৭১ জন, আইইডিসিআরের নম্বরে ২৫০৯ জনসহ মোট ৭১৬৯৯ জন ফোনে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৬৬৬০ জন ফোনে চিকিৎসা নিয়েছেন।

                    মগবাজারের এক বাসিন্দা জানান, তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক শিশু বিশেষজ্ঞ তার সন্তানকে নিয়মিত দেখেন। কিন্তু হঠাৎ করে ওই চিকিৎকের চেম্বার বন্ধ। উপায়ন্তর না দেখে তিনি রাজধানীর আরও কয়েকটি জায়গায় চেষ্টা করেও বিশেষজ্ঞের খোঁজ পাননি।

                    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম সারির বেশ কয়েকজন শিশু বিশেষজ্ঞ রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় প্রাইভেট চেম্বারে বসেন। করোনার সংক্রমণের পর থেকে কিছুদিন ধরে তাদের চেম্বার বন্ধ। ফলে অনেক পিতা-মাতার শিশুসন্তান অসুস্থ হলে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এ চিত্র শুধু ধানমন্ডি এলাকায় নয়, রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের জেলায়গুলোয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রেখেছেন।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/01/35407/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ইয়া আল্লাহ মাজুলুমদের তুমি রক্ষা কারী.... তাদের তুমি রক্ষা করো
                      জালিমদেরকে তাদের জুলুম সহ ধ্বংস করে দাও! আমিন!
                      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                      Comment


                      • #12
                        হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের কে হেফাজত করুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment


                        • #13
                          হে আল্লাহ, হে দয়াময়! আপনে ছাড়া আমাদের আর কে আছে! আমাদের তো উন্নত চিকিৎসা, বৃহৎ অর্থনীতি, বা আমাদের প্রতি আমাদের যালেম সরকারের কোন সদিচ্ছাও নেই। হে আমাদের অভিভাবক, আপনিই আপনার অসহায় বান্দাদের সহায় হোন। তাদের নাফরমানি ক্ষমা করে দেন। আপনিই তো তাদের জন্য যথেষ্ট!

                          Comment

                          Working...
                          X