Announcement

Collapse
No announcement yet.

করোনা লকডাউন এবং এক ভাইয়ের প্রশ্নঃ "এই লকডাউনের সময়টাতে আমরা কিভাবে কিছু দাওয়াতি কাজ &#

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • করোনা লকডাউন এবং এক ভাইয়ের প্রশ্নঃ "এই লকডাউনের সময়টাতে আমরা কিভাবে কিছু দাওয়াতি কাজ &#

    বিসমিল্লাহ ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্ললাহ

    মহান আল্লাহর স্মরণের সাথে শুরু করছি। যে আল্লাহর স্মরণ এই নগন্য, হীন বান্দারা ভুলে যায় কিন্তু মহান আল্লাহ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে তাঁর বান্দাদের ফিরিয়ে আনেন তাঁর স্মরণের দিকে। এটি এজন্য নয় যে বান্দার স্মরণ আল্লাহর প্রয়োজন (নাউজুবিল্লাহ) বরং এটি এজন্য যে, আল্লাহ জানেন, বান্দাহর বড় প্রয়োজন আল্লাহকে। আল্লাহ ব্যাতিত আর কে আছে যে বান্দাহকে পথ দেখাতে পারে? হেদায়েতের পথে পরিচালিত করতে পারে? আল্লাহ ব্যাতিত কে এমন আছে যে রিজিক দিতে পারে? নিরাপত্তা দিতে পারে? আসমান যদি খুলে যায় আর প্রবল বেগে বর্ষণ সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ ব্যাতিত বান্দাহকে বাঁচানোর আর কে আছে? কিংবা সাগর যদি উত্তাল হয়ে উঠে আর প্রবল জলোচ্ছ্বাসে সব ভাসিয়ে নিয়ে যায় তখনই আল্লাহ ব্যাতিত কে আছে যে এই প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মুখে লাগাম পরায়! কেউ নেই। কারো সাধ্য নেই!

    এই সৃষ্টিজগত সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ এবং এর পরিচালনার সুবিশাল দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছেন! বড় আফসোস আমরা দুনিয়ার বড় বড় রাজা বাদশা চিনি যারা মরে যায়, পচে যায়, মাটির সাথে মিশে যায় অথচ মালিকদের মালিক - মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাহ কে চিনি না!

    অতঃপরঃ

    এক ভাই জিজ্ঞেস করলেন, "ভাই এই লকডাউনের সময়টাতে আমরা কিভাবে কিছু দাওয়াতি কাজ করতে পারি?" ভাইয়ের প্রশ্নটা বেশ ভারী। এতবড় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সামর্থ্য আমার মত নগন্যের নাই। তবে প্রশ্নটা আমার পছন্দ হয়েছিলো আলহামদুলিল্লাহ। একই সাথে বেশ কিছুদিন ধরে এই করোনা ভাইরাস নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা করছিলো। এই দুই মিলিয়ে আজ এই লেখার নিয়াত করেছি। আল্লাহ তাউফিক দাতা।

    ১। করোনা ভাইরাস নিয়ে অধমের কিছু চিন্তাঃ

    প্রথম যখন আমি এটির ব্যাপারে শুনি তখন আমি এটির দিকে তেমন কোন মনোযোগ দেইনি। এমনকি আমি এটার কোন সংবাদ ও শুনতাম না আগ্রহ ও ছিলোনা। এতটুকুই যে খুশি লাগতো আল্লাহর দুশমনেরা মারা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন আমি এটার কোন খবরও দেখিনি। কিন্তু আস্তে আস্তেএমন হতে থাকলো যে সারা দুনিয়া এটা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে উঠলো। বাংলাদেশের দুয়ারেও এসে হাজির হল। যা হোক, আমি সে গল্প এখানে বলতে আসিনি, এখন এগুলো সবাই জানেন। আমি করোনার ব্যাপারে যতই দেখলাম ততই আমার কাছে বিষয়টা খুব অদ্ভুত ঠেকলো। আরো অবাক হলাম যখন দেখালাম এই একই কথা আরো অনেকেই বলছে।

    এমন জিনিষ যা কিনা চোখে দেখা যায়না, এই ক্ষুদ্র জিনিষটাই সারা দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিলো, অস্থির করে তুললো। সুপার পাওয়ার দাবি করা রাষ্ট্র গুলো, নিজেদের সভ্যতার প্রতীক দাবি করা ইউরোপ দিনে দুপুরে হাটু ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে গেলো। নিজেদের বিশাল সামরিক বাহিনী, আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্স সব কিছু নিজ নিজ জায়গায় পড়ে থাকলো, কেউ কিচ্ছু টেরও পেলোনা, সুযোগ ও পেলোনা, আঘাত করলো এই অদৃশ্য ভাইরাস! এ সব দেখে আমার মনে হলো এটি আল্লাহর সেনাবাহিনী, আল্লাহর সেনাবাহিনীর ব্যাপারে তিনি ব্যাতিত আর কেউই জানেনা।

    কেনই বা ভাববোনা? আপনি লক্ষ্য করেন,

    আঘাত করার কৌশল
    আঘাতের তীব্রতা
    আঘাতের ভয়াবহতা
    নিজেকে প্রতিনয়ত পরিবর্তন করে নেয়ার কৌশল
    কোন একটি নির্দিষ্ট টার্গেট নয় বরং একই সাথে মাল্টিপল টার্গেটকে ধসিয়ে দেয়ার ধরণ
    ভীতি সৃষ্টি করার নমুনা
    প্রভাব বিস্তার করার উদাহরণ
    দিনে দুপুরে কিভাবে শত্রুপক্ষকে তার সমস্ত শক্তিকে কচু দেখিয়ে, শত্রুপক্ষের সমস্ত উপকরণ, সৈন্য সামন্তের সামনে দিয়ে এমন আক্রমন - তা শুধু আল্লাহর সেনাবাহিনীর পক্ষেই সম্ভব!


    দুনিয়ার সমস্ত পরাশক্তি গুলোর শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছে, নিজেদের জায়ান্ট ইকোনমি দাবি করা রাষ্ট্রগুলোর ইকোনমির দফা রফা করে দিয়েছে, সভ্য দাবি করা এই সমাজের সমস্ত ঠুনকো মুল্যবোধকে উড়িয়ে দিয়ে তাদের ভিতরের স্বার্থপরতা বের করে দিয়েছে। এমন কোণ সেক্টর নাই যেখানে আঘাত করেনি এই বাহিনী!

    সামরিক, অর্থনৈতিক, পোশাক শিল্প, জনসম্পদ, টেকনোলজি, ট্যুরিজম, জঘন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, জুয়ার জগত, খেলাধুলা কোন কিছুই বাদ নাই! এ সমস্ত কিছু দেখে শুধু একটা কথাই মনে আসে আর তা হচ্ছে, এ হচ্ছে সামান্য এক ভাইরাস যা আল্লাহর হুকুমে কাজ করে যাচ্ছে। সামান্য ভাইরাসই যদি এই অবস্থা করতে পারে তাহলে কি হবে যদি আল্লাহ এক প্রবল হুংকার দেন!

    কি অদ্ভুত, এত কিছুর পরেও আমরা আল্লাহর মুকাবেলায় নিজেদের দাঁড় করিয়ে নেই! আল্লাহকে পরিত্যাগ করে এসব কীটপতঙ্গের মত নগন্য মানুষকে আমাদের অভিভাবক বানিয়ে নেই!

    ২। "ভাই এই লকডাউনের সময়টাতে আমরা কিভাবে কিছু দাওয়াতি কাজ করতে পারি?"

    উপরের আলোচনা করার আরেকটা উদ্দেশ্য ছিলো যেন এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা সহজ হয়। নিঃসন্দেহে করোনা ভাইরাস আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। যারা এখান থেকে সাবধান হয়ে যাবে তাদের জন্য এটি সফলতা আর যারা নিজেদের শুধরে নিবেনা তারা আসলে ধ্বংসের উপরে আরো ধ্বংস চাপিয়ে নিলো।

    করোনা ভাইরাসের এই সংকট কালে কোন কাজটি সবচেয়ে ভয়াবহ? বাজারে যাওয়া? মাস্ক না পরা? বার বার সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া? নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখা? - না এগুলো কোনটাই না। বরং সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, এমন কঠিন আযাবের সময়েও পাপে ডুবে থাকা, পাপ থেকে সরে না আসা। আল্লাহর কদর অনুযায়ী কোন একটি কাজ একেক জনের জন্য একেক উদ্দেশ্য পূরন করে, কারো জন্য যদি আযাব হয়,কারো জন্য হেদায়েতের কারণও হয়। বিশ্বাসীদের জন্য, বালা মুসিবতের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য যে সে পাপের পথ থেকে ফিরে আসবে। যেমন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    ‘তারা কি লক্ষ্য করে দেখে না যে, প্রতিবছর তাদের উপর দুই-একবার বিপদ আসছে? এরপরও ওরা তওবা করে না, উপলব্ধি করার চেষ্টা করে না।’ (সুরা আত-তাওবা, আয়াত:১২৬)

    রাসুল সাঃ হাদিসে এসেছে, দুর্যোগ বা এমন মহামারী'র সময়ে যে নিজেকে সংশোধন করে নিলোনা বরং পাপের উপরেই অটল থাকলো সে প্রকৃত অর্থেই ধ্বংস হয়ে গেছে! তাই করোনা সময়ে মুমিনের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর বিপদের কথা, সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া নয়, বরং পাপ থেকে ফিরে না আসা, পাপ পরিত্যাগ না করা, তাওবাহ না করা। দেখেন, মহামারী আসার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে - ব্যাপক হারে অশ্লীলতার প্রচার। এখন মহামারীর মধ্যে বসে থেক দিন রাত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে কেউ যদি অশ্লীলতা থেকে না বের হয়ে আসে তবে কি আশা করা যায়! আমি, আপনি দিনে ১০০ বার স্যানিটাইযার দিয়ে হাত পরিষ্কার করলেন, কিন্তু আমাদের চোখ অশ্লীল দৃশ্য থেকে সরলোনা, তাহলে নিশ্চিত থাকেন আমরা করোনা সংক্রমন অপেক্ষা ভয়াবহ বিপদের মধ্যে আছি!

    সুরা আনয়ামের ৩ টি আয়াতের মধ্যে আল্লাহ এই সম্পূর্ণ চিত্র আমাদের সামনে কতই না পরিষ্কার ভাবে বর্ণনা করেছেন! আল্লাহ বলেন -

    وَلَقَدْ أَرْسَلنَا إِلَى أُمَمٍ مِّن قَبْلِكَ فَأَخَذْنَاهُمْ بِالْبَأْسَاء وَالضَّرَّاء لَعَلَّهُمْ يَتَضَرَّعُونَ
    আর আমি আপনার পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রতিও পয়গম্বর প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে অভাব-অনটন ও রোগ-ব্যধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম যাতে তারা বিনয়ের সাথে নতি স্বীকার করে। [ সুরা আন’য়াম ৬:৪২ ]
    فَلَوْلا إِذْ جَاءهُمْ بَأْسُنَا تَضَرَّعُواْ وَلَـكِن قَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
    অতঃপর তাদের কাছে যখন আমার আযাব আসল, তখন কেন তারা নম্রতা এবং বিনয় প্রকাশ করলোনা ? বরং তাদের অন্তর আরো কঠোর হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল, যে কাজ তারা করছিল। [ সুরা আন’য়াম ৬:৪৩ ]
    فَلَمَّا نَسُواْ مَا ذُكِّرُواْ بِهِ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ أَبْوَابَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى إِذَا فَرِحُواْ بِمَا أُوتُواْ أَخَذْنَاهُم بَغْتَةً فَإِذَا هُم مُّبْلِسُونَ
    অতঃপর তারা যখন ঐ উপদেশ ভুলে গেল, যা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল, তখন আমি তাদের সামনে সব কিছুর দ্বার উম্মুক্ত করে দিলাম। এমনকি, যখন তাদেরকে প্রদত্ত বিষয়াদির জন্যে তারা খুব গর্বিত হয়ে পড়ল, তখন আমি অকস্মাৎ তাদেরকে পাকড়াও করলাম। তখন তারা নিরাশ হয়ে গেল। [ সুরা আন’য়াম ৬:৪৪ ]

    আল্লাহ আগের জাতির কথা উল্লেখ করে বলছেন, তারা যখন নবী রাসুল প্রেরনের পরেও অবাধ্য হয়েই যাচ্ছিলো তখন আল্লাহ তাদের ওপর বিপদ, মহামারী দ্বারা পাকড়াও করেছিলেন, যেন তারা বাধ্য এবং অনুগত হয়। অবাধ্যতার পথ থেকে ফিরে আসে। অতঃপর আল্লাহ জানাচ্ছেন তাদের অবস্থাটা কেমন হয়েছিলো। তারা না নতি স্বীকার করেছিলো, না তারা তাদের পাপ পরিত্যাগ করেছিলো। বরং এই বিপদের মধ্যেও শয়তান তাদের পাপ কাজগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে দেখাচ্ছিলো যেন তারা এই পাপ আরো বেশি, বেশি করে করতে থাকে। এতে করে তাদের অন্তর আরো কঠিন হয়ে গেলো এবং সব শেষে তাদের পরিণতি কি হয়েছিলো? আল্লাহ আবার তাদেরকে আরো কঠিন এক পাকড়াও করলেন, চূড়ান্ত আযাব দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন এবং তারা সেই অবাধ্যতার উপরেই ধ্বংস হয়ে জাহান্নাম নিশ্চিত করে নিলো!

    আমরা ভেবে দেখি আমাদের অবস্থা এমন কিনা?

    কিছুদিন আগে নিউজে দেখলাম যে, ঘরে থাকার এই সময়ে নোংরা ফিল্ম জগতের কোন এক প্রতিষ্ঠান তাদের দর্শকদের জন্য নোংরা ছবি দেখার সাবস্ক্রিপশন ফ্রি করে দিচ্ছে! চিন্তা করা যায়!

    তাহলে প্রশ্নটিতে ফিরে আসি - "ভাই এই লকডাউনের সময়টাতে আমরা কিভাবে কিছু দাওয়াতি কাজ করতে পারি?"

    সবার আগে আমরা পাপ পরিত্যাগ করা এবং তাওবাহ এর দাওয়াত নিয়ে কাজ করতে পারি ইনশা আল্লাহ। এরপরে তাওহিদের দাওয়াত দিতে পারি, আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় তাদের সামনে তুলে ধরতে পারি ইনশা আল্লাহ। এই কঠিন অবস্থায় মানুষ কিছু আশা চায়, ভরসা চায়। তাদেরকে আল্লাহর দিকে নির্দেশ করে দেয়া, একমাত্র আশা ভরসার স্থান চিনিয়ে দেয়া। কিভাবে মানুষের উপরে রব সেজে বসে থাকা এই সিস্টেম এই তাগুত রা আজ মানুষের কোন উপকারই করতে পারছেনা তা দেখিয়ে দেয়া। প্রকৃত অর্থে এটা কতবড় প্রতারণা, কতবড় ছলনা তা জানিয়ে দেয়া! তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর দিকে বিনীত ভাবে ফিরে আসার আহবান জানানো। এটি স্মরণ করিয়ে দেয়া, সামান্য করোনা সংকটে এই তাগুতি সমাজ ব্যাবস্থা আজ এত অসহায় তাহলে আল্লাহর সামনে যেদিন সবাই দাঁড়িয়ে যাবে সেদিন তারা আমাদের কি উপকারে আসবে? তাহলে কেন আমরা আল্লাহ কে ছেড়ে এই তাগুতদের অভিভাবক হিসেবে গ্রহন করলাম? বাস্তবে তারা তো নিতান্তই অসহায়! সামান্য এক ভাইরাস যা চোখেই দেখা যায়না এত ক্ষুদ্র, এমন কিছুর মোকাবেলায় যদি তারা আমাদের সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ হয় তবে এটা কিভাবে মেনে নেয়া সম্ভব যে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে তারা আমাদের কোন উপকার করতে পারবে? তাহলে কেন আজ আমরা আল্লাহর নির্দেশনা অমান্য করে তাদের নির্দেশনা মেনে চলব? আমাদের ভালো মন্দের উপরে তাদের কি কচু অধিকার? তারা নির্লজ্জ, মিথ্যাবাদী, স্বার্থলোভী শয়তানের আউলিয়া ছাড়া আর কিছুই না!

    একই সাথে এই জঘন্য পাপে ডুবে থাকা সমাজ ব্যাবস্থার আসল চিত্র দেখিয়ে দেয়া। কুরআন এবং সুন্নাহ'র আলোকে বর্তমান দুর্দশার কারণ দেখিয়ে দেয়া। দেখিয়ে দেয়া কিভাবে রাসুল সাঃ মহামারীর কারণ সমূহ উল্লেখ করে গেছেন আর সেই সমস্ত কারণ গুলোই এই সমাজ এবং রাস্ট্র ব্যাবস্থা আমাদের উপরে চাপিয়ে দিয়েছে! আল্লাহর রাসুল বলেছেন,

    ‘যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী ব্যাপক আকার ধারণ করে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে ছিল না।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪০১৯)

    আজ কি আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যাবস্থা এই কাজটিই করছেনা? দেখিয়ে দিন, চোখে আঙ্গুল দিয়ে।

    অধিকাংশই আমরা কুরআন এবং সুন্নাহ এর জীবন্ত সান্নিধ্য বঞ্চিত, এই সুযোগে সাধ্যমত কুরআন এবং সুন্নাহকে অন্যদের সামনে জীবন্ত ভাবে পেশ করার চেস্টা করেন ইনশা আল্লাহ।

    একই সাথে সামনের দিনের অনাগত ফিতান সম্পর্কে এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়ে যাওয়া বিশ্ব সম্পর্কে সচেতন করেন। জানান এই ফিতানের পড়ে বরং ঢেউ এর মত এর চেয়ে আরো ভয়ংকর ফিতান আসবে, আসতেই থাকবে। আর সেই ফিতানের মুকাবেলায় শুধুমাত্র ঈমানই কাজে আসবে, অন্য কিছু নয়। তাই সেই ফিতানের প্রবল তোড় আসার আগেই আমরা যেন ঈমান মেরামত করে নেই।

    নিশ্চয়ই দাওয়াতের পরিধি অনেক বিশাল, সামান্য ক' লাইনে তা তুলে ধরা অধমের পক্ষে সম্ভব না। তবে অবশ্যই দাওয়াতি কাজের প্রথম লক্ষ্য থাকা উচিৎ, বিশুদ্ধ তাওহিদের দাওয়াত এবং তাগুতকে অস্বীকার করার দাওয়াত। কুরআন এবং সুন্নাহ এর সাথে পরিচিত হবার দাওয়াত।

    ৩। শেষ কথাঃ

    এই ফোরামে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাই আছেন। আল্লাহ যাদের সামনে এই লেখাটি উপস্থাপন করবেন তাদের মধ্যে থেকে ১ জন ভাই কমপক্ষে ১ জন ভাই এর কাছে এই দাওয়াত দিতে পারেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ যাকে হেদায়ের দেয়ার তাকে হেদায়েত দিবেনই। কেমন হয় যদি এই সমস্ত হেদায়েতের কাজ এবং এর সাওয়াব আল্লাহ আপনার জন্যই বরাদ্দ করে দিবেন! হতেই পারে আল্লাহ আপনাকেই এ কাজের জন্য পছন্দ করে রেখেছেন, শুধু আপনার কদম উঠানোর অপেক্ষা।

    পরিশেষে, করোনা নিয়ে সতর্ক হবার দরকার আছে কারণ তা সুন্নাহ। তবে করোনা নিয়ে ভয় পাবার কিছু নাই। ভয় তো শুধু আল্লাহর জন্য। করোনা যদি আমাদের সংক্রমন না করে আর আমরা যদি আল্লাহর নিকট তাওবা করতে থাকি, আল্লাহর নিকট অনুনয় বিনয় করে আশ্রয় চাইতেই থাকি তাতেও আমাদের লাভ। করোনা যদি আমাদের সংক্রমিত করে আর আমরা যদি সবর করি, ইবাদতে মশগুল থাকি, রাসুল সাঃ বলেছেন এমন কাজ রাসুলের দিকে হিজরত করার মত সাওয়াব! আর আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা যদি সবরের সাথে করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যাই তাহলে শহিদ ইনশা আল্লাহ!

    আমাদের ক্ষতি কোথায়? আমরা শুধু ক্ষতি আর ভয় এজন্য দেখি কারণ, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল সাঃ আমাদের এই মহামারির দিকে যেভাবে তাকাতে বলেছেন আমরা সেভাবে তাকাইনা, বরং শয়তানের আউলিয়ারা আমাদের যেভাবে তাকাতে বলে সেভাবে তাকাই আর সেজন্যই আমরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করি। কারণ নিরাপত্তা তো শুধুই আল্লাহর কাছে

    তাই --

    ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ ...
    Last edited by s_forayeji; 04-03-2020, 03:43 AM.
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

  • #2
    Originally posted by s_forayeji View Post
    ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ ...
    হে আল্লাহ!আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন ৷ আমিন
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ,
      খুব সুন্দর ও চমৎকার আলোচনা।
      মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ ভাই চমৎকার লিখেছেন আপনার লিখাটা খুবই উপকারী ও সাহিত্য সম্মত!
        আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার যেরকম প্রশংসা করেছেন তাও অনেক আনন্দ দিয়েছে আমার হৃদয় কে!

        আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম বাড়িয়ে দিক আমিন! শাহাদাহ নসীব করুন আমিন! চিরস্থায়ী জান্নাতের সু উচ্চ মাকামে রাসূলে আকরাম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গী করুক আমিন!
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আমাল করার তৌফিক দান করেন, আমাদের গাফলতিকে দূর করে দেন।
          আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

          Comment


          • #6
            মাশা'আল্লাহ। অনেকদিন ধরেই ভাইয়ের পোষ্ট কামনা করছিলাম। বিভিন্ন বিষয়ে ভাই সুন্দর সুন্দর পোষ্ট দিয়ে থাকেন। আল্লাহ সুব. ভাইয়ের মেহনতকে কবুল করুন ও উত্তম বিনিময় দান করুন,আমীন।
            বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
            কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, ভাই অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন, অনেক কিছু শিখতে পারলাম, আল্লাহ আপনাদের মেহনতকে কবুল করুন

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ! পোস্টটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ।
                পড়তেই মনে হয় যেন বাস্তবেই এমন অবস্থা নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করছি ।
                আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এর যথাযথ ক্বদর করার ক্ষমতা নসীব করুন আমীন ।
                হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
                ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ ৷ ভাই খুবই সুন্দর আলোচনা করেছেন ৷ বারাকাল্লাহ ফি ইলমিক ৷
                  আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
                  আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

                  Comment


                  • #10
                    মাশাআল্লাহ।
                    অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
                    আল্লাহ আপনার কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X