Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০২রা এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০২রা এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    যুক্তরাষ্ট্রে “টেস্টিং কিটের অভাবে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা



    করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যার বিবেচনায় তালিকার শীর্ষে এখন যুক্তরাষ্ট্র, এবং এই পরিস্থিতির জন্য বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রস্তুতির অভাবকেই দায়ী করছেন।।

    নিউইয়র্ক থেকে একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ টেস্টিং কিট বাজারে আনতে এত দেরি করেছে যে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত অসংখ্য লোক টেস্ট করাতে না পেরে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে থেকেছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

    ডা. খন্দকার নিউইয়র্কের অভিবাসী-প্রধান কুইন্স এলাকার এলমহার্স্ট হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এবং ২৫ বছর ধরে তিনি আমেরিকায় ডাক্তারি করছেন। পাশাপাশি তার একটি আউটপেশেন্ট মেডিক্যাল সেন্টারও রযেছে।

    “আউটপেশেন্ট সেন্টারগুলোতে যেহেতু আমরা টেস্ট করাতে পারছি না – তাই আক্রান্ত লোকেরা ১০-১২দিন ধরে বাড়িতে বসে আছে এবং তা অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে” – বিবিসি বাংলার শাকিল আনোয়ারকে বলেন ডা. খন্দকার।

    আমেরিকায় করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এখন চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে, এবং যে মাত্রায় সেখানে করেনাভাইরাস ছড়াচ্ছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মৃতের সংখ্যা দুই লাখে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।

    সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়িয়েছে নিউইয়র্ক রাজ্যে, বিশেষ করে এ রাজ্যের অন্তর্গত নিউইয়র্ক সিটিতে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী যেখানে মৃতের সংখ্যা নয়শ’ ছাড়িয়ে গেছে।




    ডা. খন্দকার বলছিলেন, “নিউইয়র্কের ৭০ শতাংশ লোকই মনে হচ্ছে আক্রান্ত হয়ে গেছে। গত বছর এই সময়ে আমরা সর্দি-কাশির রোগী পেয়েছি ১০-১২ শতাংশ। এবার দেখছি হাসপাতালে ৮০ শতাংশ লোকই এসব লক্ষণের কথা জানাতে ফোন করছে।”

    “আমার আউটপেশেন্ট হেলথ সেন্টারে চারজন অপারেটর আছে। সেখানে এত ফোন আসছে যে তারা সামাল দিতে পারছে না। প্রতিদিন কমপক্ষে আশিজন করে লোক ফোন করছে। সবাই বলছে, আমার সর্দি, আমার কাশি, আমার শ্বাসকষ্ট – আমার কী হবে, আমি কী করবো?”

    “আমি যে এলমহার্স্ট হাসপাতালে কাজ করি সেটা নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায়। সেখানে এখন যত রোগী ভর্তি আছে তার ৯৫ শতাংশই হচ্ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত। প্রচুর রোগী মারা যাচ্ছে সেখানে। এই হাসপাতালটির চারপাশে প্রায় ১০ মাইল ব্যাসার্ধের এলাকার অধিকাংশই অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। বেশির ভাগ অভিবাসী সম্প্রদায়ের। তাদের জীবনযাপন বা চলাফেরা অতটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সেই কারণে এই মানুষগুলোই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।”

    কিন্তু কী করে নিউইয়র্কের মতো একটা আধুনিক শহরে এমন অবস্থা তৈরি হতে পারলো?

    ডাক্তার খন্দকার বলছিলেন, “আসলে করোনাভাইরাস ‘টেস্টিং কিট’ সময়মতো আসে নি। আসছে, আসবে করতে করতে এক মাস দেরি করে ফেলেছে। এটা হলো এক নম্বর কারণ। দু নম্বর কারণ, এই টেস্টিং কিট যখন এলো, তখনও এটা পাওয়া যাচ্ছে শুধু মাত্র হাসপাতালগুলোতে। মেডিক্যাল সেন্টারগুলোতে নয়। সে জন্য আক্রান্তদের যে টেস্ট করা হবে, তারপর চিকিৎসা হবে – সেটা করাই যাচ্ছে না। ”

    তিনি বলছেন,”সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি তিন থেকে পাঁচদিনে ভালো হয়ে যায় কিন্তু এই ভাইরাস থাকে ১০ থেকে ১২ দিন। সবাই বাসায় বসে থেকে ভালো হবার চেষ্টা করছে কিন্তু যে সাবধানতাগুলো অবলম্বন করতে হয়, তা কেউ করছে না। যেহেতু টেস্ট করা যাচ্ছে না – তাই সবাই ভাবছে তার সাধারণ সর্দিকাশি হয়েছে।”

    “তারা যদি জানতে পারতো যে তাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে তাহলে তারা ফুল কোয়ারেন্টিনে যেতে পারতো কিন্তু সেটা হচ্ছে না।”

    এজন্য আামি সরকারকেই দায়ী করবো। প্রথমেই যদি তারা লক্ষ লক্ষ ডায়াগনস্টিক কিট দিয়ে দিতো, তাহলে পরিস্থিতি এমন হতো না। সরকার প্রথম দিকে ব্যাপারটা পাত্তাই দেয় নি। তার পরও কিট আনতে আনতে তিন সপ্তাহ দেরি করে ফেলেছে।

    এ অবস্থায় ডাক্তাররা তাহলে কতটা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন?

    জবাবে ডাক্তার খন্দকার বলেন, “হাসপাতালগুলোর অবস্থা সত্যি খুব খারাপ। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক আমরা ৫ সেকেন্ড ব্যবহার করে ফেলে দিই, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন সেই মাস্ক আমাদের পুরো এক দিন পরে থাকতে হচ্ছে। এর চেয়ে উন্নত যে মাস্ক – তা অনেককে সাতদিন ধরে ব্যবহার করতে হচ্ছে। আর পিপিই অর্থাৎ সংক্রমণ প্রতিরোধী অন্যান্য সরঞ্জামের কথা বাদই দিলাম। ”

    “বাংলাদেশী ডাক্তার আমরা যারা আছি – তাদের ৯০ ভাগ ইতোমধ্যেই সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বেরিয়ে এসেছেন। ”

    বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কতজন এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন?

    ডা. খন্দকার বলেন, “এখন পর্যন্ত ৩০ জনের কথা শোনা যাচ্ছে, কিন্তু আমরা তাদের কথাই জানতে পারছি যাদের কথা মিডিয়ায় এসেছে সাথে আমার ধারণা আরো ২৫-৩০ জন আছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০এর বেশি হবে। ”

    আমি প্রথম দিকে খুব ভয়ে ছিলাম যে, আমার এত প্রিয় এই শহরে এমন একটা ঘটনা ঘটছে কিন্তু আমরা কিছু করতে পারছি না। অনেক পরিচিত রোগী হাসপাতালে যেতে চাচ্ছে, কিন্তু পারছে না। অনেকে হাসপাতালে গিয়ে আর ফিরে আসছে না। অনেক বন্ধু-বান্ধবের মৃত্যু দেখে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।

    “আমার এক বন্ধু – তিনি সিনিয়র ডাক্তার – আমাকে সেদিন বললেন, তার সহকর্মীরা সবাই আক্রান্ত। তিনি না পারছেন হাসপাতালে গিয়ে কাজ করতে, না পারছেন বাসায় বসে থাকতে।”

    “আমরা যারা আউটপেশেন্ট করছি তারা টেলিমেডিসিন করছি। ভিডিওর মাধ্যমে রোগী দেখছি। কিন্তু এটা হচ্ছে যান্ত্রিকভাবে রোগী দেখা। প্রথম দিকে আমি পিপিই দিয়ে দেখতাম।”

    “কিন্তু তার পর আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে গেলাম। তার পর আমি ইনকিউবেটর বানালাম। ইনকিউবেটরের ভেতর থেকে রোগী দেখতাম, রোগী চলে গেলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতাম। কিন্তু এভাবে কি রোগী দেখা হয়? ”

    “রোগী দেখতে হলে তো নিজ হাতে তা পালস অনুভব করতে হবে। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে কতদিন চলবে?” – বলছিলেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

    সূত্র: বিবিসি বাংলা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35498/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    করোনায় সস্ত্রীক আক্রান্ত ইসরাইলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী



    ইসরাইলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াকোভ লিটজম্যান ও তার স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

    বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদোলু ও আলজাজিরার।

    ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭১ বছর বয়সী ইসরাইলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াকোভ লিটজম্যান ও তার স্ত্রীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাদের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের পরই আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ইসরাইল সরকারের সবচেয়ে প্রবীণ মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের একজন ইয়াকোভ লিটজম্যান।

    করোনা পরিস্থিতির পর তিনি বাড়িতে বসেই সরকারি কাজকর্ম করছিলেন। এর পরও আক্রান্ত হলেন তিনি। তিনি কীভাবে সংক্রমিত হলেন সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।

    এদিকে করোনাভাইরাস এড়াতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

    সোমবার ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, সম্প্রতি নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এক উপদেষ্টা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তিনি কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রসঙ্গত ইসরাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬ হাজার ৯২ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪১ জন। দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, দেশটিতে প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35500/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমালিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু



      করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবার প্রাণ হারালেন সোমালিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূর হাসান হুসেন। লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

      তার পরিবারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ‘বিবিসি’।

      মৃত্যুর সময় নূর হাসানের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি ২০০৭ সালের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত সোমালিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35446/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মালাউনদের অষ্টমীর স্নান



        দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মালাউন হিন্দুদের ভ্রান্ত্র বিশ্বাসের বাতিল উৎসব ‘অষ্টমীর স্নান’- যোগ দিতে হিন্দুদের ঢল নেমেছে স্নানে ।

        করোনাভাইরাস সতর্কতায় জনসমাগম রোধে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে এই উৎসব স্থগিত করা হলেও মানছেন না হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

        বুধবার ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার পূণ্যার্থী কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপূত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ছোট দলে অষ্টমীর ‘পাপমোচন স্নান উৎসবে’ মেতে ওঠেন। সূত্র: ইসলাম টাইমস

        এ নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগে স্নান উৎসব বাতিল করলেও কেউ কেউ তা মানছেন না। দল বেঁধে পরিবারের লোকজন ‘পাপমোচনে পূণ্যস্নানে’ অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও স্নান উপলক্ষে বসে ছোট খাট মেলা। পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35444/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর যোগী আদিত্যনাথ’



          নাগরিক অধিকার নিয়ে যে কোন আন্দোলনে একবার হলেও রাজপথে দেখা যায় দেবজ্যোতি মিশ্রকে। অনেকে তাকে বুদ্ধিজীবি হিসেবেই জানেন।



          এবার উত্তরপ্রদেশে শ্রমিকদের গায়ে কীটনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন সেই দেবজ্যোতি মিশ্র। তিনি করোনার এই সংকটময় মুহূর্তে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় বলতে চেয়েছেন, করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর যোগী আদিত্যনাথের কাজকর্ম।

          তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একাউন্টে লিখেছেন, ‘মাফ করবেন, সত্যি বলছি কবিতা গান সিনেমা টিনেমা থিয়েটার ফিয়েটার কমিউনিজম ফমিউনিজম .. ফটো চ্যালেঞ্জ ট্যালেঞ্জ পুরো আ# বা# লাগছে!!’ এরপরেই তিনি যোগীকে করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর বলতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই আমরা বেঁচে আছি!! করোনা নয় রে দোস্ত! যোগী সরকার কি করছে দেখছেন.. !!!!!

          ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘রাস্তার একপাশে মাটির উপর উবু হয়ে বসে রয়েছেন একদল মানুষ। পিঠ থেকে ব্যাগপত্র পর্যন্ত নামানোর সুযোগ পাননি তাঁরা। সেই অবস্থাতেই তিন দিক থেকে তাঁদের উপর নির্বিচারে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। যে স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন, বিশেষ পোশাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢাকা রয়েছে তাঁদের। কিন্তু পরনের জামাটুকু ছাড়া আর কোনও সুরক্ষার আবরণ নেই মাটিতে বসে থাকা মানুষগুলির শরীরে। জীবাণুনাশকে ভিজতে ভিজতেই কেউ রুমালে মুখ ঢেকে রেখেছেন। কেউ আবার নিজে ভিজছেন, কিন্তু হাত বাড়িয়ে বাচ্চার চোখ দু’টি ঢেকে রেখেছেন, যাতে জীবাণুনাশক কোনও ভাবে তার চোখে প্রবেশ না করে।’

          একইসঙ্গে তিনি আরো লিখেছেন, ‘নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হতদরিদ্র শ্রমিকরা যখন ঘরে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, ঠিক সেইসময় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগীর রাজ্য থেকে এমনই ঘটনা সামনে এল। ঘরে ফেরা শ্রমিকদের জীবাণুমুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে যদিও সাফাই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গোটা ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তাদের বিরুদ্ধে ‘অমানবিক’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন সোশ্যাল এক্টিভিস্ট ও রাজনীতিকদের একাংশ। সূত্র- কলকাতা ২৪X৭।

          সম্প্রতি বরেলীর একটি চেকপয়েন্টের কাছে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাসে চেপে দিল্লি, হরিয়ানা এবং নয়ডা থেকে ওই সমস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ ফিরেছিলেন। কিন্তু বাস থেকে নামতেই বাড়ি ফিরতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। বরং মহিলা, শিশু সমেত ওই শ্রমিকদের রাস্তার এক পাশে উবু হয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়। পিঠের ব্যাগপত্রও নামানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁদের। শুরু হয় বিষ মেশানো পানির স্প্রে তাদের উপর।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35445/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            জীবনের যেন কোন মূল্য নেই, আবারো সন্ত্রাসী বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত



            ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোষপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত সন্ত্রাসী বিএসএফ’র গুলিতে জয়নাল আবেদিন (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

            আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে চোষপাড়া সীমান্তের এস ৩৭৯নং পিলারের সন্নিকটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। নিহত জয়নাল আবেদিনের বাড়ী রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে। রিপোর্টঃ বিডি প্রতিদিন

            স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিমের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, জয়নাল বিয়ে করেছে ভারতের পানজিপাড়া গ্রামে।

            চোচপাড়া সীমান্ত দিয়ে শ্বশুড়বাড়িতে যাতায়াত করতো। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা শ্বশুবাড়ি যাওয়ার সময় বিএসএফ’র সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি লেগে জয়নাল মারা গেলে তার লাশ তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ।

            ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল শহীদ জানান, সীমান্ত একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনা শুনেছি। আমরা এখনও নিশ্চিত না। খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35477/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২দিনে সারাদেশে ৯জনের মৃত্যু



              করোনাভাইরাসে সংক্রমণের উপসর্গ সর্দি-জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারােদেশ গত ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, নড়াইল, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম ও ফেনীতে গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

              এদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশুও রয়েছে। তবে এরা সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্র: ইত্তেফাক।

              রাজশাহী: মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সর্দি-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া বুলবুল (২২) মারা যান। তার বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়। রামেক হাসপাতালের করোনা চিকিত্সা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ জানান, সর্দি-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুলবুল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভর্তি হন। এরপর তাকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। সেখানে অক্সিজেন দেওয়ার সময়ই তিনি মারা যান। তার অ্যাজমা ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। তবে তারা কোনো চিকিত্সা দেওয়ার সুযোগ পাননি। তার আগেই তিনি মারা যান।

              তিনি আরো জানান, বুলবুলের করোনার উপসর্গ ছিল কি না তাও তাত্ক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় নমুনা সংগ্রহও করা যায়নি। তবে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা খুব জরুরি ছিল। রাতেই মরদেহ বাড়ি নিয়ে গেছে তার স্বজনরা। মৃতের স্বজনরা জানান, গত তিন/চার দিন ধরে বুলবুল সর্দি-জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ভুগছিল। তবে রামেক হাসপাতালে উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, যে যুবক মারা গেছেন, তার সর্দি-কাশি ছিল না। কিন্তু শরীরে জ্বর ছিল। তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু স্বজনরা তার লাশ নিয়ে চলে গেছেন।

              সাতক্ষীরা: বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দকাটি গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে রাশিদা খাতুন শিল্পী (২৫) গত ২৭ মার্চ পাশের ফতেপুর গ্রামে স্বামী সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। গৃহবধূ শিল্পী দুই সন্তানের জননী। কয়েক দিন তার গায়ে ছিল জ্বর। ছিল শ্বাসকষ্ট ও কাশি। এ অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। আর এ মৃত্যু নিয়ে এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।

              বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হলেও তিনি গৃহবধূর দাফন যাতে যথাযথ মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য তিনি সেখানে অবস্থান করেন।

              শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা গেছেন। নড়িয়া নিবাসী রফিকুল ইসলামকে (৩৫) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তিনি উপ?জেলার মোক্তা?রের চর ইউনিয়?নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি ৯ নম্বর ওয়া?র্ডের এক?টি বা?ড়ি?তে ভাড়া থাক?তেন। তার পিতার নাম হামিদ বেপারি। তি?নি শ্রমিক ছিলেন।

              শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, গত ১৯ মার্চ রফিকুল ইসলাম শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২৩ মার্চ পর্যন্ত চিকিত্সাধীন ছিলেন। তখন তার যক্ষ্মা ধরা পড়েছিল। এরপর সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মতে সে বাড়িতে অবস্থান করে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে আসছিল। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, যক্ষ্মার জন্য বাড়িতে বসে তিনি ডাক্তারের পরামর্শ মতে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে আসছিলেন।

              করোনার উপসর্গ থাকায় মৃত ব্যক্তির শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

              নড়াইল : নড়াইলে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, পাতলা পায়খানা, গা ব্যথা নিয়ে শওকত আলী (২৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে শওকত আলী নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান। তিনি নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এলাকার ওমর আলীর ছেলে। তবে করোনার উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও মৃতের কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শওকত শ্বাসকষ্ট ও বমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরে মারা যান। তার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

              ঝালকাঠির কাঠালিয়ার আমুয়ায় জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩ বছরের শিশু আলভী সরদার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা গেছে। এ ঘটনায় ঐ বাড়ির ৬টি পরিবারের ৩০ জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নিহত আলভী আমুয়া সরদার পাড়ার সহিদ সরদারের ছেলে।

              চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬০ বছর বয়সি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এর করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছিল না বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী।

              করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে থাকা এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ওই কিশোর মারা যায়। তবে নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ।

              ফেনী: মোহাম্মদ রিপন (৩০) নামে এক শ্রমিক জ্বর, সর্দি-কাশিতে মারা গেছেন। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। নিহত রিপন ঐ গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে রিপনের জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা হতে থাকে। গত সোমবার সকালে তার স্বজনরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিত্সক তাকে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার রাত থেকে রিপনের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। একপর্যায়ে বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। রিপন ফেনী শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল সংলগ্ন একটি গ্রিল ওয়ার্কশপে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

              বগুড়া: বগুড়ায় করোনা উপসর্গে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তির পর সিয়াম (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে গুরুতর শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ভর্তির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। সে গাবতলীর মহিষাবান গ্রামের আব্দুল গফুর সরকারের পুত্র।

              প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-কাশি নিয়ে তার স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। শিশুটি করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত ছিল কি না তা পরীক্ষা করার পর জানানো সম্ভব হবে। এদিকে শহরের নাটাইপাড়া এলাকার এক নারী ৩ দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর তার কাশি, পাতলা পায়খানা এবং শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35456/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আবারও ২৬ বস্তা চালসহ লুটেরা আ’লীগ নেতা আটক



                সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের ২৬ বস্তা চালসহ মজিবর সানা (৫০) নামে সাতক্ষীরার স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে।

                আজ বুধবার (১ এপ্রিল) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল বাজার থেকে দুপুর ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

                আটক মজিবর সানা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের সাজউদ্দীনের ছেলে ও বড়দল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১০ টাকা কেজি দরের চালের ইউনিয়ন ডিলার।

                বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম মোল্লা জানান, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবার সানা বড়দল ইউনিয়নের চালের ডিলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ১০ টাকায় গরিবদের মাঝে বিক্রি না করে তিনি ব্যবসায়ী শাহজাহানের নিকট বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে শাহজাহানের দোকানের পেছনে লুকিয়ে রাখা ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।

                আশাশুনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ না করে বড়দল ইউনিয়নের চালের ডিলার মজিবর সানা ব্যবসায়ী শাহজাহানের ঘরে গুদামজাত করে রেখেছিলেন।

                সূত্র: প্যাসেন্জার নিউজ


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35455/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  দেশে সরকার ঘোষিত ছুটিতে ৪ দিনেও ভাত খাননি বশির পাগলা



                  সিরাজগঞ্জের বশির পাগলার এখন সময় কাটে দিন গুনে গুনে। কয়েকদিন পর দেশে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হবে। খুলবে হোটেলসহ দোকানপাট গুলো। আর মিলবে তার কাক্ষিত রুটি ভাত তরকারি। বর্তমানে তার অখন্ড অবসরে সে সময় পার করছে শহরের কোন পথচারী, ওষুধের দোকান কিংবা খোলা কোন মুদি দোকানিকে প্রশ্ন করে।কয়দিন পরে এই ছুটি শেষ হবে? মাঝে মাঝে তিনি আশায় বুক বাঁধেন, বিড়বিড় করে বলেন আজ গেলে কাল তারপর পরশু এর পর আছে তিন দিন বাকি তখন সবকিছুই খোলা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে সরকারি ছুটি আরো বাড়িয়ে দেওয়ায় কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন তিনি।

                  ষাটোর্ধ্ব এই বশির পাগলা সিরাজগঞ্জে একজন পরিচিত মুখ। প্রায় ৪০ বছর ধরে তার এই শহুরে জীবন। প্রতিদিন সকালে শহরের দুই তিনটি দোকান থেকে তার নাস্তা হিসেবে বরাদ্দ মেলে পাওরুটি অথবা পরোটা। আর রাতে নির্ধারিত দুটি হোটেল থেকে পায় ভাত তরকারি। আর শহরের কোন বাড়িতে বিয়ে জন্মদিনসহ যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি থাকে স্বাভাবিক। রাতে শহরের কোন ফুটপাতে অথবা রেলস্টেশনে তার নিশ্চিন্ত ঘুম। তার দীর্ঘ জীবনে প্রাত্যহিক এই নিয়মের খুব একটা ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু গত পাঁচ দিন ধরে বশির পাগলার জীবনে এসেছে উদ্বেগ। তবে এই উদ্বেগ তার করোনাভাইরাস নিয়ে নয় তার উদ্বেগ কবে খুলবে হোটেল আর তার পরিচিত বেকারির দোকানগুলো। যে দোকানগুলো থেকে সে প্রতিদিন তার কাক্ষিত খাবার পায়। বশির পাগলার মতো সিরাজগঞ্জ শহরে রয়েছে আরো অন্তত পাঁচজন অপ্রকৃতস্থ মানুষ যাদের অনুভূতি ঠিক একই রকমের। সরকারি বেসরকারি সহায়তা পেলেও রান্না করে খাওয়ার অভিজ্ঞতা তাদের নেই। বাড়ির সাথেও তাদের যোগাযোগ নেই বললেই চলে। গুটি কয়েক হোটেল মালিক আর শুভাকাক্ষিরাই তাদের ভরসা।
                  কারণ তারা হোটেল আর বেকারির উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়েই দিন পার করছেন। যা বন্ধ রযেছে পাঁচ দিন ধরে।
                  মঙ্গলবার রাতে কথা হয় বশির পাগলার সাথে। প্রথম দেখাতেই তার প্রশ্ন এই বন্ধ আর কয়দিন থাইকপো? এর চেয়ে হরতাল ভালো কি কন? প্রশ্নের জবাবে জানালেন গত চারদিন ধরে তিনি ভাত খাননি। বিস্কুট আর কলা খেয়ে কাটিয়েছেন এই দিনগুলো। করোনাভাইরাস নিয়ে তার ভয় করছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন ভাইরাস ভালো হোটেল বন্ধ ভালো না। কয়েক মিনিটের আলাপ পরিচয় এই প্রৌর মানুষের মুখে করোনাভাইরাসের মত মহামারীর দুর্যোগের চাইতে পেটের তাগিদে বড় হয় ফুটে ওঠে। সর্বশেষ সরকারি ছুটি আরো কয়েকদিন বাড়িয়ে দেওয়ার খবর শুনে মুষড়ে পড়েন তিনি। তারপরেও অপ্রকৃতস্থ এই মানুষটি আশায় বুক বেঁধে একাকী বলে ওঠেন কয়েটা তো দিন দেখতে দেখতে পার হইয়া যাইবো।

                  খবর- কালের কণ্ঠ


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35461/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    থামছে না আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্ম, এবার যুবলীগ নেতার লাথিতে আশঙ্কায় অন্তঃসত্ত্বা নারী



                    পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি মেরেছে এক যুবলীগ নেতা। আরও অভিযোগ, ভুক্তভোগীর স্বামী ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে গভীর রাত পর্যন্ত তাকে বসিয়ে রেখেও শেষ পর্যন্ত মামলা নেয়নি আওয়ামী দালাল পুলিশ। অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন তার স্বামী।

                    ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর পল্লবীতে। ভুক্তভোগীর নাম মায়া বেগম। আর এই সন্ত্রাসীর নাম মো. রওশন আলী। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ৯১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি। গত সোমবার সকালে পল্লবীর সেকশন ১২, ই-ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের ৮৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে, যা লিটনের বাসা হিসেবে পরিচিত।

                    সোমবার পেটে লাথি মারার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মায়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান তার স্বামী মো. মিলন মিয়া। সন্ধ্যায় তারা বাসায় ফেরেন। এর পর মিলন মিয়া রাত আটটার দিকে পল্লবী থানায় মামলা করতে যান। তাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয় দীর্ঘ সময়। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও আওয়ামী দালাল পুলিশ তার মামলা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাসায় ফিরে যান। গত মঙ্গলবার এসব কথা জানান মিলন। স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, উদ্বেগের সঙ্গে বলেন তিনি।

                    মামলা গ্রহণ না করার বিষয়ে গতকাল বুধবার বিকালে যোগাযোগ করা হলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, মারামারির ঘটনার পর জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসা শেষে তাদের থানায় আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেননি। অন্তঃসত্ত্বার স্বামী মামলা করতে থানায় এসেও ফেরত গেছেন- এমন অভিযোগ সত্যি নয়, দাবি করেন ওসি।

                    মিলনকে মারধর ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মো. রওশন আলী বলেন, ‘একটু মারামারি হইছিল। ওইটা সমাধান হয়ে গেছে।’

                    পেশায় রাজমিস্ত্রি মিলন জানান, সপরিবারে তিনি শুকুর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার সকালে বাসার অদূরেই লিটনের বাসায় পানির ট্যাংকের ঢালাই কাজে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লিটনের পরিচিত যুবলীগ নেতা রওশন আলী ঢালাই কাজ ভালো হচ্ছে না জানিয়ে তিরস্কার করতে থাকেন। একপর্যায়ে মিলনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে শুরু করেন। এ সময় মা-বোন তুলে গালাগাল দিতে নিষেধ করেন মিলন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যান রওশন। তিনি মিলনকে মাটিতে ফেলে মারধর করতে থাকেন।

                    প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান মায়া বেগম তার স্বামীকে বাঁচাতে। তখন তাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন রওশন। একপর্যায়ে মায়ার গায়েও হাত তোলেন। এ সময় মায়া ডাকাডাকি শুরু করলে রওশন আলী তার তলপেটে সজোরে লাথি মারেন। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন মায়া; অজ্ঞান হয়ে যান। এর পর মায়াকে নিয়ে তারা যান ঢামেক হাসপাতালে।

                    মিলন জানান, প্রথমে পুলিশ মামলা নিতে চাইলেও কোনো একজন ব্যক্তির একটি ফোন আসার পর শুরু হয় তাদের গড়িমসি। অপেক্ষারত সময়ে এক পুলিশ সদস্য মিলনকে বলেন, তিনিই ঘটনার বিচার করে দেবেন। এ নিয়ে যেন বেশি বাড়াবাড়ি করা না হয়। কিন্তু তার প্রস্তাবে সাড়া দেননি মিলন। তবু তার মামলা নেওয়া হয়নি।

                    অন্তসত্ত্বা স্ত্রী সম্পর্কে মিলন জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, আঘাতের কারণে মায়ার পেটের বাচ্চারও জখম হয়েছে। তবে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে তার ও গর্ভের শিশুর। একথা জানিয়ে চিকিৎসকরা ওষুধ লিখে দেন এবং পরামর্শ দেন বাসায় চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার। সন্ধ্যায় মায়াকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। তিনি জানান, মায়ার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন তিনি।

                    রিপোর্টঃ আমাদের সময়


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35467/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      এবার ঘাটাইলে তাগুত ইউএনও বন্ধ করলো শরীয়াহ অনুমোদিত জায়েজ বিয়ে



                      টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা তাগুত নির্বাহী কর্মকর্তার কথিত বাল্যবিবাহের নামে জায়েজ বিয়ে বাতিল করে দিল। গত বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে উপজেলার দিগর ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

                      বুধবার রাতে ঘাটাইলের উপজেলা তাগুত নির্বাহী কর্মকর্তা দিগড় ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রমের মজনু মিয়ার মেয়ে মেঘলার বিয়ে ভেঙে দেয়। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার টিলাবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়া (১৮) সাথে বিয়ের আয়োজন করা মেয়েটির।

                      বুধবার রাতেই বরপক্ষ লোকজন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার রাতে দিগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ মামুনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর মেয়ের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছ থেকে মুচেলেকা নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয় উপজেলা তাগুত হিন্দু নির্বাহী কর্মকর্তা।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35475/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        শিমুলিয়ায় বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারীরা পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন



                        ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) না থাকায় মুন্সীগঞ্জ শিমুলিয়া ঘাটের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিসি’র একজন কর্মী রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

                        ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোনো প্রকাশ সহযোগিতা না পেয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

                        নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মচারী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইউএনবিকে জানান, সরকার ছুটি ঘোষণা করায় লাখো যাত্রী শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ফেরি পার হয়ে বাড়ি যায়। এ সময় সত্যজিৎ রায় নামে তাদের একজন প্রান্তিক সহকারী জ্বরে আক্রান্ত হন। তার জ্বর, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্টের সাথে বমিও শুরু হয়েছে। দুই মাস আগে বিয়ে করা ওই কর্মী মাওয়া আবু নাসের সুপার মার্কেটের পেছনে জীবন দাসের ভবনে বাস করছেন।

                        তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা চেয়ে তা পাওয়া যায়নি। বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে পিপিই বা সুরক্ষা পোশাক চাইলেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো প্রকার সহযোগিতা করেনি। ‘আমরা এ অবস্থায় কিভাবে কাজ করবো,’ যোগ করেন তিনি।

                        রিপোর্টঃ সংগ্রাম


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35470/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          লকডাউনকে পুঁজি করে চাঁদাবাজি করে ধরা খেলো কনস্টেবলসহ তিনজন, গণধোলাই



                          কভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া দেশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে দোকান খোলায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গণহারে চাঁদাবাজির এক পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়কুমিরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

                          বিডি প্রতিদিন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে তিন যুবক উপজেলার কুমিরা বাজারে একটি প্রাইভেটকারযোগে উপস্থিত হয়। একজন নিজেকে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে লকডাউনের মধ্যে দোকান খোলার কারণ কী- এমন প্রশ্ন করে ধমকাতে থাকেন। তার সঙ্গে পিস্তলের বাক্স থাকায় তাকে সিভিল পুলিশ মনে করে ভয় পেয়ে যায় ব্যবসায়ীরা।

                          তিনি অন্তত ১২-১৫টি দোকান থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। কয়েকজন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহেল রানা জোর জবরদস্তি তাদের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুটে নিতে থাকেন।

                          পরে এলাকাবাসী তিনজনকেই আটক করে গণধোলাই দেয়। তাদেরকে আটক রেখে সীতাকুণ্ড থানায় খবর দিলে ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে ছুটে যান। তারা জনতাকে শান্ত করে এলাকাবাসীকে সাক্ষী করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

                          আটককৃত সোহেল রানা বর্তমানে দামপাড়া পুলিশ লাইনে আছেন।

                          কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল মো. সোহেল রানা, তার একজন সোর্স ও গাড়ি চালক নিয়ে জোর করে টাকা লুট করতে থাকে তারা। একজন পুলিশ ক্যাশ থেকে নিজ হাতে টাকা লুট করছে শুনে আমাদেরও সন্দেহ হয়। এর আগে তারা জোড়ামতল বাজারেও চাঁদাবাজি করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই এলাকাবাসীও বিষয়টি সন্দেহ করে তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দেয়।

                          নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সোহেল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কনস্টেবল। সীতাকুণ্ড থানার অফিসার পরিচয়ে সে এ অপকর্ম করেছে।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35487/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            বিমানবাহী জাহাজ খালি না করলে সেনারা সবাই মারা যাবে: মার্কিন ক্যাপ্টেন



                            মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থিওডোর রুজভেল্টের ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, করোনাভাইরাসে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত বিমানবাহী এ রণতরীকে শিগগিরই খালি না করা হলে আমেরিকা নাবিকেরা সব মারা যাবে। জাহাজে অন্তত পাঁচ হাজার নৌ সেনা রয়েছে।

                            প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থানরত জাহাজ থিওডোর রুজভেল্টে আরো এক সপ্তাহ আগে বেশ কয়েকজনকে পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করা হয়। এ সম্পর্কে চার পৃষ্ঠার চিঠিতে ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ার জাহাজের পরিস্থিতি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।

                            পরমাণুচালিত ওই জাহাজটির আরো সেনাকে এরইমধ্যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিমানবাহী এ যুদ্ধজাহাজে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনে রাখার সুবিধা নেই। বর্তমানে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জাহাজে খুবই ধীরগতিতে প্রচেষ্টা চলছে এবং এভাবে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করা যাবে না।

                            ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ার বিমানবাহী জাহাজের সেনাদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “স্বল্প সময়ের মধ্যে এসব সেনাকে জাহাজ থেকে আইসোলেশনে নেয়া দরকার। আমরা বর্তমানে যুদ্ধের ভেতরে নেই এবং সেনাদের মরারও প্রয়োজন নেই।” তিনি বলেন, “এখনই যদি সঠিক সিদ্ধান্ত আমরা না নিতে পারি তাহলে আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সম্পদ আমাদের সেনাদেরকে আমরা হারাবো।” তিনি আরো বলেছেন, জাহাজে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/02/35493/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                              Comment

                              Working...
                              X