Announcement

Collapse
No announcement yet.

তামিম আদনানি সাহেবের ব্যাপারে সংশয়ের আরো একটি জবাব!!!!!!!!!!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তামিম আদনানি সাহেবের ব্যাপারে সংশয়ের আরো একটি জবাব!!!!!!!!!!!

    তামিম আল আদনানি সাহেব সম্পর্কে সংশয় নিরসনঃ
    وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصبحه أجمعين. أما بعد
    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দিক বিষয় টি একটু স্পস্ট করে তুলে ধরার। আমিন , ইয়া রাব্বাল আলামিন।
    আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক সাহেবের ছেলে যেই বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যটি আসলে বর্তমান যমানার বিবেচনায় একটি ভিত্তিহীন মতের উপর প্রতিষ্ঠিত।
    (১) কেননা উনি যেই মত টি উল্লেখ করেছেন যে মাজহুল ব্যক্তি থেকে কোন ইলম নেয়া যায় না। এটি হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি ছিল।
    আর উল্লেখ্য হাদিসের ক্ষেত্রে যেই মাজহুল আর মারুফের কথা বলা হয়েছে সেটা কেবল হাদিস সংকলনের যুগের সাথেই খাস। কেননা ঐ সময়ের অবস্থাটা এমন ছিল যে তাদের সামনে রাবি অর্থাৎ হাদিস বর্ণনাকারী ব্যতিত হাদিস জানার কোন মাধ্যম ছিল না। রাবি হাদিস বর্ণনা করবে আর উনারা হাদিস শুনে নিবে তার কাছ থেকে। তাই ঐ সময় এই বিষয় টা জানা জরুরি ছিল যে, যার থেকে আমি হাদিস টি শুনেছি, সেকি সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদি, সে কি দুর্বল স্মৃতি শক্তির অধিকারি নাকি প্রখর স্মৃতি শক্তির অধিকারি। সেকি ফাসেক নাকি নেককার। সেই কি ন্যায়পরায়ণ নাকি জালেম। এরকম আর অনেক কিছু। কেননা এগুলার উপর নির্ভর করবে তার থেকে হাদিস নেয়া যাবে নাকি যাবে না।
    এখন যেহেতু তার অবস্থা আমার জানা নাই তাই তখন তার থেকে আমার জন্য হাদিস নিতে মানা। কেননা তার হাদিস সত্যও হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। এইজন্য তৎকালীন সময়ে মাহজুল ব্যক্তি থেকে না নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আবিস্কার হয়েছে রিজাল শাস্ত্র। যাতে করে হাদিসের ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তির কথাকেই হাদিস হিসাবে সংকলন করা না হয়। যাচাই বাছাই করে সংকলন করা হয়। আর এভাবেই সংকলন হয়েছে সমগ্র হাদিস। ফলশ্রুতিতে কোনটা সহীহ,কোনটা হাসান, কোনটা দুর্বল আর কোনটা জাল এটা তখনি নির্ণয় হয়ে গেছে। এখন শুধু আমরা সেগুলা তাদের কিতাব থেকে দেখে নিচ্ছি।
    (২)এখন আমাদের যামানার অবস্থাই শুধু না বরং যেই যুগ হাদিস সংকলনের যুগ ছিল সেই যুগের পর থেকেই উপরের মূলনীতির আর কোন দরকার হয় নি। কেননা এখন সকল হাদিসের সনদ সহ রাসুল পর্যন্ত , সাহাবি পর্যন্ত প্রমান করা হয়ে গেছে। কিতাবাদিতে তা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এখন কেউ কোন কথাকে হাদিস বলে দিলে আমদের কাজ হল কেবল, উনি কোন কিতাবের হাওয়ালাতে কথাগুলা বলেছেন সেই কিতাবের সাথে তার কথা কে মিলিয়ে নেয়া যে উনি কি ঠিক করে বলেছেন নাকি কিছু বাড়িয়ে বলেছেন বা কমিয়ে বলেছেন। অথবা তিনি হাদিস দিয়ে যেই ব্যাখ্যা করেছেন সালাফরা কি এই হাদিস দিয়ে সেই ব্যাখ্যাই করেছেন নাকি ভিন্ন কোন ব্যখ্যা করেছেন।
    এখন শুধু এতটুকুই খেয়াল করার বিষয় যে কোন স্থান থেকে কথা বলেন। তিনি কি নিজের মনগড়া কথা বলেন? নাকি কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক ভাবে আলোচনা করে। সে যেই রেফারেঞ্চেগুলা দেয় সেগুলা কি সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য। নাকি বানানো। মোট কথা হল এখন মাজহুল আর মারুফ সকলেই বরাবর।
    এখন এই জাতীয় পার্থক্যের কথা বলে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করা কখনই সমীচিন হবে না।
    Last edited by abdullah mehrab; 04-20-2020, 08:20 AM.

  • #2
    সুপ্রিয় আখি,আপনার পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ ঠিক। কিন্তু কিছু জায়গায় এডিট প্রয়োজন মনে হচ্ছে। কথা ও বানানে কিছু ত্রুটি দেখা যাচ্ছে, প্লিজ, ঠিক করে নিয়েন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      মাশাল্লাহ! আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুক!
      আখি! “আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের ছেলে যেই বক্তব্য দিয়েছেন” এই লেখাটুকু নজর বুলানোর আবেদন রইলো!

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ। এটাই এখন মূল উত্তর। এখন বাজারে হাজারো বই-পুস্তক ছড়িয়ে আছে। নেটে হাজারো বই, আর্টিকেল, অডিও-ভিডিও বয়ান আছে। এগুলো এই ভিত্তিতেই চলছে যে, এখন উদ্ধৃতিই মেইন বিষয়। ব্যক্তির অবস্থা মূল বিষয় না। যদিও মানুষের অন্তরে প্রভাব ফেলার ক্ষেত্রে ব্যক্তির অবস্থা ক্রিয়াশীল।

        Comment


        • #5
          ভাই আপনার প্রোফাইলের লোকেশন আমার কাছে বিব্রতকর ঠেকল! ফোরামে স্পেসিফিক কোন এলাকা, জেলা বা বিভাগের উল্লেখ দেয়া থেকে বিরত থাকাই কল্যানকর। লোকেশনের জায়গায় 'হিন্দুস্তান' 'উপমহাদেশ' এরকম বড় টার্ম ব্যবহার করা যায়।

          Comment


          • #6
            আচ্ছা,, শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিঃ, ওনি অনেক মানুষের কাছেই মাজহুল নন আলহামদুলিল্লাহ। শাইখ তো এদেশে আসমান থেকে পড়েনি!!! শাইখের জম্ম এদেশেয়ই।

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ, আখি, সুন্দর জবাব দিয়েছেন। আসলে গায়রে মুকাল্লিদদের সমস্যা হলো, জিহাদ নিয়ে। তামীম আদনানী হাফি. জিহাদের কথা বলেন, মানুষ তার ভক্ত হয়ে জিহাদের প্রতি আগ্রহী হয়ে যায়, এখানেই ওদের যত গা-জ্বলা। আচ্ছা, তামীম আদনানী না হয় (ওদের ধারণা অনুযায়ী) ভয়ের কারণে (মূলত কৌশলগত কারণে) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে পারেন না, তাহলে ওদের যদি এতই বুকের পাটা হয় তাহলে ওরা কেন জিহাদের কথা, ইসলামী হুকুমত কায়েমের কথা বলে না? না কি এখন মুসলমানরা সবাই ভালো আছে, তাই জিহাদের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমতও কায়েম আছে। সরকার কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ চালাচ্ছে। তাই সরকারের বিরোধীতা করাও ঠিক নয়।

              ওহহো এতক্ষণে বুঝেছি, আসলে কাফেররা তো কিছু মাযহাবী মুশরিকদের হত্যা করছে, কাফেরা মুশরিকদের হত্যা করলে এতে কি সমস্যা? আর সরকার তো সাক্ষাৎ ফিরিশতা, সরকার তো ইসলামী হুকুমত কায়েম করতেই চায়। শুধু এই মাযহাবীদের কারণে, মাতুরিদী-আশআরীদের দৌরাত্মে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে পারছে না। তাই বাংলাদেশ থেকে মাযহাব আর মাতুরিদিয়্যাত-আশআরিয়্যাত ঝেটিয়ে বিদায় করতে পারলেই ইসলামী হুকুমত কায়েম হয়ে যাবে। সেই যে মাথামোটা আবু বকর যাকারিয়া বলেছিল না, الناس على دين ملوكهم রাজাবাদশাহরা মানুষের অনুসরণ করে, মানুষ ঠিক হয়ে গেলেই তারা ঠিক হয়ে যাবে। দেখুন তাদের নেতাদের অবস্থা, আরবী ভাষাও ভালোভাবে জানে না। ّ“মানুষ রাজাবাদশার অনুসরণ করে” এর বদলে সে পুরো উল্টো তরজমা করছে, “রাজাবাদশাহরা মানুষের অনুসরণ করে।” আরে বোকা, এটার জন্য তো আরবীও জানা থাকা লাগে না, “রাজ্য চলে রাজার চালে” বাংলা এই প্রবাদটা জানা থাকলেই হয়। গায়রে মুকাল্লিদদের আরবী ভাষায় দূর্বলতা বুঝার জন্য মুযাফফর বিন মুহসিনের “জাল হাদিসের কবলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত” বইটা পড়াই যথেষ্ট।

              আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের নিকট প্রশ্ন, যারা আরবী ভাষা ঠিকমতো জানে না, তাদের থেকে ইলম নেয়ার হুকুম কি তা কি বলবেন? তাকে কি আলেম বলা যাবে? যাদেরকে আলেমই বলা যায় না তাদের থেকে কি ইলম নেয়া যাবে? আর আপনার বাবাও তো শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে না। তার থেকে ইলম নেয়ার কি হুকুম হবে? যাদের থেকে ইলম নেয়া যাবে না তাদের তালিকার শীর্ষভাগে কি আপনার বাবা আর মুযাফফর বিন মুহসিনের মতো ব্যক্তিদের নাম থাকা দরকার ছিল না ?
              الجهاد محك الإيمان

              জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

              Comment


              • #8
                প্রিয় আহলে হাদিস ভাইয়েরা,, আপনারাও আমাদের ভাই। আমরা আপনাদের অনেক অনেক মহব্বত করি।
                ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                  প্রিয় আহলে হাদিস ভাইয়েরা,, আপনারাও আমাদের ভাই। আমরা আপনাদের অনেক অনেক মহব্বত করি।
                  সাধারণ আহলে হাদিস ভাইদের আমরা সকলেই মহব্বত করি। তাদের হাদিস অনুসরণের জযবাকে স্বাগত জানাই। হাদিসের অনুসরণে রফয়ে ইদাইন বা আমিন বিল জাহর করলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তারা হাদিস অনুসরণের নামে বাস্তবে কিছু মূর্খ-ভন্ডদের অনুসরণ করে থাকে। তাই এ ভন্ডদের মুখোশ খুলে দেয়া আমাদের দ্বায়িত্ব।
                  الجهاد محك الإيمان

                  জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                  Comment


                  • #10
                    আফসোস!! অনেক দুঃখ্য লাগে যখন দেখি কোন আলিম জিহাদের বিরুদ্ধে বলে!!!!
                    ان المتقین فی جنت ونعیم
                    سورة الطور

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by আদনানমারুফ View Post
                      জাযাকাল্লাহ, আখি, সুন্দর জবাব দিয়েছেন। আসলে গায়রে মুকাল্লিদদের সমস্যা হলো, জিহাদ নিয়ে। তামীম আদনানী জিহাদের কথা বলেন, মানুষ তার ভক্ত হয়ে জিহাদের প্রতি আগ্রহী হয়ে যায়, এখানেই ওদের যত গা-জ্বলা। আচ্ছা, তামীম আদনানী মাজহুল হলে ওরা তো খুব মারুফ, ওরা কেন জিহাদের কথা ইসলামী হুকুমত কায়েমের কথা বলে না। না কি বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম আছে। সরকার কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ চালাচ্ছে। তাই সরকারের বিরোধীতা করার কোন প্রয়োজন নেই।

                      ওহহো এতক্ষণে বুঝেছি, আসলে সরকার তো সাক্ষাৎ ফিরিশতা, সরকার তো ইসলামী হুকুমত কায়েম করতেই চায়। শুধু এই মাযহাবীদের কারণে, মাতুরিদী-আশআরীদের দৌরাত্মে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে পারছে না। তাই বাংলাদেশ থেকে মাযহাব আর মাতুরিদিয়্যাত-আশআরিয়্যাত ঝেটিয়ে বিদায় করতে পারলেই ইসলামী হুকুমত কায়েম হয়ে যাবে। সেই যে মাথামোটা আবু বকর যাকারিয়া বলেছিল না, الناس على دين ملوكهم রাজাবাদশাহরা মানুষের অনুসরণ করে, মানুষ ঠিক হয়ে গেলেই তারা ঠিক হয়ে যাবে। দেখুন তাদের নেতাদের অবস্থা, আরবী ভাষাও ভালোভাবে জানে না। ّ“মানুষ রাজাবাদশার অনুসরণ করে” এর বদলে সে পুরো উল্টো তরজমা করছে, “রাজাবাদশাহরা মানুষের অনুসরণ করে।” আরে বোকা, এটার জন্য তো আরবীও জানা থাকা লাগে না, “রাজ্য চলে রাজার চালে” বাংলা এই প্রবাদটা জানা থাকলেই হয়। গায়রে মুকাল্লিদদের আরবী ভাষায় দূর্বলতা বুঝার জন্য মুযাফফর বিন মুহসিনের “জাল হাদিসের কবলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত” বইটা পড়লেই যথেষ্ট।

                      আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাকের নিকট প্রশ্ন, যারা আরবী ভাষা ঠিকমতো জানে না, তাদের থেকে ইলম নেয়ার হুকুম কি তা কি বলবেন? তাকে কি আলেম বলা যাবে? যাদেরকে আলেমই বলা যায় না তাদের থেকে কি ইলম নেয়া যাবে? আর আপনার বাবাও তো শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে না। তার থেকে ইলম নেয়ার কি হুকুম হবে? যাদের থেকে ইলম নেয়া যাবে না তাদের তালিকার শীর্ষভাগে কি আপনার বাবা আর মুযাফফর বিন মুহসিনের মতো ব্যক্তিদের নাম থাকা দরকার ছিল না ?
                      ভাই বিশুদ্ধ কুরআন পাঠ করা সবার দ্বারা সম্ভব হয়কি?! আর যারা বিশুদ্ধ পারেনা চেষ্টা করে তাদের তো দুটি সওয়াব রয়েছে তাই আমার মনে হয় এই কথাটা না বলাই ভালো...! তাছাড়া ব্রাদার রাহুল অনেক ভিডিও জবাবে এ কথা গুলো নিরসন করছেন! যে ইমাম আবু হানিফার রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা উনিও তেমন আরবী জানতেননা এবং সেটার অনেক গুলো দলীল ও দিয়েছেন রাহুল সাহেব!
                      [আমার মনে হয় আহলে হাদিসদের কোন ভাই এই সাইট ভিজিট করে না :'( ]

                      বিঃদ্রঃ ভাই দয়াকরে আমাকে ভুল বুঝবেননা! আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হলো যেটা বলা যাবেনা সেটা না বলাই হয়তো ভালো...! আমার কাছে এটা ভুল মনে হয়েছে তাই বলেছি.. তবে সঠিক ও হতে পারে... !
                      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                      Comment


                      • #12
                        আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
                        ভাই! আপনারা যারাই আমার ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিয়ে সংশোধনের ফিকির করেছেন তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।
                        আমি যথাসম্ভব চেস্টা করেছি ঠিক করার। এরপরও যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে বিনীত অনুরোধ রইল ধরিয়ে দেয়ার।
                        আর ভাই ক্ষমা চাচ্ছি ঠিক করতে দেরি হওয়ার কারণে। একটু সমস্যায় ছিলাম ।
                        আজ অনেক দিন পর আসার পর দেখার সাথে সাথেই ঠিক করে দেয়ার চেস্টা করেছি।

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by abdullah mehrab View Post
                          তামিম আল আদনানি সাহেব সম্পর্কে সংশয় নিরসনঃ
                          وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصبحه أجمعين. أما بعد
                          আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দিক বিষয় টি একটু স্পস্ট করে তুলে ধরার। আমিন , ইয়া রাব্বাল আলামিন।
                          আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক সাহেবের ছেলে যেই বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যটি আসলে বর্তমান যমানার বিবেচনায় একটি ভিত্তিহীন মতের উপর প্রতিষ্ঠিত।
                          (১) কেননা উনি যেই মত টি উল্লেখ করেছেন যে মাজহুল ব্যক্তি থেকে কোন ইলম নেয়া যায় না। এটি হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি ছিল।
                          আর উল্লেখ্য হাদিসের ক্ষেত্রে যেই মাজহুল আর মারুফের কথা বলা হয়েছে সেটা কেবল হাদিস সংকলনের যুগের সাথেই খাস। কেননা ঐ সময়ের অবস্থাটা এমন ছিল যে তাদের সামনে রাবি অর্থাৎ হাদিস বর্ণনাকারী ব্যতিত হাদিস জানার কোন মাধ্যম ছিল না। রাবি হাদিস বর্ণনা করবে আর উনারা হাদিস শুনে নিবে তার কাছ থেকে। তাই ঐ সময় এই বিষয় টা জানা জরুরি ছিল যে, যার থেকে আমি হাদিস টি শুনেছি, সেকি সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদি, সে কি দুর্বল স্মৃতি শক্তির অধিকারি নাকি প্রখর স্মৃতি শক্তির অধিকারি। সেকি ফাসেক নাকি নেককার। সেই কি ন্যায়পরায়ণ নাকি জালেম। এরকম আর অনেক কিছু। কেননা এগুলার উপর নির্ভর করবে তার থেকে হাদিস নেয়া যাবে নাকি যাবে না।
                          এখন যেহেতু তার অবস্থা আমার জানা নাই তাই তখন তার থেকে আমার জন্য হাদিস নিতে মানা। কেননা তার হাদিস সত্যও হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। এইজন্য তৎকালীন সময়ে মাহজুল ব্যক্তি থেকে না নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আবিস্কার হয়েছে রিজাল শাস্ত্র। যাতে করে হাদিসের ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তির কথাকেই হাদিস হিসাবে সংকলন করা না হয়। যাচাই বাছাই করে সংকলন করা হয়। আর এভাবেই সংকলন হয়েছে সমগ্র হাদিস। ফলশ্রুতিতে কোনটা সহীহ,কোনটা হাসান, কোনটা দুর্বল আর কোনটা জাল এটা তখনি নির্ণয় হয়ে গেছে। এখন শুধু আমরা সেগুলা তাদের কিতাব থেকে দেখে নিচ্ছি।
                          (২)এখন আমাদের যামানার অবস্থাই শুধু না বরং যেই যুগ হাদিস সংকলনের যুগ ছিল সেই যুগের পর থেকেই উপরের মূলনীতির আর কোন দরকার হয় নি। কেননা এখন সকল হাদিসের সনদ সহ রাসুল পর্যন্ত , সাহাবি পর্যন্ত প্রমান করা হয়ে গেছে। কিতাবাদিতে তা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এখন কেউ কোন কথাকে হাদিস বলে দিলে আমদের কাজ হল কেবল, উনি কোন কিতাবের হাওয়ালাতে কথাগুলা বলেছেন সেই কিতাবের সাথে তার কথা কে মিলিয়ে নেয়া যে উনি কি ঠিক করে বলেছেন নাকি কিছু বাড়িয়ে বলেছেন বা কমিয়ে বলেছেন। অথবা তিনি হাদিস দিয়ে যেই ব্যাখ্যা করেছেন সালাফরা কি এই হাদিস দিয়ে সেই ব্যাখ্যাই করেছেন নাকি ভিন্ন কোন ব্যখ্যা করেছেন।
                          এখন শুধু এতটুকুই খেয়াল করার বিষয় যে কোন স্থান থেকে কথা বলেন। তিনি কি নিজের মনগড়া কথা বলেন? নাকি কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক ভাবে আলোচনা করে। সে যেই রেফারেঞ্চেগুলা দেয় সেগুলা কি সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য। নাকি বানানো। মোট কথা হল এখন মাজহুল আর মারুফ সকলেই বরাবর।
                          এখন এই জাতীয় পার্থক্যের কথা বলে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করা কখনই সমীচিন হবে না।
                          ★ পূর্বের জবাব। যারা সহজের জন্য এখানে আবারও দিলাম।
                          তামিম আল আদনানিকে নিয়ে সংশয়ের জওয়াব

                          بسم الله الرحمن الرحيم
                          وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصبحه أجمعين. أما بعد

                          আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের ছেলে আব্দুল্লাহ এক প্রশ্নের উত্তরে তামিম আদনানি হাফিজাহুল্লাহর ব্যাপারে মন্তব্য করেছে যে, তিনি মাজহুল। আর মাজহুলের বয়ান শুনা বা তার থেকে ইলম নেয়া জায়েয নেই।
                          এর আগেও কেউ কেউ এ ধরনের সংশয় ছড়িয়েছিল। এক ভাই বিষয়টির সমাধান জানতে চেয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমি বিয়ষটি পরিষ্কার করতে চেষ্টা করবো। ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ।

                          উত্তরঃ

                          এক.
                          যারা বলেন, তামিম আদনানি মাজহুল, তার থেকে ইলম নেয়া যাবে না: আসলে তাদের উদ্দেশ্য জনসাধারণকে শরীয়তের উপর উঠানো, না’কি জিহাদ থেকে সরানো- একটু খেয়াল করে দেখা উচিৎ।

                          আসলে কি এ কথা তারা এ জন্য বলছে যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে তামিম আদনানির বয়ান শুনা হারাম হচ্ছে তাই জনসাধারণকে হারাম থেকে সতর্ক করছে, না’কি জিহাদ বিরোধী মিশন এবং তাগুতের দালালির অংশ হিসেবে বলছে- একটু ফিকির করা উচিৎ।

                          দুই.
                          মাজহুলের বিধান কি শুধু তামিম আদনানির *উপরই প্রযোজ্য না’কি অন্য সকলের বেলায়ই প্রযোজ্য? তাদের শায়খদেরকে ক’জন চেনে? তারা যে শত শত কিতাব রিসালা আপলোড করে সেগুলোর লেখকদেরকে ক’জন চেনে?

                          যেমন ধরুন, আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। তার ব্যাপারে কয়েকটি প্রশ্ন করি-
                          ১. তার বাড়ি কোথায়?
                          ২. তার বংশ পরিচয় কি?
                          ৩. তিনি কোথায় কোথায় পড়াশুনা করেছেন?
                          ৪. তিনি কি কি যোগ্যতা লাভ করেছেন?
                          ৫. তিনি কি তার উস্তাদ, পিতা মাতা ও অন্যান্য মুরব্বির ফরমাবরদার ছিলেন, না’কি নাফরমান ও অবাধ্য ছিলেন?
                          ৬. তিনি কি পড়াশুনায় মনোযোগী ছিলেন না অমনোযোগী?
                          ৭. ছাত্র যামানায় তিনি কি একজন দ্বীনদার তালিবে ইলম ছিলেন নাকি ভবঘুরে ও ফাসেক প্রকৃতির ছাত্র ছিলেন?
                          ৮. তার উস্তাদগণ তার ব্যাপারে কি সাক্ষ্য দিচ্ছেন? তারা কি তার জন্য দোয়া করেছেন না’কি বদদোয়া করেছেন?
                          ৯. উস্তাদগণ কি তাকে কিতাবাদি পড়ানো, ওয়াজ নসিহত করা ও ফতোয়া দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন না’কি দেননি? না’কি অযোগ্য হওয়ার কারণে এ থেকে বারণ করেছেন?
                          ১০. পরিবারের লোকদের সাথে এবং আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশিদের সাথে তিনি কি ভাল ব্যবহার করেন? তাদের হক আদায় করেন? না’কি তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাদের হক নষ্ট করেন?
                          ১১. তিনি কি নামাযি না’কি বেনামাযি?
                          ১২. আদেল না ফাসেক?
                          ১৩. সর্বোপরি তিনি কি বয়ান বক্তৃতা ও ফতোয়া প্রদানের যোগ্য না’কি অযোগ্য?

                          এ প্রশ্নগুলো তাদের একজন প্রসিদ্ধ শায়েখের ব্যাপারে করলাম। জিজ্ঞেস করি, এদেশের কতজন আহলে হাদিস এ প্রশ্নগুলোর উত্তর যথাযথ জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে তার বয়ান শুনেন কিভাবে আর তার মাসআলা মাসায়েল নেন কিভাবে?

                          আহলে হাদিসের তিনি তো একজন প্রসিদ্ধ শায়খ। আর যাদেরকে কেউ চিনে না, কখনও বাস্তবে দেখেনি- তাদের কথা না হয় বাদই দিলাম।

                          আর তাদের সাইটে যেসব কিতাব-রিসালা আপলোড দেয়া হয়, সেগুলোর লেখক অনুবাদকেরও তো একই হালত। সেগুলো ডাউনলোড করা ও পড়া কি তাদের দৃষ্টিতে হারাম হবে?

                          কাজেই তামিম আদনানিকে নিয়ে উঠেপড়ে লাগার আগে নিজের ঘরের খবর নিই।

                          তিন.
                          তামিম আদনানি বয়ান বক্তৃতায় ফতোয়া দিতে আসেন না। তিনি স্বাভাবিক এমনসব বিষয়ে সতর্ক করেন যেগুলো আমাদের চোখের সামনে দিয়ে চলে যাওয়া সত্বেও আমরা দেখি না বা দেখলেও সেভাবে অনুধাবন করি না।

                          আর মাসআলা মাসআয়েল যেগুলো আলোচনা করেন, সেগুলো তিনি নিজে থেকে বলেন না, প্রসিদ্ধ আইম্মায়ে কেরাম ও কিতাবাদির হাওয়ালায় কুরআন সুন্নাহ থেকে বলেন। এমনসব বিষয়ে কথা বলেন যেগুলো একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের বর্তমান যামানার প্রতিটি মুসলমানের জানা থাকার কথা ছিল। তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত, জিহাদ ইত্যাদি বিষয়ে একেবারে সাদামাটা কথা বলেন যেগুলো আমাদের আগে থেকেই জানা থাকার কথা ছিল। আমরা যখন গাফেল হয়ে আছি তখন তিনি আমাদের একটু সতর্ক করে দিচ্ছেন মাত্র।

                          তামিম আদনানির উদাহরণে অনেকটা এমন:

                          - এক এলাকায় রাতের গভীরে আগুন লেগেছে। কেউ টের পাচ্ছে না। দূর থেকে একজন অপরিচিত মুসাফির দেখতে পেয়ে পাহাড়ে উঠে চিৎকার করে এলাকাবাসীকে ডেকে বলছেন, হে এলাকাবাসী! দ্রুত জাগ্রত হন। আপনাদের বস্তিতে আগুন লেগেছে। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল।

                          - কিংবা এক এলাকায় সকলের অগোচরে শত্রু হামলা করতে আসছে। দূর পাহাড় থেকে একজন দেখতে পেয়ে এলাকাবসীকে সতর্ক করার জন্য চিৎকার করছেন।

                          এ ধরনের ক্ষেত্রে কেউ দ্বিমত করবে না যে, উক্ত অজানা অচেনা লোকের চিৎকারে সাড়া দিয়ে জাগ্রত হওয়া ও সতর্ক হওয়া সময়ের দাবি। মাজহুল লোকের এ চিৎকারকে কেউ ফতোয়া বলবে না। তার ডাকে সাড়া দিলে কেউ মাজহুল থেকে ফতোয়া নেয়া হচ্ছে বলবে না। একথাও কেউ বলবে না যে, তার ডাকে সাড়া দিয়ে আগুন ও শত্রু বাহিনির ব্যাপারে সতর্ক হলে বা খোঁজ খবর নিলে হারাম হবে।

                          অতএব, ভয়ানক কোন কিছুতে কারো ডাকে সতর্ক হওয়া এক জিনিস আর মাজহুল থেকে ফতোয়া নেয়া আরেক জিনিস। একেবারে মোটাবুদ্ধির বা মুআনিদ না হলে আশাকরি এতে কেউ দ্বিমত করবে না।

                          কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা এর দু’টি দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন-

                          দৃষ্টান্ত ১
                          আল্লাহ তাআলা আনতাকিয়াবাসীর হিদায়াতের জন্য তিনজন রাসূল পাঠালেন। তারা রাসূলদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করল এবং হত্যার হুমকি ধমকি দিতে লাগল। এলাকার শেষ প্রান্তে হাবিব নামক এক লোক বাস করতেন। তিনি নেককার ছিলেন। ঘটনা শুনতে পেয়ে তিনি কওমের মায়ায় ছুটে আসলেন এবং কওমকে আহ্বান জানালেন, তোমরা রাসূলদেরকে মেনে চল। এতেই তোমাদের কামিয়াবি। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

                          وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَاقَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ (20)

                          “শহরের দূর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে আসল। বললো, হে আমার কওম! তোমরা রাসূলদের অনুসরণ কর।”- ইয়াসিন ২০

                          আমরা যখন কুরআন সুন্নাহ থেকে এবং ইসলাম ও মুসলমানদের নুসরত থেকে পিছপা হয়ে গেছি তখন তামিম আদনানির মতো লোকেরা আমাদের ডেকে বলছেন, তোমরা কুরআন সুন্নাহ এবং রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ আঁকড়ে ধর। স্পষ্ট যে, এটা মাজহুল থেকে ইলম নেয়া না। তিনি ঐ দরদি লোকটির মতো শুধু এতটুকু আহ্বান জানাচ্ছেন যে, তোমরা রাসূল ও সাহাবাদের আদর্শ আঁকড়ে ধর।

                          দৃষ্টান্ত ২
                          মূসা আলাইহিস সালাম কিবতিকে হত্যা করে ফেললেন। ফিরাউনের কাছে সংবাদ পৌঁছে গেল। সে তার মন্ত্রী পরিষদের সাথে পরামর্শে বসেছে। সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে, তারা মূসা আলাইহিস সালামকে হত্যা করে ফেলবে। এক লোক মূসা আলাইহিস সালামের প্রতি দরদি ছিলেন। তিনি গোপনে এক সংক্ষিপ্ত পথ ধরলেন এবং সৈন্যদের আগেই মূসা আলাইহিস সালামের কাছে পৌঁছে গেলেন। গোপন ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক করে পালিয়ে যেতে বললেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

                          وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ يَسْعَى قَالَ يَامُوسَى إِنَّ الْمَلَأَ يَأْتَمِرُونَ بِكَ لِيَقْتُلُوكَ فَاخْرُجْ إِنِّي لَكَ مِنَ النَّاصِحِينَ (20) فَخَرَجَ مِنْهَا خَائِفًا يَتَرَقَّبُ قَالَ رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ (21)

                          “শহরের দূর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে আসল। আরজ করল, হে মূসা! পরিষদবর্গ আপনার ব্যাপারে পরামর্শ করছে যে, তারা আপনাকে হত্যা করে ফেলবে। অতএব, আপনি (শহর ছেড়ে) বেরিয়ে যান। নিশ্চয়ই আমি আপনার একজন হিতাকাঙ্খী। এতে তিনি ভয়ে ভয়ে পরিস্থিতির প্রতি নজর রেখে (সতর্কতার সহিত) সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লেন। দোয়া করলেন, হে আমার রব! জালিম কওম থেকে আপনি আমাকে মুক্তি দিন।” –কাসাস ২০-২১

                          আজ মুসলিমদের হালতও এমন। কুফফারগোষ্ঠী ও তাদের দালালরা উম্মাহর বিরুদ্ধে ভয়ানক ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে। তামিম আদনানির মতো দরদি লোকেরা কওমকে গোপনে গোপনে সতর্ক করছেন। এটা ফতোয়া ও ইলম নেয়ার বিষয় নয়, বিপদে সতর্ক করার বিষয়। অতএব, চিনি না জানি না- এসব বলে জনসাধারণকে এ ধরনের দরদি লোকের বয়ান থেকে বিরত রাখার অর্থ মূসা আলাইহিস সালামকে ফিরআউনের হাতে তুলে দিতে সহায়তা করা। বিশেষত আমরা স্পষ্টই দেখছি যে, তারা নিজেরাও কিছু বলছে না, বরং তাদের অনেকে যামানার ফিরআউনদের পক্ষে দালালি করছে।

                          চার.
                          অধিকন্তু তামিম আদনানি ধরনের ব্যক্তিদের যে অর্থে মাজহুল বলা হচ্ছে তারা সে অর্থে মাজহুল নন। তামিম আদনানিকে মাজহুল বলা যেতে পারে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যে জীবনের এই প্রথম তামিম আদনানির একটা বয়ান ইউটিউবে দেখতে পেলো। এর আগে সে তামিম আদনানি সম্পর্ক কিছু জানে না। কারো কাছ থেকে তার ব্যাপারে কিছু শুনেওনি। তিনি ভাল না মন্দ, বিদআতি না আহলে হক, দরবারি না দরদি- কিছুই জানে না। এ ধরনের ব্যক্তির বেলায় বলা যেতে পারে যে, তামিম আদনানি মাজহুল। তার বেলায় আমরা বলবো না যে, আপনি তামিম আদনানি থেকে ইলম নিন। বরং যাচাই বাছাই করে নিতে বলবো।

                          পক্ষান্তরে সাধারণত যারা তামিম আদনানির বয়ান শুনেন, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে স্পষ্ট করেই জানতে পেরেছেন যে, তামিম আদনানি একজন হকপন্থী ও দরদি মানুষ। তিনি কুরআন হাদিসের আলোকে হক ও সত্য কথা বলেন। উম্মাহর দুশমন ও দরবারিদের ষড়ষন্ত্র, কূটকৌশল ও অপব্যাখ্যার ব্যাপারে উম্মাহকে সতর্ক করেন। অনলাই-অফলাইন সব মিলিয়ে এমন অনেক মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে ও অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, এ ব্যাপারে তখন আর সন্দেহ থাকে না। তিনি তখন ঐ ব্যক্তির মতো নন, যিনি কোনে জানা শুনা ছাড়াই জীবনের প্রথম কোনো বক্তার বয়ান ডাউনলোড করছেন।

                          তামিম আদনানিদের বিয়ষটা অনেকটা এমন:

                          - কোনো রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে দুয়েকজন নির্ভরযোগ্য দূত মারফত কোনো ফরমান আসলো। এরপর সে ফরমান ছড়াতে ছড়াতে সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গেল।

                          - কিংবা কোনো রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা ডেইলি সংবাদ বা খবরের মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করা হলো, অচিরেই আমাদের দেশে শত্রু বাহিনি হামলা করবে। সকলে সতর্ক থাকবেন। কিংবা দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সকলে সাবধান।

                          - কিংবা ইসলামী খিলাফতে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি ওয়েবসাইট খোলা হলো। সেখানে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের ইসলাহের জন্য নিয়মিত বয়ান আপডেট দেয়া হয়। বক্তাদের সম্পর্কে জনগণ কিছু জানে না। তবে বয়ানের সাথে বক্তার নাম ও দেশের নাম দেয়া থাকে। এভাবে চলতে চলতে কয়েকজন বক্তা প্রসিদ্ধ হয়ে গেলেন। সকলে তাদের নাম জানে। তাদের ভাল মনে করে। শ্রদ্ধা করে। তাদের বয়ানের অপেক্ষায় থাকে।

                          এ ধরনের ক্ষেত্রে কেউ বলবে না যে, মাজহুল। তার কথা বিশ্বাস করা বা তার বয়ান শুনা হারাম। … ইত্যাদি।

                          অতএব, তামিম আদনানিকে মাজহুল বলার আগে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে তার হাইসিয়্যাত নিয়ে আবারও ফিকির করার আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের মনমতো একটা বলে দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করলে এর দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে। আর আল্লাহ তাআলা ভাল করেই জানেন, ইসলাহ কার উদ্দেশ্য আর বিভ্রান্তি ছড়ানো কার উদ্দেশ্য।

                          অধিকন্তু আমরা এ কথাও বলি না যে, আপনারা অন্ধভাবে তামিম আদনানিদের কথা বিশ্বাস করে আমল শুরু করুন। বরং আপনারা নিজেরাই যাচাই বাছাই করে দেখুন, তারা সত্য বলেন কি’না। চোখ তো আপনাদেরও আছে। আর বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি তো আপনাদের চোখেরই সামনে। ফরযে আইন পরিমাণ ইলম অর্জন করা সকলের উপর ফরয। তামিম আদনানিরা তো কেবল সতর্ক করে যাচ্ছেন। বাকি দায়িত্ব কিন্তু আপনাদেরই। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআলা আ’লাম।

                          সংযোজন :
                          কোন একজন মাজহুল রাবীও যদি একটা হাদীস বর্ণনা করে- আর তার সে বর্ণনার শাহেদ বা মুতাবি থাকে, অন্য কোন ছিকাহ সে হাদীস বর্ণনা করে তাহলে মাজহুল রাবীর হাদীসটিও হাসান লি গাইরিহি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।
                          তাহলে কোন একজন "মাজহুল " ব্যাক্তিও যদি কাউকে সহীহ বুখারীর একটি হাদীস, সহীহ মুসলিমের একটি হাদীস স্মরণ করিয়ে দেয় তবুও তাকে মাজহুল বলে হাদীসের কথাটি প্রত্যাখ্যান করতে হবে,এমনকি তার কথা শোনাও যাবেনা, যাচাইও করা যাবেনা এমন কথা কি কোন কাওয়াইদুল হাদীস, মুস্তালাহুল হাদীসের কিতাবে আছে?
                          মুহাদ্দিসদের কাছে মাজহুলের সংজ্ঞা কার ক্ষেত্রে প্রজোয্য হবে এসব না জেনে মুহাদ্দিসদের নীতি ও কাওয়াইদের যাচ্ছেতাই ভুল প্রয়োগ করে কেউ কেউ নিজেদের ইলমী দুর্বলতা জাতির সামনে প্রদর্শন করতে চায়।আল্লাহ সহীহ বুঝ দান করুন।

                          -আমিন।

                          ©কালেক্টেড

                          #সংসয়ের_জবাব
                          #AnNasihah


                          ইন্টারনেট বিষয়ে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
                          যথা সম্ভব আপনাদের খিদমতে হাজির থাকবো ইনশাআল্লাহ।


                          Comment

                          Working...
                          X