Announcement

Collapse
No announcement yet.

অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।

    কুফরী গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি ওমা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিঙ্কন* তার গেটিসবার্গ বক্তৃতায় গণতন্ত্র সম্পর্কে যে কথাটি বলেছিলেন সেটিকেই এখন পর্যন্ত সর্বজন গ্রাহ্য গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি গণতন্ত্র বলতে ‘জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার এবং জনগণের জন্য পরিচালিত সরকার’ কে বোঝান। (অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল)।

    একটু খেয়াল করুন এখানে কত বড় শুভংকরের ফাঁকি।

    এই সংজ্ঞাটির মানে কি এই নয়? যে জনগনের দ্বারায় গণতন্ত্র তথা সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর তা কিসের জন্য? জনগনকে পরিচালনা করার জন্য।

    আর একটু সহজ করে বলি গণতন্ত্র হচ্ছে মানব রচিত শাসন ব্যবস্থা। এটি এমন একটি সংবিধান যার আইন কানুন, নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরিকা মানুষের দ্বারা রচিত। এ তন্ত্রে জনপ্রতিনিধিদের সকলে একমত হওয়ার দরকার নেই। বরং অধিকাংশ সদস্য একমত হওয়ার মাধ্যমে এমন সব আইন জারী করা যায় জনগণ যেসব আইন মেনে চলতে বাধ্য এমনকি সে আইন যদি মানব প্রকৃতি, ধর্ম, বিবেক ইত্যাদির সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবুও।

    উদাহরণতঃ
    *এই তন্ত্রের অধীনে গর্ভপাত করা, সমকামিতা, সুদি মুনাফার বিধান ইত্যাদি জারী করা হয়েছে।*
    *ইসলামি শাসনকে বাতিল করা হয়েছে।
    *ব্যভিচার ও মদ্যপানকে বৈধ করা হয়েছে।
    *এই তন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামপন্থীদেরকে প্রতিহত করা হয়।

    অথাৎ এখানে গায়রুল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয় কুফরী গণতন্ত্রের মাধ্যমে।


    তাহলে চলুন আল্লাহ তা`আলা কী বলেন দেখি :
    আল্লাহ তা`আলা বলেন (ভাবানুবাদ): “অতএব, হুকুম দেওয়ার অধিকার সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহর জন্য” [সূরা গাফের, আয়াত: ১২]

    আল্লাহ তা`আলা আরও বলেন (ভাবানুবাদ): “আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেওয়ার অধিকার নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।”।[সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০]

    আল্লাহ তা`আলা আরও বলেন: “আল্লাহ কি হুকুমদাতাদের শ্রেষ্ঠ নন?” [সূরা ত্বীন, আয়াত: ০৮]

    তিনি আরও বলেন (ভাবানুবাদ): “বলুন, তারা কতকাল অবস্থান করেছে- তা আল্লাহই ভাল জানেন। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের গায়েব বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে। তিনি কত চমৎকার দেখেন ও শোনেন! তিনি ব্যতীত তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। তিনি নিজ হুকুমে কাউকে অংশীদার করান না।”[সূরা কাহাফ, আয়াত: ২৬]

    তিনি আরও বলেন (ভাবানুবাদ): “তারা কি জাহেলিয়াতের হুকুম চায়? বিশ্বাসীদের জন্যে আল্লাহর চেয়ে উত্তম হুকুমদাতা আর কে?”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৫০]


    আমার প্রশ্ন হচ্ছে-?
    আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেওয়ার অধিকার নেই। আল্লাহ ছাড়া কোন হুকুমদাতা নেই। আল্লাহর সংবিধান ছাড়া আর কোন সংবিধান নেই। তাহলে আমরা আল্লাহর সকল নাজ-নিয়ামত ভুগ করে এবং তার জমিনে বসবাস করে কোন কুফরী সংবিধান অনুসরণ করছি?
    -আমরা কি যালেম নই?
    -আমরা কি মুনাফিক নই?
    -আমাদের ঘুম আর কবে ভাঙ্গবে?
    -আর কত দিন কুফরী গণতন্ত্রের অতল সাগরে নিজেদেরকে ডুবিয়ে রাখবো?
    -আমরা কি কখনো জেগে উঠব না?
    -কবে নিজেদের সত্তাকে চিনতে পারবো?
    -আমরা কি আল্লাহর সংবিধান বাস্তবায়ন করব না?

    পরিশেষে বলতে চাই...
    যারা আল্লাহর আইনে হাত দেওয়ার দুঃসাহস করে তারা চরম দুষ্কৃতিকারী এবং আল্লাহর জমিনে ফাসাদ সৃষ্টিকারী। তারা আল্লাহর দুশমন এবং আল্লাহর মুজাহিদীনদের দুশমন।
    Last edited by Khalid ibn Walid; 04-14-2020, 01:00 PM.

  • #2
    আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক ৷ সঠিক দীনের দিকে ফিরে আসার তাওফিক দান করুক ৷ আমীন ৷
    আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
    আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।
      আল্লাহ তায়ালা সকলকে সহিহ বুঝদান করুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment

      Working...
      X