Announcement

Collapse
No announcement yet.

সামান্য ভিন্নমত পোষণ করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী সাজা পেল

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সামান্য ভিন্নমত পোষণ করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী সাজা পেল

    সামান্য ভিন্নমত পোষণ করার কারণে সাজা পেল বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী


    গতকাল ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাগুত স্বৈরাচারী শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী হত্যাকারী ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদকে। এক সময়ের মাজলুমদের পক্ষের এই নেতাকে ফাসির আদেশ দেওয়া হযেছে ইতিপূর্বেই। এখন তার নিষ্ঠুর বাস্তবায়নও হবে। আর গতকাল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সেই নিষ্ঠুর ফাঁসির পক্ষে একটি স্ট্যাটাস দেয়। অত:পর তানজিদা সুলতানা ছন্দ নামে আরেক শিক্ষার্থী তাতে অতি সাধারণ মত প্রকাশ করে একটি কমেন্ট করে। কমেন্টটি ছিল:

    “ভাই শেখ মুজিব যদি খুন না হতো তাহলে কি সে এখনো পর্যন্ত বেঁচে থাকতো?, মুজিবুর রহমান অনেক বয়স পরই মারা গেছেন, কিন্তু আমরা আদিখ্যেতা জাতি একজনের খুনের বিচার করতে করতে ভুলেই যায় প্রতিদিন কতশত মানুষ আমাদের আশপাশের খুন হচ্ছে, গুম হচ্ছে। আমরা পুরাতন কাসুন্দী নিয়ে খুব বেশি ঘাটাঘাটি করতে পছন্দ করি। ”

    ব্যস, এতটুকু মুজিব বিরোধী মত প্রকাশের কারণে সাজা পেতে হল উক্ত ছাত্রীকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে। শুধু তাই নয়, এটা তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। উক্ত ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।

    লা হওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। এদেশে স্বৈরাচার ও একনায়কতন্ত্র কোন মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে, যার কারণে ক্ষমতাসীন দলের কার্যকলাপের বিপরীতে এতটুকু মত প্রকাশ করলেও সমস্যা। পক্ষান্তরে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যাকে সৃষ্টি না করা হলে আকাশ বাতাস কিছুই সৃষ্টি করা হত না, তাকে নিয়ে আরো মারাত্মক কটুক্তি করলেও সমস্যা হয় না। বরং উল্টো প্রতিবাদকারীদেরকেই মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

    অথচ এই মুজিবকে যখন হত্যা করা হয়, তখন সারা দেশের মানুষ খুশি হয়। সে সময়ের পেপার পত্রিকাগুলোই তার প্রমাণ বহন করে। সে সময় যারা স্বৈরাচারী শেখ মুজিবকে হত্যা করে, তারা মাজলুম জনগণের অন্তরকেই শীতল করেছিল। কিন্তু এক সময়ের জালিম তাগুত স্বৈরাচারীকে আজ জাতির পিতা বানিয়ে আবার তার বিপক্ষে সামান্য ভিন্নমত পোষণ করলেও শাস্তি পেতে হয়। আর এক সময়ের মজলুমানের নেতাকে এখন ভয়ংকর খুনি হিসাবে চিত্রায়িত করে ফাঁসি দেওয়া হয়। ঠিক মুজিব যেমন বাকশাল কায়েম করেছিল, এখনও তেমনটাই হচ্ছে।


  • #2
    ত্বাগুত মুজিবসহ তার পুরো পরিবারকে হত্যা না করলে জাতি আরো বিভিন্ন রকমের ট্রাজেডির সম্মুখীন হতো, এটা মনে হচ্ছে এই যে, আমরা ত্বাগুত হাসিনার দ্বারা অনেক অনেক বিপদগ্রস্ত।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      আআআআ-------হহহহহহ জিহাদ পরিত্যাগের কি সু-ফল... কত কত কত কল্যাণকর কাজ আজ আমাদের গলা চেপে ধরছে... ঘটনা গুলো পড়লে অশ্রু থামেনা কিন্তু! শুধু অশ্রু যে আর স্রষ্টার কাছে এখন গ্রহণযোগ্য নয়! এখন প্রয়োজন রক্ত! রক্ত! রক্ত! ইয়া রব! আমাদেরকে রক্ত ঝড়ানোর হিম্মত দান করুন, সমঝ দান করুন!! আমিন আমিন আমিন!
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #4
        এটাই বুঝি মত প্রকাশের স্বাধীনতা??
        ধিক শত ধিক এই মিথ্যা স্বাধীনতার ধারক বাহকদের প্রতি ৷
        আল্লাহ সমস্ত মুসলমানদেরকে হেফাজত করুক ৷ আমীন ৷
        আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
        আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

        Comment


        • #5
          একই কারণে আরেকজন ছাত্রের উপর নানাবিদ শাস্তি ও হয়রানী

          প্রথম আলোর রিপোর্ট:

          ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে বসানো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। ছবি: সংগৃহীতইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে বসানো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। ছবি: সংগৃহীতএবার কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

          ওই ছাত্রের নাম আশিকুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী। দল থেকেও তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

          একই ধরনের অভিযোগে এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ছাত্র আশিকুলকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায়ও একই কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে দুটি ঘটনার তদন্ত করে এই কমিটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে শিগগিরই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

          ছাত্র বহিষ্কারের অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, আশিকুল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি নিজের ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অবমাননাকর এবং মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের মন্তব্য জাতির পিতার জন্য অসম্মানজনক। বিষয়টি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে।

          আশিকুল ইসলামকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই অফিস আদেশে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

          এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক আশিকুর রহমান এক বিবৃতি দিয়েছেন। এতে আশিকুলকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সাংগঠনিক সব কাজে আশিকুল নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সক্রিয় না থাকায় আগেই তাঁকে বহিষ্কারের জন্য নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় তাঁকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

          বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আশিকুল ইসলামের বর্তমান অবস্থান কেউ বলতে পারছেন না। নানাভাবে চেষ্টা করেও তাঁর মুঠোফোন সংগ্রহ করা যায়নি। তাই অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

          Comment

          Working...
          X