Announcement

Collapse
No announcement yet.

আফগানে মার্কিন পক্ষ শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করছে : ইসলামী ইমারতের বার্তা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আফগানে মার্কিন পক্ষ শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করছে : ইসলামী ইমারতের বার্তা

    আফগানে মার্কিন পক্ষ শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করছে :
    ইসলামী ইমারতের বার্তা



    ২০২০ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আফগানিস্তান ইসলামী ইমারতের এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে, এ চুক্তিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও সমর্থন করে। সারাবিশ্ব এই চুক্তির প্রশংসা করে, এটাকে আফগান সমস্যার একটি উত্তম সমাধান কাঠামো হিসেবে আখ্যায়িত করে। এখনও পর্যন্ত ইসলামী ইমারত ঐ চুক্তি এবং চুক্তির বিষয়সমূহের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষও স্বীকার করেছে যে, ইসলামী ইমারতের মুজাহিদীন সমঝোতার কাজ করে যাচ্ছেন। আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর জন্য, ইসলামী ইমারতও আফগানের বিভিন্ন পক্ষসমূহের সাথে আন্তঃ-আফগান সংলাপের ব্যাপারে ইচ্ছা প্রদর্শন করেছে। তবে চুক্তি অনুযায়ী, ঐ সংলাপের পূর্বে ইসলামী ইমারতের ৫০০০ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনো পর্যন্ত একের পর অজুহাতে এই বন্দীমুক্তি প্রক্রিয়া বিলম্ব করা হচ্ছে। স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, আন্তঃ-আফগান আলোচনার মাধ্যমে আফগানের বিভিন্ন পক্ষসমূহের সাথে আলাদা চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত, গ্রাম কিংবা শহরে অবস্থিত কাবুল প্রশাসনের সকল সামরিক কেন্দ্রেই ইসলামী ইমারত হামলা করতে পারবে। তবে, ইসলামী ইমারত প্রধান প্রধান শহরগুলোতে অবস্থিত কাবুল প্রশাসনের কেন্দ্রসমূহেও হামলা চালায়নি, তাদের প্রধান সামরিক কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালায়নি। কেবল ঐসকল গ্রামীণ এলাকায় কিছু চেকপোস্টে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ শত্রুদের আক্রমণের আশংকায় থাকেন। তাও, গত বছরের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু অন্যদিকে, আমেরিকা এবং তাদের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত মিত্ররা আমাদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত উপায়ে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে:

    – অসমর্থনযোগ্য যুক্তি দেখিয়ে ৫ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা হয়েছে।
    – মুজাহিদীনের কেন্দ্রসমূহে বার বার হামলা চালানো হয়েছে, অথচ সেগুলো কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল না।

    – বিভিন্ন জায়গায় আমেরিকা এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বাহিনীগুলো জনসাধারণের উপর হামলা চালিয়েছে।

    – জনসাধারণের বসতবাড়িতে বর্বরোচিত ড্রোন হামলা এবং অন্যান্য বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
    – আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে, নিয়মিত মুজাহিদীনের উপর হামলা চালানো হয়েছে যদিও এসকল এলাকায় কোনো যুদ্ধ চলছিল না।

    – হেলমান্দ, কান্দাহার, ফারাহ, কুন্দুজ, নানগারহার, পাকতিয়া, বাদাখশান, বলখ এবং দেশের অন্যান্য অংশে শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। যার বিবরণ আমেরিকান পক্ষের সাথে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া হয়েছে।

    যেহেতু চুক্তির ব্যাপারে বার বার বিপরীত পক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রত্যক্ষ করছি, তাই আমরা আমেরিকান পক্ষের প্রতি দৃঢ় আহ্বান জানায় তারা যেন চুক্তিপত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং তাদের অন্যান্য সমর্থকদের ব্যাপারে চুক্তিপত্র সম্পূর্ণভাবে অনুসরণের ব্যবস্থা নেয়।

    যুদ্ধের নির্দিষ্ট অঞ্চল এবং সময় ছাড়াও, অন্য কোনো এলাকায় ইসলামী ইমারতের মুজাহিদীনের উপর কোনো হামলা, কোনো রেইড এবং অন্য যেকোনো ঘটনা উসকানিমূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং স্পষ্টত চুক্তিলঙ্ঘন। যদি এই ধরণের লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহলে এটি আস্থাহীন অবস্থা সৃষ্টি করবে। আর এর ফলে কেবল চুক্তিই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না, বরং মুজাহিদীনও একই ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখাতে এবং যুদ্ধমাত্রা বাড়াতে বাধ্য হবেন।

    ———————————-

    ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান

    ১২-০৮-১৪৪১ হিজরী

    ০৫-০৪-২০২০ ঈসায়ী

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এমনটা হওয়ারই ছিল।

    Comment


    • #3
      এটাই ওদের নীতি
      আল্লাহ্ ভাইদের হেফাযত করুন,
      কুফ্ফার বাহিনীকে ধ্বংস করুন আমিন।

      Comment


      • #4
        সুবহানাল্লাহ। কি সুন্দর বিবৃতি। অন্তরটা জুড়িয়ে গেল। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের হাতে কাফেরদের শায়েস্তা করবেন বিইযনিল্লাহ।
        আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
        জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
        বিইযনিল্লাহ!

        Comment


        • #5
          চুক্তি লঙ্ঘন করাই ওদের অভ্যাস ৷
          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

          Comment


          • #6
            আল্লাহ মুজাহিদীনদের হেফাজত করুন ৷ ইমারাহকে স্থায়ী ও শক্তিশালী করুন ৷
            কুফফারদের থেকে কোন ভালো কিছুর আশা করা যায় না ৷ ওরা পারে শুধু ভুপৃষ্ঠে ফেতনা-ফাসাদ ছড়াতে ৷ পূর্ণরুপে নির্মূলকরণ ব্যতীত ওদের শয়তানী থামবে না ৷
            আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
            আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

            Comment


            • #7
              মুসলিম>মুমিন>মুজাহিদ ব্যাতীত অন্য কারো থেকে ভালো কিছু আশা করাটাও খারাপ! তবে সন্ধী করার নির্দেশও আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন আর এটাও বলেছেন যে এরা সন্ধী সবার আগে ভঙ্গ করবে মুসলিম যে আদর্শবান জাতি তা বুঝানোর জন্যই সন্ধীর অনুমতি দেওয়া হয়েছে [আমার মনে হয়]

              ইয়া আল্লাহ আপনি মুমিনদেরকে সঠিকপথ প্রদর্শন করুন ও তাতে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন আমিন!
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment


              • #8
                বদমাইশদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

                Comment


                • #9
                  মুজাহিদীন চুক্তি করতে পারে এবং রক্ষাও করতে পারে। কুফফারদের শেষ অজুহাত আর টিকলো না। মুনাফিক আর খাওয়ারিজদের মনটা খানখান করে ভেঙে গেল।

                  Comment


                  • #10
                    কাফিররা চুক্তি করে নিজেদের গোছানোর জন্য।আমরা যদি আমর ইবনে আস (রাঃ) এর মিসর অভিযানের দিকে নজর দেই তবে এমনটাই দেখি। এছাড়াও ওমর মুখতারের সময়ে ইতালি সরকারও লোক দেখানো চুক্তি করেছিল।

                    Comment


                    • #11
                      আফগানের মুরতাদ সরকার নাকি কিছু
                      তালেবান মুজাহিদদেরকে মুক্তি দিয়েছে???


                      বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে কোন ভায়ের জানা থাকলে,,,
                      জানানোর অনুরোধ,,,
                      মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

                      Comment

                      Working...
                      X