Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৫ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১০ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৫ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১০ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    আবারো যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ১৯শ জনের মতো মৃত্যু!



    যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১ হাজার ৯০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৯১ জন। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার।

    যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির নিউইয়র্ক শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কেবল নিউইয়র্কেই মারা গেছেন ৫১৮ জন। এ ছাড়া শহরটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫২১।

    নিউইয়র্ক শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৭ হাজার ৭২৫ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ হাজার ৭৭৮ জন।

    দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধুমাত্র নিউইয়র্ক সিটিতেই এখন পুরো চীনের থেকে বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। চীনে করোনাভাইরাসে ৮১ হাজার ৯০৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৬ জনের।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/10/35873/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে হিন্দুরা মারধোর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে মুসলিমদের, ঠাঁই নদীর চরে খোলা আকাশের নীচে



    ছোট ছোট ফুট ফুটে বাচ্চাদের কোলে নিয়ে, হাত ধরে প্রাণ বাঁচাতে সোয়ান নদীর চরে এসে গা ঢাকা দেয় মুসলিম এই পরিবারগুলি। পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের একেবারে সীমান্ত লাগোয়া এক নদীর তটে। অভিযোগ তাদেরকে গালাগালি, মারধোর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এঁরা প্রত্যেকেই হশিয়ারপুর জেলার তালওয়ারা ব্লকের বাসিন্দা। ছোট, ছোট মাটির কুঁড়ে ঘরেই দিন যাপন হত তাদের।

    আমি ওদেরকে (গ্রামের সংখ্যাগুরু হিন্দুদের কথা বলা হচ্ছে) জিজ্ঞেস করি কেন আমাদেরকে মারধোর করছে। ওরা আমাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বলে আমাদের নাকি, ব্যামো ধরেছে, সারাজ দীন ইংরেজি দ্য ওয়্যার সংবাদ মাধ্যমকে কথাগুলি জানান।

    সে অন্যান্য ক্ষুধার্ত শিশু, মহিলা ও পুরুষ দের সঙ্গে এখানে পালিয়ে আসে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে।এঁদের অনেকেই যৌথ পরিবারের সদস্য। তাদের সকলকে গ্রাম থেকে জোর করে উৎখাত করা হয়েছে। এমনকি পুলিশও আমাদেরকে পাশের রাজ্য হিমাচলে যেতে দিচ্ছে না। গরম পড়লে আমরা ওদিকে বসবাস করি, বলেন সারাজ।

    তার মায়ের বয়স আশি ছুঁই ছুঁই। গায়ে আগের মত জোর নেই। বয়সের কারনে নানা রোগ-জাড়ি দেহে বাসা বেঁধেছে । কিন্তু ওষুধের জন্য দোকানে গেলে, দোকানদার দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। সারাজের স্ত্রীকে দোকানদার ধমকায়। বলে ব্যামো কোথাকার, তোরা মুসলিমরা ভাইরাস ছড়াচ্ছিস।

    সারাজের আর এক জ্ঞাতি ভাই জানায় যে, আশেপাশের গ্রামের লোকজন তাদেরকে নানা ভাবে হেনস্থা, অপমান করতে থাকে। দিল্লিতে তবলীগ জামাতের ঘটনার পর থেকেই এইসব শুরু হয়। ” আমাদের কেউ কোনদিন দিল্লি শহর চোখেই দেখেনি। কিন্তু, তারপরও এখানকার লোকজন আমাদের জীবন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু করেছে। প্রশাসন ও কোনো সহযোগিতা করছে না,” জানান তিনি।

    দুজন তাদের আধার কার্ড দেখিয়ে বলে। এই দুঃসময়ে এগুলো কোনো কাজে লাগছে না।সারাজের পরিবার একা নয়। এখানে তাঁদের মতো আরো জনা ৮০ ব্যক্তি শিশু, স্ত্রী, সন্তানদেরকে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে। এই নির্জন প্রান্তরে আশ্রয় নিয়েছে। প্রত্যেকেই ক্ষুধার্ত। খাবারের জোগাড় নেই। রেশন পায় নি। ঘটনার আগের দিন জরুরি পরিষেবায় ফোন কল করেও কোন সুরাহা মেলেনি।

    সারাজ জানায় না খেতে পেয়ে ছটা বাছুর মারা পড়েছে। ” তিনটে বাছুর কবর দিয়েছি। বাকি তিনটে এখন আমার সামনে মরে পড়ে আছে”, জানান তিনি।

    তবে গুজ্জর এই মুসলিম পরিবারগুলোর জন্য একটা বড় সমস্যা হলো তাদেরকে দুধ বিক্রি করতে কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

    আমাদেরকে আশে পাশে কোথাও দুধ বিক্রি করতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাই আমাদের জীবন, জীবিকা। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন, জানান সারাজ।

    ইংরেজী সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়্যার গত মঙ্গলবার প্রথম খবরটি প্রকাশ করে। সেদিন তালওয়ারা-মুকেরইন রাস্তার ধারে বসবাসরত দরিদ্র গুজ্জর মুসলিমদের উপর একদল লোক চড়াও হয়, মারধোর করে। সংবাদ মাধ্যমটির দাবি পুলিশ কিছু অপরাধীকে কে শনাক্ত করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। না দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তরফে যদিও গোটা ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়।

    সাংবাদিক তরফে যখন জানতে চাওয়া হয় যে, মুসলিমদেরকে আক্রমন করা, এবং মিথ্যা গুজব ছড়ানোর জন্য কেনো দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, উত্তরে হশিয়ারপুরের এসএসপি গৌরব গর্গ বলেন,”না, আমাদের কাছে তেমন কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।”

    আম মানুষের মধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। তাই তারা গুজ্জরদেরকে দুধ বিক্রি করতে দিচ্ছে না, এসএসপি গর্গ বিষয়কে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেন।

    সাংবাদিক যখন পাল্টা প্রশ্ন ছোঁড়েন , কিসের আশঙ্কা, তিনি বলেন, আমি কিভাবে বলবো কিসের আশঙ্কা?” যারা এই দুধ বিক্রেতাদের দুধ বিক্রি করতে বাঁধা দিচ্ছে, পুলিশ কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, দুধ তো অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রীর তালিকায় পড়ে, পুলিশ আধিকারিক গর্গ এই প্রশ্নের উত্তর ও দিতে ব্যর্থ হন।

    উপরন্তু এসএসপি গর্গের বয়ানের সঙ্গে ডেপুটি কমিশনারের বয়ানও কিন্তু মিলছে না। কারণ ডেপুটি কমিশনার বার্তা সংস্থা দ্য ওয়্যার কে জানায় যে তিনি ওই দিন এবং তার আগের দিন অভিযোগ পেয়েছেন। আর তারপরই তিনি এসএসপিকে “দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছে”।

    কেন দরিদ্র এই মুসলিম দুধ বিক্রেতাদেরকে ঘর ছাড়া হতে হয়?

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। ঠিক ১০ টা নাগাদ। নওশেরা, শিমলী, গড্ডা, বাজিরা, সর্যানা এবং শিবু চক প্রভৃতি এলাকার মন্দির এবং গুরুদুয়ারা থেকে মাইকে একটি বার্তা ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, তবলীগ জামাতের সভা থেকে ফেরা মুসলিমরা আমাদের এলাকায় এসে পৌঁছেছে। ওরা করোনা ভাইরাস ছড়াতে এসেছে। প্রতিটি মহল্লাবাসীকে জানানো হচ্ছে আপনারা জেগে থাকুন, আলো জ্বালিয়ে রাখুন, নিজেদের বাড়ি-ঘর পাহারা দিন।

    ধার্মিন্দর সিং সমাজ কর্মী। নওশেরা শিমলির বাসিন্দা। তিনি জানান, সেদিন আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটি গ্রামে এই ঘোষণা করা হয়। তিনি রাস্তায় কিছু যুবক, ছোঁড়াদের দেখেন। তাদের হাতে লাঠি- সোটা, এসব ছিল। দু তিন-দিন ধরে এটা চলে, জানান তিনি।

    বুধবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে অনুতাপ প্রকাশ করেন নওশেরা শিমলির সরপঞ্চ দর্শন সিং। তিনি বলেন, গোটা ঘটনার সূত্রপাত সর্জনা গ্রাম থেকে। ওই গ্রামের সরপঞ্চ রাজন কুমার প্রথম এই ঘোষণা দেন।

    এরপর সর্জনা গ্রামের সরপঞ্চ রাজন কুমারের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। তিনি মাইকের ঘোষণায় তাবলীগ জামাত, এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়ের নাম নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তাহলে কিসের জন্য ঘোষনা দেওয়া হয়? তিনি বলেন রাতের অন্ধকারে তিনজন ঘোরাফেরা করছিল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/10/35907/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ফেনীতে করোনার ত্রাণের চাল ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা

      ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ডোমরা এলাকায় ত্রাণের চাল লুটে নিয়েছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

      প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্রদের ডোমরা দোকান ঘরের সামনে সারিবদ্ধ করে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছিল। এসময় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ প্রচার সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন শাহীন ও তার ১০-১৫ জন সহযোগি অতর্কিত হানা দিয়ে বিতরণ চলাকালে পিকআপ থেকে জোরপূর্বক তিন বস্তা পরিমাণ চাল নিয়ে যায়।

      ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাসান শরীফ জানান, কয়েকজন এসে চাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান বাহার তাৎক্ষণিক চাল কিনে ১৬ জনকে সমপরিমাণ চাল বিতরণ করেন। তবে কারা চাল নিয়েছে তিনি তাদের নাম বলতে রাজি হননি। নয়া দিগন্তের রিপোর্ট

      বালিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাহার চাল ছিনতাইয়ের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

      জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা বলেন, তিনি বিষয়টি খোঁজখবর নেবেন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/10/35872/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        জরুরী প্রয়োজনে বের হলেও সাধারণ জনগণকে মারধর কাউন্সিলরের



        জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করেছে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন।

        প্রসঙ্গত, এর আগে গত মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) কাউন্সিলর আমিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপরই সমালেচনার ঝড় উঠে।

        ভিডিওতে দেখা যায়, আমিন দলবলসহ বাজারে গিয়ে লোকজনকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই মোটা লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। খবরঃ আমাদের সময়

        কাউন্সিলর জনপ্রতিনিধি হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। করোনার মধ্যে মানুষকে বুঝানোর পরিবর্তে নির্যাতন করে তিনি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তার নির্যাতনের শিকার হয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/10/35876/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনা পরিস্থিতি : তাগুত প্রশাসনের বাড়াবাড়ি, মসজিদের ইমামদেরকে আটক, জরিমানা!



          বাংলাদেশে মুরতাদ সরকারের অব্যস্থাপনার কারণে দিন দিন করোনা মহামারি আকার ধারণ করছে। এদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগে করোনা প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি ত্বাগুত সরকার। এখনো অবধি মৌখিক বড় বড় কথা ব্যতীত প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা করেনি তারা। এমতাবস্থায় ত্বাগুত সরকারের ব্যর্থতা লুকাতে ইমাম, মুসল্লি ও সাধারণ জনতার উপর কঠোরতা আরোপ করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন স্থানে বিনা দোষে ইমাম, মুসল্লিদের হয়রানি, জরিমানা ও আটক করছে।

          সংবাদ মাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে পাঁচ জনের বেশি মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করায় ইমামসহ পাঁচজনের কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে কথিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার জেলা সদরের লাল মোহন বাহাদুর জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।

          মসজিদের মুসল্লিরা জানান, প্রথমে তিন জন মুসল্লি ইমামের পেছনে জোহরের নামাজে জামাতে দাঁড়ান। পরে পেছনে আরও কয়েকজন জামাতে শরিক হন। নামাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম মসজিদে প্রবেশ করেন। তিনি ইমাম সাহেবের কাছে এত ব্যক্তি নিয়ে নামাজ পড়ার কারণ জানতে চান। পরে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ডেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করার নির্দেশ দেন।

          উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাবিবুল হাসান মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল খালেককে দুই হাজার টাকা এবং চার মুসল্লির প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার করে চার হাজার, সর্বমোট ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

          এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি নামাজ শুরু করার সময় আমার পেছনে মাত্র তিন জন মুসল্লি ছিলেন। জামাত চলার সময়ে আরও ৩/৪ জন মুসল্লি অংশ নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারিভাবে নির্দেশনা আসার পর আমি বিষয়টি মসজিদের মাইকের মাধ্যমে এলাকায় প্রচার করি। আমি ইমামতি করার সময় আমার অগোচরে এবং পেছনে যদি কোনও মুসল্লি দাঁড়িয়ে যায় তখন আমার করার কী থাকে? কিন্তু জেলা প্রশাসক আমার এসব কথা শোনারও চেষ্টা করেননি।’

          একইভাবে, লক্ষ্মীপুরে এশার নামাজের জামাতে পাঁচজনের বেশি মুসল্লি হওয়ায় ইমামকে আটক করেছে সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বাদ এশা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার আনু ব্যাপারী জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। তবে জামাতে বেশি মুসল্লি হওয়ার ঘটনায় ইমামদের দোষ দিচ্ছেন না সচেতন মহল।

          সচেতন মহলের ভাষ্যমতে, ইমামরা নিষেধ করলেও নামাজে দাঁড়ানোর পর অতিরিক্ত মানুষ এসে অংশগ্রহণ করেন।

          ইমামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ ও মদিনাতুল উলুম রহমতে আলম ইসলামী মিশন মাদরাসা কমিটির দফতর সম্পাদক ফিরোজ আলম রাসেল বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ইমামের দোষ ছিল না। জামাতে দাঁড়ানোর পর অতিরিক্ত মুসল্লি এসে নামাজে অংশ নেয়।

          এদিকে, দেশবরেণ্য আলেমগণের অনেকে মনে করছেন, সরকার প্রয়োজনের বিবেচনায় কাঁচা বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দোকান, ফ্যাক্টরী বিভিন্ন নিয়মে খোলা রাখছে, আবার, এমনও দেখা যাচ্ছে যে, মসজিদে মুসল্লিদের চেয়ে তাদের ফটো তোলার জন্য যাওয়া সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি! তাহলে কিছু সময়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের সাথে মসজিদে জামাত চালু রাখলে সমস্যা কোথায়?
          আর যাইহোক, জামাআতে নামাজ আদায়ে মসজিদের ইমামদেরকে আটক ও জরিমানার ঘটনাগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না দেশের জনসাধারণ। তাদের মতে, দেশের ইসলামবিদ্বেষী সরকার সুযোগ পেলেই ইসলাম ও মুসলিমদের উপর বর্বরোচিতভাবে আঘাত হানে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/10/35895/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ইয়া রব্ব! আপনি মুসলিম উম্মাহর সহায় হোন।
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ আপনি মুসলিমদের হিফাজত করুন আর আমাদের হাতে কুফফারদের শাস্তি প্রয়োগ করুন।

              Comment


              • #8
                Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
                ইয়া রব্ব! আপনি মুসলিম উম্মাহর সহায় হোন।
                আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন!
                হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Amirul Islam View Post
                  হে আল্লাহ আপনি মুসলিমদের হিফাজত করুন আর আমাদের হাতে কুফফারদের শাস্তি প্রয়োগ করুন।
                  আমিন আমিন আমিন! ইয়া আরহামুররহিমিন!
                  হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Amirul Islam View Post
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলিমদের হিফাজত করুন আর আমাদের হাতে কুফফারদের শাস্তি প্রয়োগ করুন।
                    আমিন আমিন আমিন! ইয়া আরহামার্ররাহিমীন!
                    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                    Comment

                    Working...
                    X