Announcement

Collapse
No announcement yet.

◆_ধারাবাহিক "অন্তরের ব্যাধি" সিরিজ। প্রথম অধিবেশনঃ অন্তরের পরিচয়।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ◆_ধারাবাহিক "অন্তরের ব্যাধি" সিরিজ। প্রথম অধিবেশনঃ অন্তরের পরিচয়।

    ধারাবাহিক "অন্তরের ব্যাধি" সিরিজ।
    প্রথম অধিবেশনঃ অন্তরের পরিচয়।



    বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহিম।
    আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। নাহমাদুহু ওয়া নাস্তায়ীনুহু ওয়া নাস্তাগফিরুহু ওয়া নাউুজু বিল্লাহি মিন শুরুরি আনফুসিনা ওয়া মিন সায়্যিআ-তি আ'মালিনা, মাই্যাহদিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লালাহু ওয়া মাই্যুদলিলহু ফালা হাদিয়ালাহু ওয়া নাশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহ দাহু লা শারিকালাহ, ওয়া নাশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু।
    আম্মা বা'দ

    প্রিয় ভাইয়েরা!
    অন্তরে ব্যাধি সিরিজটি শুরু করার পূর্বে অন্তর কি সেটা জানা খুবই প্রয়োজন।
    তাই আমরা প্রথমে অন্তর-কলবের পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

    "অন্তর" যাকে আরবিতে বলা হয় "কলব"। কলব এ কারণে বলা হয় যে, কলব অর্থ পরিবর্তন করা, আর অন্তর যেহেতু কোন একটি অবস্থার উপর স্হীর থাকেনা কয়েকটি অবস্থায় পরিবর্তনশীল সেহেতু তাকে কলব বলা হয়।
    রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বলেছেনঃ অন্তর হলো পালকতুল্য, উন্মুক্ত মাঠে বাতাস তাকে যেদিকে ইচ্ছা উল্টাতে-পাল্টাতে থাকে।
    [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৮৮
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।]

    এ কারণেই রাসুলে আকরাম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি এই দোয়া করতেনঃ
    يا مقلب القلوب والأبصــار ثبت قلبي على دينــــك
    "হে অন্তর ও দৃষ্টিসুমুহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর অবিচল রাখুন!"

    একজন মুসলিমের আবশ্যক হলো সর্বদা তার কলব-অন্তরকে পর্যবেক্ষণে রাখা যে তাহা কোন দিকে পরিবর্তিত হলো(?) এবং কলব-অন্তরকে সর্বদা পরিশুদ্ধ রাখারার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

    ইয়াহইয়া বিন মু'আজ বলেনঃ একজন মুসলিমের অন্তরের উদাহরণ একজন বাগানির বাগানের মত। বাগানির বাগানে যেমন কখনো কখনো গোলাপ ও বিভিন্ন ফুলে ভরপুর থাকে তেমনি কখনো কখনো বাগানে কাঁটা ও ঝড়া পাতাও জমে থাকে, যাকে সে কষ্ট করে হলেও পরিস্কার করতে হয়। তেমনি একজন মুসলিমের অন্তর কখনো কখনো পরিশুদ্ধ থাকে যাহা খুবই ভালো। আবার কখনো তাতে বিভিন্ন ব্যাধি এসে বাসা বাঁধে, যাকে খুব কষ্ট করে হলেও চিকিৎসা করতে হয়, এবং সুস্থ সবল রাখতে হয়।

    এই নাফস, কলব, অন্তর কেন এত গুরুত্বের বিষয়ঃ

    একঃ বিশুদ্ধ ও সুস্থ কলবের মাধ্যমে ক্ষতস্থান ও অঙ্গসমুহের সুস্থতা ও বিশুদ্ধতা অর্জন হয়। আর নষ্ট ও অসুস্থ কলবের মাধ্যমে ক্ষতস্থান ও অঙ্গসমুহ নষ্ট ও অসুস্থ হয়ে পরেঃ

    রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ জেনে রাখ! শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ! সে গোশতের টুকরোটি হল ক্বলব (অন্তর)।
    [সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫২
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]


    দুইঃ অন্তর হলো আল্লাহ তায়ালার দৃষ্টিপাতের একটি স্হানঃ

    রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক চাল-চলন, ধনসম্পদ, ও দেহকায়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না, বরং "তিনি দৃষ্টি দিয়ে থাকেন তোমাদের অন্তর' ও ‘আমলের প্রতি।"
    [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৩৭
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]

    তিনঃ অন্তর-কলব শ্রদ্ধা ও বিনয় ও নিষ্ঠার স্থানঃ
    রসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করতেনঃ
    اللهم إني أعوذ بك من قلب لا يخشع
    "হে আল্লাহ, আমি এমন অন্তর-কলব থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি, যা আপনার ভয়ে ভীত হয়ে শ্রদ্ধায় মাথা নত করেনা।"
    [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৭৯৯
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।]


    �� প্রিয় ভাইয়েরা আমার! যে কলবে খুশু' [আল্লাহ তায়ালার ভয়ে ভীত হয়ে শ্রদ্ধায় মাথা নত করা] থাকেনা সে কুরআন তিলাওয়াত করে বা শুনে কাঁদতে পারে না, নামাজে দাঁড়িয়েও কাঁদতে পারে না। সে বিভিন্ন গান বাজনা ও অনর্থক কাজে উৎসাহিত হয়ে যায়। জেনে নাও! এমন হৃদয় অসুস্থ।

    চারঃ অন্তর-কলব ইমানের স্থানঃ
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বলেছেনঃ হে সেসব লোক যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু "ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি!" তোমরা মুসলিমদের গীবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন। [আল্লাহ তায়ালা আমাদিগকে হিফাজত করুন আমিন!]
    [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৮০
    হাদিসের মান: হাসান সহিহ।]


    পাঁচঃ কলব-অন্তর হলো তাকওয়া "আল্লাহ-ভিতি"র স্হানঃ
    রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘আল্লাহ ভীরুতা এইখানে থাকে' বলার সময় তিনি স্বীয় বক্ষস্থলের প্রতি তিনবার ইঙ্গিত করেছিলেন।
    [বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ১৪৯৬ে
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]


    ওয়াবিছহ রাযিয়াল্লহু তায়ালা আনহু বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলাম এবং সকল পূন্য ও পাপ সম্পর্কে জানতে চাইলাম। সেখানে অনেক মানুষের সমাগম ছিল। আমি বললাম আমাকে তার কাছে যেতে দাও! কেননা তিনিই আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।
    অতপর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেনঃ ওয়াবিছহ আস! আমার কাছে আস! আমি তাঁর "সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" এত নিকটে গেলাম যে আমার হাঁটুদয় তাঁর হাঁটুদয়কে স্পর্শ করছে।
    প্রিয় ভায়েরা আমার!
    আপনারা কি এই সফলতা ও নেয়ামতের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে পারছেন?! যে ওয়াবিছহ রাযিয়াল্লহু তায়ালা আনহু রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এত, এত নিকটবর্তী হতে পেরেছিলেন যে প্রানের চেয়েও প্রিয় নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাঁটুর সাথে তার হাঁটু ছুয়েগেছে! আল্লাহু আকবার!
    হয় যদি আমারো সে সৌভাগ্য হতো?!
    যাই হোক
    তিনি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ওয়াবিছহ! আমি কি তোমাকে বলেদিব তুমি কি জানতে এসেছ?
    আমি বললামঃ জ্বি আমাকে বলুন হে আল্লাহর রাসুল!

    তিনি বললেনঃ তুমি আমার নিকট পূণ্য ও পাপ সম্পর্কে জানতে এসেছ।
    আমি বললামঃ জ্বি।

    অতপর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনার তিনটি আঙুল একত্রিত করে আমার বুকে লাগিয়ে বললেন ‘‘তুমি তোমার অন্তরকে (ফতোয়া) জিজ্ঞাসা কর। পুণ্য হল তা, যার প্রতি তোমার মন প্রশান্ত হয় এবং অন্তর পরিতৃপ্ত হয়। আর পাপ হল তা, যা মনে খট্*কা সৃষ্টি করে এবং অন্তর সন্দিহান হয়। যদিও লোকেরা তোমাকে (তার বৈধ হওয়ার) ফতোয়া দিয়ে থাকে।’’
    [আহমাদ ১৭৫৩৮, ১৭৫৪০, ১৭৫৪৫, দারেমী ২৫৩৩, রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৫৯৬। হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।]

    সুতরাং বুঝাগেল অন্তরের খুবই মাহাত্ম্য রয়েছে, যে মাহাত্ম্য গুলো লাভের জন্য অবশ্যই আমাদের অন্তরকে পবিত্র, সুস্থ, ও পরিশুদ্ধ রাখতে হবে, কারণ অপবিত্র স্হানে পবিত্র জিনিসের যায়গা হয়না। তাই আমরা এই সিরিজের সামনের পর্ব গুলোতে অন্তরের ব্যাধি সমুহ ও তা থেকে পরিত্রাণের বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। ওয়ামা তাওফি-কি- ইল্লা-বিল্লা-হ।

    আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে অন্তরের ব্যাধি সমুহ জানার ও তা থেকে পরিত্রাণ লাভের তাওফিক দান করুন আমিন!

    আমাদের নেক দোয়ায় মাজলুম উম্মাহ এবং মুজাহিদীনগনকে যেন ভুলে না যাই!


    আল্ল-হুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লাম ওয়া বা-রিক আলা- নাবিয়্যিনা- মুহাম্মাদ ওয়া আলা- আ-লি মুহাম্মাদ কামা- সল্লাইতা ওয়া সাল্লামতা ওয়া বা-রকতা আলা- ইবর-হী-ম ওয়া আলা- আ-লি ইবর-হী-ম ইন্নাকা হামি-দুম্মাজি-দ।

    চলবে ইনশাআল্লাহ.............!
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 04-19-2020, 06:11 AM.
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

  • #2
    মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর আলোচনা৷ জাযাকাল্লাহু খায়রান আখি৷

    Comment


    • #3
      মাশা'আল্লাহ। উত্তম পোস্ট করেছেন।
      আমার একটা প্রশ্ন: মা'রেফত কী?
      ও মা'রেফত ' কি শরীয়তের উর্ধ্বে ? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালে আমরা উপকৃত হতাম।

      আসলে প্রশ্ন টা এই জন্যে করলাম যে, সাম্প্রতিক সময়ে কথিত কিছু সুফিবাদী আলেম নিজেদের মান ও খানকাসমূহ টিকিয়ে রাখতে তারা বলে থাকেন যে,মা'রেফতী বিষয় শরীয়তের ঊর্ধ্বে.(?)
      এ কথার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু?
      ইসলামের জন্যে এমন লোকদের প্রয়োজন, যারা এই দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
      =আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরী হাঃফিঃ

      Comment


      • #4
        যাজাকাল্লাহ ভাই, অনেক সুন্দর উদ্দ্যোগ ও আলোচনা।

        একটা বিষয় খেয়াল রাখলে ভাল হবে, কোন আয়াত বা হাদীসের দলীল দেয়ার পর একটু অন্তর থেকে চিন্তা করলেই দেখবে আল্লাহ তায়ালা মনে অনেক কিছু স্পষ্ট করে দিচ্ছে, সেই বিষয়গুলো মুনাসিব মনে হলে যুক্ত করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। কারণ আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বারবার তাফাক্কুর করতে বলেছেন।
        লিখার মধ্যে যা ভুল তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে
        আর যদি সঠিক হয় তাহলে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত

        Comment


        • #5
          Originally posted by Muhammad Jainul Abedin View Post
          মাশা'আল্লাহ। উত্তম পোস্ট করেছেন।
          আমার একটা প্রশ্ন: মা'রেফত কী?
          ও মা'রেফত ' কি শরীয়তের উর্ধ্বে ? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালে আমরা উপকৃত হতাম।

          আসলে প্রশ্ন টা এই জন্যে করলাম যে, সাম্প্রতিক সময়ে কথিত কিছু সুফিবাদী আলেম নিজেদের মান ও খানকাসমূহ টিকিয়ে রাখতে তারা বলে থাকেন যে,মা'রেফতী বিষয় শরীয়তের ঊর্ধ্বে.(?)
          এ কথার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু?
          জি মুহতারাম আপনার এ প্রশ্নটির উত্তর উপস্থাপন করা হবে ইনশাআল্লাহ! একটু বেস্ততায় আছি তাই এখন পারছিনা....!
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আবু মাহমুদ View Post
            যাজাকাল্লাহ ভাই, অনেক সুন্দর উদ্দ্যোগ ও আলোচনা।

            একটা বিষয় খেয়াল রাখলে ভাল হবে, কোন আয়াত বা হাদীসের দলীল দেয়ার পর একটু অন্তর থেকে চিন্তা করলেই দেখবে আল্লাহ তায়ালা মনে অনেক কিছু স্পষ্ট করে দিচ্ছে, সেই বিষয়গুলো মুনাসিব মনে হলে যুক্ত করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। কারণ আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বারবার তাফাক্কুর করতে বলেছেন।
            আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহু!
            সম্মানিত ভাই! আপনার পরামর্শটি অত্যন্ত মুল্যবান ও গুরুত্বপুর্ন!
            ভাইজান! যদি কোথাও নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের আলোচনা হয়, আমার মনে হয় ("ভুল ও হতে পারে") ঐ নির্দিষ্ট বিষয় ব্যাতিত অন্য বিষয় গুলো আলোচনা করার দ্বারা মুল উদ্দেশ্য ছুটে যাবে। মুল আলোচনা বুঝতে কষ্ট ও কঠিন হয়ে যাবে। তাই সে আলোচনা গুলো না করা ভালো যে আলোচনা গুলো নির্ধারিত বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। আল্লহু আ'লাম।

            প্রিয় ভাই! একটি আয়াত বা একটি হাদিস কে সকল দিক থেকে তাফাক্কুহ করার জন্য বিশদ বিস্তীর্ণ আলোচনার প্রয়োজন বা আলোচনার শিরোনামটা নির্দিষ্ট ভাবে তাফাক্কুহ (তাফসীর বা হাদিসের উন্মুক্ত ব্যাক্ষা হওয়া) উচিত। নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর কোন আয়াত বা হাদিস আনার পর নির্দিষ্ট ব্যাক্ষাটাই যথেষ্ট মনে হয়। অন্যান্য বিষয়টি না আনাই শ্রেয় বলে আমার ধারণা!
            ভুল হলে অনুগ্রহ করে শুধরে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
            ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহু!
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment


            • #7
              Originally posted by Muhammad Jainul Abedin View Post
              মাশা'আল্লাহ। উত্তম পোস্ট করেছেন।
              আমার একটা প্রশ্ন: মা'রেফত কী?
              ও মা'রেফত ' কি শরীয়তের উর্ধ্বে ? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালে আমরা উপকৃত হতাম।

              আসলে প্রশ্ন টা এই জন্যে করলাম যে, সাম্প্রতিক সময়ে কথিত কিছু সুফিবাদী আলেম নিজেদের মান ও খানকাসমূহ টিকিয়ে রাখতে তারা বলে থাকেন যে,মা'রেফতী বিষয় শরীয়তের ঊর্ধ্বে.(?)
              এ কথার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু?
              বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহিম
              আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
              নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম, আম্মাবাদ
              মুহতারাম ভাই!
              আশাকরি আপনি এ বিষয়টি জেনে থাকবেন যে আমরা সকলেই পরকালে জান্নাত লাভের আশা করে থাকি। আর জান্নাত জাহান্নাম সহ তামাম সৃষ্টির সবি আল্লাহ জাল্লা শানুহু এর। আর পরকালের সেই জান্নাত লাভ তখনই সম্ভব যখন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ হবে। আর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য ইসলাম/শরীয়ত-ই নাজিল করেছেন সাথে সে শরীয়াহ পালনের জন্য মানহাজ নাজিল করেছেন।

              আমরা দ্বীনে ইসলামের/শরীয়তে ইসলামির অনুস্মারী যাহা আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দ্বীন। আর দ্বীনে ইসলাম পালন করতে হবে ঐ পদ্ধতিতে যে পদ্ধতি আমাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রাসুলে আকরাম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন! আমাদের কারো অধিকার নেই রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পদ্ধতি থেকে একচুল বাড়ানো বা একচুল কমানো! রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পন্থাটা সেই পন্থা যে পন্থায় ইবাদত করলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদের ইবাদত কবুল করবেন।
              তাহলে সারকথা এ দাঁড়ালো দ্বীন/ইসলাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টির লাভের জন্য পালন করতে হলে ঐ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যে পদ্ধতি অবলম্বন করলে আল্লাহ তায়ালা তাহা কবুল করবেন ও সন্তুষ্ট হবেন।

              এবার একটা কথা বলুন তো আল্লাহ তায়ালা নাজিল করলেন শরিয়াহ আর আপনি পালন করলেন তরীকত"হাকিকত"মারেফত তো আপনি কি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি পাবেন? নাকি অসন্তুষ্টি, রোষানল?
              তবে কেহ যদি সেগুলোর এমন অর্থ করেন যাহা শরীয়ার খেলাফ নয় বরং শরীয়ার মুওয়াফিক তাহলে ইনশাআল্লাহ সমস্যা নেই। যেমনঃ তরীকত মানে হলো রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথে শরীয়াহ মানা। হাকিকত মানে হলোঃ সত্যটাই মানা মিথ্যাকে বর্জন করা। মা'রেফাত শরীয়াহ কে পূর্ণ ভাবে জেনে মানা। তখন এগুলো কোন স্তর থাকবেনা এ গুলো একি সাথে পালনিয় হবে। কেহ এটা বলতে পারবেনা আমার এখন শরীয়াহ পর্ব শেষ তরিকত পর্বে আছি, তরীকত পর্ব শেষ মারেফত পর্বে আছি মারেফত পর্ব শেষ হাকিকতে আছি! তাহলে সে মুসলিম নয় মুমিন নয় আল্লাহ ওয়ালা নয় বরং সে গাদ্দার কাজ্জাব, ধোঁকাবাজ।

              দেখুন দ্বীনে ইসলামে সাহাবায়ে কেরাম এর একটু বেশি ভালো কিছু করার ইচ্ছা পোষণের কারনে রাসুলে আকরাম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেছেনঃ
              আনাস ইব্*নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, তিন জনের একটি দল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ‘ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর স্ত্রীদের বাড়িতে আসল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে জানানো হলো, তখন তারা ‘ইবাদাতের পরিমাণ কম মনে করল এবং বলল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সঙ্গে আমাদের তুলনা হতে পারে না। কারণ, তাঁর আগের ও পরের সকল গুনাহ্* ক্ষমা ক’রে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য হতে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতভর সলাত আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সবসময় সওম পালন করব এবং কক্ষনো বাদ দিব না। অপরজন বলল, আমি নারী সংসর্গ ত্যাগ করব, কখনও বিয়ে করব না।

              এরপর রসূলুল্লাহ্* (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, “তোমরা কি ঐ সব লোক যারা এমন এমন কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহ্*র কসম! আমি আল্লাহ্*কে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশি অনুগত; অথচ আমি সওম পালন করি, আবার তা থেকে বিরতও থাকি। সলাত আদায় করি এবং নিদ্রা যাই ও মেয়েদেরকে বিয়েও করি। সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।
              [মুসলিম ১৬/১, হাঃ ১৪০১, আহমাদ ১৩৫৩৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯৩]

              সুতরাং আমি ও এখানে সেটাই বলতে চাই যা প্রাণাধিক প্রিয় নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে এই ধরাতে রাসুলে আকরাম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আল্লাহ কে বেশি জানে ও ভয় করে এবং আনুগত্য করে এমন কেহ নেই! স্বয়ং সাহাবা আজমায়ীনরাও ছিলেননা। তাই তিনি যেভাবে দ্বীন পালন করতে বলেছেন সেভাবেই দ্বীন পালন করতে হবে যদি দ্বীন পালনের উদ্দেশ্য আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভ হয়।

              আল্লাহ তায়ালা সকল ভুল-ভ্রান্তি থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুন আমিন!

              এখানে মূলনীতি আলোচনা করা হয়েছে কোন ব্যক্তি বিশেষ প্রশ্ন কেরেননি সে জন্য জাযাকাল্লহু খইরান আহসানাল জাযা.... এবং আশা করি কোন ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করবেনও না কারণ মুলনিতি বলে দেওয়া হয়েছে সে হিসেবে যাচাই করে নিন ইনশাআল্লাহ।

              আর কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

              আশাকরি মুহতারাম "Jainul Abedin" ভাই! উত্তরটি পেয়েছেন।
              ফোরামের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য জাযাকাল্লাহ........!
              ওাসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment


              • #8
                প্রিয় ভাই! আপনি অনেক উত্তম উদ্যোগ নিয়েছেন,ধারাবাহিকতা চালুু রাখার অনুরোধ,আমরা খুবই উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ্!
                আল্লাহ্ আপনাকে সাহায্য করুন,মিডিয়ার সকল ভাইকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন, আমিন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ALQALAM View Post
                  বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহিম
                  আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
                  নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মা বা`দ
                  মুহতারাম ভাই!
                  আশাকরি আপনি এ বিষয়টি জেনে থাকবেন যে আমরা সকলেই পরকালে জান্নাত লাভের আশা করে থাকি। আর জান্নাত- জাহান্নাম সহ তামাম সৃষ্টির সবি আল্লাহ জাল্লা শানুহু এর। আর পরকালের সেই জান্নাত লাভ তখনই সম্ভব যখন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ হবে। আর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য ইসলাম/শরীয়ত-ই নাজিল করেছেন সাথে সে শরীয়াহ পালনের জন্য মানহাজ নাজিল করেছেন।

                  আমরা দ্বীনে ইসলামের/শরীয়তে ইসলামির অনুসারী যাহা আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দ্বীন। আর দ্বীনে ইসলাম পালন করতে হবে ঐ পদ্ধতিতে যে পদ্ধতি আমাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন! আমাদের কারো অধিকার নেই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পদ্ধতি থেকে একচুল বাড়ানো বা একচুল কমানো! রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পন্থাটা সেই পন্থা যে পন্থায় ইবাদত করলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদের ইবাদত কবুল করবেন।
                  তাহলে সারকথা এ দাঁড়ালো দ্বীন/ইসলাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য পালন করতে হলে ঐ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যে পদ্ধতি অবলম্বন করলে আল্লাহ তায়ালা তাহা কবুল করবেন ও সন্তুষ্ট হবেন।

                  এবার একটা কথা বলুন তো আল্লাহ তায়ালা নাজিল করলেন শরিয়াহ আর আপনি পালন করলেন তরীকত"হাকিকত"মারেফত তো আপনি কি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি পাবেন? নাকি অসন্তুষ্টি, রোষানল?
                  তবে কেহ যদি সেগুলোর এমন অর্থ করেন যাহা শরীয়ার খেলাফ নয় বরং শরীয়ার মুওয়াফিক তাহলে ইনশাআল্লাহ সমস্যা নেই। যেমনঃ তরীকত মানে হলো রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথে শরীয়াহ মানা। হাকিকত মানে হলোঃ সত্যটাই মানা মিথ্যাকে বর্জন করা। মা'রেফাত শরীয়াহ কে পূর্ণ ভাবে জেনে মানা। তখন এগুলোর কোন স্তর থাকবেনা এ গুলো একি সাথে পালনিয় হবে। কেহ এটা বলতে পারবেনা আমার এখন শরীয়াহ পর্ব শেষ তরিকত পর্বে আছি, তরীকত পর্ব শেষ মারেফত পর্বে আছি মারেফত পর্ব শেষ হাকিকতে আছি! তাহলে সে মুসলিম নয় মুমিন নয় আল্লাহ ওয়ালা নয় বরং সে গাদ্দার কাজ্জাব, ধোঁকাবাজ।
                  মাশা'আল্লা। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান । আল্লআহ তায়ালা আপনাদের ও আমাদের উপর রহমত নাজিল করুন।আমিন।
                  মুহতারাম ভাই! আপনার বলা মূলনীতির খেলাফ কোনো মা'রেফতী দ্বাবীদার যদি শরীয়াহ এর কোনো স্পষ্ট বা ফেকহী বিধান কে উপেক্ষা করে মারেফত বলে সাধারণ মুরীদগণকে বিভ্রান্ত করে , তাহলে তাহার কী হুকুম ?
                  ইসলামের জন্যে এমন লোকদের প্রয়োজন, যারা এই দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
                  =আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরী হাঃফিঃ

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Muhammad Jainul Abedin View Post
                    মাশা'আল্লা। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান । আল্লআহ তায়ালা আপনাদের ও আমাদের উপর রহমত নাজিল করুন।আমিন।
                    মুহতারাম ভাই! আপনার বলা মূলনীতির খেলাফ কোনো মা'রেফতী দ্বাবীদার যদি শরীয়াহ এর কোনো স্পষ্ট বা ফেকহী বিধান কে উপেক্ষা করে মারেফত বলে সাধারণ মুরীদগণকে বিভ্রান্ত করে , তাহলে তাহার কী হুকুম ?
                    ইনশা আল্লাহ ভাই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওা হবে। তবে আজ সময় হচ্ছেনা............। তাই আফওান।
                    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                    Comment


                    • #11
                      মাশাআল্লাহ অনেক উপকৃত হলাম...!
                      জাযাকাল্লাহু খাইরান ।
                      হয়তো শরিয়াহ,নয়তো শাহাদাহ।

                      Comment


                      • #12
                        মাশাআল্লাহ খুবই জ্ঞান গর্ব মোযাকারাহ আল্লাহ তা’য়ালা বারাকাহ দান করুন।আমীন

                        Comment

                        Working...
                        X