Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিছু অগোছালো কথাঃ কেউ আছেন একটু ফিকির করবেন!?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিছু অগোছালো কথাঃ কেউ আছেন একটু ফিকির করবেন!?

    কিছু অগোছালো কথাঃ কেউ আছেন একটু ফিকির করবেন!?

    আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস-সালামু আলা রাসুলিহিল আমিন
    আম্মা বাদ-

    কিছু কথা আমার জেহেনে এলোমেলোভাবে ঘুরছে! কিন্তু কিভাবে ভাইদের গুছিয়ে বলবো, সেটা বুঝতে পারছি না! পরিশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম সাধ্যের মধ্যে আমার মত করেই লিখি!

    অনেক বছর আগে এক প্রতিষ্ঠানে আমার এক দীর্ঘ দিনের সাথীকে জিহাদের দাওয়াত দিলাম! কিন্তু সে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করলো না! কিন্তু আমার চেয়ে আরও দূরবর্তী একজন তাকে দাওয়াত দিল, সে গ্রহণ করলো ও পরিশেষে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারিত হল! আমি এটা এখনো বুঝলাম না, সে আমাকে পাত্তা না দিয়ে দূরবর্তী আরেকজনকে কেন পাত্তা দিল! ও দিনশেষে প্রতারিত হল!?

    এ ভূখণ্ডে বহুবার এমন হয়েছে, আমাদের ভাইদের রিসালাহ/কিতাবাদি/অডিও-ভিডিও ইত্যাদি পড়ে/দেখে অনেক ভাই জিহাদ বুঝেছেন, মানহাজ বুঝেছেন! কিন্তু কোন কোন স্বার্থপরের ফাঁদে পড়ে আমাদের-ই বিপক্ষ হয়েছেন! তানজিম বারবার বলছে যে অনলাইনে সাথী রিক্রুট হয় না, কিন্তু কিছু ভাই এভাবেই ফাঁদে পড়েছেন, এমনকি তাগুতের হাতে বন্দীও হয়েছেন! আমি এখনো বুঝি না! কিছু মানুষ এমন কেন? জেনে বুঝে তবুও কেন নফসের পুজা করেন! আর পরিশেষে ক্ষতিগ্রস্ত হন! প্রতারিত হন!

    ইদানীং ফেসবুকে জিহাদ সমর্থক ভাইদের মাঝে "ইসতিওয়া আলাল আরশ" সহ আরও কিছু প্রসঙ্গে নানা বিতর্ক চলছে! বুঝমান ভাইদের বারবার নসিহাহ ও সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও থামার কোন লক্ষণ নেই! এক পক্ষ আরেক পক্ষকে গালাগাল, কটূক্তি করছে! তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে! এমনকি নির্দেশনামূলক নসিহাহ তাদের কাছে পৌঁছানোর পরও চালিয়ে যাচ্ছে! আমার আশ্চর্য লাগে! এরা কেমন সমর্থক! এরা কি নিজেদের নফসের পুজা করে? না হলে কেন তারা জিহাদের স্বার্থ দেখছেনা! মুজাহিদদের ফায়েদা দেখছেনা!?

    কিছু নাদান দোস্ত আছে আমাদের! একদিকে নিজেদের জিহাদ সমর্থক হিসেবে প্রচার করে, অপরদিকে মুজাহিদিনের নসিহাহকে এরা থোরাই কেয়ার করে! আম উলামাদেরকে যাচ্ছেতাই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে! এদের আচরণে ভালো মানুষগুলোও জিহাদি জামাআত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়! এই ধরণের নাদানগুলো-ই জিহাদে জামাআতে ঢুকতে পারলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে!

    পরিশেষে আমাদের প্রাণপ্রিয় ভাইদের প্রতি! ফেতনার এই যুগে প্রতিটি কদম যেন আমরা সতর্কতার সাথে ফেলি! আমাদের আচরণ, কথাবার্তা, ফেসবুক স্ট্যাটাস যেন আল্লাহর জন্য হয়, নিজের খাহেশাতের জন্য না হয়! ও ভাইয়েরা! জিহাদের জন্য বসে আছেন! কেন এখনো জিহাদ শুরু হচ্ছে না বলতেছেন! মনে করতেছেন! কিন্তু নাদান বন্ধুরা উর্বর জমিনকে যে নষ্ট করে দিচ্ছে! উম্মাহকে বন্ধু বানানোর পরিবর্তে শত্রু বানিয়ে দিচ্ছে! কেউ কি আছেন কথাগুলো বুঝার!? বুঝানোর? কেউ আছেন কি, একটু চিন্তা করার!? চিন্তা করানোর??







  • #2
    মাশাআল্লাহ! খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন সম্মানিত ভাই। আলাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের ভাইদেরকে বুঝ দান করুন,আমীন। আর আমাদের ভাইদের জন্য এই সেন্সেটিভ আক্বিদা 'আম মানুষের সামনে আলোচনা না করে ইনবক্সে আলোচনা করাটাই ভাল। যদি আমাদের নিজেদের মধ্যে সংশয় দূর করা উদ্দেশ্য হয়। আর যদি 'আম মানুষকে গোমরাহ করাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের মনের খবর ভাল করেই জানেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের গোমরাহি থেকে হেফাজত করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
    বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
    কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

    Comment


    • #3
      মোহতারাম ভাই, আপনার লিখাটি আমার হৃদয়কে ভেঙ্গে দিল, ভাই অশ্রুশিক্ত হয়েগেল আমার নয়ন, ভাই খুবি আশাহত সত্য সংবাদ, এইটা এমন সংবাদ যা প্রতিটি হৃদয়কে ভেঙে চুরমার করে আখি দয় অশ্রুতে ভিজিয়ে দিতে সক্ষম,
      তারা তো ঐ দলোভুক্ত হয়ে যাচ্ছে সুরা কাহাফের শেষের দিকে যাদের বেপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ তারা হলো ক্ষতিগ্রস্থ যারা খারাপ কাজ করছে অথছ ভাবছে খুবি ভালো কাজ করছে, নাউজু বিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা হিফাজত করুন আমিন,

      ইয়া আল্লাহ আপনি উম্মাহর প্রতি রহম করুন, সকল ভুল ভ্রান্তি ও ফিতনা থেকে হিফাজত করুন আমিন,
      ইয়া আল্লাহ আমাদিগকে গোমরাহ ও গোমরাহকারি থেকে হিফাজত করুন অমিন। আমাদেরকেগোমরাহ ও গোমরাহ কারী কোনটাই বানাইয়েননা, আমিন।
      ইয়া আল্লাহ সিরাতে মুস্তাকিমের উপর উম্মাতে মুসলিমার সকলকে দৃঢ়পদ করুন আমিন আমিন আমিন, ইয়া আরহামুর-রহিমিন।

      ইয়া আল্লাহ আপনি পোষ্টকারী ভাইকে আপনার শান অনুজায়ী সরবোত্তম প্রতিদান দান করুন, উনার দিনই সকল মেহনতকে কবুল করে জান্নাত লাভের উসিলা বানান আমিন।
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #4
        মুহতারাম ভাই!
        আপনার কথাগুলো 100% সঠিক ৷
        অনেক ভাই ফেইসবুকে নিজের খায়েশাত অনুযায়ী পোষ্ট করেন ৷
        নিজেকে অনেক বড় দায়ী মনে করেন ৷
        আসলে এগুলো যে নফসেক ধোঁকা,নিজেই অজান্তেই এই ধোঁকায় পড়ে সে জিহাদেরই ক্ষতি করে ৷
        অথচ,আমাদের সামনে দাওয়াহ এর মূলনীতি নিয়ে অনেকবার আলোচনা হয়েছে ৷
        কিন্তু তাঁরা এ মূলনীতি ফলো করে না ৷
        যার কারনে জিহাদ ও মুজাহিদদের প্রতি মানুষের ঘৃনা সৃষ্টি হয় ৷
        মাঠের কাজ নষ্ট হয়ে যায় ৷
        এইতো মাত্র কয়েকদিন আগেও,শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ এর
        দাওয়াতের ভূল পদ্ধতি ও সঠিক পদ্ধতি নামে দুটি রিসালা দাওয়াতে প্রকাশিত হয়েছে ৷
        এখানে তো স্পষ্টভাবে দাওয়াহ এর মূলনীতি আলোচনা করা হয়েছে ৷

        আবার তারবিয়াহ ম্যাগাজিনও বের করেছে আল ফিরদাউল ভাইয়েরা ৷
        ম্যাগাজিনের একটা ছাপ্টার আছে দাওয়াহ এর মূলনীতি সম্পর্কে ৷
        এখান থেকে মুতলাআ করেও জানা যাবে, দাওয়াহ এর সঠিক ও নববী পদ্ধতি ৷

        আল্লাহ আমাকে এবং সকল ভাইকে এর উপর আমল করার তাউফিক দান করেন ৷ আমিন
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment


        • #5
          Originally posted by আবু আব্দুল্লাহ View Post
          কিছু অগোছালো কথাঃ কেউ আছেন একটু ফিকির করবেন!?


          ইদানীং ফেসবুকে জিহাদ সমর্থক ভাইদের মাঝে "ইসতিওয়া আলাল আরশ" সহ আরও কিছু প্রসঙ্গে নানা বিতর্ক চলছে! বুঝমান ভাইদের বারবার নসিহাহ ও সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও থামার কোন লক্ষণ নেই! এক পক্ষ আরেক পক্ষকে গালাগাল, কটূক্তি করছে! তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে! এমনকি নির্দেশনামূলক নসিহাহ তাদের কাছে পৌঁছানোর পরও চালিয়ে যাচ্ছে! আমার আশ্চর্য লাগে! এরা কেমন সমর্থক! এরা কি নিজেদের নফসের পুজা করে? না হলে কেন তারা জিহাদের স্বার্থ দেখছেনা! মুজাহিদদের ফায়েদা দেখছেনা!?

          ভাইজান মনে হয় আমরা শুধু পুরো দুনিয়ার মুসলিমদের রক্তের ছবিগুলো মোবাইল কম্পিউটার এবং টিভির স্ক্রিনে দেখেছি, কিন্তু রক্তের গন্ধ আমাদের নাকে আসেনি। যখন রক্তের গন্ধ যখন বাতাসে বাসতে থাকবে তখন খুব ধেরি হয়ে যাবে। কয়েক দিন আগে শায়েখ উসামা মাহমুদ হাফেজুহুল্লাহর লেকচারটা আমার মনে হয় শুধু ইন্ডিয়ার জন্য নয় বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য, আল্লাহ হেফাজত করুন উম্মাহকে।
          সত্যি ভাই খুবই পেরেশান হই যখন এগুলো দেখি। বড় সড় ফেতনা থেকে আল্লাহ যেন আমাদের রক্ষা করেন।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ। ভাই খুব মনের আবেগ নিয়ে বলেছেন।
            এটা অত্যন্ত দু:খজনক সংবাদ। এদের ফেতনা ও বিশৃঙ্খলা দমন করার জন্য সম্ভাব্য সব পন্থা অবলম্বন করা উচিত। কিছু ভাই এরকম বলতে পারেন, এদের সাথে আনসার আল-ইসলামের জিহাদের কোন সম্পর্ক নেই। এরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আনসার আল-ইসলাম সমস্ত উম্মাহকে নিয়ে চলতে শিখায়। মুসলমানদের সকল ফেরকাকে তাওহিদের কালিমার অধিনে ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদে ঝাপিয়ে পড়তে শিখায়।

            কেউ ইস্তিওয়া বুঝাতে চাইলে জিহাদী আইডি ব্যতিত ভিন্ন আইডি খুলে করতে পারে না?? সেটা না করে জিহাদীদের বদনাম করছে। তারা আমাদের জিহাদের ক্ষতি করছে। আল্লাহ তাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন!

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, অনেক উপকারী কথা বলেছেন। আসলেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সকলের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।
              আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকল ভাইদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন ও আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
              “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

              Comment


              • #8
                যাজাকাল্লাহ ভাই, আসলেই এই সমস্যাগুলো বারবার আমাদের সামনে উঠে দাড়াচ্ছে। কিছু বুঝমান মানুষ এগুলোর পিছনে থাকে আর কিছু আবেগী মানুষ এগুলোতে তাল দিয়ে বড় করে। শেষ পর্যন্ত এগুলো ব্যক্তি আক্রমনের মাধ্যমে সাধারনের কাছে তানজীমের বদনামের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

                আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ ليبلوكم أيكم أحسن علما তোমাদেরকে পরিক্ষা করবেন কে অধিক সুন্দর আমল করে। এখানে বলেন নি, কে অধিক আমল করে, কে বেশি আমল করে বা কে অনেক বড় আমল করে। বরং আল্লাহ তায়ালা আমল যত ছোট-বড়, কম-বেশি হোক কে সবচেয়ে সুন্দর ভাবে আমল করেছে সেটাই দেখবেন।

                আমরা যদি অনলাইন দাওয়াত বিশাল দাওয়াত দিয়ে আবার সেগুলো নষ্ট করে ফেলি তাহলে কাজের কোন মূল্যই থাকবে না। তাই আমার মনে হয়, এই সমস্ত ফিতনাগুলোর ক্ষেত্রে "কে, কারা, কেন" করছে তা পাত্তা না দিয়ে কঠোরভাবে দমন করা উচিত। কে কষ্ট পেল বা কে বিরোধিতা করল তা দেখার দরকার না। ফিতনা সৃষ্টিকারী হাজারো ভাই থেকে ভালো অল্প ভাই আল্লাহর কাছে অনেক বেশি মূল্যবান ও কাজের লোক।

                আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সমস্ত ফিতনা থেকে রক্ষা করুন, আমীন।
                মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
                রোম- ৪৭

                Comment


                • #9
                  সত্যিকারের জিহাদীরা ফেবুতে সময় খুব কম দেয়। তাছাড়া এখন তো সিক্রেট আইডি বানানো অনেক অনেক কঠিন।
                  ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                  Comment


                  • #10
                    আসলে যখনই ঘটনাটি জানতে পেরেছি তখনই আমি মারাত্মকভাবে ব্যাথিত হয়েছি, আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু পারেন, আমার মনে হয় এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা অনলাইনে জিহাদ সমর্থক ভাইদেরকে একটি বড় মাপের পরিক্ষায় ফেলে দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আল্লাহ কিছু লোককে বাছাই করে নিবেন এবং কবুল করে নিবেন ইনশাআল্লাহ
                    দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
                    জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

                    Comment


                    • #11
                      উম্মাহর কল্যানে দরদমাখা নসিহাহ এই পোষ্টের ভিতরই বিদ্যমান,আল্লাহ্ আমাদের সকল ভাইকে সহিহ বুঝ দান করুন,
                      জিহাদি কাজে জড়িত সব ভাইকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখুন, আমিন।

                      Comment


                      • #12
                        সাবধান হে ভাই ||

                        কোন পথিকের উচিত হবেনা স্বীয় গন্তব্য ভুলে গিয়ে পথের কোন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে মশগুল হয়ে যাওয়া, কিংবা লিপ্ত হয়ে যাওয়া। উচিত হবেনা তাঁর ‘উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যবস্তু’ থেকে নিজেকে সরিয়ে এনে অনর্থক কোনো কিছুর মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা কিংবা নিজেকে বিলীন করে দেয়া।

                        অতএব, হে আমার ভাই!
                        আপনি জিহাদের পথে শহিদি গন্তব্যে পৌঁছার পরিবর্তে অন্য কোনো অসার বিষয়ে মশগুল হয়ে যাননি তো?! নিজেকে তো আবার হারিয়ে ফেলেননি জিহাদী উদ্দেশ্য ও শহিদি গন্তব্য থেকে?। সাবধান হে ভাই! পাপ, তর্ক-বিতর্ক ও বাড়াবাড়ি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন…
                        হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

                        Comment


                        • #13
                          প্রিয় ভাইয়েরা! ফিকহুদ্দাওয়ার উপর বিভিন্ন বই-পুস্তক,প্রবন্ধ, অডিও-ভিডিও জমা করে একত্র করে ভাইদের মাঝে ব্যাপক প্রচার করার আবেদন করছি।যেমন শায়খ আসেম উমর হাফিজাহুল্লার " দাওয়াতে খেলাফত আওর মানহাজে রসুল" শায়খ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লার " দায়ী ভাইদের প্রতি নসীহার যে সিরিজটি চলমান।মডারেটর আবু আবৃদুল্লাহ ভাইয়ের এই লেখাটা, তারপর ওনার দেওবন্দ বিতর্ক নিয়ে লেখা" দিলের কিছু কথা দিলওয়াকাদের প্রতি" তারপর উস্তাদ আবু জুবাইদা হাফিজাহুল্লার "ফেসবুক দায়ীদের প্রতি নসীহা" বা কাছাকাছি শিরোনামে একটা সাক্ষাতকার। ফোরামে আরো অনেকেরই এ নিয়ে বেশ চমৎকার লেখা আছে।salman rumi ভাইয়ের এ ধীনের কিছু লেখা চোখে পড়েছে আমার। কোন কোন জায়গা থেকে গুলু ও বাড়াবাড়ি সৃষ্টি হয় - বা ফিকহুদ্দাওয়ার বিপরীত ক্ষতিকর দাওয়াহ সামনে আসে সেসব কারণ চিন্হিত করে এখনই ব্যবস্হা নেওয়া জরুরী।আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করি।নিজেরাও মুতালাআ করি, ভাইদেরকে সংকলন তৈরী করে পড়তে দেই।ইতেদাল তৈরী এবং দলাদলী ও ফুরুয়ী বিষয়ে ইখতিলাফ পরিহার করার শিকষা দেই।ইনশাআল্লাহ এর সুফল পাওয়া যাবে।অন্যথায় সমস্যা পরে জটিল হতে পারে।এবং কমেন্ট কারী অনেক ভাই আছেন যাদের আসলে কমেন্টে গিয়ে শক্ত বাজে মন্তব্য করা ছাড়া কোন কাজ নেই।এদের নিয়ে কি করা যায় তা ফিকির করা জরুরী।এরা দেখা যায় কোন তানজিমের সাথে জড়িত না। তাই স্বাধীনমতো অনেক কওছু করে বসে।কিন্তু ক্ষতি হয় মুজাহিদদের।আল্লাহ আমাদেরকে সকল ফিতনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।আমীন।

                          Comment


                          • #14
                            একজন শায়খকে কেন্দ্র করেও অনেক অনলাইন সমর্থক অবুঝ ভাই কমেন্টে এমন ভাষায় গালাগালি করেন যা দেখলে শায়খ হাফিজাহুল্লাহ কোনো দিনই খুশি হবেন না।এই ভাইদের অনেকে শায়খের বই পড়ে বিষয়টাকে সমর্থন করা আর ফরজে আইন আদায় হয়ে যাওয়া-দুটো বিষয়কে সমার্থক মনে করে।নিষ্ক্রিয় সমর্থক নিয়ে আমরা আগেও সমস্যায় ছিলাম,এখনো আছি।অথচ আমাদের বহু ভাই হয়তো বইটা উত্তম ভাবে পড়েছেন, কখনো অন্যায় জুলুমের শিকার হয়েছেন এটা পড়তে গিয়ে,কিন্তু জবান সংযত রেখে দাওয়াহ দিয়ে যান।অনলাইনে এবং অনেক শায়খের মেহনতের উসিলায় অনেক সমর্থক ভাই তৈরী হয়েছেন।অনুভব করছি এদের পর্যাপ্ত তারবিয়াহ জরুরী।কিন্তু পড়ে শুধু সমর্থন করলে, তানজিমে না আসলে, আমলে না নামলে তার তরবিয়তের ব্যবস্হা কিভাবে হবে? অনেককেই দেখেছেন এসব নিয়ে দারুণ তর্ক করেন,শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে কমেন্ট করেন, কিন্তু কাজে আসেন না।কারণ এখনো অনেক তাখাসসুসের স্বপ্ন বাকি রয়ে গেছে।
                            এই কথাগুলো শুধু নিষ্ক্রিয় কমেন্টকারীদের ব্যাপারে বললাম, অন্য কারো ব্যাপারে না।
                            আললাহ আমাদের সকলকে হক্বের উপর অটল রাখুন।আমীন।শালীনতা,সীমালঙ্ঘন না করা,দাওয়ার ক্ষেত্রে হিকমাহ অবলম্বন,কন্টেন্ট বাছাইয়ে সতর্কতা,ফিকহুদ্দাওয়াহ-অযথা ফেসবুকিং-লাইক-কমেন্টে সৃয় নষ্ট না করা,কোন আচরণে উচ্চারণে জিহাদের বদনাম না করা, জিহাদবিরোধীদের সুযোগ করে না দেওয়ার শিক্ষাগুলো প্রত্যেকে সাধ্যমত ছড়িয়ে দিতে হবে।
                            Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 04-20-2020, 09:49 PM.

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by আবু মুহাম্মাদ View Post

                              আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ ليبلوكم أيكم أحسن علما তোমাদেরকে পরিক্ষা করবেন কে অধিক সুন্দর আমল করে।
                              মুহতারাম ভাই-
                              কুরআনের আয়াতটি- لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا হবে।
                              “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                              Comment

                              Working...
                              X