Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসুন..! সালাফের পথে চলি~রমাদানকে নতুন জীবনের পাথেয় স্বরূপ গ্রহণ করি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসুন..! সালাফের পথে চলি~রমাদানকে নতুন জীবনের পাথেয় স্বরূপ গ্রহণ করি

    আসুন..! সালাফের পথে চলি~রমাদানকে নতুন জীবনের পাথেয় স্বরূপ গ্রহণ করি।


    নাহমাদুহু ওয়ানুছল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম।অাম্মা বাদ,
    শুরুতেই রাব্বে কারিমের কাছে প্রার্থনা করছি;
    হে আল্লাহ!আপনি আমাদেরকে রমাদানের কদর বুঝার তাওফীক দিন। যথাযথ অমল করে আপনার প্রিয় বান্দা হওয়ার তাওফীক দিন।।
    হে আল্লাহ..!আমাদের চক্ষুদয়কে এমন বানিয়ে দিন যেন তা অনবরত আপনার স্মরণে অশ্রু ঝরায়.....
    এমন বানিয়ে দিন যেন তা যাপিত জীবনের গুনাহগুলো থেকে যারযার হয়ে ক্ষমা চায়।


    প্রিয় ভাই!
    রমাদানের দিনরাত;সাধারণ দিনরাতের মত সাদাকালো মনে হলেও,মনে করতে হবে রমাদান আলাদা এক জীবন।ইবাদত ও আল্লাহর গুলামির পথে নতুন করে কদম ফেলে প্রয়াস চালানোর বিশেষ একক্ষণ। কারণ রমাদানের প্রতিটি সময় নূরে নুরান্বিত।বরকতের বারিধারা বর্ষিত হয় অবারিত।আকাশপথে যেন ভিড় জমায় রহমত ও মাগফিরাতের দ্রুতগামী স্রোতধারা।

    اللهم اجعل رمضان بداية جديدة لنا،ويمحو عنا ما مضى ويبلغنا من عفوك والرضى.


    দেখা যায়,রমাদানের প্রতি আল্লাহ তায়ালা নিজেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।এর প্রকাশ ঘটেছে, কোরআনে কারীম রমাদানের অবতীর্ণ করার মাধ্যমে।শয়তানকে শিকলবন্ধি করে রাখার মাধ্যমে।জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেওয়া এবং জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে।আরো...আরো..অনেক যা বলতে গেলে হয়ে যাবে দীর্ঘ্য এক ফিরিস্তি....

    এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও রমাদানের প্রতি সবিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতেন।
    ইসমাঈল আসবাহানী (মৃত্যু ৫৩৫ হি.) রহ.তার কিতাব আত তারগীব ওয়াত তারহীবে রেওয়ায়েত এনেছেন:

    عن عائشة –رضي الله عنه- قالت: ((كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا دخل رمضان تغير لونه، وكثرت صلاته وابتهل في الدعاء وأشفق منه)) .
    হযরত আয়েশা রাদি. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন: যখন রমজান উপস্থিত হতো, নবীজির চেহারায় রঙয়ের পরিবর্তন দেখা যেতো। নামাযের পরিমাণ অধিক হতো। দোআয় মিনতি বৃদ্ধি পেতো। রমজানের ব্যাপারে তিনি উদ্বিগ্ন হতেন। (আত-তারগীব,২/৩৬৩)


    তিনি সাহাবায়ে কেরামকে রমজানের সুসংবাদ দিতেন। এবং সতর্ক করতেন।
    সুনানে নাসায়ীতে এসেছে

    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَال : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَتَاكُمْ رَمَضَانُ شَهْرٌ مُبَارَكٌ.......... مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ ".

    আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: তোমাদের সামনে উপস্থিত মাহে রমজান। অনেক বরকতময় একটি মাস।.....যে তার কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে সত্যিই বঞ্চিত হলো। (নাসায়ী,২১২৬)

    শাহরুম মুবারকুনের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী কারী রহ, (মৃত্যু:১০১৪ হি,) বলেন «شهر مبارك: أي كثر خيره الحسِّي والمعنوي كما هو مشاهَدٌ فيه>
    অর্থাৎ তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বরকত অনেক বেশি। আমরা সকলেই যা অনায়াসে অনুভব করি। (মিরকাত,৪/১৩৬৫)

    যদি বলি সালাফের কথা,তাও দেখবো একই সুতা.....
    হযরত আলী রাদি.র ব্যাপারে এসেছে:

    وكان إذا نظر إليه قال((اللهم أدخله علينا بالسلامة والإسلام والصحة من الأسقام، والفراغ من الأشغال ورضنا فيه باليسير من النوم)) .

    তিনি রমজানের চাঁদ দেখে দোআ করতেন, হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান দান করুন শান্তি ও নিরাপত্তার সহিত, রোগমুক্তি ও অবকাশ প্রাপ্তির সহিত। আমাদের অন্তরকে সন্তুষ্ট করুন অল্প নিদ্রার সহিত। (আত তারগীব লিল আসবাহানী,২/৩৬৬)


    ইয়াহয়া ইবনে কাসীর (মৃত্যু ১৩২হি,) রহ, একজন ফকীহ তাবেয়ী ছিলেন।।তার ব্যাপারে এসেছে তিনি রমজান আসার পূর্বে দোআ করতেন:

    "اللهم سلمني لرمضان، وسلم لي رمضان، وتسلمه مني متقبلا".

    হে আল্লাহ! আপনি আমাকে রমজানের জন্য সহিহ সালামতে রাখুন। আমার জন্য রমজানকে সহিহ সালামত রাখুন। অতঃপর আপনি আমার রমজান কবুল করুন।

    মুআল্লা বিন ফজল রহ, সালাফের ব্যাপারে বলেছেন:

    "كانوا يدعون الله ستة أشهر أن يبلغهم رمضان، ثم يدعونه ستة أشهر أن يتقبله منهم".

    সালাফ রমজানের ছয় মাস পূর্ব থেকে দোয়া করতেন আল্লাহ যেন তাদের হায়াত রমজান পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেন । রমজান অতিবাহিত হওয়ার পর দোওয়া করতেন রমজানের ছোট থেকে বড় সকল আমল যেনো আল্লাহ কবুল করে নেন। (আত-তারগীব লিল আসবাহানী,১৭৬১)

    [বি:দ্র: মুআল্লা বিন ফজলের ব্যাপারে মুহাদ্দিছীনে কেরামের অনেক কালাম আছে।সাথে এই রেওয়ায়েতকেও অনেকে মুনকার বলেছেন।শুধুমাত্র প্রসিদ্ধ উক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।] সুবহানাল্লাহ! এই ছিলেন আমাদের সালাফ। আজ আমরা নিজেদেরকে সালাফের অনুসারী দাবি করি। তারা রমজান পাওয়ার জন্য অনেক আগ থেকে দোওয়া করতেন।বিপরীতে আমরা রমজান আসার পরও বেখবর থাকি? ।


    •আমাদের ইমাম আল্লামা শাহ অনোয়ার আল-কাশমিরি(মৃত্যু ১৩৫৩হি.) রহ এর ব্যাপারে বলা যায় তিনি জন্মগত কিতাব কা কিডা (বইপোকা) ছিলেন। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, প্রভাত হোক কিংবা গভীর রাত সর্বদা তিনি ছিলেন ইলমের সাথে । ইলম ছিলো তার সাথে।তার জীবনী গ্রন্থ নাফহাতুল আম্বারে শাইখ ইউসুফ বান-নুরি(মৃত্যু ১৩৯৭হি.) রহ লিখেছেন, মুতালাআর জন্য তিনি এতটাই পাগলপারা ছিলেন যে,বিশেষ ধরণে বসে দীর্ঘক্ষণ মুতালাআ করার কারণে শেষ জীবনে মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এই ব্যধিতেই তার মৃত্যু হয়। এই ব্যাক্তিটিও রমজান মাস আসলে* কিতাব মুতালাআ বন্ধ* করে দিতেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা শুধুমাত্র কোরআন তিলাওয়াতে সময় কাটাতেন। তাও তিনি এমন ছিলেন না যে,চোখ বন্ধ করে পৃষ্টার পর পৃষ্ঠা তিলাওয়াত করে যাচ্ছেন। পুরোদিন মাত্র এক পারা তিলাওয়াত করতেন।কুরআন বোঝে পড়তেন। আয়াতগুলোতে তাদাবুর করতেন। (ইয়াতিমাতুল বয়ান মুকাদ্দিমাতু মুশকিলাতিল কোরআন) আমাদের তিলাওয়াত হয় চোখ বন্ধ করে__যা পড়া যায়, যতটুক পড়া যায়।


    সালাফ ও খালাফ উভয়ের কথা জানা হলো।এছাড়াও আরো অনেকের ব্যাপারে অনেক সুন্দর কথা আছে।তারা সালাফ হওয়ার মর্যাদা অর্জন করেছেন এভাবেই....

    আল্লাহ আমাদেরকে রামাদানের প্রতি গুরুত্ব প্রদানের তাওফিক দিন
    সালাফের পথে চলার,সালাফের মত সহিহ আমল করে আল্লাহর প্রিয় হওয়ার তাওফীক দিন......আমীন.
    Last edited by AbuFaris Musabbih; 04-29-2020, 09:10 AM.
    রাব্বে কারিম.!আমাদের সকল কাজে ইখলাস দান করুন।বান্দার বাহবাহ পাওয়ার সুপ্ত কামনা থেকে হিফাজত রাখুন।আমিন।

  • #2
    জাযাকুমুল্লাহ। লিখাটি পড়ে বেশ উপকৃত হলাম। আল্লাহ আমাদের কে আমলের তাওফিক দিন।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।খুব উপকৃত হয়েছি।আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন।
      " শহিদের মিছিলে নাম লিখাতে চলো মুসলিম ভাই "

      Comment


      • #4
        রেন্ড্রপ মিডিয়া ভাইয়েরা,,আপনারা যদি ফোরামে উপস্থিত থাকেন তাহলে আমাদের জন্য রমজানের বয়ানগুলো পোস্ট করুন।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment

        Working...
        X