Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রকৃত মুমিনের রামাদান যেমন কাটে~বিশেষ কিছু আমল*_অভিনব কিছু নিয়ম।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রকৃত মুমিনের রামাদান যেমন কাটে~বিশেষ কিছু আমল*_অভিনব কিছু নিয়ম।

    সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।এবং তিনিই একমাত্র প্রশংসার উপযুক্ত।।দুরুদ ও শান্তির বারিধারা বর্ষণ জারি থাকুক মানবকুলের সরদার মুহাম্মাদে আরবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর জন্য।
    আলহামদুলিল্লাহ, রামাদানের করণীয় নিয়ে আমাদের অনেক ভাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রেখেছেন।ইনশা আল্লাহ,আমরা এখানে চেষ্টা করব নতুন কিছু বিষয় নতুন আঙ্গিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার।ওয়ামা তাওফিকুনা ইল্লা বিলাহ।
    শুরুতে বলে রাখি,যারা এখনো আমাদের সচল ও বরকতময় মিডিয়া আল-ফিরদাউস এর রমাদানের আমল সম্পর্কিত পোস্টটি পড়েননি এবং মুহতারামুল মাকাম, শাইখ তামিম আল-আদনানি (বারাকাল্লাহ ফি খিদমাতিহিল আলিয়াহর) লেকচারগুলো শুনেন নি।।নিজের প্রতি মেহেরবানী করুন।এবং খুব গুরুত্বের সাথে, পড়ে নিন। শুনে নিন।দেখে নিন।
    রমাদানে করণীয়ঃ
    ১. সবিস্তারে পুরোদিনের জন্য একটি রুটিন করে নিন।যেমন এভাবেঃশয্যা ত্যাগ করবো ৩:১৫ মিনিটে,ওযু ও ইস্তিঞ্জা ১০+ মিনিটে,তাহাজ্জুদ১০মিনিটে,
    দোয়া-মুনাজাত ও রোনাজারি ১০ মিনিটে।এভাবে এক এক করে চলে আসুক পুরোবেলা, সারা দিন।

    ২. খুচরা সময় গুলোর হিফাযত করুন।
    যেমন আপনি কারও সাথে কথা বলছেন।পুর্ব থেকেই হয়ত ঠিক করা আছে দুই ঘন্টা কথা বলবেন।কিন্তু হিসেব করলে দেখা যাবে দুই ঘন্টা সময়ের মাঝে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষার মাঝে ব্যয় হয়।এই যে ৪০মিনিট সময় আপনার হাতে, সময়টাকে আপনি কাজে লাগান আমলে কাটান।একটি তাসবিহ হাতে নিন যদি ডিজিটাল তাসবিহ গুলো আপনার সংগ্রহে থাকে অনেক ভাল হয়।কথা বলার মাঝেই দুশ থেকে তিনশ বার কালিমা বা দুরুদ পড়ুন।

    ৩. আপনার দিনটি শুরু করুন ইস্তিগফার দিয়ে।
    ৪. কোরান তিলাওয়াতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করুন।।
    ৫. তাদাব্বুর করুন।তথা কোরআন আপনাকে কি বলছে বুঝে বুঝে তিলাওয়াত করার চেষ্টা করুন।যদি কষ্ট হয় দৈনিক অল্প, এক পৃষ্টা হলেও তাদাব্বুর করুন।নিয়ম হল যারা অর্থ বুঝেন, অর্থের প্রতি খেয়াল করে তিলাওয়াত করুন ।যারা অর্থ বুঝেননা অর্থসহ একটি কোরআন বা গ্রহনযোগ্য এ্যপস নামিয়ে নিন। জান্নাতের বর্ণনা ও জাহান্নামের আলোচনাগুলো পড়ুন।।আরও যা যা আপনার ভাল লাগে।।

    ৬. খুশু খুজুর সহিত নামাজ আদায় করুন
    ৭.নামাজ আদায়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় করুন।
    ৮.রুকু ,সিজদা কে দীর্ঘ করুন.
    ৯.নিজেকে তানজিমের কাজের জন্য যোগ্য থেকে অধিক যোগ্য করে গড়ে তুলুন।নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করুন।মেধা ও বুদ্ধিকে আরো ক্ষিপ্র ,তেজদীপ্ত করে তুলুন।আপনার যদি ইলমী অবস্থান ভালো হয়ে থাকে মোতালাআর পরিধি আরও বৃদ্ধি করুন।।প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে নিজেকে আরও বেশি প্রতিভাবান ও যোগ্য করে তুলুন।

    ১০.অহেতুক কথা বার্তা বন্ধ করে দিন।হাদীসে এসেছে সাহাবী উকবা বিন আমের রাদি,নবীজীর কাছে একদিন জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ!মুক্তি কিসে?তিনি ইরশাদ করেন নিজের যবানের উপির কাবু রাখ,নিজের ঘর কে প্রশস্ত মনে কর ,যাপিত জীবনের গুনাহের কথা স্মরণ করে ক্রন্দন কর।তথা অহেতুক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাক এবং খুব বেশি ইস্তিগফার কর।(তাখরিজে ইবনে হাজার আসকলানী লি মিশকাতিল মাসাবিহ,৪/৩৮২.তাখরিজুল আলবানি,৪৭৬৭)

    ১১.শিরোনামহীন একটি আমল
    প্রিয় ভাই আমাদের অনেক বেশি গাফলত হয় নবীজীর হক আদায়ের ব্যাপারে ।।তিনি যদি না হতেন আমরা দ্বীন পেতাম না ।ইসলাম কি জিনিস বুঝতাম না। ।জিহাদের মর্ম উপলব্ধি হতনা ।।মর্যাদা প্রাপ্তি হতনা।।তিনিই সেই মহান, মহানুভব, যিনি দ্বীনের জন্য আবু জাহলের সমস্ত যাতনা নিরবে সয়ে গেছেন।।তায়েফের কাছে হাজির হয়ে ছিলেন শত আশা বুকে লালন করে।তারা স্বাগত জানিয়েছিল পাথর নিক্ষেপ করে।।রক্তে রঞ্জিত করে রেখেছিল পথের ধারে।বুক ভরা আশার প্রদীপ তখনই দুপ করে নিভে গিয়েছিল।।আরো কত যাতনা সহ্য করেছেন আমাদেরকে জান্নাত বাসি করার জন্য।। কখনও চোখের কোণে পানি জমে যেত। কখনও অশ্রু তে বুক ভেসে যেত......
    কিন্তু হায়!! আমরা না দ্বীনের জন্য কিছু করি।।না যিনি করে গেছেন তার হক আদায় করি, দুরুদের কত ফযীলত এসেছে।।কিন্তু এমন অনেকে আছি দিনে একটি বার দরুদ পড়িনা কতবড় অন্যায় এটি ।।কতবড় জুলুম ও না ইনসাফ এটি...
    কতজন শুনা যায় স্বপ্নে নবীজীর সাক্ষাৎ পেলেন.মনে কোণে কোথাও আহ্ করে মৃদু চিৎকার উঠেনা ,কেনো যে সাক্ষাৎ আমার হয়না...অনেক কিতাবে পাওয়া যায় দুরুদ যদি বেশি পরিমাণ পড়া হয় আশা আছে স্বপ্নে তার সাক্ষাৎ পাওয়া যাবে
    আসুন প্রতিজ্ঞা করি পুরো রমাদানে আমি ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজারের উপরে দুরুদ পড়বো ।ইখলাসের সাথে ।মহব্বত ও ভালোবাসার সাথে ।।প্রতি নামাজের পর যদি দুশো বার পড়া হয় সারাদিন এক হাজার হবে ...এভাবে নিয়ম করে পড়ুন ইনশা আল্লাহ।

    ১২.ছোট বাচ্চার মত দুয়া মুনাজাতে কান্না করুন ।।
    ১৩.কালিমা পড়ুন বেশি বেশি।
    ১৪. সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম অনেক বেশি পড়ুন।
    ১৫.সব আমলের নিয়মিত হিসাব রাখুন।এতে করে আগ্রহ বাড়বে। হিসাব ছাড়া কোন আমল করবেন না।আগ্রহ কমে যাবে ।

    রমাদানে
    বর্জনীয়:
    ১.সকল গুনাহ থেকে হাত গুটিয়ে নিন।।মনে রাখবো রমাদানে মত মোবারক মাসে যে মাহরুম হলো তারচেয়ে বড় মাহরুম আর কেউ নেই ,হতে পরেনা।
    ২. বিশেষত গীবত থেকে বেঁচে থাকুন।বেঁচে থাকার জন্য এমন নিয়ম করে নিন: দুইজন যদি আলোচনায় বসেন সংকল্প করুন তৃতীয় জনের কোন আলোচনাই করবেন না।।যদি আলোচনা আসে বা গীবত হয়ে যাবে মনে হয় মাজলিস ত্যাগ করুন।গুনাহের মাজলিস শেষ হলে, শরিক হোন কিংবা তাদেরকে গীবতের ভয়াবহতা বুঝান।

    এতটুকু অবশ্যই স্মরণ রাখুন,যিনি গীবত করেন তারচেয়ে বড় বোকা আর কেউ নেই।।কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশি আফসুস আর কারও হবেনা কারণ তিনি প্রথমে নিজের আমল দেখে অনেক খুশি হবেন।কিন্তু কিছু সময় পর যখন দেখবেন আমলের পাল্লা খালি হয়ে যাচ্ছে ।।গীবতের বদলায় তার সামনে তারই অমল অন্যরা নিয়ে যাচ্ছে।তখন আফসুসও তার জন্য শোভা পায়না।।


    ৩. লৌকিকতা পরিহার করুন।।বান্দার বাহবাহ পাওয়ার সুপ্ত কামনা দূর করুন।।এই দুয়াটি বেশি বেশি পড়ুন:
    اللهم اني اعوذبك ان اشرك بك وأنا اعلمه،واستغفرك لما لا اعلمه،
    ৪. আত্মপ্রবঞ্চনায় ভুগবেন না ।এটিও বান্দার আমল বিনষ্ট করে।।।এমন ভাববেন না যে "আমি অনেক বুজুর্গ আল্লাহ ওয়ালা হয়ে গেলাম ।।এমন কল্পনা মনে আসতে দিবেন না যে আমিতো অনেক আমল করি.অনেকের এমন হয়, আমল করার পর মনে হতে থাকে আজ হয়ত আল্লাহ কে স্বপ্নে দেখতে পাব।।আত্মপ্রবঞ্চনা থেকে বাঁচতে প্রথমে সেসব আল্লাহ ওয়ালাদের কথা স্মরণ করুন যারা অনেক বেশি আমল করেন।সাহাবা ও সালাফের কথা স্মরণ করুন ।যুগের বিজ্ঞ আলেম ও দক্ষ মুজাহিদদের কথা স্মরণ করুন।ভাবুন তাদের আমলের তুলনায় আমাদের তো কিছুই করা হলো না।।বরং এই ভয়ে থাকুন যা করেছি তা কবুল হলো কিনা? আল্লাহর পছন্দ মত করতে পারলাম কিনা??অন্তরে এমন ভয় সবসময় রাখুন। আত্মপ্রবঞ্চনা আর আসবেনা ইনশাআল্লাহ।।আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
    Last edited by AbuFaris Musabbih; 04-30-2020, 04:36 AM.
    রাব্বে কারিম.!আমাদের সকল কাজে ইখলাস দান করুন।বান্দার বাহবাহ পাওয়ার সুপ্ত কামনা থেকে হিফাজত রাখুন।আমিন।

  • #2
    মাশাআল্লাহ,খুবই গুরত্বপূণ আলোচনা। আল্লাহ আপনার দ্বীনি খিদমাহকে কবুল করুন। আমীন
    " শহিদের মিছিলে নাম লিখাতে চলো মুসলিম ভাই "

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন,,,,
      আমিন
      মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আমাদের ইলম ও আমালে বারকাহ দান করুন।
        আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

        Comment


        • #5
          মাশা'আল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আপনার এই খেদমতকে কবুল করুন,আমীন।
          বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
          কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ , আল্লাহ তাআলা আমাদের ইলম ও আমালে বারকাহ দান করুন। আমীন

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ ,আল্লাহ তা'আলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন ।
              আমীন
              হয়তো শরীয়াহ নয়তো শাহাদাহ

              Comment

              Working...
              X