Announcement

Collapse
No announcement yet.

ওহীর বিধানে ভালবাসার মামলা by: হুজাইফা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ওহীর বিধানে ভালবাসার মামলা by: হুজাইফা

    PDF Download Links
    https://archive.org/details/OahirBidhaneValobasarMamla
    http://www.mediafire.com/file/vv2v6g...mamla.pdf/file
    https://sabercathost.com/9w1e/oahir_...asar_mamla.pdf


    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
    সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশিকার ব্যবস্থা করেছেন। সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক এই উম্মতের শিক্ষক, আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। ইসলামের প্রথম *যুগ থেকে এখন পর্যন্ত যত ঈমানদার ভাই ও বোন সঠিক আক্বীদাহ ধারণ করে ছিলেন ও আছেন যারা প্রতিকূল অবস্থাতেও সঠিক আক্বীদাহ ও দ্বীন ত্যাগ করেননি, যারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু ব্যয় করতে রাজি এমন কি নিজের জীবন দিতেও দ্বিধা করেনা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদেরকে ক্ষমা করে তদের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে দিন, আর আমাদেরকেও তার সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন; আমীন।

    ‘ওহীর বিধানে ভালবাসার মামলা’
    আদম সন্তান যখন তার ন্যায্য অধিকার হারায়, তখন সে অভিাযোগ/আপত্তি তুলে, অনেকে আবার সুবিচার পেতে বিচারকের সম্মুখীন হয়। আদম সন্তানের এসব জাগতিক অধিকার ক্ষনস্থায়ী এবং সে কোন কিছুর সৃষ্টিকর্তাও নয়।
    পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা, তিনি সকলের বিচারক তার উপর কোন বিচারক নেই। অপরাপর লোক অপেক্ষা বান্দার উপর মহান আল্লাহর অধিকার সবথেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । দুনিয়ার জীবনে মানুষ তার নিজের জীবন, তার অর্থ-সম্পদ, তার বাসস্থান, তার পিতা-মাতা, তার স্ত্রী, তার সন্তান আরো অনেক কিছুকেই ভালবাসে। এসবের পিছনে পড়ে থেকে অনেকের ইহকালীন জীবন শেষ হয়ে যায়, আবার অনেকে নিজের জীবনের চেয়েও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে বেশী ভালবাসে আর এজন্য সে নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত।
    এখন প্রশ্ন হচ্ছে বান্দা তার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে কতখানি ভালবাসবে? আর এ ব্যাপারে আল্লাহর অধিকার কি? এবং যদি এই অধিকার পূর্ণ করা না হয় তাহলে এই অপরাধী বান্দার ফলাফল কি হবে? আসুন এসবের সমাধান ও ভালবাসা সম্পর্কিত অন্যান্য বিধান জেনে নেই মহাবিচারক আল্লাহর পক্ষথেকে আসা ওহীর বিধান থেকে।
    সূরা তাওবায় মহান আল্লাহ বলেন,
    قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [٩:٢٤]
    বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যাতে তোমরা মন্দা পড়বার আশঙ্কা কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর (যদি এসব) তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তার রসূল ও তার পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। (সূরা তাওবাহ ৯:২৪)

    এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে আদম সন্তান সবথেকে অধিক ভালবাসবে তার স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে তারপর তার রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকে যদি এর ব্যতিক্রম ঘটে এবং অন্য কিছুকে বেশী ভালবাসে তবে সে আল্লাহর বিধানে অপরাধী এবং সে হিদায়াত পাবেনা।

    সূরা বাক্বরহ তে মহান আল্লাহ বলেন,
    وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْدَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ ۗ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ [٢:١٦٥]
    আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং আল্লাহকে ভালবাসার মত তারা তাদেরকে ভালবেসে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে আল্লাহর প্রতি তাদের ভালবাসা দৃঢ়তর। আর কতইনা উত্তম হত যদি এ জালিমরা শাস্তি অবলোকন করতো, তবে বুঝতো যে, সমুদয় শক্তি আল্লাহর জন্যই এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর। [সূরা বাক্বরহ ২:১৬৫]

    এ আয়াতে বেঈমান ও ঈমানদারদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেছে, ঈমানদাররা সবথেকে বেশী ভালবাসে তার রব আল্লাহ কে। আর যাদের ঈমান নেই তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কিছুকে সেইরূপ ভালবাসে যেরূপ আল্লাহকে ভালবাসা উচিত অর্থাৎ অন্য কিছুকেই সব থেকে বেশী ভালবাসে।

    এ আয়াত থেকে আরো স্পষ্ট যে, বান্দা সব থেকে অধিক ভালবাসবে তার রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার মত অন্য কাউকে ভালবাসা যাবে না এটা আল্লাহর অধিকার যারা এ অধিকার নষ্ট করবে তাদেরকে এ আয়াতে জালিম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

    হাদিসে এসেছে,
    حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
    আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান ও সব মানুষ অপেক্ষা অধিক প্রিয়পাত্র হই।
    [সহীহুল বুখারী, কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদ- রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভালবাসা ঈমানের অংশ, ইফাবা-১৪]

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা আলে ইমরানে বলেন,

    لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّىٰ تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ۚ وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ شَيْءٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ [٣:٩٢]
    তোমরা যা ভালবাস, তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনই কল্যাণ লাভ করতে পারবে না এবং তোমরা যা কিছুই ব্যয় কর আল্লাহ তা পরিজ্ঞাত আছেন। [সূরা আলে ইমরান ৩:৯২]

    তাফসীরে ইবনে কাসিরে এসেছে, যখন উপরোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন হযরত আবূ তালহা (রা.) রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করেন, হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আল্লাহ তায়ালা এরূপ কথা বলেছেন এবং এ বাইরুহা নামক বাগানটিই হচ্ছে আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। এজন্যে আমি ওটি আল্লাহর পথে সাদকা করছি এ আশায় যে, তার নিকট যে প্রতিদান রয়েছে তাই আমার জন্যে জমা থাকবে..।

    ইবরাহীম (আঃ) বৃদ্ধ বয়সেও তার ভালবাসা ও আদরের সন্তানকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি করতে দ্বিধাবোধ করেননি। অথচ যে দম্পতির সন্তান হয় না তাদের যদি বৃদ্ধ বয়সে কোন সন্তান হয় তবে তা হবে তাদের অনেক ভালবাসা ও আদরের। ইবরাহীম (আঃ) এর এই কুরবানি প্রমান করে তিনি নিজের আদরের সন্তানের চেয়েও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে অধিক ভালবাসেন। আর মহাদাতা আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ) কে তার বন্ধু হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

    যারা নিজের জীবনকে সবথেকে বেশি ভালবাসে, আর মৃত্যুর ভয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে অংশগ্রহণ করতে চায় না। এ আয়াতের আলোকে তারা কোন কল্যাণ লাভ করতে পারবে না যতক্ষন তারা সব থেকে ভালবাসার জিনিসটি তথা তাদের জীবন আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার আকাঙ্ক্ষা না করে।

    রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
    عن أبي هريرة ، عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : من مات ولم يغز و لم يحدث نفسه بالغزو مات على شعبة من نفاق ـ
    আবূ হুরাইরা (রা) সূত্রে বর্ণিত, নাবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেল যে, সে জিহাদ করেনি এবং অন্তরে জিহাদের আকাঙ্ক্ষাও রাখেনি, তবে সে মুনাফিকী অবস্থায় মারা গেল। [সহীহ আবু দাউদ, জিহাদের অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-যুদ্ধ পারিহার করা অন্যায়, ইফাবা-২৪৯৪]

    আদম সন্তান অপরাপর মানুষের চেয়ে সাধারণত তার নিজের জীবনকে বেশী ভালবাসে তা সত্বেও যুগে-যুগে, কালে-কালে মুজাহিদীনরা তাদের রব আল্লাহকে ভালবেসে তার সন্তুষ্টির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদেরকে হিদায়াত দান করবেন যারা নিজের জীবনের চেয়েও বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অধিক ভালবেসে তার পথেই জিহাদ করেন। মহান আল্লাহ বলেন,
    وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا ۚ وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ [٢٩:٦٩]
    যারা আমার উদ্দেশ্যে জিহাদ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত (হিদায়াত দান করব) করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন। [সূরা আনকাবূত ২৯:৬৯]

    যারা আল্লাহ, তার রসূল ও তার পথে জিহাদ করার চেয়ে অন্য কিছুকে অধিক ভালবাসে, তারা হিদায়াত পাবে না। (সূরা তাওবাহ ৯:২৪ যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে)

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি ঈমান আনার পর আর নিজের খেয়াল খুশি মত নয় বরং আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে এবং আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণাবাসতে হবে, ব্যক্তি হোকনা রক্ত সম্পর্কের যে কেউ। মহান আল্লাহ বলেন,
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا آبَاءَكُمْ وَإِخْوَانَكُمْ أَوْلِيَاءَ إِنِ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الْإِيمَانِ ۚ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ [٩:٢٣]
    হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে অধিক ভালবাসে। আর তোমাদের মধ্য হতে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবে, বস্তুত তারাই হচ্ছে বড় অত্যাচারী। [সূরা তাওবাহ ৯:২৩]

    পরাক্রমশালী আল্লাহ আরো বলেন,
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ [٥:٥٤]
    হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি স্বীয় দ্বীন হতে ফিরে যাবে, অচিরেই আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারাও তাকে ভালবাসবে। তারা ঈমানদারদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারের পরোয়া করবে না; এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। [সূরা মায়িদাহ ৫:৫৪]

    সুতরাং যারা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চায় তাদেরকে কোন অহেতুক ভালবাসার পেছনে পড়ে থাকলে চলবেনা, বরং আল্লাহর জন্যই কারো প্রতি কোমল এবং আল্লাহর জন্যই কারো প্রতি কঠোর হতে হবে, নিজের জীবনের চেয়েও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে বেশী ভালবাসতে হবে, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে হবে, আর এ সব ব্যাপারে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে পরওয়া করা যাবে না তবেই বিশ্বজগতের মালিক আল্লাহর ভালবাসা পাওয়া যাবে।
    হাদিসে এসেছে,
    حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ
    আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিনটি গুন যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারে-
    ১. আল্লাহ ও তার রসূল তার নিকট অন্য সকল কিছু হতে অধিক প্রিয় হওয়া;
    ২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালবাসা;
    ৩. কুফ্*রীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মত অপছন্দ করা।
    [সহীহুল বুখারী, কিতাবুল ঈমান, ঈমানের স্বাদ নামক অনুচ্ছেদ, ইফাবা: ১৫]

    পরিশেষে বলা যায় সব থেকে অধিক ভালবাসতে হবে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে, আর আল্লাহর জন্যই ভালবাসতে হবে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এবং আল্লাহর জন্যই ভালবাসতে হবে আল্লাহর রাস্তার জিহাদকে এ হচ্ছে ঈমানের দাবী, অন্যথায় হিদায়াত পাওয়া যাবেনা। আর অপরাপর লোকদের ক্ষেতে আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে এবং আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণা বাসতে হবে। তবেই ঈমানের স্বাদ পাওয়া যাবে।

    মহান আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে অধিক ভালবাসা হচ্ছে ওহীর বিধানে অভিযুক্ত/মামলাগ্রস্থ/অন্যায় ভালবাসা।
    মহান আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করবেন সেই শুধুমাত্র হিদায়াত প্রাপ্ত হবে আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করে দিবেন তাকে কেউ হিদায়াত দান করতে পারবে না। তাই আসুন আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়াত প্রাপ্ত হতে অহেতুক প্রেম-ভালবাসায় না জড়িয়ে, ওহীর বিধানের অনুসরণ করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে সবথেকে বেশি ভালবাসি, আর আল্লাহর জন্যই ভালবাসি আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এবং আল্লাহর জন্যই ভালবাসি আল্লাহর রাস্তার জিহাদকে।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সকলকে তার পক্ষ থেকে দেয়া হিদায়াত গ্রন্থ অনুসারে আমল করার তাওফিক দান করুন। তিনি আমাদেরকে প্রকৃত ঈমানদার হিসেবে কবুল করুন। আমীন............
    হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও প্রার্থনা শ্রবণকারী।
    দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন...
    সমস্ত প্রশংসা অংশিদারমুক্ত এক আল্লাহ’র জন্য, আমি সাক্ষ্য *দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন কল্যাণ ও অকল্যাণ দাতা নেই তার কাছেই আমি তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

    রচনায়ঃ হুজাইফা
    https://archive.org/details/@hujaifa
    Last edited by nafi; 05-03-2020, 06:32 PM.
Working...
X