Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমাম মাহদীর সাথে সাক্ষাৎ করতে সৌদিতে ‘হিজরতের’ চেষ্টা, ১৭ জন গ্রেফতার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমাম মাহদীর সাথে সাক্ষাৎ করতে সৌদিতে ‘হিজরতের’ চেষ্টা, ১৭ জন গ্রেফতার

    ইমাম মাহদীর সাথে সাক্ষাৎ করতে সৌদিতে ‘হিজরতের’ চেষ্টা, ১৭ জন গ্রেফতার
    তারা পলাতক রবিউল সৈয়দ মোস্তাক বিন আরমানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন

    তাবলিগের জামাতের নামে সৌদি আরব গিয়ে ইমাম মাহদির সঙ্গে কথিত সাক্ষাতের আশায় একমাস আগে ‘হিজরত’ করা ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    সোমবার (৪ মে) রাতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।

    অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিটিটিসি ইউনিটের এডিসি তহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ৪ মে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কাকরাইল মসজিদের বিপরীত পাশে পাবলিক হেলথ্ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৯টি মোবাইল ফোন, ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও ৯২২ আমেরিকান ডলার জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।

    জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জনৈক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোস্তাক বিন আরমান বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে সৌদি আরবে যান এবং এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি নিজেকে ইমাম মাহদির সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে গাজওয়াতুল হিন্দ নামক স্থানে মুসলিমদের পক্ষে জিহাদ করার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু অডিও-ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন। গ্রেফতারকৃতরা তার বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইমাম মাহদির সৈনিক হিসেবে যুদ্ধের প্রস্তুতিস্বরূপ সৌদি আরব যাওয়ার চেষ্টা করেন।’

    গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, তারা পলাতক রবিউল সৈয়দ মোস্তাক বিন আরমানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় তারা পরস্পর যোগাযোগ করে হিজরতের সিদ্ধান্ত নেন। তাবলিগ জামাতের আড়ালে সাতক্ষীরা বা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা ভারত-কাশ্মীর সীমান্ত হয়ে সৌদি আরব পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। তাদেরকে বলা হয়েছিল, করোনার দুর্যোগে আকাশ থেকে এক ধরনের গজব নেমে আসবে এবং সমস্ত কিছু ধোঁয়াছন্ন হয়ে যাবে। তখন সীমান্তে কোনো পাহারা থাকবে না-এই সময় তারা যেন চলে আসেন।

    এই বিশ্বাস নিয়ে গত ১৮ মার্চ তারা প্রথমে সাতক্ষীরা ও পরে যশোর সীমান্তের কাছে বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান করেন ভারতে যাওয়ার জন্য। তাদেরকে আরও জানানো হয়, আগামী চল্লিশ দিন সূর্য উঠবে না, আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যাবে, কাফেররা সবাই মারা যাবে, ইমানদারদের শুধু হালকা কাঁশি হবে। ইমাম মাহদির আগমন এই রমজানে সমাগত। তাই তারা যেকোনোভাবে সৌদি আরব যাওয়ার চেষ্টা করেন। তারা সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্ত দিয়ে পার হতে না পেরে ঢাকা হয়ে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সে মোতাবেক তারা বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসেন।

    এডিসি তোহিদ বলেন, ‘সৈয়দ মোস্তাক বিন আরমানের প্ররোচনায় এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র গত জানুয়ারি মাসে ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি গমন করে আর ফিরে আসেননি। এছাড়া বিভিন্ন সময় সা’দ, কাউসার, শরীফ, তোফাজ্জল, গিয়াসউদ্দিন, আলী আজম এবং রাশেদ নামে আরও সাতজন ইমাম মাহাদির সৈনিক হিসেবে যোগদানের উদ্দেশ্যে সৈাদি আরব হিজরত করেছেন বলে গ্রেফতারকৃতরা জানান।’

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন-হায়দার আলী (৪৪), মাহমুদুল হাসান ওরফে মাসুম, জামিরুল ইসলাম (২৪), বিল্লাল হোসেন (৩৮), শেখ আরাফাত ওরফে জনি (৪৮), ইমরুল হাসান ওরফে ইমন (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৫), মোজাম্মেল হক (৩৩), শাহজালাল (৩৪), আক্তারুজ্জামান (৩০), মাহমুদুল হাসান ওরফে সাব্বির (২৩), আবিদ উল মাহমুদ ওরফে আবিদ (২২), সোহাইল সরদার (৩৩), ওবায়দুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩০), মাহমুদ হাসান ওরফে শরীফ (১৮), মাজেদুল ইসলাম ওরফে মুকুল (২৮) ও সোহাগ হাসান (২০)।

    তাদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-06-2020, 04:51 PM.
    আপনাদের নেক দু‘আয় মুজাহিদীনে কেরামকে ভুলে যাবেন না

  • #2
    ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোস্তাক বিন আরমান যে একজন ভ্রান্ত লোক। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      বিবেকের উপর আবেগকে প্রাধান্য দিলে যা হয় আরকি... এই কারনেই শেষ যামানায় ফেতনা মালাহিম বিষয়ক প্রচুর পড়া লেখা করতে হয়।আর না হয় সবার এই দশা হবে!! আল্লাহ হেফাজত করুন। অন্ধভক্তি ছেড়ে নবীর বলে যাওয়া বর্ণনা গুলো পড়ুন।বিবেক দিয়ে কাজ করুন। হক্বপন্থি কোন আলেমের সান্নিধ্যে তাওহীদ শিখুন। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দান করুন,সকল প্রকার চক্রান্ত থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। আমীন।
      আমরা গড়তে চাই, ধ্বংস নয়; আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই, বিভক্তি নয়; আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, পিছনে নয়! শাইখুনা আবু মোহাম্মাদ আইমান হাফিঃ

      Comment

      Working...
      X