Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই মে, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই মে, ২০২০ঈসায়ী।

    করোনাভাইরাসে বাড়তি হুমকিতে শ্রীলংকার মুসলিমরা: পোড়ানো হচ্ছে মুসলিমদের লাশ



    শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে জুবাইর ফাতিমা রিনোসার মৃত্যুর পর তাকে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ন্যায় বিচার ও ব্যাখ্যা দাবি করেছে শোকাহত পরিবারের সদস্যরা। ৪৪ বছর বয়সী এই নারীকে পুড়িয়ে ফেলার দুই দিন পর প্রকাশিত তার পরীক্ষার রিপোর্ট দেখা গেছে যে, তিনি কোভিড-১৯ এ মারা যাননি।

    রিনোসার চার সন্তানের একজন মোহাম্মদ সাজিদ বলেন, ইসলামী দাফন প্রথার বিরোধী বিতর্কিত আইন অনুযায়ী তার মাকে ৫ মে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি জানান, কর্তৃপক্ষ জোর করে তার ভাইয়ের কাছ থেকে পুড়িয়ে ফেলার জন্য সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছে।
    সাজিদ বলেন যে, তার মাকে ‘ভুল করে’ পোড়ানো হয়েছে, এটা জানার পর তার বাবা প্রচণ্ড কেঁদেছেন। “আমার বাবা বিরতিহীনভাবে কেঁদেছেন। তিনি বারবার বলেছেন: “একদিন হয়তো তার চলে যাওয়াটা মেনে নিতাম। কিন্তু তাকে পোড়ানো হয়েছে, এটা মানতে পারছি না”।

    ‘মৌলিক ধর্মীয় অধিকারের বিরুদ্ধে’
    কোভিড-১৯-এ মারা যাওয়া নয়জনের মধ্যে চারজন ছিলেন মুসলিম, যাদের সবাইকে পোড়ানো হয়েছে, যেটা ইসলামী রীতির বিরোধী।

    বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি শুরুতে কবর দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল কিন্তু ১১ এপ্রিল তারা নির্দেশনা সংশোধন করে এবং কোভিড-১৯ এ মারা গেলে পোড়ানো বাধ্যতামূলক করা হয়। বহু মুসলিম এটাকে তাদের মৌলিক ধর্মীয় অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছেন।
    শ্রীলংকা মুসলিম কংগ্রেস (এসএলএমসি) দলের সাবেক এমপি আলি জহির মাওলানা আল জাজিরাকে বলেন, “এই পরিবার শোকের মধ্যে আছে। তারা শুধু তাদের প্রিয়জনকেই হারায়নি, বরং তাকে দাফন করার মৌলিক ধর্মীয় অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে খারাপ আচরণও করেছে”।
    প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসার পরামর্শক আলী সাবরি বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার সাথে সরকারের পুড়িয়ে ফেলার আদেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
    ‘জাতিগত ও ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব’
    বৌদ্ধ অধিবাসী এবং মিডিয়ার একাংশ ভাইরাস ছড়ানোর জন্য মুসলিমদেরকে দোষারোপ করছে। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ হলো মুসলিম। সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে ২৮০,০০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে অন্তত চার মিলিয়ন মানুষ।
    সাবরি বলেন, এটা দুঃখজনক যে, শ্রীলংকা যখনই কোন সঙ্কটে পড়ে, তখনও এখানে বর্ণবাদ মাথাচাড়া দেয়। তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে, বিগত কয়েক সপ্তাহে মুসলিমদেরকে টার্গেট করে বেশ কিছু ঘৃণামূলক কথাবার্তা ছড়ানো হয়েছে”। ক্ষমতাসীন শ্রীলংকা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দল থেকে সাবরিকে পার্লামেন্টের জন্য মনোনীত করা হয়েছিলো।
    মুসলিমদের ‘অপদস্থ’ করা হচ্ছে
    মুসলিমদের ‘অপদস্থ’ করার বিরুদ্ধে কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো অধিকার গ্রুপগুলোও।
    হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষি গাঙ্গুলি গত মাসে এক রিপোর্টে বলেছেন, “[সরকারের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্তকে] জাতিসংঘের চারজন বিশেষ দূত ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছেন। বিশেষ দূতেরা উল্লেখ করেছেন যে, করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে শ্রীলংকার মুসলিমদেরকে অপদস্থ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে”।
    সূত্র: আল জাজিরা


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/13/37744/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে খাবারের বদলে জুটেছে পুলিশের লাঠিপেটা, সহযোগিতার নামে শ্রমিকদের কাছে ১০ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি



    মালাউন মোদির অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে দেশজুড়ে শ্রমিকদের চরম দুরাবস্থা। বন্ধ কাজ। আটকে থেকে ঠিকঠাক দু’বেলা খাবারটুকুও জুটছেনা। খাবার নয়, জুটেছে পুলিশের লাঠিপেটা, হায়দরাবাদ থেকে ফিরে এমনটাই অভিযোগ মালদার ৫৪ জন শ্রমিকের। হায়দরাবাদে একটি নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন ওই শ্রমিকরা। লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেই আটকে পড়তে হয় তাঁদের। দু’বেলা ঠিকমতো খাওয়াও জুটছিল না। বাড়ি ফিরতে চেয়ে সাহায্যের জন্য স্থানীয় থানায় গিয়ে জুটেছিল পুলিশের লাঠিপেটা।
    শেষমেশ ওই ৫৪ জন শ্রমিক মিলে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাস ভাড়া করেন। যার কাছে যা টাকা ছিল তার সবটুকু দিয়ে ওই বাসভাড়া মিটিয়ে দিয়ে তেলেঙ্গানা সীমানা থেকে বাসে ওঠেন তাঁরা। কিন্তু রবিবার ভোরে বাসটি খড়্গপুরের কাছে বাংলা সীমান্তে এসে তাঁদের নামিয়ে দিয়ে ফিরে যায়। এরপর তারা হেঁটে ও বিভিন্ন মাধ্যমে যার যার বাড়ি পৌঁছে।




    এছাড়া অন্যান্য শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে চেয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছেন। অবশেষে নামে মাত্র স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও শ্রমিকদের টিকিট কেটেই বাড়ি যেতে হচ্ছে। এমনকি টিকিটের দামের চেয়েও বেশি টাকা নেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন অনেক শ্রমিক। এদিকে মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে। তাই সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে বুকিং। সোমবার আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে বুকিং শুরুর পরই তা বসে যায় প্রায় ২ ঘণ্টা। তবে এদিনই কয়েক ঘণ্টা বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি টাকার টিকিট। বুকিং করেছেন ৫৪০০০ যাত্রী। এদিন সন্ধ্যে ৬টায় বুকিং শুরু হতেই মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে হাওড়া-দিল্লি এসির টিকিট শেষ হয়ে যায়। কিন্তু রেল ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলার পরেও কেন শ্রমিকদের টিকিট কেটে বাড়ি আসতে হচ্ছে? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    উল্লেখ্য, আটকে পড়া মানুষজনকে ঘরে ফেরাতে মোট ১৫ জোড়া ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল। দিল্লি থেকে অন্যান্য রাজ্য যাবে ওই ট্রেন। মঙ্গলবার ৮টি ট্রেন চলবে। এগুলির মধ্যে ৩টি যাবে ডিব্রুগড়, বেঙ্গালুরু ও বিলাসপুরে। এবং বাকি ট্রেনগুলি যাত্রা করবে হাওড়া, পাটনা, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, আহমেদাবাদ থেকে।
    সূত্র: টিডিএন বাংলা


    সুত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/13/37747/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      চাঁদাবাজি করে ধরা খেল সন্ত্রাসী শ্রমিক লীগ নেতা

      বগুড়ায় ধানকাটা শ্রমিক বহনকারী বাস থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সন্ত্রাসী শ্রমিক লীগ নেতা শাহিনুর রহমান ওরফে ঝটিকা শাহীনকে (৪৫) আটক করা হয়।

      ঝটিকা শাহীন বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সদস্য। এর আগে তিনি মোটর মালিক গ্রুপের সড়ক সস্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

      আমাদের সময় বরাতে জানা যায়, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ৪৬ জন ধানকাটা শ্রমিক বাসে করে কুমিল্লা যাচ্ছিল। রবিবার রাত ২টার দিকে বাসটি বগুড়ার চারমাথা পৌঁছলে ঝটিকা শাহীনসহ অন্তত ১৫ জন বাসটি থামায়। তারা বাসচালক মনির হোসেনের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাসচালক চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শাহীন ও তার সহযোগীরা বাসচালক মনির ও সুপারভাইজার রতনকে বেদম মারধর করে। তখন বাসে থাকা শ্রমিকরা নেমে শাহীনকে আটক করে।


      সুত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/13/37732/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পেটের জ্বালায় শ্রম বাজারে ভিড় শ্রমিকদের



        এক জায়গায় শত শত মানুষ। গা ঘেঁষে চলছেন। দুই দিন হাজির হচ্ছেন কিষাণ (শ্রম) বিক্রির জন্য। নিজ এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। মৃত্যুভয় আছে জেনেও তাদের এই কাজে বেরোতে হচ্ছে। চলাফেরায় নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বসেছে মানুষের শ্রম বিকিকিনির জমজমাট হাট। একদিকে, বোরো ধান ঠিকমতো ঘরে তুলতে হবে। অপরদিকে, সংসারের অভাব মেটাতে হবে। এ জন্যই জীবন বাজি রেখে শ্রম বিকিকিনি করতে হচ্ছে। এমন কথা জানালেন ক্রেতা-বিক্রেতাগণ।

        মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দুর্গাপর গ্রামের ওই হাটে গিয়ে দেখা যায়, কিষাণদের অধিকাংশ এসেছেন কচুয়া উপজেলা হতে। তারা বিক্রি হয়ে কাজে যাচ্ছেন এই দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামসহ মোল্লাহাট, মকসুদপুর, গোপালগঞ্জে। করোনায় মৃত্যুর ভয় আছে জেনেও অভাবের তাড়নায় তাদের কাজে আসতে হয়েছে।

        করোনায় তো বাড়ি থাকার কথা, বাইরে এসছেন কেন? এই প্রশ্নোত্তরে লড়ারকুল গ্রামের হোসেন উদ্দীন শেখের পুত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, পেটের জ্বালায় বাঁচতি পারিনে বুলে তো আমরা এই যে কাজ কত্তি আইছি। প্রত্যেকদিন ছয় সাতশ টাকা করে কিষেণ বিক্রি হচ্ছে। কিষেণ কিনে নিয়ে যাচ্ছে মোল্লাহাট, মকসুদপুর, গোপালগঞ্জ, কচুয়া, চিতলমারীসহ বিভিন্ন এলাকার লোক।

        তিনি আরো জানান, এখানের অধিকাংশ কিষাণ কচুয়ার দেপাড়া, গজালিয়া, বাগেরহাট সদর উপজেলার কান্দাপাড়া, গোটাপাড়া এলাকার।

        চিতলমারীর শ্যামপড়া গ্রামের কিষাণ ক্রেতা পরিমল বৈরাগী জানান, সময় মতো ধান কেটে শুকিয়ে ঘরে ওঠানোর জন্য কিষাণ দরকার। এটা না হলে অনেক ক্ষতি হবে। করোনার ভয়ে বসে থাকলে তো ঝড়-বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তিনি আজ জনপ্রতি সাতশ টাকা করে কিষাণ কিনেছেন। কিষাণ দুরে গেলে দাম আরো বেশি।
        সূত্র: কালের কন্ঠ


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/13/37736/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজীপুরের কয়েকটি গার্মেন্টে শ্রমিক বিক্ষোভ



          শতভাগ বেতন ভাতার দাবিতে সোমবার গাজীপুরের একাধিক গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন। শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও শ্রমিক অসন্তোষ রয়েই গেছে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নগরীর কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের একটি গার্মেন্টে ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

          গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার জানান, লকডাউন চলাকালে যেসকল কারখানা বন্ধ ছিল, সেখানে শ্রমিকদের বেতনের ৬০ শতাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সে বিষয়েই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। খবর: কালের কন্ঠ

          সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের বারেন্ডা এলাকায় অবস্থিত ডিবিএল (দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড) গ্রুপের জিন্নাত গার্মেন্ট। সেখানে প্রায় ১৩ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। শতভাগ বেতনভাতা দাবি করে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন। সোমবার সকালে কারখানায় যোগ দিলেও শ্রমিকরা সকাল ৯টার দিকে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা কারখানার সামনে অবস্থান নেন।
          সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে দাবি মেনে নিতে কর্তৃপক্ষ অপারগতা জানালে কিছু শ্রমিক আন্দোলন করেন। আওয়ামী দালাল পুলিশ আন্দোলনরতদের বুঝিয়ে বিকেলে সরিয়ে দেয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারখানায় দুদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

          গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর ইসলাম হোসেন জানান, একই দাবিতে সোমবার সকালে কোনাবাড়ি এলাকায় বে-ফুটওয়্যার কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন।

          এছাড়াও কালিয়াকৈরের পল্লী বিদ্যুত এলাকার ফার ইস্ট নিটিং এন্ড ডায়িং পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সোমবার সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে।


          সুত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/13/37737/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মনগড়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে গ্রাহকরা



            করোনার সময় গড় বিলের নামে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কর্তৃপক্ষ অফিসে বসে ইচ্ছেমত মনগড়া অতিরিক্ত বিল করায় গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

            গ্রাহকরা বলছেন, তাদের মিটারের রিডিং না দেখেই গত বছরের বিলের দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি করে বিল তৈরি করে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর লোকজন শার্শা উপজেলার গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে বিদ্যুৎ বিলের কপি দিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউন ও সরকারি ছুটির কারণে বিলের জরিমানা নেওয়া হবে না বলা হলেও ব্যাংকে বিল নিয়ে গেলে জরিমানা নেওয়া হচ্ছে। খবর: কালের কন্ঠ

            অবশ্য প্রতিটি বিদ্যুৎ বিলের কপিতে সিল মারা আছে ‘আপনার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনার গত বছরের একই সময়/একই মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ভিত্তিতে গড় বিল প্রণয়ন করা হলো। কোনো অসঙ্গতি থাকলে পরবর্তীতে তা সংশোধন/সমন্বয় করা হবে।

            এ ব্যাপারে ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের অধ্যাপক বখতিয়ার খলজি বলেন, গড় বিলের নামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। প্রতিটি বিলে গেল বছরের চেয়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি করে দেওয়া হচ্ছে। এখানে বেশি ইউনিট দেখানোর কারনে বিলের ধাপও পরিবর্তন হচ্ছে। টাকার অংকও বাড়ছে। ওরা সমন্বয়ের কথা বলছে কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব?

            পল্লী বিদ্যুতের বিলের ইউনিট সাতটি ধাপে আদায় করা হয়। লাইফ লাইনের রেট (০-৫০) প্রতি ইউনিট সাড়ে তিন টাকা, ০-৭৫ প্রতি ইউনিট ৪ দশমিক ১৯ টাকা, ৭৬-২০০ প্রতি ইউনিট ৫ দশমিক ৭২ টাকা, চার নম্বর ধাপে (২০১-৩০০) প্রতি ইউনিট নেওয়া হয় ছয় টাকা।

            এমন অনেক গ্রাহক আছেন যাদের ইউনিটের সংখ্যা কম থাকার পরও গড় বিলে তৃতীয় বা চতুর্থ ধাপে বিল আদায় করা হচ্ছে। পরে তিন মাস পর সমন্বয় করা হবে কীভাবে? তৃতীয় বা চতুর্থ ধাপের টাকা তো সমন্বয় করা যাবে না, যাবে কেবল ইউনিটের সমন্বয় করা। এখানে বড় একটা শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। করোনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা গ্রাহকের বাঁশ দিচ্ছে।

            বেনাপোল নামাজগ্রামের আলি আজগার বলেন, এ কেমন গড় বিল বুঝলাম না। এপ্রিল মাসে আমার বিল এসেছে ১২২৪ টাকা। অথচ গত বছর (২০১৯) এপ্রিল মাসের বিল ছিল ৬৬৭ টাকা। করোনা ভাইরাসের অজুহাতে এরা ডাকাতি করছে। মহামারীতে বেকারত্বের দিনে তিনি এই অতিরিক্ত বিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে জানান।

            বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের বাসিন্দা আওয়াল হোসেন বলেন, সরকার মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিল পরিশোধে শিথিলতা প্রদান করেছেন। সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কেন ঘর থেকে বের হয়ে গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল পৌঁছে দিচ্ছেন তা আমার বোধগম্য নয়। নিরাপত্তার কারণে এটা বলতেই পারি, যে ব্যক্তি বাড়ি এসে বিলটি দিয়ে গেল। তিনি কি কভিড-১৯ নেগেটিভ না পজিটিভ তা কি বিদ্যুৎ বিভাগ জানেন? ঐ ব্যক্তি শার্শা উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করে বলে দুর্দান্ত প্রতাপে দৌঁড়ে বেড়াচ্ছেন। মাস্ক বাদে তার কোনো সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই।

            তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত বছর (২০১৯) সালে এপ্রিল মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৮০০ টাকা। কিন্তু এ বছরে সেই বিল দেওয়া হয়েছে ১২৮৪ টাকা।

            নয়ন কাজল নামে এক গ্রাহক বলেছেন, এবার আমার বিদ্যুৎ বিল ২ হাজার টাকার উপরে। করোনার কারণে ২০ দিনে আমি বাপের বাড়ি ছিলাম। বিল দেখে আমার মাথা ঘুরে গেছে।

            ফরহাদ হোসেন নামের অপর এক গ্রাহক বলেন, আমার বাড়ির চারটা মিটার। সবাই ভাড়াটিয়া। চারটি মিটারে আগে বিল আসতো যথাক্রমে ৫০০ টাকা, ৩০০টাকা, ১৯৭ টাকা ও ২২০ টাকা। সেই মিটারে এবার বিল এসেছে ১৫০০ টাকা। এত টাকা বিল দেখে তো ভাড়াটিয়ারা হতবাক।

            বিডিনিউজ২৪ এর বেনাপোল প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এপ্রিল মাসের বিলের কপি বাসায় দিয়ে গেছে ৬ মে, ওই বিলটি পরিশোধের তারিখ ছিল ২৫ এপ্রিল, বিলম্ব মাশুলসহ পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ৫ মে।

            বেনাপোলের শিকড়ি গ্রামের ছাবদার আলি বলেন, বিলম্বে পাওয়া এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলটি বেনাপোল স্টান্ডার্ড ব্যাংকে জমা দিতে গেলে তারা জরিমানাসহ বিলের টাকা নিয়েছে। জরিমানা নেওয়া হবে না এমন কোনো নির্দেশনা তাদের কাছে নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন।

            এ ব্যাপারে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগআঁচড়ার এজিএম (কম) মামুন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল পরিশোধে বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না। ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত হলে পরে সমন্বয় করে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে প্রকৃত হিসাব মেলাতে পারবো না। যেটা হয়েছিলো সেটা বাস্তবতায় হবে না কিছু কমবেশি হবে। এই পরিস্থিতিতে আমরা রিডিং আনতে পারিনি, মানুষের বাড়ি যেতে পারিনি। আমরা বুঝতেছি কিছু গড়মিল হয়েছে তবে আমাদের অফিস খোলা আছে। আসলে ঠিক করে দিচ্ছি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/13/37741/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X