Announcement

Collapse
No announcement yet.

🚩 "ইসলাম বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি-স্বরূপ" 🚩

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 🚩 "ইসলাম বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি-স্বরূপ" 🚩

    🚩 "ইসলাম বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি-স্বরূপ" 🚩
    🏴 "পুঁজিবাদী সভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা' ও নৈতিকতা-মূল্যবোধ'বিহীন ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা'য় ইসলাম কেন প্রথম পর্যায়ের বাধা ?" 🏴
    ☑ বর্তমান বিশ্বের মোট ৫২% সম্পদের মালিক কেবল এই পৃথিবীর ১% মানুষ, বর্তমান বিশ্বের মোট সম্পদের ৪৬% এর মালিক কেবলই ৩০০ জন। সম্পদের এই চরম পর্যায়ের বৈষম্যপূর্ণ বণ্টন ভাঙতে কেবল ইসলামী অর্থনীতিই সক্ষম, সমাজতন্ত্র নয়। (*)

    ☑ সারা দুনিয়ায় মাদকের থাবায় এই মুহূর্তে ধুঁকছে ৩১,২০,০০,০০০ জনেরও বেশী মানুষ; অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে প্রতিবছর মরছে ২১,০০,০০০ জনেরও বেশী... বিলিয়ন ডলার প্রফিট্যাবল বিজনেস' এই মাদক ব্যবসার বুকে থাবা বসিয়ে এই আগ্রাসন থামিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা আছে কেবল ইসলামী বিচারব্যবস্থার, সংসদীয় বিচার ব্যবস্থার নয়। (UNODC)

    ☑ সারা পৃথিবীতে এই মুহূর্তে না খেয়ে আছে মোট ৮১,০০,০০,০০০ জনেরও বেশী মানুষ, তাদের প্রতিদিন দুবেলা পেট-পুরে খাওয়ানোর সামর্থ্য রয়েছে কেবল ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থার, গণতান্ত্রিক বিশ্বের নয়। (reliefweb)

    ☑ কেবল অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মুনাফা পৌঁছে দিতে পৃথিবীর কোনায় কোনায় হচ্ছে গৃহযুদ্ধ, শরণার্থী হিসেবে দেশের বাইরে পশুর মত জীবন যাপন করছে ৬,৯০,০০,০০০ শরণার্থী, এদের ঘরে ফেরানোর শক্তি রয়েছে কেবল ইসলামী সাম্রাজ্যবাদের, পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার নয়। (UNHCR)

    ☑ বর্তমান পৃথিবীতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে গড়ে একজন, এবং বছরে ৮ লক্ষ মানুষ কেবলমাত্র হতাশায় আত্মহত্যা করে, এদের হতাশা ও আত্মহত্যার প্রকোপ থেকে বাঁচানোর সক্ষমতা রয়েছে কেবল ইসলামী মনস্তত্ত্ব, ইসলামী মানসিকতা ও তাকদিরে বিশ্বাসের, ইউরোপীয় আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি নয়। (WHO)

    ☑ কেবল তাজা থাকতে ছিলে ফেলা সহজ বলে নাস্তিক্যবাদী কমিউনিস্ট-সমাজতান্ত্রিক চীনে 'কুকুর খাওয়া উৎসব'-এ একসাথে ১০-১৫ হাজার কুকুর জীবন্ত ছিলে ফেলা হয়, আগুনে পুড়ে রোস্ট করা হয় জীবন্ত; নিরীহ পশুজগতের প্রতি এই মর্মান্তিক আগ্রাসন থামানোর ক্ষমতা আছে কেবল ইসলামী শরীয়াহব্যবস্থার, বিপরীতে ধর্মহীন-নাস্তিক্যবাদের দৃষ্টিতে এটা কোন অপরাধ নয়, যেহেতু এতে কোনো 'ব্যক্তিসত্তা' বা মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে না। (BBC)

    ☑ ইউরোপ-অ্যামেরিকায় লক্ষ-লক্ষ পতিতা অনিচ্ছায় ওই অন্ধকার চার দেওয়ালের অন্ধকারের মাঝে গুমড়ে-মুচরে মরছে, তাদের বাঁচানোর ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র ইসলামী হুদুদ-ব্যবস্থার। (*)

    ☑ প্রতিমাসেই ডিপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েবে আপলোড দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার জিবি চাইল্ড পর্ন, রেপ ভিডিও, কিলিং-টর্চার ভিডিও' এমনকি হিউমান এক্সপেরিমেন্ট এর ভিডিওসমূহ... এই নিকৃষ্ট পর্যায়ের পুঁজিবাদী বীভৎসতাকে আটকাতে পারে কেবলই ইসলাম, CIA কিংবা FBI নয়। (*)

    ☑ ভারতে গড়ে প্রতি বছর হিন্দুত্ববাদীদের হাতে প্রায় ৬ লাখ মেয়ে শিশুর ভ্রূণ দুনিয়ার আলো না দেখেই চলে যায়, তাদের সুন্দর জীবন দানের জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র ইসলামী মানসিকতার... হিন্দুত্ববাদী নয়। (TheGuardian)

    ☑ প্রতি বছরে ৯৭০০ কোটি ডলার বা শুধু ৮২৩৭২৪,০০,০০,০০০ টাকার ব্যবসা, বিলিয়ন ডলার বিজনেসের এই পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিকে ঘণ্টার মধ্যে ধসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে কেবল ইসলামী বিচারব্যবস্থার হদ-কিসাস' অংশের। (NBCNews)

    ☑ প্রতি বছর সারা বিশ্বে চলছে ৪৩,৫০০ কোটি ডলারের শুধুমাত্র ড্রাগ ব্যবসা, প্রতিবছর শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই গড়ে ৮ হাজার মানুষ মারা যায় এই ড্রাগের কারণে, এই সর্বনাশা শক্তিকে পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম আটকে দেখাতে পেরেছিল কেবল ইসলাম। (UNODC)

    ☑ প্রতিবছর শুধুমাত্র ১,৩৪,৪০০ কোটি ডলারের অ্যালকোহল ব্যবসা...!!! বাংলাতে এই হিসেব ১০,৭৫২,০০০ 'কোটি' টাকার... আর ইসলামে মদ হারাম করার বিস্তারিত ইতিহাস ও কাহিনী-তো কোন মূর্খেরও অজানা নয়। (PRNewsWire)

    ☑ প্রতি বছর সারা বিশ্বে শুধুমাত্র অতিরিক্ত মদপানের জন্যই মারা যায় ৯০,০০০ জন। ইসলামি শাসনব্যবস্থা ব্যতিরেকে এদের বাঁচানোর আর কোন পথ যে নেই, তা তো কট্টরপন্থী ইসলামবিদ্বেষীরাও মানে। (WHO)

    ☑ সারা বিশ্বে প্রতিবছর যৌন কাজে ব্যবহৃত মাদক পাচার থেকে পুঁজিবাদের আয় ৯৯০০ কোটি ডলার...। শুধুমাত্র ইসলামের জন্য পুঁজিবাদ এই প্রফিটেবল বিলিয়ন ডলার বিজনেস'কে মাটিতে মিশে যেতে দিবে কি ? (HumanRightFirst)

    ☑ বছরে ৭০,০০০ কোটি ডলারের কেবল স্বাস্থ্যসেবার ব্যবসা...! অথচ ইসলামী সুন্নতি জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা বাস্তবায়নে এ-সংখ্যাটা ৫ ডিজিটের তো দূরের কথা, এক ডিজিটেরও থাকবে না...। (Delottee)
    বর্তমান পৃথিবীতে পুঁজিবাদের সবচাইতে বেশি আয় করা ট্রিলিয়ন ডলার বিজনেসটাকে ইসলামের হাতে এতো সহজেই ধ্বংস হয়ে যেতে দিবে পুঁজিবাদ...??? ট্রিলিয়ন ডলার বিজনেস রক্ষায় সশস্ত্র কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে অন্তত বিলিয়ন ডলার কি ব্যয় করবেনা পুঁজিবাদ...??? (ইসলামফোবিয়ার কথা পরে বলছি)
    [★ তবে এতো সহজে উপরের পয়েন্টটি সবার মাথায় ঢুকবে না,, ঢুকা সম্ভবও না,, বিস্তারিত জানতে এক ডাক্তারের লেখা ডাক্তারি বিদ্যার উপর লেখা "কষ্টিপাথর" বইটি পড়ে দেখুন।]

    ☑ মাদকাসক্তি, পরকীয়া, পর্ণাসক্তি, মিলনে অক্ষমতা' এরকম অসংখ্য-অজানা ফ্যাক্টর' এর কারণে প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে যাচ্ছে হাজারো হাজারো পরিবার, বাড়ছে সংসারে-অশান্তি, ডিভোর্স ইত্যাদি... ধ্বংসের মুখে আজ আমাদের সমাজব্যবস্থা, লাভ হচ্ছে পুঁজিবাদের...। অথচ এই ধ্বংসযজ্ঞ-গুলোর এক একটা ফ্যাক্টর'কে আলাদা আলাদা ভাবে নির্মূল করা সম্ভব কেবলমাত্র ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মাধ্যমে...। (CNN)
    (বিস্তারিত জানতে পড়ুন 'মানসাঙ্ক' বইটি, চোখের ওপর পড়া ছানি ও মস্তিষ্কের ওপর তৈরি হওয়া অদৃশ্য শুকলের বেড়ী ভাঙতে বইটি সত্যিই অসাধারণ)

    ☑ কেবল Erectile Dysfunction Market'ই ২০২৪ সালে পৌঁছাবে প্রতিবছর ৪২৫ কোটি ডলারে, অথচ ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের পিছনে থাকা পাঁচটির মধ্যে চারটা ফ্যাক্টরের সমাধান ইসলাম গত ১৪০০ বছর ধরে প্র্যাকটিস করে আসছে, তা তো জ্ঞানী কারো অজানা নয়। (BusinessWire)
    [মদ হারাম, শাস্তি বেত্রাঘাত; মাদক হারাম, ব্যবসার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড; আর পর্নোগ্রাফি...!!! মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে 'রজম' বা মাথায় পাথর মারার মাধ্যমে; ধূমপান, সেটার আগা-মাথাও ইসলামে সব হারাম; ইনস্ট্যান্ট স্বাস্থ্য কমানো-বাড়ানোর পিল/বড়ি- ইসলামের সেটাও চরমভাবে নিরুৎসাহিত, কিছু পর্যায়ে সম্পূর্ণ হারাম; অণ্ডকোষ'কে চেপে ধরে রাখে, এমন টাইট-ফিট পোশাক... আকার-আকৃতি না দেখানোর উসিলায় সে পোশাকও হারাম... এভাবে আরো অসংখ্য পয়েন্টে বলা যাবে, বিস্তারিত জানতে চাইলে ডাঃ শামসুল আরেফীনের ধর্ষণের অদ্যোপন্ত নিয়ে লেখা "মানসাঙ্ক' বইটি পড়ে দেখুন।]

    ☑ গত ১০ বছরে শুধুমাত্র ১,২০,০০০ ৪০ এর কমবয়সী নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে জন্মনিরোধক পিলে থাকা কার্সিনোজেনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়, অথচ পিল, বড়ি কিংবা এবর্শন এর মাধ্যমে সন্তান নষ্ট করা ইসলামের সম্পূর্ণই হারাম, এখানেও শুধুমাত্র ইসলামের জন্য প্রতিবছর পুঁজিবাদের কতো লস হয় এবার বুঝতে পারছেন ? (Cancer)
    [✅ পুঁজিবাদ ও ইসলামী সভ্যতার অন্যতম দ্বন্দ্ব এখানেই, পুঁজিবাদ সমস্যাকে জিইয়ে রাখতে চায়, শুধুমাত্র ব্যবসার জন্য; ইসলাম সমস্যা নিয়ে ঘেচাঘেচি না করে সরাসরি সমাধানের কথা বলে।
    ___'পুঁজিবাদ ও ইসলামী সভ্যতার দ্বন্দ্ব' এবং পুঁজিবাদের বীভৎস রূপ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে সাম্প্রতিক বইমেলায় বের হওয়া "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০" বইটি আস্তিক-নাস্তিক সবারই অবশ্যই পড়ে দেখা উচিত।]

    ☑ এই করোনা বিপর্যয়ের মাঝেও বাংলাদেশে কতিপয় চাল চোর থেকে র্যব উদ্ধার করেছে মোট ২২,২৪৫ বস্তা চাল, যেখানে দেশের মধ্যবিত্ত-নিম্বশ্রেণির মানুষ আছে না খেয়ে...। ইসলামী শাসনব্যবস্থা থাকলে এতক্ষণ কাটা পড়তো এই ৮০০ চাল চোরের হাত... ৮০০ না, শুরুতে ২-৪ টার হাত ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কাটা পড়ে গেলেই আর দরকার হতো না...। এই বিকৃত পুঁজিবাদী মনস্তত্ত্ব কি কখনো ইসলামকে সহ্য করতে পারবে ? (ProthomAlo)


    ✅ ১২ লক্ষ বেসামরিক আফগানীর রক্তের কোন দাম নেই, ২৪ লক্ষ নিরস্ত্র ইরাকী হত্যার কোনো জবাবদিহিতা নেই, ১০ লক্ষ ঘরহারা ফিলিস্তিনির কোন মানবাধিকার নেই, ১ লাখ সিরিয়ান মা-বোনের সম্ভ্রম লুটের কোন বিচার নেই, সাড়ে পাঁচ লাখ সোমালিয়ান, সাড়ে তিন লাখ শিশুদের ধর্ষণ থেকে বাচার কোন অধিকার ছিল না...। পুঁজিবাদের এই বীভৎস-অজানা রূপকে আটকাতে কেবল ইসলামী জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ'ই সক্ষম, আর তাই এই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ' এর আসল রূপটা ঠেকাতে পুঁজিবাদ কি 'বিলিয়ন ডলার' ব্যয় করবে না ? (ConsortiumNews, LancetJournal, UNCCP, WorldBeyondWar)

    [হ্যাঁ, University of Watson Institute of International and Public Affairs-এর রিপোর্ট অনুযায়ী আমেরিকা এখন পর্যন্ত 'war-on-terror' এর পিছনে শুধুমাত্র কর্তৃত্ব স্থাপন ও বিশ্বব্যাপী 'জিহাদ-ভীতি' ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যয় করেছে ৫.৯ বিলিয়ন ডলার...!!!!
    এখন আপনিই বলুন, ইসলাম বিষয়ে প্রথম পর্যায়ের মূর্খ নাস্তিক্যবাদী-ইসলাম বিদ্বেষীদের মনে জিহাদভীতি তৈরি হওয়া কি স্বাভাবিক নয় ? যেখানে আমরা মুসলিমরা নিজেরাই জিহাদের মাসআলা-মাসায়েলের আগামাথা কিছুই জানিনা, ফিকহ-অফ-জিহাদের জ্ঞান রাখিনা, সেখানে অমুসলিমদের জিহাদকে কটাক্ষ করে ইসলামকে আক্রমণ করাটা কি দোষের কিছু ?]

    ✅ কেবলমাত্র 'উগ্র নারীবাদ' ও পশ্চিমা ফিলোসফির বাস্তবায়নের থাবায় পশ্চিমা বিশ্বে আজ বিষণ্ণতা, একাকীত্ব ও আত্মহত্যা দেখা দিয়েছে মহামারীরূপে; অথচ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজীর জীবনে বিষণ্ণতা-একাকীত্বের কোনো সুযোগ নেই...।
    [উইকিপিডিয়াতে দেওয়া তথ্য মোতাবেক, নাস্তিক্যবাদী-ধর্মহীনদের মধ্যে আত্মহত্যা, বিষণ্ণতা ও একাকিত্বেরর হার ১৭.৮%, খ্রিস্টানদের মধ্যে ১১.৬%, হিন্দুদের মাঝে ৯.১%, বৌদ্ধদের মাঝে ৪.৮% ও 'নামধারী' মুসলিমদের মাঝে কেবল ১.৬%...!!!]

    🏁🏁🏁 মূলত অমুসলিম বা নাস্তিক্যবাদীরা ইসলামের সমালোচনা করতে গেলে ইসলাম বিষয়ে সবচাইতে বড় ভুল ধারণাটা রাখে, তা হলো, ইসলামকে কেবলই একটি ধর্ম' ভাবা, যা কিনা একে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এর মতো একটি সাধারণ ধর্ম হিসেবে চিত্রিত করে। অথচ বাস্তবতা হলো, ইসলামকে একটি 'ধর্ম' হিসেবে চিহ্নিত করা হলে তা হলো ইসলামের ওপর মারাত্মক পর্যায়ে জুলুম। ইসলামকে যখন 'শান্তির ধর্ম বা একটি ধর্ম' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তখন ইসলামের ৯০ ভাগ অংশই হারিয়ে যায়।
    .
    কোন একটি বিশ্বাসগত কাঠামো ও নির্দিষ্ট কিছু আচারপ্রথার সমন্বয়কে ধর্ম বলা হয়, কিন্তু ইসলামের রয়েছে এসব কাঠামোর বাইরেও আরো অনেক অনেক কিছু। ইসলামের রয়েছে নিজস্ব রাষ্ট্রব্যবস্থা, নিজস্ব সমাজব্যবস্থা, নিজস্ব সরকারব্যবস্থা, নিজস্ব পরিবারব্যবস্থা, নিজস্ব অর্থব্যবস্থা, নিজস্ব যুদ্ধনীতি বা সামরিকব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাথরুমের ভিতরে আপনার অতি গোপনীয় ছোট-ছোট কার্যক্রমের দিকনির্দেশনার মতো জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পর্যায়ের সবকিছু। কিন্তু ইসলামকে যখন আপনি একটি ধর্ম হিসেবে নিবেন, তখন এগুলো আপনার মাথায় ঢুকবে না, তখন বলে বসবেন 'ধর্মের ভিতরে এগুলো আবার কি ?'
    .
    মূলত ইসলামের এই নিজস্বতার জন্যই ইসলাম সবকিছুর সাথে কিলাকিলিতে লিপ্ত হয় বারবার, হিন্দু-খ্রিষ্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ, নাস্তিক-খ্রিস্টান, ইহুদি-নাস্তিক, হিন্দু-নাস্তিক... সবাই শান্তিতে থাকতে পারে, কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যখনই এখানে প্রবেশ করে কোনো 'মুসলিম' তখনই শুরু হয় গণ্ডগোল... তার কারণ একটাই, তাদের ধর্মে যেসব বিষয় নেই, ইসলামে সেগুলো আছে...।
    .
    গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র বা পুঁজিবাদের সাথে লাগতে যাওয়ার মতো কিছু অন্য ধর্মের নেই, তাই লাগেনা, ইসলামের আছে, তাই লাগে, ব্যাস, এতোটুকুই। এটা কারো মাথায় না ঢুকলে বুঝতে হবে সে তার মস্তিষ্ককে অনেক আগেই সেসব ভাড়াটে ব্লগগুলোর কাছে বন্ধক দিয়ে দিয়েছে...।
    .
    চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, নাস্তিক্যবাদি বা অমুসলিমরা এই পোস্টে হাহা হান্দিয়ে' চলে যাবে, কেননা এই লেখার আগা-মাথা তাদের পশ্চিমা পুঁজিবাদী চিন্তার কাঠামো দ্বারা পরিবর্তিত মাথায় কিছুই ঠুকবে না, তবে এর দোষটা আমি তাদেরকে দিব না। দোষটা আমাদের নিজেদের, মুসলিমদেরই, আমরা নিজেরাইতো এগুলো সম্পর্কে বেখবর, কিছু জানিনা...!!!
    .
    যেখানে জন্মসূত্রে মুসলিম ও ইসলাম সম্পর্কে পড়ালেখা করতে পারার এতো এতো সুযোগ থাকার পরও আমরা নিজেরাই এগুলো জানিনা-বুঝিনা,, সেখানে ইসলাম সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ-মূর্খ ইসলামবিদ্বেষীতা দ্বারা ব্রেনওয়াশড খালি মাথাকে দোষ দিতে যাওয়া বা গালাগাল দিতে চাওয়াটা কি আমাদের নিজেদের মুসলিমদের হীনতা প্রকাশ নয়...?????


    🏴🏴🏴 ইসলামের আছে নিজস্ব সমাজব্যবস্থা, তাই এখানে পুঁজিবাদ থাকতে পারবে না। ইসলামের আছে নিজস্ব সরকারব্যবস্থা,, তাই এখানে গণতান্ত্রিক-রাজতান্ত্রিক সরকার থাকা সম্ভব না। ইসলামের আছে নিজস্ব রাষ্ট্রব্যবস্থা, তাই এখানে অন্য কোন প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রপদ্ধতি থাকা সম্ভব না। ইসলামের আছে নিজস্ব অর্থব্যবস্থা, তাই এখানে মিশ্র, ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার উপস্থিতিও অসম্ভব...।
    ___এই বাংলাদেশে এতো কিছু থাকার পরও ৯০% লোক নিজেদের মুসলিম দাবী করে...!!! গোলমালটা ঠিক কোথায় আমার মাথায় ধরে না...। হয় এদেশের সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র-ধনতন্ত্র সব ভুয়া-ফাঁপা, আর নয়তোবা মুসলিমরা সব ভুয়া, এটা গ্যারান্টেড, তৃতীয় কোনো পথ নেই।


    🏳🏳🏳 আর প্রতি মুহূর্তে চলমান এসব বিলিয়ন-ট্রিলিয়নডলার বিজনেসকে রক্ষা করে পুঁজিবাদকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন ইসলামকে ধ্বংস করা। বিশ্বাস করুন, আর না-ই করুন, বর্তমান সময়ে পুঁজিবাদের সবচাইতে বড় শত্রু হলো কেবলমাত্র "ইসলামী জীবনব্যবস্থা"... সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র কিংবা অন্য কোন তন্ত্র মন্ত্র-নয়।
    ___সম্প্রতি RAND কর্পোরেশনের গবেষকরাও এটা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হয়েছেন যে, বর্তমান পশ্চিমা সভ্যতার জন্য সবচাইতে বড় হুমকি হচ্ছে "ইসলাম"... একদম শুরু থেকে শেষ, মাঝখানে এ-টু-জেট সবকিছুতে একদমই বিপরীত এই দুইটি সভ্যতার মূল্যবোধ, নৈতিকতার ধারণা, চিন্তার কাঠামো ও ভাবধারায়। এমতাবস্থায় দুইটি সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর এই দুইটি সভ্যতার মধ্যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে যেকোনো একটি সভ্যতায়... আরেকটিকে হতে হবে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত, তবেই সম্ভব শান্তি প্রতিষ্ঠা।
    .
    RAND আরও গবেষণা করে বুঝতে পারলো, পৃথিবীর বুকে এই মুহূর্তে আমেরিকান ভোগবাদী-পুঁজিবাদের জন্য সবচাইতে বড় হুমকি হলো "স্বয়ং ইসলাম", কোনো একক ইসলামী জঙ্গীগোষ্ঠী নয় ! মুসলিমরা নয় ! কোন মৌলবাদী দল নয় ! হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যামুয়েল পি হান্টিংটন এ-দুই সভ্যতার সংঘাতকে সংক্ষেপে তার 'দ্য ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশন' বইয়ে তুলে ধরেছেন এভাবে,

    "ইসলামী মৌলবাদ পশ্চিমাদের জন্য আসল সমস্যা না; বরং সম্পূর্ণ একটি 'ভিন্ন সভ্যতা'র ধারক হওয়ার কারণে 'স্বয়ং ইসলাম'ই তাদের আসল সমস্যা। পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসলাম উভয়েই মনে করে তারা অন্য সভ্যতার চেয়ে উত্তম, এবং অন্যদের উচিত তাদের সভ্যতা সংস্কৃতিকে গ্রহণ করা, তারা আরো মনে করে, তাদের এই অবস্থান অন্য মানুষদেরকেও মেনে নিতে বাধ্য করা উচিত। ইসলাম এবং পশ্চিমা বিশ্বের এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের পেছনে এটাই হলো মূল কারণ।"

    অর্থাৎ অধ্যাপক সাহেব ইসলামকে কোন একটি সাধারণ' বা একক ধর্ম' হিসেবে না, বরং একটি আলাদা সভ্যতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি CIA, কিংবা আমেরিকান সেনাবাহিনীকেও ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করেননি, বরং খোদ পশ্চিমা সংস্কৃতি, সভ্যতা ও মূল্যবোধকেই ইসলামের জন্য শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
    .
    একইভাবে আরো উপাত্ত তিনি দেখিয়েছেন, কেন পশ্চিমা সভ্যতার জন্য সবচাইতে বড় হুমকি পুরো ইসলাম', কোন ইসলামী সংগঠন, কোন ইসলামী জঙ্গীগোষ্ঠী, কিংবা ইসলামিক মতাদর্শ নয়, খেলাফত ব্যবস্থার বাস্তবায়ন কিভাবে পশ্চিমা সভ্যতা ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যেকোনো মুহূর্তে...।

    এখন আসি মূল কথায়...।
    নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এই ট্রিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের মালিক পুঁজিবাদ ইসলামকে শেষ করার জন্য কি কাজ করবে না ? অবশ্যই। অবশ্যই পুঁজিবাদ তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করবে নিজের কর্তৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি পৃথিবী থেকে ইসলামকে একটু একটু করে মুছে ফেলার। আরেকটু পড়ালেখা করলেই বুঝা যায়, এ-কাজটি হচ্ছে এই মুহূর্তে দুইভাবে, প্রথমত, সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে, যার সাথে আস্তিক-নাস্তিকের কোন ব্যাপার নেই। আর দ্বিতীয়ত, বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের মাধ্যমে, যেটাতে আজ আমরা মুসলিমরা চরমভাবে পরাজিত।
    .
    যুক্তরাষ্ট্রের Centre for American Progress এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র 'ইসলামফোবিয়া' ছড়ানোর নিয়োজিত এনজিওগুলো অনুদান পেয়েছে ৪২.৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি...!!! বাংলা হিসেবে ৩৬২,০০,০০,০০০ টাকারও বেশী...!!! অবস্থা ভাবা যায়?? ? এগুলো পুঁজিবাদ কিংবা খ্রিস্টবাদ প্রচারের কাজে ব্যবহৃত নয়, বরং ব্যবহৃত শুধুমাত্র মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরানোর জন্য। (AmericanProgress)
    ___মুসলিমদের মধ্যে ইসলামী বিভিন্ন বিধি-বিধান' যেমন জিহাদ-কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ, শরীয়াব্যবস্থা, নারী বিষয়ক বিধান, হুদুদ-কিসাস, কুরআন-হাদিস' ইত্যাদি বিষয়ে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি, ও অমুসলিমদের মধ্যে 'ইসলামভীতি, জিহাদভীতি কিংবা মুসলিমভীতি' ছড়িয়ে দেওয়ানোই এদের কাজ...। (TheGuardian)

    ___এরা এটা করেছে কলমযুদ্ধ বা ব্লগিং-লেখালেখি করে, দেশে দেশে সরকারিভাবে বিভিন্ন নোটিশ তৈরি করে, বিভিন্ন দেশে ভিন্নধর্মী রাষ্ট্রীয় আইন তৈরি করে, কিংবা পেপার-পত্রিকা টেলিভিশন-মিডিয়ার খবর সমূহকে কাস্টমাইজ করে সাবলিমিনাল মেসেজ তৈরি করার মাধ্যমে...। যা আমরা এখনো নিয়মিত খবর গুলোতে দেখছি। এটাই বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের প্রথম ধাপ, পশ্চিমের গোলামী করার জন্য মুসলিম উম্মাহ বর্তমানে যে যার মোকাবেলা করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। (TheGuardian)
    .
    ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন BCRG এবং CAIR এর একটি যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, ২০০৮-২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র 'ইসলামফোবিয়া' ছড়ানোর কাজে নিয়োজিত দলগুলো অনুদান পেয়েছে ২০৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি...!!! এগুলো করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের "IslamPhobia" নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। যাদের কাজই হলো যুক্তরাষ্ট্রের অমুসলিমদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে 'ভীতিকর ও বিরূপ ধারণা তৈরি' এবং 'মুসলিমদের মধ্যে সংশয় ও নাস্তিক্যবাদের প্রসার ঘটানো...।
    ___শুধু 'আমেরিকার ভেতরকার হিসেব' যদি এই হয়, তাহলে পুরো বৈশ্বিক হিসাবটা ঠিক কোন পর্যায়ে থাকবে, তা চিন্তা করতে পারছেন...???
    .
    Ourworldindata সাইটে নিরপেক্ষভাবে হিসাব করে দেখানো হয়েছে যে, গত ১০ বছরে হওয়া সমস্ত সন্ত্রাসী আক্রমণ গুলোর মধ্যে যেখানেই সন্ত্রাসীর ভূমিকায় কোন মুসলিম ছিল, সেখানেই মিডিয়া কভারেজ পাওয়া গেছে অতিরিক্ত ৩৫৭% থেকে ৭৫৮% পর্যন্ত...!!! অর্থাৎ কোন নাস্তিক বা অমুসলিমের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসী আক্রমণের চেয়ে কোন মুসলিমের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসী আক্রমণের খবর মিডিয়াতে প্রচার করা হয়েছে গড়ে ৩.৩ থেকে ৮ গুণ পর্যন্ত...!!! অর্থাৎ যেখানে সাধারণ একটি সন্ত্রাসী হামলার খবর টিভিতে হেডলাইনে দেখানো হয়েছে একবার, ঠিক তার বিপরীতে কোন মুসলিম কর্তৃক সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার খবর দেখানো হয়েছে ৫-৫ বারের মতো করে, ইসলাম বা মুসলিমের চিহ্ন দেখলে মানুষ ভয় পাবে না কেন একটু বলবেন ???
    .
    ফ্রান্সের একটি এনজিও থেকে হিসেব করে দেখানো হয়েছে যে, "বর্তমান বিশ্বে হওয়া সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসের আক্রমণের ক্ষেত্রে ৬৫% ভিক্টিমই মুসলিম, যদিও পশ্চিমে বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে 'অধিকাংশ সন্ত্রাসবাদ মুসলিম এর দ্বারাই সংঘটিত হয়ে থাকে', তবে পরিসংখ্যানগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই।"

    যে ব্যক্তি যে অপরাধ থেকে বাঁচতে চায়, তাকে সে অপরাধের জন্যই ফাঁসানো হয়, এটা পৃথিবীতে নতুন কিছু না। দীর্ঘ ২২ বছর নেলসন ম্যান্ডেলা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী হিসেবে আমেরিকার চোখে চিহ্নিত ছিলেন, ছিলেন সন্ত্রাসীদের লিস্টে প্রথমে, অথচ বাস্তবে তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন শেতাঙ্গবাদী-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।... নবী ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) যিনা-ব্যভিচার করতে চাননি, তাই তাকেই ধর্ষণ/অবৈধ সেক্সের অপরাধে জেল খাটতে হয়েছে দীর্ঘ ২২ বছর...!!! ইমাম আবু হানিফা (রহিমাহুল্লাহ) কাজির পদে আসীন হয়ে জনসাধারণের প্রতি অবিচার করতে চাননি, আর তাই এই অপরাধের কারণেই তাকে কারাগারে নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়...।

    সুতরাং পশ্চিমা আদর্শিক সন্ত্রাসবাদ ও সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ বিরোধী অবস্থানে থাকায় ইসলামকেই 'সন্ত্রাসবাদ' হিসেবে ও 'জিহাদ'কে 'মৌলবাদ-উগ্রবাদ' হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, এটাইতো স্বাভাবিক, বরং এটা দেখে আপনার অবাক হওয়াই প্রমাণ করে আপনি এখনো সচেতন-মুসলিম হতে পারেননি।
    ___আর তাই ফেসবুকে কতিপয় আবুলরা যখন ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ বলে, ইসলামকে ঠুসিয়ে ঠুসিয়ে পোস্ট দেয়, তখন তাই আমি কোন পোস্ট-কমেন্ট-রিয়েকশন করি না,, বরং চেয়ে চেয়ে মজা নেই, এর চাইতে উত্তম ও ফ্রী বিনোদন আর কি হতে পারে...??? আর বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে এসব পোস্ট-কমেন্ট দেখে মাথা গরম করে ভুল কাজ করে বসাটাই ওদের সফলতার প্রথম চিহ্ন... মাথায় রাখবেন।
    .
    বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তারা মূলত মুসলিমদের শেষ না করে মুসলিমদের পুঁজিবাদের সৈন্য বানানোর পায়তারা করে। এজন্য মুসলিমদের মাঝে অসংখ্য এনজিও প্রতিনিয়ত কাজ করছে কিছু ভাড়াটে ব্লগার, লেখক, পোস্টার বা ফেসবুকারকে, মুসলিমদের মাঝে তাদের নাস্তিক্যবাদী ভাবধারা, চিন্তা-ভাবনা ও বিকৃত মানসিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
    ___এক্ষেত্রে দুটি বিষয়, ইসলাম বিষয়ক নিম্ন পর্যায়ের জ্ঞান রাখা মুসলিমরা ঈমান হারিয়ে নাস্তিক হচ্ছে, আর যারা সচেতন-জ্ঞানী মুসলিম, তারা এসব নিম্নমানের ভাড়াটে নারীবাদী-নাস্তিক ব্লগারদের যুক্তিখণ্ডনে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, ফলে নারীবাদ-নাস্তিক্যবাদ পুঁজিবাদের মূল কাঠামোতে আর আক্রমণ করা হয়ে উঠছে না। ফলে তারা আগের মতো শক্তিশালী থেকে বারবার আমাদের আক্রমণ করেই যাচ্ছে। আর আমরা একটু একটু করে দুর্বল হচ্ছি...
    >>> তবে সম্প্রতি সময়ে ডাঃ রাফান আহমেদ, আসিফ আদনান, ডাঃ শামসুল আরেফীনের মত কিছু লেখক উঠে এসেছেন এই কাজটি করতে। আপনারা "চিন্তাপরাধ" ও "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" এই দুটি বই পড়লেই বুঝতে পারবেন।
    .
    আর ফেসবুকে ওদের গ্রুপগুলোতে অনর্থক পোস্ট-কমেন্ট করে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। ওরা ফেসবুকে ইসলামের বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা কথা লিখে, কটাক্ষ করে পোস্ট-কমেন্ট করে কেবলমাত্র আপনাদের মেজাজ গরম করে দেওয়ার জন্য, ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য, ও নিজেরা নিজেরা মিলে সামান্য কিছু মশকরা করার জন্য; কোন গঠনমূলক সমালোচনা কিংবা উত্তর পাওয়ার জন্য না।
    —> ওরা যদি সত্যিই উত্তর চাইতো, তবে উপযুক্ত লোক, যে কিনা তার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে, তার কাছে গিয়েই প্রশ্নগুলো করতো, ফেসবুকে এসে বিলবোর্ড ভাড়া করে ঢাকঢোল পিটিয়ে অজ্ঞ-মূর্খ আবেগি মুসলিমদের সাথে গ্যাঞ্জাম করত না। আর আমরাও হলাম আবেগি জাতি, দ্বীন-ইসলামের সামান্য জ্ঞান নাই, এমন ভাব দেখাই যেন ইসলামের একেকজন অতন্দ্র প্রহরী আমরা...!!!
    .
    ★ তাফসিরশাস্ত্র, তর্জমাবিদ্যা, ফিকহের মতো বড় বড় ইসলামী জ্ঞানের শাখায় মূর্খ থাকা অবস্থায় শুধুমাত্র হাদিসশাস্ত্রের উপর পড়ালেখা করে একটা ডিগ্রি নিতে যেখানে ৫-৬ বছর খরচ করতে হয়, সেখানে উনারা বিশ্বপণ্ডিতেরা মুক্তমনা-সংশয় ব্লগের দু'চারটা পোস্ট আর আর মাতুব্বর-হুমায়ুন-অভিজিত সাহেবদের লেখা ইসলাম বিষয়ক নিম্নমানের বই পড়েই ইসলাম সম্পর্কে বিশ্বজ্ঞানী হয়ে যান, ইসলামের সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে ফেলেন...!!!!!!! অসাধারণ...!!! এখানে সাধারণ কমেন্ট বক্সে তাদের সাথে তর্ক করতে যাওয়াটা যে কতো বড় মূর্খতা, তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই...।

    ___অশিক্ষিত' আর মূর্খ' এক জিনিস নয়। ফেসবুকে ঘোরাফেরা করা অধিকাংশ নাস্তিক্যবাদি, অজ্ঞেয়বাদী বা সংশয়বাদীরা পূর্ণমাত্রায় শিক্ষিত হলেও, ইসলাম বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ-মূর্খ। মূর্খের সাথে তর্ক করতে কুরআনেও স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে, ইলমি জিহাদ বা বিতর্কবিদ্যারও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অমুসলিম-নাস্তিক্যবাদীদের দাওয়াত দেওয়ারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, কমেন্ট বক্সে গিয়ে কতক্ষণ লাগালাগি করলেই হয় না...।
    .
    কোন বিষয় নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বা কটূক্তি করতে দেখে আপনি একটা গালি দিলেন...। সহীহুল বুখারীর ৩৪ নং হাদীসে বর্ণিত, গালি দেওয়া মুনাফিকের চতুর্থ স্বভাব। তাসলিমা নাসরিন'রা কাফের, আর আপনি মুনাফিক। কম্বিনেশনটা জটিল না ? সে নাস্তিক আর আপনি ভাই ভাই হয়ে গেলেন না ???
    .
    পোস্ট দেখেই আমাদের বুঝা উচিত, পোস্টকারী প্রশ্নের উত্তর চাইছে, নাকি আপত্তি জানাচ্ছে... সেই অনুযায়ী আমাদের আলাদা পোষ্টে প্রশ্নের উত্তর, কিংবা আপত্তির খণ্ডন করে দেওয়া উচিত, কমেন্টে গিয়ে ফালতু অর্থহীন একটি মন্তব্য করলেন... তো তারা সফল, আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আপনার মাথাটা গরম করিয়ে দিতে শয়তান সফল হলো।

    ___যদি সত্যিই এসব নাস্তিক্যবাদী-ইসলামবিদ্বেষীদের ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে একটা কাজ করুন। নেটে "ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী : প্রস্তাবিত কর্মপদ্ধতি" নামে একটা নোট আছে, ওটা ভালো মতো পড়ে নিন। এর বাইরে পণ্ডিতি করে শুধু শুধু ইসলামের ক্ষতি করবেন না।

    ✳✴❇ রেফারেন্স নিয়ে চারটে কথা...'

    খেয়াল করবেন, আমি পুরো লেখাতে কোন রেফারেন্স দেই নি। হাতে অসংখ্য রেফারেন্স থাকা সত্ত্বেও লেখার কলেবর বৃদ্ধি করিনি, বরং আপনাদের জন্য গবেষণার খোরাক রেখে গেলাম।
    ___এই লেখার উদ্দেশ্য আপনাদের বস্তাপচা-বাক্সভর্তি জ্ঞান দেওয়া নয় পচা-বাক, বরং সামান্য চিন্তার খোরাক দেওয়া, চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করা, পশ্চিমের কাছে ধার দিয়ে দেওয়া মস্তিষ্ক নিজের কাছে আনার প্রেরণা অনুভব করানো।
    (*) এগুলো নিয়ে আলাদা পোস্ট হবে ইনশাআল্লাহ।

    🏴 আমার লেখার প্রতিটি কথার সত্যতা যাচাই করুন, কোন ভুল তথ্য পাওয়া মাত্রই সরাসরি আমাকে জানিয়ে লেখার মান উন্নয়নে সাহায্য করুন। সোর্সগুলো থেকে সহায়তা নিতে পারেন।

    🏴* আপনি মানসিক বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী আমি জানি, তাই অযথা 'হাহা' দেওয়ার প্রয়োজন নেই...। অর্থহীন ফালতু কথা না বলে, নিরর্থক চেঁচামেচি না করে, গঠনমূলক সমালোচনা করুন। নিজের ভুল সংশোধন করে পারফেক্ট হয়ে উঠতে আমাকে সাহায্য করুন।



    সহায়ক গ্রন্থপঞ্জিঃ [টপিক]
    ১. চিন্তাপরাধ - আসিফ আদনান [চিন্তার জগত]
    ২. মানসাঙ্ক - ডাঃ শামসুল আরেফীন [ধর্ষণের অদ্যোপন্ত; কারণ, প্রতিকার, পশ্চিমা সমাধান ও ইসলামী সমাধানের তুলনামূলক আলোচনা]
    ৩. অবিশ্বাসী কাঠগড়ায় - ডাঃ রাফান আহমেদ [হুমায়ুন আজাদের 'আমার অবিশ্বাস' বইয়ের গঠনমূলক ও রেফারেন্সেটিভ অপনোদন]
    ৪. ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০ - ডাঃ শামসুল আরেফীন [নারীবাদ, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র, পরাজিত মানসিকতা, নারী-পুরুষ কেমিস্ট্রির বাস্তবতা ও ইসলাম]
    ৫. ভ্রান্তিবিলাস - জাকারিয়া মাসুদ [নারীবাদ]
    ৬. কষ্টিপাথর - ডাঃ শামসুল আরেফীন [প্রকৃতবিজ্ঞান, অপবিজ্ঞান ও ইসলামের অবস্থান]
    ৭. ইসলামী জীবনব্যবস্থা - মুফতি তারেকুজ্জামান [ইসলামী জীবনব্যবস্থার (ধর্মের নয়) সংক্ষিপ্ত পরিচিতি]
    ৮. তুমি ফিরবে বলে - জাকারিয়া মাসুদ [তরুণ সমাজের প্রতি হৃদয়বিদারক আহ্বান]
    ৯. সংবিৎ - জাকারিয়া মাসুদ [নিরীশ্বরবাদ, ডারউইনিজম, সমকামিতা, নারীবাদ, খ্রিস্টবাদ, হুমায়ুন আজাদের কুম্ভিলকত্ত্ব]
    ১০. সভ্যতার সংকট - ডঃ আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস [ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব ও সংক্ষিপ্ত 'ইসলাম ধর্ম' পরিচিতি]
    ১১. হোমো স্যাপিয়েন্স : রিটেলিং আওয়ার স্টোরি - ডাঃ রাফান আহমেদ [বিজ্ঞান, অপবিজ্ঞান, বিবর্তনবাদের ধারণা, প্রাণীজগতের সৃষ্টি ও ইসলামের অবস্থান নিয়ে তুলনামূলক রেফারেন্সেটিভ আলোচনা]


    Copy from YouTube Chennal: ইসলামিক অডিওবুক

    YouTube Chennal link: https://m.youtube.com/channel/UCYd5_xGSA-9WEwh7vUbJQdA

  • #2
    খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট !!! আল্লাহ ভাইদের মেহেনতগুলোকে কবুল করুন।। কাজে বারাকাহ দান করুন। আমিন

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ! খুবই তথ্যবহুল উপস্থাপনা। উপকৃত হলাম। আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের ও আজরে হাসানাহ দান করুন।

      দাওয়াতের লক্ষ্যে কপি করে পিডিএফ বানিয়ে নিলাম। আপনার কোন আপত্তি নেই তো প্রিয় ভাই?
      نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

      Comment

      Working...
      X