Announcement

Collapse
No announcement yet.

ই’দাদে আসকারি এবং একটি ভুল ধারণা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ই’দাদে আসকারি এবং একটি ভুল ধারণা


    ই’দাদ ফরয। নামাযের জন্য অজু যেমন জিহাদের জন্য ই’দাদ তেমন। যখন জিহাদ ফরযে কিফায়া তখন ই’দাদও ফরযে কিফায়া। আর যখন জিহাদ ফরযে আইন তখন ই’দাদও ফরযে আইন। তবে এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে, যেটা না বুঝার কারণে কোনো কোনো ভাই সংশয়ে ভুগেন। এমনকি তানজিমের নাফরমানি পর্যন্ত করে বসেন।

    জিহাদ ও ই’দাদ একটি সামষ্টিক ইবাদাত। অর্থাৎ সকলে মিলে কাজগুলো আঞ্জাম দিতে হবে। এমন নয় যে, প্রত্যেককে সব কাজ করতে হবে বা সব কাজের যোগ্যতা হাসিল করতে হবে। আমাদের কাজের গণ্ডি অনেক বড়। বর্তমান জিহাদে অনেক শাখা প্রশাখা। সবগুলোতে একজন মানুষ কাজ করতে পারবে না। সবার মাঝে সব রকমের যোগ্যতা থাকেও না। এজন্য কাজ ভাগ করতে হয়। যেমন ধরুন আইটি, ইলমী, মিডিয়া ও আসকারি চারটি বিভাগ। একজনের পক্ষে সবগুলো কাজ করা সম্ভব নয়, সবার মাঝে সবগুলো কাজের যোগ্যতাও নেই। তাই ভাগ করতে হয়। কেউ ইলমী, কেউ আইটি, কেউ মিডিয়া আর কেউ আসকারি। প্রয়োজনীয় বিষয়ে একজন আরেকজন থেকে সহায়তা নেবে।

    আবার ধরুন আসকারি। এখানেও কিন্তু অনেক বিভাগ। অস্ত্র শস্ত্রও অনেক। সবগুলো বিভাগে সবাই কাজ করতে পারে না। সবাই সব ধরণের অস্ত্রে বিশেষজ্ঞতাও অর্জন করতে পারে না। এজন্য কাজ ভাগ করতে হয়। কেউ বারুদ বিশেষজ্ঞ, কেউ ট্যাংক বিশেষজ্ঞ, কেউ পাইলট … এভাবে। আবার সাধারণ সৈনিকদেরও সবাই সব অস্ত্র পারবে না। এজন্য গ্রুপ গ্রুপ করতে হয়।

    মোটকথা, কাজের শাখাও অনেক, একেক শাখায় আবার উপশাখাও অনেক। সবগুলো একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে কে কোনটা করবে? এখানে আমরা দু’টো বিষয় ধরতে পারি:

    এক. কোন কাজের কতটুকু হাজত।
    দুই. কার মাঝে কোন বিষয়ের যোগ্যতা আছে।

    স্বাভাবিক এ দু’টি দিক লক্ষ করে আমরা ভাগ করতে পারি। জিহাদের প্রাথমিক স্তরে ইলমী ও মিডিয়ার কাজের দরকার বেশি। তখন আলেম উলামা ও দাওয়াতি ভাইদের বেশি দরকার পড়ে। এর পরের স্তরে যখন ই’দাদ ও রিবাতের স্তর আসে বা কিতালের স্তর আসে তখন হয়তো আসকারি দরকার বেশি। আসলে লাগে সবগুলোই তবে কম বেশ আছে।

    আবার যখন শত্রু এমনভাবে হামলা করে বসেছে যে, সকলে বের না হলে আর প্রতিরোধ করা সম্ভব না, তখন আলেম উলামারা আপাতত ইলমী কাজ বন্ধ রেখে সরাসরি ময়দানে কিতালে শরীক হবেন। এভাবে প্রয়োজন অনুপাতে কাজ ভাগ হয়।

    কিন্তু অনেকে বিষয়টা এভাবে চিন্তা না করে তালগুল পাকিয়ে ফেলেন। মনে করেন ই’দাদে আসকারি সকলের উপর ফরযে আইন। তাই তানজিম থেকে অন্য কোনো কাজ দিলে তিনি খুশ দিলে করতে পারেন না। কিংবা উমারাদের নিষেধ অমান্য করে আসকারি শুরু করেন। এর পরিণতিতে অনেক সময় তানজীমের বিপুল ক্ষতিও হতে পারে।

    আসল কথা হল, আপনাকে যে কাজ দেয়া হয়েছে সেটা আপনার জন্য ফরয। বাকিগুলো সমষ্টিগতভাবে ফরয। অন্যরা করলে আপনার দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। আর আপনাকে যেটা দেয়া হয়েছে সেটা না করে যদি অন্যগুলো নিয়ে টানাটানি করেন তাহলে একেতো তানজিমের নাফরমানির কারণে গোনাহগার হবেন, দ্বিতীয়ত এ কারণে কোনো সমস্যা হলে এর দায়ভারও আপনার উপরই বর্তাবে। এজন্য ভাইদের প্রতি আবেদন, সহীহ করে বিষয়টা বুঝতে চেষ্টা করুন। ই’দাদ ফরযে আইন কথাটা মুতলাক। একটু ভেঙে বিস্তারিত বুঝুন। মুতলাক বিষয়টা ভুল বুঝে ভিন্নপথ ধরে নিজেও গুনাহগার হবেন না, তানজিমকেও মুসিবতে ফেলবেন না। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহীহ বুঝ ও সহীহ আমল দান করুন। আমীন।


  • #2
    সম্মানিত ভাই, মূল যুদ্ধ তো মারামারি। আর যুদ্ধের প্রস্তুতি বলতে কুরআনে শক্তি অর্জন ও ঘোড়ার পাল তৈরি করা বলা হয়েছে। হাদিসে শক্তি বলতে নিক্ষেপ করা বলা হয়েছে।

    এর দ্বারা বুঝা যায়, ওই আয়াতে ই’দাদ বলতে কাফেরদের সঙ্গে সরাসরি ফাইট করার যোগ্যতা অর্জন করা উদ্দেশ্য। সাহাবীগণ ঘোড় দৌড়, তীর প্রতিযোগীতা ও এজাতীয় বিষয়গুলোকে ই’দাদ বলে বুঝতেন। (দলিল তো চাইলে দেওয়া যাবে। কিন্তু এগুলো সোজা কথা, সকলেই মানবে। তাই দলিল দিলাম না।)

    এছাড়া আমাদের প্রত্যেকটা ভাই ই তো তাগুতদের পক্ষ থেকে রিস্কের মধ্যে থাকে। যেকোনো সময় তাগুতদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যে থাকে। সেক্ষেত্রে তার তো আত্মরক্ষার যোগ্যতাটুকু থাকা দরকার। এটা তো প্রত্যেকেরই দরকার। তো সেখানে যদি একটা পিস্তল ব্যবহার করতেও না জানে, তাহলে কিভাবে হবে?
    এছাড়া তাগুতদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে গেলে বের হয়ে আসার বিভিন্ন কৌশল শিখা তো প্রত্যেকেরই প্রয়োজন হয়। এগুলো যদি প্রত্যেকের ই’দাদের অন্তর্ভুক্ত না হয়, তাহলে আর কী থাকল??

    দলিল-আদিল্লার জিহাদ, প্রচারণার জিহাদ, মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া ও প্রস্তুত করার জিহাদ তো সর্বযুগে ছিল। রাসূলের যোগেও ছিল। কিন্তু তবুও তো আল্লাহ ঘোড়ার পাল তৈরি করা ও নিক্ষেপের যোগ্যতা অর্জন করার মাধ্যমে ই’দাদ তথা প্রস্তুতি নেওয়া ফরজ করলেন।

    ইমামগণ ইলম ও ফাতওয়ার মাধ্যমে জিহাদে অনেক অবদান রাখা সত্ত্বেও প্রত্যেকেই সরাসরি সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। তীরন্দাযী, ঘোড়দৌড় ও এজাতীয় কাজগুলোকেই তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে দেখেছেন।
    আমি বলতে চাচ্ছি, ন্যুনতম আত্মরক্ষামূলক সাময়িক প্রস্তুতি থাকা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই প্রয়োজন। এতে মনোবল ও সাহসও ভালো থাকে। এতে তাগুতরা আমাদেরকে সহজে ধরতে পারবে না আল্লাহ চাইলে। আমাদেরকে ধরতে আসতে ভয়ও পাবে।

    পরিস্থিতির কারণে অক্ষমতা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু এটাকেই নিয়ম বললে কেমনে হয়?

    Comment


    • #3
      আখি, আল্লাহ আপনাদের কাজ কবুল করুন আমীন। সুপ্রিয় আখি, বর্তমান সময়ে মুসলিমদের উপর কতটুকু ই'দাদ গ্রহণ করা ফরজ সে ব্যাপারে একটু বললে উপকৃত হবো। সাহাবায়ে কেরাম সবাই তো আসকারী ছিলো ইতিহাস বলে। আসকারী বিষয়টি খুবই দরকারী মনে হচ্ছে, কারণ যেকোনো মূহুর্তে আক্রমণ আসতে পারে। আসকারী বিষয়ে আরো আর্টিকেল দিলে ভালো হয়।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরেছেন।
        আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন এবং দ্বীনের খেদমতে কবুল করুন। আমীন


        হয় শরীয়াহ নয় শাহাদাহ

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ্ উপকারি পোষ্ট,
          আল্লাহ্ শায়েখের ইলমে বরকত দান করুন আমীন।

          Comment


          • #6
            আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন ৷
            যা বর্তমান সময়ে সবার জানা দরকার ছিল ৷
            আল্লাহ আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন ৷ আমিন
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment


            • #7
              প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কাউকে কষ্ট দেয়া উদ্দেশ্য নয়।
              আসলে দ্বীনের সৈনিক হওয়া, আর সাধারণ একজন মুসলিম হওয়া এক নয়। বর্তমান সময়ে কত মুসলিম আছে যারা শাহাদাতাইনও ঠিকমতো পড়তে পারে না, তাদের কথা বাদই দিলাম, কিন্তু যারা নিজেদেরকে এমন স্থরে দাড় করিয়েছেন জাতী তাদের কাছে কিছু চাই, কিন্তু দিতে পারে না। আচ্ছা আমাদের দ্বীন কি পূর্ণাঙ্গ নয়????৷ তাহলে আমাদের দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের সমস্যা কোথায়??? আর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যা যা লাগবে সবই করতে হবে। বর্তমান সময়ে দ্বীনের জন্য নিবেদিত প্রাণ লোকের বড়ই অভাব। আসলেই অভাব। আপনিই যদি এলাকা ভিত্তিক একটি সেবামূলক সংগঠন করতে চান তাহলে লোক পাবেন না, দুএকজন পেলেও তারা নিজেদের বিভিন্ন কাজের অজুহাত দেখাবে। তার মানে হচ্ছে আজকে দ্বীনের কাজ করাটা একটি অপশনাল বিষয় হয়ে গেছে নাউজুবিল্লাহ। অথচ এর জন্যই তাকে সৃষ্টি করা হয়েছিলো। জিহাদ এমন একটি আমল করতে গেলে অনেক লোকের প্রয়োজন পড়ে, অনেক কাজ আঞ্জাম দিতে হয়ে। আর প্রতিটি কাজের জন্য দক্ষ লোকের প্রয়োজন হয়। শারীরিক ইদাদ এটি প্রত্যেক মুজাহিদের জন্য প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত অপরিহার্য। কেউ ইলমী কাজের দায়িত্বে আছেন তাকে ত্বাগুত গ্রেফতার করতে চাইলে দুইটি কাজ অবশ্যই করতে হবে, হয়ত ফাইটিং করে ত্বাগুতকে পরাজিত করা, কিংবা দৌড়ে পালানো। এখন যদি এমন হয় উক্ত মুজাহিদ দৌড়ে পালানোর যোগ্যতাও নেই, শারীরিক প্রশিক্ষণকে কোন গুরুত্বই দেয়নি, তাহলে তার অবস্থা গিয়ে দাড়াবে?????? এই জন্য প্রথমিক একটি পর্যায় পর্যন্ত শারীরিক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য মনে হচ্ছে। আজকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ডায়েট করতে দেখা যায়,, কিন্তু এই লোকগুলো নিজেদের মুজাহিদ হিসেবে গড়ে তুলার কোন ফিকিরই করেনি। মাঝেমধ্যে আফসোস,, যাদের অনেক টাকা আছে, তারা কীভাবে আফগান না গিয়ে বসে থাকে!!!!
              والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ ভাইজান ,গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, যেটা জানা সকলের কর্তব্য। আরো বিস্তারিত আলোচনা করলে উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                  আখি, আল্লাহ আপনাদের কাজ কবুল করুন আমীন। সুপ্রিয় আখি, বর্তমান সময়ে মুসলিমদের উপর কতটুকু ই'দাদ গ্রহণ করা ফরজ সে ব্যাপারে একটু বললে উপকৃত হবো। সাহাবায়ে কেরাম সবাই তো আসকারী ছিলো ইতিহাস বলে। আসকারী বিষয়টি খুবই দরকারী মনে হচ্ছে, কারণ যেকোনো মূহুর্তে আক্রমণ আসতে পারে। আসকারী বিষয়ে আরো আর্টিকেল দিলে ভালো হয়।
                  জি ভাই!
                  এ বিষয়ে আর্টিকেল দিলে আমরা সকলেই উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা ভাইদেরকে তাওফিক দান করুন। কাজে বারাকাহ দান করুন। আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by ibnul khattab View Post
                    সম্মানিত ভাই, মূল যুদ্ধ তো মারামারি। আর যুদ্ধের প্রস্তুতি বলতে কুরআনে শক্তি অর্জন ও ঘোড়ার পাল তৈরি করা বলা হয়েছে। হাদিসে শক্তি বলতে নিক্ষেপ করা বলা হয়েছে।

                    এর দ্বারা বুঝা যায়, ওই আয়াতে ই’দাদ বলতে কাফেরদের সঙ্গে সরাসরি ফাইট করার যোগ্যতা অর্জন করা উদ্দেশ্য। সাহাবীগণ ঘোড় দৌড়, তীর প্রতিযোগীতা ও এজাতীয় বিষয়গুলোকে ই’দাদ বলে বুঝতেন। (দলিল তো চাইলে দেওয়া যাবে। কিন্তু এগুলো সোজা কথা, সকলেই মানবে। তাই দলিল দিলাম না।)

                    এছাড়া আমাদের প্রত্যেকটা ভাই ই তো তাগুতদের পক্ষ থেকে রিস্কের মধ্যে থাকে। যেকোনো সময় তাগুতদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যে থাকে। সেক্ষেত্রে তার তো আত্মরক্ষার যোগ্যতাটুকু থাকা দরকার। এটা তো প্রত্যেকেরই দরকার। তো সেখানে যদি একটা পিস্তল ব্যবহার করতেও না জানে, তাহলে কিভাবে হবে?
                    এছাড়া তাগুতদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে গেলে বের হয়ে আসার বিভিন্ন কৌশল শিখা তো প্রত্যেকেরই প্রয়োজন হয়। এগুলো যদি প্রত্যেকের ই’দাদের অন্তর্ভুক্ত না হয়, তাহলে আর কী থাকল??

                    দলিল-আদিল্লার জিহাদ, প্রচারণার জিহাদ, মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া ও প্রস্তুত করার জিহাদ তো সর্বযুগে ছিল। রাসূলের যোগেও ছিল। কিন্তু তবুও তো আল্লাহ ঘোড়ার পাল তৈরি করা ও নিক্ষেপের যোগ্যতা অর্জন করার মাধ্যমে ই’দাদ তথা প্রস্তুতি নেওয়া ফরজ করলেন।

                    ইমামগণ ইলম ও ফাতওয়ার মাধ্যমে জিহাদে অনেক অবদান রাখা সত্ত্বেও প্রত্যেকেই সরাসরি সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। তীরন্দাযী, ঘোড়দৌড় ও এজাতীয় কাজগুলোকেই তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে দেখেছেন।
                    আমি বলতে চাচ্ছি, ন্যুনতম আত্মরক্ষামূলক সাময়িক প্রস্তুতি থাকা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই প্রয়োজন। এতে মনোবল ও সাহসও ভালো থাকে। এতে তাগুতরা আমাদেরকে সহজে ধরতে পারবে না আল্লাহ চাইলে। আমাদেরকে ধরতে আসতে ভয়ও পাবে।

                    পরিস্থিতির কারণে অক্ষমতা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু এটাকেই নিয়ম বললে কেমনে হয়?
                    মুহতারাম ভাই, ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কথার ফোকাস ছিল 'তানজিম কতৃক ভাইদেরকে যে কাজ দেয়া হয় প্রত্যেকেই যেনো সেই কাজে লেগে থাকেন। এবং সেই কাজ ছেড়ে অন্য কাজ করতে গিয়ে তানজিম কতৃক দেয়া কাজে যেনো কোন রুপ বিগ্নতা না ঘটান'। এখানে কোনও ভাবে এটা বলা হয়নি যে তানজিম কতৃক দেয়া কাজ করতে গিয়ে আমরা একেবারেই ইদাদ নিবনা-অথচ ইদাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। বরং আপনি আপনার কাজতো করবেনই সাথে সাথে ইদাদও নিবেন
                    আমরা গড়তে চাই, ধ্বংস নয়; আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই, বিভক্তি নয়; আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, পিছনে নয়! শাইখুনা আবু মোহাম্মাদ আইমান হাফিঃ

                    Comment


                    • #11
                      আল্লাহ তা'আলা সকলকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন,,
                      আমিন
                      মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

                      Comment


                      • #12
                        Jihad er jonno idad joruri

                        Comment


                        • #13
                          # স্বাভাবিক বডি ফিট রাখতে যতটুকু কসরত দরকার এতটুকুতে তানজীম বাধা দেয় বলে জানি না, বরং উৎসাহ দেয়। আমি বলতে চাচ্ছি আরেকটু আগে বেড়ে। অস্ত্রপাতি চালনা ইত্যাদি। যারা আস্কারিতে থাকেন তারা তো এগুলোর ই’দাদ নেবেন। এটাই তাদের কাজ। আমনিয়া বজায় রেখে কিভাবে কাজ চালানো যায় এটা উনারা ভাল বুঝেন। আমি বলতে চাচ্ছি অন্য বিভাগের ভাইদের কথা। আমনিয়ার স্বার্থে উমারাগণ তাদের যাদেরকে আসকারি বিভাগের ই’দাদগুলো থেকে বারণ করেন তারা যেন আনুগত্য করে এ থেকে বিরত থাকেন। যেন এমন মনে না করেন যে, আস্কারি থেকে বারণ করে তানজিম শরীয়ত পরিপন্থী হুকুম দিচ্ছে তাই তা মানতে হবে না। তদ্রূপ আসকারি বিভাগের কোনো ভাইকে যদি বিশেষ কোনো ই’দাদ থেকে তানজিম বারণ করে তিনিও যেন ঐ বিশেষ ই’দাদটি থেকে বিরত থাকেন। আমাদের সবগুলো কাজ করতে হবে পরিকল্পনামাফিক এবং আমনিয়া বজায় রেখে। এজন্য কোনো কাজ আগে করতে হয় কোনোটা পরে। কারও জন্য বিশেষ কোনো কাজে অনুমতি থাকে, কারও জন্য থাকে না। এসব কিছু উজরের কারণে। আজ যদি আমাদের দেশ আফগান হতো, গোটা দেশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকতো তাহলে এ বিধি নিষেধের প্রয়োজন পড়তো না। উজরের কারণে এ বিধি নিষেধ। উজরের কারণে তো আমরা কত কিছুই করতে পারছি না। এ বিষয়গুলোও এভাবেই ভাবতে হবে। উদ্দেশ্য, ভাইয়েরা যেন তানজিমের আদেশ নিষেধ মেনে চলেন। কোনো বিষয়ে খটকা লাগলে তো অবশ্যই জানাবেন, কিন্তু নাফরমানি যেন না করেন। নাফরমানির কারণে দাওলার কি পরিণতি তা তো আমরা স্বচক্ষেই দেখতে পাচ্ছি।

                          Comment


                          • #14
                            -----------------------------


                            নোট; আমি কাউকে আঘাত করার জন্য লিখিনি জানার জন্য লিখেছি আর কতক ভাইয়ের বেপরোয়া কথা বার্তার কারনে লিখেছি , আল্লা তায়ালা আমাদের মাফ করে দিন ।

                            Comment


                            • #15
                              আসসালামু আলাইকুম,, শাইখ( ইলম ও জিহাদ) আপনাকে কষ্ট দেওয়া মোটেও উদ্দেশ্য ছিলো না। আর তানজিমের অনুসরণ সেইদিন থেকেই করছি যেদিন থেকে তানজিমে যুক্ত হয়েছি। শাইখ বিষয়টি ক্লিয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সুপ্রিয় শাইখ, আশাকরি আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিবেন।
                              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                              Comment

                              Working...
                              X