Announcement

Collapse
No announcement yet.

রিজিক বৃদ্ধিকারী ও দরিদ্রতা দূরকারী কিছু জিনিস ।। আবু বাসীর তারতুসী

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রিজিক বৃদ্ধিকারী ও দরিদ্রতা দূরকারী কিছু জিনিস ।। আবু বাসীর তারতুসী

    রিজিক বৃদ্ধিকারী ও দরিদ্রতা দূরকারী কিছু জিনিস

    আবু বাসীর তারতুসী

    ১/ সদকাহ

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

    مَّن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً ۚ وَاللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ [٢:٢٤٥]
    এমন কে আছে যে, আল্লাহকে করজ দেবে, উত্তম করজ; অতঃপর আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন। আল্লাহই সংকোচিত করেন এবং তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং তাঁরই নিকট তোমরা সবাই ফিরে যাবে।

    وقال رسولُ الله صلى الله عليه وسلم:” ما نقص مالُ عبدٍ من صدقةٍ “.
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার মাল সদকার মাধ্যমে কমে না।

    وقال صلى الله عليه وسلم: ” ما مِن يومٍ يُصبِحُ العبادُ فيه، إلا مَلَكَان ينزلان، فيقول أحدُهما: اللهمَّ أَعطِ مُنْفِقاً خلَفاً، ويقول الآخر: اللهمَّ أعطِ مُمسِكاً تَلَفاً “متفق عليه.
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম বলেছেনঃ বান্দা কোন প্রভাতে উপনিত হয় না তবে দুই জন ফেরেশ্তা অবতরন করেন। একজন বলতে থাকেনঃ হে আল্লাহ! আপনি দানকারীকে উত্তম প্রতিদান দিন। অপর জন বলেনঃ হে আল্লাহ! আপনি সম্পদ জমা কারীকে নিঃশেষ করে দিন।

    وقال صلى الله عليه وسلم:” قالَ اللهُ تعالى: أنفِقْ يا ابنَ آدمَ أُنفِق عليك ” متفق عليه.
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ব্যয় কর হে আদম সন্তান, আমি তোমাকে দান করব।

    ২/ শোকর
    নিয়ামত ও ভাল জিনিসের শোকরিয়া আদায় করা।
    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

    وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ ۖ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ [١٤:٧]
    যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।


    ৩/ তাওয়াক্কুল বা আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা
    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
    যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট।


    وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم:” لو أنكم تتوكَّلون على اللهِ حقَّ تَوَكُّلِه لرزقَكم كما يرزقُ الطيرَ ، تَغْدو خِماصًا، و تروحُ بِطانًا “.
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালার উপর সত্যিকারের ভরসা করতে তাহলে অবশই তোমাদেরকেও তেমন ভাবে রিজিক দেয়া হত যেমন পখিকে দেয়া হয়। খলি পেটে সকালে বের হয় ও ভরা পেটে ফিরে আসে।

    ৪/ আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা


    قال رسولُ الله صلى الله عليه وسلم:” من سَرَّهُ أن يُعظِمَ اللهُ رزقَه، وأن يمدَّ في أجلِه، فليصِل رحمه ” متفق عليه.
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা রিজিক বাড়িয়ে দেয়া ও হায়াত লম্বা করার উপর যদি কেহ খুশি হতে চায় তাহলে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।


    وقال صلى الله عليه وسلم:” مَن سرَّهُ أن يُمَدَّ له في عُمرِه، ويُزادُ في رزقه؛ فليُبرَّ والديه، وليصِلْ رحمَه “.
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যাকে খুশি করবে যে, তার হায়াতের মধ্যে বাড়িয়ে দেয়া হবে তার রিজিক বৃদ্ধি করা হবে তাহলে সে যে তার পিতা মাতার সাথে ভাল আচরণ করে ও আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।

    ৫/ ইস্তগফার


    قال الله تعالى:[ فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّاراً . يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَاراً . وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَاراً ]نوح:10-12.
    অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।



    ৬/ হাজ্জ ও উমরা

    قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:” تابِعوا بينَ الحجِّ والعمرةِ، فإنَّهما ينفِيانِ الفقرَ والذُّنوبَ، كما ينفي الْكيرُ خبثَ الحديدِ والذَّهبِ والفضَّةِ “.
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম বলেছেনঃ হাজ্জ ও উমরার মধ্যে তোমরা সমন্নয় কর কেননা এ দুইটি দরিদ্রতা ও গোনাহকে এমন ভাবে মোচন করে যেমন হাপর লোহা, সোনা ও রূপাকে খাদ মুক্ত করে।

    ৭/ ঘরে প্রবেশের সময় পরিবারের উপর সালাম দেয়া

    قال رسولُ الله صلى الله عليه وسلم:” ثلاثةٌ كلُّهم ضامنٌ علَى اللَّهِ إن عاشَ رُزِقَ وَكُفيَ، وإن ماتَ أدخلَهُ اللَّهُ الجنَّةَ: مَن دخلَ بيتَهُ فسلَّمَ فَهوَ ضامنٌ على اللَّهِ، ومَن خرجَ إلى المسجِدِ فَهوَ ضامنٌ علَى اللَّهِ، ومَن خرجَ في سبيلِ اللَّهِ فَهوَ ضامنٌ على اللَّهِ “.
    তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা জামিন, বেচে থাকলে রিজিক দেয়া হবে ও পর্যাপ্ত দেয়া হবে। আর মৃত্যু বরন করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যে বাড়িতে প্রবেশ করে ছালাম দিল তার জিম্মা আল্লাহ তায়ালার উপর, যে মাসযিদের দিকে বের হয় তার জিম্মা আল্লাহ তায়ালার উপর, যে আল্লাহ তায়ার রাস্তায় বের হয় তার জিম্মাও আল্লাহ তায়ালার উপর।

    ৮/ তাকওয়া
    قال الله تعالى:[ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجاً . وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ]الطلاق:2-3.
    আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন।


    وقال تعالى:[ يِا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إَن تَتَّقُواْ اللّهَ يَجْعَل لَّكُمْ فُرْقَاناً ]الأنفال:29.
    হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন।

    ৯/ দুরুদ পাঠ করা


    قال صلى الله عليه وسلم لمن جعل صلاته كلها عليه، قال:” إذاً تُكفَى همُّكَ، ويُغفَر لك ذنبُكَ “.
    যে আল্লাহর নবীর উপর পূরন দুরুদ পাঠ করবে তার জন্য বলেনঃ তখন তোমার সমস্ত পেরেশানী দূর করে দেয়া হবে ও গোনাহ ক্ষমা কর দেয়া হবে।


    وفي رواية:” إذاً يَكفيكَ اللهُ تبارك وتعالى ما أهمَّك من دنياكَ وآخرتك “.
    আরেক রেওয়াতে এসেছেঃ তখন আল্লাহ তায়ালা তোমার দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত পেরেশানী মিটিয়ে দিবেন।



  • #2
    Jazak'Allah vai, majhe moddhe eishob reminder khubi gurotto purno. Allah swt apnar kaj kobul korun, ameen.

    Comment


    • #3
      jazakallah..mashaallah

      Comment


      • #4
        jajakallah, masa allah

        Comment

        Working...
        X