Announcement

Collapse
No announcement yet.

আকীদা নিয়ে বিতর্ক ।। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবদার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আকীদা নিয়ে বিতর্ক ।। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবদার

    আকীদা নিয়ে বিতর্ক - কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবদার

    যুদ্ধকৌশলের একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে; যখন কোন বাহিনীর মূল ঘাটিতে আক্রমণের শিকার হয় তখন তারা সবচেয়ে খারাপ সময় পার করে।

    কারণ মূল ঘাটি হচ্ছে পূরা বাহিনীর শক্তির কেন্দ্র, এটা ধ্বংস হয়ে গেলে বাহিনীর অন্যান্য শক্তির আর কোন মূল্য থাকে না। তাই যুদ্ধে একপক্ষ সর্বদা যত দ্রুত সম্ভব অপর পক্ষের মূলকেন্দ্র ধ্বংস করে ফেলার চেষ্টা করে। ইহা থেকে বাচার জন্য সকল বাহিনীই বিভিন্ন প্রক্সি ওয়ার বা পার্শ্বীয় যুদ্ধ চালু করে রাখে, ছোট ছোট দল বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে বিরোধীদেরকে ব্যস্ত রাখে, যাতে তাদের মূল কেন্দ্র নিরাপদ থাকে ও শত্রুর শক্তি আস্তে আস্তে নিঃশেষ হয়ে যায়।

    আমেরিকার দিকে লক্ষ্য করলেই তা বুঝা যাবে, তাদের দেশের অভ্যন্তরে একটি আক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে শত আক্রমণের চেয়েও বেশী প্রভাবশীল। কারণ নিজ দেশের আক্রান্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়া।

    এই নীতিটা শুধু যুদ্ধ ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য স্থানেও প্রয়োগ যোগ্য। তানজীমের আকীদা-মানহাজ ও উমারাগণ হচ্ছেন আমাদের দাওয়াহ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে শক্তির মূলকেন্দ্র। তাই এদেরকে সকল ইখতিলাফ ও বিতর্ক থেকে মুক্ত রাখা হয়। কারণ, তানজীম দাওয়াহ বা যুদ্ধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকে তখনই যখন তাদের উমারাগণ বা আকীদা-মানহাজের উপর আক্রমণ আসে।

    আল্লাহ তায়ালার সিফাতের মাসায়ালা নিয়ে অনলাইনে প্রায় সময় ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তা হতেই পারে। কারা করছে বা কেন করছে তা লক্ষণীয় নয়। আগেও হয়েছে, সামনেও হবে; কেহই এগুলো বন্ধ করতে পারবে না। তবে এই ক্ষেত্রে দুঃখজনক ভাবে কেহ কেহ নিজেদের পক্ষে বিতর্কে উমারাগণকে ব্যবহার করছেন। একপক্ষ তানজীমের উমারাদের উদাহরণ দিচ্ছেন তো আরেক পক্ষ তালেবান উমারাগণের উদাহরণ দিচ্ছেন। কিন্তু এই কাজগুলো কখনোই ভাল ফল বয়ে আনে না।

    কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্ত ইখতিলাফ মাসলাক প্রীতি জাগিয়ে তুলে, যা এক দলের প্রতি অপর দলের বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। প্রত্যেকটা বিতর্কেই এমন দুইটা ভাগ হয়ে যায়, এখন উমারাগণের আকিদা ও সম্মানকে নিজেদের বিতর্কে ব্যবহারের ফলে মানুষকে আসলে তাদের প্রতি বিরোধী করে তুলা হবে। এক পক্ষ অপর পক্ষের উমারাগণের প্রতি ভুল ধারণা রাখা শুধু করবে, যা গ্লোবাল জিহাদের ক্ষেত্রে চরম ক্ষতিকর।

    অন্যদিকে উমারাগণের উপর আঘাত আসার অর্থ হচ্ছে বিতর্কের অংশগ্রহণকারীগণ দলীল দিয়ে নিজেদের মতকে টিকাতে পারছেন না ফলে উনাদেরকে ব্যবহার করছেন। আর একবার যখন মানুষ উমারাগণকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবে তখন পরবর্তীতে যে কেহই যেই কোন ইস্যুতে তাদের উপর কথা বলতে শুরু করবে, যা হবে দাওয়াহ ক্ষেত্রে অনেক খারাপ মুহূর্ত।

    সর্বশেষ উমারাগণের আলোচনা থেকে যতটুকু বুঝা যায়, উনারা যদি এই সমস্ত ঘটনা শুনতেন কখনোই কি এগুলোর অনুমতি দিতেন? উনারা কি এগুলোতে সন্তুষ্ট হতেন? কখনোই না। কোন দাওয়াতের ভূমিতে এই ধরণের সমস্যা শুরু হওয়া ভাল কিছু ইংগিত বহন করে না।

    তাই আমাদেরকে অনেক বেশী সতর্ক হতে হবে। যেকোনো মূল্যে হোক, আলোচনার মোড় তানজীম বা তালেবান উমারাগণের থেকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে এখান থেকে ইতিবাচকের তুলনায় নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা অনেক বেশী। আল্লাহু আ’লাম।
    আল্লাহ তায়ালা এই ভূমিতে জিহাদের দাওয়াহকে কবুল করে নিন, আমীন।
    লিখার মধ্যে যা ভুল তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে
    আর যদি সঠিক হয় তাহলে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত

  • #2
    মাশা'আল্লাহ! খুব সুন্দর করে লিখেছেন ভাই। মডারেটর ও সিনিউর ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
    জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
    বিইযনিল্লাহ!

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ আঁখি, গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন।

      Comment


      • #4
        তবে এই ক্ষেত্রে দুঃখজনক ভাবে কেহ কেহ নিজেদের পক্ষে বিতর্কে উমারাগণকে ব্যবহার করছেন। একপক্ষ তানজীমের উমারাদের উদাহরণ দিচ্ছেন তো আরেক পক্ষ তালেবান উমারাগণের উদাহরণ দিচ্ছেন। কিন্তু এই কাজগুলো কখনোই ভাল ফল বয়ে আনে না।
        জাযাকাল্লাহ আখি, একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
        الجهاد محك الإيمان

        জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

        Comment


        • #5
          জাঝাকাল্লাহ আখি, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে অপেক্ষাকৃত এসব গৌণ বিষয় নিয়ে আলোচনা সত্যিই দুঃখজনক। আকীদার যে সব বিষয়ে আমাদের মহান সালাফগণ একমত ছিলেন, সে সব বিষয়ে ইমান এনে এবং আকীদায় সালাফদের মতানৈক্যপূর্ণ মাসয়ালায় কোন একজন হক্ব পন্থী সালাফের অনুসরন করে আমাদের উচিত গ্লোবাল জিহাদের কাজ সামনে এগিয়ে নেয়া। এক্ষেত্রে কিছু ভাই উমারা গণের নির্দেশ না বুঝে চাচ্ছেন সবাইকে এক প্লাটফরমে নিয়ে এসে কাজ করতে; যেটা আদৌ মনে হয় সম্ভব না! এ ইখতেলাফ থাকবেই সালফদের যুগেই যার সমাধান হয়নি তার সমাধান কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বশূন্য উম্মাহর এই ক্লান্তি লগ্ন অবস্থায় হবে !! اللهم ثبت اقدامنا علي الصراط المستقيم
          আমরা গড়তে চাই, ধ্বংস নয়; আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই, বিভক্তি নয়; আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, পিছনে নয়! শাইখুনা আবু মোহাম্মাদ আইমান হাফিঃ

          Comment


          • #6
            জাঝাকাল্লাহ ভাই! অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ৷ আমাদের জন্য কোন এখতেলাফেই উমারাগণকে দলিল হিসেবে পেশ করা উচিত নয় ৷ যেখানে কোরআন ও হাদিস এবং সাহাবা বা আইম্মায়ে কেরামগণের বিশ্লেষণ আমাদের সামনে থাকবে সেখানে আমরা সেগুলোকেই দলিল হিসেবে পেশ করব এবং গ্রহণ করব ৷
            আমার মনে হয়, হয়ত কেউ উমারাগণকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে ৷ যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে আমার মতে ভাইদের উচিত বিপরিত পক্ষ যখন উমারাদের দিয়ে দলিল দিবে তখন তা প্রত্যাখ্যান করে সাহাবা বা আইম্মায়ে মুজতাহিদীন থেকে দলিল তলব করা ৷ এবং কোন ভাবেই উমারাদের দলিল হিসেবে গ্রহণ না করা ৷ এবং নিজেও সাহাবা ও মুজতাহিদীনের দিয়ে দলিল দেয়া, কখনো উমারাদেরকে দলিল হিসেবে পেশ না করা ৷ তাহলে আশা করি তাদের চেষ্টা সফল হতে পারবে না ৷ আল্লাহু আ'লাম ৷
            আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ৷ উমারাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা থেকে রক্ষা করুন, আমীন ৷
            আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
            আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

            Comment

            Working...
            X