Announcement

Collapse
No announcement yet.

যুগের ফিতনা থেকে হিফাজত হওয়ার কিছু আমল

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যুগের ফিতনা থেকে হিফাজত হওয়ার কিছু আমল


    *যুগের ফেতনা থেকে বাঁচার তিনটি আমল*

    عن حذيفة رضي الله عنه* قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ما صنعت فتنة منذ كانت الدنيا صغيرة ولا كبيرة إلا لفتنة الدجال .
    رواه أحمد رقم : ٢٣٣٥٢ وقال شعيب الارنؤوط : اسناده صحيح على شرط الشيخين .

    হযরত হুযাইফা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দুনিয়াতে ছোট-বড় যত ফেতনা প্রকাশ পাচ্ছে তা সবই দাজ্জালের ফেতনার কারণে হচ্ছে।
    - মুসনাদে আহমদ, হাদিস-23352
    শাইখ শুয়াইব আরনাউত বলেছেন, হাদিসটির সনদ বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।

    *وعن حذيفة رضى الله عنه* قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم :*إنها ليست من فتنة صغيرة ولا كبيرة إلا تضع لفتنة الدجال فمن نجا من فتنة ما قبلها نجا منها*. *رواه ابن حبان ، رقم : ٦٨٠٧ قال شعيب الأرنؤوط : إسناده صحيح* .

    হযরত হুযাইফা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, (দুনিয়াতে) ছোট-বড় যত ফেতনা প্রকাশ পাচ্ছে* সবই দাজ্জালের ফেতনার কারণে হচ্ছে।
    যে ব্যক্তি দাজ্জাল প্রকাশ পাওয়ার পূর্বের ফেতনা থেকে বাঁচতে পারবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও বাঁচতে পারবে।*
    - সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস- 6807
    শাইখ শুয়াইব আরনাউত বলেছেন, হাদিসটির সনদ সহী।

    01 - একটি দোয়া

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শেষে সালাম ফিরানোর পূর্বে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তেন,
    اللَّهُــمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّال .

    *- হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং দাজ্জালের ফেতনা থেকে আশ্রয় কামনা করছি।
    *- সহী বুখারী, হাদিস-1377

    02 - সূরা কাহাফের বিশ আয়াত

    *عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏: مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ ‏. وفي رواية من آخر سورة الكهف . رواه مسلم : ١٧٦٨
    হযরত আবু দারদা রাযিঃ. হতে বর্ণিত,
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত, অন্য বর্ণনা অনুযায়ী শেষ দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।
    - সহি মুসলিম, হাদিস: ১৭৬৮

    ইমাম নাসায়ী রহ. বর্ণনা করেছেন, ... من قرأ - যে ব্যক্তি এ আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে ...
    - আমালুল ইয়াওম - 948

    *সূরা কাহাফের প্রথম কিংবা শেষ দশ আয়াতের মধ্যে এমন একটি 'কুদরতি প্রভাব' রয়েছে, যার ফলে যে ব্যক্তি এ আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে দাজ্জাল তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। দাজ্জালের ফিতনা প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে এই আয়াতগুলো তেলাওয়াত করলেও (ইনশাআল্লাহ) নিজের মন-মগজ, ঈমান-আমল যুগের বিভিন্ন ফেতনার কুপ্রভাব থেকে যথাসম্ভব নিরাপদ থাকবে। (তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত, সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত ও শেষ দশ আয়াত দৈনিক কমপক্ষে একবার তেলাওয়াত করা)
    - মুফতি আবূ লুবাবা শাহ মানসূর হাফি.

    03 - জুমআর দিন সূরা কাহাফ

    হযরত আলী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

    من قرأ سورة الكهف يوم الجمعة فهو معصوم الى ثمانية أيام من كل فتنة وان خرج الدجال عصم منه .

    - যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে সে পরবর্তী আট দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। এমনকি এ সময় যদি দাজ্জালও প্রকাশ পায় তাহলে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।
    - আল মাতজারুর রাবেহ, 119 ; তাফসীরে ইবনে কাসীর 3/75


  • #2
    মাশাআল্লাহ ৷ জাঝাকাল্লাহু আহসানাল জাঝা ৷
    খুবই উত্তম পোস্ট ৷ আমল তিনটি আমাদের সবার করা উচিত ৷
    আল্লাহ আমাদের আমল করার তাউফিক দান করুক, আমীন ৷
    আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
    আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

    Comment

    Working...
    X