Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি ফাঁসি ও গায়েবী প্রতিবাদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি ফাঁসি ও গায়েবী প্রতিবাদ

    (এই লেখাটির মুল বক্তব্যটি একটি অনলাইন পোর্টাল থেকে নেয়া)

    ২০১৭ সালে মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার দুই সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। প্রথম দুই জনের ফাঁসি হয়েছিলো কাশিমপুর হাই-সিকউরিটি কারাগারে আর শেষোক্তজনের শাহাদাত নসীব হয়েছিলো সিলেট কারাগারে। আল্লাহ তাদের সকলকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন, আমীন।

    আজ আমি বলতে যাচ্ছি সিলেট জেলে ঐ ফাঁসির দিনের একটি গায়েবী ঘটনা।

    দীর্ঘদিন যাবত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা সিলেট কারাগারে ছিলো। তাই স্বভাবতই তাদের উত্তম আখলাকের কারণে সকলের কাছে অত্যন্ত সম্মান ও ভালবাসার পাত্র ছিলেন তারা। বিশেষ করে দেলোয়ার হোসেন রিপন ঐ জেলে স্থায়ীভাবে অনেক বছর থাকায় তার সাথে সকলের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তিনি তার সাধ্যমতো কয়েদিদের খোঁজখবর নিতেন, তাদের প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা করতেন। এজন্য ফাঁসির আগে সকলেই মৃত্যুপথযাত্রীদের জন্য খুবই মর্মাহত ছিলেন।

    ফাঁসির দিন সাধারণত যার ফাঁসি হতে যাচ্ছে তার সমান ওজনের বস্তা দিয়ে সবকিছু চেক করে দেখা হয়, সব ঠিক আছে কিনা। ঐদিনও তাই করা হয়। দেলোয়ার হোসেন রিপন তার পরিবারের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করে সামান্য খাবার খায় এবং ফাঁসির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সে এই সময়ে নামাজ পড়ে ও রব্বে কারীমের দরবারে দোয়া সেরে নেয়।

    কিছুক্ষণ পর তাকে ডাকা হয় ফাঁসির জন্য। সে স্বাভাবিকভাবেই ফাঁসির মঞ্চে হেটে যায় এবং দোয়া করতে থাকে। তাকে যখন ফাঁসিতে ঝুলানো হবে তখন হঠাত জেলের একটি বড় গাছের এক ডাল ভেঙে পড়ে, অথচ তখন কোনো বাতাস ছিলো না।

    মহান রব্ব যেনো এর মাধ্যমে বুঝালেন, ডাল ভাঙার মতো আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণকারীদের আল্লাহ পাকড়াও করতে পারেন কিন্তু তিনি তাদের সুযোগ দেন আর তার প্রিয় বান্দাদের তার দীদারে ধন্য করেন। এই ডাল যেনো প্রতিবাদ করে এটিই বুঝাচ্ছিলো- ওহে আল্লাহর দ্বীনের দুশমনেরা তোমরা আজ আল্লাহর কিছু বান্দাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সফলকাম মনে করছো, আর মনো করেছো আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন না। অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের সংখ্যা গুনে রেখেছেন আর তিনি তোমাদের প্রতিটি পাপের ফল ভোগ করাবেন। নিশ্চয়ই জাহান্নামের আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ!

    যাইহোক, তাগুতের দোসরদের নির্দেশে দেলোয়ার হোসেন রিপন গলায় ফাঁসির রশি দেয়া হয় এবং তিনি কালেমা পড়তে পড়তে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। (আল্লাহু আঁকবার)
    "জিহাদের এই ঝান্ডা আমরা চিরদিন উঁচু রাখবো"

  • #2
    আল্লাহু আকবার! আল্লাহ আমাদেরকেও তাদের পথ ধরে শাহাদাত ও জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন!!

    Comment

    Working...
    X