Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লাহর পরীক্ষায় সত্যবাদী কারা? # হুজাইফা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লাহর পরীক্ষায় সত্যবাদী কারা? # হুজাইফা

    Download Links

    https://archive.org/details/allahor-...e/n10/mode/1up
    https://www.mediafire.com/file/6383g..._kara.pdf/file

    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
    সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশিকার ব্যবস্থা করেছেন। স্বলাত ও সালাম বর্ষিত হোক এই উম্মতের শিক্ষক, আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। ইসলামের প্রথম *যুগ থেকে এখন পর্যন্ত যত ঈমানদার ভাই ও বোন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার রাস্তায় জিহাদ করেছেন, যারা এক আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে রেখেছেন, যারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু ব্যয় করতে রাজি এমন কি নিজের জীবন দিতেও দ্বিধা করেনা, যারা আল কুরআন ও সহীহ সুন্নার হিদায়াতকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন ও আছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদেরকে ক্ষমা করে তদের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে দিন, আর আমাদেরকেও তার সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন; আমীন।
    আল্লাহর পরীক্ষায় সত্যবাদী কারা?

    জাগতিক কোন বিষয়ে যা দেখলাম, যা শুনলাম, যা ঘটল এটাকে সত্য ও সঠিকভাবে উপস্থাপন করলেই কি সত্যবাদী হওয়া যায় ? আজকাল এরকম বৈশিষ্টের অধিকারী ব্যক্তি সে হোক না যেকোন ধর্মের অনুসারী তাকেই সাধরণত সত্যবাদী বলে ধরে নেয়া হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি সে মহাজগতের সৃষ্টি কর্তা এক আল্লাহকে অস্বীকারকারী হয় তবুও কি সে সত্যবাদী ? অথবা সে আল্লাহকে স্বীকার করে কিন্তু আল্লাহর কিতাবকে অস্বীকার করে তখন? অথবা সে আল্লাহর কিতাবের কিছু অংশকে স্বীকার করে কিন্তু জিহাদ/ক্বীতলের ব্যাপারে টাল বাহানা করে তবুও কি সে সত্যবাদী?
    আজকে পীর-মাজার আক্বিদা ওয়ালারাও নিজেদেরকে সত্যবাদী বলে দাবী করে, সত্যবাদীতার অপব্যাখ্যা করে তারা মানুষকে ধোকা দেয়। বিভিন্নজন বিভিন্ন মানদন্ডে সত্যবাদীতাকে ব্যাখ্যা করছে অথচ ঈমানদার মাত্রই বিষয়টির ফায়সালা নেয়া উচিত আল্লাহর কিতাব ও তার রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ থেকে।
    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ ۖ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ [٥:٤٩]
    অর্থ- আর আমি নির্দেশ দিচ্ছি যে, তুমি তাদের মাঝে ফায়সালা করবে আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া বিধান আনুযায়ী, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না এবং সতর্ক থাকবে তারা যেন তোমার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নাযিল হয়েছে তার একটা অংশের ব্যাপারেও তোমাকেই ফেতনার মধ্যে ফেলতে না পারে। এরপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে জেনে রেখ নিশ্চয়ই আল্লাহ চান যে, তাদের কিছু কিছু পাপের করণে তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করবেন, এবং অবশ্যই অধিকাংশ মানুষ ফাসেক (মুনাফিক)। (মায়েদা ৫:৪৯)
    সুতরাং ফায়সালা হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া বিধান আনুযায়ী। কে কাকে কি দৃষ্টিভঙ্গিতে সত্যবাদী বলছে এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে আসুন ‘আল্লাহর পরীক্ষায় সত্যবাদী কারা?‘ এর সমাধান জেনে নেই আল্লাহর বিধান থেকেই........

    ঈমান আনলে অবশ্যই পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবেঃ
    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُتْرَكُوا أَنْ يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ [٢٩:٢]
    অর্থঃ মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি, একথা বললেই তাদেরকে পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেয়া হবে? (সূরা আনকাবুত ২৯:২)

    উপরোক্ত আয়াত থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, ঈমান আনয়নের ঘোষণা দিলেই পরীক্ষা হবে নিশ্চিত। আর এ পরীক্ষা শুধু আমাদের উপর নয় আমাদের পূর্ববর্তীদের উপরেও এসেছিল-


    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পরীক্ষা করে কি প্রকাশ করবেন এবং কতক্ষন পর্যন্ত পরীক্ষা করবেনঃ
    পরীক্ষা হবে স্পষ্ট তবে পরীক্ষা করার মাধ্যমে মহাজ্ঞানী আল্লাহ কি প্রকাশ করতে চাচ্ছেন? এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ আলকুরআনে বলেন,

    وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ ۖ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ [٢٩:٣]
    অর্থঃ আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম; আর আল্লাহ অবশ্যই জেনে নিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী। (সূরা আনকাবুত ২৯:৩)

    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন,
    أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ [٣:١٤٢]
    অর্থঃ তোমরা কি ধারণা করছো যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ অবগত হবেন না তোমাদের মধ্য হতে কারা জিহাদকারী এবং তিনি অবগত হবেন না তোমাদের মধ্য হতে কারা ধৈর্যশীল? (সূরা আলে ইমরান ৩:১৪২)

    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন,

    أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تُتْرَكُوا وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَا رَسُولِهِ وَلَا الْمُؤْمِنِينَ وَلِيجَةً ۚ وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ [٩:١٦]
    অর্থ: তোমরা কি ধারণা করেছো যে, তোমাদেরকে এভাবেই ছেড়ে দেয়া হবে? অথচ আল্লাহ প্রকাশ করবেননা তোমাদের মধ্যথেকে কারা জিহাদকারী এবং তোমাদের মধ্যথেকে কারা আল্লাহ, আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ঈমানদারদেকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে, আর আল্লাহ তোমাদের সমস্ত কর্মের পূর্ণ খবর রাখেন। (সূরা তাওবা ৯:১৬)
    উপরোক্ত আয়াতসমূহ থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পরীক্ষা করে প্রকাশ করে দিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী। আর ঈমান আনয়নের পর পরীক্ষা ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা, মহাবিচারক আল্লাহর কাছে মিথ্যুকের মিথ্যাচারীতা টিকেনা তিনি প্রকাশ করে দিবেন কে জিহাদকারী, ধৈর্যশীল এবং কার অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব আল্লাহ, আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ঈমানদারদের সাথে এবং জিহাদ, ধৈর্য ও বন্ধুত্ব যাচাইয়ের মাধ্যমে তিনি সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদীদেরকে আলাদা করবেন।

    রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
    من جمع المشرك وسكن معه فانه مثله
    অর্থঃ যে ব্যাক্তি মুশরিকদের সাথে জোট বাধে তাদের সাথেই বসবাস করে সে তাদেরই মত। (সহীহ আবু দউদ:২৭৮৭)
    মানুষকে তার বন্ধুদের অবস্থা জানার মাধ্যমে সহজে শনাক্ত করা যায় সে আসলে কেমন? যদি কারও অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব থাকে ঈমানদারদেরকে বাদ দিয়ে কাফির, মুশরিকদের সাথে তাহলে তার উপর আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদিস প্রযোজ্য হবে। আর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বিষয়ের মহাজ্ঞানী আল্লাহ তো বলে দিয়েছেন তিনি তোমাদের সকল বিষয়ের খবর রাখেন। সুতরাং কেউ কাফির, মুশরিকদের সাথে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব রেখে মুখে ঈমানের দাবী করলেও সে মিথ্যাবাদী। এমনকি সে আল্লাহর সাথে সম্পর্কহীন-

    এব্যাপারে আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    لَا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَنْ تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ ۗ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ [٣:٢٨]
    অর্থ: মু’মিনগন যেন *মু’মিনদেরকে ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে; এবং তাদের আশঙ্কা হতে আত্মরক্ষা ব্যতীত যে এরূপ করে (*মু’মিনদেরকে ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে) আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই; আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন। আল্লাহরই দিকেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। (সূরা আলে-ইমরান ৩:২৮)

    আল্লাহ কতক্ষন পর্যন্ত পরীক্ষা করবেন এ সম্পর্কে আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ حَتَّىٰ نَعْلَمَ الْمُجَاهِدِينَ مِنْكُمْ وَالصَّابِرِينَ وَنَبْلُوَ أَخْبَارَكُمْ [٤٧:٣١]

    অর্থঃ আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যতক্ষণ না আমি অবগত হই তোমাদের মধ্যে কে জিহাদকারী ও ধৈর্যশীল এবং আমি তোমাদের অবস্থা সমূহেরও যাচাই বাছাই করি। (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩১)
    ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী তাফসীরে ইবনে কাসীরে যা এসেছে ততে অর্থ হয় মহান আল্লাহ দেখবেন ও দেখাবেন কারা জিহাদকারী ও ধৈর্যশীল।
    এ আয়াত থেকে যা প্রকাশ পাচ্ছে, বান্দার সকল বিষয় আল্লাহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। এখানে حَتَّىٰ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যার অর্থ পর্যন্ত, সুতরাং বান্দা ধৈর্যশীল ও জিহাদকারী হয়, না কি নয় এ বিষয়টি চুড়ান্তভাবে স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা চলতে থাকবে।

    আর একটি লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে যে, উপরে উল্লেখিত-
    সূরা আনকাবুত (২৯:৩) এ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে, তিনি পরীক্ষা করে জেনে নিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী।
    আবার সূরা আলে ইমরান (৩:১৪২) এ তিনি বলেছেন যে, তিনি পরীক্ষা করে জেনে নিবেন কারা জিহাদকারী ও ধৈর্যশীল।

    আল্লাহর কথার মধ্যে কোন অসঙ্গতি নেই, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ জিহাদকারী, ধৈর্যশীলরাই কি তাহলে সত্যবাদী?

    আসুন এ বিষয়ের সমাধান পেতে চোখ রাখি আলকুরআনের পাতায়....


    আল্লাহ্*র পরীক্ষায় উত্তীর্ন সত্যবাদীদের পরিচয়ঃ
    আল কুরআনে সত্যবাদীদের পরিচয় বর্ণনা করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,

    لِلْفُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا وَيَنْصُرُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَٰئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ [٥٩:٨]
    অর্থ: সেইসব দরিদ্র মুহাজির যাদের বের করে দেওয়া হয়েছিল তাদের বাড়িঘর ও তাদের বিষয়-সম্পত্তি থেকে, যারা কামনা করছিল আল্লাহ্*র কাছ থেকে অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি, এবং সাহায্য করেছিল আল্লাহ্*কে ও তাঁর রসূলকে। এরাই সত্যপরায়ণ। (সূরা হাশর ৫৯:৮)
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আলকুরআনে আরও বলেন,
    لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ [٢:١٧٧]
    অর্থ: তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল পূর্ব বা পশ্চিম দিকে প্রত্যাবর্তিত কর তাতে পুণ্য নেই; বরং পুণ্য তার, যে ব্যক্তি আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা-গণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তারই ভালবাসা অর্জনের জন্য আত্বীয়-স্বজন, পিতৃহীন, দরিদ্র, পথিক ও ভিক্ষুকদেরকে এবং দাসদের মুক্তির জন্য ধন-সম্পদ দান করে, আর নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত প্রদান করে এবং অঙ্গীকার পূর্ণকরে এবং যারা অভাবে ও ক্লেশে এবং যুদ্ধকালে ধৈর্যশীল তারাই সত্যপরায়ণ এবং তারাই আল্লাহ ভীরু। (সূরা বাকারাহ ২:১৭৭)
    উপরে উল্লেখিত আয়াত সমূহ থেকে এ বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট যে, যারা আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা-গণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর ভালবাসায় সম্পদ দান করে নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত প্রদান করে, অঙ্গীকার পূর্ণকরে, যারা মুহাজির (যরা আল্লাহর জন্য দেশ ত্যাগ করে) এবং যুদ্ধকালে ধৈর্যশীল তারাই সত্যবাদী।
    ধৈর্যশীলদের পরিচয় বর্ননা করতে গিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আলকুরআনে বলেন,

    وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ [٣:١٤٦]
    অর্থঃ আর আরো কত নবী যুদ্ধ (ক্বিতাল) করেছেন, তাদের সঙ্গে ছিল প্রভুর অনুগত বহু লোক, আর আল্লাহ্*র পথে তাদের উপরে যা কিছু এসেছিল তার জন্য তারা নিরাশ হয় নি, আর তারা দুর্বলও হয় নি, আর তারা থেমেও যায় নি। আর আল্লাহ্ ভালোবাসেন ধৈর্যশীলদের। (সূরা আলে ইমরান ৩:১৪৬)
    এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, আল্লাহ্*র পথে থাকা অবস্থায় বিপদ আপদের সম্মুখীন হয়েও যারা আল্লাহর সাহায্যের ব্যাপারে নিরাশ হয়না, দুবর্ল হয়না, যারা দমে যায়না তারাই হচ্ছে ধৈর্যশীল।
    আর সূরা বাকারাহ (২:১৭৭) এর আলোকে মুজাহিদ ও ধৈর্যশীলরাই হচ্ছে সত্যবাদী। এর একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে আহযাবের যুদ্ধ।

    সত্যবাদীদের পরিচয় বর্ণনা করতে গিয়ে সমস্ত ঈমানের বিষয়গুলোকে দুটি বিষয় এবং আল্লাহর জন্য মাল ও জান ব্যয় কারার বিষয়টিকে একটি ক্ষেত্রের (জিহাদের) মধ্যে সন্নিবেশ ঘটিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,


    إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۚ أُولَٰئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ [٤٩:١٥]

    অর্থঃ নিঃসন্দেহে মুমিন তারাই যারা আল্লাহ্* ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপরে তারা সন্দেহ পোষণ করেনা, আর তাদের ধনসম্পদ ও তাদের জানপ্রাণ দিয়ে আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করে। এরাই হচ্ছে সত্যবাদী। (সূরা হুজুরাত ৪৯:১৫)
    এখানে সত্যবাদীদের পরিচয় একবারে স্পষ্ট হয়ে গেছে। ঈমান এনে আল্লাহ্*র রাস্তায় ধনসম্পদ ও জীবন দিয়ে জিহাদকারীরাই সন্দেহ সংশয় থেকে উর্ধ্বে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে নিজের জীবনটাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দিয়ে দিতে জিহাদে অংশগ্রহণ করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এদেরকে নেফাকী থেকে মুক্ত সত্যবাদী বলে ঘোষনা করেছেন।
    তাফসীর ফী যিলালিল কুরআানে বলা হয়েছে, বস্তুত ঈমান হলো আল্লাহ ও তার রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি হৃদয়ের পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা জ্ঞাপনের নাম। এমন বিশ্বাস যে, এরপর আর কোন সন্দেহ ও সংশয় দেখা দেয় না। দোদুল্যমানতার শিকার হতে হয় না এবং অন্তরে ও চেতনায় কোন অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয় না। এই মনই হলো আল্লাহর পথে জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করার ইচ্ছার উৎস। হৃদয় বা মন যখন এই ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে তখন সে অন্তরের বাইরের বাস্তব জগতেও ঈমানের বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে। চেতনায় বিদ্যমান ঈমানের রুপ এবং বাইরের জগতে বিদ্যমান বাস্তব অবস্থার সাথে কোন অসামন্জস্য মুমিনের পক্ষে অসহনীয়। এ কারনেই জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদে ঊদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ জিহাদ আসলে মুমিনের অন্তরের স্বতস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক আকাংখা। আর মুমিনের সাথে তার আশেপাশের জাহেলী জীবনধারার বিরোধ ও একটি স্বতস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক বিরোধ।
    রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
    যে ব্যক্তি মৃত্যু বরন করল অথচ জিহাদ করেনি এমনকি জিহাদের আকাঙ্ক্ষা ও ব্যাক্ত করেনি, সে মুনাফিকের ন্যায় মৃত্যু বরণ করল (সহীহ মুসলিম ৪৭৭৯)
    সুতরাং যার সাথে জিহাদের কোন সম্পর্ক নেই সে সত্যবাদী বা ঈমানদার নয়। আল্লাহ, আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আল্লাহর রাস্তার জিহাদের চেয়ে যারা নিজের জীবনকে বেশী ভালবাসে এরকম ফাসেকদেরকে আল্লাহ হিদায়াত প্রদান করেন না।

    যু্দ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মুখোমুখি (মৃত্যুর মুখোমুখি) যে পরীক্ষা এভাবে আল্লাহ জেনে নিবেন কারা ঈমানদার (সত্যবাদী)-
    উহুদ যুদ্ধের আবস্থাকে স্মরন করিয়ে দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    وَمَا أَصَابَكُمْ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيَعْلَمَ الْمُؤْمِنِينَ [٣:١٦٦]
    অর্থঃ আর যেদিন দুই সৈন্যদল মুখোমুখি হয়েছিল সেদিন যা তোমাদের উপরে ঘটেছিল তা আল্লাহ্*র জ্ঞাতসারে, আর এটা এজন্য যেন তিনি বিশ্বাসীদেরকে জানতে পারেন। (সূরা আলে-ইমরান ৩:১৬৬)

    وَلِيَعْلَمَ الَّذِينَ نَافَقُوا ۚ وَقِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا قَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوِ ادْفَعُوا ۖ قَالُوا لَوْ نَعْلَمُ قِتَالًا لَاتَّبَعْنَاكُمْ ۗ هُمْ لِلْكُفْرِ يَوْمَئِذٍ أَقْرَبُ مِنْهُمْ لِلْإِيمَانِ ۚ يَقُولُونَ بِأَفْوَاهِهِمْ مَا لَيْسَ فِي قُلُوبِهِمْ ۗ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يَكْتُمُونَ [٣:١٦٧]
    অর্থঃ আর যেন তিনি জানতে পারেন তাদের যারা মুনাফেকী করে, আর তাদের বলা হয়েছিল -- ''এসো, আল্লাহ্*র পথে যুদ্ধ করো, অথবা আ*ত্মরক্ষা করো।’’ তারা বলেছিল -- ''আমরা যদি যুদ্ধ করতে জানতাম তবে আমরা নিঃসন্দেহে তোমাদের অনুসরণ করতাম।’’ সেদিন তারা ঈমানের চাইতে অবিশ্বাসের নিকটতর হয়েছিল। তারা তাদের মুখ দিয়ে বলছিল যা তাদের অন্তরে ছিল না, আর আল্লাহ্ ভালো জানেন যা তারা লুকোচ্ছে। (সূরা আলে-ইমরান ৩:১৬৬)

    উপরের আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যে পরীক্ষা এর মাধ্যমেই আল্লাহ পরীক্ষা করে নিবেন কে ঈমানদার। আর একই পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ মিথ্যুক কাফিরদেরকেও জেনে নিবেন।

    আল্লাহর পরীক্ষায় সত্যবাদী কারাঃ
    পুর্বে উল্লেখিত সূরা হুজুরাত (৪৯:১৫) এর আলোকে,
    যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের ধনসম্পদ ও তাদের জানপ্রাণ দিয়ে আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এর ভাষায় এরা নেফাকী থেকে মুক্ত সত্যবাদী।
    ক্বিতাল বা জিহাদের নির্দেশ মহাবিচারক আল্লাহ বান্দাকে পরীক্ষা করার জন্যই দিয়েছেন এব্যাপারে আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    فَإِذَا لَقِيتُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا فَضَرْبَ الرِّقَابِ حَتَّىٰ إِذَا أَثْخَنْتُمُوهُمْ فَشُدُّوا الْوَثَاقَ فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً حَتَّىٰ تَضَعَ الْحَرْبُ أَوْزَارَهَا ۚ ذَٰلِكَ وَلَوْ يَشَاءُ اللَّهُ لَانْتَصَرَ مِنْهُمْ وَلَٰكِنْ لِيَبْلُوَ بَعْضَكُمْ بِبَعْضٍ ۗ وَالَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَلَنْ يُضِلَّ أَعْمَالَهُمْ
    অর্থঃ অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সাথে যুদ্ধে মিলিত হও তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, যখন তোমরা তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করবে তখন তাদেরকে কষেঁ বাধঁবে, অতঃপর হয় অনুকম্পা; নয়ত মুক্তিপন। (তোমরা জিহাদ চালাবে) যতক্ষণ না তারা যুদ্ধে অস্ত্র নামিয়ে ফেলে। এটাই বিধান। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন তাহলে তাদের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা রাখেন। কিন্ত এ বিধান তিনি এ জন্য দিলেন যাতে তিনি তোমাদের এককে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করতে পারেন। আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করেন না। (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৪)

    জিহাদ বা ক্বিতাল এর নাম শুনলে যারা মৃত্যুর কারণে মুর্চ্ছিত লোকের মত হয় আল্লাহর পরীক্ষায় এরাই সত্যবাদী নয়।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আল কুরআনে বলেন,
    وَيَقُولُ الَّذِينَ آمَنُوا لَوْلَا نُزِّلَتْ سُورَةٌ ۖ فَإِذَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ مُحْكَمَةٌ وَذُكِرَ فِيهَا الْقِتَالُ ۙ رَأَيْتَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ يَنْظُرُونَ إِلَيْكَ نَظَرَ الْمَغْشِيِّ عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ ۖ فَأَوْلَىٰ لَهُمْ [٤٧:٢٠]
    অর্থঃ আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলে -- ''একটি সূরা কেন অবতীর্ণ হয় না?’’ কিন্তু যখন সুস্পষ্ট মর্ম বিশিষ্ট একটি সূরা অবতীর্ণ হয় আর তাতে যুদ্ধের (ক্বিতাল) উল্লেখ থাকে তখন যাদের হৃদয়ে ব্যাধি রয়েছে তাদের তুমি দেখতে পাবে তোমার দিকে তাকাচ্ছে মৃত্যুর কারণে মুর্চ্ছিত লোকের দৃষ্টির ন্যায়। সুতরাং ধিক্ তাদের জন্য! (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:২০)

    ঈমানদাররা কখনও মালও জান দ্বারা জিহাদ করার ব্যাপারে অব্যহতি চায় না এ ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আলকুরআনে বলেন,
    لَا يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يُجَاهِدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالْمُتَّقِينَ [٩:٤٤]
    যারা আল্লাহ্*তে ও আখেরাতের দিনে ঈমান রাখে তারা তাদের ধনসম্পদ ও তাদের জানপ্রাণ দিয়ে জিহাদ করার ব্যাপারে তোমার কাছে অব্যহতি চায় না । আর আল্লাহ্ মুত্তাকিদের সম্পর্কে ভাল ভাবেই জানেন। (সূরা তাওবা ৯:৪৪)

    উপরে উল্লেখিত আয়াত সমূহের আলোকে মহাবিচারক আল্লাহ ক্বিতাল বা জিহাদের নির্দেশ দিয়েছেন বান্দাকে পরীক্ষা করার জন্যই, যারা জিহাদ বা ক্বিতাল থেকে অব্যহতি খুঁজে অথবা জিহাদ/ ক্বিতাল এর বিধান শুনলে মৃত্যুর কারণে মুর্চ্ছিত লোকের দৃষ্টির ন্যায় তাকায় তারা সত্যবাদী নয়, বরং যারা আল্লাহর অঙ্গীকারকে সত্য বলে মেনে নিয়ে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার আশায় মাল ও জান দিয়ে আল্লাহ্ র পথে জিহাদ করে আল্লাহর পরীক্ষায় এরই হচ্ছে সত্যবাদী।

    সত্যবাদী ঈমানদাররা তাদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করার ব্যাপারে অব্যহতি চায় না।
    আসুন মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করি, এর প্রতিক্ষায় থাকি এবং এ অঙ্গীকারে মোটেও পরিবর্তন আনয়ন না করি আর শহীদ হওয়ার মাধ্যমে এ অঙ্গীকার পূর্ণ করি।
    আল্লাহ আমাদের সকলকে তার পক্ষ থেকে দেয়া হিদায়াত গ্রন্থ অনুসারে আমল করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমীন............
    হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও প্রার্থনা শ্রবণকারী।
    দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন............

    সমস্ত প্রশংসা অংশিদারমুক্ত এক আল্লাহ’র জন্য, আমি সাক্ষ্য *দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন কল্যাণ ও অকল্যান দাতা নেই তার কাছেই আমি তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

    রচনায়
    হুজাইফা
Working...
X