Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৫ই শাওয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে মে, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৫ই শাওয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে মে, ২০২০ঈসায়ী।

    লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের নৃশংস গুলিতে ২৬ বাংলাদেশিসহ নিহত ৩০



    লিবিয়ায় মানব পাচারকারীরা গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসীকে হত্যা করেছে। অন্য চারজন আফ্রিকার অভিবাসী। লিবিয়ার মিজদা শহরে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় গুলিতে আহত আরও ১১ জনকে জিনতান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    দেশটির এক মানব পাচারকারী মারা যাওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে তার পরিবারের সদস্যরা ওই ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে।
    খবর : ডেইলি সাবাহ

    ওই পাচারকারী বাঙালি অভিবাসীদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করতে মারাত্মক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে পাচারকারীর সাথে বাঙালীদের হাতাহাতি হয় ফলে পাচারকারী এক পর্যায়ে মারা যান। সেই মৃত্যুর দায় ওই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছেন তার স্বজনরা। তার প্রতিশোধ নিতেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার গভার্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছ।

    আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) লিবিয়ার মুখপাত্র সাফা এমসেহলি বলেন, নৃশংস এ ঘটনার খবর আমরা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

    গাদ্দাফি পরবর্তী গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত লিবিয়ায় কাজের সন্ধানে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই তরুণরা অবৈধ পথে দেশটিতে পাড়ি জমায়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/29/38171/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সন্ত্রাসী বিএসএফের পর এবার ভারতীয় নাগরিকদের পিটুনীতে বাংলাদেশী খুন



    ভারতীয় নাগরিকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছে বাংলাদেশী নাগরিক লোকমান হোসেন (৩২)। গরুচোর অপবাদ দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লোকমান হোসেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মালঞ্চপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে। বিজিবি-বিএসএস এর মাঝে একাধিকবার মিটিং শেষে ঘটনার ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকমানের লাশ দেশে আসবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মোহনপুর এলাকায় তার ফুফুর বাড়ি যাচ্ছিলেন লোকমান। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোপালনগর পৌঁছাতেই এক দল ভারতীয় নাগরিক লোকমান হোসেনকে পথরোধ করে গরুচোর সন্দেহে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে। এ সময় সে- আমিহ চোর না, বেড়াতে এসেছি- এমন আকুতি বার বার জানালেও পাষণ্ডদের মন গলেনি। এলোপাথাড়ি পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে লোকমানের আকুতির ভিডিও প্রচার হয়েছে। তবে ত্রিপুরার গণমাধ্যম গরুচোর সন্দেহে গণপুটুনিতে মৃত্যুর বিষয়টি চাউর করে। মৃত ভেবে ভারতীয়রা লোকমানকে বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে একটি জঙ্গলে ফেলে রাখে।

    খবর পেয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই থানা পুলিশ মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে লোকমানের মৃত্যু হয়। বুধবার বিকেলে ১৯৯৪ /৪ এস পিলারের নিকট বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মোহনপুর গ্রামে বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের পক্ষে বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের মোহনপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর শশি কান্ত ও বাংলাদেশের পক্ষে ৫৫ বিজিবির ধর্মঘর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন এই বৈঠকটি পরিচালনা করেন।

    বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবারই ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের মোহনপুর সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তুু ভারতীয় পুলিশ ময়না তদন্ত, সুরতহাল রিপোর্ট আনুষাঙ্গিক কাগজ-পত্র ছাড়া লাশ হস্তান্তর করতে চাইলে বাংলাদেশের বিজিবি-পুলিশের প্রতিনিধিরা অস্বীকৃতি জানায়।

    বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবির ধর্মঘর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় বিএসএফ লোকমানের লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে।

    নিহতের পরিরার সূত্র জানায়, লোকমান মিয়া বাড়ির পাশ দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মোহনপুরে তার ফুফুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে স্থানীয় ভারতীয় রোষানলে পড়ে নির্মমভাবে খুন হন তিনি। নিহতের ছোটোভাই হুমায়ুন মিয়া বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ভারতীয় গনমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। অথচ তারা কাগজপত্র ছাড়া লাশ ফেরত দিতে চায়। তিনি হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
    কালের কন্ঠ


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/29/38165/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আওয়ামী লীগে ছড়িয়েছে ‘হানাহানির ভাইরাস’



      করোনাকালে আরেক ‘ভাইরাসের’ উপদ্রপ শুরু হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাঙ্গা-হাঙ্গামার এ ‘ভাইরাস’ ছড়িয়ে দিচ্ছে উপজেলাজুড়ে। তাদের উপদ্রবে বিরক্ত এলাকাবাসী। যখন করোনা দুর্গতদের পাশে থেকে সাহস জোগানোর কথা, তখন নেতাকর্মীদের দায়িত্বহীনতা অবাক করেছে স্থানীয়দের। গত ১৫-২০ দিন ধরে থেমে থেমে চলছে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান, হামলা ও শক্তি দেখানোর মহড়া। স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধীদের বিরোধ সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে চলে আসায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

      ঘটনার সূত্রপাত উপজেলা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেন স্বপনকে নিয়ে। স্থানীয় সংসদ সদস্য তাকে উপজেলা ত্রাণ কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ১৩ মে ত্রাণ কমিটি থেকে তিনি পদত্যাগ করে বসেন। এতে এমপি নূর মোহাম্মদ তার (স্বাপন) প্রতি রুষ্ট হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এর জবাব চান সংসদ সদস্য। পদত্যাগকারী আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন ফেসবুকে এমপির প্রতিক্রিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান। এসব নিয়ে পাকুন্দিয়ায় উত্তপ্ত অবস্থা তৈরি হয়।

      এর জের ধরে গত ১৬ মে এমপিপক্ষের লোকজন স্বপনের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু। তিনি উপজেলার উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে দুইবার লাইভে গিয়ে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি কিছু কিছু বিষয়ে এমপির সমালোচনা করেন। এর পর থেকে সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে চলতে থাকে ঠাণ্ডাযুদ্ধ। বর্তমান বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এ দুজন।

      এর জের ধরে আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা শ্রমিক লীগ সংসদ সদস্যের পক্ষ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। তারা এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে নানা ধরনের ‘অবমাননাকর’ শ্লোগান দেয়। মিছিলটি পাকুন্দিয়া সদরের বিভন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

      এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতিকুল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল কবীর, মুছলেহ উদ্দিন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আসাদ মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শরিফুজ্জামান বকুল, আমজাদ হোসেন সবুজ, বিল্লাল হোসেন পাপ্পু, আব্দুল জব্বার সুমন প্রমুখ।

      কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনার সময়ে আওয়ামী লীগে যা চলছে তা নজীরবিহীন। যে সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মানুষ দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেছিল, সে সময়ে নিজেদের হানাহানি-হাঙ্গামায় বিরক্ত হচ্ছে লোকজন। যেভাবে মহড়া, পাল্টা মহড়া চলছে, সভা-সমাবেশ চলছে, তাতে করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। যা মোটেই কাম্য নয়।

      এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ ছিল না। তার লোক (স্বাপন) কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছে, মারামারি হয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে আমাকে অহেতুক দায়ি করা হচ্ছে। তিনি প্রতিনিয়ত উপজেলা চেয়ারম্যানের অধিকার খর্ব করে চলেছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

      স্থানীয়রা বলছেন, এ বিরোধে উপজেলা চেয়ারম্যান জড়িয়ে পড়ায় পাকুন্দিয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে। যে কোনো সময় সেখানে বড় ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়ে যেতে পারে।
      সূত্র: কালের কন্ঠ


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/29/38159/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মিষ্টির দোকান থেকে পাওয়া গেলো ত্রাণের চাল



        হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মীরপুর বাজারে মিষ্টির দোকান থেকে ৬বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ওই দোকানের কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে এবং দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা তালুকদার এই অভিযান পরিচালনা করেন।

        স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মীরপুরের ফরিদ মিয়ার মিষ্টির দোকানে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ওএমএস এর চাল রয়েছে এই সংবাদ জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান পরিচালনা করে এই চাল জব্দ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃত ওই কর্মচারীর নাম জানা যায়নি।

        ত্রাণ দেবার নামে আওয়ামী সরকারের টম এন্ড জেরি খেলায় জনগণ এখন ত্যক্ত-বিরক্ত। জনগণের টাকায় জনগণের আমানত ফিরিয়ে দেবার কথা থাকলেও আওয়ামী সন্ত্রাসী লীগের ছা পোষা সদস্যরা তা লুটেপুটে খাচ্ছে। আত্মসাৎ করছে সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারও। করোনা মহামারীর এই সংকটের মধ্যেও আওয়ামী চোরেরা নিজেদের লোভাতুর জিহ্বাটাকে ক্ষণিকের জন্য নিবৃত্ত করতে পারছে না।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/29/38162/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ‘দিন রাত পানিতে ভাসতে আর পারি না’



          উপকূলীয় সমুদ্র তীরবর্তী প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ জেলা বরগুনা। এ জেলার বয়ে চলেছে খরস্রোতা পায়রা ও বিষখালী নদী। যা জেলার বরগুনা, আমতলী, বামনা, তালতলী, বেতাগী ও পাথরঘাটা এ ছয়টি উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করেছে তিন ভাগে। এছাড়াও এ জেলা থেকে সুন্দরবনকে পৃথক করেছে বলেশ্বর নদী।

          প্রায় প্রতিবছরই বরগুনায় আঘাত হানে কোনো না কোনো ঘূর্ণিঝড়। নড়বড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় সহস্র একর ফসলি জমি। জলোচ্ছ্বাসের স্রোতে ভেসে যায় শত শত মাছের ঘের। মুখ থুবড়ে পড়ে জেলার কৃষি ও মৎস্য খাত। নিঃস্ব হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। যুগ যুগ ধরে চলা প্রকৃতির এমন নিষ্ঠুরতার পরও জেলায় মজবুত ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এ জেলার মানুষ।

          ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে সাড়ে ১১ ফিট উচ্চতার জোয়ারের তীব্রতায় জেলার ২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ভেঙে গেছে। পুরোপুরি ভেঙে গেছে প্রায় ২০০ মিটার বেড়িবাঁধ। এতে জেলার ৬টি উপজেলার ৮২টি স্থানে বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে যা মেরামত করতে ২০ কোটি টাকার প্রাক্কলন ব্যয় ধরেছে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

          পানি উন্নয়ন বোর্ডসূত্রে জানা গেছে, জেলার প্রধান তিনটি খরস্রোতা নদী বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বরসহ বঙ্গোপসাগরের পানি থেকে সদর উপজেলাসহ ছয়টি উপজেলাকে নিরাপদ রাখতে মোট ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ।

          ঝুকিপূর্ণ এসব বেড়িবাঁধের ১৫ থেকে ১৬টি স্থান পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে প্রায় অর্ধশত গ্রাম। পানিতে তলিয়ে গেছে সেসব এলাকার ঘরবাড়ি এবং মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে মুগডাল, চিনা বাদাম এবং ভুট্টার ক্ষেতসহ শত শত সবজির বাগান।

          বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বিষখালী পাড়ের ডালভাঙ্গা এলাকাবাসী আবুল হাশেম (৬০) বলেন, ‘আমাগো ত্রাণ লাগবে না ভাই। যদি পারেন আমাগো এই বেড়িবাঁধটা যেন সরকার একটু ঠিক কইরা দেয়। দিন রাত পানিতে ভাসতে আর পারি না। ঘরবাড়ি সব তলিয়ে যায়। দিনে রাতে দুই বারের জোয়ারে।’

          খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢলুয়া গ্রামের মতো বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা, বুড়িররচর, ছোট লবনগোলা, পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাববাড়িয়া, তাফালবাড়িয়া, কাঠালতলী ইউনিয়নের পরীঘাটা এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা, জ্বিনতলা এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে আশেপাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও বামনা উপজেলা রামনা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ, পূর্ব সফিপুর এবং বামনা লঞ্চঘাট, অযোদ্ধা, কলাছিয়াসহ তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

          এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে সাড়ে ১১ ফিট তীব্র জোয়ারের আঘাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ এবং তা মেরামতের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে জেলার ২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রায় দুইশত মিটার বেড়িবাঁধ পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। নয়া দিগন্ত


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/29/38168/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বজ্রপাতে মারা গেলেন ৯ জন



            দেশের বিভিন্ন স্থানে গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বজ্রপাতে মোট ৯ জনের মৃত্যুর খরর পাওয়া গেছে। আমাদের সময় পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন।

            চাঁপাইনবাবগঞ্জ: আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে সাদেকুল ইসলাম (৬৭) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বড় মরা পাগলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের পার কৃষ্ণগোবিন্দপুর গ্রামের রুমালী বেগম ও মনাকষা ইউনিয়নের রানিনগর হঠাৎপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে মামুন (৩৫) বজ্রপাতে মারা যান।

            বগুড়া: ধুনটে বজ্রপাতে ২ ব্যবসায়ী মারা গেছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের সাগাটিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মৃত দুই ব্যবসায়ী হলেন হিজুলী গ্রামের নাদু খাঁর ছেলে ফজর আলী (৪২) ও একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫)। এদিকে কালাই থিয়টপাড়ায় বজ্রপাতে বাড়ির দেওয়াল ধসে মারা গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও কালাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজিরউদ্দিন সরদার (৭০)।

            রংপুর : মিঠাপুকুরে বজ্রপাতে ইউসুফ আলী (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত ইউসুফ আলী পাহাড়পুর গ্রামের আমিরউদ্দিনের ছেলে।

            গাইবান্ধা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরে গত বুধবার বিকালে বজ্রপাতে আবদুল মমিন মিয়া (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবদুল মমিন ওই ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের মৃত কাদিম শেখের ছেলে। অন্যদিকে সাদুল্যাপুর উপজেলার ফাঁকা মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুরমা আক্তার (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সুরমা লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক ছকু মিয়ার মেয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/29/38174/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ‘ত্রাণ না দিয়ে পারলে বাঁধটা ঠিক করাইয়া দেন’

              দেশের উপকূলীয় সমুদ্র তীরবর্তী প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ জেলা বরগুনা। এ জেলার বয়েছে খরস্রতা পায়রা ও বিষখালী নদী; যা সদর ও বেতাগী, আমতলী ও তালতলী, বামনা ও পাথরঘাটা ছয়টি উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে ভাগ করে রেখেছে তিন ভাগে। এ ছাড়াও এ জেলা থেকে সুন্দরবনকে পৃথক করেছে বলেশ্বর নদী। দক্ষিণাঞ্চলের সব ঘূর্ণিঝড়ই আঘাত হানে এ অঞ্চলে। নড়বড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় সহস্র একর ফসলি জমি। জলোচ্ছ্বাসের স্রোতে ভেসে যায় শত শত মাছের ঘের। মুখ থুবরে পড়ে জেলার কৃষি ও মৎস্য খাত। নিঃস্ব হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। যুগ যুগ ধরে চলা প্রকৃতির এমন নিষ্ঠুরতার পরও জেলায় মজবুত ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এ জেলার মানুষ।

              ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাড়ে ১১ ফিট উচ্চতার জোয়ারের তীব্রতায় জেলার ২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ভেঙে গেছে। পুরোপুরি ভেঙে গেছে প্রায় ২০০ মিটার। এতে জেলার ৬টি উপজেলার ৮২টি স্থানে বেড়িবাঁধের ক্ষত হয়েছে, যা মেরামত করতে ২০ কোটি টাকার প্রাকল্প ব্যয় ধরেছে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। জানা গেছে, জেলার প্রধান তিনটি খরস্রোতা নদী বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বরসহ বঙ্গোপসাগরের পানি থেকে সদর উপজেলাসহ ছয়টি উপজেলাকে নিরাপদ রাখতে মোট ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ২০ কিরোমিটার বেড়িবাঁধ ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর ১৫ থেকে ১৬টি স্থান পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে প্রায় অর্ধশত গ্রাম।

              পানিতে তলিয়ে গেছে সেসব এলাকার ঘরবাড়ি এবং মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে মুগডাল, চিনা বাদাম এবং ভুট্টার ক্ষেতসহ শত শত সবজির বাগান। তবে জোয়ার ভাটার এলকায় উত্তরাঞ্চলের মতো লাগাতার পানি থাকে না এ জেলায়। তারপরও নড়বড়ে বেড়িবাঁধের কারণে প্রতিদিন দুবার জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সব কিছু।

              আক্ষেপ নিয়ে বরগুনা উপজেলার বিষখালী পাড়ের ডালভাঙা এলাকার ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আবুল হাশেম বলেন, ‘আমাগো ত্রাণ লাগবে না ভাই। যদি পারেন সরকাররে দিয়া আমাগো বেড়িবাঁধটা একটু ঠিক কইরা দেন। দিন রাত আর পানিতে ভাসতে পারি না। ঘরবাড়ি সব তলিয়ে যায় দিনে রাতে দুবারের জোয়ারে।’

              খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢলুয়া গ্রামের মতো বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা, বুড়িররচর, ছোট লবণগোলা, পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাববাড়িয়া, তাফালবাড়িয়া, কাঠালতলী ইউনিয়নের পরীঘাটা এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা, জ্বিনতলা এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের গ্রাম। এ ছাড়াও বামনা উপজেলা রামনা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ, পূর্ব সফিপুর এবং বামনা লঞ্চঘাট, অযোদ্ধা, কলাছিয়াসহ তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

              এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাড়ে ১১ ফিট তীব্র জোয়ারের আঘাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। জেলার ২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রায় দুইশ মিটার বেড়িবাঁধ পুরোপুরি ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/29/38177/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X