Announcement

Collapse
No announcement yet.

গুপ্তচর

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গুপ্তচর

    আসসালামুয়ালাইকুম,
    ভাই কেউ যদি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য তাগুতের বাহিনিতে কাজ করে, সেসময় সেই বাহিনিতে টিকে থাকার জন্য তাকে তাদের সংগেও বেশ কাজ করা লাগতে পারে ভাল অথবা খারাপ। সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি কি করবে? এইখানে দ্বীনের সীমারেখা কি?

  • #2
    Assalamu Alaikum
    muhtaram vai,,,!!!
    apni ektu opekkha korun oviggo vaiyera apnake help korban,,,in

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।
      অনেক সুন্দর একটি প্রশ্ন করেছেন।
      আল্লাহ তায়ালা আপনার সহায় হোন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        আশা করি, উপরস্থ ভাইগণ মাসআলাটির সমাধান জানিয়ে আমাদের উপকৃত করবেন।
        نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ প্রিয় এমন প্রশ্ন আমার মাজে(মাঝেও) ও ঘুরপাক খাচ্ছে।
          একটু অপোক্ষা(অপেক্ষা) করুন আমাদের ভাইয়েরা সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ।
          "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

          Comment


          • #6
            আসসালামুয়ালাইকুম,
            ভায়েরা যদি সাহায্য করতেন। খুবই উপকৃত হতাম। আল্লাহ সহায় হউন।

            Comment


            • #7
              আসসালামুয়ালাইকুম,
              ভায়েরা যদি সাহায্য করতেন। খুবই উপকৃত হতাম। আল্লাহ সহায় হউন।

              Comment


              • #8
                জিহাদের প্রয়োজনে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে গোনাহের কাজ করতে বাধ্য হলে কী করণীয়??

                জিহাদের ফরীযা আঞ্জাম দেয়ার প্রয়োজনে শরীয়ত এমন কিছু কাজের অনুমতি দিয়েছে, যা মৌলিকভাবে নাজাযেয়; বরং এমন কিছু কাজেরও অনুমোদন দিয়েছে, যা বাহ্যত কুফর এবং স্বাভাবিক অবস্থায় তা করলে কুফরের বিধান আরোপিত হয়। বিষয়টি খোদ রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমতিক্রমে সাহাবিরাও করেছেন।
                রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
                الحرب خدعة -صحيح البخاري، رقم: 2866؛ ط. دار ابن كثير، اليمامة – بيروت؛ تحقيق: د. مصطفى ديب البغا
                “যুদ্ধ কৌশলের নাম।” -সহীহ বোখারী: ২৮৬৬
                মিথ্যা বলা শরীয়তে অত্যন্ত জঘন্য একটি হারাম। কিন্তু জিহাদের প্রয়োজনে মিথ্যা বলার অনুমোদন হাদীসেই দেয়া হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
                لا يحل الكذب إلا في ثلاث: ... والكذب في الحرب، والكذب .... -سنن الترمذي، رقم: 1939؛ ط. شركة مكتبة ومطبعة مصطفى البابي الحلبي – مصر
                “তিনটি ক্ষেত্র ছাড়া মিথ্যা বলা বৈধ নয়... (তার মধ্যে একটি হল) যুদ্ধক্ষেত্রে মিথ্যা বলা...” -সুনানে তিরমিযী ১৯৩৯

                কা’ব ইবনে আশরাফকে হত্যা করার জন্য যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পাঠান, তখন তিনি রাসূলের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু কথা বলার অনুমতি চান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দেন। সহীহ বোখারীর বর্ণনায় দীর্ঘ হাদীসটির সংশ্লিষ্ট অংশের বিবরণ এরকম-
                «...من لكعب بن الأشرف، فإنه قد آذى الله ورسوله»، فقام محمد بن مسلمة فقال: يا رسول الله، أتحب أن أقتله؟ قال: «نعم»، قال: فأذن لي أن أقول شيئا، قال: «قل»، فأتاه محمد بن مسلمة فقال: إن هذا الرجل قد سألنا صدقة، وإنه قد عنانا وإني قد أتيتك أستسلفك، قال: وأيضا والله لتملنه، قال: إنا قد اتبعناه، فلا نحب أن ندعه حتى ننظر إلى أي شيء يصير شأنه، وقد أردنا أن تسلفنا وسقا أو وسقين... -صحيح البخاري، رقم: 4037، الناشر: دار طوق النجاة (مصورة عن السلطانية بإضافة ترقيم ترقيم محمد فؤاد عبد الباقي)، الطبعة: الأولى، 1422هـ
                “...(রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) তোমরা কে পারবে, কা’ব ইবনে আশরাফকে শায়েস্তা করতে? সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে। মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা রা. দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি চান, আমি তাকে হত্যা করি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ। তিনি বললেন, তাহলে আমাকে কিছু বলার অনুমতি দিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঠিক আছে বল। তিনি কা’ব ইবনে আশরাফের কাছে গিয়ে বললেন, এই লোকটা (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের কাছে সাদাকা চায়! লোকটা আমাদেরকে বড় কষ্টে ফেলে দিল! এজন্য আমি তোমার কাছে কিছু ঋণ চাইতে এসেছি। কা’ব বলল, হুঁম! আরো বুঝবে! আল্লাহর কসম! তোমরা তার প্রতি একদম বিরক্ত হয়ে যাবে! মুহম্মাদ বিন মাসলামা রা. বললেন, কি করব ভাই! তার অনুসরণ যখন করেই বসেছি, তো তার বিষয়টা কোনদিকে গড়ায়, তা না দেখে ফিরতে চাচ্ছি না! এখন আমি তোমার কাছে একদুই ‘ওয়াসাক’ (খাবার) ঋণ নিতে চাই!...” -সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪০৩৭

                খালেদ ইবনে সুফিয়ান আলহুজালিকে হত্যার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আব্দুল্লাহ ইবনে উনাইস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পাঠান, তিনিও তার কাছে গিয়ে অসত্য বলেছিলেন এবং তারা যেন তা বুঝতে না পারে, এজন্য তিনি আসরের সালাত ইশারায় রুকু সেজদা করে এবং হাঁটতে হাঁটতে আদায় করেছেন। মুসনাদে আহমাদের বর্ণনায় দীর্ঘ হাদীসের সংশ্লিষ্ট অংশের বিবরণ নিম্নরূপ-
                ...فأقبلت نحوه وخشيت أن يكون بيني وبينه محاولة تشغلني عن الصلاة فصليت وأنا أمشي نحوه أومئ برأسي الركوع والسجود فلما انتهيت إليه قال من الرجل قلت رجل من العرب سمع بك وبجمعك لهذا الرجل فجاءك لهذا قال أجل أنا في ذلك قال فمشيت معه شيئا حتى إذا أمكنني حملت عليه السيف حتى قتلته ... -مسند الإمام أحمد ، رقم: 16090، ط الرسالة، الطبعة الأولى 1421هـ-2001م، المحقق: شعيب الأرنؤوط - عادل مرشد، وآخرون
                “...(আব্দুল্লাহ ইবনে উনাইস রা. বলেন) আমি তার (খালিদ বিন সুফিয়ানের) দিকে এগিয়ে গেলাম। একটু পর আমার মাঝে এবং তার মাঝে যা ঘটবে, তাতে আমার আসরের সালাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা করলাম। ফলে তার দিকে হাঁটতে হাঁটতেই মাথার ইশারায় রুকু সেজদা করে সালাত আদায় করে নিলাম। যখন তার সামনে উপস্থিত হলাম, জিজ্ঞেস করল, কে তুমি? বললাম আরবের লোক। শুনেছি ঐ লোকটির জন্য (মুহাম্মাদের মোকাবেলার জন্য) তুমি সৈন্য সামন্ত প্রস্তুত করছ! একাজে তোমার সহযোগিতা করতে এসেছি। সে বলল, হাঁ আমি তো কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারপর কছিুক্ষণ তার সঙ্গে হাঁটলাম। যখন সুযোগ হাতে আসল, তরবারি দিয়ে আঘাত করলাম এবং তাকে হত্যা করলাম।...” -সুনানে আবু দাউদ: ১২৫১, মুসনাদে আহমাদ: ১৬০৯০

                আবু বকর ইবনুল আরাবী রহ. (৫৪৩ হি.) বলেন-
                الكذب في الحرب من المستثنى الجائز بالنص رفقا بالمسلمين لحاجتهم إليه. اهـ -فتح الباري لابن حجر ج: 6، ص: 159؛ ط. دار المعرفة - بيروت
                “যুদ্ধে মিথ্যা বলার বিষয়টি ভিন্ন। সুস্পষ্ট নসের মাধ্যমে তা জায়েয। প্রয়োজনের বিবেচনায় এবং মুসলিমদের প্রতি দয়াপরবশ এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।” –ফাতহুল বারি: ৬/১৫৯

                তাজুদ্দীন সুবকি শাফিয়ি রহ. (মৃত্যু ৭৭১ হি.) বলেন-
                قد علم أن لبس زي الكفار، وذكر كلمة الكفر من غير إكراه كفر؛ فلو مصلحة المسلمين إلى ذلك، واشتدت حاجتهم إلى من يفعله، فالذي يظهر أنه يصير كالإكراه، وقد اتفق مثل ذلك للسلطان صلاح الدين. اهـ -الأشباه والنظائر للسبكي: 2\132، الناشر: دار الكتب العلمية، الطبعة: الأولى 1411هـ- 1991م
                “জানা কথা যে, ইকরাহের হালত তথা বল প্রয়োগে বাধ্য না হলে কাফেরদের নিদর্শন ধারণ করা বা কুফরী শব্দ মুখে উচ্চারণ করা কুফর। অবশ্য যদি এতে মুসলমানদের কল্যাণ থাকে এবং অত্যাধিক প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে যতটুকু বুঝা যায় যে, এটি তখন ইকরাহের অবস্থার মতো হয়ে যাবে। সালাহুদ্দীন আইউবি রহ. এর জীবনেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল।” –আলআশবাহ ওয়ান নাযায়ের ২/১৩২
                সালাহুদ্দীন আইয়্যূবি রহ. এর ঘটনা আমরা সামনে উল্লেখ করব, ইনশাআল্লাহ।

                ইমাম খাত্তাবি রহ. (৩৮৮ হি.) বলেন,
                وأما الكذب في الحرب فقد تقدم بيانه وإنما أبيح ذلك لأنه من باب المكيدة في الحرب للإبقاء على النفس وقد أرخص الله للمسلم إذا أكره على الكفر أن يعطى الفتنه بلسانه ويتكلم بها على التقية ذبا عن مهجة نفسه ومحاماة على روحه. –غريب الحديث للخطابي ج: 2، ص: 165؛ ط. دار الفكر – دمشق
                “যুদ্ধে মিথ্যা বলার অনুমতি দেয়া হয়েছে, কারণ তা জীবন বাঁচানোর স্বার্থে কৌশল অবলম্বনের নামান্তর। কোনো মুসলমান ইকরাহ তথা নিরুপায় অবস্থার শিকার হলে জীবন রক্ষার স্বার্থে আল্লাহ তায়ালাই তাকে (দিলে ঈমান রেখে শুধু) মুখে কুফরি কথা উচ্চারণ করার সুযোগ দিয়েছেন।” –গারিবুল হাদীস, খাত্তাবি: ২/১৬৫

                ইমাম মুহাম্মাদ রহ. (১৮৯ হি.) বলেন,
                ولو كانوا تشبهوا بالروم ولبسوا لباسهم، فلما قالوا لهم: من أنتم؟ قالوا: نحن قوم من الروم كنا في دار الإسلام بأمان، وانتسبوا لهم إلى من يعرفونه من أهل الحرب، أو لم ينتسبوا، فخلوا سبيلهم، فلا بأس بأن يقتلوا من يقدرون عليه منهم ويأخذوا الأموال.
                وكذلك لو أخبروهم أنهم قوم من أهل الذمة أتوهم ناقضين للعهد مع المسلمين، فأذنوا لهم في الدخول. فهذا والأول سواء.
                واستدل عليه بحديث عبد الله بن أنيس المتخصر في الجنة حين قال لسفيان بن عبد الله: جئت لأنصرك وأكثرك وأكون معك، ثم قتله. فدل أن مثل هذا لا يكون أمانا. اهـ -شرح السير الكبير 2\78
                “মুসলমানদের কিছু লোক রোমানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করল। তাদের পোশাক পরিধান করল এবং (তাদের দেশে প্রবেশ করতে চাইলে) যখন তারা জিজ্ঞেস করল, তোমরা কারা? তারা উত্তর দিল, ‘আমরা রোমান। আমান নিয়ে দারুল ইসলামে ছিলাম’। রোমানরা চেনে, দারুল হরবের এমন কিছু লোকের তারা পরিচয়ও দিল; কিংবা পরিচয় না-ই দিল। তারপর তারা তাদের জন্য প্রবেশের পথ খুলে দিল। এ অবস্থায় তাদের জন্য (হারবিদের) যাকে বাগে পায় হত্যা করতে ও মাল লুণ্ঠন করতে কোনো অসুবিধা নেই।
                তদ্রূপ তারা যদি বলে, আমরা যিম্মি। মুসলমানদের সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে চলে এসেছি। এতে তারা প্রবেশের পথ খুলে দিল, তাহলে এটি আর আগেরটির বিধান একই।
                এর দলীল হল, আব্দুল্লাহ ইবনে উনাইস রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস। তিনি সুফিয়ান ইবনে আব্দুল্লাহকে বলেছিলেন, ‘আপনাকে সাহায্য করতে এবং আপনার দল ভারি করতে ও আপনার সঙ্গ দিতে এসেছি’। এরপর তিনি তাকে হত্যা করেছেন। বুঝা গেল, এ ধরনের কথা আমান (প্রদান) হিসেবে গণ্য হবে না।” -শরহুস সিয়ারিল কাবির: ২/৭৮

                মাওসুআ ফিকহিয়্যা কুয়েতিয়ায় বলা হয়েছে-
                ذهب الحنفية على الصحيح عندهم، والمالكية على المذهب، وجمهور الشافعية إلى أن التشبه بالكفار في اللباس - الذي هو شعار لهم به يتميزون عن المسلمين - يحكم بكفر فاعله ظاهرا، أي في أحكام الدنيا، فمن وضع قلنسوة المجوس على رأسه يكفر، إلا إذا فعله لضرورة الإكراه أو لدفع الحر أو البرد. وكذا إذا لبس زنار النصارى؛ إلا إذا فعل ذلك خديعة في الحرب وطليعة للمسلمين أو نحو ذلك... فلو علم أنه شد الزنار لا لاعتقاد حقيقة الكفر، بل لدخول دار الحرب لتخليص الأسارى مثلا لم يحكم بكفره. اهـ -الموسوعة الفقهية الكويتية 12\5، صادر عن : وزارة الأوقاف والشئون الإسلامية – الكويت، عدد الأجزاء : 45 جزءا، الطبعة : من 1404 - 1427 هـ
                “হানাফি ও মালেকী মাযহাবের বিশুদ্ধ মতে এবং অধিকাংশ শাফেয়ী ফকিহের মতে এমন পোশাকাশাকে কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা (কুফর), যে পোশাকটি তাদের ধর্মীয় প্রতীক এবং যার মাধ্যমে তারা মুসলমান থেকে ভিন্ন জাতি গণ্য হয়। যে ব্যক্তি তা পরিধান করবে, দুনিয়ার বিচারে তার উপর কুফরের হুকুম আরোপিত হবে। অতএব যে ব্যক্তি অগ্নিপূজারীদের টুপি মাথায় দিবে সে কাফের হয়ে যাবে। অবশ্য সে যদি তা একান্ত বাধ্য হয়ে ইকরাহের কারণে বা শীত-গরম থেকে আত্মরক্ষার জন্য মাথায় দেয়, তাহলে কাফের হবে না। এমনিভাবে খৃস্টনদের ‘যুন্নার’ বাঁধলেও কাফের হয়ে যাবে। তবে যদি যুদ্ধে ধোঁকা দেয়া কিংবা মুসলমানদের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে করে, তাহলে কাফের হবে না। ...সুতরাং যদি জানা যায় যে, সে ব্যক্তি কুফরি বিশ্বাস রেখে যুন্নার বাঁধেনি, বরং বেঁধেছে দারুল হারবে ঢুকে বন্দীদের মুক্ত করার জন্য বা এ জাতীয় অন্য কোনো উদ্দেশ্যে, তাহলেও কুফরের হুকুম আরোপ হবে না।” –মাওসুয়া ফিকহিয়্যা কুয়েতিয়া ১২/৫

                সালাহুদ্দীন আইউবি রহ. এর আমল

                ঘটনাটি ঘটেছিল ৫৮৬ হিজরীতে খৃস্টানরা যখন আক্কা নগরী অবরোধ করেছিল। ঘটনার বিবরণে ইবনে কাসীর রহ. (৭৭৪ হি.) বলেন-
                وكتب متولي عكا من جهة السلطان صلاح الدين وهو الأمير بهاء الدين قراقوش، في العشر الأول من شعبان إلى السطان: إنه لم يبق عندهم في المدينة من الأقوات إلا ما يبلغهم إلى ليلة النصف من شعبان، فلما وصل الكتاب إلى السلطان أسرها يوسف في نفسه ولم يبدها لهم، خوفا من إشاعة ذلك فيبلغ العدو فيقدموا على المسلمين، وتضعف القلوب وكان قد كتب إلى أمير الأسطول بالديار المصرية أن يقدم بالميرة إلى عكا، فتأخر سيره، ثم وصلت ثلاث بطش ليلة النصف، فيها من الميرة ما يكفي أهل البلد طول الشتاء، وهي صحبة الأمير الحاجب لؤلؤ، فلما أشرفت على البلد نهض إليها أسطول الفرنج ليحول بينها وبين البلد، ويتلف ما فيها، فاقتتلوا في البحر قتالا شديدا، والمسلمون في البر يبتهلون إلى الله عزوجل في سلامتها، والفرنج أيضا تصرخ برا وبحرا، وقد ارتفع الضجيج، فنصر الله المسلمين وسلم مراكبهم، وطابت الريح للبطش فسارت فأحرقت المراكب الفرنجية المحيطة بالميناء، ودخلت البلد سالمة ففرح بها أهل البلد والجيش فرحا شديدا،
                وكان السلطان قد جهز قبل هذه البطش الثلاث بطشة كبيرة من بيروت، فيها أربعمائة غرارة ، وفيها من الجبن والشحم والقديد والنشاب والنفط شئ كثير، وكانت هذه البطشة من بطش الفرنج المغنومة، وأمر من فيها من التجار أن يلبسوا زي الفرنج حتى إنهم حلقوا لحاهم، وشدوا الزنانير، واستصحبوا في البطشة معهم شيئا من الخنازير، وقدموا بها على مراكب الفرنج فاعتقدوا أنهم منهم وهي سائرة كأنها السهم إذا خرج من كبد القوس، فحذرهم الفرنج غائلة الميناء من ناحية البلد، فاعتذروا بأنهم مغلوبون عنها، ولا يمكنهم حبسها من قوة الريح، وما زالوا كذلك حتى ولجوا الميناء فأفرغوا ما كان معهم من الميرة، والحرب خدعة، فعبرت المنياء فامتلأ الثغر بها خيرا، فكفتهم إلى أن قدمت عليهم تلك البطش الثلاث المصرية. اهـ -البداية والنهاية لابن كثير 12\337-338، الناشر: دار الفكر، عام النشر: 1407 هـ - 1986 م، عدد الأجزاء: 15
                “সুলতান সালাহুদ্দীন রহ. এর পক্ষ হতে নিযুক্ত আক্কার গভর্নর আমীর বাহাউদ্দীন কারাকুশ রহ. শা’বানের প্রথম দশকে সুলতানের কাছে পত্র লিখলেন, শহরে তাদের কাছে শুধু এই পরিমাণ খাবারই আছে, যতটুকুতে অর্ধ-শা’বান পর্যন্ত চলবে। পত্রটি পৌঁছলে সুলতান ইউসুফ (সালাহুদ্দীন আইউবি) তা গোপন রাখলেন; কাউকে জানালেন না। কারণ খবরটি শত্রুদের পর্যন্ত পৌঁছে গেলে তাদের আক্রমণ করার এবং মুসলমানদের মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ার আশংকা ছিল।
                সুলতান ইতিপূর্বে মিশরে অবস্থিত নৌবহরের প্রধানকে রসদ নিয়ে আক্কা অভিমুখে রওনা হবার নির্দেশ দিয়ে পত্র পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার রওয়ানা হতে কিছুটা দেরী হয়ে গিয়েছিল। শা’বানের পনের তারিখ রাতে তিনটি যুদ্ধজাহাজ এসে পৌঁছে। সেগুলোতে শহরবাসীর পূর্ণ শীতকাল চলার মতো রসদসামগ্রী মজুদ ছিল। এই বাহিনীর প্রধান ছিলেন হাজিব লু’লু। জাহাজগুলো যখন শহরের উপকন্ঠে পৌঁছে, ইউরোপিয়ান নৌবহর সেগুলোকে বাধা দিতে এবং তাতে মজুদ রসদসামগ্রী ধ্বংস করতে এগিয়ে আসে। সাগরে মাঝে উভয় পক্ষের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। তীরে মুসলমানরা আল্লাহ তায়ালার দরবারে জাহাজগুলোর নিরাপত্তার জন্য রোনাজারি করছিল। ইউরোপিয়ানরাও জলে স্থলে চিৎকার চেচামেচি করছিল। সব মিলিয়ে খুব উচ্চ শোরগোল তৈরি হল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের সাহায্য করলেন। তাদের জাহাজগুলো নিরাপদ রাখলেন। বাতাস নৌবহরের অনুকূলে বইতে লাগল। বহরটি অগ্রসর হয়ে বন্দর বেষ্টনকারী ফরাসী জাহাজগুলো জ্বালিয়ে দিল এবং নিরাপদে শহরে প্রবেশ করল। এতে শহরবাসী ও সৈন্যরা অত্যন্ত খুশী হল।
                সুলতান এ তিনটি যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত করার আগে বৈরুত থেকে বড় একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিলেন। যেটাতে চারশত বস্তা ছিল। বস্তাগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পনির, চর্বি, টুকরো করা শুকনো গোস্ত, তীর ও খনিজ তেল ইত্যাদি ছিল। এই যুদ্ধজাহাজটি ছিল ইউরোপীয়ানদের থেকে গনিমত পাওয়া জাহাজগুলোর একটি। সুলতান জাহাজে অবস্থানকারী ব্যবসায়ীদেরকে ইউরোপীয়দের নিদর্শন গ্রহণের নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ অনুযায়ী তারা নিজেদের দাড়ি মুণ্ডিয়ে ফেললেন, যুন্নার বাঁধলেন এবং জাহাজে নিজেদের সাথে কিছু শুকরও নিয়ে নিলেন।
                এসব নিয়ে তারা ইউরোপীয় জাহাজগুলোর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। ইউরোপীয়ানরা তাদেরকে নিজেদের লোক মনে করল। মুসলমানদের জাহাজটি ধনুক থেকে ছোড়া তীরের মতো ছুটে চলছিল। ইউরোপীয়ানরা তাদেরকে বন্দরের শহরের দিক থেকে অতর্কিত আক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করল। তারা অজুহাত দেখালেন, জাহাজটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। বাতাসের তীব্রতায় জাহাজটিকে থামাতে পারছি না। এভাবে চলতে চলতে তারা বন্দরে প্রবেশ করলেন এবং তাদের সাথে থাকা রসদসামগ্রী নামিয়ে দিলেন। আসলে যুদ্ধ হল কৌশলের নাম। এতে করে শহরবাসীর প্রয়োজন পূরণ হল। জাহাজটির মাধ্যমে সীমান্তের প্রভূত উপকার হল। পরবর্তী মিশরীয় তিনটি জাহাজ পৌঁছা পর্যন্ত এই জাহাজটিই তাদের প্রয়োজন মিটাতে থাকল।” -আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১২/৩৩৭-৩৩৮
                -সংগ্রহীত
                ----------
                উপরোক্ত আলোচনার আলোকে এটা বলা যায় যে, জিহাদের প্রয়োজনে গুপ্তচরবৃক্তি করতে গিয়ে শরীয়ত জরুরত পরিমাণ এমন কিছু কাজের অনুমতি দিয়েছে, যা মৌলিকভাবে নাজাযেয়; বরং এমন কিছু কাজেরও অনুমোদন দিয়েছে, যা বাহ্যত কুফর এবং স্বাভাবিক অবস্থায় তা করলে কুফরের বিধান আরোপিত হয়। কিন্তু জিহাদের প্রয়োজনে করলে তার উপর সেই হুকুম আরোপিত হবে না। বরং তখন তার উপর ইকরাহের হুকুম আরোপিত হবে। আল্লাহ তা‘আলাই অধিক ভালো জানেন।
                “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
                  জিহাদের ফরীযা আঞ্জাম দেয়ার প্রয়োজনে শরীয়ত এমন কিছু কাজের অনুমতি দিয়েছে, যা মৌলিকভাবে নাজাযেয়; বরং এমন কিছু কাজেরও অনুমোদন দিয়েছে, যা বাহ্যত কুফর এবং স্বাভাবিক অবস্থায় তা করলে কুফরের বিধান আরোপিত হয়। বিষয়টি খোদ রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমতিক্রমে সাহাবিরাও করেছেন।
                  ...
                  ----------
                  উপরোক্ত আলোচনার আলোকে এটা বলা যায় যে, জিহাদের প্রয়োজনে গুপ্তচরবৃক্তি করতে গিয়ে শরীয়ত জরুরত পরিমাণ এমন কিছু কাজের অনুমতি দিয়েছে, যা মৌলিকভাবে নাজাযেয়; বরং এমন কিছু কাজেরও অনুমোদন দিয়েছে, যা বাহ্যত কুফর এবং স্বাভাবিক অবস্থায় তা করলে কুফরের বিধান আরোপিত হয়। কিন্তু জিহাদের প্রয়োজনে করলে তার উপর সেই হুকুম আরোপিত হবে না। বরং তখন তার উপর ইকরাহের হুকুম আরোপিত হবে। আল্লাহ তা‘আলাই অধিক ভালো জানেন।
                  মাশাআল্লাহ,,,।
                  অনেক উপকৃত হলাম এই লিখাটা পড়ে।
                  আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
                  ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ ভাইদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমাদের কাংখিত লক্ষ্য অর্জনের তৌফিক দান করুন। আমাদের জান্নাতের সবুজ পাখি হিসেবে কবুল করে নিন।
                    আমিন

                    Comment

                    Working...
                    X